Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Education

Court: এবছর কম মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, উদ্বিগ্ন কোর্ট! 'অতিরিক্ত শিক্ষকে কী লাভ', মন্তব্য বিচারপতির

শিক্ষক নিয়োগ (Education Scam) দুর্নীতি মামলায় যথেষ্ট কড়া অবস্থান নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার শিক্ষক বদলি (Teacher Transfer) ঘিরেও কড়া হতে চায় আদালত। শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, 'অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন, কী লাভ? অর্থের অপচয় হচ্ছে।' গত বছরের তুলনায়, এবছর কম সংখ্যক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Madhyamik Exam 2023) নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।

গত সপ্তাহে শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত অপর একটি মামলার শুনানিতে এই বিচারপতি বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলেছিল, পড়ুয়া না থাকলে সেই স্কুলে শিক্ষক  রেখে লাভ নেই। বরং যেসব স্কুলে পড়ুয়া নেই সেই সমস্ত স্কুল তুলে দিক। এই পরামর্শ শিক্ষা দফতরকে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

এদিকে, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিয়োগ পাওয়া 'অযোগ্যদের' বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সেই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগভিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এবার শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একাধিক মামলাতেও কড়া আদালত। সোমবার এক মামলার শুনানিতে বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, 'রাজ্যে দশ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা হয়েছে। আর এদিকে চার লাখ কম ছাত্র এবার মাধ্যমিকে বসছে। এই অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন? কী লাভ ? অর্থের অপচয় হচ্ছে।'

one year ago
Vivekananda: বিবেকানন্দের শিক্ষাচিন্তা, জানুন সেই কাহিনী

সৌমেন সুর: বিবেকানন্দ শিক্ষা চিন্তার মূলে রয়েছে বাস্তবতার প্রেক্ষিত। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, জনগণের সার্বিক দুরাবস্থার একমাত্র প্রতিকার করতে পারে যথার্থ শিক্ষা। তিনি বলছেন, এমন শিক্ষা চাই যাতে ভেতরে নিদ্রিত শক্তি জাগ্রত হয়। ভিতরে শক্তিকে তিনি বলেছেন ধর্ম। বিবেকানন্দ উক্ত ধর্মকে বলেছিলেন শিক্ষার ভিতরকার জিনিস। তার ভাষায় ধর্মটা যেন ভাত, আর সবগুলো তরকারি। শুধু তরকারি খেলে হয় বদহজম, শুধু ভাতেও তাই।

অর্থাৎ শিক্ষাকে প্রথমে ধর্মমুখী হতে হবে। না হলে সব কিছুই ব্যর্থ হয়ে যাবে। বিবেকানন্দ কথিত ধর্ম কোন রিচুয়াল আচারসর্বস্ব পুজোআচ্চা নয়। আমাদের প্রত্যেকের ভিতরে যে অনন্ত শক্তি নিদ্রিত আছে, তাকেই তিনি ধর্ম বলেছেন। ধর্ম হচ্ছে মানুষের ভিতরে যে ব্রহ্মত্ম প্রথম থেকে আছে, তারই প্রকাশ। আর শিক্ষা মানুষের ভিতরে যে পূর্ণতা প্রথম থেকেই বিদ্যমান, তার প্রকাশ।

অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন যে মানুষের ভেতর যে অনন্ত শক্তি আছে, তার পূর্ণ প্রকাশ হলো আমাদের প্রকৃত শিক্ষা। এই শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারলে শুধু দৈহিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক শক্তির বিকাশ হয় না, জীব থেকে মানব, মানব থেকে মহামানব এবং শেষ পর্যন্ত দেবত্বের পূর্ণ প্রকাশ ঘটে।

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় এখানে গোড়ায় গলদ। ভিতরের অনন্ত শক্তি জাগানোর বিজ্ঞানসম্মত প্রয়াস আজও অবহেলিত। বিবেকানন্দ বলছেন, মানুষের ভিতরেই সব কিছু আছে। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলতে গেলে মানুষ যতটা জ্ঞান অর্জন করে নিজেকে ততটাই আবিষ্কার করে।

