ফের হাতির হানায় মৃত্যু (death) হল এক ব্যক্তির। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) গোয়ালতোড় এলাকার। বন বিভাগ (Forest Department) সূত্রে জানা যায়, গোয়ালতোড় বন বিভাগের দুধপতি এলাকায় আচমকাই প্রবেশ করে একটি হাতি (elephant)। হাতি এলাকায় প্রবেশ করাতেই শয়ে শয়ে যুবক সেই হাতিটিকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। গোটা রাস্তাজুড়ে হাতিটিকে ঘিরে ধরে জনজোয়ার নামে। এরপরই ঘটে বিপত্তি। জানা যায়, ওই সময় মাধব মল্য নামে এক ব্যক্তি হাতির সামনে পড়ে যান। ঘটনাস্থলে তাঁকে সুরে করে আছাড় মারে হাতিটি। এরপর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বন দফতরের কর্মীরা। এরপর বন দফতরের তত্পরতায় হাতিটিকে অন্যত্র সরিয়ে আনা হয়। তবে ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। হাতি উত্ত্যক্ত করার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন বন দফতর।
সাত সকালে হাতির (elephant) আক্রমণে এক বৃদ্ধের মৃত্যু (death)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখী ব্লকের কোচডিহি গ্রামে। জানা যায়, মৃত বৃদ্ধের নাম লালমোহন কুন্ডু। বয়স আনুমানিক ৭০ বছর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতোই এদিনও তিনি প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। তখনই হঠাৎ হাতির সামনে চলে আসেন তিনি। হাতিটি তাঁকে সুরে পেচিয়ে মাটিতে আছাড় মারলে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন ওই বৃদ্ধ। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে অবস্থার আরও বেশি অবনতি হলে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে এদিন হাসপাতালে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। ঘটনা পুনরায় যাতে না ঘটে সে কারণে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিল বাহিনী। অন্যদিকে সাধারণ মানুষরা ঘটনার পরই আতঙ্কে রয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানান, "সারা বছরই আমরা আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করি। বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। বনদফতরকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন রয়েছে।" তবে এবিষয়ে সোনামুখী রেঞ্জ অফিসার রানা গুহ আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে জানান, এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
না, হাতি ডাক্তার দেখাতে আসেনি। অবাধে কেবল ঘোরাঘুরি করছে তারা। সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বিন্নাগুড়ির সেনা ছাউনি হাসপাতালের ভিতরে হাতির ভিডিও! ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, তিনটি হাতি ঘুরে বেড়াচ্ছে হাসপাতালের করিডর ধরে (যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন)। হাতি তাড়াতে বিভিন্ন রকম আওয়াজ করছেন হাসপাতাল কর্মীরা। তাতেও তারা যখন যাচ্ছে না, তখন হাতির উপদ্রবে উদ্বিগ্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বন দফতরকে খবর দেয়। কিন্তু বন দফতরের কাছে এই বিষয়ে কোনো খবর নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য, বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনি জঙ্গল লাগোয়া হওয়ায়, মাঝে মধ্যেই হাতি ঢ়ুকে পড়ে এখানে। বেশ কয়েকবার জঙ্গল থেকে হাতির দল এসে ক্ষতিও করে দিয়েছে হাসপাতালের।
দিনের পর দিন হাতির (elephant) তাণ্ডবে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত দশটিরও বেশি বাড়ি (house) ও দোকানঘর (shop)। বন দফতর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিশেহারা গ্রামের মানুষ। ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটির একটি গ্রাম।
জানা গিয়েছে, গ্রাম লাগোয়া এলাকা থেকেই শুরু হচ্ছে জঙ্গল। সপ্তাহ দুই আগে অন্য জঙ্গল থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক রেসিডেন্সিয়াল দাঁতাল হাতি এসে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করে এখানে। দিনের বেলায় হাতিটি জঙ্গলের ভিতরে থাকলেও রাতের অন্ধকার নামলেই হাতিটি খাবারের খোঁজে হানা দিতে শুরু করে লোকালয়ে। হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একের পর এক বাড়ি। গতকাল রাতেও হাতিটি গ্রামে ঢুকে একটি ধানের আড়ৎ ও স্টেশনারি দোকানে হানা দেয়। ধান আড়তের দরজা ভেঙে, ধান খেয়ে ছড়িয়ে নষ্ট করেছে। পার্শ্ববর্তী একটি স্টেশনারি দোকানের শাটার ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে হাতিটি। রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে ভোরের আলো ফুটতেই গা ঢাকা দেয় পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, দিনের পর দিন গ্রামে ঢুকে একের পর এক দোকান ও বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চালালেও হাতির হানা রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি বন দফতর। গ্রামবাসীদের সামান্য তেল ও হুলা দিয়েই দায় সেরেছে বন দফতর। এই পরিস্থিতিতে অসহায়ভাবে চূড়ান্ত আতঙ্কে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, দ্রুত হাতিটিকে অন্যত্র সরানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করুক বন দফতর।
শহরের উপকন্ঠে দাঁতাল হাতির তান্ডব (Elephant Attack)। হাতির আক্রমণ এক মহিলা সহ তিন জনের মৃত্যু (Death)। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) শহর সংলগ্ন কন্যাডোবা এলাকায় হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় এক যুবকের (Boy)। গুরুতর জখম আরও দুই জনকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় তান্ডব চালানোর পর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বেনাগেড়িয়া এলাকায় হাতির মুখোমুখি পড়ে মৃত্যু হয় আরও এক মহিলার।
বুধবার রাতে দলছুট দুটি হাতি হঠাৎ করেই ঢুকে পড়ে এলাকায়। দলে একটি শাবকও ছিল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ঝাড়গ্রাম শহরে। শহরের মধ্য তিন জনের হাতির হামলায় মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, রাস্তার পাশে রোজকার মতো বুধবারও আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। হঠাৎ করে হাতি চলে আসায় পালানো সুযোগ পাননি। হাতির আক্রমণের মুখে পড়েন তাঁরা। ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে হাতির তান্ডব বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
অসম-মেঘালয় সীমান্তে (Assam-Meghalaya border) অসমের গোয়ালপাড়া (Goalpara) জেলায় বুনো হাতির আক্রমণে (Wild Elephant Attack) এক শিশু সহ তিনজনের মৃত্যু (Death) হয়েছে। সোমবার ভোররাতে ওই সীমানায় লখিপুরের কাছে কুরাং গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বুনো হাতির একটি দল খাবারের সন্ধানে মেঘালয়ের নিকটবর্তী পাহাড়ি এলাকা থেকে এসেছিল এবং লোকজনকে আক্রমণ করে। লখিপুরের ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার ধ্রুব দত্ত জানিয়েছেন, "হাতির আক্রমণে একটি শিশু সহ তিনজন নিহত হয়েছে।"
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্য হাতিরা প্রায়ই এলাকায় ঘরবাড়ির ক্ষতি করে। নষ্ট করে দেয় তাঁদের ফসল।
গত মাসে একটি বুনো হাতি গুয়াহাটির আমচিং জোরাবত এলাকায় এক যুবককে আক্রমণ করেছিল। এবং গত মে মাসে, অসমের গোয়ালপাড়া জেলায় লখিপুর ফরেস্ট রেঞ্জের অন্তর্গত শালবাড়ি আংটিহারা গ্রামে বন্য হাতির দ্বারা পদদলিত হয়ে দুই নারীসহ এক পরিবারের তিনজন নিহত হয়।