Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Family

Fire: ধানবাদে নার্সিংহোমের আগুনে মৃত বাঙালি চিকিৎসকের পরিবার, পোষ্যর দেহও উদ্ধার

মধ্যরাতে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। আগুনের কারণে মৃত্যু (Death) অন্তত পাঁচ জনের। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন দু’জন ডাক্তার। পাশাপাশি একটি পোষ্য কুকুরও পুড়ে মারা গিয়েছে বলে খবর। মর্মান্তিক এই ঘটনা শুক্রবার রাতে ধানবাদ (Dhanbad) ব্যাঙ্ক মোড় এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালের।

জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত চলেছে উদ্ধারকাজ। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। তবে ততক্ষণে কালো ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালের মালিক তথা চিকিৎসক বিকাশ হাজরা, তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক প্রেমা হাজরা এবং পরিচারিকা তারা দেবীর। এছাড়া মারা গিয়েছেন নার্সিং হোমের মালিকের ভাগ্নে সোহান খামারি। মোট ৫ জনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। আর সেই আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক পোষ্যেরও। আগুন লাগার ঘটনায় কয়েক জন আহতও হয়েছেন।

পুলিস সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে হঠাৎই ওই হাসপাতালের স্টোর রুমে আগুন লাগে।  আর হাসপাতালটি বাড়ির একটি অংশ জুড়ে ছিল। ফলে গোটা বাড়িতেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায় ঝাড়খণ্ড পুলিস এবং দমকলবাহিনী। তবে আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত করছে পুলিস।

one year ago
Ambani: আম্বানি পরিবারে বিয়ের মরশুম, চাঁদের হাট অ্যাণ্টিলায়! কে কে আমন্ত্রিত জানুন

অ্যান্টিলিয়ায় আবারও খুশির জোয়ার। মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি (Ananta Ambani) এবং রাধিকা মার্চেন্ট ১৯শে জানুয়ারি বাগদান সেরেছেন। বিশ্বের অন্যতম ধনী শিল্পপতির বাড়ির অনুষ্ঠানে সবসময় বি-টাউনের (Bollywood) সেলিব্রিটিদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অনুষ্ঠানের গ্ল্যামার বাড়িয়েছে বলি তারকাদের সাজ-পোশাক।

নীল রঙের পাঠানি স্যুটে অ্যান্টিলিয়ায় প্রবেশ করেন বলিউডের ভাইজান। সঙ্গে ছিলেন ভাইঝি আলিজে অগ্নিহোত্রী। ছেলে আরিয়ানের সঙ্গে 'পাঠান'-কে এদিন দেখা গিয়েছে কালো স্যুটে। আর স্ত্রী গৌরী পরেছিলেন রুপোলি লেহেঙ্গা। আরিয়ানের পরনে ছিল কালো শার্ট, ট্রাউজার এবং কারুকাজ করা ব্লেজার।

তাক লাগিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন-রণবীর সিং। রাজকীয় সাজে পৌঁছেছিলেন অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের অনুষ্ঠানে। দীপিকার পরনে ছিল গর্জাস লাল রঙের শাড়ি। যার মধ্যে সোনালী কারুকাজ ছিল। আর রণবীরের শরীরে নীল রঙের ইন্দো ওয়েস্টার্ন প্যাটার্নের কুর্তা এবং পাজামা।


বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন নিজের মেয়ে আরাধ্যাকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছন ওই অনুষ্ঠানে। সবুজ সালোয়ারে জাঁকজমকের এই অনুষ্ঠানে লাবণ্য ছড়ান ঐশ্বর্য। আর সাদা এবং রুপোলির কম্বিনেশনে তৈরি সালোয়ার পরেছিল আরাধ্যা। কালো সাফারি স্যুটের সঙ্গে ভারী কাজ করা দোপাট্টা, চোখে শৌখিন চশমা আম্বানীদের অনুষ্ঠানে সাজপোশাকে নিজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখলেন করণ জোহরও।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ, সারা আলি খান, জাহ্নবী কাপুর, খুশি কাপুর-সহ বলিউডের আরও অনেকে।

one year ago
Death: অনটনে আত্মঘাতী! এক পরিবারের ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধারে পুনেতে উঠছে প্রশ্ন

