Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

ECI

Mushroom: বাড়িতে বানান সুস্বাদু নিরামিষ পদ মাশরুম মটর

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: গত একমাস উৎসবের মরশুমে অনেক আমিষ খাবার খাওয়া হয়েছে। এবার একটা সুস্বাদু নিরামিষ পদ রান্না করে বাড়ির লোকেদের খাইয়ে ও নিজে খেয়ে দেখতে পারেন। আর যারা নিরামিষ খাবার খেয়ে থাকেন বা নিরামিষ খাবার খেতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্যে এই স্বতন্ত্র নিরামিষ পদটি খুবই ভাল। চাইলে বাড়িতে বানিয়ে খাইয়ে ও খেয়ে দেখতে পারেন। মাশরুম মটর তৈরির পদ্ধতি---  চারশো গ্রাম বাটন মাশরুম চার খণ্ড করে কেটে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এবার একটি পাত্রে মাশরুম গুলো রেখে ওর মধ্যে। দুই টেবিল চামচ হোয়াইট ভিনিগার দিয়ে ভিনিগার মাশরুমের গায়ে ভাল করে মাখিয়ে আধ ঘণ্টা আলাদা করে রাখুন।

চারশো গ্রাম আধ সিদ্ধ কড়াইশুটি একটি পাত্রে নিয়ে তার মধ্যে এক টেবিল চামচ সোয়া সস ঢেলে  কড়াইশুটির গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। আধ ঘণ্টা আলাদা করে রাখুন।

আধ ঘণ্টা বাদে কড়া আঁচে বসিয়ে আট টেবিল চামচ দেশী ঘি গরম করে দুই টেবিল চামচ রসুন কুচি ও এক টেবিল চামচ স্প্রিং ওনিয়ন কুচি দিয়ে মিনিট দুয়েক ভাজুন। এবার ওর মধ্যে একশো গ্রাম সরু লম্বা লম্বা করে কাটা গাজর দিয়ে মিনিট দেড়েক নেড়ে ভেজে নিন। এবার ম্যারিনেট করা মাশরুমগুলো ওর মধ্যে দিয়ে মিনিট তিনেক নেড়ে ভেজে নিন। চারটে মাঝারি ক্যাপসিকাম (স্লাইজ করে কেটে নিন) দিয়ে মিনিট খানেক নেড়ে ভেজে নিন।

এবার ওর মধ্যে ম্যারিনেট করা অর্ধেক সিদ্ধ কড়াইশুটিগুলো দিয়ে নেড়ে মিনিট দেড়েক ভাজুন। এবার ওর মধ্যে আন্দাজমতো নুন, এক টেবিল চামচ টমেটো কেচআপ, এক চা চামচ চিলি সস দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষণ রান্না করুন। এক টেবিল চামচ  কর্নফ্লাওয়ার জলে গুলে ওর মধ্যে দিয়ে মিনিট খানেক নেড়ে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেলে উপর থেকে ছোট এক মুঠো স্প্রিং ওনিয়ন কুচি ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আঁচ থেকে নামিয়ে গরম গরম রুটি বা পরোটা সহযোগে পরিবেশন করুন।

2 years ago
Burger: বাড়িতে বানান সুস্বাদু হানি গারলিক চিকেন, জানুন রেসিপি

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়:চিকেনপ্রেমীরা বাড়িতে স্বচ্ছন্দে সুস্বাদু গ্রিল চিকেন বানিয়ে বাবাগানুশ সহযোগে বার্গার বানে পুড়ে জমিয়ে খেতে পারেন। বাড়িতে কেউ এলে তাদের বানিয়ে দিলে তাঁরাও খুশি হবেন। হানি গারলিক গ্রিলড চিকেন উইথ বাবাগানুশ তৈরির পদ্ধতি: দুশো গ্রাম করে দুটো বোনলেস চিকেন ব্রেস্ট (মোট চারশো গ্রাম) নিয়ে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছুন। এবার ধারালো ছুরির সাহায্যে প্রতিটি চিকেন ব্রেস্টের গায়ে লম্বা লম্বা করে ভাল করে চিড়ে দিন। আন্দাজমতো নুন ও দুই টেবিল চামচ সাদা ভিনিগার দুটো চিকেন ব্রেস্টের গায়ে ভাল করে মাখিয়ে ঘন্টা দুয়েক আলাদা রাখুন।

ঘন্টা দুয়েক বাদে চিকেন ব্রেস্ট দুটো জলে ভাল করে ধুয়ে ভিনিগার ও নুনের মিশ্রণটা পরিষ্কার করুন। এবার দুটো চিকেন ব্রেস্টের গায়ে এক চা চামচ, কালো গোল মরিচের গুঁড়ো ও আন্দাজমতো নুন ছড়িয়ে দিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মাখুন। নন স্টিকি ফ্রাইংপ্যান আঁচে বসিয়ে তিন টেবিল চামচ মাখন গলিয়ে সারা প্যান ছড়িয়ে দিন। এবার ওর মধ্যে তিন টেবিল চামচ রসুন কুচি দিয়ে হালকা ভাজুন।

এবার চিকেন ব্রেস্ট দুটো দিয়ে মাঝারি আঁচে গ্রিল করুন। এক পিঠ হয়ে গেলে উলটো  পিঠে ভালো করে গ্রিল করুন। চিকেন নব্বই ভাগ পেকে গেলে ওর মধ্যে পাঁচ টেবিল চামচ মধু  ছড়িয়ে দিয়ে উল্টে পাল্টে গ্রিল করুন। এক টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। চিকেন সম্পূর্ন পেকে গেলে প্যান থেকে তুলে আলাদা করুন।


