'মহাদেব বেটিং অ্যাপ' মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের স্ক্যানারে রয়েছেন বলিউডের একাধিক তারকা। সেই তালিকায় রয়েছে প্রথম সারির একাধিক বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। রণবীর কাপুর, শ্রদ্ধা কাপুর, হুমা কুরেশি, সানি লিওনি, টাইগার শ্রফ, নেহা কক্কর-সহ আরও তারকার নাম রয়েছে এই তালিকায়। এবারে সেই প্রেক্ষিতেই ইডির নজরে থাকা বলিউড তারকাদের হুঁশিয়ারি দিলেন কঙ্গনা রানাউত(Kangana Ranaut)। আবার তাঁদের সতর্কও করলেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁকেও নাকি একাধিকবার এই সংস্থা থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি বারবার এতে না করেছেন।
শনিবার বলিউড ক্য়ুইন কঙ্গনা রানাউত মহাদেব বেটিং অ্যাপের সঙ্গে জড়িত তারকাদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, 'শুধরে যাও।' এছাড়াও অভিনেত্রীর দাবি, "মহাদেব বেটিং অ্যাপের তরফে তাঁর কাছেও বারবার প্রস্তাব এসেছে, কিন্তু তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। কঙ্গনার মন্তব্য, আমার কাছে ১ বছরে অন্তত ছয় বার ওদের কাছ থেকে প্রস্তাব এসেছে। প্রতিবার কয়েক কোটি টাকা বাড়িয়ে আমাকে প্রলোভন দেখিয়েছিল। তবে আমি প্রতিবার না করেছি। এটা নতুন ভারত। শুধরে যাও নইলে তোমাদের জোর করে শুধরে দেওয়া হবে।" নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এমন দাবি করেছেন তিন। ফলে বলিউড তারকাদের যেমন কঙ্গনা নাম না করেই হুমকি দিয়েছেন, তেমনি তিনি তাঁদের সতর্কও করেছেন।
'মহাদেব ব্যাটিং অ্যাপ' মামলায় (Mahadev Betting App) বলিউড অভিনেতা রণবীর কাপুরকে (Ranbir Kapoor) তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ৬ অক্টোবর, শুক্রবার অভিনেতাকে ছত্তিশগড়ের রায়পুরের ইডি অফিসে যেতে আবেদন জানানো হয়েছিল। যদিও রণবীরের তরফে আবেদন করা হয়েছিল, হাজিরার দিন যেন আরও দু'সপ্তাহ বাড়ানো হয়। কিন্তু ইডির ডাক আসতেই তাঁর যেন এক অন্য রূপই ধরা পড়ল পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায়। জানা গিয়েছে, তিনি অসুস্থ, ফলে শনিবার তাঁকে ক্লিনিকে যেতেও দেখা গিয়েছে। আর সেই মুহূর্তেরই এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
Ranbir Kapoor clicked at a clinic
— Ranbir Kapoor Online (@ranbirkapooron) October 6, 2023
today#RanbirKapoor #Bollywood pic.twitter.com/B43S1jUuU8
শনিবার এক ক্লিনিকের বাইরে দেখা যায় রণবীর কাপুরকে। তাঁকে দেখে অনুমান করা হয়েছে, তিনি অসুস্থ। তবে তাঁর পাশে দেখা যায়নি স্ত্রী আলিয়াকে। কিন্তু এখনও জানা যায়নি তাঁর ক্লিনিকে যাওয়ার আসল কারণ। তবে তাঁর চোখে-মুখে দুঃশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট, মুখে নেই হাসি, এমনকি পাপারাজ্জিদের দেখে রেগে-বিরক্ত হয়ে বললেন, 'ভিতরে এসো না।' এদিন তাঁর পরনে ছিল গোলাপি টি-শার্ট, নীল জিন্স এবং সাদা জুতো। গোলাপি সোয়েটশার্টের পিছনে লেখা, ‘সো লো’। তিনি কি এই লেখার মাধ্যমেও কিছু বোঝাতে চাইছেন, এমনটাই প্রশ্ন তাঁর অনুরাগীদেরও। তবে ইডির ডাক আসায় যে রণবীর কিছুটা হলেও চিন্তিত, তা তাঁকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
