বাঘাযতীন, ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্যের কাজ শেষ করে এবার নতুন ছবি 'প্রধান'-এর শ্যুটিং শুরু করেছেন দেব (Dev)। কিন্তু শ্যুটিংয়ের প্রথম দিনেই দুঃসংবাদ দিয়েছিলেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে দেব লিখেছিলেন, 'প্রথম দিনের শ্যুটিং। এদিকে আমি জ্বরে কাবু।' একথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই নেটিজেন ও দেবের ভক্তদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। তাই রটে গিয়েছিল ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সত্যিই কী তাই?
জানা গিয়েছে, প্রধানের শ্যুটিংয়ের প্রথম দিনে দেবের জ্বর এসেছিল ঠিকই তবে দ্বিতীয় দিন থেকে তা উধাও হয়েছে। দেব এখন চুটিয়ে অভিনয় করছেন। জ্বর আসার পর দেবের রক্ত পরীক্ষাও করে দেখা হয়েছে, রেজাল্টে পাওয়া গিয়েছে ডেঙ্গি হয়নি দেবের। এই মুহূর্তে সিনেমার টিম উত্তরবঙ্গে শ্যুটিং করছে। তবে ডেঙ্গি হওয়ার ভুয়ো খবরে নাকি দেব বিরক্তই হয়েছেন। যদিও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে, এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি।
প্রধানের শ্যুটিংয়ের পাশাপাশি দেব ভার্চুয়ালি 'বাঘাযতীন' সিনেমার প্রচারও করছেন। চলতি বছর দুর্গাপুজোর আগেই ২০ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছে সিনেমাটি। ইতিমধ্যেই দেবের চরিত্রের ঝলক এবং টিজার দেখে দর্শকদের আগ্রহ বেড়েছে 'বাঘাযতীন' নিয়ে। স্বাধীনতা সংগ্রামীর চরিত্রে দেব কতটা দর্শকদের মন জয় করতে পারেন সেটাই দেখার।
অকালেই প্রয়াত হয়েছেন বলিউডের 'চাঁদনী' শ্রীদেবী। কিন্তু শ্রীদেবী (Sridevi) প্রসঙ্গ এখনও বর্তমান। তাঁকে নিয়ে চর্চা চলবে লম্বা সময়কাল পর্যন্ত। এই যেমন রাখি পূর্ণিমায় ঘুরে ফিরে আসে শ্রীদেবীর প্রসঙ্গ। প্রায়শই অনেকের মুখে শোনা যায়, প্রথমে দাদা ভেবে কাউকে রাখি বেঁধেছেন, পরবর্তীতে তাঁকেই বিয়ে করেছেন। এই ঘটনার উদাহরণ খোদ শ্রীদেবী এবং বনি কাপুরের (Boney Kapoor) সম্পর্ক।
আসলে বলিউডের এই দুই তারকার সম্পর্ক এক সরলরেখায় আসার আগে তাঁদের মাঝে আরও একজন ছিলেন। তিনি আর কেউ নন মিঠুন চক্রবর্তী। শোনা যায়, সিনেমার সেটে মিঠুনের প্রেমে পড়েছিলেন শ্রীদেবী। তখন অবশ্য অভিনেতা মিঠুন, যোগিতা বালির সঙ্গে বিবাহে রয়েছেন। কিন্তু তাতে কি! প্রেম তো আর এত কিছু মেপে হয় না। দুই তরফেই নাকি হৃদয় আদান প্রদান হয়েছিল। শ্রীদেবী সবকিছু করতে পারতেন মিঠুনের জন্য। এদিকে শ্রীদেবীর জীবনে তখন বনি কাপুর এসেছিলেন পরিচালক হিসেবে। মিঠুন হঠাতই বনির সঙ্গে শ্রীদেবীর সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।
এদিকে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন শ্রীদেবী। এমন সময় রাখির দিন বনি কাপুরকে রাখি পরান শ্রীদেবী। কিন্তু কথায় আছে, 'জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে'। অচিরেই শ্রীদেবী বুঝতে পারেন, মিঠুন কিছুতেই যোগিতা বালির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করবেন না। ধীরে ধীরে শ্রীদেবীর মন গলেছিল বনিতে। লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন দু'জনে। তাঁদের বড় মেয়ে জাহ্নবীর জন্মের পরেই সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেন তাঁরা।