বাবাগানুশ তৈরির পদ্ধতি--- মিক্সির মধ্যে একটা বড় সাইজের বেগুন পোড়া (খোসা ছাড়িয়ে), দশটা রসুনের কোয়া, একশো গ্রাম জলবিহীন ঘন টক দই, আন্দাজমতো নুন, চার টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল দুটো কাচা লঙ্কা নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে একটা পেস্ট বা মিশ্রণ তৈরি করুন। তৈরি হয়ে গেল বাবাগানুশ । মিক্সি থেকে বার করে আলাদা করে রাখুন। এবার দুটো বার্গার বানের মাঝ বরাবর ছুরির সাহায্যে কাটুন। বার্গার বানের ভিতরে পুরু করে বাবাগানুশ (মাখন মাখানোর মত করে) মাখিয়ে নিন। এবার এক একটা গ্রিল করা চিকেন ব্রেস্ট এক একটা বার্গারের মধ্যে পুড়ে বার্গারের মতো পরিবেশন করুন।

2 years ago
Childhood: ফিরে দেখা শৈশব

সৌমেন সুর: নেই সেই আইসক্রিম, নেই সেই হজমি কেনার ছুট, নেই সেই এক মুঠো সোনালী শৈশব। এখন সবকিছুই ফিকে। আছে শুধু সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পড়ার চাপ আর শাসনের ভ্রুকুটি। চোখের সামনে ফুটে ওঠে কবি ভবানীপ্রসাদের কয়েকটা লাইন। " কেউ বলে না তোমরা সবাই ফুলের মতো ফোটো/ কেউ বলে না সত্যিকারের মানুষ হয়ে ওঠো/ একটা কথা রাখবে মনে মাস্ট/ সবকিছুতেই হতেই হবে ফার্স্ট।" ফার্স্ট হওয়া ছাড়া মা-বাবার মুখে যেন অন্য কথা নেই। যেমন করে হোক তোমাকে ফার্স্ট হতেই হবে।

অদ্ভুত লাগে এই সময়কে। আমরাও তো একসময় শিশু ছিলাম। কত রকম খেলা খেলেছি শৈশবে। আবার নিয়মের বেড়াজালে মানুষ হয়ে শাসনের মতো বার্তাও পালন করেছি। তবে শাসন সেই সময় ছিল একটু অন্য ধাঁচে। সেটা শৃঙ্খলায় ভরা এক নরম গরম স্বভাবের শাসন। মন চলে যায় শৈশবে। ধুলোবালি মেখে নিজেকে ফিরে দেখার সেই শৈশব। অজান্তে আকাশের পানে চলে যায় মায়াবী চোখ। নীলাকাশে খন্ড খন্ড মেঘগুলো দেখে মনে হয়— আমারই মতো সবাই শৈশবে ফিরে পেতে চায়। সবাই ব্যস্ত। শুধু ছুট-ছুট আর ছুট। অর্থই কি জীবনের লক্ষ্য? এই যন্ত্রের চাকায় প্রতিমুহূর্তে মরে যাচ্ছে আমাদের মন। লোকদেখানো আর যান্ত্রিকতাই হয়েছে মূল লক্ষ্য।

শিক্ষা উদারতা আনে। শান্তি জীবনকে তৃপ্তি দেয়।  এ কোন সময়! যেখানে আদর্শ, সারল্য এই শব্দগুলো হারিয়ে যাচ্ছে সোনালী শৈশবের মতো। যেন রাতের তারারা লুকিয়ে আছে দিনের আলোর গভীরে। শব্দ নেই, গুঞ্জন নেই। বেঁচে আছে মৃতের মতো।

2 years ago


Murgi: বাড়িতে বানান সুস্বাদু গোলমরিচ মুরগি

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: চিকেনের চিরাচরিত পদের বাইরে ভিন্ন স্বাদের কোন পদ তৈরি করতে চাইলে বাড়িতে বানাতে পারেন গোলমরিচ মুরগি।  কোনও উৎসবে বা ছুটির দিনে বাড়িতে আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধব এলে তাঁদের এই চিকেনের পদ তৈরি করে খাইয়ে ও নিজে খেয়ে তৃপ্ত হতে পারেন। গোলমরিচ মুরগি তৈরির পদ্ধতি: এক কেজি ড্রেসড চিকেনের দশটি খণ্ড করে নিন। চিকেন জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছে নিন। একটা পাত্রে দুশো গ্রাম ঘন টক দই, দুই টেবিল চামচ রসুন বাটা, এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক টেবিল চামচ কালো গোল মরিচের গুঁড়ো ও আন্দাজমতো নুন দিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন।

