রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে একাধিক মামলা বিচারাধীন কলকাতা হাইকোর্টে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা। ২০১১-র পর থেকে বিপুল সম্পত্তিবৃদ্ধি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে সাধারণ পরিবারের সদস্য বলে দাবি করেন বারবার। কিন্তু বিভিন্ন সরকারি মাধ্যম (পাবলিক ডমেন) যে নথি রয়েছে, সেই নথি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে
২০১১-র পর থেকে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার বিপুল সম্পত্তি বেড়েছে। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিবৃদ্ধির উৎস কী? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়ে আদালতে দরবার করলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উত্থান অনেকের অনুপ্রেরণা। কিন্তু বিশেষ করে ২০১৩-র পর থেকে তাঁর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধির রকেট গতি দেখা গিয়েছে। আর সেই বছরেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে সর্বস্বান্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর এই ঘটনার পর কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, চিটফান্ডের সব টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে লুকোনো রয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় জানা গিয়েছিল তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি টাকা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ নিজেকে সমাজসেবী বলে দাবি করেন।
আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, 'আমার মামলায় দুটি আবেদন করা হয়েছে। প্রথমে যারা সমাজকর্মী বলে দাবি করেন তাঁদের এহেন সম্পত্তিবৃদ্ধি কারণ কী? আয়কর দফতর বিষয়টার তদন্ত করুক, আর দুই ইডি-কে দিয়ে এই বিপুল তহবিলের উৎস সন্ধান করা হোক।' টালির চালায় যারা থাকে, তাঁদের কাছে এত সম্পত্তি আসল কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েই মামলা। আগামি ৬ তারিখ পরবর্তী শুনানি। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানান তরুণজ্যোতিবাবু।
ঠিক কী বলেছেন এই আইনজীবী?
যদিও এই মামলা প্রসঙ্গে এদিন মেয়ো রোডের সভায় মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে তাঁর সুর ছিল যথেষ্ট চড়া। তিনি বলেন, 'আমার সম্পত্তি নিয়ে মামলা এখানে কেন আন্তর্জাতিক কোর্টে হওয়া উচিৎ। এখানে তো বিজেপি যা শিখিয়ে দেবে তাই বলবে।'
শুনুন সেই বক্তব্য:
একই গ্রামে বাকি সকলে পানীয় জল (Water) পেলেও, বঞ্চিত সেই গ্রামেরই পাঁচটি পরিবার (family)। কিন্তু কেন এই দুর্ব্যবহার? অপরাধ একটাই, এই পাঁচটি পরিবার বিজেপি (BJP) সমর্থিত। আর সেই কারণেই পানীয় জল থেকে বঞ্চিত এই পরিবারের সদস্যরা পানীয় জল থেকে। এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল বিধানসভার বেতকুন্ডু অঞ্চলের ইচ্ছাপুর (Icchapur) গ্রামের মানুষেরা।
জানা যায়, এই ইচ্ছাপূর গ্রামের রানা পাড়ার ৫ পরিবারকে পানীয় জল থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অপরাধ তাঁরা বিজেপি সমর্থক, শুধু পানীয় জল না, তাঁরা বঞ্চিত বার্ধক্য ভাতা, আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়া থেকে। তাঁদের পাশের বাড়িতে জল রয়েছে, কিন্তু তাঁরা জল পাচ্ছেনা, প্রায় ১ কিলোমিটার হেঁটে আনতে হয় জল এই বৃদ্ধ বয়সে। তবে এই ঘটনা প্রশাসনকে জানিয়েও হয়নি কোনও লাভ। এমনকি গ্রামের প্রধান থেকে পঞ্চায়েত সব স্তরেই লিখিতভাবে জানানো হয়েছে কিন্তু ফল মেলেনি। শেষমেষ সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন তাঁরা, যাতে দ্রুত এই অবস্থার সুরাহা মেলে। যাতে একটু সুস্থভাবে তাঁরা বাঁচতে পারেন। তবে কবে মিলবে মুক্তি জানেন না কেউ। আদতেও মিলবে? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
জমিতে জল দেওয়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদ। আর যার জেরে বোমা (bomb) নিয়ে চলল হামলা। ঘটনায় গুরুতর আহত (injured) একই পরিবারের মোট ৫ জন সদস্য। সোমবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ (Mursidabad) জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত কুমারষণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্লভপুর গ্রামে ঘটে। আহত অবস্থায় ৫ জনকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (hospital)। তাঁদের মধ্যে দুজন মহিলা ও একজন শিশু রয়েছে।
জানা গিয়েছে, জমিতে সেচের জল দেওয়াকে কেন্দ্র করেই মূলত পারিবারিক বিবাদ তৈরি হয়। হাবিব সেখের পরিবারের সঙ্গে সরফরাজ সেখের পরিবারের সদস্যদের শুরু হয় প্রথমে কথা কাটাকাটি ও এরপর বিবাদ। ঘটনার জেরে হাবিব সেখের পরিবারের ওপর বোমা নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ ওঠে, সারফারাজ সেখ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা হাবিব সেখের বাড়িতে ঢুকে বোমা হামলা চালিয়েছে। ঘটনার জেরে এক শিশু ও দুই মহিলা সহ মোট পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় হাবিব সেখ, দুলাভ সেখ, শাহানা বিবি, আসরাফা বিবি ও এক শিশু আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সকলকেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্তমানে সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কান্দি থানার পুলিস। তবে সঠিক কী কারণে এই বোমা নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিস জানিয়েছে।