বাংলা সিনেমা জগতের পরিচালকেরা ইদানিং পিরিয়ড ড্রামা নিয়ে কাজ করতে চাইছেন। এরকম বেশ কিছু প্রজেক্টের ঘোষণা করেছেন নানা পরিচালকেরা। এই তালিকায় রয়েছে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর ছবি দেবী চৌধুরানী (Devi Chowdhurani)। বেশ কিছুমাস আগেই এই ছবির ঘোষণা করেছিলেন পরিচালক। ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী সহ অন্যান্য অভিনেতারা।
কিন্তু ঘোষণা হয়ে গেলেও ছবির শ্যুটিং শুরু হয়নি এখনও। তাহলে কী কোনও কারণে পিছিয়ে গেল সিনেমার শ্যুটিং। পরিচালক এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। শ্যুটিংয়ের জন্য জায়গা নির্বাচন করা এখন সবচেয়ে কঠিন কাজ। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস 'দেবী চৌধুরানী' অবলম্বনে তৈরী হবে সিনেমার চিত্রনাট্য। কিন্তু তখনকার সময় আর এখনকার সময় এক নয়, তাই লোকেসান খুঁজতেই বেগ পেতে হচ্ছে পরিচালককে।
বর্তমানে পুরুলিয়া, বীরভূম ও ঝাড়খণ্ড ঘুরে ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজছেন পরিচালক। গভীর জঙ্গলেই ২৫০ বছর আগের আবহ তুলে ধরতে চাইছেন পরিচালক। কিন্তু ঝুঁকিও আছে অনেক। গহীন জঙ্গলের অধিকাংশ জায়গায় কেউটে-গোখরোর বাস। জঙ্গলের মধ্যে দিয়া যাওয়ার রাস্তা নেই। ফলে শ্যুটিংয়ের অত জিনিসপত্র ও টিম নিয়ে যাওয়া সহজ কাজ হবে না। তাই পরিকল্পনা করেই পা ফেলতে চাইছেন পরিচালক।
বিশ্বকাপে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে চার নম্বরে কে ? যুবরাজ সিংয়ের পর এই জায়গায় আর কোনও স্পেশালিস্ট নেই। দিন কয়েক আগেই নিজেই এই ইস্যুকে উসকে দিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যা নিয়ে বিস্তর আলোচনাও চলছে। রবি শাস্ত্রী থেকে সুনীল গাভাসকর, প্রায় সবাই এই ব্যাপারে নিজের মতামত দিয়েছেন।
এবার ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বর নিয়ে নিজের মতামত দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যাব্রাহাম ডেভিলিয়ার্স। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এবিডি জানিয়েছেন, এই ভারতীয় দলে চার নম্বরে ব্যাট করতে পারেন, একজনই। তিনি বিরাট কোহলি। আইপিএলে বেঙ্গালুরুর একদা সতীর্থ উপর বিরাট ভরসাই দেখাচ্ছেন ডেভিলিয়ার্স।
এবিডির মতে, ভারতের পিচে কোহলিকে একটু নিচের দিকে রাখলেও কোনও ক্ষতি হবে না। বরং বিরাট রয়ে গেলে, শেষের দিকে ভারতের রান তুলতে অনেকটাই সুবিধা হবে। গত কয়েকদিন আগেই ভারতের মাটিতে এই বিশ্বকাপ কোহলির হবে বলেই বাজি ধরেছিলেন তিনি। এবার বিরাটকে চার নম্বরে পাঠাতেও অনুরোধ করলেন।
২৩ অগাস্ট ২০২৩, বুধবার ভারতবাসীর জন্য গর্বের দিন হয়ে থাকল। নির্দিষ্ট সময়ের কিছুটা আগেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান থ্রি (Chandrayan 3)। এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তে গর্বে বুক ফুলে উঠেছে ভারতবাসীর। বলিউড (Bollywood) তারকারাও এই তালিকা থেকে বাদ যাননি। সকাল থেকেই নানারকম পোস্ট করেছিলেন তাঁরা। ভারতের সাফল্যের পর সামাজিক মাধ্যমে আবারও নিজেদের অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
অভিনেতা অক্ষয় কুমার সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, 'লক্ষ লক্ষ হৃদয় ধন্যবাদ জানাচ্ছে ইসরো। আপনারা আমাদের গর্বিত করেছেন। ভারত ইতিহাস তৈরী করছে, এমন মুহূর্তের সাক্ষী থেকে গর্বিত। ভারত চাঁদে, আমরা চাঁদে।'
অভিনেতা অজয় দেবগণ লিখেছেন, 'গর্বিত, অভিভূত, উচ্ছ্বাসিত, সম্মানিত, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে। ভারত মায়ের জয়।'