এবার এই মিশ্রণের মধ্যে চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে ভাল করে হাতের সাহায্যে খণ্ডগুলোর গায়ে মাখিয়ে নিন। মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো ঘন্টাদুয়েক আলাদা করে রাখুন।  দুই ঘন্টা বাদে কড়া আঁচে বসিয়ে একশো গ্রাম মাখন গরম করে তিনটে তেজ পাতা ফোড়ন দিন। এবার মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে ভাল করে নেড়ে নীভু আঁচে মিনিট দশেক ভাজুন। এবার ওর মধ্যে এক চা চামচ গোটা কালো গোল মরিচ দিয়ে আরও মিনিট সাতেক নেড়ে ভেজে নিন। এবার দুটো মাঝারি টমেটো কুচি ও আন্দাজমতো নুন দিয়ে ক্রমাগত নেড়ে কষে নিন, যতক্ষণ না টমেটো গলছে। এবার এক কাপ ক্রিম ও এক চা চামচ পেষাই করা কালো গোল মরিচ দিয়ে মিনিট চারেক কষান। চিকেন পেকে গেলে ওর মধ্যে এক চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো ও ছোট এক মুঠো ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে নাড়ুন। আঁচ থেকে নামিয়ে রুটি, পরোটা বা পোলাও সহযোগে গরম গরম পরিবেশন করুন।

2 years ago
Kebab: সামনেই ভাইফোঁটা, বাড়িতে বানান সুস্বাদু ভেটকি মাছের কাবাব

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: আর কয়েকদিন বাদেই ভাইফোঁটা। আর ভাইফোঁটা মানেই রকমারি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। ভাইদের জন্যে বিশেষ কিছু পদ তৈরি হলেও তার ভাগ পান সবাই। এবার ভাইফোঁটায় অন্য খাবারের সঙ্গে বানাতে পারেন ভেটকি মাছের কাবাব। ভেটকি মাছের কাবাব তৈরির পদ্ধতি: এক কেজি বোনলেস ভেটকি মাছের ফিলের থেকে চৌকো চৌকো দশটি খণ্ড করে নিন। খণ্ডগুলো জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল মুছে নিন। মাছের খণ্ডগুলোর গায়ে তিনটে পাতি লেবুর রস ও আন্দাজমতো নুন মাখিয়ে মিনিট দশেক রেখে দিন।

দশ মিনিট বাদে লেবুর রস ও নুন মাখানো মাছের খণ্ডগুলো জলে ধুয়ে নিন। জল মুছে নিন। একটা পাত্রে দুশো গ্রাম ঘন টক দই, চার টেবিল চামচ কাজু বাদাম বাটা, দুটো ডিমের গোলা, আন্দাজমতো নুন, এক টেবিল চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, দুই টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, একশো মিলি ক্রিম, দুই চা চামচ জিরের গুঁড়ো, এক চামচ ধনের গুঁড়ো, দুই টেবিল চামচ সাদা তেল, বড় এক চিমটে জোয়ান নিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মেখে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।

এবার মাছের খণ্ডগুলোর গায়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মিশ্রণটা মাখিয়ে নিন। মিশ্রণ মাখানো মাছের খণ্ডগুলো দু'ঘন্টা আলাদা করে রাখুন। দুই ঘন্টা বাদে নন স্টিকি ফ্রাইংপ্যান আঁচে বসিয়ে তার মধ্যে এক টেবিল চামচ সাদা তেল, এক টেবিল চামচ দেশী ঘি ও এক টেবিল চামচ মাখন দিয়ে গলিয়ে সারা প্যানের ভিতর মাখিয়ে নিন। এবার মিশ্রণ মাখানো মাছের খণ্ডগুলো প্যানের মধ্যে বসিয়ে নিভু আঁচে একেক পিঠ শেকে নিন। এক পিঠ হয়ে গেলে উল্টে অপর পিঠ শেকে নিন। পেকে গেলে উপর থেকে একটেবিল চামচ দেশী ঘি ও একটেবিল চামচ মাখন ছড়িয়ে দিন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। একটা প্লেটের মধ্যে রেখে উপর থেকে চাট মশলা ছড়িয়ে দিয়ে পুদিনা পাতার চাটনি সহযোগে গরম গরম পরিবেশন করুন।

2 years ago


Dahi Mutton: বাড়িতে বানান সুস্বাদু দই মাটন, জানুন রেসিপি

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাঙালি মাত্রই মাটনের প্রতি বিশেষ দুর্বলতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।  মাটন, ভাত, রুটি, পরোটা, লুচি, পোলাও সব দিয়েই উপাদেয়। মাটন এর নানা পদই তো খেয়েছেন, এবার সুস্বাদু দই মটন তৈরি করে বন্ধুবান্ধব ও পরিবার, সবাইকে খাইয়ে ও নিজে খেয়ে তৃপ্ত হতে পারেন।

দই মটন তৈরির পদ্ধতি-- এক কেজি মটন দশ খণ্ড করে কেটে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। কড়া আঁচে বসিয়ে ভাতের হাতার এক হাতা দেশী ঘি গরম করে দুটো বড় এলাচ, একটা বড় দারচিনির স্টিক, সাতটা ছোট এলাচ, সাতটা লবঙ্গ ফোরন দিন। এবার চারটে মাঝারি পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামী  করে ভাজুন। এবার এক টেবিল চামচ আদা কুচি ও এক টেবিল চামচ রসুন কুচি দিয়ে নেড়ে ভাল করে ভাজুন। হালকা বাদামী রং হলে মটনের খণ্ডগুলো দিয়ে ক্রমাগত নেড়ে মিনিট দশেক নীভু আঁচে ভেজে নিন। এবার ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ ধনের গুড়ো, দেড় চা চামচ শুকনো লঙ্কার গুড়ো, হাফ চা চামচ হলুদ গুড়ো দিয়ে নেড়ে সামান্য জল দিয়ে মিশিয়ে নিন।

