পারিবারিক বিবাদের জেরে ভাইয়ের হাতে খুন হল দাদা ও বৌদি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি ব্লকের অন্তর্গত ক্ষেত্র বাড়ি বালিয়াদিঘী এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত দুইজন হলেন দীনবন্ধু পোদ্দার ও কাজল পোদ্দার। মৃতদেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাই দীনবন্ধু পোদ্দার ও জগবন্ধু পোদ্দারের মধ্যে বচসা চলছিল। রবিবার সেই বিবাদ বিশাল আকার ধারণ করে। এরপর ছোট ভাই জগবন্ধু তাঁর দাদা দীনবন্ধুকে শাবল দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তাঁর।
অভিযোগ, দীনবন্ধু পোদ্দারের স্ত্রী কাজল পোদ্দার তিনি ঝামেলায় মীমাংসা করতে গেলে তাঁকেও শাবল দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর কাজল দেবীকে গুরুতর আহত অবস্থায় শিলিগুড়ি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় করনদিঘী থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। অভিযুক্ত জগবন্ধু পোদ্দারকে পুলিস গ্রেফতার করেছে। যদিও অভিযুক্ত ভাইকে গ্রেফতার করছে পুলিস। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পারিবারিক বিবাদের জেরে ভুক্তভোগী এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগেই কেটে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। হ্যারিকেনের আলোয় কোনওরকম কষ্ট করে পড়াশোনা করতে হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বাড়ধূর্পা গ্রামের।
ওই ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল সঠিক সময়ে দিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও কোনও কারণ না দেখিয়ে বিদ্যুৎ কেটে দিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে গন্ডগোলের সূত্রপাত দীর্ঘদিন ধরে। আর এই গন্ডগোলের জেরেই গত ৩১শে জানুয়ারি রাতে বিদ্যুৎ দফতরের লোকেরা গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছেন বলে দাবি ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীর পরিবারের। পরীক্ষার সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় খুবই সমস্যা পড়েছে ওই ছাত্রীটি। ফলে তার পড়াশোনায় খুবই ব্যাঘাত ঘটছে।
ঘটনার খবর পেয়ে বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওনাল ম্যানেজার রঞ্জিত কুমার মণ্ডল জানান, বিল মেটানো থাকলে কোনওভাবেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা যায় না। এই ক্ষেত্রে বিল মেটানো থাকা সত্ত্বেও কেন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হল তা তিনি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছেন। অতি শীঘ্রই যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় সেই ব্যাপারে দফতরের কর্মীদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি।
নিক (Nick Jonas) ও প্রিয়াঙ্কার সুখের সংসারে এবার কি ভাঙন। সামাজিক মাধ্যমে রটনা তাই-ই বলছে। ২০১৮ সালে বিদেশী গায়ক নিক জোনাসকে বিয়ে করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। নিকের পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কার (Priyanka Chopra) পরিবার হয়েছিল জোনাস ব্রাদার অর্থাৎ কেভিন জোনাস এবং জো জোনাস ও তাঁদের স্ত্রীয়েরা। দেশি গার্লকে বহুবার দেখা গিয়েছিল জোনাস ব্রাদারের কনসার্টে মুহূর্ত যাপন করতে। বাড়ির নানা সেলিব্রেশনেও একসঙ্গে দেখা যেত পুরো পরিবারকে। সেই পরিবারেই এবার ভাঙনের ছায়া।