অভিনেতা শাহরুখ খান লিখেছেন, 'আজ ভারত এবং ইসরো সারা বিশ্বে ছেয়ে গিয়েছে। সমস্ত বিজ্ঞানীদের, ইঞ্জিনিয়ারদের এবং পুরো টিম যারা আমাদের গর্বিত করেছেন তাঁদের শুভেচ্ছা। চাঁদের বুকে সফলভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান তিন।'তাঁর টুইট শেয়ার করেছেন,প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ও অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন।
পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপ্ত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত একটু ভিন্নভাবে দেখছেন এই বিষয়টি। তিনি লিখেছেন, 'কি অদ্ভুত। যে বিজ্ঞানী এই মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁর নাম সোমনাথ। সোম মানে চাঁদ, নাথ মানে ঈশ্বর। সোমনাথ মানে চাঁদের ভগবান। কি সুন্দর।'
সবভারতীয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর (Samantha Ruth Prabhu) অসুস্থতার কথা এই মুহূর্তে সকলেই জানেন। শ্যুটিং শিডিউলের মাঝেই একদিন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সামান্থা। চিকিৎসা করলে বুঝতে পারেন, তিনি মায়োসাইটিস (Myositis) রোগে আক্রান্ত। সাময়িক চিকিৎসা করিয়ে অভিনেত্রী শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরেছিলেন আবারও। তবে সহকর্মীদের সঙ্গে অসুস্থতার কথা ভাগ করে নেওয়া সহজ ছিল না, সেসময় মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তাঁর সেই কঠিন সময়ের কথা ভাগ করে নিয়েছেন সামান্থার সহ অভিনেতা ও ভালো বন্ধু বিজয় দেবেরকোন্ডা (Vijay Deverakonda)।
সম্প্রতি এক মিউজিক কনসার্টে বিজয় বলেছেন, 'আমার থেকেও বেশি আমি সামান্থার মুখে হাসি দেখতে চাই। সে সিনেমার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছে। আমরা ২০২২ এলের এপ্রিল মাসে সিনেমার শ্যুটিং শুরু করি, আমাদের মুখে হাসি নিয়ে। প্রায় ৬০ শতাংশ শ্যুটিংয়ের কাজ শেষ করে ফেলেছিলাম। কেবল ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শ্যুটিংয়ের কাজ বাকি ছিল। জুলাইতে স্যামের (বিজয় ভালোবেসে সামান্থাকে ডাকেন) শারীরিক অবনতি হতে থাকে। সে তখন আমাদের জানায়।'
অভিনেতা সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, সামান্থা যখন নিজের অসুস্থতার কথা তাঁকে জানায় প্রথমটায় বিশেষ গুরুত্ব দেননি অভিনেতা। বরং 'তুমি তো এখনও সুন্দর দেখতে' এই বলেই হালকাভাবে নিয়েছিলেন বিষয়টি। বিজয় বলেন, 'একটা সময়ের পর সামান্থা আমাদের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন, দেখা করা বন্ধ করে দেন। ও ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ও অনেকগুলো লড়াই লড়েছে। একটা সময় ও প্রকাশ্যে নিজের অসুস্থতার কথা ভাগ করে নিয়েছিল, এটুকু বোঝাতে যে এখনও আশা আছে।'
চলতি বছরে দর্শকদের জন্য ডাবল উপহার ঝুলিতে রেখেছেন দেব। ইতিমধ্যেই তাঁর অভিনীত 'ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য' সগৌরবে চলিতেছে সিনেমাহলে। আবারও নতুন সিনেমার ঝলক প্রকাশ্যে এনেছেন দেব (Dev)। আগামীকাল ১৫ অগাস্ট। ভারতের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস পুর্তির প্রাক্কালে, তাঁর আসন্ন সিনেমা 'বাঘা যতীন'-এর (Bagha Jatin) ছোট্ট একটি ট্রেলার প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেতা। টিজার নয়, অভিনেতা এটিকে বলছেন 'আগাম টিজার'।
দেবের সংলাপ দিয়ে শুরু হয়েছে টিজার। অভিনেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'যতীন মুখার্জি হয় লড়ে, নয় মরে। ধরা পড়ে না।' এরপরেই দেখা গিয়েছে ইউরোপিয়ান ক্লাব, যার বাইরে লেখা, 'কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ।' এই দৃশ্য ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়কালে নিয়ে যায় দর্শকদের। বাঘের সঙ্গে যতীনের লড়াইয়ের দৃশ্যের ঝলকও দেখা যায়। যে ঘটনার পরেই তিনি যতীন থেকে হয়ে ওঠেন 'বাঘা যতীন'।
আপাতত সিনেমার আগাম ঝলক মুক্তি পেলেও, বাঘা যতীন মুক্তি পেতে চলেছে, ১৯ অক্টোবর। নিজের সামাজিক মাধ্যমে সিনেমার প্রি টিজার আপলোড করে দেব লিখেছেন, 'ভারতের স্বাধীনতার ৭৬ তম বছর পূর্তিতে দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্স-এর নিবেদন— ‘বাঘা যতীন’। বাংলা তথা ভারতের অবিস্মরণীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের স্বাধীন স্বদেশ গড়ার স্বপ্নের অকথিত কাহিনি। আশা করি আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে।'
১৩ অগাস্ট ১৯৬৩, অর্থাৎ আজকের দিনেই তামিলনাড়ুতে জন্মেছিলেন শ্রী আম্মা ইয়াঙ্গের আয়াপ্পন। পরবর্তীকালে দুনিয়া যাকে চেনেন শ্রীদেবী (Sridevi) নামে। ছোট থেকেই ক্ষুরধার বুদ্ধি ও সৌন্দর্যের ধারে অসামান্য হয়ে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। সিনেমার জন্য তাঁর প্রেমও সেই ছোটবেলা থেকেই। মাত্র ৪ বছর বয়সে সিনেমা জগতে ডেবিউ করেছিলেন। অভিনয় চর্চা করেছেন, একইসঙ্গে একাধিক দক্ষিণ ভারতীয় ভাষা শিখেছিলেন শ্রীদেবী। যা পরবর্তীকালে দক্ষিণ ভারতে তাঁর অভিনয়ের দরজা খুলে দিয়েছিল। তেলেগু-তামিল-মালায়ালম-কন্নড় বলতে পারতেন অনর্গল। পরে সেই তালিকায় যুক্ত হয় হিন্দি ভাষা।
১৯৭৬ সালে কে বালাচন্দরের সিনেমা 'মুন্ড্রু মুদিচ্চু' সিনেমা শ্রীদেবীর কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এরপর আর ঘুরে দেখতে হয়নি অভিনেত্রীকে। ৪ দশক ধরে প্রায় ৯০টি সিনেমায় অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি। দক্ষিণী ভারতের ভক্তদের পাশাপাশি বলিউডেও তাঁর ভক্ত অগুন্তি। 'চাঁদনী' কে দেখতে সিনেমাহলে ভিড় জমাতেন দর্শক। সিনেমা যেমনই হোক, বক্স অফিসে হিট হয়ে থাকতেন অভিনেত্রী। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন শ্রীদেবী।
তাঁর ৬০ তম জন্মদিনে তাই বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ গুগলের। সাইট খুললেই দেখা যাচ্ছ শ্রীদেবীর ডুডল। মুম্বইয়ের আর্টিস্ট ভূমিকা মুখার্জি এই বিশেষ আর্টটি তৈরী করেছেন। রঙিন ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে শ্রীদেবীর জমানা।
বাঙালি দর্শকদের নতুন করে দেব (Dev) ও রুক্মিনীর (Rukmini) পরিচয় দিতে হয় না। এতগুলো বছরে দেব হয়ে উঠেছেন সুপারস্টার। অন্যদিকে রুক্মিনীকে, শুরুর দিকে দর্শকেরা দেবের প্রেমিকা হিসেবে চিনলেও, তিনিও এখন অভিনয় জগতে নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরী করেছেন। ১১ অগাস্ট সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে 'ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য'। প্রথমবার পর্দায় ব্যোমকেশ ও সত্যবতীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে এই জুটিকে। চলতি বছরেই মুক্তি পেতে চলেছে দেব অভিনীত সিনেমা বাঘাযতীন এবং রুক্মিণী অভিনীত সিনেমা বিনোদিনী। কেরিয়ার জীবন যখন ভালোই চলছে, ব্যক্তিগত জীবনে তাঁদের সম্পর্কের উন্নয়ন আসবে কী?