'মহাদেব বেটিং অ্যাপ' (Mahadev Betting App) কেসে এবার অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর-কে (Shraddha Kapoor) তলব করলেন ইডি (ED)। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য অভিনেত্রীকে ইডি দফতরে যাওয়ার আবেদন করেছেন ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার অর্থাৎ ৬ অক্টোবর অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা ইডির।
অভিনেতা রণবীর কাপুরকেও সমন পাঠিয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ৬ অক্টোবর, শুক্রবারই অভিনেতাকে ইডি দপ্তরে যেতে আবেদন জানানো হয়েছিল। যদিও রণবীরের তরফে এদিকে আবেদন করা হয়েছে, হাজিরার দিন যেন আরও দু'সপ্তাহ বাড়ানো হয়। অভিনেতা কাজে ব্যস্ত তাই এই মুহূর্তে নাকি যেতে পারবেন না জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার হুমা কুরেশী, হিনা খান, কমেডিয়ান কপিল শর্মা কেও সমন পাঠিয়েছেন ইডি। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মহাদেব বেটিং অ্যাপের হয়ে প্রচার করা। জানা যাচ্ছে, এই ব্যাটিং অ্যাপ-এর সঙ্গে কম বেশি অনেক তারকায় জড়িত রয়েছে। কেউ অর্থ নিয়ে প্রচার করেছেন, কেউ আবার এই অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতার বিয়েতে অর্থের বিনিময়ে অংশ নিয়েছেন। এই বেটিং অ্যাপের দ্বারা হওয়া আর্থিক তছরুপের জট পর্যন্ত পৌঁছতেই এক এক করে তারকাদের সমন পাঠাচ্ছেন তদন্তকারী সংস্থা।
মূলত দারিদ্র সীমার নিচে মানুষদের একপ্রকার ঠকিয়ে অর্থ আদায় করা হত এই অ্যাপের দ্বারা। জুয়ার মতো বেশ কিছু খেলা রাখা হয়েছিল সেই অ্যাপে। বিশেষ সিস্টেমের দ্বারা খেলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা একপ্রকার লুট করে নিয়েছে এই সংস্থা। অর্থ তছরুপ মামলার জট পর্যন্ত পৌঁছাতে উদ্যত তদন্তকারী সংস্থা। হাওয়ালার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা ইডির। ইতিমধ্যে কলকাতা ভোপাল ও মুম্বাইতে অর্থ খুঁজতে অভিযান চালিয়েছিলেন তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই মামলার জট পর্যন্ত যেতে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন তারা ।
দুর্গাপুজোয় দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য তৈরি দেব (Dev)। এবার পুজোয় আসছে তার অভিনীত সিনেমা 'বাঘা যতীন' (Bagha Jatin)। ১৯ অক্টোবর বাংলার সিনেমা হলে মুক্তি পাবে ছবিটি। সামাজিক মাধ্যমে সিনেমার বেশ কিছু টুকরো টুকরো ঝলক দেখেছেন দর্শকেরা। তবে সিনেমার ট্রেলার এখনও মুক্তি পায়নি। কবে আসবে সেই শুভ দিন? নেটিজেনদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অভিনেতা নিজেই একথা প্রকাশ্যে আনলেন।
ট্রেলার মুক্তি দিন ঘোষণার ক্ষেত্রেও একটি বিশেষ সারপ্রাইজ দিয়েছেন দেব। স্বমহিমায় পর্দার সামনে আসেননি তিনি। সিনেমার পর্দায় বাঘা যতীনের একটি ছদ্মবেশে সবাইকে দেখা দিয়েছেন দেব। পাঞ্জাবি সৈনিকের ছদ্মবেশে ধরা দিয়েছেন দেব। মাথায় ইয়া বড় পাগড়ি, দাঁড়ির ঢল নেমেছে বুক পর্যন্ত। তিনি আদতে বাঙালি না শিখ তা বোঝা দায়। কস্টিউমের ভারে কথা বলতে যে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল অভিনেতার তা বোঝায় গিয়েছে ছোট এই ভিডিওতে।
তবে ভক্তদের অপেক্ষা করিয়ে না রেখে বাঘাযতীন সিনেমার ট্রেলার কবে মুক্তি পাবে সেই কথাই জানিয়েছেন অভিনেতা। আগামী ৯ অক্টোবর আসতে চলেছে বাঘা যতীনের ট্রেলার। অভিনেতা দেব এবং বাঘা যতীনের পুরো দল সিনেমার ট্রেলার নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। অভিনেতা আশা রাখছেন, দর্শকদের ট্রেলার বেশ ভালো লাগবে। তার থেকেও বেশি ভালো লাগবে সিনেমাটি।