নিকের দাদা জো জোনাস বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী সোফি টার্নারকে। তাঁদের মধ্যেই নাকি বিচ্ছেদের সম্ভাবনা। বিগত ৬ মাস ধরে না কি একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না জো ও সোফির সম্পর্ক। এমনকি জো-এর আঙুল থেকে উধাও হয়েছে বিয়ের আংটি। শোনা গিয়েছে, তিনি নাকি উকিলের পরামর্শ নিচ্ছেন। যদিও এই নিয়ে মুখ খোলেননি তারকাদের কেউ। এই সম্পর্ক যদি সত্যিই ভাঙে তাহলে সেই প্রভাব প্রিয়াঙ্কা ও নিকের মনেও পড়তে পারে।
যদিও নিক এবং প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক বেশ ভালো। কন্যা মালতি মেরি চোপড়া জোনাসকে নিয়ে সময় ভালোই কাটছে তাঁদের। সময় পেলেই একে অপরের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। ব্যক্তিগত জীবন যেমন সুন্দর করে সাজাচ্ছেন, কেরিয়ার জীবনেও সফল নিক ও প্রিয়াঙ্কা।
স্বামীর সঙ্গে সংসার করার জন্য ধরনায় (Strike) বসলেন স্ত্রী। আদালতে বলেছিল স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করবেন, সেই কারণে মামলা তুলে নেন স্ত্রী। অভিযোগ, বর্তমানে অন্য এক মহিলার সঙ্গে সংসার করছেন তাঁর স্বামী। সেই প্রতিবাদে স্বামীর বাড়ীর সামনে ধরনায় বসেছেন স্ত্রী। শনিবার, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চক আলম এলাকার এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বালুরঘাট থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে বালুরঘাট থানার চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চক আলম গ্রামের বাসিন্দা সেনা বিভাগে কর্মরত সোম মুর্মুর সঙ্গে বিয়ে হয় কুমারগঞ্জের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের বংশীপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ওই মহিলার স্বামী সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর স্ত্রী বিষয়টি জানার পরেই না কি তাঁর ওপর শুরু হয় অত্যাচার। গৃহবধূ সেই অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করত বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ গ্রাম্য সালিশি সভায় অভিযোগ করলে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এরপর ওই গৃহবধূ আইনে দ্বারস্থ হন। গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ করা হয় বালুরঘাট থানায়। নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ জানিয়েছে, মামলা চলাকালীন তাঁর স্বামী তাঁকে নিয়ে সংসার করবার কথা জানালে, তিনি এই মামলা তুলে নেন। অথচ তাঁর স্বামীর কর্মস্থলের আবাসনে অন্য মহিলার সঙ্গে সংসার করছে বলে জানা যায়। এদিন এই ঘটনার প্রতিবাদে ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন সেনা জওয়ান কর্মরত ওই মহিলার স্ত্রী সোম মুর্মু। শেষ পর্যন্ত পুলিস ওই গৃহবধূকে তাঁর স্বামীর বাড়িতে বাড়ির ভিতরে যাওয়ার ব্য়বস্থা করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আম্বানি (Ambani) পরিবারে এল নতুন সদস্য। এবারে লক্ষ্মীর আগমন ঘটল আম্বানি পরিবারে। দ্বিতীয়বারের জন্য বাবা-মা হলেন শিল্পপতি আকাশ আম্বানি (Akash Ambani) ও শ্লোকা মেহেতা (Shloka Mehta)। শ্লোকার কোল আলো করে এল ফুটফুটে কন্যাসন্তান (Baby Girl)। বুধবার কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার মুকেশ আম্বানির বড় বউমা শ্লোকা আম্বানি। ফলে দ্বিতীয়বারের জন্য দাদু-ঠাকুমা হলেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি। কন্যা সন্তানের আগমনে তাঁদের খুশি যেন আর ধরছে না। এই খবর ৩১ মে প্রকাশ্যে আসতেই বন্যা বয়ে গিয়েছে শুভেচ্ছা বার্তায়।