একটু একটু করে জল দিয়ে নীভু আঁচে মিনিট দশেক ক্রমাগত নেড়ে মাংস কষিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে দুটো মাঝারি টমেটো কুচি দিয়ে নেড়ে ভাল করে কিছুক্ষণ নেড়ে কষে নিন। টমেটো গলে গেলে ওর মধ্যে দু'শো গ্রাম টক দই ও আন্দাজমতো নুন দিয়ে ভাল করে নাড়ুন। ক্রমাগত নেড়ে মিনিট দশেক নীভু আঁচে কষে রান্না করুন। মাটন সম্পূর্ন পেকে গেলে উপর থেকে এক চা চামচ গরম মশলার গুড়ো ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আঁচ থেকে নামিয়ে ভাত, পোলাও, রুটি বা পরোটা সহযোগে গরম গরম দই মাটন  পরিবেশন করুন।

2 years ago
Crackers: সপ্তাহ ঘুরলেই কালীপুজোর আমেজ, শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণে কোথায় দাঁড়িয়ে প্রশাসন?

প্রসূন গুপ্ত: প্রায় প্রতি বছর নিয়ম করে একটি নির্দিষ্ট ডেসিবেল বেঁধে দিয়ে শব্দবাজি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা মানে কতজন? মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ রায়ের আমলে নকশাল আন্দোলন দমন করে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আপাতত শব্দবাজি বন্ধ থাকুক। সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের বক্তব্য পরিষ্কার ছিল, কোনটা শব্দবাজি আর কোনটা বোমা বোঝা মুশকিল। কাজের কাজ হয়েছিল, ৭২-এর কালীপুজোয় সতর্ক ছিল বাঙালি। এরপর শব্দবাজি নিয়ে যথেষ্ট আইন আদালত নিয়ম কানুন হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রয়াত বিচারপতি ভগবতী প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনজীবী গীতানাথ গঙ্গোপাধ্যায় শব্দবাজিতে একেবারে নিষেধাজ্ঞা না বসিয়ে শব্দের পরিমান কমিয়েছিলেন। ৯০ ডেসিবল থেকে কমে ৬৫ ডেসিবল করা হয়েছিল। প্রথম প্রথম এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে ভালোই কাজ হয়েছিল। ধরপাকড়, চিহ্নিত শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত ইত্যাদি ইত্যাদি।

বাম আমলে মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু একবার ১৯৯৭-এ নির্দেশ দিয়েছিলেন কোনও শব্দবাজি ফাটানো যাবে না। সে বছর বাংলায় একটিও শব্দবাজি পাওয়া যায়নি কালীপুজোয়। ব্যস ওই একবছর, পরের বছর থেকে ফের কালীপুজোর দিন কয়েক আগে থেকেই দুমদাম শব্দ।

ভোট বরাবর রাজনীতিতে বড় বালাই, কাজেই বাজি ফাটানো আটকাবে কে? মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অবশ্য এসব বিতর্ক থেকে দূরে থাকতেন চিরকাল। ২০১১-তে বাংলার রাজনীতিতে শাসকের পালা বদল। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিকভাবে এই শব্দবাজি, আতসবাজি নিয়ে সরকার খুব একটা মাথা গলায়নি। কিন্তু একটা সময় ক্রমেই বাড়তে থাকে শব্দের তাণ্ডব। ৬৫ ডেসিবেল ছেড়ে প্রবল শব্দবাজির আওয়াজে গমগম করতো দীপাবলি উৎসব।

এখন তো কালীপুজোর উদ্যোক্তা কোনও না কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাই শব্দবাজি আটকানোয় খানিকটা গড়িমসি প্রশাসনের। এই অভিযোগ হামেশাই করে আম জনতা। সম্প্রতি কোর্টের আদেশ তো ছিলই, তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছেন জনগণের কাছে বাজির ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত করতে। পুলিসকে দিয়েছেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ। শনিবার বিরাটি-সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিস পথে নেমেছে। মাইকিং করে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে শব্দবাজির বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। এসব তো ঠিক আছে কিন্তু রাত বাড়লে কে আটকাবে বাজি? দক্ষিণ দমদম এই বিষয়ে প্রায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবু আশায় অসুস্থ, বৃদ্ধ মানুষ, যদি কালীপুজোর আগে একটু সতর্ক এবং সক্রিয় হয় প্রশাসন।

2 years ago
Himachal: দীপাবলির মিটলেই হিমাচলে বিধানসভা নির্বাচন, দেখুন ভোট গ্রহণ-গণনার সূচি

দীপাবলির (Diwali 2022) পরে বিধানসভা নির্বাচন হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। শুক্রবার জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন (ECI)। হিমালয়ের কোলের ছোট এই রাজ্যে ভোট গ্রহণ (Assembly Poll) ১২ নভেম্বর, গণনা ৮ ডিসেম্বর। এমনটাই জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তবে আশা জাগিয়েও গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এদিন প্রকাশ করেনি কমিশন। খুব শীঘ্র সেই ঘোষণা হবে। এমনটাই কমিশন সূত্রে খবর।  নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, হিমাচলে ১৭ অক্টোবর নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি, সেদিন থেকে শুরু মনোনয়ন প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ২৯ অক্টোবর মনোনয়ন পরীক্ষা।

