একটি দোকানে ঢুকে কিছু বিস্কুট এবং মিষ্টি খেয়ে, আবার কিছু খাবার শুঁড়ের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একটি হাতি। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গুয়াহাটির (Assam) সাতগাঁও এলাকার একটি খাবারের দোকানে। ধীরে সুস্থে ওই দোকানে ঢুকে পড়েছিল হাতি (Elephant)। হাতিটিকে দোকানে ঢুকতে দেখে আস্তে আস্তে ভয়ে সরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে লোকজন দেখেও পিছিয়ে পড়ছে না হাতিটি। ঠিক এমনই একটি ভিডিও (Viral Video) ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
An #elephant came out of Amchang Wildlife Sanctuary to have sweets at a local shop in the Satgaon area of #Guwahati. #Viralvideo pic.twitter.com/uskNHgzjK7
— Zaitra (@Zaitra6) June 13, 2023
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, হাতিটি দোকানে ঢুকে প্রথমে বেশ কিছু মিষ্টি খায়। তার পর বিস্কুট। হাতিটি যখন একের পর এক মিষ্টি মুখে তুলে নিচ্ছিল, তখন দোকান মালিককে একটি কাগজে আগুন জ্বালিয়ে হাতিটিতে তাড়ানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। তবে হাতিটি সেদিকে নজর না দিয়ে নিজের খিদে মেটানোর চেষ্টা করছিল, এমনই দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে।
কয়েকটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, হাতিটি লোকালয়ে ঢুকেও কারোর কোনও ক্ষতি করেনি। বরং সে নিজের মতো খাবার খেয়ে আবার জঙ্গলেই ফিরে গিয়েছে।
ফের বুনো দাঁতালের আক্রমণে (Elephant Attack) মৃত্যু (Death) হল বন্ধ চা বাগানের এক শ্রমিকের। রবিবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট থানার অন্তর্গত দেবপাড়া চা বাগানে। খবর পেয়ে রাতেই বন দফতরের কর্মীরা ও বানারহাট থানার পুলিস (Police) এসে দেহটি উদ্ধার করে। সোমবার ময়না তদন্তের জন্য দেহটি জলপাইগুড়ি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাকে ঘিরে হাতির আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত শ্রমিকের নাম বিক্রম মুণ্ডা (৫১)। দেবপাড়া চা বাগানের সুখিয়া লাইনের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে নিজের ভাইয়ের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে আসার সময় রাস্তায় হাতিটি বিক্রমকে আক্রমণ করে। হাতির আক্রমণের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যাক্তির। মৃতের আত্মীয় এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জঙ্গল লাগোয়া এই এলাকায় হাতির হানা নিত্যদিনের ঘটনা। কিন্তু তারপরেও গ্রামীণ রাস্তায় নেই কোনও পথবাতির ব্যবস্থা। রাস্তায় আলো থাকলে এই ঘটনা ঘটত না, দাবি স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, হাতিটি রাস্তার ধারে অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল। তখনই ওই ব্যক্তি হাতিটিকে দেখতে না পেয়ে হেঁটে যায়। পাশ দিয়ে আসার সময়ই হাতিটি তাঁকে আক্রমণ করে।
তবে এই ঘটনায় বন দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি নিয়ম মেনে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ফের হাতির (Elephant) তাণ্ডবে (Attack) ভাঙল ঘর! অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচল ওই ঘরে থাকা সদস্যরা। নকশালবাড়ির (Naxalbari) মনিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটো মনিরাম জোতের ঘটনা। এই হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান।
জানা গিয়েছে, কলাবাড়ির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল হাতিটি। তারপরেই চালায় ব্যাপক তাণ্ডব। লোকালয়ে খাবারের খোঁজে চারিদিক তছনছ করে দেয় হাতিটি। এলাকায় চাষের জমিতে ক্ষয়ক্ষতি করার পাশাপাশি একটি ঘরের ভিতর ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যায় হাতিটি। ওই বাড়ির টিনের চাল ভাঙার পাশাপাশি আসবাবপত্রও ভাঙচুর করে হাতিটি। তবে হাতির শব্দ পেয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পালিয়ে যান ওই বাড়ির সব সদস্যরা।
তবে এই তাণ্ডবের জেরে মাথায় হাত পড়েছে ওই বাড়ির সদস্য সহ এলাকাবাসীদের।