বিয়ে না করলেও এই দুই তারকা একসঙ্গে থাকেন। একথা গোপন রাখেননি তাঁরা। তবে বিয়ের প্রশ্ন করলেই, যুগলে ভাসা ভাসা উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বিয়ে বিলম্ব দেখে দর্শক মন সইছে না। দেব ও রুক্মিণী কবে বিয়ে করবেন? এই খবর জানতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ভক্তরা। ব্যোমকেশ মুক্তির পরই অভিনেতা দেব বিয়ে প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ খুলেছেন।
এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দেব জানিয়েছেন, 'বিয়ের সঠিক সময় হবে যখন আমরা নিজেদের বিয়ের জন্য পরিণত মনে করব। বর্তমানে আমাদের কাজই আমাদের সমস্ত সময় জুড়ে রয়েছে।' ফলে ভক্তরা যতই চান, দেব রুক্মিনী বিয়ে করুন তাড়াতাড়ি। তা বোধহয় খুব তাড়াতাড়ি হওয়ার নয়।
বাংলা সিনেমা জগৎ ইদানিং পিরিয়ড ড্রামার দিকে ঝুঁকছে। পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র (Subhrajit Mitra) বেশ কিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছেন, বঙ্কিমচন্দ্র চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরী হবে তাঁর পরবর্তী সিনেমা 'দেবী চৌধুরানী' (Devi Chowdhurani)। খবর আরও ছিল, মূল চরিত্রে দেখা যাবে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাওয়ার কথা সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় বং দর্শনা বণিককে। তবে খবর শোনা গিয়েছিল অতটুকুই। এরপর সিনেমার প্রগতি নিয়ে অন্ধকারেই ছিলেন দর্শক।
সম্প্রতি পরিচালককে এই নিয়ে প্রশ্ন করে হলে তিনি জানান, 'সিনেমার প্রি প্রোডাকশনের কাজ চলছে এখন। এটি বৃহত্তর মাপের পিরিয়ড ড্রামা তাই যথার্থ পরিকল্পনা এবং রিসার্চ প্রয়োজন। কোনও পরিচিত জায়গায় এই সিনেমার শ্যুটিং হবে না।' পরিচালক আরও বলেছেন, ইতিমধ্যেই দেবী চৌধুরানী সারা ভারতে মুক্তির জন্য প্রস্তব পেয়েছেন তিনি। এই নিয়ে নাকি ভাবনা চিন্তাও করছেন।পরিচালকের মতে, দেবী চৌধুরানী বাংলা সিনেমা জগতের উদাহরণ হতে চলেছে।
অগ্নিপরীক্ষা ছবি দিয়েই বাংলা সিনেমা জগতে ডেবিউ করেছিলেন অভিনেতা দেব। আজ অর্থাৎ শুক্রবার, সত্যিই তাঁর অগ্নিপরীক্ষা। বড় পর্দায় আজই মুক্তি পেয়েছে 'ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য' (Byomkesh O Durgo Rahasya)। দেব (Dev) ব্যোমকেশের চরিত্রে অভিনয় করবেন, একথা প্রকাশ পেতেই নেটিজেনরা সমালোচনা শুরু করেছিলেন। অভিনেতা দর্শকদের ভাবনায় কতটা বদল আনতে পারলেন তা প্রমাণ হবে আজ থেকেই। ছবি মুক্তির দিন তাই মা ভবতারিণীর আশীর্বাদ নিতে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পৌঁছালেন অভিনেতা।
অভিনেতা নিজেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁর মন্দির সদর্শনের ছবি দিয়েছেন। মা ভবতারিণীকে দর্শনের পাশাপাশি অভিনেতা মহাদেবের মাথায় জল ঢেলেছেন। সেই ছবিও সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে দেব ক্যাপশনে লিখেছেন, 'সবার ভালো হোক। হর হর ব্যোমকেশ'। এই ছবির নিচে ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য মুক্তির জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাঁর ভক্তরা। অনেক ভক্তরা আবার বলছেন, প্রথম দিনে প্রথম শো দেখতে যাবেন।
প্রসঙ্গত, এই সিনেমায় সত্যবতীর চরিত্রে দেখা যাবে রুক্মিণী মৈত্রকে। অজিতের ভুমিকায় অভিনয় করেছেন, অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য। এই প্রথম ব্যোমকেশ পরিচালনার দায়িত্ব কাঁধে নিচ্ছেন বিরসা দাশগুপ্ত। তাঁদের সকলেরই ভাগ্য নির্ধারিত হবে আজ।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রায় ১১ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন বর্ষীয়ান নেতা। এদিন, তাঁকে আনতে হাসপাতালে যান স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। বুধবার সকাল থেকেই হাসপাতালের বাইরে রাখা ছিল অ্যাম্বুলেন্স। স্ট্রেচারে করে এনে তাঁকে ওই অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসক। এরপর পাম অ্যাভিনিউ-এর উদ্দেশে রওনা দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
চিকিৎসকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুদ্ধদেববাবু বাড়িতে পৌঁছনোর পর সেখানেও একজন চিকিৎসক থাকবেন। তাঁরা জানিয়েছেন, স্থান পরিবর্তন হল, কিন্তু হোম কেয়ার চলবে। আপাতত এক মাস হোমকেয়ারে রাখা হবে তাঁকে। বাইপ্যাপ সাপোর্ট ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন বুদ্ধবাবু। তবে বাড়িতে রাতে বাইপ্যাপ দেওয়া হবে তাঁকে। ওষুধ খাওয়ানো ও প্যারামিটার দেখার জন্য নার্স থাকবেন পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে। ফিজিওথেরাপি চলবে।
চিকিৎসকরা আরও জানাচ্ছেন, যে অবস্থায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, সেই তুলনায় এখন তিনি অনেকটা সুস্থ। চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ও আশীর্বাদও করেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
এদিন মীরা ভট্টাচার্য হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে বলেন, বাড়িতে কড়া নজরদারিতে চিকিৎসা তলবে তাঁর। সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এতদিন বুদ্ধদেববাবুর জন্য যাঁরা উৎকণ্ঠায় ছিলেন, তাঁর জন্য প্রার্থনা করেছেন, তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন মীরা ভট্টাচার্য।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় দম্পতি কাজল (kajol) এবং অজয় (Ajay Devgan)। নানা অনুষ্ঠানে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়। কাজলের প্রাণবন্ত স্বভাব এবং অজয়ের গম্ভীর ব্যক্তিত্বর ভক্ত অনেক। ইংরেজিতে একটি কথা রয়েছে, 'অপোজিটস অ্যাট্রাক্ট'। এই জুটির ভক্তরা মনে করেন, দুই তারকা একে অপরের ভিন্ন স্বভাবের প্রতিই আকর্ষিত হয়েছেন। মাঝে তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। যদিও সেসব গুঞ্জন তুড়িতে উড়িয়ে দিয়ে এখনও সহ যাপনে রয়েছেন কাজল ও অজয়। এইভাবেই এলো আরও একটি বিশেষ দিন।
৫ অগাস্ট অভিনেত্রী কাজল দেবগণ ৪৯ বছরে পা দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রীর ভক্তরা শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরাও তাঁকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। তবে স্ত্রীয়ের জন্মদিন ভুলে যাননি অজয় দেবগণ। সামাজিক মাধ্যমে তিনিও শুভেচ্ছা বার্তা লিখেছেন। একইসঙ্গে স্ত্রীয়ের জন্য লিখেছেন, মিষ্টি গানের লাইন। সামাজিক মাধ্যমে অজয়, কাজলকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, 'তারিফ করু ক্যায়া তেরি। শুভ জন্মদিন কাজল।'
প্রসঙ্গত ১৯৯৫ সালে, 'হলচল' সিনেমার সেটে কাজল এবং অজয়ের দেখা হয়। প্রথমে একে অপরকে পছন্দ করেননি তাঁরা। এই সিনেমার দু বছর পরে আবারও দেখা করেন দুই তারকা। তারপরেই তাঁদের মধ্যে আসল রসায়ণ তৈরী হয়। প্রেম থেকে বিয়ে, বিয়ে থেকে দুই সন্তান হয়। ভালো খারাপে এখনও বহাল তবিয়তে অজয়-কাজল জুটি।
আর মাত্র কয়েকটা দিন। ১১ অগাস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে 'ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য' (Byomkesh O durgo rahasya)। ওই দিনই বাংলার প্রেক্ষাগৃহে প্রথমবার ব্যোমকেশ হিসেবে দেবের (Dev) সঙ্গে আলাপ হবে দর্শকদের। সেইদিনই আসল পরীক্ষা। যদিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে দেবকে ব্যোমকেশ হিসেবে সার্টিফিকেট দিতে শুরু করেছেন দর্শক। ব্যোমকেশের চরিত্রে অভিনয় করবেন দেব, গোড়া থেকেই এতে আপত্তি তুলেছেন অনেকে। প্রথম ঝলক এবং ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকে সমালোচনার পালে আরও হাওয়া লেগেছে। তবে এই বিষয়ে কী মতামত দেবের?