৬৮ আসন বিশিষ্ট হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় ভোটগ্রহণ এক দফায়। মূল লড়াই কংগ্রেস এবং ক্ষমতাসীন বিজেপির মধ্যে। এই মুহূর্তে হিমালয়ের ছোট এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। কংগ্রেসও কোমর বেঁধেছে জনগণের রায় তাদের পক্ষে আনতে। পৃথকভাবে লড়তে পারে আম আদমি পার্টি, বিএসপির মতো দলগুলো। জানা গিয়েছে, পুরোদমে শীত পড়ার আগে সে রাজ্যে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছে কমিশন। হিমাচলের ইতিহাসে প্রতি ভোটেই নিয়ম করে পালাবদল হয়ে থাকে। এই ভোটেও সেই প্রথা বজায় থাকে কিনা সবার চোখ সে দিকে।

এদিকে, শুধু হিমাচল প্রদেশ নয়, এ বছর ভোটমুখী অন্যতম রাজ্য গুজরাত। দীর্ঘ প্রায় দু'দশক পশ্চিমের এই রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি। মোদী-শাহর রাজ্য তাই আগামী দিনেও ধরে রাখার তাগিদ গেরুয়া কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। পাশাপাশি গুজরাতে বিরোধী শিবির দখল করতে চাইছে আম আদমি পার্টি। সে রাজ্যে ইতিমধ্যে যাতায়াত শুরু করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এখন দেখার জাতীয় রাজনীতিতে বহুচর্চিত এই রাজ্যের রায় কোন দিকে যায়।

2 years ago


Chicken: বাড়িতে বানান সুস্বাদু চিকেন কিমা মটর, জানুন রেসিপি

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাড়িতে নৈশভোজে রোজকার চিরাচরিত পদগুলির পাশাপাশি মাঝে মধ্যে বৈচিত্র্য আনতে চাইলে বানাতে পারেন সুস্বাদু  চিকেন কিমা মটর। রুটি বা পরোটা সহযোগে এই চিকেন কিমা মটর খেতে খুবই ভালো। হঠাৎ করে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব এলে তাদেরও বানিয়ে খাওয়াতে পারেন এই সুস্বাদু পদ।

চিকেন কিমা মটর তৈরির পদ্ধতি --- কড়া আঁচে বসিয়ে একশো গ্রাম সাদা তেল গরম করে আড়াইশো গ্রাম পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামী করে ভাজতে থাকুন ভেজে নিন। একশো গ্রাম আদা, রসুন বাটা দিয়ে মিনিট সাতেক নাড়ুন। এবার ওর মধ্যে পাঁচশো গ্রাম বোনলেস চিকেন কিমা দিয়ে ক্রমাগত নেড়ে কষাতে থাকুন। মিনিট সাতেক কষাবার পরে তেল ছাড়তে শুরু করলে ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ জিরের গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো, ছয়টা কাচা লঙ্কা কুচি ও আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ভাল করে কষান।

এবার ওর মধ্যে আড়াইশো গ্রাম টমেটো পিউরি মেশান। এবার পঞ্চাশ গ্রাম কাজু বাদাম বাটা দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে কিছুক্ষণ কষান। চিকেন কিমা পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে গেলে ওর মধ্যে সিদ্ধ করা কড়াইশুটি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে মিনিট দশেক রান্না করুন। হয়ে গেলে উপর থেকে এক টেবিল চামচ দেশী ঘি ও ছোট এক মুঠো  ধনেপাতা কুচি মেশান। আঁচ থেকে নামিয়ে রুটি বা পরোটা সহযোগে গরম গরম পরিবেশন করুন।

2 years ago
Mutton: বাড়িতে বানান মাটনের জম্পেশ পদ

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: মটনের প্রতি বাঙালির বিশেষ দুর্বলতা। যদিও শারীরিক কারণেই হোক বা মূল্যবৃদ্ধির জন্যে নিয়মিত কেউই মটন খান না। মাঝে মধ্যে ছুটির দিনে বা বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানেই বাঙালি পরিবারে মাটনের পদ রান্না করা হয়। কষা মাংস আর আলু দিয়ে মাংসের ঝোল তো অনেক খেয়েছেন, এবার একটু ভিন্ন স্বাদের মটনের পদ খেয়ে দেখতে পারেন। স্পেশাল মাটন কারি তৈরির পদ্ধতি--- এক কেজি হাড় সমেত মাটনের বারোটা খণ্ড করে জলে ধুয়ে পরিস্কার করে নিন। জল ঝড়িয়ে রাখুন। কড়া আঁচে বসিয়ে একশো পঁচিশ গ্রাম সর্ষের তেল গরম করে দুটো তেজ পাতা,  একটা বড় দারচিনির স্টিক, ছয়টা ছোট এলাচ, ফোড়ন দিয়ে দুশো গ্রাম পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামী রং করে ভেজে নিন। এবার তিন টেবিল চামচ আদা, রসুন বাটা দিয়ে ভালকরে নেড়ে মিশিয়ে ভেজে নিন। 

