ফের উপত্যকায় জঙ্গি-নিধন অভিযানে সেনাবাহিনী। এবার গুলির লড়াইয়ে কাঁপল কাশ্মীরের (Kashmir) শোপিয়ান অঞ্চল। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে (Encounter) মৃত্যু হয় ২ জঙ্গির। সেনা সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গিরা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
কাশ্মীর পুলিস সূত্রে খবর, জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর গোপন সূত্রে পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানের জেলার আলশিপোরা অঞ্চলে অভিযান চালায় সেনা ও পুলিসের যৌথ বাহিনী। জঙ্গিদের নিকেশ করতে শুরু হয় এনকাউন্টার। তাতেই মিলল সাফল্য। মঙ্গলবার যৌথবাহিনীর গুলিতে খতম দুই লস্কর জঙ্গি। নিহতদের নাম মরিফাত মকবুল, জাজিম ফারুক ওরফে আব্রার।
কাশ্মীরের এক শীর্ষ পুলিস কর্তা বিজয় কুমার জানিয়েছেন, মৃত আব্রার কাশ্মীরি পণ্ডিত সঞ্জয় শর্মা খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় নিজের বাড়ির সামনে খুন হন সঞ্জয়। গত মাস থেকে দক্ষিণ কাশ্মীরের ৩ জেলার ৭টি অঞ্চলে এই খুনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে তল্লাশি শুরু করে স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।
চলন্ত ট্রেনে মহিলা কনস্টেবলকে আক্রমণ। অভিযুক্তকে এনকাউন্টার (Encounter) করে নিকেশ করল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিস (Police)। অভিযুক্তের দুই সঙ্গী এখনও চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, গত ৩০ শে অগাস্ট সরযূ এক্সপ্রেসে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হয়েছিল ওই মহিলা পুলিস কর্মীর দেহ। গুরুতর অবস্থায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। অভিযুক্তের খোঁজ পেয়েই এনকাউন্টার করে পুলিস।
উত্তরপ্রদেশ পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা কনস্টেবলকে আক্রমণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম আনিস। শুক্রবার সকালে পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে আনিস ও তার দুই সঙ্গী। পুলিসের গুলি লেগে গুরুতর আহত হন আনিস। পরে তার মৃত্যু হয়। আনিসের দুই সঙ্গী আজাদ খান ও বিশ্বম্ভর দয়ালও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এক কর্মী রতন শর্মাও আহত হয়েছেন এনকাউন্টার চলাকালীন।
প্রসঙ্গত, ৩০ অগাস্ট অযোধ্যা স্টেশনে সরযূ এক্সপ্রেসের কামরা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক মহিলা কনস্টেবলকে। ধারা্লো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মুখ কোপানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে মারধর করে ভেঙে দেওয়া হয় মাথার খুলিও। গুরুতর অবস্থায় ওই পুলিসকর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও লখনউয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দু'বার সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। কুপওয়ারার পর এবারে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পুঞ্চে ফের এক জঙ্গিকে (Terrorist) নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের (Poonch) কাছে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দেয় সেনা। এরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। অবশেষে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় এক জঙ্গি ও আহত হয়েছে অন্য এক জঙ্গি। নিহত জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রাইফেল, ম্যাগাজিন, পিস্তল ইত্যাদি।
সেনা সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চের দেগওয়ার সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল জঙ্গিদের একটি দল। যার ইঙ্গিত পেতেই সেনা জওয়ানরা তল্লাশি শুরু করে গোটা এলাকা ঘিরে। এরপরই পাক জঙ্গিদের দেখতে পেয়ে তাদের বাধা দেয়। কিন্তু জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করলে এরপর সেনা জওয়ানরাও তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর গুলির লড়াইতে নিহত হয় এক জঙ্গি। অন্য একজন আহত হয়। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা বাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীরের যৌথ অভিযানে জঙ্গি নিকেশ করা হয়েছে। ওই এলাকায় আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, সে বিষয়ে জোর খোঁজ শুরু করেছে সেনা বাহিনী।
সূত্রের খবর, নিহত জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হলেও অন্য এক জঙ্গিকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে গুলি করার পরেই সে নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে পালাতে থাকে। আরও জান গিয়েছে, নিহত জঙ্গির কাছ একে ৪৭ রাইফেল, ম্যাগাজিন, ১৫ রাউন্ড একে ৪৭ গুলি, ৫টি ৯ এমএম পিস্তল, ১টি ১৫ এমএমের পিস্তল ও প্রচুর বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখ্য,স্বাধীনতা দিবসের আগে ভারতে এক বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করছে পাক সংগঠনের জঙ্গিরা, এমনটাই সূত্রের খবর। ফলে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আবার রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই শুরু হয়। সূত্রের খবর, গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন তিন সেনা জওয়ান। তবে সেনাবাহিনী জঙ্গিদের ঘিরে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এখনও চলছে গুলির লড়াই। নিরাপত্তাকর্মীরা গোপন সূত্রে খবর পান, কুলগামের হালান বনাঞ্চল এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই সেনাবাহিনী, পুলিস যৌথ অভিযান শুরু করে।