একই পরিবারের ৪ সদস্যের দেহ উদ্ধারে (Deadbody) চাঞ্চল্য ছড়াল পুনেতে (Pune)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুন্ধুওয়ার কেশবনগর এলাকার একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস (Police)। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতরা হলেন দীপক থোটে (৫৫), তাঁর স্ত্রী ইন্দু (৪৫) এবং ওই দম্পতির ২৪ বছর বয়সি পুত্র ও ১৭ বছর বয়সি কন্যা। প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়ে গোটা পরিবার আত্মহত্যা করেছে। তবে এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। পুলিসের এক আধিকারিক বলেছেন, 'ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়নি। আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে সব দিক খতিয়ে দেখছি আমরা।' জানা গিয়েছে, অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে ছিলেন তাঁরা। যার জেরেও আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন। মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

একই পরিবারের ৪ সদস্যের দেহ উদ্ধারে (Deadbody) চাঞ্চল্য ছড়াল পুনেতে (Pune)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুন্ধুওয়ার কেশবনগর এলাকার একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস (Police)। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতরা হলেন দীপক থোটে (৫৫), তাঁর স্ত্রী ইন্দু (৪৫) এবং ওই দম্পতির ২৪ বছর বয়সি পুত্র ও ১৭ বছর বয়সি কন্যা। প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়ে গোটা পরিবার আত্মহত্যা করেছে। তবে এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।

পুলিসের এক আধিকারিক বলেছেন, 'ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়নি। আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে সব দিক খতিয়ে দেখছি আমরা।' জানা গিয়েছে, অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে ছিলেন তাঁরা। যার জেরেও আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন। মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।


one year ago


Sanjay: মা থেকে প্রাক্তন স্ত্রী, ক্যান্সার কেড়েছে অনেক! নিজের কর্কট যন্ত্রণা নিয়ে কী বললেন সঞ্জুবাবা

তাঁর পরিবারের (Dutt Family) একাধিক সদস্যদের বিয়োগের সঙ্গে ক্যান্সার (Cancer) ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। ক্যানসার থাবা বসিয়ে সঞ্জয় দত্তের (Sanjay Dutt) পরিবারে দাগ রেখে গিয়েছে। মা যকৃতের ক্যানসারে মারা গিয়েছেন। মস্তিষ্কের ক্যান্সারে প্রয়াত প্রাক্তন স্ত্রী রিচা শর্মা! এমনকি নিজের যখন ক্যানসার ধরা পড়ে, তখন যথেষ্ট নিস্পৃহ হয়েছিলেন বলিউডের সঞ্জুবাবা। ভেবেছিলেন, এই তো সুযোগ, মৃত্যু এলে আসুক!

২০২০ সালে শমশের ছবির শুটিং চলাকালীন সঞ্জয় জানতে পারেন তাঁর ক্যানসার হয়েছে। একটুও বিচলিত হননি, কাজ করছিলেন চুপচাপ। তারপর ছবির প্রচারে এসে নিজমুখেই জানিয়েছিলেন, মারণরোগ আবার বাসা বেঁধেছিল কিন্তু তিনি পাত্তা দেননি। চিকিৎসকের কাছেও যেতে চাননি। যদিও তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা দত্ত দায়িত্ব নিয়ে সব কিছুর ব্যবস্থা করান। প্রাণে বাঁচেন সঞ্জয়।

সেই সময় করোনা আবহ, লকডাউন। সঞ্জুবাবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট বলছে ক্যানসার। শুনে কিছুক্ষণ থমকে যান তিনি, তারপরই আবার সপ্রতিভ। পরে দফায় দফায় আরও স্বাস্থ্যপরীক্ষা। এক্সরে রিপোর্টে দেখা গেল, ফুসফুসে অর্ধেক জলে ভর্তি। পরিবারের আশা ছিল, হয়তো যক্ষ্মা হয়েছে অভিনেতার। কিন্তু না, পরে জানা গেল ক্যানসারই।

এরপরের গল্প সবারই জানা। মারণ রোগ সেরে ফিরে এসে কেজিএফ-২-র শুটিং। এখন আবার স্বাভাবিক জীবনে বলিউডের মুন্নাভাই।

one year ago
Blast: পেটের টানে বাংলা ছেড়ে হরিয়ানায়, ঘুমন্ত অবস্থায় সিলিন্ডারে ফেটে পানিপথে মৃত গোটা পরিবার

রুটিরুজির টানে ভিনদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন দম্পতি, সঙ্গে ছিল তাঁদের ৪ সন্তান। টাকা রোজগারের আশায় উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুরের জাকিরবস্তি থেকে হরিয়ানা গিয়েছিলেন দম্পতি। সেখানেই এক ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। বৃহস্পতিবার ভোরবেলা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে (Cylinder Blast) মৃত্যু (Death) হল ওই দম্পতি সহ ৪ সন্তানের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার খবরে শোকের ছায়া নেমেছে গ্রামে।

জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতিরা হলেন, মহম্মদ করিম (৪০) এবং আফরোজ বেগম (৩৫)। তাঁরা খাদি বস্ত্র তৈরির কাজ করতেন। সেই সূত্রেই তাঁরা থাকতেন হরিয়ানার পানিপথেরর বিচপারি গ্রামের এক ভাড়াবাড়িতে। ঘটনায় নিহত দুই মেয়ে রেশমা (১২), ইশরাত জাহান (১৭) এবং দুই ছেলে আবদুস (৭), আফরান (৫)। আফরোজ বেগম ছাড়া বাকি সকলেই সেসময় ঘুমোচ্ছিলেন।

আর সেই ঘুমই চিরঘুমের দিকে ঠেলে দিল তাঁদের। পানিপথ পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে রান্না করার সময় আগুনে পুড়ে মারা যান ওই পরিবারের সকলেই। গ্যাস সিলিন্ডার লিক করেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। প্রতিবেশীরা বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে থানায় খবর দেয়।

কান্নায় ভেঙে পড়েছে করিমের বাবা মহম্মদ সুলতান। ছেলে,বউমা, নাতি-নাতনিদের হারিয়ে শোকার্ত গোটা পরিবার। মহম্মদ সুলতান বলেন, 'সংসারের অভাব অনটন ঘোচাতে  বড় ছেলে করিম বাইরে যান। চার নাতি, নাতনি, ছেলে এবং বৌমা মারা গিয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে। কিছু দিন আগে ছোট ছেলের বিয়েতেও এসেছিল তাঁরা। কী ভাবে যে এ সব হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।'

 

one year ago


Death: তাসা-ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে মৃতদেহ সৎকারের আয়োজন! দুর্গাপুরে উল্টোপুরাণ

শোকের আবহে নয় অভিনবত্ব আনতে, রীতিমতো ব্যান্ড পার্টি (Band Party during last rites) নিয়ে সৎকারের আয়োজন। এ যেন এক উল্টোপুরানের অন্য ছবি দুর্গাপুরে (Durgapur Family)। শোকের আবহে নয়, বরং আত্মীয়-স্বজনরা গণেশ পাসোয়ান নামের এক বৃদ্ধর দেহ সৎকার করতে গেলেন ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন  বৃদ্ধ গণেশ। তড়িঘড়ি করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মারা যান অশীতিপর ওই বৃদ্ধ। 

তারপর ওই মৃতদেহের সৎকারের ব্যাপারে উদ্যোগী হয় পরিবার। কিন্তু স্বজন বিয়োগের আবহে একটু অভিনবত্ব আনার চেষ্টা কড়া হয়। আর সে কারণেই ওই বৃদ্ধর সৎকার করতে তাসা ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয় পরিবার। এভাবেই গণেশ পাসোয়ানের দেহ দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। 

প্রবাদ আছে , 'মরেও শান্তি নেই'। দুর্গাপুর ডিভিসি মোড়ের বাসিন্দা গণেশ পাসোয়ান নামের ওই বৃদ্ধর কাছে এই প্রবাদবাক্য একটু অন্য অর্থ বহন করছে। শোকের আবহে নয়, আত্মীয়-স্বজনরা গণেশ পাসোয়ানের সৎকার করলো তাসা ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে। মৃতের পরিবার থেকে জানা গিয়েছে, বাবা আর প্রিয়জন একবার চলে গেলে আর তো ফিরে আসে না, তাই এমন অভিনব আয়োজন। 

one year ago
Hair: চুল প্রতিস্থাপনের পর গায়ে র‍্যাশ, শরীর খারাপ, কিছু বুঝে ওঠার আগেই দিল্লির যুবকের মৃত্যু

আজকাল অল্পবয়সেই মাথার চুল উঠে যাচ্ছে। টাক পড়ে যাচ্ছে যৌবনেই। আর টাকে নতুন করে চুল না গজানোয় চিকিৎসাশাস্ত্রের সাহায্যে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ (Hair Transplant) বা চুল প্রতিস্থাপন করছেন অনেকেই। কিন্তু হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ভুল চিকিৎসকের হাতে পড়লে বা অস্ত্রোপচারে সামান্য ভুলে প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারে। সে ঘটনাই ঘটেছে দিল্লিতে (Delhi)। চুল প্রতিস্থাপন করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন বছর তিরিশের এক যুবক। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম আথার রশিদ। ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস (Police)।