এবার ওর মধ্যে দেড়শো গ্রাম টমেটো কুচি দিয়ে, আন্দাজ মতো জল দিয়ে   ক্রমাগত নেড়ে কষে নিন। যতক্ষণ না টমেটোগুলো মিশে যাচ্ছে। এবার আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। দুই টেবিল চামচ শুকনো লঙ্কা বাটা, এক চা চামচ হলুদ গুড়ো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এক চা চামচ চিনি ও জল দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার একশো গ্রাম ঘন টক দই দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। ভাল করে কষে নিন। তেল ছাড়তে শুরু করলে ওর মধ্যে মটনের খণ্ডগুলো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিয়ে অল্প অল্প করে জল দিয়ে মিনিট সাতেক ভালো করে কষতে থাকুন। তেল ছাড়তে শুরু করলে ওর মধ্যে আন্দাজমতো জল দিয়ে কিছুক্ষণ নীভু আঁচে রান্না করুন। এবার কড়া থেকে ঝোল সমেত মটনের খণ্ডগুলো প্রেসার কুকারে ঢেলে দিন। নীভু আঁচে প্রেসার কুকার বসিয়ে কুক করে নিন। প্রেসারের সিটি বেজে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এবার কড়া আঁচে বসিয়ে প্রেসার থেকে সিদ্ধ করা মাংসের ঝোল ও মটনের খণ্ড গুলো দিয়ে, দুই টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ দিয়ে মিনিট দশেক কষে নিন। 

ঝোল ঘন হয়ে গেলে এবং মটন নরম হয়ে গেলে উপর থেকে দুই টেবিল চামচ ঘি ও এক চা চামচ গরম মশলার গুড়ো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেলে আচ থেকে নামিয়ে নিন। ভাত, পোলাও, রুটি, লুচি বা পরোটা সহযোগে পরিবেশন করুন।

2 years ago


Musatard Murgi: বাড়িতে বানান সুস্বাদু সর্ষে মুরগি

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: মাংসপ্রেমীরা মুরগির মাংস-ই বেশি খেয়ে থাকেন। কারণ পাঠার মাংস রোজ রোজ খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল নয়। মুরগির মাংস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর নয়, তাই মুরগির মাংসের নানা পদ খেতেই অধিকাংশ মানুষ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে একই ধরনের মুরগির পদ কেউই বেশি দিন খেতে পছন্দ করেন না। মুরগির নিত্যনতুন পদের সন্ধান করে থাকেন খাদ্যরসিকরা। মুরগির মাংসের এরকমই একটি স্বতন্ত্র পদ হলো সর্ষে মুরগি। এই পদটি স্বাদে এবং গন্ধে অতুলনীয়।

সর্ষে মুরগি তৈরির পদ্ধতি----- ৫০০ গ্রাম বোনলেস চিকেন ব্রেস্ট থেকে চৌকো চৌকো খণ্ড করে কেটে নিন। চিকেনের খণ্ডগুলো জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে মুছে নিন। একটি পাত্রে চিকেনের খণ্ডগুলো রেখে এক টেবিল চামচ আদা, রসুন বাটা ও আন্দাজমতো নুন দিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে ঘষে চিকেনের গায়ে মাখিয়ে নিন। এই অবস্থায় আধঘণ্টা রেখে দিন। আধ ঘণ্টা বাদে কড়া আঁচে বসিয়ে তিন টেবিল সাদা তেল গরম করে চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে মিনিট দুয়েক হালকা ভেজে নিন। এবার ভাজা চিকেনগুলো তুলে আলাদা করে রাখুন।

ভাজা তেলের মধ্যে এক চিমটে গোটা সাদা সর্ষে ফোরন দিন। কিউব করে কাটা দুটো মাঝারি পেঁয়াজ দিয়ে মিনিট তিনেক নেড়ে ভেজে নিন। এবার ওর মধ্যে পাঁচটা কাচা লঙ্কা কুচি, এক টেবিল চামচ ধনে ও জিরের গুড়ো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ভাজা চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। আন্দাজমতো নুন দিন। আন্দাজমতো জল দিয়ে নেড়ে নিন। এক মুঠো স্প্রিং অনিয়ন কুচি ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে নীভু আঁচে মিনিট পনেরো রান্না করুন। মিনিট পনেরো বাদে ঢাকনা খুলে দেখুন, চিকেন সিদ্ধ হয়ে গেলে চারশো মিলি নারকেলের দুধ ঢেলে আরো মিনিট পাঁচেক নীভু আঁচে রান্না করুন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে ভাত বা রুটি সহযোগে গরম গরম পরিবেশন করুন।

2 years ago
Spicy: বাড়িতে বানান মটন স্পাইসি স্পেয়ার রিবস

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: মটনের অনেক পরিচিত পদই তো রান্না করে খেয়ে থাকেন। এবার মটনের একটু স্বতন্ত্রধর্মী পদ তৈরি করে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব দের খাইয়ে ও নিজে খেয়ে দেখুন মন ভরে যেতে পারে। স্পাইসি স্পেয়ার রিবস তৈরির পদ্ধতি ----  মটনের চাপ বা পাজর অংশের এক কেজি মাংস থেকে আটটি খণ্ড করে নিন। খণ্ডগুলো জলে ধুয়ে পরিস্কার করে, জল মুছে নিন। একটি পাত্রে একশো গ্রাম পেঁয়াজ কুচি, দেড়শো গ্রাম রসুন কুচি, তিরিশ গ্রাম কাচা লঙ্কা কুচি, পঞ্চাশ গ্রাম কালো গোল মরিচের গুঁড়ো, একশো গ্রাম ধনেপাতা কুচি, এক টেবিল চামচ শুকনো লঙ্কা বাটা, ছয় টেবিল চামচ ডার্ক সোয়া সস, পঞ্চাশ মিলি মল্ট ভিনিগার, দুই চিমটে আজিনামোটো, পচিশ মিলি মধু  নিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন।