বেগতিক বুঝে জঙ্গিরা নিরাপত্তাবাহিনীর উপর গুলি চালাতে শুরু করে। প্রস্তুত ছিল সেনাও। পাল্টা জবাব দিতে থাকে। তখনই জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন তিন সেনা জওয়ান। ওই এলাকায় সশস্ত্র জঙ্গিদের বাগে আনতে এখনও অভিযান চালানো হচ্ছে বলে সেনা সূত্রে খবর।
ভারতীয় সেনার তরফে একটি টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে, ‘‘কুলগামের হালানের জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। গুলির লড়াইয়ে তিন জন কর্মী গুরুতর জখম হয়ে শহিদ হন। এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে।’’ প্রয়োজনে আরো সেনা বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে সেনার তরফে।
কুপওয়ারে এনকাউন্টার (Encounter)। ঘটনায় নিহত ২ জঙ্গি। উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ার জেলার মাচিল সেক্টরের পিনচাদ এলাকার ঘটনা। তল্লাশি অভিযানে গিয়ে জঙ্গি (Militant) ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। ঘটনায় দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনা।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পায় জঙ্গিদের উপস্থিতি রয়েছে ওই এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিস ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ দল ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। তিনি আরও বলেন, সেনা বাহিনীর যৌথ দল সন্দেহভাজন স্থানের দিকে তল্লাশি করার সঙ্গে সঙ্গেই জঙ্গিরা ওই সেনা দলটির উপর গুলি চালায়। তারই প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছিল এনকাউন্টারের মধ্যমে। অভিযান চলাকালীন দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে।
ফের সীমান্তের জঙ্গি-সেনার মধ্যে চলছে গুলির (Encounter) লড়াই। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) পুলওয়ামায় (Pulwama) জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টার শুরু হয়। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিস। সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গি দমন অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার মিত্রিগ্রাম এলাকায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এলাকাজুড়ে তল্লাশি শুরু করে।
সেসময় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গে সেনা জওয়ানরাও পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করেন। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া অবধি গুলির লড়াই চলছে। এর আগেও বহুবার উপত্যকায় সেনা-জঙ্গির এনকাউন্টারের মতো ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, ওই এলাকায় থাকা বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। যতক্ষণ না পুলিস নির্দেশ দেবে ততক্ষণ নিরাপত্তার জন্য বাড়ির মধ্যেই থাকার কথা জানিয়েছে পুলিস।
উপত্যকায় ফের বড়সড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর। নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে (Encounter) খতম এক জঙ্গি। কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় যুক্ত ছিল মৃত সন্ত্রাসবাদী। এমনটাই সেনা সূত্রে খবর। মঙ্গলবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) অবন্তিপোরা এলাকার এই ঘটনায় গোপন সূত্রে খবর পায় সেনাবাহিনী। একটি বাড়িতে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে, এরপরই তল্লাশি অভিযান চালায় বাহিনী। জওয়ানদের দেখে জঙ্গিরা গুলি ছুড়তে থাকে অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদী। পালটা জবাব দেন জওয়ানরাও।
টানা গোলাগুলির লড়াইয়ের শেষে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতেই নিকেশ হয় ওই জঙ্গি। পাল্টা আহত হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর দুই জওয়ান। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে একটি হাসপাতালে। গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ওই এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে যে, রবিবার কাশ্মীরি পন্ডিত সঞ্জয় শর্মাকে হত্যার জন্য দায়ী সন্ত্রাসীকে মঙ্গলবার সকালে আওয়ান্তিপোরা এনকাউন্টারে নিকেশ করা হয়েছে। নিহত সন্ত্রাসীকে পুলওয়ামার আকিব মুস্তাক ভাট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সে প্রথমে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের হয়ে কাজ করত। কিন্তু বর্তমানে সে TRF-এর সঙ্গে ছিল।
উল্লেখ্য, গত বছর সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের উপর প্রায় ৩০টি হামলা চালিয়েছিল। তিনজন কাশ্মীরি পন্ডিত, রাজস্থানের একজন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, জম্মুর একজন মহিলা শিক্ষক এবং আটজন পরিযায়ী শ্রমিক-সহ ১৮ জন নিহত হয়েছিল বলে খবর।