যে যত নিজের মনের আবরণ উন্মোচন করতে পারে সে ততখানি শিক্ষিত। স্বামীজি আত্মনির্ভরশীলতার শিক্ষা দিতে বলেছেন। শিক্ষাব্যবস্থায় যদি আত্মনির্ভরতার চর্চা না থাকে, তাহলে মানুষের ভেতরে বাসা বেঁধে থাকা সুপ্ত লোভ কখনই প্রশমিত হবে না। বিবেকানন্দের কাছে ধর্ম হলো মানুষের মধ্যে অন্তর্নিহিত পূর্ণ শক্তির প্রতীক। সে পূর্ণ শক্তি সম্পূর্ণ প্রকাশ হলো শিক্ষা।

তথ্যঋণ: স্বপন কুমার ঠাকুর

one year ago
Transfer: 'জঙ্গলের নিয়ম বন্ধ হোক', শিক্ষক বদলি মামলায় কড়া পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

বদলি (Teacher Transfer) চেয়ে এক শিক্ষক হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, 'তিনি বদলি  চাইছেন। কিন্তু শিক্ষা দফতর ইচ্ছে করে তাঁকে বদলি করছে না।' শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে গোটা শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এদিন বিচারপতি বসু স্পষ্ট সুরে বলেন, ‘এই জঙ্গলের নিয়ম চলতে পারে না। এটা শেষ হওয়া দরকার। শিক্ষা দফতরের নিয়ম কার্যকর করা প্রয়োজন।’ যদিও কেন ওই শিক্ষকের বদলির আবেদনে শিক্ষা দফতর (Education Department) সায় দেয়নি। আদালতকে সে ব্যাপারে অবগত করা হয়েছে।

দফতরের যুক্তি, 'ওই স্কুলে অঙ্কের আর কোনও শিক্ষক নেই। তাই তাঁকে বদলি দেওয়া যাচ্ছে না।' এই সওয়াল-জবাব শুনে হাইকোর্ট দুটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, ১) একটি স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক থাকছে না, সেটা যেমন বিপজ্জনক। ২) ছাত্রহীন স্কুলে শিক্ষকদের ফেলে রাখাও শিক্ষাব্যবস্থার জন্য বিপজ্জনক।

বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, 'একটি জেলায় যদি কোনও ছাত্র-শূন্য স্কুল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি করে অন্য কোনও পার্শ্ববর্তী জেলার ভরা স্কুলে পাঠানো হয়, তাহলে তাঁকে সেখানে গিয়েই পড়াতে হবে।' অর্থাৎ আসি যাই, মাইনে পাই বন্দোবস্ত চলবে না। এমনটাই মত দিয়েছে হাইকোর্টের।

এদিন রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, 'শিক্ষা দফতর ট্রান্সফার দিলে অনেক সময়ে আদালতের নির্দেশে শিক্ষক-শিক্ষিকারা তা কার্যকর করছেন না। আবার অনেক সময়ে আদালতে মামলা করে নিজেদের সুবিধা মতো বদলি নিয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ।'

এ ব্যাপারে আদালত রাজ্য সরকারকে আরও কড়া হওয়ার কথা বলেছে। হাইকোর্টের নির্দেশ, 'কাউকে বদলি করা হলে সাত দিনের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে। না হলে বিভাগীয় পদক্ষেপ করতে পারবে শিক্ষা দফতর।' রাজ্য সরকার শিক্ষক বদলির জন্য ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল চালু করেছিল। আপাতত সেখানে আবেদন জানানোও বন্ধ রয়েছে। তার মধ্যেই এদিন শিক্ষক বদলি নিয়ে এহেন কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের।

one year ago


Education: পুঁথিগত শিক্ষাই কি প্রকৃত শিক্ষা, ডিগ্রি অর্জনই শেষ কথা?

সৌমেন সুর: পুঁথিগত শিক্ষাকেই আমরা অনেক সময় প্রকৃত শিক্ষা বলে মনে করি। যেকোনও ভাবে ডিগ্রি পাওয়াটাকেই শিক্ষিত শ্রেণির মানুষ বলে গণ্য করি। আসলে প্রকৃত শিক্ষা অন্ধ সংস্কার, প্রথাচারের আবরণ ভেদ করে সত্যের উন্মেষ ঘটায়, মনুষ্যত্বের জাগরণই যথার্থ শিক্ষা। শিক্ষা মানুষকে মার্জিত করে, সহনশীল করে, বিনয়ী করে। শুভবোধে উদ্দীপিত করে। মনের ক্ষুদ্রতা, স্বার্থপরতাকে বিনষ্ট করে।