আম্বানি পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও আকাশ আম্বানির বন্ধু ধনরাজ নাথওয়ানি টুইটারে প্রথম এই খবর দিয়েছেন যে, আম্বানি পরিবারে নতুন সদস্য অর্থাৎ আকাশ ও শ্লোকা আম্বানির জীবনে কন্যাসন্তান এসেছে। কিছুদিন আগেই শ্লোকা ও তাঁর পুত্র পৃথ্বীর সঙ্গে মুকেশ আম্বানিকে দেখা গিয়েছিল মুম্বইয়ের সিদ্ধিভিনায়ক মন্দিরে। আর তারপরেই এই খুশির খবর। উল্লেখ্য, শ্লোকার অন্তঃসত্ত্বার খবর নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে এসেছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে আকাশের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্লোকার। এরপর ২০২০ সালে তাঁদের প্রথম পুত্র সন্তান পৃথ্বির জন্ম হয়। আর এবারে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন শ্লোকা। তবে তার নাম কী হতে চলেছে, তা এখনও জানা যায়নি।
প্রেমিকের সঙ্গে চক্রান্ত করে শ্বশুর-শাশুড়িকে খুনের (Kill) অভিযোগ উঠল পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। লোপাট লক্ষাধিক টাকা। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ তার জেরেই এই খুন। অভিযোগ, গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে। মৃত (Dead) দম্পতির নাম রাধেশ্যাম বর্মা বয়স ৭৫ বছর এবং তাঁর স্ত্রী বীণা বয়স ৭০ বছর।
দম্পতির পুত্র পুলিসে খবর দেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিসের একটি দল। রবিবার দিল্লির (Delhi) গোকুলপুরি এলাকায় ওই বৃদ্ধ দম্পতির দেহ বেডরুম থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, বাড়ির একতলায় থাকতেন বৃদ্ধ দম্পতি এবং দোতলায় থাকতেন তাঁর পুত্র, পুত্রবধূ ও নাতি। খুনের সময় দোতলায় ঘুমোচ্ছিলেন দম্পতির পুত্র এবং নাতি। ঠিক সেই সময় পুত্রবধূ তার প্রেমিক এবং এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে দম্পতিকে খুন করেন।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে যে, দুজন সহযোগীর সাহায্যে বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করেছেন তাঁদের পুত্রবধূ। বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। বাড়িটি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি। বাড়ি বিক্রির অগ্রিম হিসাবে কমপক্ষে ৪ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন ওই দম্পতি। এমনকি খুনের পর ওই টাকার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
সন্তানকে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রূপপুর (Birbhum) গ্রাম পঞ্চায়েতের হেদেডাঙা গ্রামে। ইতিমধ্যেই ওই শিশুর বাব-মাকে আটক করেছে শান্তিনিকেতন থানার (Police) পুলিস। জানা গিয়েছে, বছর দেড়েকের মৃত (Death) ওই শিশুর নাম সুরজিত্ টুডু। এমনকি অভিযুক্ত বাবা মায়ের নাম সোনাই টুডু ও সুখদি টুডু। তাঁরা শান্তিনিকেতন থানার রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হেদেডাঙার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক অশান্তি চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। সেই অশান্তির জেরেই নিজের সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করেন সুখদি টুডু৷ ছেলেকে হত্যা করে তারপরে নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
পরিবার সূত্রে খবর, হঠাত্ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় সুখদি। তাড়াতাড়ি করে বাড়ির সদস্যরা দরজা ভেঙে সুখদি ঝুলন্ত অবস্থায় ও বাচ্চাটিকে শুয়ে থাকতে দেখে তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে সুখদিকে বাঁচানো হয়। তারপরেই বাচ্চাটি নড়াচড়া করছে না দেখে তড়িঘড়ি ওই শিশুকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তখনই হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় অশান্তি লেগে থাকত, যার ফলেই এই ঘটনা। তবে এই ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না ওই শিশুটির বাবা সোনাই টুডু।
