নুন আনতে পান্তা ফুরোয় সংসারে। তার উপরে জীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। রবিবারে ছুটির সকালে কয়েক মিনিটের আগুনে পুড়ে ছাই আনন্দপুরে ফর্টিস হাসপাতালের কাছে ইএম বাইপাসের ধারে ঝুপড়ি। প্রথমে আগুন, তারপর একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। মাত্র ১০ মিনিটে ভস্মীভূত গোটা বস্তি। অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছিল দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। তবুও হল না শেষ রক্ষা। সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে নিঃস্ব ঝুপড়ির বাসিন্দারা। তাঁদের জন্য এলাকার একটি মাঠে অস্থায়ী ছাউনিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলরের তরফে। কিন্তু অসহায় মানুষগুলোযে সব হারিয়েছেন এক লহমায়। প্রয়োজনীয় নথিপত্র, সন্তানের পড়াশুনার বই, জমানো অর্থ আজ সবই আগুনের গ্রাসে। আগামী দিনে কীভাবে কাটবে তাদের বুঝে উঠতে পারছেন না কিছুই।
বাঁচার রসদটুকুও কেড়ে নিয়েছে নিয়তি। ছাইয়ের স্তূপে পাগলের মতো তারা খুঁজে চলেছেন প্রয়োজনীয় নথিপত্র। তাদের চোখে মুখে ক্লান্তির সঙ্গে যেন মিশে রয়েছে নতুন করে বাঁচার জেদ। তবে এই দুর্দিনে প্রশাসনের তরফে সাহায্যের আশ্বাস মেলায় আশার আলো দেখছেন নিঃস্ব অসহায় বাসিন্দারা।
১১ বছর আগে এমনই বিপর্যয়ে সম্মুখীন হয়েছিল এই বস্তি।একবছর পরেই পুনর্বাসন মেলার প্রতিশ্রুতি মিলেছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু ১১ বছরে ফেরেনি সুদিন। অস্থায়ী ভাবে রুবি আনন্দপুরে ফর্টিস হাসপাতাল লাগোয়া বস্তিতে মিলেছিল ঠিকানা। আবারও সেই বস্তিতে আগুন। ফের সব খুইয়ে উদ্বাস্তু ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার। কবে হাল ফিরবে তাদের? স্থায়ী আশ্রয়ের অপেক্ষায় এখন শুধু দিন গুজরান।
বাইপাসের ধারে আনন্দপুরের ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। ফর্টিস হাসপাতালের কাছে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান। একের পর এক গ্য়াস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। ইতিমধ্য়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে, আগুনে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি বাড়ি একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রথমে আগুন লাগে, তারপরে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায়ই নয়টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ করেছে ওই এলাকায়। এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।
আগুনে পুড়ে ছাড়খাড় হয়েছে ঝুপড়িবাসীর সর্বস্ব। ছাই হয়ে গিয়েছে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীর অ্য়াডমিট কার্ড। কান্নায় ভেঙে পড়েছে উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার্থী সহ ঝুপড়ি বাসিন্দারা।
সেন্ট্রাল ডেয়ারির গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান। ইতিমধ্যে বিদুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে ওই এলাকায়। বেলগাছিয়ায় মিল্ক কলোনীতে আগুন। সূত্রের খবর, তিন তলায় অফিস, এক তলায় গোডাউন। বিকেল চারটে নাগাদ আগুন লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১২ টি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। ভেঙে পড়েছে বহুতলের চাঙর। এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে খবর। আহতের কোনও খবরও এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বুধবার ভোররাতে আগুন লাগে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার কয়লা ডিপো অঞ্চলের একটি প্লাস্টিক রিসাইকেলিং কারখানায়। আনুমানিক এদিন রাত ২ টো নাগাদ আগুন লাগে ওই কারখানায়। রাত ২:৩০ নাগাদ খবর দেওয়া হয় দমকলবাহিনীকে। মূলত ওই কারখানায় প্লাস্টিক রিসাইকেলিং-এর কাজ করা হত। অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন পৌঁছয় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন দ্বারা আগুন নেভানোর কাজ চললেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে পরবর্তীতে আরও একটি দমকলের ইঞ্জিন আনা হয়। একইসঙ্গে ব্যবহার করা হয় পোর্টেবল পাম্প মেশিন। দমকলের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। তারপরেও বেশ কিছুক্ষণ কুলিং প্রসেস চালিয়ে যান দমকলের আধিকারিকরা। যাতে আর কোনো পকেট ফায়ার থেকে পুনরায় না আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই দিকেই নজর রাখছে দমকলের কর্মীরা। আগুন লাগার পর নিমেষেই সমস্ত কিছু পুড়ে যায় এবং কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। যদিও কোথা থেকে