প্রকৃত শিক্ষার আলোতে মানুষ যখন মানুষ হয়ে ওঠে, তখন জাতি, ধর্ম, বর্ণের অভিমান ঘুচে যায়। বর্তমানে শিক্ষার মেরুদণ্ডকে প্রাণসুলভ আবহাওয়ায় মণ্ডিত না করলে প্রজন্ম অনেক পিছিয়ে পড়বে। বুঝতে হবে, অনেক ধৈর্য, অনেক পরীক্ষার মধ্য দিয়েই শিক্ষাকে সত্য করে তুলতে হয়। আমরা বই মুখস্থ করে বিদ্যা জাহির করতে পারি, কিন্তু বইয়ের বিদ্যাকে জীবনে যথার্থ করে তুলতে পারি না। শুধু বোল মুখস্থ করে বাদক হওয়া যায় না, প্রকৃত বাদক হতে গেলে বোলকে অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে আয়ত্ত করতে হবে। তবেই তা হবে প্রকৃত শিক্ষা।

one year ago
Fees: বকেয়া স্কুল ফিজ, দাদরে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হল না দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে

বেতন বকেয়া (Fees Unpaid)। এর ফলে পরীক্ষায় বসতে দিল না দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে (Class 2 Student)। ক্লাসের বাকি ছাত্রছাত্রীরা যখন পরীক্ষা দিচ্ছে, তখন ৮ বছরের ওই শিশুকে বসিয়ে রাখা হল আলাদা। এমনকি ওই শিশুকেও শোনানো হয়েছে নানা কথা। এই ঘটনার কথা জানিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং শ্রেণিশিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন শিশুর অভিভাবক।

ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের দাদর এলাকায়। জানা গিয়েছে, গত বুধবার ইউনিট টেস্ট ছিল ছাত্রীর। কিন্তু কিছু বেতন বাকি থাকায় পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে ক্লাসের বাকিদের সঙ্গেও বসতে দেয়নি। আলাদা করে বসিয়ে রাখা হয়েছিল শাস্তিস্বরূপ। এতে তাঁর মেয়ের মনে প্রভাব পড়েছে। এরপরই তিনি পুলিসের দারস্থ হন।

অভিযুক্ত স্কুলপ্রধান এবং শ্রেণিশিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা আইনের ৭৫ নম্বর ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই ধারায় কোনও ব্যক্তিকে তখনই দোষী সাব্যস্ত করা হয়, যখন তিনি কোনও শিশুর দায়িত্বে থাকেন এবং তাকে আঘাত, পরিত্যাগ বা ইচ্ছাকৃত ভাবে অবহেলা করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।  তবে এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

one year ago


Court: বেআইনি আবেদনপত্র মামলায় শিক্ষা সচিবের মুখে ব্রাত্য বসুর নাম, কী বললেন তিনি?

তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রতীক ও দল হিসেবে তাদের অনুমোদন প্রত্যাহারের ইচ্ছাপ্রকাশ, নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) এই বিষয়ে জানানোর ভাবনা পর্যবেক্ষণের সুরে করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেনামী আবেদনপত্র মামলায় শুক্রবার কোর্ট নির্দেশে হাজিরা দেন শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরেই পর্যবেক্ষণের সুরে এই মন্তব্য বিচারপতির (Justice Ganguly)। তিনি জানান, 'হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই, না হলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। কিছু দালাল যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত, তাঁরা আদালতের (Calcutta High Court) নামে যা ইচ্ছা বলছেন। বলছেন যে নিয়োগ হলেই আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছে। আদালত কি এগরোল নাকি যে আসলেই স্থগিতাদেশ পেয়ে যাবে?' ক্ষোভের সুরে এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও এদিন এজলাসে তিনি জানান, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এসেছে। আমি মানি, তাই আমি এই মামলায় কোনো নির্দেশ দিতে পারছি না। আজকের কোনও রেকর্ড আমি রাখতে পারবো না। 