বিএসপি বিধায়ক রাজু পল হত্যাকাণ্ডের মূল সাক্ষীকে খুনে অভিযুক্ত ছিল আরবাজ নামে এক দুষ্কৃতী। সেই অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে এনকাউন্টারে ঝাঁঝরা করলো উত্তরপ্রদেশ পুলিস। প্রয়াগরাজ একদা এলাহাবাদের ধুমনগঞ্জ এলাকার নেহরু পার্কে হওয়া এই এনকাউন্টারে সাক্ষী খুনে ওই অভিযুক্ত নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন।
প্রয়াগরাজ পুলিসের দাবি, 'পাল্টা আরবাজের গুলিতে রাজেশ মৌর্য নামে এক পুলিস ইনস্পেক্টর জখম হয়েছেন।' উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এক কর্তা বলেন, 'শুক্রবার উমেশ খুনে জড়িত ছিলেন আরবাজ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায় পুলিস। সে সময় আরবাজ গুলি চালানোয়, পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল পুলিস। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরবাজকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা আরবাজকে মৃত ঘোষণা করেন।'
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) বিধায়ক রাজু পল খুন হয়েছিলেন। এই খুনে অভিযোগ ওঠে কুখ্যাত দুষ্কৃতী তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে। সেই মামলার সাক্ষী ছিলেন রাজুর বন্ধু উমেশ পল। গত কয়েক বছরে একাধিক বার আক্রান্ত হয়েছিলেন উমেশ। কিন্তু এবার আর শেষরক্ষা হয়নি।
ফের জঙ্গি দমনে সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সিধরা এলাকায় শুরু হয় গুলির (Encounter) লড়াই। জঙ্গিরা ওই এলাকায় গা-ঢাকা দিয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর ওই এলাকায় অভিযান চালাতেই সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। সেনার গুলিতে নিহত হয় ৩ জঙ্গি (Terrorist)।
একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সিধরা এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু করেছিল। সন্দেহজনক স্থানে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা বাহিনীর উপর গুলি চালায়। এরপর পাল্টা গুলি চালায় সেনারা। এনকাউন্টারে তিন জঙ্গি খতম হয়।
জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। জঙ্গিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। তারা কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য ছিল তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে গত ২৪ ডিসেম্বর উরি থেকেও প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কাশ্মীরের শোপিয়ান এলাকায় তিন লস্কর জঙ্গিকে খতম করেছিল কাশ্মীর পুলিস। জানা যায়, এলাকায় নজরদারি চালানোর সময়ে আচমকাই পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পালটা আক্রমণেই মৃত্যু হয় তিন জঙ্গির।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের (Kashmir) শোপিয়ান (Shopian)জেলার জৈনপোরার মুঞ্জ মার্গ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের বন্দুকযুদ্ধ (Encounter) হয়। পুলিস সূত্রে খবর, এই সংঘর্ষে তিন লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) (LeT terrorists) সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এই সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
জিএনএস-এ পৌছানো রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ১আরআর এবং ১৭৮ সিআরপিএফ-এর একটি যৌথ দল মুঞ্জ মার্গে অভিযান শুরু করে। বাহিনীর যৌথ দল সন্দেহভাজন স্থানের দিকে গেলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর শুরু হয় গুলির লড়াই।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে দুই সন্ত্রাসীকে শোপিয়ানের লতিফ লোন এবং অনন্তনাগের উমর নাজির হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, লতিফ লোন একজন কাশ্মীরি পন্ডিত পুরাণ কৃষ্ণ ভাটের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। আর উমর নাজির নেপালের তিল বাহাদুর থাপা হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।
পুলিস সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ৪৭ রাইফেল ও দুটি পিস্তল উদ্ধার করেছে। কাশ্মীর জোন পুলিস একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছ, "নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন এলইটি-এর সঙ্গে জড়িত ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।"
শনিবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় পুলিস এবং সিআরপিএফের (CRPF) যৌথবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই। এনকাউন্টারে (encounter) এক মহিলা-সহ তিন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে জানান এক পুলিসকর্তা।
বস্তার রেঞ্জের আইজি পি সুন্দররাজ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দল মাওবাদী বিরোধী অভিযানে নামে। সকাল ৭.৩০টার দিকে গুলির লড়াই শুরু হয়। রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে মিরতুর থানার পোমরার জঙ্গলে চলে এই গুলির লড়াই।
ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিস ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর কর্মীরা অভিযানে নামে। মাওবাদীদের বিভাগীয় কমিটির সদস্য মোহন কাদতি এবং সুমিত্রার উপস্থিতির কথা জানতে পেরেছিল বাহিনী। গুলির লড়াইয়ে তিন সঙ্গীর মৃত্যুর পর তাঁদের দেহ ফেলে রেখেই অন্যেরা পালিয়ে যায়। সুন্দররাজ জানিয়েছেন, গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী।