Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Education

Bratya Basu: ব্রাত্যকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপাল বোসের

ফের তুঙ্গে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। এই সুপারিশকে এক্স হ্যান্ডেলে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেন ব্রাত্য।

উল্লেখ্য, ৩০ শে মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সরাসরি রাজ্যপাল। রাজ্যপালের অভিযোগ তিনি নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং সেই অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপালের।

এই ঘটনার পর টুইটে পাল্টা খোঁচা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। টুইট করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই। আমি কোনও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে থাকলে তা কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে রাজনৈতিক দলের। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যপাল এমন অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনেছেন। নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করেছেন।’’

3 weeks ago
CBSE: নবম-দ্বাদশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় বদলের ঘোষণা CBSE-র, ভারতীয় ভাষার উপর জোর

নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তনের ঘোষণা CBSE-র। জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুযায়ী পরিকাঠামো গত বদল ঘটতে চলেছে বলে খবর। নবম-দশমে দু'টির বদলে তিনটি ও একাদশ-দ্বাদশে একটির বদলে দু'টি ভাষা পড়ানোর পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় বোর্ড।

নবম-দশমের দু'টি এবং একাদশ-দ্বাদশের তিনটির মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে একটি ভাষা ভারতীয় হবে বলে নির্দেশ। ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিকে এই পরিকল্পনা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ড। পাশাপাশি ক্রেডিট ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

3 months ago
Ed raid: লক্ষ্মীবারেও তৎপর ইডি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মিডলম্যান এবার স্ক্য়ানারে

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর ইডি। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার একাধিক জায়গায় ম্যারাথন তল্লাশি ইডির। এবার ইডি স্ক্য়ানারে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায়। সাম্প্রতিককালে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। এদিন সকাল ছ'টা নাগাদ তাঁর একাধিক ফ্ল্যাট ও নিউটাউনের অফিস সহ মোট সাত জায়গায় অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা।

সন্দেশখালির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সর্তক কেন্দ্রীয় বাহিনী। দেখা গিয়েছে মাথায় হেলমেট, ঢাল সঙ্গে কাঁদানে গ্যাসের সেল নিয়ে হাজির কেন্দ্রীয় বাহিনী। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন এই প্রসন্ন রায়। তারপর এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সংযোগ রেখে চাকরি দেওয়ার নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলার কাজ করতেন প্রসন্ন। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই প্রসন্ন রায়।কোটি কোটি টাকা থেকে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে প্রসন্ন রায়ের নামে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে।

সূত্রের খবর, একশোর বেশি কোম্পানি রয়েছে প্রসন্ন রায়ের। একাধিক ফ্ল্যাট, নিউটাউন এলাকায় প্রচুর জমি, বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা এই সবই হয়েছে তাঁর চাকরির বিক্রির টাকা থেকে। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায়।

এদিন প্রসন্ন রায় ছাড়ও তাঁর ঘনিষ্ঠ নয়াবাদ এলাকায় রোহিত ঝাঁ নামে এক পরিবহন ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি। অন্যদিকে প্রসন্ন রায় তিনিও পরিবহন ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরই ঘনিষ্ঠ রোহিত। অনেক দুর্নীতির ক্ষেত্রে তাঁর এই ফ্ল্যাট থেকে নথি উদ্ধার হতে পারে তারই সূত্র ধরে ইডি আধিকারিকরা এসে পৌঁছন।

3 months ago


Madhyamik Board: নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন নিয়ে আরও কড়া সিদ্ধান্ত মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের

নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এবার আরও কড়া মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায়ও নিরাপত্তায় কড়াকড়ি করা হয়েছে। সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে রাখা হয়েছিল সিসিটিভি। ফলপ্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষকদের নন জুডিশিয়াল ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে লিখে জানাতে হবে যে তাঁর স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের সবার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। আর এই নির্দেশ অমান্য করলে স্কুলের পড়ুয়াদের মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় সমস্যার মধ্যে  পড়তে হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের দিন ধার্য করা হয়েছিল। পরে জানানো হয়, লেট ফি দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। সেই দিনও আসন্ন। তাই এবার প্রধান শিক্ষকদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের পর পড়ুয়ারা আর কোনও রেজিস্ট্রেশন জমা দিতে পারবেন না। কিন্তু ঠিক কী কারণে স্ট্যাম্প পেপারে লিখে জানাতে হবে পর্ষদকে? এর উত্তরে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, এই রেজিস্ট্রেশন মাধ্যমিকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এখন কোভিড পরবর্তীকালে নবম শ্রেণীতে এসে বহু ছাত্র দলছুট বা স্কুল ত্যাগ করেছেন। এই প্রবণতা রুখতে প্রধান শিক্ষকদের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