তবে এদিন এজলাসে শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে বেনামী আবেদনপত্র মামলায় অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ বা সুপার নিউমেরিক পোস্ট সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রশ্ন করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, 'আপনি কি জানেন যে কমিশনের আইন অনুযায়ী কোন বেআইনি নিয়োগ করা যায় না?' শিক্ষা সচিব জানান, 'হ্যাঁ।' তারপরেই আদালতের প্রশ্ন, 'তাহলে অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল?' জবাবে শিক্ষা সচিব জানান, উপযুক্ত স্তর থেকে নির্দেশ এসেছিল। ব্রাত্য বসুর নির্দেশ এসেছিল। তিনি আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিল। আমাদের আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের  সঙ্গে কথা হয়েছিল। আইন দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। মুখ্যসচিবকে জানানো হয়েছে, ক্যাবিনেটে নোট পাঠানো হয়েছে।' পাল্টা বিচারপতি প্রশ্ন করেন, 'অবৈধদের নিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা?' 


শিক্ষা সচিবের তরফে জবাব আসে 'না'। বিচারপতির প্রশ্ন, 'আপনার কি মনে হয় না যে অবৈধদের বাঁচানোর জন্য এই অতিরিক্ত শূন্যপদ? অবৈধদের সরানোর কোন সিদ্ধান্ত হয়েছিল?' এই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা সচিব জানান, 'আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।' এরপরেই বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতির প্রশ্ন, 'আমি বিস্মিত যে কীভাবে ক্যাবিনেটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? যেখানে আইনের কোন সংস্থান নেই। আপনি কী মনে করেন যে অবৈধদের চাকরি বাঁচানো দরকার?' জবাবে শিক্ষা সচিব জানান, 'না'।

এরপরেই আদালতের প্রশ্ন, 'কোন ক্যাবিনেটে এই সিদ্ধান্ত হয়?' মণীশ জৈন উত্তরে জানান, আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।' বিচারপতির প্রশ্ন, 'এটা কোনও রাজ্যের নীতি হতে পারে? আবার বলা হচ্ছে যে কারও চাকরি যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে আবেদন দাখিল করার কোন লিখিত নির্দেশিকা নেই। অতিরিক্ত প্রায় ২৬২ কোটি টাকা কেন প্রতি বছর ব্যয় করা হবে এই অযোগ্যদের জন্য।' জবাবে শিক্ষা সচিব বলেন, 'আমরা অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গেও এবিষয়ে কথা বলেছি।' 

এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, 'আপনার কি মনে হয় না যে ক্যাবিনেট এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংবিধানবিরোধী কাজ করেছে? ক্যাবিনেটের সদস্যরা সই করলেন? কেউ তাঁদের সতর্ক করলেন না?' মণীশ জৈন জবাবে বলেন, 'আমি সেখানে ছিলাম না।' এরপরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতির পর্যবেক্ষণের সুরে বার্তা, 'হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই, না হলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। ক্যাবিনেটকে বলতে হবে অযোগ্যদের পাশে তারা নেই।

১৯ মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। না-হলে এমন পদক্ষেপ করা হবে যা গোটা দেশ কখনও দেখেনি। আমি ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেব। সবাইকে এসে উত্তর দিতে হবে। শোকজ করতে পারি।' তাঁর মন্তব্য, বিধানসভার দলনেতা হন মুখ্যমন্ত্রী, আর লোকসভায় দলনেতা প্রধানমন্ত্রী। আমি ইলেকশন কমিশনকে বলব তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য, দল হিসাবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব নির্বাচন কমিশনকে। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যায় না।' 

ইতিমধ্যে বেআইনি আবেদনপত্র মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য এবং এসএসসি। হাইকোর্টের ২৩ নভেম্বরের নির্দেশের উপর তিন সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য এবং এসএসসির মামলা দায়ের প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী জানান, দেশের প্রধান বিচারপতির এজলাসে জরুরি ভিত্তিতে এই মামলা শোনার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তিনি গুরুত্ব বুঝে তিন সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে এবং আগামি শুনানির দিন ধার্য করেছেন। সেই মোতাবেক কলকাতা হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে। ২৩ নভেম্বর সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই তদন্ত নিয়ে এসএসসির আবেদন সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছিল, পুরো বিষয়টা স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

one year ago
Stay: এবার কর্মশিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ, কোর্ট নির্দেশে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ

এবার কর্মশিক্ষা এবং শরীরশিক্ষা (Work Education) শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী (Calcutta High Court) নির্দেশে দু'দিনের জন্য স্থগিত কর্মশিক্ষা সুপার নিউমারিক (Super Numeric Post) ৭৫০ পদে নিয়োগ। আপাতত পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। কর্মশিক্ষায় জন্য যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা কেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে বিশেষ ক্যাটেগরি। বৃহস্পতিবার জানাতে হবে আদালতকে। যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের এই মামলায় যুক্ত হয়ে যাবতীয় তথ্য দিতে হবে।

এসএসসি এই মামলায় জানিয়েছে, মামলাকারী প্রার্থীর বিএড কোয়ালিফিকেশন প্রযোজ্য নয়। তাই ৫ নম্বর কেটে নেওয়া হয়েছে। ইন্টারভিউয়ের জন্য তিনি নির্বাচিত হননি। 

সব ওয়েটিংলিস্ট প্রার্থীদের মধ্যে ইন সার্ভিস রয়েছেন। তাঁদের ক্যাটেগরি এক নয়, তাঁদের জন্য বিশেষ ছাড় রয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য জানান, সুপার নিউমারিক পোস্টে নিয়োগের সময় এসব কিছুই জানানো হয়নি। আমার মক্কেলের থেকে কম নম্বর পাওয়া ৬০ চাকরিপ্রার্থীর নাম তালিকায় রয়েছে। এই ৬০ জনকেই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। পরে ২০১৭ সালের জুন মাসে শুধুমাত্র কর্মশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৮ সালের মার্চে ইন্টারভিউ (পার্সোনালিটি টেস্ট) হয়। চলতি বছর অক্টোবরে শারীরিক শিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ে অতিরিক্ত পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এসএসসি। তারপরেই একটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে।

মামলাকারী তথা চাকরিপ্রার্থী সোমা রায়ের অভিযোগ, গত ৩ নভেম্বর কর্মশিক্ষা বিষয়ে যে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ প্রকাশ করেছে এসএসসি, তাতে তাঁর নাম নেই। তিনি তফশিলি জাতিভুক্ত। লিখিত পরীক্ষা এবং পার্সোনালিটি টেস্ট মিলিয়ে ৭২ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় ৫৪ পেলেও। ‘অ্যাকাডেমিক স্কোরে’ ২২-এর পরিবর্তে তাঁকে ১৮ নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সোমার। তাঁর মোট নম্বর হওয়ার কথা ৭৬।

পর্ষদের উদ্দেশে কোর্টের মন্তব্য, 'পাশ করেননি যারা তাঁদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করছেন। এতে পড়ুয়াদের হেনস্থা হতে হবে। কীভাবে মেধাতালিকা এবং ওয়েটিং লিস্ট তৈরি জানতে চায় আদালত। আগে পর্ষদ পরিষ্কার করুক, যারা নিয়োগ পেয়েছেন সঠিক পথে পেয়েছেন। তারপরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।'

2 years ago
Paresh: একসপ্তাহে দ্বিতীয়বার ইডি দফতরে পরেশ অধিকারী, শুক্রবার মেয়ে অঙ্কিতাকে নিয়ে এলেন

শুক্রবার সকন্যা সিজিও কমপ্লেক্সে এলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary)। চলতি সপ্তাহে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ইডি (ED) দফতরে দ্বিতীয় হাজিরা। সোমবার প্রায় ৪ ঘণ্টা নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের (Recruitment Case) তদন্তে পরেশ অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ মেয়ে অঙ্কিতাকে নিয়ে সিজিওয় হাজিরা দেন প্রাক্তন মন্ত্রী। যে অভিযোগে পরেশ অধিকারী এবং তাঁর মেয়ে বিদ্ধ, সেই অভিযোগ আদৌ টাকার লেনদেন হয়েছিল কিনা? হলে কত টাকার লেনদেন হয়েছিল? কারা এই লেনদেনের সঙ্গে জড়িত?