তাঁর পরিবারের অভিযোগ,  চুল প্রতিস্থাপন করার সময় থেকেই নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয় আথারের। আর দিল্লির যে চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে পরিষেবা নিচ্ছিলেন সেখানে পরিকাঠামো সঠিক ছিল না। এমনকি চিকিৎসা পদ্ধতিতেও ছিল ভুল। পরিবারের লোকেরা জানায়, মাথায় টাক পড়ে যাওয়ায় হীনমন্যতায় ভুগছিলেন আথার। এর ফলে চুল প্রতিস্থাপনের পথে হাঁটেন তিনি।

ওই যুবকের মা আসিয়া বেগম বলেন, “পুরো বিষয়টি যতক্ষণে আমাদের নজরে পড়ে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। চুল বসানোর পর থেকে শরীরটা ভাল ছিল না আথারের। লাল র‍্যাশে ভরে গিয়েছিল সারা গা।” উল্লেখ্য, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ওই চিকিৎসক-সহ ওই চিকিৎসাকেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এরপর তদন্তে নেমে পুলিস ৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।

one year ago
Maheshtala: নয় তলা থেকে পড়ে গুরুতর জখম শিশু, 'কোনও সেফটি নেই', ক্ষুব্ধ আবাসিকরা

মহেশতলার (Mahestala) একটি অভিজাত আবাসনে গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানে (Family Gathering) এসে ৯ তলা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত এক শিশু (Child Injured)। মহেশতলার ওই অভিজাত বহুতল আবাসনের F-4 টাওয়ারের ৯ তলায় বৃহস্পতিবার গৃহপ্রবেশে ছিল। বছর আটের শিশুকন্যাটি ঘরের বাইরে খেলতে খেলতে অরক্ষিত ফায়ার হাইড্রেনের মধ্যে দিয়ে গলে একদম নীচে পড়ে যায়। বিকট শব্দে ছুটে আসেন ওই টাওয়ারের সকল আবাসিক এবং নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপরই পরিবারের লোকজন-সহ আবাসিকরা ছুটে এসে খোঁজ শুরু করলে নিচের তলায় ফায়ার হাইড্রেনের মধ্যেই আহত ওই শিশুকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে শিশুকে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে মহেশতলা থানার পুলিস।

জখম শিশু কন্যার পরিবার সূত্রে দাবি, একদিন আগে তাঁরা এই আবাসনে এসেছেন, বৃহস্পতিবার ছিল গৃহপ্রবেশ। অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে ওই শিশু খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করলে পরিবার লোক সম্মতি দেয়, তারপরেই এই ঘটনা। পরিবারের এক সদস্য জানান, আমরা যাতায়াতের পথে ফায়ার হাইড্রেনটি দরজা ভেজানো অবস্থায় দেখেছি। তাই দরজার ওপারে কী আছে, জানতাম না। কোনওকিছুই লেখা ছিল না দরজার গায়ে, আবাসনের কেউ আমাদের সতর্ক করেনি। বৃহস্পতিবার আমার বোন খেলতে খেলতে ওখানে কী আছে দেখি বলে ঢুকতে গিয়েই এই অবস্থা।

এক পড়শি জানান, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। যে জায়গায় দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটা অরক্ষিত ভাবে পড়ে আছে। এমনকি নিচে কোনও সাপোর্ট পর্যন্ত দেওয়া নেই। এই ঘটনার পর আবাসনের নিরাপত্তা এবং মেনটেনেন্সের গাফিলতির অভিযোগে সরব অন্য আবাসিকরা। ওই আবাসন কর্তৃপক্ষের ব্যবহার করা একটি ঘর সিল করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দরজার বাইরে তাঁরা লিখে দেয়, 'নো সেফটি'। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের কাউকে কোনও দরকারে ডাকলে, মেনটেনেন্সের জন্য ডাকলে পাওয়া যায় না। এই ঘর খুলে রেখেছে শুধু ফ্ল্যাট বিক্রি করার জন্য। কিন্তু নিরাপত্তা বলে কিছুই নেই।


দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে দরজা ভেজানো ওই ফায়ার হাইড্রেন। দরজা খুলে শুধু একটা পিচবোর্ড রাখা, সেই পিচবোর্ড সরালেই ফাঁকা একদম নিচ পর্যন্ত।

one year ago


Martyr: বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রথম নারী শহিদ কমলা ভট্টাচার্য (শেষ পর্ব)

সৌমেন সুর: ১৯৬১ সালের ১৯ মে বাংলা ভাষার অমর্যাদা সহ্য করতে না পেরে শিলচর শহরে যারা প্রতিবাদ মুখর হয়ে দাঁড়িয়ে শহিদের মৃত্যুবরণ করে ছিলেন, সেই ১১টি তাজা প্রাণের কথা আমরা ভুলে গিয়েছি। কী এক অজ্ঞাত কারণে ভারতবর্ষে বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার আন্দোলনের প্রথম শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের কেন এত অনীহা!

দ্বিতীয় পর্বের পর থেকে...

আর্তনাদ করে কমলা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ে, কমলার মাথায় গুলি লেগেছে। হাসপাতালে ওকে স্থানান্তরিত করা হয়। পাগলের মতো কমলার মা ছুটে আসেন হাসপাতালে। মৃত কমলাকে দেখে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন সুপ্রভাসিনী দেবী। সেজদি প্রতিভা দেবীর অবস্থা একই। কাছাড় জেলার ডিসি এসেছিলেন পরিবারটিকে আর্থিক সাহায্য করার জন্য। কিন্তু কমলার পরিবার ফিরিয়ে দেন প্রস্তাব। ভট্টাচার্য পরিবারের বড়দি সরকারি সাহায্যের জন্য চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হয়নি।

যাই হোক বাংলা ভাষার মূল স্রোতের কাণ্ডারিরা, পৃথিবীর মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনের প্রথম নারী শহিদ কমলার আত্মত্যাগের যথোচিত সম্মান দেননি। আশা করবো পশ্চিমবাংলা মে মাসকে বাংলা ভাষার মাস বলে চিহ্নিত করবে। নয়তো কলকাতার কোনও রাজপথের নাম ফলকে জ্বলজ্বল করবে পৃথিবীর মাতৃভাষা আন্দোলনের প্রথম নারী শহিদ কমলা ভট্টাচার্য। অবশ্য সবটাই ভাবনা। তবে এই আন্দোলনের ইতিহাস মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।     

2 years ago
Birbhum: মহিলা পুলিস ছাড়াই প্রসূতি মহিলাকে আটক! জামিনে ছাড় পেলেও গর্ভেই মৃত সন্তান

পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিবাদের জের, গর্ভস্থ সন্তানকে হারালেন এক প্রসূতি (pregnant women)। অভিযোগ, মহিলা পুলিস ছাড়াই আটক করা হয় এক প্রসূতিকে। প্রসূতি তাঁর চিকিত্সা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজ ও নথি দেখে জামিন পান। কিন্তু এরপরই গর্ভেই মারা (death) যায় তাঁর সন্তান। বর্তমানে তিনি ভর্তি স্থানীয় হাসপাতালে (hospital)। ঘটনাটি বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ির। 

জানা যায়, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পারিবারিক ও রাজনৈতিক অশান্তি দীর্ঘদিনের। কয়েকদিন আগেই সেই অশান্তি ফের মাথাচাড়া দেয়। অভিযোগ, বাড়ির দুই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্ত পরিবারেরই এক সদস্য। এরপর খবর পেয়ে রামপুরহাট থানার পুলিস এসে পরিবারের সকলকে আটক করে নিয়ে যায়। সেই তালিকাতেই ছিলেন প্রসূতিও। তবে পরিবারের মহিলাদেরকেও আটক করে নিয়ে গিয়েছে পুরুষ পুলিস। ছিল না একজনও মহিলা পুলিস।

এরপর থানায় একদিন থাকার পর সিউড়ি আদালতে তাঁদের পেশ করা হয়। তখন ওই প্রসূতি তাঁর যাবতীয় চিকিত্সার কাগজ দেখিয়ে জামিন পান। কিন্তু বাড়ি ফিরতেই তাঁর প্রচন্ড পেটে যন্ত্রণা হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যায় তাঁর সন্তান। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।

কেন মহিলা পুরুষ ছাড়াই পরিবারের মহিলাদের আটক করা হল? প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। পাশাপাশি আসল দোষীদের শাস্তি দেওয়ার দাবিও করেছে পরিবার। 