ইতিমধ্যেই পুলিস অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে ঘটনাটি ঠিক কি ঘটেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
আম্বানি (Ambani) পরিবারে এল ফের এক খুশির খবর। তাঁদের পরিবারে আসতে চলছে নতুন সদস্য। দ্বিতীয়বারের জন্য মা হতে চলেছেন আম্বানি পরিবারের বড় বৌমা শ্লোকা মেহতা (Shloka Mehta)। আরও একবার দাদু-ঠাকুমা হতে চলেছেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি। এই খুশির খবর জানা গিয়েছে কালচারাল সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে। সেই অনুষ্ঠানে শ্লোকাকে তাঁর 'বেবি বাম্প' 'ফ্লন্ট' করতে দেখা গিয়েছে।
দেশে প্রথমবার খুলতে চলেছে 'কালচারাল সেন্টার'। তারই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ৩ দিন ধরে চলছে। যার অতিথি লিস্টও চোখ ধাঁধানো। সেখানে দেখা গিয়েছে, বলিউড-হলিউড থেকে রাজনৈতিক, ক্রীড়াজগতের নানা ব্যক্তিত্বকে। বলাই বাহুল্য, নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান একপ্রকার নক্ষত্রখচিত। আর এই মুহূর্তেই আরও এক খুশির খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
এই অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে আকাশ আম্বানি ও তাঁর স্ত্রী শ্লোকা আম্বানি হাতে হাত ধরে অনুষ্ঠানে পৌঁছেছিলেন। আকাশ পরেছিলেন সবুজ কুর্তা, প্যান্ট এবং সঙ্গে জ্যাকেট। আর শ্লোকা পরেছিলেন সবুজ গর্জাস শাড়ি, সঙ্গে ম্যাচিং হাফ-হাতা অলঙ্কৃত ব্লাউজ, এবাং গায়ে ছিল সোনার এমব্রয়ডারি করা দোপাট্টা। দ্বিতীয় দিনে শ্লোকাকে ইন্দো-ওয়েস্টার্ন রুপে দেখা যায়। হল্টার নেকলাইনের এমব্রয়ডারি করা সবুজ রংয়ের টপ ও এমব্রয়ডারি করা লেহেঙ্গা পরেছিলেন তিনি। দু'দিনই তাঁকে অপরূপ দেখাচ্ছিল। এছাড়াও তাঁর বেবি বাম্প তাঁর সৌন্দর্যতাকে যেন আরও বেশি করে ফুটিয়ে তুলেছিল। শ্লোকার ছবি সেলেব্রিটি মেকআপ আর্টিস্ট পুণীত বি সাইনি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন, শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে গিয়েছে ছবির কমেন্ট সেকশন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৯ মার্চ বিয়ে হয় আকাশ ও হিরের ব্যবসায়ী রাসেল মেহতার মেয়ে শ্লোকার। মুম্বইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড সেন্টারে বসেছিল সেই মেগা বিয়ের জমকালো আসর। ঝকমকে আলোয় সেজে উঠেছিল আম্বানিদের বাসভবন। উপস্থিত ছিলেন সিনেমা, রাজনীতি, বাণিজ্য জগতের তাবড় সেলেবরা। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কোল আলো করে আসে তাঁদের প্রথম সন্তান। তার নাম পৃথ্বী। আর এবারে তাঁদের দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষায় দিন গুণছে আম্বানি পরিবার।
শুক্রবার মুম্বইতে নীতা-মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বরাবরের মতো দেশের ধনীতম আম্বানি পরিবারের আমন্ত্রণে চাঁদের হাট বসেছিল। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, আলিয়া ভাট, দীপিকা পাডুকোন, বিদ্যা বালন থেকে শুরু করে রজনীকান্ত, অভিনয় জগতের নক্ষত্ররা সকলেই উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল শাহরুখের পরিবার। সহধর্মিনী গৌরী খান, আরিয়ান খান ও মেয়ে সুহানা গিয়েছিলেন। তবে দেখা যায়নি শাহরুখকে। সেই শূন্যস্থান পূরণ করলেন ভাইজান।ভিডিও সৌজন্যে : ভাইরাল ভিয়ানি