বলিউডের 'চাঁদনী' অর্থাৎ শ্রীদেবী (Sridevi) এবং বনি কাপুরকে (Boney Kapoor) নিয়ে কম আলোচনা হয়নি দর্শকমহলে। সকলের অন্তরালে লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। প্রথম কন্যা জাহ্নবী শ্রীদেবীর গর্ভজাত হলে সামাজিক ঘোষণা করেছিলেন তারকারা। সেই থেকেই গুঞ্জন বিয়ের আগেই নাকি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন শ্রীদেবী। এমনকি অভিনেত্রী ও পরিচালক জুটির কন্যা জাহ্নবীকেও এমন কথা বয়ে বেড়াতে হয়। এই গুজবে কতটা সত্যতা রয়েছে? এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বনি কাপুর।
আমার দ্বিতীয় বিয়ে, শ্রী-এর সঙ্গে শিরডিতে হয়েছিল। আমরা ২ জুন বিয়ে করেছিলাম। আমরা একে অপরের সঙ্গে শপথ নিয়েছিলাম। সেখানেই রাত কাটিয়েছিলাম। পরবর্তী জানুয়ারিতে ওর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। তখন আমাদের কাছে আর কোনও উপায় ছিল না সামাজিক বিয়ে করা ছাড়া। আমাদের আসল বিয়ে হয়েছিল শিরডিতে ২ জুন। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের বিয়ে হয়েছিল ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি মাসে। তাই জন্যেই অনেকে বলে জাহ্নবীর জন্ম হয়েছিল বিয়ের আগে।'
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়েও সরব হয়েছেন বনি। তিনি বলেছেন, 'শ্রীদেবীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল শ্রীদেবীর।' পরিচালক এও বলেছেন, শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর অনেক কিছু সইতে হয়েছে তাঁকে। স্ত্রীয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য প্রায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা জেরা করা হয় তাঁকে। এমনকি লাই ডিটেক্টর টেস্টও করা হয়েছিল তাঁর।
অকালেই প্রয়াত হয়েছিলেন বলিউডের 'চাঁদনী' শ্রীদেবী (Sridevi)। আজও সেই মৃত্যু ভুলতে পারেননি হিন্দি সিনেমার দর্শকেরা। দুবাইতে আত্মীয়ের বিয়েতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। পরিবারের সবাই বিয়ের শেষে মুম্বই ফিরে এলেও শ্রীদেবী সেখানেই থেকে গিয়েছিলেন। অভিনেত্রীর স্বামী বনি কাপুর (Boney Kapoor) ভারতে ফায়ার এসেও আবার দুবাই গিয়েছিলেন স্ত্রীকে পঞ্চম বিবাহবার্ষিকীর সারপ্রাইজ দিতে। কিন্তু ঘটে গিয়েছিল অপ্রত্যাশিত ঘটনা। হোটেল রুমের বাথরুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল শ্রীদেবীকে। ঘটনার সময় সেই হোটেল রুমে একমাত্র বনি কাপুর ছিলেন। ফলে দুবাই পুলিস এবং শ্রীদেবী ভক্তদের নজর গিয়েছিল তাঁর দিকে।
এত বছর স্ত্রীয়ের মৃত্যু নিয়ে কোনও কথা না বললেও এই প্রথম মুখ খুললেন বনি কাপুর। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, 'মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না; দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল। আমি ঠিক করেছিলাম এই বিষয়ে কথা বলব না। কারণ প্রায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা আমি অনবরত এই বিষয়েই কথা বলে গিয়েছি তদন্ত চলাকালীন জিজ্ঞাসাবাদে। এমনকি অফিসারেরা আমাকে বলেছিল, আমাদের এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতেই হবে, কারণ ভারতীয় মিডিয়া চাপ দিচ্ছে।'