সম্প্রতি এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেব বলেছেন, 'অভিনেতা হিসেবে আমি নিজেকে ক্রমাগত তৈরী করতে চেয়েছি। আমাকে যারা চেনে তাঁরা জানেন, আমি ভালো সিনেমার অংশ হতে চাই। তবে আমি স্বীকার করব যে আমি এই সিনেমা (ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য) নিয়ে সন্দেহে ছিলাম কারণ আমি জানতাম আমি পরিশ্রম করেও সমালোচনা আটকাতে পারব না। কিন্তু আমি আগেও বলেছি, আমার কাজ নিজেকে প্রমাণ করা, সমালোচনায় ভ্রূক্ষেপ করা না।'
অভিনেতা দেব জীবনের অনেকটা সময় মুম্বইতে কাটিয়েছেন, ফলে বাংলা ভাষায় তেমন স্পষ্ট ছিলেন না তিনি। যদিও এখন আগের থেকে অনেকটাই ভালো বাংলা বলেন তিনি। তবে ব্যোমকেশের মতো জনপ্রিয় বাঙালি চরিত্রের মুখে সেই সংলাপ কেমন লাগবে, এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে সামাজিক মাধ্যমে। অন্যদিকে ট্রেলারে ব্যোমকেশের গায়ে স্যুট ব্যুট নিয়েও সমালোচনা করেছে অনেক। তবে দেব স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অভিনয় ছাড়া আর কিছুতেই মন দিচ্ছেন না তিনি।
আর কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরেই বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে 'ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য' (Byomkesh O Durgo Rahasya)। বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত এই ছবিতে, ব্যোমকেশের ভূমিকায় দেখা যাবে দেবকে (Dev)। অন্যদিকে সত্যবতীর ভূমিকায় দেখা যাবে রুক্মিণী মৈত্রকে। অজিতের চরিত্রে অভিনয় করবেন, অম্বরীশ ভট্টাচার্য। সিনেমায় তাঁদের চরিত্রের ঝলক দর্শক আগেই দেখেছে। এবার আরও একটি ছবি পোস্ট করলেন দেব।
ছবিতে ব্যোমকেশ অর্থাৎ দেবের দু'দিকে তাঁর জীবনের দুই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রকে দেখা গিয়েছে। ব্যোমকেশ ও অজিত দুজনেই পরেছিলেন ধুতি এবং পাঞ্জাবি। অন্যদিকে রুক্মিণী মৈত্র অর্থাৎ সত্যবতীকে দেখা গিয়েছিল শাড়িতে। এই ছবি আপলোড করে দেব ক্যাপশনে লিখেছেন, ছবির ট্রেলার আসতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি।
আগস্টের ১১ তারিখ মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি। দেব ব্যোমকেশের চরিত্রে অভিনয় করবেন শুনেই সমালোচনা শুরু করেছিলেন দর্শক। তাই এই ছবিতে দেবকে দর্শকদের কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। অন্যদিকে রুক্মিণী এই প্রথম অভিনয় করবেন সত্যবতীর চরিত্রে, অম্বরীশও এই প্রথম অজিতের চরিত্রে। পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তও এই প্রথম ব্যোমকেশ পরিচালনার ব্যাটন ধরেছেন। ফলে সিনেমাহলের প্রমাণ হবে, তাঁরা কত নম্বর পেয়ে পাশ করলেন।