এবার মটনের খণ্ডগুলো এই মিশ্রণের মধ্যে দিয়ে হাতের সাহায্যে মিশ্রণটা মটনের খণ্ডগুলোর গায়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন। এবার মিশ্রণ মাখানো মটনের খণ্ডগুলো তিন ঘণ্টা আলাদা করে রেখে দিন। তিন ঘণ্টা বাদে কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজমতো সাদা তেল গরম করে মিশ্রণ মাখানো মটনের খণ্ডগুলো দিয়ে নিভু আঁচে নেড়ে হালকা জল ছিটিয়ে খুন্তির সাহায্যে নেড়ে রান্না করুন।

এরপর ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নেড়ে দিতে হবে যাতে মাংস লেগে না যায়। এই ভাবে রান্না করতে হবে যতক্ষণ না মটন সম্পূর্ণ পেকে যাচ্ছে। মটন সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়ে গেলে উপর থেকে একশো গ্রাম স্প্রিং অনিয়ন কুচি ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। দেরাদুন চালের ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।

2 years ago
Sweet: এবার বিজয়াতে অতিথি আপ্যায়ান করতে পারেন বিদেশি মিস্টি দিয়ে

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: দেখতে দেখতে পুজো শেষ হয়ে এল। আজ বিজয়া দশমী, বাপের বাড়ি ছেড়ে মায়ের কৈলাসে ফেরা। ঘরে ঘরে একটাই প্রার্থনা আবার এসো মা। প্রতিটি বাড়িতেই আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশিরা বিজয়া করতে আসেন। বড়দের প্রণাম, কোলাকুলি, ছোটদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে বিজয়া পালিত হয়। এর সঙ্গে অবশ্যই মিষ্টি মুখ ও জলখাবার খাওয়ানোর রীতি বা পরম্পরা তো আছেই। আগে বিজয়া উপলক্ষে প্রতিটি বাড়িতেই কুচো নিমকি, নারকেল নাড়ু,  চন্দ্রকলা ও নানান মিষ্টি, ঘুগনি, কচুরি ইত্যাদি তৈরি হতো।  যদিও আগের মত দল বেঁধে আর বিজয়া করতে লোকে আসে না, তাও বিজয়া উপলক্ষে প্রতিটি বাড়িতেই মিষ্টি ও নোনতা কিছু রাখা থাকে। তবে বেশিরভাগই দোকান থেকে কিনে আনা। আসলে বেশিরভাগ পরিবারে এখন লোকবল নেই, তাই নিজেরা সবকিছু আয়োজন করে উঠতে পারে না। আবার অনেকে এখনও বিজয়া উপলক্ষে মিষ্টি ও নোনতার কিছু পদ নিজেরা তৈরি করে থাকেন। অতিথিদের দেশী মিষ্টি খাইয়ে প্রতি বছরই বিজয়া সেরে থাকেন, এবার একটু অন্যরকম হলে কেমন হয়?

তাই চাইলে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন বিদেশী ডেসার্ট কোল্ড কফি মুস। এবার বিজয়াতে অতিথিরা এসে বিদেশী মিষ্টির স্বর্গীয় স্বাদ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করুক। দেখুন কোল্ড কফি মুস তৈরির পদ্ধতি--- একটা গ্লাসে দুই চা চামচ জিলোটিন পাউডার দুই টেবিল চামচ জলে গুলে নিন। একটা স্টিলের পাত্রে ১০০ মিলি দুধ, ১০০গ্রাম চিনি, দুটো ডিমের কুসুম নিয়ে হুইস্কের সাহায্যে ভাল করে ফাটিয়ে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই মিশ্রণ এর মধ্যে জলে গোলা জিলোটিন পাউডারের মিশ্রণ ঢেলে হুইস্কের সাহায্যে খুব ভাল করে নাড়ুন। একটা ডেচকি আচে বসিয়ে ওর মধ্যে অর্ধেক জল দিয়ে তার উপর  মিশ্রণসহ স্টিলের পাত্রটা জলের উপর এমন ভাবে বসান যাতে স্টিলের পাত্রটির কানা ডেচকির ধারের সাথে লেগে থাকে।

আঁচে বসিয়ে হুইস্কের সাহায্যে মিশ্রণটি ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। মিশ্রণ গরম হলে ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ কফি পাউডার দিয়ে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে আচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। অন্য একটি পাত্রে ৩৭৫ মিলি ডাবল ক্রিম নিয়ে সেটা বরফ বা ঠান্ডা জলের উপর বসান। এবার হুইস্কের সাহায্যে ফেটিয়ে ক্রিমটা ঘন করে নিন। স্টিমে দেওয়া ডিমের কুসুম, দুধ,  চিনি, জিলোটিন পাউডার, কফির মিশ্রণটা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ওর মধ্যে ঘন ক্রিম দিয়ে চামচের সাহায্যে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ক্রিম পুরো মিশে গেলে পুরো মিশ্রণটা কাচের কাপ/গেলাস বা যেকোন কাচের পাত্রে রেখে ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে এক ঘন্টা রাখুন। এক ঘন্টা বাদে ডিপ ফ্রিজ থেকে বার করে পরিবেশন করুন।

2 years ago


Howrah: ফ্ল্যাট বিবাদের জের, প্রমোটারের বিরুদ্ধে জমি মালিকের সন্তানকে তালাবন্দি রাখার অভিযোগ