4 months ago
Recruit: ২০১৬-তে কারা পেয়েছিলেন চাকরি? তালিকা প্রস্তুত করছে শিক্ষা দফতর

এবার রাজ্যে ২০১৬ সালের SLST- তে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। পাশাপাশি ২০১৬-র RLST-তে চাকরি পাওয়া গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-তে যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁদের তালিকাও প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে। এই বিষয়ে প্রতিটি জেলার ডিআইকে বিজ্ঞপ্তি পাঠাল SSC। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে প্রতিটি প্রধান শিক্ষকের কাছে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে, তাঁদের স্কুলে কতজন ২০১৬-তে পাওয়া চাকুরিরত রয়েছেন তার তালিকা প্রস্তুত করতে। পাশাপাশি যাঁরা  স্কুলে থাকবেন না, তাঁদের বাড়িতেই পাঠাতে হবে এই বিজ্ঞপ্তি, এমনটাই নির্দেশ শিক্ষা দফতরের।

৯ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে, ২০১৬-তে চাকরি পাওয়া শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীর তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ  দিয়েছিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। এছাড়াও সোমবার অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক প্রধান শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট SI অফিস থেকে অন্যান্য নথি-সহ শিক্ষা দফতর দ্বারা জারি করা নোটিশ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি স্কুল এবং সংশ্লিষ্ট অফিসকে তাদের নোটিস বোর্ডে ওই 'পাবলিক নোটিস' প্রদর্শন করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ওই দিনই সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের অন্যান্য নথির সাথে নোটিশ প্রদান করবেন প্রধান শিক্ষক, এমনটাই নিদের্শ রাজ্য শিক্ষা দফতরের। পাশাপাশি ওই সংশ্লিষ্ট কর্মচারী বা শিক্ষককে ই-মেলও করা হবে এবং প্রমাণও রাখা হবে ওই বিজ্ঞপ্তির, এমনটাই  সূত্রের খবর। সবশেষে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ফরওয়ার্ডিং লেটার-সহ ওই বিজ্ঞপ্তি পরিষেবার প্রতিবেদন জমা দিতে হবে  সংশ্লিষ্ট এসআই অফিসে। তবে এক্ষেত্রে ২০১৬-র SLST এবং RLST-তে চাকরি পাওয়া ব্যক্তির মধ্যে কেউ পদত্যাগ করে থাকলে বা কারও মৃত্যু হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে তাঁদের ওই বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর জন্য বিবেচনা করা হবে না বলেই সূত্রের খবর।

তবে এই তালিকা প্রকাশের বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে।

5 months ago


Supreme Court: শীর্ষ আদালতেও রক্ষাকবচ পেলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে রক্ষাকবচ দিল না দেশের শীর্ষ আদালত। এছাড়াও ডেপুটি সেক্রেটারিকেও কোনও রক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী-র বেঞ্চ সোমবার ওই আবেদন খারিজ করে দেয়।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গৌতম ও পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন পর্ষদ সভাপতি। সেই আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পর্ষদ সভাপতির বিরুদ্ধে। সেকারণে সিবিআইকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, অতি দ্রুত পর্ষদ সভাপতি এবং ডেপুটি সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। যদিও তারপরেই রক্ষাকবচ পেতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে আগামী শুক্রবার ফের মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে

6 months ago
Mithun: 'সমাজের শিরদাঁড়া ভাঙতে আগে শিক্ষায় আঘাত করতে হয়,' কেন এমন মন্তব্য মিঠুনের!