শুক্রবার সেই অনুষ্ঠানে পাপারাৎজিদের সামনে পোজ দিচ্ছিলেন শাহরুখের পরিবার গৌরী, আরিয়ান ও সুহানা। তবে শাহরুখ না থাকায় পরিবার যেন অসম্পূর্ন মনে হচ্ছিল। ছবিতে সেই খামতি পূরণ করতে এগিয়ে এলেন সলমন খান। পোজ দিলেন একসঙ্গে। তাঁকে দেখে খুশি গৌরী। 'ভাইজান' সম্বোধন করে এগিয়ে গেলেন আরিয়ান ও সুহানাও। বেশ কিছুক্ষণ একসঙ্গে কথা বললেন সকলে।
অনুষ্ঠানে গৌরী খান পরেছিলেন ন্যুড রঙের ইন্দো ওয়েস্টার্ন পোশাক। সুহানা পরেছিলেন লাল রঙের গাউন। আরিয়ান কালো রঙের শার্টের সঙ্গে কন্ট্রাস্ট ব্লেজার পরেছিলেন। অন্যদিকে ভাইজানকে দেখা গিয়েছে অল ব্ল্যাক পোশাকে। চিরাচরিতভাবেই গ্ল্যামারাস দেখো লাগছিল তাঁকে।
দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এবার এক বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছেন আম্বানি পরিবার। দেশে প্রথম খুলতে চলেছে 'কালচারাল সেন্টার' (Cultural Cent)। আম্বানি পরিবারের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে ভারতবাসী। শুক্রবার ৩১ মার্চ মুম্বইয়ে উদ্বোধন করা হল 'নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টার'। এই উদ্বোধন উপলক্ষে ৩ দিন ধরে চলবে এই গ্র্যান্ড অনুষ্ঠান। আম্বানি পরিবারের অনুষ্ঠান, আর তাতে আসবেন না বলিউড তারকারা, তা কখনও সম্ভব? ফলে এই অনুষ্ঠানে যেন পুরো বলিউড নেমে এসেছিল আম্বানি পরিবারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। শুধু বলিউড নয়, দেখা যায় হলিউডের বিখ্যাত কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী-মডেলদের।
বৃহস্পতিবার কালচারার সেন্টার উদ্বোধনের আগের দিন মুম্বই বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছিলেন 'স্পাইডারম্যান' অর্থাৎ টম হল্যান্ড ও অভিনেত্রী জেন্ডায়া।
এছাড়াও শুক্রবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা যায় আমেরিকান মডেল জিজি হাডিডকে। তাঁকে এক ফ্লোরাল ড্রেসে 'ড্রপ ডেড গর্জিয়াস' দেখাচ্ছিল। এই অনুষ্ঠানে মুকেশ আম্বানিকে দেখা গিয়েছিল কালো স্যুটে ও নীতা আম্বানি দেখা গিয়েছিল জমকালো নীল শাড়িতে।
এছাড়াও মুম্বইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সের জিও গার্ডেনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রজনীকান্ত, সলমন খান, গৌরী খান, রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, নিক জোনাস, সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, কিয়ারা আডবাণী, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, বরুণ ধাওয়ান, কৃতি শ্যানন, শ্রদ্ধা কাপুর, আলিয়া ভাট-সহ বলিউডের অসংখ্য তারকা। ক্রিকেট ও রাজনৈতিক জগতেরও অনেককেই দেখা যায়।
উল্লেখ্য, নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারে ১৬০০০ স্কোয়ার ফুটের একটি আর্ট হাউস রয়েছে। সেন্টারে রয়েছে ৩টি প্রেক্ষাগৃহ। যেগুলির সব ক'টিতেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়টিতে থাকছে ২০০০ সিট। এই সেন্টারটি তৈরি করা হয়েছে মুম্বইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে (BKC) জিও ওয়ার্ল্ড সেন্টারের মধ্যে। মনে করা হচ্ছে, এই কেন্দ্রটি আম্বানি পরিবারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নীতা আম্বানি নিজেই ভরতনাট্যমের নৃত্যশিল্পী। এছাড়াও আম্বানি পরিবারের ছোট বৌ রাধিকা মার্চেন্টও একজন নৃত্যশিল্পী।