ফ্ল্যাটের (Promoting Scuffle) দখল নিয়ে বিবাদ, জেরে দীর্ঘক্ষন তালাবন্দি করে রাখা হল এক বিশেষভাবে সক্ষম শিশুকে। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড় (Howrah Incident) থানার অন্তর্গত ফোকোর দোকান এলাকায়। পরে ডোমজুড় থানার পুলিস (Police) খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে ওই শিশুকে। এই ঘটনায় পিন্টু মন্ডল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিস সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে ডোমজুড়ের বাসিন্দা, ধনঞ্জয় পরামানিক এবং অন্য এক শরিক তাঁদের জমিতে এক প্রোমোটারকে আবাসন তৈরির অনুমতি দেন। চুক্তি অনুযায়ী উভয়ের মধ্যে ফ্ল্যাট বন্টনও হয়ে গিয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে ওই প্রোমোটার নিয়ম বহির্ভূতভাবে আরও একটি তল নির্মান করায় বিবাদ বাদে জমির মালিক ধনঞ্জয় পরামানিক সঙ্গে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ধনঞ্জয় পরামানিকের স্ত্রী যখন মেয়েকে স্কুলে থেকে আনতে আবাসনের নিচে আসেন, তখন তাঁর বিশেষভাবে সক্ষম ছেলেকে প্রোমোটারের ঘনিষ্ঠ সিন্টু মণ্ডল ঘরের মধ্যে তালা বন্ধ করে দেয়। ধনঞ্জয় পরামানিকের স্ত্রী মামনি পরামানিক যখন মেয়েকে নিয়ে ফিরে আসেন দেখেন তাদের ঘর তালা বন্ধ।


তাঁর নজরে আসে তিন তলার বারান্দায় বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছেলে। খবর যায় পুলিসে। ঘটনাস্থলে ডোমজুড় থানার পুলিস এসে প্রায় ঘন্টা তিনেক বাদে মিস্ত্রি ডেকে দরজা ভেঙে ওই নাবালককে উদ্ধার করে।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ডোমজুড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ধনঞ্জয় বাবু। পুলিস দীপঙ্কর মণ্ডল নামে এক ফ্ল্যাটের মালিককে গ্রেফতার করেছে।

2 years ago
Cook: মায়েদের হাতের তৈরি ফ্রায়েড রাইসই সবচেয়ে সেরা

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বহু বিখ্যাত হোটেল রেস্তোরাঁতে অনেক রকমের ফ্রায়েড রাইস পাওয়া যায়। সেগুলি স্বাদে গন্ধে খুবই ভাল। খেতেও বেশ ভালো লাগে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ছোটবেলায় মায়েদের হাতের গোবিন্দ ভোগ চাল দিয়ে তৈরি মিষ্টি মিষ্টি ফ্রায়েড রাইসের এক আলাদা আকর্ষন রয়েছে। গাজর, ক্যাপসিকাম, কাজু বাদাম, কিসমিস সহযোগে তৈরি এই ফ্রায়েড রাইস অবশ্যই ব্যাকরণগত ভাবে আসল চিনে ফ্রায়েড রাইস এর সাথে মেলে না , তবুও এর স্বাদে এক আলাদা জাদু আছে, যা ছেলেবেলা থেকে বড় বেলা সবসময়ই খেতে ভালো লাগে।

ফ্রায়েড রাইস তৈরির পদ্ধতি --- পাঁচশো গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল জলে ভাল করে ধুয়ে পরিস্কার করে নিন। আন্দাজমতো জলে আধ ঘণ্টা গোবিন্দভোগ চাল ভিজিয়ে রাখুন । দুশো গ্রাম গাজর কুচি , একশো গ্রাম বিনস কুচি জলে ধুয়ে পরিস্কার করে আঁচে বসিয়ে হালকা একটু ভাপিয়ে নিন। হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে আলাদা করে রেখে দিন। আধঘণ্টা বাদে গোবিন্দ ভোগ চাল আঁচে বসিয়ে  ১/৩ অংশ সিদ্ধ করে নিন। হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে একটা বড় থালা বা ট্রে-র মধ্যে বিছিয়ে পাখার তলায় রেখে দিন। কড়া  আঁচে বসিয়ে তিন টেবিল চামচ সাদা তেল ও এক টেবিল চামচ ঘি গরম করে ওর মধ্যে দুটো দারচিনির স্টিক, চারটে ছোট এলাচ, ছটা লবঙ্গ ফোরন দিন। এবার একটা মাঝারি ক্যাপসিকাম কুচি দিয়ে নেড়ে ভেজে নিন। এবার ভাপানো গাজর ও বিনস কুচি দিয়ে নেড়ে ভাল করে ভেজে নিন। আন্দাজ মতো নুন ও গোল মরিচের গুড় দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন।  এক মুঠো কাজু বাদাম ও এক মুঠো কিসমিস দিয়ে নেড়ে ভেজে নিন। এবার ১/৩ অংশ সিদ্ধ করা গোবিন্দভোগ চালের ভাতটা ওর মধ্যে দিয়ে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ক্রমাগত নেড়ে ভাজুন। দুই  থেকে তিন টেবিল চামচ চিনি দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। সব শেষে হাফ চা চামচ গরম মশলার গুড় ও বড় এক চিমটে জয়িত্রি , জায়ফলের গুড় দিয়ে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ ঘি ছড়িয়ে দিয়ে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। একবার চেখে দেখে নিন, নুন, মিষ্টি ঠিক থাকলে আচ থেকে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন চিকেন বা মটন কষা বা কাতলা মাছের দম সহযোগে।

2 years ago