'সমাজের শিরদাঁড়া ভাঙতে আগে শিক্ষায় আঘাত করতে হয়।' রবিবার কলকাতার একটি কলেজের অনুষ্ঠানে এসে নাম না করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। স্কটিশ চার্চ কলেজের প্রাক্তনী মিঠুন ওই কলেজেরই এক অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এই মুহূর্তে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিয়ে একটা দোলাচলতা তৈরি হয়েছে এ রাজ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত সপ্তমে। এই আবহে মিঠুনের এই মন্তব্য। এদিন সাংবাদিকরা মিঠুনকে রাজ্যের কলেজগুলির পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রথমেই মিঠুন বলে দেন, কোনও রাজনৈতিক কথা তিনি বলবেন না। তবে রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখেই এ প্রশ্নের জবাব দেবেন বলে জানান তিনি।

এরপরই মিঠুন বলেন, 'রাজনীতির বাইরে গিয়ে একটা কথা বলতে চাই। ইতিহাস পড়লে দেখা যাবে, সমাজের মেরুদণ্ডটা ভাঙতে হলে প্রথমে শিক্ষাটা ভাঙতে হয়। সমাজ শুধু নয়, কোনও প্রতিষ্ঠানকে তছনছ করতে হলেও প্রথমে শিক্ষাকে আঘাত করতে হয়। কে করছে, কী করছে আমি বলছি না। আমি কাউকে বলতেও চাই না। তবে সোসাইটি না থাকলে ফাউন্ডেশন থাকবে না, ভবিষ্যৎও তৈরি হবে না। আর আমি ভবিষ্যতেই বিশ্বাসী।'

8 months ago
Education policy: শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন 'রাজ্য-শিক্ষানীতি' চালু করল রাজ্য, থাকছে মাধ্যমিক পরীক্ষাও

এক পথে না হেঁটে, একই মানের অন্য পথে হাটল বাংলা। ফলে জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পূর্ণ না মানলেও জাতীয় শিক্ষানীতির ‘বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ টুকু নিয়ে, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে নতুন শিক্ষানীতি চালু করল রাজ্য। ১৬৩ পাতার রাজ্য শিক্ষানীতি বলবৎ হবে এ রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে। গ্যাজেট নোটিফিকেশন করে আজ থেকেই রাজ্য শিক্ষানীতি বলবৎ শুরু করে দিচ্ছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই জানিয়েছিলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে ‘বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ বেছে নিয়ে তৈরি হয়েছে এই রাজ্য শিক্ষানীতি।

এক বছরের প্রি-প্রাইমারি ক্লাস এবং চার বছরের প্রাথমিকের ক্লাসের কথা বলা হয়েছে। এরপর পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি এবং নবম-দশম শ্রেণি শেষে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তারপর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শেষে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে সেমেস্টার পদ্ধতি এবং এমসিকিউ ধাঁচে। প্রত্যেক পড়ুয়ার তিন বছর বয়স থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক রেকর্ড জমা থাকবে ক্লাউডে।

একেবারে শুরুর পড়াশোনার জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একাধিক দফতর মিলিয়ে তৈরি হবে একটি সমন্বয় কমিটি। এর পাশাপাশি প্রত্যেক স্কুলে এবার থেকে ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’-ও আয়োজন করা হবে। পড়ুয়া ও শিক্ষকের অনুপাতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার দিকেও নজর দেওয়া হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষকদের গ্রামে বদলি করা হবে। পড়ুয়াদের জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে।

উচ্চমাধ্যমিক শেষে স্কুলের গন্ডি পেরনোর পরই শুরু কলেজ জীবন। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সুবিধার্ধে স্কুলগুলির সঙ্গে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সমন্বয় তৈরির কথাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনীদের কাছ থেকে অনুদানের নীতি নির্ধারণ করার দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে।

একই ক্যাম্পাসে যাতে নার্সিং ও প্যারামেডিক্যাল কোর্স করানো যায় এবং এর পাশাপাশি আইনের পাঠের জন্য বিশেষ কোর্স চালু করার কথাও বলা হয়েছে সেখানে। এছাড়া ভিন রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে রাজ্যে আসে, সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নীতি নির্ধারণের কথাও বলা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষানীতিতে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মাতৃভাষা ও আঞ্চলিক ভাষাকে। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব মাধ্যমের পড়ুয়াদের জন্য বাংলা বিষয় পড়ার সুযোগের কথাও বলা হয়েছে।

8 months ago


Vice Chancellor: কেন সরকারের পছন্দ মত উপাচার্য নিয়োগ করেননি, বাংলায় জানালেন রাজ্যপাল বোস

ধরণা প্রসঙ্গে মমতাকে কটাক্ষের পর রাজ্য শিক্ষা দফতরকেও এক হাত নিলেন রাজ্যপাল বোস। দিল্লি থেকে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষাকে দুর্নীতি মুক্ত করার বার্তা দেন। তিনি বলেন,'শিক্ষাক্ষেত্রকে মাফিয়া মুক্ত করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতির আখড়া চলতে পারে না’ তবে এ দিন ইংরেজিতে নয়, আচার্য বোসকে দেখা গেল বাংলা বলতে।