বনি কাপুর সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন, 'আমাকে সমস্ত পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এমনকি লাই ডিটেক্টর টেস্টও করা হয়েছিল। পরে তদন্তের রিপোর্টে পরিষ্কার লেখা হয় ওই মৃত্যু দুর্ঘটনায় হয়েছে।' শ্রীদেবীর মৃত্যুর জন্য বনি তাঁর জীবনযাপনকে দায়ী করেছিল। অভিনেত্রী নাকি নিজেকে পর্দায় সুন্দর দেখানোর জন্য 'ক্র্যাশ ডায়েট' করতেন। বিয়ের পর থেকেই নাকি শ্রীদেবী বহুবার অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। চিকিৎসক বলেছিলেন, শ্রীদেবীর রক্তচাপ কম। একথা জানা সত্বেও নাকি শ্রীদেবী পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ খেতেন না।'
চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (অভিনেতা ও বিধায়ক): রাত পোহালেই ভারতীয় চলচিত্রের অন্যতম সেরা রোমান্টিক নায়ক প্রয়াত দেব আনন্দের শতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে। সিএন পোর্টাল থেকে এই শতবর্ষ নিয়ে আমাকে কিছু লিখতে বলা হলো। আমি কিন্তু ওই তথাকথিত 'কবে জন্ম, কটি ছবি বা সেরা ছবি' ইত্যাদি নিয়ে লিখবো না বরং কিছু অন্য কথা লিখি।
দেবসাহেব আমার প্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম। আমি যখন ছবির জগতে আসি তখন অনেক কথার মধ্যে জানতে পেরেছিলাম যে দেব আনন্দ নাকি সারাদিনে একটি আপেল খেয়ে দিন কাটান। শরীরটা রোগা রাখার জন্য। এ ছাড়া শুনেছিলাম তিনি নাকি পেট পাতলা রাখতেন ওই একই কারণে। অদ্ভুত লেগেছিলো। ভেবেছিলাম আমিও ওই একটা আপেল খেয়ে দিন কাটাবো। কিন্তু অবাস্তব হয়েছিল সেই পরিকল্পনা। যাই হোক, আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করেন যে কেমন অভিনেতা ছিলেন তিনি। আমি বলবো, তিনি রোমান্টিক নায়ক ছিলেন সেই ১৯৪৬ থেকেই।
আমরা বলি কমার্শিয়াল ছবি আর ইন্টেলেকচুয়াল বা আলাদা ছবি। তা দেবসাহেব টিপিকাল কমার্শিয়াল ছবিই করে গিয়েছেন চিরকাল, ব্যতিক্রম গাইড। এখানে নিজের একটু উদাহরণ দিতেই হয়। আমার শুরুটা মানিকদা বা সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে। আমি তাঁর সহকারী ছিলাম এবং তাঁর একটি ডকুমেন্টারিতে অভিনয়ও করেছি। আমি নিজে অনেকগুলো ছবি পরিচালনা করেছি। চেষ্টা করেছি আলাদা ছবি করার, যেমন 'সংসার সংগ্রাম' বা 'ভয়'| কিন্তু তখন আমি রীতিমতো বাংলার অ্যাঙ্গরি হিরো, ফলে আমার 'বেদের মেয়ে জোসনা' ছবির ইমেজ থেকে বেরোনোর ব্যাপারটা দর্শক নিলো না। কাজেই আমাকেও টিপিকাল কমার্শিয়াল মারধর ও রোমান্টিক কমার্শিয়াল ছবিই করতে হয়েছে। ইদানিং অবিশ্যি কয়েকটা ভিন্ন ধরণের ছবি করলাম কিন্তু সে তো আজকের যুগ ধরেই।
দেবসাহেবের অনেক ছবিই দেখেছি। আগেকার সাদাকালো ছবিও। অবিশ্যি ওই পুরোনো ছবি টাটকা দেখিনি পরে দেখেছি। ৫০ দশক থেকে ৭০ দশকের মধ্যভাগ অবধি তিনি ছিলেন সুপারহিট নায়ক। গোয়েন্দা বা রহস্য ছবি মানেই ঠোঁটে সিগারেট দেওয়া দেব আনন্দ। অনেক ছবির প্রযোজক পরিচালক তিনিই ছিলেন। হরে রাম হরে কৃষ্ণ ছবি তো হিন্দি ছবিকে আলাদা ধারায় এনে দিয়েছিলো। তিনি দিলীপ কুমার বা রাজ কাপুরের মতো চরিত্র নিয়ে পরীক্ষায় বিশ্বাসী ছিলেন না। এরপর আরও ৩০/৩৫ বছর নিজের পরিচালনা বা প্রযোজনায় অসংখ্য ছবি করেছেন কিন্তু সিংহভাগই সুপার ফ্লপ। নিজের জায়গা থেকে তিনি কিন্তু নড়েননি। চালিয়ে গিয়েছেন। একবার কোনও এক মাল্টি প্রেক্ষাগৃহে অন্য একটা ছবি দেখতে গিয়েছি, দেখলাম দেব আনন্দের শেষ ছবিটি নাকি একটি স্ক্রিনে দেখানো হবে, পরে শুনলাম হবে না কারণ একটি মাত্র টিকিট বিক্রি হয়েছে।