2 years ago


Katwa: সুদ-আসল না মেটানোয় বাড়ি গিয়ে 'তাণ্ডব' সুদ কারবারীদের, শিক্ষকের অভিযোগে ধৃত ৪

কিছুদিন ধরেই কাটোয়ার (Katwa) বিভিন্ন এলাকায় চড়া সুদে (High interest) টাকা ধার দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ উঠে আসে। এবার সেই একই অভিযোগ করেন কাটোয়ায় এক শিক্ষক (teacher)। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে কাটোয়া থানার পুলিস (police) গ্রেফতার করে চার সুদ কারবারীকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চড়া সুদের টাকা ধার দিয়ে কখনও বাড়ি গিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালি, কখনও মারধর, আবার কখনও খুনের হুমকি (Threat)। ভয়ে শিক্ষক থানায় দ্বারস্থ হলে তদন্তে নামে কাটোয়া থানার পুলিস। ধৃতদের সোমবারই তোলা হবে কাটোয়া মহকুমা আদালতে।

জানা যায়, কাটোয়ার এক শিক্ষক তাঁর বাবার চিকিৎসার জন্য বছর দেড়েক আগে চড়া সুদে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এরপর থেকেই সেই ঋণের অঙ্ক ক্রমশ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। প্রতি সপ্তাহে তাঁকে সুদ মেটাতে হত। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে ৫ লক্ষ টাকার অধিক প্রায় ১০ লক্ষ টাকা সুদ মেটালেও এখনও আসল টাকা না মেটানোয় সুদে-আসলে সেটা হয়ে গিয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।

এরপরই ওই শিক্ষকের বাড়িতে গত শনিবার রাতে চড়াও হয় সেই সুদের কারবারীরা। তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং খুনেরও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপর রবিবার দুপুরে ওই শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার বিকেলে চারজনকে গ্রেফতার (arrest) করে পুলিস।

প্রসঙ্গত, কেতুগ্রামে গত কয়েকদিন আগে চড়া সুদের ধার নিয়ে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা (suicide) করতে যান। রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। অভিযোগ ওঠে, রেললাইনে সুদ কারবারিরা বেঁধে রেখেছিলেন ওই ব্যক্তিকে। কোনওরকমে বাঁচতে গিয়ে তাঁর একটি পা বাদ হয়ে যায়। যদিও কাটোয়া এসডিপিও কৌশিক বসাক জানান, ওই ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই। মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং এভাবে যদি কেউ সুদ নিয়ে থাকেন, তাহলে থানার দ্বারস্থ হন। থানা সাহায্য করবে।

2 years ago
Rabindranath: রবীন্দ্রনাথের উপনয়নে দুষ্টুমি ও বিশ্বদেবতার দীক্ষা

সৌমেন সুর: ১৮৭৩ সাল, রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন ১১ বছর ৯ মাস। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে সে সময় তাঁর উপনয়নের আয়োজন হয়। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠিক করলেন একসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, সোমেন্দ্রনাথ ও নাতি সত্যপ্রসাদের উপনয়নের ব্যবস্থা। রবীন্দ্রনাথের উপনয়নের সময় পুরোহিত ছিলেন শ্রী আনন্দচন্দ্র বেদান্ত বাগীশ এবং আচার্য ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। পৈতের নিয়ম অনুসারে বিভিন্ন রকম আচার অনুষ্ঠানের পরে গায়ত্রী মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ব্রহ্মচারী 'ভবতি ভিক্ষাং মে দেহি' এই মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমেই মা-বাবা-আত্মীয়-স্বজনের কাছে ভিক্ষা করে সেই ভিক্ষান্ন আচার্য গুরুকে দান করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্রহ্মচারী বাক সংযত হয়ে পরে গায়ত্রী মন্ত্র জপের পর হবিষ্যান্ন গ্রহণ করেন।