ফলে তাঁরা ভারতের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানেন। তাই এই সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্দেশ্য হল ভারতীয় শিল্পকলা সংরক্ষণ-প্রচার করা। জানা গিয়েছে, এটা ৩ এপ্রিল থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
সৌমেন সুর: রবীন্দ্রনাথের নাতনী নন্দিনীদেবী ওরফে পুপে। পুত্র রথীন্দ্রনাথ ও পুত্রবধূ প্রতিমাদেবীর সন্তানহীনতার কান্না রবীন্দ্রনাথকে ভীষণ পীড়িতকরেছিল। এরপর রবীন্দ্রনাথের ইচ্ছা এবং সক্রিয়তায় প্রতিমা দেবী-রথীন্দ্রনাথ নন্দিনীকে দত্তক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। নন্দিনীর জন্ম হয়েছিল চতুর্ভুজ দামোদরের পরিবারে। এই গুজরাটি ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথের আকর্ষনে শান্তিনিকেতনে এসে বাসা বেঁধেছিলেন।
চতুর্ভুজ দামোদরের স্ত্রী ছিলেন চিররুগ্ন। জন্মের সময় নন্দিনীও ছিল রুগ্ন। এই কন্যাসন্তানকে বাঁচানো যাবে কিনা এই চিন্তা চতুর্ভুজ দামোদরকে চিন্তিত করেছিল। রবীন্দ্রনাথ পুত্র ও পুত্রবধূর জন্য এই কন্যাসন্তানকেই দত্তক নিতে উদ্যোগী হলেন। বাকি জীবনটুকু নন্দিনীর কেটেছিল রবীন্দ্রনাথের প্রশ্রয়ে ও প্রতিমাদেবীর স্নেহে। শান্তিনিকেতনে সকলের আচার্য গুরুদেব বিশ্বজয়ী রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পৌত্রী-নন্দিনীর সম্পর্কটি ছিল স্নেহ, ভালবাসা এবং প্রশয়ের। শেষ বয়সে রবীন্দ্রনাথের জীবনকে যেন নতুন করে রাঙিয়ে তুলে ছিলেন। তাঁর আদরের পুপে দিদি গল্পে গানে আদরে আবদারে সে ছিল এক অন্য রবীন্দ্র জীবন। দুই অসমবয়সী বন্ধুর পারস্পরিক নির্ভরতার এক চিত্র ছিল সে সম্পর্ক।
শান্তিনিকেতনের পরিমণ্ডলে নিজের মনের মতো করে আদরের পুপে দিদিকে গড়ে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে মুম্বই নিবাসী অজিত সিং খাটাও-এর সঙ্গে নন্দিনীর বিবাহ হয়েছিল। কিন্তু সে বিবাহ সুখের হয়নি। বিবাহবিচ্ছেদের পর নন্দিনী ফিরে এসেছিলেন। তাঁর দাদামশাইয়ের কাছে পরে অবশ্য বাল্যসঙ্গী-গিরিধারী লালনের সঙ্গে তার বিবাহ হয়। এরপর নন্দিনী-গিরিধারী শান্তিনিকেতনেই থেকে গিয়েছিলেন। সাহিত্যচর্চা, গান ও নাচে কবির প্রাণ নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন।
অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রাক্তন বায়ুসেনা আধিকারিক (Former Indian Air Force officer) এবং তাঁর স্ত্রীয়ের। জানা গিয়েছে, ওই বায়ুসেনা আধিকারিক কর্মজীবন থেকে ভিআরএস নিয়েছিলেন। পুলিসের অনুমান, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী (suicide) হয়েছেন দম্পতি। ওই বায়ুসেনা আধিকারিকের নাম অজয় পাল (৩৭) আর স্ত্রী ৩২ বছরের মণিকা। ঘটনাটি দিল্লির (Delhi)।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা ওই দম্পতি সুখেই ছিলেন। ঘটনার দিন মণিকা বাড়ি এসে দেখতে পান তাঁর স্বামী বাড়িতে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন, 'বিষপান করে আত্মঘাতী হয়েছেন অজয়। এরপর বাড়ি ফিরে আসেন মণিকা। বাড়িতে ঢুকে তিনি নিজেও বিষপান করেন। পরে পুলিস দরজা ভেঙে তাঁর দেহ উদ্ধার করে।'
কী কারণে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই বিষপান করলেন? এর পিছনে কেবল অবসাদ নাকি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
রিজেন্ট পার্ক গঙ্গাপুরী এলাকায় একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী তিনজনই আত্মহত্যা করেছেন। তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট এলে তবেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে পুলিস।
স্থানীয়রা বলছেন, বৃহস্পতিবারের পর আর দেখতে পাওয়া যায়নি চট্টোপাধ্যায় দম্পতিকে। স্থানীয়রা জানান, 'এটা অবিশ্বাস্য! একই পরিবারের তিন জন কী করে আত্মহত্যা করতে পারে। যাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁরা বেশ মিশুকে ছিলেন।' পচা দুর্গন্ধের উৎস সন্ধান করতে গিয়েই এই দেহ উদ্ধার হয়েছে।'
একটি মামলা নিয়ে বচসার জেরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পুড়িয়ে মারলেন বাবা। পরে নিজে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার (Suicide) চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোরে কর্নাটকের (Karnataka) হেন্নুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (Police)। সেখানে তিনজনের আধপোড়া শরীর এবং এক মাঝবয়সি ব্যক্তির অচেতন দেহ উদ্ধার করে তারা। পরে চারজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, ওই ব্যক্তি কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আর বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির নাম সোনেগৌড়া ওরফে সোনাপ্পা। মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর স্ত্রী নেত্রার সঙ্গে একটি মামলা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। এর আগে সোনাপ্পার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন নেত্রা। পুলিসের কাছে এফআইআর দায়ের করেছিলেন তিনি। সেই নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা। বুধবার ভোরে পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। এরপরই স্ত্রী এবং দুই কিশোরী মেয়ের উপর চড়াও হন সোনাপ্পা।
প্রথমে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত, তার পরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, তাঁদের দুই কন্যার বয়স যথাক্রমে ১১ এবং ৯ বছর। জানা গিয়েছে, ওই মামলায় সোনাপ্পার থেকে ক্ষতিপূরণও চেয়েছিলেন তিনি। সোনাপ্পার বাবাকেও সেই মামলায় যুক্ত করে সম্পত্তির ভাগ চেয়েছিলেন নেত্রা। ওই ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
চুঁচুড়া (Chuchura Incident) ঘটকপাড়ার বাসিন্দা এক বৃদ্ধাকে ভাটপাড়ার অন্তর্গত রথতলায় ফেলে দিয়ে যান তাঁরই দুই ছেলে (Mother-Son Relation)। পরিবারের দাবি, মানসিক ভাবে অসুস্থ ৭০-উর্দ্ধ (Old Woman) উষারাণী প্রামাণিক। মাঝেমধ্যেই তিনি বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এদিক-ওদিক চলে যান। দুুই ছেলে ও পুত্রবধুর কাছেই থাকতেন তিনি। বৃদ্ধার দুই ছেলেই পেশায় মাছ বিক্রেতা। যদিও বড় ছেলে আগে চাকরি করতেন বলে আর্থিকভাবে অনেকটাই স্বচ্ছল।
এদিকে রথতলা কাঠডাঙা অঞ্চলে ওই বৃদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখে সেখানকার বাসিন্দারা ভাটপাড়া থানায় খবর দেন। ভাটপাড়া থানার পুলিস ও ভাটপাড়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবপ্রসাদ সরকার তাঁকে উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিসার জন্য পাঠান। বৃদ্ধার অভিযোগ, 'ছেলেরা তাঁকে খেতে দিতে পারবেন না বলে কথা শোনাতো।' ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাতের অন্ধকারে তাঁকে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়, এমনটাই অভিযোগ।
এ নিয়ে বৃদ্ধার এক ছেলে জানান, 'মাকে আমি ঠিকমতোই দেখাশোনা করতাম। যতদিন চাকরি করেছি আমি দেখেছি। সব দায়-দায়িত্ব আমার ছিল। কাজ চলে যাওয়ায় কিছু অসুবিধা চলছিল। তবে দু'দিন ধরে নিখোঁজ থাকায় আমরা মামারবাড়িতে খবর নিয়েছিলাম।
অপর এক ছেলে জানান, মায়ের মাথাটা একটু খারাপ। মাঝে মধ্যেই এরম চলে যান। শিকল বেঁধে তো আটকে রাখা যায় না। যদিও আসল ব্যাপার খতিয়ে দেখছে ভাটপাড়া থানার পুলিস।