দেশের একাধিক জায়গায় একাধিকবার সম্মানিত হওয়ার পর এবারে মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh dhoni) সংবর্ধনা জানালেন দ্য এলিফেন্ট হুইসপারার্স-এর (The Elephant Whisperers) বোমান (Bomman) ও বেলিকে (Belli)। 'দ্য এলিফেন্ট হুইসপারার্স' সেরার তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে অস্কারের মঞ্চে। স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রে বিভাগে অস্কার জিতেছে এই ডকুমেন্টরি। ভারতীয় সিনেমায় এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এই ছবি। এই প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্রে বিভাগে কোনও ভারতীয় সিনেমা অস্কার জিতেছে। ফলে এটি অস্কার জেতার পর সারা বিশ্বজুড়ে শুভেচ্ছা বার্তা এসেছে। এর এবারে দ্য এলিফেন্ট হুইসপারার্স-এর মাহুত দম্পতিকে সংবর্ধিত করলেন ভারতীয় ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি। সিএসকে অর্থাৎ চেন্নাই সুপার কিং-এর টিম তাঁদের সম্মানিত করেছেন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ৯ মে চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই পুরো সিএসকে টিম বাস্তব জীবনের হিরো বোমান ও বেলিকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। এর পাশাপাশি মহেন্দ্র সিং ধোনি নাম লেখা সিএসকে-এর জার্সি বোমান ও বেলিকে উপহার দিয়েছেন। বোমান ও বেলির পাশাপাশি ডকুমেন্টরির পরিচালক কার্তিকি গনসালভেসকেও সম্মানিত করেছেন তাঁরা। আরও জানা গিয়েছে, চেন্নাই সুপার কিং টিম বোমান ও বেলিকে বিশেষভাবে সংবর্ধনা জানাতে আজও এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় মৃত্যু বেড়েই চলেছে। হাতির (Elephant) দল পিষে (crushed) দিল একই পরিবারের তিন সদস্যকে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) লাতেহার জেলায়। ঘুমের মধ্যে থাকাকালীনই মৃত্যু (Death) হয়েছে তাঁদের। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করে। তিন জনের দেহ ময়না তদন্তের জন্য লাতেহার হাসপাতালে পাঠায় পুলিস।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্বামী-স্ত্রী সহ এক তিন বছরেরে মেয়ের। মৃত স্বামী-স্ত্রীর নাম ফানু ভুঁইয়া (৩০), ববিতা দেবী (২৫)। গাড়োয়া জেলা থেকে কাজ করতে এসেছিল ওই শ্রমিক পরিবার। মালহান পঞ্চায়েতের একটি ইটভাটায় কাজ করতেন ফানু ভুঁইয়া। তাই ওই ইটভাটা এলাকার কাছাকাছিতেই থাকতেন তাঁরা।
লাতেহার ডিভিশনের বন আধিকারিক রৌশন কুমার জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ১৮ টি হাতির একটি দল। আর এই নিয়ে সতর্কও করা হয়েছিল এলাকাবাসীদের। তিনি আরও বলেন, রাত দেড়টা নাগাদ ইটভাটা এলাকায় ঢুকে পড়েছিল ওই হাতির দলটি। সেই সময় সবাই ঘুমিয়ে পড়ায় কেউ টের পাননি। বন আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সদস্যকে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।
ফের হাতির (Elephant) হামলা (Attack)। দেওয়াল চাপা পড়ে এক বয়স্ক মহিলার মৃত্যু (Death)। অপরদিকে, একটি গরুর উপর হাতির দল আক্রমণ করলে গরুটিও মারা যায়। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল ব্লকের প্ৰতাপপুর গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিস (Police)। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই বৃদ্ধার নাম ভেদি মাহাতো (৭০)।
ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে হাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। শতাধিক হাতি ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে ফসলের যেমন ক্ষতি করে চলেছে, তেমনি হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে চলেছে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত প্রায় ২টো নাগাদ একদল হাতি ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর গ্রামে খাবারের সন্ধানে ঢুকে পড়ে। ওই গ্রামে ঢুকে হাতির দলটি বেশ তাণ্ডব শুরু করে। কয়েকটি বাড়িও ভেঙে দেয় হাতির দলটি। যায় ফলেই একটি বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান ওই বৃদ্ধা। তবে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হলেও হাতির হামলার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরেও ওই এলাকায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টি হাতি এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যার ফলে এলাকাজুড়ে হাতির হামলার আশঙ্কা ক্রমশ বেড়েই চলছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে মৃত