পাচারের আগে মোটরসাইকেলের (Motorbike) টিউবের মধ্যে থেকে ৬ টি সোনার বিস্কুট (Gold Biscuit) উদ্ধার করলেন জওয়ানরা। বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর থানার ভারত- বাংলাদেশের (Bangladesh) বিথারি সীমান্তের ঘটনা।
অভিযুক্ত আব্দুর রহমান মোল্লা মোটরসাইকেলে করে সীমান্তে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। সেই সময় ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের বিএসএফ জওয়ানদের নজরে আসে। রহমান তখন মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিএসএফ তাড়া করে ধরে ফেলে। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত পাচারকারীর বাড়ি হাকিমপুরে।
এরপর তাঁর মোটরসাইকেল তল্লাশি চালাতে গিয়ে বাইকের টিউবের মধ্যে ছয়টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে। যার ওজন ১ কিলো ২৫০ গ্রাম। এর বাজার মূল্য প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা। উদ্ধারা সোনাগুলো ও পাচারকারীকে তেতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে।
আজ, সোমবার ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনও পাচার চক্রের যোগসূত্র আছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখছে তদন্তকারীরা। এই সোনাগুলো বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকেছে। পুরো তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ।
পুজোর আগে বড়সড় সাফল্য ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের (Barrackpore Police)। বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে (belgharia Expressway) থেকে ১১ কেজি সোনা (Gold Seize) উদ্ধার বেলঘড়িয়া থানার পুলিস। কমিশনারেট সূত্রে এমনটাই খবর। জানা গিয়েছে, বেলঘড়িয়া থানা তল্লাশি চালিয়ে ১১ কেজি সোনা একটি হুন্ডাই গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিস গাড়ির চালক-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। দক্ষিণেশ্বর সংলগ্ন ময়লাখলা এলাকায় বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাওয়ার পথে টহলদারী পুলিসের সন্দেহ হওয়ায়, গাড়ি চেকিং করতেই ব্যাগের মধ্যে থেকে সোনার বাটগুলি উদ্ধার হয়। যার বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। এই ঘটনায় নেতাজিরঞ্জন পাওয়ার, ময়ূর মনোহর পাটিল, গণেশ চৌহান এবং সুরজিৎ মুখার্জিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। কোথা থেকে আসছিল আর কোথায় যাচ্ছিল, সেটা তদন্তাধীন। এমনটাই জানিয়েছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিস।
এদিকে, দিন তিনেক আগেই কলকাতা বিমানবন্দরে উদ্ধার সোনা। শুল্ক দফতরের হাতে প্রায় ১ হাজার গ্রামের বেশি ওজনের সোনা-সহ আটক সিঙ্গাপুর ফেরত এক ভারতীয়। ধৃত যাত্রীর নাম মুকেশ আগরওয়াল।
শুল্ক দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দর শাখার আধিকারিকেরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিঙ্গাপুর ফেরত এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেন। এরপরে তল্লাশি চালিয়ে ওই যাত্রী থেকে ২৭টি গোল্ড কয়েন ও তিনটি গোল্ড বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন প্রায় ১১৪০ গ্রাম। এর বাজার মূল্য ৫৬লক্ষ ৭৮হাজার ৬৯৪টাকা।
ফের কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) উদ্ধার সোনা। শুল্ক দফতরের (Excise) হাতে প্রায় ১ হাজার গ্রামের বেশি ওজনের সোনা (Gold) সহ আটক সিঙ্গাপুর (Singapore) ফেরত ভারতীয় নাগরিক। ধৃত যাত্রীর নাম মুকেশ আগরওয়াল।
শুল্ক দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দর শাখার আধিকারিকেরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিঙ্গাপুর ফেরত এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেন। এরপরে তল্লাশি চালিয়ে ওই যাত্রী থেকে ২৭ টি গোল্ড কয়েন (Gold Coin) ও তিনটি গোল্ড বার (Gold Bar) উদ্ধার করা হয়। যার ওজন প্রায় ১১৪০ গ্রাম। এর বাজার মূল্য ৫৬লক্ষ ৭৮হাজার ৬৯৪টাকা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইন্ডিগোর (Indigo) ৬ ই ৮২২ ইম্ফলগামী বিমানে ওঠার সময় অভিযুক্ত সঙ্গীতা দেবীর লাগেজ চেকিং করা হয়। সেসময় স্ক্যানারে ব্যাগের মধ্যে প্যাকেট দেখা যায়। লাগেজ খুলতেই ১৩ টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। আর সেই প্যাকেট গুলির মধ্যে মেলে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ১ কোটি ২৩ লক্ষ ১ হাজার টাকা।
দিনের বেলায় ডানকুনিতে (Dankuni) সোনার দোকানে (Jewellery Shop) ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। বৃহস্পতিবার একটি সোনার দোকানে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে গয়না সহ নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) দেখে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের মধ্যে দু’জন ক্রেতা সেজে আগেই দোকানে উপস্থিত ছিল। পরে আরও কয়েকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দোকানে ঢুকতেই তারাও ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে। এরপর দোকানের নিরাপত্তারক্ষী সহ সকলকে একটা ঘরে আটকে রেখে সব লুঠপাট করে পালিয়ে যায়।
পাঁচজন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পৌনে তিনটে নাগাদ সেনকো গোল্ডের দোকানে ঢুকে পড়ে। সেসময় দোকানে ক্রেতারাও ছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভিতরে নিয়ে যায়। দোকানের কর্মচারী ও ক্রেতাদের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা হয়। ব্যাগে ভরে গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে বাইকে করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
খবর দেওয়া হয় ডানকুনি থানায় (Dankuni Police Station)। পুলিস ঘটনাস্থলে হাজির হয়। সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করে। উল্লেখ্য, দুষ্কৃতীদের ধরতে নাকা চেকিং শুরু হয়েছিল চন্ডীতলা উত্তরপাড়া সহ দূর্গাপুর রোড দিল্লী রোড ও জিটি রোডে।
ডাকাতি (Robbery) করতে আসা দুষ্কৃতীদের (robber) সঙ্গে পুলিসের (police) সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলে পুলিসের গুলিতে মৃত (dead) ১ ডাকাত। গ্রেফতার (injured) করা হয় আরও একজনকে। মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের (Asansol) ধানবাদের মট কুড়িয়া রোডে এক বেসরকারি গোল্ড লোনের অফিসে এমনই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ডাকাতি করতে এসে পুলিসের এনকাউন্টারেই মৃত্যু হয় এক ডাকাতের। ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ধারাবাহিকভাবে চলছিল। আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিলেন এলাকাবাসীরা। মঙ্গলবার সকালে সেইরকমই এক ডাকাত দল একটি বেসরকারি গোল্ড লোন সংস্থায় ডাকাতি করতে আসে। ঠিক সেই সময় প্ৰস্তুত ছিল ব্যাঙ্ক মোড় থানা ওসি পি কে সিং। স্থানীয় মারফৎ খবর পেয়ে বাহিনী পায়ে হেঁটে এসেই ঘটনাস্থল ঘিরে ধরে। পুলিসের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালানোর চেষ্টা করলে, শুরু হয় গুলির লড়াই। তাতেই মৃত এক ডাকাত।
ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর।
বসিরহাট থানার পুলিসের বড়সর সাফল্য (police)। ট্রেনে ওঠার মুহূর্তেই রেলস্টেশন থেকে ১০ টি সোনার (gold) বিস্কুট উদ্ধার। ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) ১।
শুক্রবার সকালবেলা বসিরহাটের ভ্যাবলা রেলস্টেশন (rail station), যেখানে সোনার বিস্কুটসহ বছর একুশের পিন্টু মণ্ডল নামে এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, হাসনাবাদ শিয়ালদহ ডাউন লোকাল ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিল সে। তার বাড়ি স্বরূপনগর নগর থানার ভারত-বাংলাদেশে গাবড্ডা সীমান্তে। পুলিস গোপন সূত্রে খবর পায়, এরপর বসিরহাট থানার পুলিসের একটি টিম গিয়ে ট্রেনে ধরার আগেই হাতেনাতে পাকড়াও করে তাকে। উদ্ধার হয় দশটি সোনার বিস্কুট, যার ওজন ৯৫০ গ্রাম, বাজার মূল্য প্রায় ৬০, লক্ষ টাকা।
জানা যায়, এই সোনাগুলি বাংলাদেশ থেকে এদেশে আনা হয়েছে। কলকাতা উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল পাচারকারীদের। উদ্ধার সোনা বিস্কুটগুলি বসিরহাট শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ধৃত পাচারকারীকে শুক্রবারই বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগসূত্র আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে তার সঙ্গে আরও দুজন ছিল। তারা পুলিসকে দেখে চম্পট দিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে।
লক্ষ্যর লক্ষ্য পূরণ। বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) সোনা জিতলেন লক্ষ্য সেন (Lakshya Sen)। সোমবার শুরুতে ব্যাডমিন্টনে (badminton event) মহিলাদের সিঙ্গলসে সোনা জেতেন পিভি সিন্ধু। তিনি হারান কানাডিয়ান প্রতিপক্ষকে। এরপরই পুরুষদের সিঙ্গলসে সোনা লক্ষ্য সেনের। মালয়েশিয়ার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রথম গেমে পিছিয়ে পড়ার পর লক্ষ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান দ্বিতীয় গেমে। নির্ণায়ক গেমে মালয়েশিয়ার এনজি জে ইয়ং (Malaysia's NG Tze Yong) মরিয়া লড়াই চালালেও লক্ষ্যকে থামাতে পারেননি।
লক্ষ্য সোনা জেতায় নিউজিল্যান্ডকে টপকে পদক তালিকায় চার নম্বরে থাকা নিশ্চিত করল ভারত। কমনওয়েলথ গেমসের শেষে ২০টি সোনা,১৫টি রুপো, ২২টি ব্রোঞ্জ জিতে ভারত পদক তালিকায় চারে শেষ করেছে। নিউ জিল্যান্ড সেখানে ১৯টি সোনা, ১২টি রুপো, ১৭টি ব্রোঞ্জ জিতে পাঁচ নম্বরে।
একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, লক্ষ্য চূড়ান্ত শট মারার পরে সোনা নিশ্চিত হওয়ায় আনন্দে তাঁর র্যাকেট ছুঁড়ে দেয় দর্শকস্থানের দিকে। এবং চিৎকার করে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেও দেখা যায়। কেবল তা নয় ২০ বছর পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর বিলেতের মাটিতে জার্সি ওড়ালেন লক্ষ্য।
জার্সি ওড়ানোর রহস্য কী? লাজুক হাসিতে লক্ষ্য বললেন, ‘ওই মুহূর্তে আবেগকে ধরে রাখতে পারিনি। সোনা জয়ের আনন্দেই জার্সি খুলে সেলিব্রেট করি। আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা ছিল না।’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জার্সি ওড়ানোর দৃশ্য থেকেই কি অনুপ্রাণিত হয়েছেন লক্ষ্য? ভারতীয় শাটলারের জবাব, ‘না, সৌরভের জার্সি ওড়ানোর দৃশ্য এখনও দেখিনি। দেখার ইচ্ছে আছে। তবে অনেকের কাছেই এটা শুনেছি।’
এদিকে, সোমবার টেবিল টেনিসের ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জয় ভারতের শরদ কমলের। অর্থাৎ বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসের শেষ দিন প্রকৃতপক্ষেই ভারতের জন্য সোনার দিন।