উপনয়নের পর গায়ত্রী মন্ত্র জপের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ মনে মনে কোনও এক অসীম শক্তির উৎস সন্ধানে নিজেকে নিয়োজিত করলেন। এই মন্ত্র জপ করার সময় তিনি গ্রহমণ্ডলী এবং ব্রহ্মাণ্ডের বিরাট রূপকে কল্পনায় অনুভব করতেন। উপনয়নের পর তিনদিন নির্জন বাসের নিয়ম। এই তিনদিন ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখতে হয়। কারও মুখ দর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, একমাত্র মা ছাড়া। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, 'তিনজন তেতলার ঘরে তিন দিনের জন্য আবদ্ধ হইলাম। সে আমাদের ভারী মজা লাগিল। পরস্পরের কানের কুণ্ডল ধরিয়া টানাটানি বাঁধাইয়া দিতাম। একটা বায়া ঘরের কোণে পড়িয়াছিল, বারান্দায় দাঁড়াইয়া যখন দেখিতাম নীচের তলা দিয়া কোনও চাকর চলিয়া যাইতেছে-ধপাধপ শব্দে আওয়াজ করিতে থাকিতাম, তাহারা উপরে মুখ তুলিয়াই আমাদিগকে দেখিতে পাইয়া তৎক্ষণাৎ মাথা নিচু করিয়া অপরাধের আশঙ্কায় ছুটিয়া পালাইয়া যাইত।'

উপনয়ন শেষ হওয়ার পর রবীন্দ্রনাথ গায়ত্রী মন্ত্র আবৃত্তি এবং তাঁর অন্তরের উপলব্ধির কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, আবৃত্তির সময় তাঁর চোখ বেয়ে জল পড়ত। কেন পড়ত সেটা বুঝতে পারতেন না। আসল কথা, অন্তরের অন্তঃপুরে যে কাজ চলছে, বুদ্ধির ক্ষেত্রে সব সময় তাঁর খবর এসে পৌছয় না। পরবর্তী জীবনে রবীন্দ্রনাথের নিজের ক্ষেত্রেও এই মুল্যবান তথ্যটি ভীষণভাবে প্রযোজ্য। তিনি জীবন স্মৃতিতে লিখেছেন, 'শান্তিনিকেতনে এসেই আমার জীবনে প্রথম সম্পূর্ণ ছাড়া পেয়েছি বিশ্ব প্রকৃতির মধ্যে। উপনয়নের পরেই আমি এখানে এসেছি, এখানে বিশ্বদেবতার কাছ থেকে পেলাম সেই দীক্ষা।'

2 years ago
Collapse: ঝুলন্ত ব্রিজ দুর্ঘটনায় রাজকোটের সাংসদের পরিবারের ১২ সদস্যর মৃত্যু

রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাতের (Gujarat) মোরবি শহরে সেতু ভেঙে (Bridge Collapse) পড়ে। এই দুর্ঘটনায় এখনো অবধি ১৪০ জনের মৃত্যুসংবাদ পাওয়া গিয়েছে। আহত ১৭৭ জনের বেশি। নিখোঁজ বহু। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। এই দুর্ঘটনায় পরিবারের ১২ জন সদস্যকে হারিয়েছেন  বিজেপি (BJP) সাংসদ মোহনভাই কল্যাণজি কুন্দরিয়ার (MP Mohanbhai kalyanji Kundariya)। যার মধ্যে পাঁচ জন শিশুও রয়েছে।  ঘটনায় শোকস্তব্ধ রাজকোটের শোকসন্তপ্ত সাংসদ। নিজেই এই দুঃসংবাদ জানান সকলকে।

 রাজকোটের বিজেপি সাংসদ কুন্দারিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি এই দুর্ঘটনায় আমার পরিবারের ১২ জন সদস্যকে হারিয়েছি। এদের মধ্যে পাঁচ শিশু। এই ১২ জন আমার বোনের পরিবারের সদস্য ছিলেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেককেই উদ্ধার করা হয়েছে। মাছু নদীতে পড়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে সেসব মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে এবং উদ্ধারকারী নৌকাও ঘটনাস্থলে রয়েছে।’’

অভিযোগ উঠেছে,  যেখানে এই সেতুর ধারণক্ষমতা ছিল ১০০ জন। সেখানে র্ঘটনার সময় ব্রিজের ওপরে ৫০০-৭০০ লোক ছিল বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ।

এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘কী ভাবে এই ঘটনাটি ঘটেছে তা খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত করা হবে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। যাঁরা এই ঘটনার জন্য দায়ী, তাঁদের শাস্তি দেওয়া হবে।’’

প্রসঙ্গত,  ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বায়ুসেনা, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ), ফায়ার ব্রিগেড এবং স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ)-এর দলগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। গোটা রাত চলছিল উদ্ধারকার্য। এনডিআরএফ-এর বেশ কয়েকটি দল ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) দ্বারা এয়ারলিফট করা হয়েছিল এবং উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার জন্য মরবিতে পাঠানো হয়েছিল।