দেবসাহেবের জীবনটাকে যদি দু'ভাগ করা যায় তবে দ্বিতীয় ভাগটি নির্মম। ওই ধরণের হিরো ফ্লপ শো করছে মেনে নেওয়া কঠিন ছিল। দেব আনন্দের শেষ সময়টিও ভালো লাগে নি। বৃদ্ধ হয়েছেন অথচ মুখচোখের চামড়া যেন ঝুলে পড়েছে। শরীর রোগা রাখতে এই কোন ফর্মুলা কে জানে? আজ শতবর্ষের সময়ে একটি কথাই লিখবো, ভারতে হলিউড ধারার নায়ক যদি কেউ এসে থাকেন তবে তিনি দেব আনন্দ। প্রণাম দেবসাহেব।
ভিতরে অট্টালিকা-সম বাংলো। বাইরে মোটা পাথর দিয়ে তৈরী দেওয়ালের মাঝে বাড়ির প্রবেশদ্বার। জুহুর এঁদো গ্রামে অবস্থিত এই বাড়ির সামনে একসময় ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকতেন সাধারণ মানুষ। কারণ এই বাড়ি যার তার নয়। এই বাড়িতেই থাকতেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা দেব আনন্দ (Dev Anand)। তাঁকে একবার চোখের দেখা দেখতে কত দূর থেকে ছুটে আসতেন ভক্তরা। সেসব এখন অতীত। কারণ অভিনেতা প্রয়াত হয়েছেন অনেক আগেই। তবুও বাড়িটি এখনও রয়েছে। আগাছায় ঢাকা দেওয়ালের মাঝে জ্বলজ্বল করে লেখা রয়েছে 'আনন্দ'।
এই বাড়িটিই এখন সামাজিক মাধ্যমে, সংবাদ মাধ্যমে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। কারণ, মাঝে গুজব ছড়িয়েছিল দেব আনন্দের যত্ন করে গড়ে তোলা বাড়িটি নাকি ধূলিস্যাৎ হয়ে যেতে চলেছে। তিনি চলে যাওয়ার পর বাংলোটি দেখভাল করার লোকের নাকি অভাব। অভিনেতার ছেলে থাকেন বিদেশে। অভিনেতার স্ত্রী ও মেয়ে থাকে উটিতে। তাই বাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন না কি দেব আনন্দের পরিবার।
ইতিমধ্যেই না কি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সঙ্গে অভিনেতার পরিবারের ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার সওদা হয়ে গিয়েছে। প্রয়াত অভিনেতার বাংলো গুঁড়িয়ে না কি ২২ তলা টাওয়ার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব কী আদৌ সত্যি? দেব আনন্দের ভাইপো কেতন আনন্দ, এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন।
তিনি এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'এই খবর একেবারেই মিথ্যে। আমি দেবিনা (দেব আনন্দ কন্যা) ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি।' অর্থাৎ ভক্তদের মন খারাপের বিশেষ কারণ এখন নেই।
খাস কলকাতায় (Kolkata) বোমাতঙ্ক (Bomb)। রবিবার সাতসকালে হরিদেবপুর (Haridevpur) থানা এলাকার ব্যানার্জি পাড়ায় একটি ভ্যাট থেকে উদ্ধার হল টাইম বোমা জাতীয় একটি বস্তু। পুলিস এসে বোমাটি উদ্ধার করে জলের বালতিতে রাখে। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে (Bomb Squad)। কিছুদিন আগেও হরিদেবপুর এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছিল। পরপর একই এলাকা থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বস্তুটা বোম কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে পুলিসের তরফ থেকে।