কীভাবে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে নয়া দিল্লির এইমসে। হাসপাতালের টিচিং ব্লকে আগুন লাগে। সেখান থেকে আশেপাশের বেশ কিছু কামরায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিন ভোরে দিল্লির এইমসের টিচিং বিভাগের দ্বিতীয় তলে আগুন লাগে। নিমেষেই সেই আগুন ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালের কর্মী প্রথমে কালো ধোঁয়া দেখতে পান। এরপরই দমকলে খবর দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, এই অগ্নিকাণ্ডে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। জিনিসপত্রের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্কুল পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল কার্তুজ সহ আগ্নেয়াস্ত্র। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার পাথরঘাটা এলাকায়৷ জানা গিয়েছে, স্থানীয় সুদর্শন নগর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর এক পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি দেশি পিস্তল ও কার্তুজ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বংশীহারী থানার পুলিস। বুধবার ওই পড়ুয়াকে জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয়।
জানা গিয়েছে, ওই স্কুল পড়ুয়া নবম শ্রেণির ছাত্র। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার স্কুলের তরফ থেকে বই বিতরণ করা হয়েছিল। সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়। তবে কী কারণে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে এসেছিল ওই পড়ুয়া তা নিয়ে দ্বন্ধে সহপাঠী থেকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
যদিও এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বংশীহারী থানার পুলিস। কোথা থেকে ওই স্কুল পড়ুয়া আগ্নেয়াস্ত্র পেল, তা নিয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি এর পিছনে কোনো চক্র রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
হাওড়ার একটি পেপারমিলে ভয়াবহ আগুন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ আগুন লাগে হাওড়া রানিহাটি এলাকার ওই পেপার মিলের কারখানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলের অধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, পেপার সহ অন্যান্য দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কী কারণে বা কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও অস্পষ্ট। দমকল কর্মীদের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে। কাগজ থাকায় আগুন খুবই তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগুন নেভানোর পর কোথা থেকে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
শহর কলকাতায় ফের বিধ্বংসী আগুন। ১৮১ এজেসি বোস রোডের একটি বাড়িতে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৮ টি ইঞ্জিন। অগ্নিকাণ্ডের জেরে বাড়ির মধ্যে আটকে পড়েছে বাড়ির সদস্যরা। দমকল কর্মীরা মই দিয়ে উপরে উঠে তাঁদের উদ্ধার করছে। প্রাথমিক অনুমান, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন ধরে যায়।
জানা গিয়েছে, চামড়ার ব্যাগের কারখানা ছিল ওই বাড়িতে। সেখানে দাহ্য বস্তুও মজুত ছিল। হাইড্রোলিক ল্যাডার নিয়ে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেছিল দমকলকর্মীরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চলছে।
মিষ্টির দোকানে ঢুকে চলল এলোপাথারি গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত একজন। অভিযোগ, মিষ্টির স্বাদ পছন্দ হয়নি বলে মিষ্টির দোকানের মালিককে ধরে মারধর এবং আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পর পর ৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এমনকি মিষ্টির দোকানে থাকা সিসিটিভি ক্য়ামেরা পর্যন্ত ভাঙচুর করা হয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটে। ঘটনার পর থেকে থমথমে হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা।
জানা গিয়েছে, আহত ব্য়ক্তির নাম নবীন কুমার দাস (৩০)। বর্তমানে আহত ওই ব্য়ক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতেই অপারেশন করে পেট থেকে গুলি বার করেছে চিকিৎসক।যদিও এখন আপাতত আহত ওই ব্য়ক্তি সুস্থ আছে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও পুলিস এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে অভিযুক্তদের খোঁজের পাশাপাশি এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। কোনও কারণ ছাড়াই কথায় কথায় গুলি চালানোর ব্য়াপারটা এখন অনেকের কাছে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। যার সমাজে দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ প্রায়ই নজরে পড়ে। কিন্তু দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকলে অসহায় হয়ে পড়বে সাধারণ মানুষ। কারণ সমাজের এইসকল ঘটনার জেরেই আজ আতঙ্কিত জনসমাজ।