এর আগে আচার্যের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বাংলার একটি প্রবাদ উল্লেখ করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন, “রাজ্যপাল বাংলা প্রবাদকেই মান্যতা দিলেন। যাহা চালভাজা, তাহাই মুড়ি। যিনি আচার্য, তিনিই উপাচার্য।” আজ রাজ্যপাল পাল্টা পুরো বাংলা ভাষাতেই ৫ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি বার্তা পাঠান রাজভবন থেকে। সেই বার্তাতেই স্পষ্ট কেন তিনি সরকারের পছন্দ মত উপাচার্য নিয়োগ করতে চান নি।

সি ভি আনন্দ বোস বলেছেন, “হিংসামুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত হওয়া প্রয়োজন। বাংলার শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে এটা বেআইনি-বেআইনি-বেআইনি। সব উপাচার্যকে ইস্তাফা দিতে হয়েছে।” বোস বলেন, “আমি চ্যান্সেলার হিসাবে নিয়োগ করেছি উপাচার্যদের। সরকার বলেছে সেগুলি বেআইনি নিয়োগ। হাইকোর্ট বলেছে আমি ঠিক।' এরপরেই তিনি বলেন, ' রাজ্য সরকারের পছন্দ মত উপাচার্যদের মধ্যে কেউ ছিল দুর্নীতি পরায়ণ, আবার কেউ ছাত্রী নিগ্রহে অভিযুক্ত। কিংবা কেউ রাজনীতির খেলা করছে।'

8 months ago
Election: অবিলম্বে রাজ্যের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোট করাতে হবে, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

রাজ্যের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোট করাতে সরকারকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সম্প্রতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা দিবসের অনুষ্ঠানেই ছাত্র সংসদ ভোট নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার এক মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের নির্দেশ, যে বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রভোট হয়নি, সেখানে সব দিক খতিয়ে দেখে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। একইসঙ্গে প্রতিটি কলেজে র‌্যাগিং-বিরোধী কমিটি তৈরি করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিনে মামলায় আদালত জানতে চায়, এই ব্যাপারে রাজ্যের তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়েছে কীনা। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‌্যাগিং-বিরোধী কমিটি বা র‌্যাগিং-বিরোধী স্কোয়াড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কি না, তা-ও জানাতে হয়েছে।

8 months ago


Syllabus: কর্নাটকে কংগ্রেস সরকার, পাঠ্যক্রম থেকে বাদ গেল সাভারকার-হেডগেওয়ার

নতুন সরকার ক্ষমতায় আসতেই বদল হল কর্নাটকের (Karnataka) পাঠ্যক্রমে। কংগ্রেস সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পাঠ্যক্রম সংশোধন এবং সংযোজন করার। পাঠ্যক্রম যাচাই করে দেখার জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি তৈরী করা হয়েছিল। বিস্তারিত বিশ্লেষণ করার পরেই পাঠ্যক্রমে বদল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাদ দেওয়া হয়েছে আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতা বলিরাম হেডগেওয়ার (Baliram Hedgewar) এবং সাভারকারের (Savarkar) প্রসঙ্গ। এর বদলে সংযোজিত হয়েছে জওহরলাল নেহেরু এবং বিআর আম্বেদকরের বিষয়। জানা গিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে এই সংস্কারিত পাঠ্যক্রম পড়ানো হবে পড়ুয়াদের। কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী কুমার বানগারাপ্পা জানিয়েছেন, কংগ্রেস শপথ নিয়েছিল পাঠ্যক্রমের বিষয় সংশোধন করবে। এই বিষয়ে সাহায্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর সামাজিক শিক্ষা বিষয়ের পাঠ্যক্রমে বদল আনা হয়েছে।

আম্বেদকারের উপর একটি কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছিল। সেই কবিতা আবারও ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সিলেবাসে সাবিত্রী ফুলে বিষয়ক একটি পৃষ্ঠা সংযোজিত করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, 'পাঠ্যপুস্তকের এই বদল নিয়ে নির্দেশিকা পৌঁছে যাবে রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে। কোন বিষয়গুলি পড়ানো হবে এবং কোন বিষয়গুলি পড়ানো হবে না, তা স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে।'