এসব প্রশ্নের উত্তর বাবা-মেয়ের থেকে জানতে পারে ইডি। শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকায় বাবার প্রভাবে অঙ্কিতার চাকরি পাওয়ার ঘটনায় সরগরম হয়েছিল বাংলার রাজনীতি। হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যে চাকরি গিয়েছে অঙ্কিতার। সোমবার পরেশ অধিকারী মূলত ইডির থেকে কিছু নথি ফেরত নিতে এসেছিলেন। তাঁর বাড়ি থেকে ইডি অভিযান চালিয়ে যে যে নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল, সেগুলো ফেরত নিতে এসেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী। এমনটাই সূত্রের খবর।

এদিন আবার পরেশ অধিকারীকে মানিক ভট্টাচার্যের বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারে ইডি। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ-কাণ্ডে ব্যাপক বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। সে বিষয়ে পরেশ অধিকারী কিছু জানতেন কিনা, প্রশ্ন করতে পারে ইডি। পাশাপাশি অঙ্কিতা এবং পরেশের বয়ান পৃথকভাবে রেকর্ড করে, পরে সেই বয়ান খতিয়ে দেখতে পারেন কেন্দ্রীয় সংস্থা।

2 years ago


Alipurduar: সময়ে আসেন না শিক্ষিকারা, প্রতিবাদে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ

সময়মত আসেন না শিক্ষিকারা (teacher)। বারবার জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র (Child Education Centre)। আর এর ফলেই বড় সিদ্ধান্ত অভিভাবকদের। গত শুক্রবার থেকে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে সরব অভিভাবকরা। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার এক নম্বর ব্লকের চকয়াখেতি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নাওথোয়াটারি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের।

জানা যায়, কালীপুজোর ছুটির পর কেন্দ্রটি খুললেও উপস্থিত নেই দায়িত্বপ্রাপ্ত দু'জন শিক্ষিকা। তাই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা শুক্রবার তালা ঝুলিয়ে দেয় ওই কেন্দ্রে। ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্র বর্তমানে ২ জন শিক্ষিকাই রয়েছেন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিদিনই দেরি করে কেন্দ্রে আসেন। পুজোর পরে শুক্রবার বিদ্যালয় খুললেও শিক্ষিকাদের দেখা নেই। তাই অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে। পাশাপাশি ওই কেন্দ্রে পড়াশোনার মান ভালো নয় বলেও জানান অভিভাবকরা। এমনকি মিড ডে মিলও ঠিক মত চালান না শিক্ষিকারা, এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

মঙ্গলবার ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের সামনে ফের বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে ওই কেন্দ্রের শিক্ষিকা দু'জনেই জানান, তাঁরা অসুস্থ। ঘটনার খবর পেয়ে ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে আসেন আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লকের সমিতি এডুকেশন অফিসার প্রণব সরকার। তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রটি সঠিকভাবে চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি শিক্ষিকাদের চূড়ান্ত সতর্ক করে যান যাতে পরবর্তীতে এই ঘটনা না ঘটে।আধিকারিকের আশ্বাসে গ্রামবাসীরা ওই কেন্দ্রের তালা খুলে দেন। 

2 years ago
Philosophy: এ কোন সম্প্রীতি!

সুজিত সাহা:  একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ, জাতি দাঙ্গা, ধর্ম,গোত্র নির্বিশেষে আর্থ-সামাজিক শ্রেণি বৈষম্য, ভাবলেও আশ্চর্য লাগে। চারিদিকে শুধু বিভেদ আর অশান্তি। শিক্ষা প্রযুক্তিতে মানুষ এগোলেও, মানুষ অন্তরের প্রকৃত শিক্ষায় সমৃদ্ধ করতে পেরেছে কি? অনুভূতি, প্রেম, মানবিকতা সবই যেন মেকী, লোকদেখানো।

আমার মনে কয়েকটা প্রশ্ন বারেবারে উঁকি দেয়- যদি মানুষের জন্য ধর্ম হয়, তবে মানুষে মানুষে ধর্ম নিয়ে এত হাতাহাতি কেন? অথবা ধর্মটাই যদি মানব ধর্ম হত, এত হানাহানি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিষ কি ছড়াতো? আসলে আমরা সত্যিই মানুষ হয়ে উঠতে পেরেছি কি? যে বিশেষ গুণগুলো থাকলে মানুষ হওয়া যায়, তার একটাও আত্মস্থ করতে কি পেরেছি?