ফের আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার তিন দুষ্কৃতী। সোমবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে কল্যাণী থানার পুলিস। তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে দেশি রিভলবার, কার্তুজ ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার, ধৃতদের কল্যাণী মহকুমা আদালতে তোলা হয়। যদিও ধৃত ওই তিনজনের নাম জানা যায়নি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে কল্যাণী থানার পুলিস। এরপর ওই তিন অভিযুক্তকে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আটক করে গ্রেফতার করা হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিএসপি জাবেদ হোসেন জানান, ধৃতদের বাড়ি রানাঘাট এলাকায়। ওই তিন অভিযুক্তের কথাবার্তা শুনে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় পুলিসের জেরায় তাদের কাছ থেকে দেশি রিভলবার, কার্তুজ ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, পুজোর আগে থেকে লাগাতার অস্ত্র উদ্ধার হয়ে চলেছে বিধানচন্দ্র রায়ে শহর কল্যাণী থেকে। তবু এখনও পর্যন্ত অপরাধমূলক কাজ খামতি নেই কল্যাণী নগরে।
সারা বছরের সঞ্চয় নিমেষে শেষ। কৃষকের সারা বছরের মুখের খাবার কেড়ে নিল দুষ্কৃতীরা। প্রায় ৫ বিঘা জমির ধান কেটে ঝাড়াইয়ের আগে শুকিয়ে নেওয়ার জন্য আঁটিগুলি স্তূপ করে জমিতেই রেখেছিলেন আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেংকান্দি পূর্ব পাড়ার তারক চন্দ্র রায়। রবিবার ভোরে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সেই ধানের আঁটিগুলি। কেউ পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়েছিল বলে সন্দেহ তারক চন্দ্র রায়ের।
তারক চন্দ্র রায় জানান, এদিন ভোরে তিনি খবর পেয়ে জমিতে গিয়ে দেখেন দাউদাউ করে ধানের আঁটিগুলি জ্বলছে। এরপর খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফালাকাটা দমকলকেন্দ্রের একটি ইঞ্জিন। অনেক চেষ্টা করার পর আগুন আয়ত্তে এলেও অবশিষ্ট রইল না ধানের আঁটি। পুড়ে ছাই হয়ে গেল প্রায় লাখ টাকার ধান। তারপর ঘটনাস্থলে জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিস এসে জমির নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।
নারদা মামলায় (Narada Case) আদালতে হাজিরা দিলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee), কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। নারদা মামলায় আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, বৃহস্পতিবার নারদা মামলায় হাজিরা দেওয়ার দিন ছিল। সেই মতো এদিন সকালেই আদালতে পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজিরা দিতে এসেই তিনজনকেই একই কথা বলতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে সিবিআই অভিযান নিয়েও তিন জনই মন্তব্য করেন ও জানান যে, সবের পিছনেই রয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী অনিন্দ্য কিশোর রাউত দাবি করেন, 'নারদা মামলায় ববি হাকিমের কোনও যোগ নেই। মুকুল রায় মির্জা কে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এত বছর ধরে মামলা চলছে কোনও সঠিক রিপোর্ট নেই। সরকারি আইনজীবীরা লিখিতভাবে জমা দিন, আমরা রিপোর্ট জানাব।' ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৩ ফেব্রুয়ারি।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের (Visakhapatnam) একটি বন্দরে বিধ্বংসী আগুন। মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই অন্তত ৪০টি নৌকা। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে হতাহতের খবর নেই। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান ছিল, নৌকার মধ্যে থাকা সিলিন্ডার ফেটেই এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিস সূত্রের খবর, ঘটনায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ঠিক কীভাবে নৌকাগুলোতে আগুন লেগেছে, তা তদন্ত করছে পুলিস।
সূত্রের খবর, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশাখাপত্তনমের এক বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি নৌকা বিস্ফোরণের শব্দ হয়। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পর পর নৌকাগুলিকে গ্রাস করে আগুনের লেলিহান শিখা। সোমবার সকালেও বিশাখাপত্তনমের মৎস্য বন্দরের শ্রীহীন ছবি। চারপাশে পড়ে রয়েছে পোড়া সামগ্রী। চোখের সামনে এভাবে নৌকাগুলি ভস্মীভূত হতে দেখে মাথায় হাত মৎস্যজীবীদের।