11 months ago
Vice Chancellor: রাজ্যপালের সুপারিশে নিয়োগ হওয়া ১৪ জন উপাচার্যের বেতন-ভাতা বন্ধ করল সরকার

শিক্ষামন্ত্রীর (Education Minister) সঙ্গে আলোচনা না করে নিযুক্ত হওয়া ১৪ জন উপাচার্যের (Vice Chancellor) বেতন-ভাতা বন্ধের নির্দেশ দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে ১৪ জন 'অবৈধ' উপাচার্যের বেতন বন্ধের নির্দেশ পৌঁছেছে।

রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের কাছে নির্দেশ পৌঁছেছে, ওই সব অস্থায়ী উপাচার্যের নিয়োগ বেআইনি। তাই তাঁরা বেতন ও ভাতা পাবেন না। দু’দফায় এ ভাবে ১৪ জন অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই রাজ্যপাল যাঁদের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছেন, রাজ্য সরকার তাঁদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। উচ্চশিক্ষা দফতরের চিঠিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যপালের এ ভাবে সরাসরি উপাচার্য নিয়োগের কোনও এক্তিয়ার নেই। তাঁদের জন্য বরাদ্দ বেতন এবং ভাতাও মঞ্জুর করছে না রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মামলাও হয়েছে।

11 months ago
Education: রাজ্যে চালু হওয়া নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে ধোঁয়াশা, অন্ধকারে বিশ্ববিদ্যালয় ও পড়ুয়ারা

মণি ভট্টাচার্যঃ ঠিক জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) নয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bartya Basu) মতে জাতীয় শিক্ষা নীতির আদলে নতুন শিক্ষা নীতি চালু হল রাজ্যে। ব্রাত্য বসু জানিয়েছে, জাতীয় শিক্ষা নীতির মধ্যে যে গুলো সঠিক ও উপকারী সেটা বাছাই করে আলাদা শিক্ষা নীতি চালু করার অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কিন্তু এই শিক্ষা নীতি নিয়ে রয়েছে বিস্তর ধোঁয়াশা। রীতিমত দিশেহারা পড়ুয়া, অভিভাবক সহ বিভিন্ন কলেজগুলিও।

রাজ্যে চালু হওয়া নতুন শিক্ষা নীতি অনুযায়ী চার বছরের অনার্স কোর্স আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হচ্ছে রাজ্যে। এই অবস্থায় আগামীতে নিশ্চয়ই কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে, পরিবর্তন হবে সিলেবাসও। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে কিভাবে সমস্ত কাজ হবে তা নিয়ে অন্ধকারে পড়ুয়ারা ও কলেজগুলিও।

জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে বহু প্রশ্নের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে স্নাতকোত্তর কোর্সগুলি নিয়েও জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হওয়াতে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু হয়েছে এবং জানানো হয়েছে এই চার বছরের স্নাতক কোর্স করেই পড়ুয়ার পিএইচডি বা রিসার্চ সংক্রান্ত উচ্চ শিক্ষায় যেতে পারবে। পূর্বে যেখানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী দরকার ছিল এখন তা নিষ্প্রয়োজন। ফলে প্রশ্ন উঠছে নতুন শিক্ষানীতিতে স্নাতকোত্তর কোর্সের কোন বৈধতা কি থাকলো!

এই প্রশ্নটাই জোরালো ভাবে উঠে এসেছে শিক্ষামহল থেকে। কারণ চার বছরের স্নাতক কোর্সের পরেই নির্দিষ্ট নম্বর পেলে মেধাবী পড়ুয়ারা সরাসরি পিএইচডি বা গবেষণার সুযোগ পাবেন। ফলে তাঁরা আর কেন এক বছরের কোর্সে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হবেন? ফলে ফি বছর কলেজ শেষ করার পর কলকাতা, কল্যাণী, উত্তরবঙ্গ বা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে চেয়ে যে আবেদনের লম্বা লাইন পড়ে, পিজি কোর্সের সেই গুরুত্ব না থাকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কালে কালে শুধুই গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলেই অনেকের অভিমত।

এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল কাফির দাবি, এই শিক্ষানীতি আমাদের রাজ্যের কলেজগুলির জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। অনেক কলেজের কোনো কাঠামোই নেই এই শিক্ষানীতি চালু করার মত। প্রয়োজনীয় অধ্যাপক অবধি নেই ওই কলেজ গুলিতে। এই শিক্ষানীতি একটা ৩ মাসের বাচ্চাকে বিরিয়ানি খাওয়ানোর মত।