বৃদ্ধার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে যেভাবে হাতির দল ওই এলাকায় গত তিন দিন ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তাতে আরও ফসলের ক্ষতির আশঙ্কার পাশাপাশি প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে ইতিমধ্যেই বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফের গ্রামে গ্রামে দাঁতালের (Elephant) আতঙ্ক। ঝাড়গ্রামের (Jhargram) গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৪৫ টি দাঁতাল হাতির দল। মঙ্গলবার সকালেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হুলা পার্টির সদস্যরা। লোকালয়ে হাতি প্রবেশ করার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষজনের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার খাবারের সন্ধানে দাঁতালের দলটি জঙ্গল ছেড়ে গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের লোকালয়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়ে। দাঁতালের দলটি চাষের জমিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। ৩ থেকে ৪ বিঘা চাষের জমি নষ্টও করেছে দাঁতালের ওই দলটি। আরও জানা গিয়েছে, গোপীবল্লভপুর ২ নং ব্লকের তপসিয়া,কেন্দুয়ানা সহ একাধিক এলাকায় দাঁপিয়ে বেড়িয়েছে দাঁতালের ওই দলটি। তবে এই ঘটনায় বেশ আতঙ্কে রয়েছে জঙ্গলমহলের মানুষজন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের পর দিন হাতির এই তাণ্ডব বেড়েই চলেছে। এমনকি বারবার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। তাই স্থানীয়দের দাবি, বন দফতর থেকে খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হোক।
বনে-জঙ্গলে দাপিয়ে চলে মাংসাশী প্রাণী বাঘ (Tiger)। নিরীহ প্রাণীদের শিকার করে চলে। বাঘের দাপটই আলাদা। কিন্তু এ কী কাণ্ড! হাতি (Elephant) দেখে নুইয়ে পড়ল বাঘ বাবাজি। এমনটাও হতে পারে! সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতে তাই দেখা গিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বাঘ জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে চলে আসে একটি হাতির দল। আর তা দেখতেই অবাক করা কাণ্ড ঘটাল বাঘটি। এ যেন বাঘের এক অন্য রূপ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বনে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে বাঘ। তখনই পাশ থেকে একটি হাতির দল আসতেই বাঘ থেমে যায় ও পাশের ঝোপ-ঝাড়ে লুকিয়ে যায়। এরপর হাতিগুলো চলে যেতেই বাঘটিও উঠে ফের তার রাস্তায় হাঁটতে থাকে। এই ভিডিওটি আইএফএস অফিসার সুশান্ত নন্দ টুইটারে শেয়ার করেছেন। তবে তিনি বিষয়টি ভালোভাবে নিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'এভাবেই বনে-জঙ্গলে প্রাণীরা যোগাযোগ করে ও সম্প্রীতি বজায় রাখে। বনের রাজা হাতির দলকে যাওয়ার জন্য রাস্তা দিল।'
This is how animals communicate & maintain harmony…
— Susanta Nanda (@susantananda3) April 30, 2023
Elephant trumpets on smelling the tiger. The king gives way to the titan herd😌😌
Courtesy: Vijetha Simha pic.twitter.com/PvOcKLbIud
হাতি ও বাঘের এই সম্পর্ক ও একে অপরের প্রতি এই ব্যবহার দেখে নেটিজেনারা 'দ্য জঙ্গল বুক'-এর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। এই ভিডিও তাঁদের অবার করেছে যে কীভাবে বাঘ হাতি দেখে লুকিয়ে গেল। তবে এই ভিডিও দেখে এটা প্রমাণিত যে, জঙ্গলে সবারই সবার জায়গায় রাজা। কেউ কারোর থেকে কিছু কম নয়।
ফের বন্য হাতির (Elephant Attack) হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নাগরাকাটা ব্লকের ৩ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা (Forest Officer) ঘটনাস্থলে আসেন। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত আড়াইটা নাগাদ পার্শ্ববর্তী জলঢাকা জঙ্গল থেকে একটি বুনো দাঁতাল হাতি নাগরাকাটার ৩ নম্বর রেলগেট এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতিটি ঢুকেই প্রথমে নারায়ণ সেন নামের এক বাসিন্দার বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁর ঘরের জানালা, দরজাও ভেঙে দেয়। সেখান থেকে হাতিটি বেরিয়ে এসে কনকা দত্ত নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দেয় এবং ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে এক বস্তা ধান উঠিয়ে নিয়ে যায় হাতিটি।