মাছু নদীর উপর নির্মিত এই সেতুর ইতিহাস প্রায় ১৪০ বছরের পুরনো। এই সেতুর কথা বললে, এটি গুজরাতের অন্যতম প্রধান পর্যটন স্থান হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন প্রচুর মানুষ এখানে আসতেন। কারণ এই সেতুটি একপ্রকার ঝুলন্ত ব্রিজ। এবং এটি হুবহু ঋষিকেশের রাম ও লক্ষ্মণের দোলের মতো ছিল। তাই এখানে  ভিড় জমত প্রচুর পর্যটকের। রবিবার এই সেতুতে ৫০০-৭০০ মানুষ একত্রে জড়ো হওয়ায় সেতু ভার সইতে পারেনি। সেতুটি ভেঙ্গে যায়।

2 years ago


Murder: পারিবারিক বিবাদ, আমবাগানে জ্যাঠাকে কুপিয়ে খুনে অভিযুক্ত 'মাদকাসক্ত' ভাইপো

পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করে ভাইপোর এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপে নৃশংসভাবে খুন (murder) জ্যাঠা। নির্মম এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ফুলিয়ার দিব্যডাঙায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার পুলিস (police)।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ওই এলাকার একটি আমবাগানে নিরঞ্জন সরকার নামে ওই ব্যক্তি বসে ছিলেন। এরপর আচমকাই তাঁর ভাইপো ২৭ বছরের বিজয় সরকার একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হন। নিরঞ্জন বাবুর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারতে থাকে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন নিরঞ্জন বাবু। স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখতে পেয়ে পুলিসকে খবর দেয়। ততক্ষণে ভাইপো বিজয় সরকার ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেন বলেই অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জ্যাঠা নিরঞ্জন সরকারের।

যদিও অভিযুক্ত বিজয় সরকারের পরিবারের দাবি, ছেলে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। পারিবারিক কোনওরকম বিবাদ ছিল না তাঁদের। অন্যদিকে, নিহত নিরঞ্জন সরকারের পরিবারের দাবি, বিজয় সরকার বিভিন্ন নেশায় আসক্ত ছিলেন। প্রতিদিনই নেশা করে বাড়িতে আসতেন। আর জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে জ্যাঠার সঙ্গে কথা কাটাকাটি করতেন। তবে অভিযুক্ত ভাইপো বিজয় সরকারের খোঁজ চালাচ্ছে শান্তিপুর থানার পুলিস। এই ঘটনায় এলাকায় এখনও ব্যাপক উত্তেজনা।

2 years ago
Amitabh Bacchan: হ্যাপি বার্থ ডে বিগ-বি! জানুন বলিউড শাহেনশার এক অজানা কাহিনী

৮০-তে পা দিলেন বলিউড (Bollywood) শাহেনশাহ। বিগ-বি-র জন্মদিন (Birthday) বলে কথা। আসমুদ্র হিমাচল থেকে তাঁর জন্য শুভেচ্ছা বার্তা আসবে এটাই স্বাভাবিক। ১১ অক্টোবর জন্মদিনে লাখ লাখ নেটিজেন ও তারকারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এদিন একটি ভিডিও খুব ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) জন্মদিন উপলক্ষে 'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে একটি স্পেশাল এপিসোডের আয়োজন করা হয়। যেখানে হট সিটে দেখা যায় জুনিয়র বচ্চন অর্থাৎ অভিষেক বচ্চন এবং পাশে রয়েছেন অমিতাভ-জায়া জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)। আর মা ও ছেলের প্রশ্নের মুখে পড়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা অমিতাভের।

তার কারণ? জয়া এদিন বললেন, তিনি শুনেছেন কারোর কাজ যদি অমিতাভের পছন্দ হয়, তাহলে সেই শিল্পীকে ফুল এবং নিজের হাতে লেখা চিঠি উপহার দেন। পাশাপাশি এও বলেন, এগুলো সবই শুনেই এসছেন জয়া। কোনওদিন এরকম কিছু তিনি পাননি। স্ত্রীর এই গুরুতর অভিযোগ শুনে কিছুটা অপ্রস্তুতে পড়েন বিগ বি। বলেন, “এটা ঠিক হচ্ছে না।”

অভিষেকও মায়ের সমর্থনে বলেন, “না এ সব বললে চলবে না, দেখো না আর কী কী ফাঁস হয়!” এদিন অনুষ্ঠানে অমিতাভকে আবেগপ্রবণ হতেও দেখা যাবে।

2 years ago