রবিবার সকালে প্রতিদিনের মতোই কলকাতা পুরসভার সাফাই কর্মীরা ভ্যাট পরিস্কার করতে এসেছিলেন। তখনই ভ্যাটের মধ্যে তার জড়ানো অবস্থায় বোমার মতো দেখতে একটি বস্তু পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর স্থানীয়রা কাউন্সিলরকে তারযুক্ত টাইম বোমা দেখতে পেয়েছেন বলে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে হরিদেবপুর থানায় খবর যায়। পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে জলের বালতি রেখে বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেয়। বম্ব স্কোয়াড এসে পরীক্ষানিরীক্ষার পর বালির মধ্যে করে বস্তুটিকে নিয়ে চলে যায়। সন্দেহজনক বস্তুটি কি আদৌ বিস্ফোরক নাকি অন্য় কিছু তা খতিয়ে দেখছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হরিদেবপুর থেকে বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিস। আবারও বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ভয়ে রয়েছেন এলাকাবাসীও।
স্কুলের ভিতরে দিনের পর দিন ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন অসহায় দৃষ্টিহীন নাবালিকাদের উপর। শহরের উপকণ্ঠে দৃষ্টিহীন নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল হরিদেবপুরের একটি হোমের। নির্যাতনের শিকার হওয়া ২ নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছিল হোমের ৩ সদস্য। শনিবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতে ছিল এই মামলার শুনানি। গতবারের শুনানিতে ৩৭৬ ধারা এবং পকসো ৬ ধারায় মামলা হয়েছিল ধৃতদের বিরুদ্ধে। শনিবার ধৃতদের ফের পেশ করা হয় বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের এজলাসে। শুনানিতে ধৃত ৩ ব্যক্তির ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী শিবনাথ অধিকারী। তবে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, ধৃতরা এই বিষয়ে কোনোভাবেই জড়িত নয়। বিষয়টি প্রিন্সিপালকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বিষয়টি গোপন করা হয়।
এদিন আইনজীবী শিবনাথ অধিকারীর আরও দাবি, নির্যাতিতা নাবালিকারা বর্তমানে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু নির্যাতিতাদের জবানবন্দি ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণের সত্যতা উপস্থাপিত করা যাবে না। অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের জামিন দিলে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা রয়েছে। তাই সবদিক বিচার বিশ্লেষণ করেই ধৃতদের পুলিসি হেফাজতের আবেদন সরকারি আইনজীবীর।
বাদী-বিবাদী পক্ষের মতামতের উপর ভিত্তি করে আগামী দিনে হয়তো আদালতের তরফে মিলবে সুবিচার। দোষীরা পাবে শাস্তি। কিন্ত অসহায় দৃষ্টিহীন নির্যাতিতারা কি ভুলতে পারবে সেই বিভীষিকাময় দিনগুলি? বাস্তবে তাদের প্রতি এই সমাজের কি নেই কোনও দায়িত্ব? প্রশ্নটা থেকেই যায়।
দেবের পরবর্তী ছবি 'প্রধান'-এর (Pradhan) শ্যুটিং শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এবং গোটা প্রোডাকশন টিম এই মুহূর্তে রয়েছেন সেখানেই। সেখানে মূর্তি নদীর ধরে একটি রিসর্টে তারকাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতদিন সেখানে তারকাদের দিন চলছিল একরকম। তবে বৃহস্পতিবার সকাল শুরু হল, অন্যভাবে। সিনেমার অন্যতম অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু সামাজিক মাধ্যমে এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