বাবা (Father) এবং বড় দাদার (Elder Brother) ষড়যন্ত্রে খুন (Murder) হলেন মেজ ভাই। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভক্তিয়াডাঙ্গি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫-২০ দিন আগে সমীর বালা নামে এক যুবক নিখোঁজ (Missing) হয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু পাঁচদিন আগে ওই এলাকায় ওই পরিবারেরই বাড়ির পাশ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। জানানো হয় চোপড়া থানার পুলিসকে। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায়, পোলট্রির প্রচুর মুরগি সেই স্থানে পোঁতা হয়েছিল। পরিবার সূত্রে জানানো হয়, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে ওই পরিবারের পোলট্রি ফার্মের ৬০০-৭০০ মুরগি মারা যায়। তাই তাঁরা সেখানে মুরগিগুলিকে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন। এরপরেও চলে পুলিসের তদন্ত।
প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর সংগ্রহ করে পুলিস বাবা হরষিত বালা এবং বড় ছেলে খোকন বালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চোপড়া থানায় নিয়ে আসে। সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁরা পুলিসের কাছে স্বীকার করেন, পরিবারের মেজ ছেলে সমীর বালা মদ্যপান করে প্রায়শই জমিজমার জন্য বাবাকে বিরক্ত করতেন। আর এই বিরক্তি থেকে মুক্তি পেতে বাবা এবং তাঁর বড় ছেলে ষড়যন্ত্র করে মেজ ছেলেকে হত্যা করে বাড়ির কিছুটা দূরে মাটিতে পুঁতে দেন। সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক এবং প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, ওই যুবক অববিবাহিত ছিলেন এবং তাঁকে তাঁর পরিবারের লোকজন না বিয়ে দিচ্ছিলেন, না তাঁকে সম্পত্তির কোনও অংশ দিয়েছিলেন। তাই মাঝে মধ্যেই মদ্যপান করে বাড়িতে তাঁর সম্পত্তির হিসাব দাবি করতেন ওই যুবক। আর এর জেরেই বিরক্ত হয়ে বাবা এবং তাঁর বড় ছেলে এই ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হন বলে স্বীকার করেছেন পুলিসের কাছে।
পুলিস মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আর এমন ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার কথা জানামাত্রই ওই গ্রামের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন ভিড় জমাতে শুরু করেন ঘটনাস্থলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিস।
পারিবারিক অশান্তির(domestic violence) জেরে একই পরিবারের ৪ জনকে ধারালো অস্ত্র (sharp weapon) দিয়ে কুপিয়ে খুনের(murder) অভিযোগ হাওড়ায়। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া থানা এলাকার এম সি ঘোষ লেনে। অভিযোগের তিরে এক ভাই দেবরাজ ঘোষ ও ভাইয়ের স্ত্রী পল্লবী ঘোষের বিরুদ্ধে। পুলিস(police) সূত্রে জানানো হয়েছে মৃতরা সম্পর্কে অভিযুক্ত পল্লবী ঘোষের মেজো ভাসুর, ভাসুরের স্ত্রী, মেয়ে এবং শাশুড়ি। মৃতরা হলেন, শ্বাশুড়ি মাধবী ঘোষ (৬০), ভাসুর দেবাশিস ঘোষ ( ৩৬), ভাসুরের স্ত্রী রেখা ঘোষ (৩০), ভাসুরের নাবালিকা মেয়ে ( ১৩)। এই ঘটনার পর থেকে দেবরাজ ঘোষ পলাতক। হাওড়ার সিটি পুলিসের আধিকারিকরা পল্লবী ঘোষকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারও বাঁ হাতে জখম রয়েছে।
এই ঘটনায় গোটা এলাকার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ছুটে যান হাওড়া থানার পুলিস। হাওড়া সিটি পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এবং সিটি পুলিসের(city police) গোয়েন্দা দফতরের আধিকারিকরা। তারা বাড়িতে গিয়ে দেখেন মেঝের উপরে ছড়িয়ে চিত্ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দেহগুলি। দেহ উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত (death)বলে ঘোষণা করেন।
কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু না জানা গেলেও প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে সম্পত্তি(property) নিয়ে অশান্তি চলছিল । মাঝে মধ্যে সেই বিবাদ চরমে উঠত। প্রতিবেশীরা তার মধ্যস্থতাও করেছেন একাধিকবার। দেবরাজের সঙ্গে দেবাশিসের বুধবার সকাল থেকেই অশান্তি হচ্ছিল। দুপুরের পর আবার তা ঠিকও হয়ে যায়। সন্ধ্যার পর আবারও অশান্তি বাড়ে। প্রতিবেশীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়েছিলেন। সেই অশান্তির জেরে এই ৪ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান।
পলাতক দেবরাজ ঘোষের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন হাওড়া সিটি পুলিস। গোটা ঘটনার তদন্তে পুলিস।