এছাড়া আরও অভিযোগ যে রাজ্য প্রথম থেকেই জানিয়েছে যে এবারের ভর্তি প্রক্রিয়া সেন্ট্রালাইজড প্রক্রিয়ায় হবে। কিন্তু তা চালু হবে না সেটা বুধবার জানিয়েছে রাজ্য। এবার প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল গুলির উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর। কিন্তু কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ভর্তির কোনও প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। রীতিমত তা নিয়ে অন্ধকারে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ গুলি। সূত্রের খবর বুধবারের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ভর্তি প্রক্রিয়া ওই কলেজগুলোর অনলাইন মাধ্যমেই হবে। কিন্তু এই অল্প সময়ে কি করে অনলাইন মাধ্যমে একটি ভর্তি প্রক্রিয়া চালাবে কলেজ গুলি! তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সংশ্লিষ্ট বিভাগও। পাশাপাশি চিন্তায় পড়েছে পড়ুয়াদের অভিভাবক ও পড়ুয়ারাও।

প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রবীণ অধ্যাপকের কথায়, 'যে হারে জাতীয় শিক্ষানীতিতে ভার্চুয়াল ক্লাসের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও দিনে দিনে গুরুত্ব হারাবেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হাল কী হবে, তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে।' সূত্রের খবর জাতীয় শিক্ষানীতিতে দু'ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলা হয়েছে। একটি রিসার্চ ইউনিভার্সিটি, অপরটি রিসার্চ অ্যান্ড টিচিং বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, 'কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকী যে দুটি কমিটি তৈরি করেছিল, তার রিপোর্টও আমরা পাইনি। ফলে দেশের সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষার হালও কোথায় যেতে বসেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।' যদিও রাজ্যের যুক্তি, সারা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা না করা হলে এ রাজ্যের পড়ুয়ারাই সমস্যায় পড়বেন।

11 months ago


Madhyamik: মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে জল্পনার অবসান, জানুন কবে ফলাফল

মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষার (Exam) ফল নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসুর। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে জল্পনার অবসান! আর ৯ দিনের মধ্যেই জানা যাবে রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। আজ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের দিন-ক্ষণ টুইট করে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। 

এই মে মাসটা এ রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ! কারণ, এই মাসেই মাধ্যমিক স্কুল বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ৪ লক্ষ কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।

12 months ago
Partha:তিনি এলেন, কবিতা বললেন, চোর স্লোগান শুনলেন, চলে গেলেন! এই ছিল সোমবারের পার্থ কাহিনী

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গত বছর ২৩শে জুলাই নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর প্রতিবারই ইডির তরফে আদালতে পেশের সময় তার মুখে বিভিন্ন বিষয় শোনা গিয়েছে। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হল না। তিনি এলেন, ২৫ বৈশাখ, রবীন্দ্রজয়ন্তী আগে রবীন্দ্রনাথ আওড়ালেন। অবশ্য এর প্রতিদানে দিনশেষে জুটল 'চোর চোর' স্লোগান।

'মসী লেপি দিল তবু ছবি ঢাকিল না। অগ্নি দিল তবুও তো গলিল না সোনা।' সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরার আগে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গলায় রবীন্দ্রনাথের এই দুই লাইন শুনে সবাই অবাক। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই দুটি লাইনের মধ্যেই তাঁর গ্রেফতারি এবং তার পরবর্তী সময়ের ঘটনাপ্রবাহকেই বোঝাতে চাইলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিনের তুলনায় এদিন ফুরফুরে মেজাজে পাওয়া যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শুধু রবীন্দ্রনাথের কবিতা নয়, এদিন অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার  প্রশংসা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 

মঙ্গলবার রাজ্যে পালিত হবে রবীন্দ্রজয়ন্তী। তারআগে, এদিন আদালতে হাজিরা দেওয়ার আগে নিজেই সোনারতরী কাব্যগ্রন্থ থেকে এই দুটি লাইন শোনান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা করছেন তা তারিফ যোগ্য। পার্থর দাবি, ১০০ শতাংশ সফল হবে এই কর্মসূচি। 

গত ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে নিজের নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই স্থান রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। এদিন রবীন্দ্রনাথের কবিতা বলে জনসমাজে ফের বার্তা দিতে চাইলেন তিনি। যেখান কলঙ্ক সরিয়ে নিজেকে সোনার সঙ্গে তুলনা করলেন।

12 months ago