পাইথনের ছবি সহ একটি ভিডিও আপলোড করেছেন তিনি। সেই ভিডিওর নেপথ্যে আসল কাহিনী শোনা গিয়েছে। বিশ্বনাথ খোদ বলেছেন, সকালে এক ভাই তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে বলেন, একটি স্যাপ ধরা পড়েছে হোটেলের নিচে। অভিনেতা প্রথমটায় ভেবেছিলেন, সাধারণ সাপ। তবে নিচে গিয়ে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। ১৫ ফুট লম্বা পাইথন স্যাপ দেখে তিনি রীতিমতো ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এই ঘটনা তাঁর কাছে একেবারে অপ্রত্যাশিত।
তবে সহ অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী এই পাইথন সাপ দেখে বেশ আনন্দে গদগদ। বিশ্বনাথকে তিনি বলেন, গলায় সাপটি জড়িয়ে একটি ছবি তুলতে। বিশ্বনাথ অবশ্য ভয়ে পিছিয়ে এসেছেন। তবে সোহম ভয় পাননি। তিনি পাইথনটিকে হাতে নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন। হাসিমুখে ছবিও তুলেছেন। আবার সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমেও পোস্ট করেছেন।
চলতি বছর মুক্তি পেতে চলেছে দেব (Dev) অভিনীত সিনেমা বাঘা যতীন (Bagha jatin )। দেবের ভক্ত থেকে সমালোচক, সকলেই সিনেমাটির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। টিজার পূর্ব ঝলক মুক্তি পেয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে। এবার মুক্তি পেয়েছে সিনেমার টিজার। সামাজিক মাধ্যমে দেব একটি ১ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের টিজার আপলোড করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী, যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জীবনী থেকেই তৈরী হয়েছে এই সিনেমা। নাম ভূমিকায় রয়েছেন দেব।
টিজার জুড়ে স্বাধীনতা পূর্ব ব্রিটিশদের নির্মম অত্যাচারের ঝলক দেখা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, যতীনের চরিত্রে দেবের দাপট। ব্রিটিশদের নজর এড়িয়ে গা ঢাকা দিতে নানা ছদ্মবেশ নিয়ে থাকতেন যতীন মুখোপাধ্যায়। সিনেমার পর্দায় দেবকে কখনও পাঞ্জাবির ছদ্মবেশে, কখনও তান্ত্রিকের ছদ্মবেশে দেখা যাবে। সিনেমায় যতীন মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি, তাঁর সমসাময়িক অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেখা যাবে। চলতি বছর ১৯ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি।
বাঘা যতীন সিনেমাটি নিয়ে দেব ভক্তদের অপেক্ষার অন্ত নেই। দেবের সাম্প্রতিক সিনেমাগুলি দেখলে বোঝা যায়, সুপারস্টারের তকমা ঝেড়ে ফেলে, 'অভিনেতা' দেব হয়ে উঠতে চাইছেন তিনি। এই যাত্রায় সমালোচকদের সমালোচনাতেও বিদ্ধ হচ্ছেন অভিনেতা। তাই এই সিনেমাটিতে দেব, নিজেকে প্রমান করার সুযোগ পাবেন। ছবিতে দেবের পাশাপাশি দেখা যাবে, নবাগতা সৃজা দত্তকে। অন্যান্য ভূমিকায় দেখা যাবে সুদীপ্তা চক্রবর্তী, সামিউল আলম, রোহান ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য অভিনেতাদের।
হরিদেবপুরের দৃষ্টিহীনদের একটি হোমে ৩ নাবালিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে হোমের মালিক ও সেক্রেটারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালিকাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় রাধুনিকেও।
হরিদেবপুরের ওই হোমে দৃষ্টিহীন নাবালিকাদের বাস। পাশাপাশি হোমে তাঁদের শিক্ষাদানও করা হয়। অভিযোগ, ওই হোমের বেশ কয়েকজন নাবালিকা নির্যাতনের শিকার হন। পুলিশের কাছে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে দুই নাবালিকা। এফআইআর-এ প্রিন্সিপাল ও সেক্রেটারির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে এই নির্যাতন চলে বলে অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সেক্রেটারির নাম জীবেশ দত্ত। প্রিন্সিপাল মহিলা। তাই তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আরও কয়েকজন জড়িয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাফিক সার্জনকেও ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুরগি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। বুধবার হরিদেবপুর এলাকার ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী সহ সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করার। সূত্রের খবর, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিস। আহত পুলিস আধিকারিককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ভিকি চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ভিকি স্কুটিতে চড়ে মুরগি নিয়ে দোকানে যাচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় এক সিভিক ভলান্টিয়র এসে তার পথ আটকায়। যার জেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটি নিয়ে পড়ে যায় সে। এরপর মাটি থেকে উঠে কোনও কথা না বলেই সোজা মারধর করতে থাকে সিভিক ভলান্টিয়রকে এমনটাই অভিযোগ। ভিকি থামাতে এগিয়ে আসেন কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট অনিরুদ্ধ বিশ্বাস।
অভিযোগ, তাঁকেও মারধর করে অভিযুক্ত। ঘুষি মেরে ওই পুলিশ আধিকারিকের নাক ফাটিয়ে সে। এই ঘটনার খবর পেয়ে পরবর্তীকালে এলাকায় আসে হরিদেবপুর থানার পুলিশ ফোর্স। তারা ভিকি চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে।
অভিনেতা দেবের সময়টা বেশ ভালোই যাচ্ছে টলিউডে। চলতি বছরে মুক্তি পেয়েছে দেব (Dev) অভিনীত ছবি 'ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য' । আগামী দুর্গাপুজোয় মুক্তি পাবে দেব অভিনীত ছবি 'বাঘা যতীন'। এরই মাঝে আরও একটি ছবির ঘোষণা করেছিলেন দেব। কয়েক মাস আগেই একদা বাংলার কুখ্যাত 'রঘু ডাকাত'-কে নিয়ে সিনেমার পোস্টার প্রকাশ্যে এনেছিলেন। কিন্তু এরপর আর কোনও তথ্য দেননি দেব। দর্শকদের মধ্যে গুজব, চলতি বছর কালীপুজোয় আসতে পারে ছবিটি। সত্যিই কী তাই?
বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়ে চর্চা। বিশেষ করে চলতি বছর কালীপুজোয় রঘু ডাকাত আসছে, এমন অনেক তথ্যে ছয়লাপ হয়েছে ইউটিউব। যদিও এই তথ্য একেবারেই সত্যি নয়। দেব এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চার্সের যুগ্ম প্রযোজনায় ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত 'রঘু ডাকাত' সিনেমা তৈরির গতি এখনও শ্লথ। ছবির শ্যুটিং শুরু হওয়া তো দূরের কথা। এখনও নাকি সিনেমার স্ক্রিপ্টের কাজও শেষ হয়নি।
অভিনেতা দেব 'রঘু ডাকাত' -এর পোস্টার সামাজিক মাধ্যমের পর্দায় দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনও তথ্য তিনি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেননি। তিনি এখন ব্যস্ত রয়েছেন 'প্রধান'-এর শ্যুটিংয়ে উত্তরবঙ্গে। অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমে তাঁর আসন্ন ছবি 'বাঘা যতীন'-এর প্রচার কাজ সারছেন।