বুধবার রাতে প্রায় আধঘন্টা তান্ডব চালিয়ে হাতিটি ফের জঙ্গলে চলে যায়। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে কনকা দত্তের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল ওই বন্য হাতটি। তবে বৃহস্পতিবার হাতিটি ওই এলাকায় এসে কনকা দত্তের বাড়িটি একেবারে গুড়িয়ে দেয়।
তাই এই ঘটনায় বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি সব নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা।
হাতি তাড়াতে (Elephant Attack) গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেলো এক তরুণের। ঝাড়গ্রাম (Jhargram Incident) গোপীবল্লভপুরের এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আমির হাতি। তাঁর বাড়ি গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ঘোড়াইডাঙা গ্রামে। হাতির আক্রমণে জখম অবস্থায় আমিরকে হাসপাতালে নিয়ে আস হলেও শেষরক্ষা হয়নি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় ১৪টি হাতির দল গোপালপুরে জমিতে তাণ্ডব চালাচ্ছিল।
সেই সময় ওই তরুণ বন্ধুদের সঙ্গে হাতি তাড়াতে গিয়েছিলেন। একটি দলছুট হাতি পিছন থেকে এসে আমিরকে শুড়ে তুলে আছাড় মারে। খবর পেয়ে বন দফতর গোপীবল্লভপুর থানার পুলিস ও স্থানীয়রা তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিয়ে আসেন। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন অমিরের মৃত্যু হয়। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য।
বাগডোগরা (Bagdogra) সংলগ্ন কেষ্টপুর এলাকায় গৌতম মল্লিকের বাৎসরিক কালীপুজোর অনুষ্ঠানে স্বয়ং উপস্থিত হল গজরাজ (Elephant)। আচমকাই হাতি দেখতে পেয়ে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। তবে কালীপুজোয় বিনা আমন্ত্রণে গজরাজকে দেখে হতভম্ব গ্রাম। গ্রামবাসীরা এমনও মনে করছেন মায়ের পুজোয় স্বয়ং ছেলে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন দেখার জন্য।
বুধবার রাতে খাবার সন্ধানে বাগডোগরা সন্ন্যাসী চা বাগান সংলগ্ন গ্রামে তাণ্ডব চালায় ওই হাতি। প্রাণে বাঁচে বনকর্মীর স্ত্রী ও সন্তানের। গ্রামের দুটি বাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা গিয়েছে হাতিটিকে। হাতি দেখতে পেয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় গোটা গ্রামজুড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হাতি গ্রামে ঢুকে পড়ার পরেও বন দফতরের কর্মীদের দেখা মেলেনি। বুধবার রাত থেকেই কেষ্টপুর এলাকার বেশ কিছু জায়গায় এই হাতিটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এমনকি এদিনের পর বৃহস্পতিবার, কিছু বাড়িতে ভাঙচুর চালায় হাতি।
এর ফলে বাড়ির ভিতরে থাকা আসবাবপত্র থেকে শুরু করে রান্নাঘরের বাসনপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। তবে প্রতিনিয়ত এই হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কিত ওসব এলাকা। গ্রামবাসীরা চাইছেন হাতিকে জঙ্গলে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক বন দফতর। যদি এই হাতিকে জঙ্গলে ফেরানোর ব্যবস্থা না করা হয় তবে আগামীতে কোন বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হবে গ্রামবাসীদের।
একের পর এক হাতির তাণ্ডবে (Elephant Attack) ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর। অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন বন দফতরের কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ সকলে। এবার বনকর্মীর বাড়িতে হাতির তাণ্ডব। হাতির হামলায় ভাঙলো দুটি ঘর। প্রাণে বাঁচলেন শিশু-সহ মা।
জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে হাতি এসে ভাঙচুর চালায় দুটি বাড়িতে। প্রথমে বাগডোগরা সন্ন্যাসী চা বাগান সংলগ্ন গ্রামে ঘটনার দিন একটি বিশাল হাতি এসে তাণ্ডব চালায়। এরপরে ওই গ্রামেরই দুটি বাড়িতে ভাঙচুর করে হাতিটি। সেসময় বাড়ির ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলেন দুটি বাচ্চা ও তার মা। হঠাৎ হাতি ভাঙচুর চালাতেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন ওই মহিলা।