ধর্মগুরু ও রাজনীতিকদের ব্যবসায়িক মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ধর্ম। তারা দাবার বোড়ের চালের মতো ব্যবহার করছে আমাদের। আর ধর্মভীরু মানুষগুলো তাদের ফাঁদে পা দিয়ে দেশ, জাতি,ধর্ম সমগ্র ব্যবস্থাটেকে তমসাচ্ছন্ন করে তুলছে। একটু সহনশীল, সৎ, বিজ্ঞানভিত্তিক চেতনা নিয়ে একে অন্যের পাশে দাঁড়ালেই অন্যায় স্ফীত হয়ে যাবে।

উপর উপর যতই সৌভ্রাতৃত্বের ছবি ছাপা হোক না কেন? গোড়ায় গলদ থেকেই যাবে। মানুষে মানুষে সহমর্মিতাবোধ গড়ে তুলতে গেলে মানবিক মূল্যবোধের ও বিজ্ঞান শিক্ষার অপর জোর দেওয়া উচিত। ধর্মগুরুদের অসত্য মিথ্যার প্রয়োগ, অন্যের ধর্মকে ছোট করে দেখানোর প্রভাব বর্তমানে বেড়েছে। এটা যে আগামী দিনে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে,তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ধর্মের ধ্বজায় অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে অচিরেই ছিনিয়ে নিয়ে, তা মনব জাতির মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা হোক।

2 years ago


Dharmendra: 'নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেও জবাব পায়নি', কলকাতায় মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর

বাংলায় চলা শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) ব্যবস্থা নিতে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata) চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু এখনও সেই চিঠির কোনও জবাব পেলাম না। শুক্রবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Union Education Minister)। খড়গপুর আইআইটির অনুষ্ঠানে যোগদানের সঙ্গে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিন সকাল শহরে পা রেখেই দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এরপরেই মন্দিরে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের সামনে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী।

তিনি জানান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে বাংলায় এতকিছু হয়ে গেল। কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে, বড় কর্তা, মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পরেও রাজ্য সরকার এখনও কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে যাচ্ছে। আর কত সময় লাগবে তরুণদের ন্যায় পেতে? এসব প্রশ্নের জবাব চেয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলে একটা চিঠি পাঠিয়েছিলাম গত অগাস্ট মাসে। কিন্তু এখনও জবাব পাইনি।

তাঁর মন্তব্য, 'এই দুর্নীতি-কাণ্ডে মন্ত্রী, উপাছারজ-সহ সবাই জড়িত। এই দুর্নীতি-কাণ্ড মানুষের দরজা পর্যন্ত পৌঁছে গণতান্ত্রিক উপায়ে এই সরকারকে সরানোই লক্ষ্য।' কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, 'বাংলায় নানা খাতে পাঠানো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়েও দুর্নীতি হয়, সরকার আর পার্টি এক হয়ে যায়। এমনকি, সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকাতেও নয়ছয় লক্ষ্য করা গিয়েছে।'

যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই দাবি সর্বৈব মিথ্যা এই দাবি করে কুণাল ঘোষের প্রস্তাব, 'ধর্মেন্দ্র প্রধান ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে বিদ্ধ মধ্যপ্রদেশ কিংবা সরকারি সিদ্ধান্তে ১০ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়া ত্রিপুরায় গিয়ে এসব বলুন। ডবল ইঞ্জিন সরকার যেখানে যেখানে ইন্যম করেছে সেখানে যান।  বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে অনেক উন্নতি করেছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে। ধর্মেন্দ্র প্রধান সত্যের অপলাপ করেছেন।' কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, 'অযোগ্য বঙ্গ বিজেপির নেতারা নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল তথ্য দিয়ে ভুল বলান। ধর্মেন্দ্র প্রধানজি ভালো করে খোঁজ নিক।

2 years ago
SSC: 'আমার দায় নেই, দফতর কর্তাদের বিশ্বাস করতাম', নিয়োগ-কাণ্ডে সিবিআইকে জানালেন পার্থ

সিবিআই হেফাজতে (CBI Custody) থাকা পার্থ  চট্টোপাধ্যায়কে (Parth Chatterjee) ৫ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। সেখানে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এবং নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের (Recruitment Scam) দায় এড়ান তিনি। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের অন্ধ বিশ্বাস করেছিলাম। সিবিআই জেরায় এই মন্তব্য করেছেন তিনি। সূত্রের খবর তিনি জানান, শিক্ষা দফতর (Eductaion Scam) থেকে যে ফাইল আসতো শুধুমাত্র সেই ফাইলে সই করতাম। তাই দফতরের করা কোনও দুর্নীতির দায়ভার নিতে তিনি রাজি নয়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই স্বীকারোক্তির পরেই শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। প্রয়োজনে প্রাক্তন মন্ত্রীর মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা।

এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতারের প্রায় ৬০ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেবে ইডি। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি এবং অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট মিলিয়ে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হতে পারে।  সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে চার্জশিট জমা দেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

ইতিমধ্যে ২২ জুলাই দিনভর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এই তদন্তে অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা নগদ-সহ সোনার গয়না এবং বিদেশি মুদ্রা। গত প্রায় দু'মাস তদন্ত চালিয়ে পার্থ এবং অর্পিতার একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। কয়েক কোটি টাকার এলআইসি পেপার বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় এই সম্পত্তি কিনা খতিয়ে দেখেই চার্জশিট জমা ইডির।

2 years ago
CU: সিইউ-র উপাচার্য পদে সোনালীর পুনর্বহাল খারিজ হাইকোর্টে, পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) উপাচার্য পদে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্বহাল খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার উচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে (Spureme Court) যাচ্ছে রাজ্য। মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায় সামনে আসতেই বৈঠক করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং শিক্ষামন্ত্রী। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Vice Chancellor) রাখতে শীর্ষ আদালতে দরবার করবে তাঁরা।

এদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় দফার নিয়োগ অবৈধ। মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে সরানোর নির্দেশ আদালতের।

২০২১ সালের ২৭ অগাস্ট তাকে পুনরায় উপাচার্য পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষা দফতর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সিদ্ধান্ত খারিজ করলো হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় উপাচার্য হিসেবে সোনালীদেবীর পুণরায় নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। তাঁর অভিযোগ, 'নিয়োগ প্রক্রিয়া মেনে দ্বিতীয় দফায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুনরায় বহাল করা হয়নি। এই নিয়োগ নিয়ে অজ্ঞাত রাজ্যপালও।'

যদিও বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষের আইনজীবী তাঁদের মতো করে যুক্তি সাজানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু মামলাকারীদের যুক্তি এবং তথ্য-প্রমাণকে মান্যতা দিয়ে পুনরায় নিয়োগ খারিজ করে মহামান্য আদালত।

2 years ago


TET: টেট পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অন্দরে

নতুন প্রাথমিক টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট-এর (TET) প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অন্দরে। জেলাভিত্তিক পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা জরুরিভিত্তিতে চেয়ে পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবারই প্রতিটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এই তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি (Ratna Chakraborty Bagchi)।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল (Gautam Pal) জানান, "আমরা প্রস্তুতি শুরু করছি। কবে হবে জানি না। কিন্তু, যদি পরীক্ষা নিতে হয়, তা ধরে সেভাবেই এগোতে হবে। শেষ পর্যন্ত কত প্রার্থী আবেদন করল, সেই অনুযায়ী পরীক্ষাকেন্দ্র স্থির করব, আমি সেই পদ্ধতিতে হাঁটি না। আমি ভেবে কাজ করি, করে ভাবি না। তাই আগে পরিকল্পনা করি। তারপর তা কার্যকর করি।"

প্রসঙ্গত, পর্ষদের তরফে সংসদ চেয়ারম্যানদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী টেট পরীক্ষার জন্য জেলাভিত্তিক পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তালিকা পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। নির্বাচিত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির ভালো পরিকাঠামো ও পর্যাপ্ত পরিবহনের সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে। কোন পরীক্ষাকেন্দ্রে কত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তাও জানাতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদের দায়িত্ব গ্রহণের দিনই গৌতম পাল বলেছিলেন, "আমি চাই প্রত্যেক বছর টেট পরীক্ষা হোক এবং নির্দিষ্ট সময়ে হোক।"

তিনি জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের টেট পরীক্ষা হবে কিনা তা নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে, জরুরিভিত্তিতে জেলাভিত্তিক পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা চেয়ে পাঠানো টেট পরীক্ষা হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করছে।

2 years ago