পুলিস সুপার আনন্দ রেড্ডি জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশাখাপত্তনম বন্দরে আগুন লাগে। নৌকায় থাকা জ্বালানি ট্যাঙ্ক ও সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ হতে পারে। সেই থেকেই হয়তো এই বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এখনও এই অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণ জানা যায়নি। তবে মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, কেউ ইচ্ছা করেই নৌকায় আগুন লাগিয়ে ক্ষতি করেছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গতসপ্তাহে জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ গোটা রাজ্যে। তৃণমূল নেতা খুনের পর তাঁর অনুগামীরা প্রতিশোধ স্পৃহায় অভিযোগ এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করে। পাশাপাশি ওই অভিযুক্তের এলাকায় বাড়ি-ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সেসময় বিশাল পুলিশ বাহিনীর সাহায্যে কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ৩টি মামলা শুরু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার তিন দিন পর তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন নস্করকে খুনে অভিযুক্ত হিসেবে নাম থাকা সিপিএম নেতা আনিসুর রহমান লস্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে সিপিআইএম সমর্থক পরিবারের বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় পুলিশের হাতে তিন। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে আমানুল্লাহ জামাদার, নজরুল মন্ডল ও আকবর ঢালি নামে এই তিন ব্যক্তিকে দোলুয়াখাকি গ্রামে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে জয়নগর থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
গত সোমবার দিওয়ালির দিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বামনগাছি পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর। সেসময় তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি চালান দুষ্কৃতীরা। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন সইফুদ্দিন। তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছাড়াও এলাকার সংগঠনের অন্যতম শক্তিশালী নেতা ছিলেন সইফুদ্দিন। তাঁর স্ত্রী এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁকে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে দুজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় একজনের। অন্য অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা খুনে সিপিআইএম প্রার্থী জড়িয়ে থাকার বিষয়টি সামনে আসতেই প্রতিহিংসায় দুষ্কৃতীরা দোলুইখাঁকি গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দলুইখাঁকি গ্রামে মূলত সিপিআইএম সমর্থকদের বাস। খুনের ঘটনায় এই নিয়ে দুজন গ্রেফতার হলেও বাড়িতে আগুন ও গ্রামে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় গতকাল অবধি দোষীদের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। এবার অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার ৩।
উৎসবের মরশুমে শহর কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড। এবারে আগুন লাগল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি ডিপার্টমেন্টের একটি ল্যাবরেটরিতে বিকেল সাড়ে ৫:৩০ টা নাগাদ আগুন লাগে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে দমকল। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়াল।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ১ নম্বর গেটের কাছে এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের চারতলায় এইচআইভি চিকিৎসার আউটডোরে আগুন দেখা যায়। আগুন লাগার পরই ফায়ার অ্যালার্ম বাজে ও তারপরই আগুন লাগার কথা জানতে পারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। হতাহতের কোনও খবর নেই এবং যে মুহূর্তে আগুন লাগে সেই সময় সেই বিভাগে কেউ উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে আগুন লেগেছে, তা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই জানা যাবে।
দমকলের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়েছে, শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগে থাকতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগুন লাগার পর হাসপাতাল পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। তবে কীভাবে লাগল এই আগুন, তার তদন্তে কলকাতা পুলিসের উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়াল।