অবশেষে গ্রামবাসীরা এসে বাড়ির ভিতরে আটকে থাকা দুই শিশুকে এবং মাকে উদ্ধার করেন। মাঝেমধ্যেই হাতির দল এই এলাকা দিয়ে রাস্তা পারাপার করার সময় খাবার সন্ধানে গ্রামে ঢুকে যায় বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বন দফতরের সহযোগিতায় হাতির দলকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যে দুটি বাড়িতে হাতি ভাঙচুর চালিয়েছে তার একটি বাড়ি বাগডোগরা বন দফতরের কর্মীর। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় তিনি ডিউটিতে ছিলেন। হাতি তাণ্ডব চালিয়েছে শুনে বাড়িতে ছুটে আসেন তিনি।
আবার চালু করা হবে ‘এলিফ্যান্ট সাফারি’। সকল নিয়মবিধি মেনেই হাতির (Elephant Safari) পিঠে সাফারি চালু করা হবে। শনিবার করবেট টাইগার ফাউন্ডেশন-এর বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে করবেট টাইগার ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি হাজির ছিলেন বন দফতরের আধিকারিক সহ উত্তরাখন্ডের (Uttarkhand) বনমন্ত্রী সুবোধ উনিয়াল।
জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে হাতিদের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নৈনিতাল হাইকোর্ট। আর তারপর থেকেই হাতির পিঠে চড়ে ভ্রমণ বা ‘এলিফ্যান্ট সাফারি’ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জিম করবেট জাতীয় উদ্যান এবং রাজাজি জাতীয় উদ্যানে। তবে আবার চালু হবে এই সাফারি। এপ্রিল মাসের মধ্যেই হাতির পিঠে চেপে সাফারির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন পর্যটকেরা।
শনিবারের বৈঠকে উত্তরাখন্ডের বনমন্ত্রী সুবোধ উনিয়াল জানান, 'পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিটি নিয়মের ব্যাখ্যা আলাদা হতে পারে। তবে, এলিফ্যান্ট সাফারি শুরু করা হলে তা রাজ্যের ইকো ট্যুরিজমের জন্য লাভজনক হবে।’ তাই আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই দুটি জাতীয় উদ্যানে এলিফ্যান্ট সাফারি শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মৃত্যু (Death) হল একটি হাতির (Elephant)। ওড়িশার (Odisha) নরসিংহপুর এলাকায় গভীর জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হাতির দেহটি। তীব্র গরমের জেরেই মৃত্যু হয়েছে হাতিটং বলে জানিয়েছে বন দফতর (Forest Department)। বন দফতর সূত্রে আরও খবর, ২০-২৫ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে হাতিটির। মৃত্যুকালীন ওই স্ত্রী হাতিটির বয়স হয়েছিল প্রায় ৩ বছর। গরমের কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে বন দফতর জানালেও, এই বিষয়ে স্থানীয়রা অন্য দাবি করেছেন। স্থানীয়দের অনুমান, কোনও পাচারকারীর হাতেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে হাতিটির।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করেছে। এই হাঁফছাড়া গরমে মানুষের সাথে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বন্যপ্রাণীরাও। এই বিষয়ে নরসিংহপুর ইস্টার্ন ফরেস্ট ডিভিশনের আধিকারিক সুরেশ রাউত জানিয়েছেন, তীব্র গরমে পানীয় জলের অভাবেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাতিটির।
মা তাঁর সন্তানদের বাঁচাতে কী না করতে পারে! এমনকি সাক্ষাৎ মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেও নিজের সন্তানদের বাঁচিয়ে ফিরিয়ে আনতে পারেন। তবে তা মানুষ হোক বা প্রাণী। এমনই এক ঘটনা দেখা গেল এই ভাইরাল ভিডিওতে। দেখা গিয়েছে, এক মা হাতি তার সন্তানকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে কুমিরের সঙ্গে। ভিডিও সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন আইএফএস অফিসার সুশান্ত নন্দা।
The extent to which elephants can go in protecting their calves is mind boggling. Here is a small incidence. The Crocodile had to surrender 👌 pic.twitter.com/ntbmBtZm9F
— Susanta Nanda (@susantananda3) April 14, 2023
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক খুদে গজরাজ ছোট জলাধারের মধ্যে শুয়ে আছে, আর পাশে দাঁড়িয়ে তার মা। আচমকাই জলের মধ্যে থাকা এক কুমির বাচ্চা হাতিটির উপর হামলা করে। আর তখনই মা হাতিটি ঝাঁপিয়ে পড়ে তার সন্তানকে বাঁচানোর জন্য। কুমিরের থেকে লড়াই করে নিজের সন্তানকে ফিরিয়ে আনার এই দৃশ্য দেখে নেটিজেনরা মুগ্ধ। আইএফএস অফিসার সুশান্ত নন্দা এই ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, 'এক মা তার সন্তানকে বাঁচাতে কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে, তা জানাই যায়। কুমিরটিকে আত্মসমর্পণ করতেই হত।' মা-সন্তানের এই ভিডিও দেখে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে।