ফের জোরালো কম্পনে কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। গত শুক্রবার মধ্যরাতেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। শুধু দিল্লি নয়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এমনকি কলকাতাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। সেই কম্পনের ৭২ ঘণ্টা কাটতে বা কাটতেই সোমবার বিকেলে ফের ভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী। কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে উত্তরপ্রদেশেও।
Earthquake of Magnitude:5.6, Occurred on 06-11-2023, 16:16:40 IST, Lat: 28.89 & Long: 82.36, Depth: 10 Km ,Region: Nepal for more information Download the BhooKamp App https://t.co/TXMwjzCLks @KirenRijiju @Ravi_MoES @Dr_Mishra1966 @ndmaindia @Indiametdept pic.twitter.com/HM8ZaYMlZH
— National Center for Seismology (@NCS_Earthquake) November 6, 2023
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে খবর, কম্পনের উৎসস্থল ছিল নেপাল। মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পন হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। সোমবার বিকাল ৪টে ১৬ মিনিট নাগাদ দিল্লি-সহ নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ ও সংলগ্ন অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। তবে মাত্র ৩ দিন আগেই বড়সড় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল নেপালে। ৬.৪ মাত্রার সেই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে।
রাজধানীর বাতাস দূষিত। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে খুদে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে দিল্লির সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজধানীর সরকার।
রবিবার সকালে দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী একটি টুইট করেছেন। টুইটে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লির সব প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে, শুধু খুদে পড়ুয়া নয়। টুইটে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্যেও স্কুলে যাওয়ার বদলে বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাস করানোর ভাবনাচিন্তা করছে রাজধানীর সরকার।
দিল্লির দূষণ ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে। রবিবার সকালে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স পৌঁছে গিয়েছে ৪১৫ থেকে সরাসরি ৪৬০-এ। দূষণের কারণে দিল্লিজুড়ে নির্মাণ কাজও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে বাইরে বেরোলেই অনেকেই চোখ জ্বালা করতে শুরু করেছে। দিল্লির এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা এই সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
আশঙ্কা ছিলই। দীপাবলির আগে ফের দূষণের কালো চাদরে ঢাকল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। শুক্রবার কার্যত অন্ধাকারেই ঘুম ভাঙল দিল্লিবাসীর (Delhi Pollution)। দূষণ কমাতে বিএস থ্রি মডেলের পেট্রোল গাড়ি এবং বিএস ফোর মডেলের ডিজেল গাড়ি অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যান করা হলো দিল্লি সরকার। আর এই নির্দেশিকা না মানলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করেছে দিল্লি ট্রাফিক পুলিস। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর থাকবে। এছাড়াও দূষণের জেরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার দুই দিনের জন্য সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার টুইটারে এই ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইটে জানিয়েছেন, "ক্রমবর্ধমান দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে দিল্লির সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী ২ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে।" বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অ-প্রয়োজনীয় সমস্ত নির্মাণ কার্যও। বিশেষ করে গৌতম বুধ নগর, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদ এবং গুরুগ্রাম শহরের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই শহরগুলিতে ডিজেল ট্রাকের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রতিবেশী গুরুগ্রামও দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গুরুগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একটি আইনের অধীনে আবর্জনা, পাতা, প্লাস্টিক এবং রাবারের মতো বর্জ্য পদার্থ পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে। এই আইন যাঁরা লঙ্ঘন করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ ২.৫-র বেশি বলে জানা গিয়েছে। যা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে সাত থেকে আট গুণ বেশি। এই পরিস্থতিতে দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের তৃতীয় ধাপের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার একটি বৈঠক ডেকেছেন। তিনি বলেন, "GRAP-এর তৃতীয় ধাপের কার্যকরী বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করার জন্য শুক্রবার দুপুর ১২ টায় সমস্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগের একটি সভা ডাকা হয়েছে।"
উল্লেখ্য, বিষ বাতাসে ভরে গিয়েছে দিল্লি। বৃহস্পতিবার দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল ৪০২। বাতাসের গুণমান ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে তাকে ক্ষতিকর বলে ধরা হয়। ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে বাতাসের গুণমান থাকলে তা অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ৪০১ থেকে ৫০০-র মধ্যে থাকলে পরিস্থিতি গুরুতর বলে ধরা হয়।
বাংলাদেশের যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলায় হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদে দিল্লিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ অর্থাৎ সোমবার দুপুরে দিল্লি শহরের সম্রাট মাহীর ভোজ গুজার চক পোটলায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু ইউনিটি অফ সাউফ এশিয়ার ব্যানারে ঘণ্টা ব্যাপী এই মানববন্ধনে বক্তারা বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও তার ছেলের বিরুদ্ধে হিন্দুদের হত্যা করে দেশ ছাড়া করার অভিযোগ তোলেন। এ বিষয়ে ভারতের রাজধানী দিল্লিতেই তাঁরা আওয়াজ তোলেন। পাশাপাশি ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হিন্দু যুব নেতা হত্যা সহ সরকারি জমি নিজের নামে লিখে নেওয়ার মত গুরুতর অভিযোগও করেন। এছাড়া ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন তাঁরা। এছাড়া ওই সংগঠন সূত্রেই খবর, তারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির নিকট স্বপন ভট্টাচার্য্যকে মনোনয়ন না দেওয়ারও অনুরোধ জানান।
উৎসবের মরসুমেই বিষাক্ত দিল্লির বায়ু। দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে খারাপ হচ্ছে বায়ুর গুণমান সূচক (AQI)। রাজধানীর কয়েকটি এলাকা এবং নয়ডা ও গুরুগ্রামের নিঃশ্বাসে বিষ সর্বাধিক। এই ঘটনায় পরিবেশবিদদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (SAFAR)-ইন্ডিয়া তথ্য অনুসারে দিল্লির বায়ু গুণমান সূচক দাঁড়িয়েছে ৩০৬-এ। বিশেষত, শীতকালে দিল্লির দূষণ বৃদ্ধি পায়। সেখানে এবারে পুজোর সময় থেকেই দূষণের চাদরে মুড়েই দিন শুরু হচ্ছে দিল্লিবাসীর।
আগামী ১০-১৫ দিন দিল্লির বাতাসের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী, শূন্য থেকে পঞ্চাশ অবধি বাতাসের মানকে ভালো বলে ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০ পর্যন্ত মাঝারি, ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত খুব খারাপ, ৪০১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত উদ্বেগজনক। সেই হিসাবে রাজধানীর দূষণ এখনই খুব খারাপের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। এখন পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলেই।
দিল্লি হাইকোর্টে ফের পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের শুনানি। গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গতবছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয়। তার পর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, এখনও জেলবন্দি অনুব্রত। এখন তাঁর ঠিকানা তিহাড় জেল। কিন্তু বুধবারও তাঁর জামিনের শুনানি পিছিয়ে গেলে অনুমান করা হচ্ছে, এই পুজোও তাঁকে কাটাতে হবে জেলেই। পরবর্তী শুনানি ১৯ অক্টোবর।
আদালত সূত্রে খবর, অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল অন্য মামলায় ব্য়স্ত রয়েছেন। মামলায় আরও খানিকটা সময় চেয়েছেন ইডির আইনজীবী। তাঁদের আর্জি মঞ্জুর করে আদালত। এর পরই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কথামত মঙ্গলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, মূলত একশো দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানাবেন বলে খবর। পাশাপাশি রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা মোতায়েন থাকার পরও তৃণমূলের ধরনা নিয়েও শাহি বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, ধরনা নিয়ে রিপোর্ট জমা করেছেন রাজ্যপাল।
একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল ক্রমেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। রাজ্যের ‘বকেয়া’ আদায়ে দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কাছ থেকে ‘বকেয়া’ আদায়ের দাবি নিয়ে সোমবার বিকাল ৪টে নাগাদ রাজভবনে অভিষেকের নেতৃত্বে ৩০ জন প্রতিনিধির একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকে ২০ লক্ষেরও বেশি চিঠি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই চিঠিগুলি বঞ্চিতরাই লিখেছিলেন বলে দাবি। মিনিট কুড়ির বৈঠক হয় রাজভবনে। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বেরিয়ে এসে জানায়, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।
অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সেরেই সন্ধ্যার বিমানে দিল্লিতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। দীর্ঘ ৫ দিন অভিষেকের ধরনার পর সোমবার বিকেলে মিনিট কুড়ির এই বৈঠকের পরই ফের দিল্লিতে উড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, আজ সন্ধের বিমানেই দিল্লি যাওয়ার কথা তাঁর। একশো দিনের কাজের টাকার ইস্যুতে অভিষেকদের সঙ্গে এই বৈঠকের পরই রাজ্যপালের এই দিল্লিযাত্রা আরও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ২০ মিনিট বৈঠক করেন রাজ্যপাল। এমন অবস্থায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একশো দিনের কাজের টাকার ইস্যুতে আলোচনার পরপরই রাজ্যপাল বোসের ফের দিল্লি যাত্রা স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অভিষেকরা দাবি তুলেছেন, রাজ্যপাল যাতে তাঁদের ইস্যুগুলি নিয়ে কেন্দ্রের থেকে জানতে চান। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন, এই ২০ লাখ মানুষকে দিয়ে কাজ করানো হয়েছিল কি না এবং যদি কাজ করানো হয়ে থাকে, তাহলে কোন যুক্তিতে বা কোন আইনে কেন্দ্র তাঁদের টাকা আটকে রেখেছে? এই বিষয়টি যাতে রাজ্যপাল বোসও কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন অভিষেক।
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy) গ্রেফতার করা হয়েছে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং-কে (Sanjay Singh)। গতকাল অর্থাৎ বুধবার দিনভর সঞ্জয় সিং-এর বাড়ি তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা (Enforcement Directorate)। প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির হাতে গ্রেফতার হয় রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে ৫ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানো হল।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এর পর বুধবার গ্রেফতার হয়েছেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। বৃহস্পতিবার তাঁকে ৫ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানো হল। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁকে ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।
অন্যদিকে এদিন ডিডিইউ মার্গে আপ অফিসের কাছে কেন্দ্রীয় দিল্লিতে বিক্ষোভ করার সময় ১০০ জনেরও বেশি আপ কর্মীকে দিল্লি পুলিস আটক করেছিল। তারা সরকার বিরোধী স্লোগান দেয় এবং সিংয়ের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে। বুধবার সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতারের পর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আপ কর্মীরা বিক্ষোভ করছে।
দিল্লিতে পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদ। পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরবেন। বৃহস্পতিবার এক লক্ষ কর্মী-সমর্থক নিয়ে 'রাজভবন চলো'-এর অভিযান করবে তৃণমূল।
এবার সেই কর্মসূচির প্রস্তুতির পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল দেশের দুই শহরে পরপর সমাবেশ করেনি তৃণমূল। তাই এই কর্মসূচি সফল করতে তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন ও জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই জেলায় জেলায় কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-ও এই কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু করেছে। জানিয়েছেন, ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
বুধবার সকাল পর্যন্ত তৃণমূলের বহু নেতাই দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরতে পারেননি। অভিষেকের নির্দেশের পরই কাজ শুরু হয়ে যায়।
দিল্লির আবগারি মামলায় (Delhi Liquor Policy) এবারে ইডির নজরে আরও এক আম আদমি পার্টির (AAP) সদস্য সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি বুধবার সকাল থেকেই আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং-এর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৭ টা নাগাদ সঞ্জয় সিং-এর বাড়িতে হানা দেয় ইডি আধিকারিকরা। সেই থেকে এখনও তল্লাশি চলছে বলে খবর।
#WATCH | Visuals from outside AAP Rajya Sabha MP Sanjay Singh's residence
— ANI (@ANI) October 4, 2023
ED raids underway at the residence of AAP Rajya Sabha MP Sanjay Singh pic.twitter.com/k6FRDjY12S
আবগারি দুর্নীতি মামলা ঘিরে অস্বস্তিতে রয়েছে আপ। ইতিমধ্যে এই মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এমনকি জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও। আর এবারে ইডির নজরে সঞ্জয় সিং। অভিযোগ উঠেছে, দিল্লিতে আবগারি নীতিতে পরিবর্তন এনে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে কেজরিওয়াল সরকার। বেআইনি ভাবে একাধিক ব্যক্তিকে আবগারি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এবং তাঁদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছে আম আদমি পার্টি। এমনই অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর পর থেকেই আপের একের পর এক মন্ত্রী এবং সাংসদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি, সিবিআই।
সূত্রের খবর, আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী দীনেশ অরোরার অভিযোগ, সিসোদিয়ার সঙ্গে তাঁর আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন সঞ্জয় সিং। দীনেশ অরোরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই বিষয়ে জানা যায়। পরে আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল, তাতে সঞ্জয় সিংয়ের নাম রয়েছে। ফলে এবারে সঞ্জয় সিং-এর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি।
মণি ভট্টাচার্য: দুটি লড়াই-ই সমগোত্রীয়, দুটিই অধিকারের দাবিতে। একটি, রাজ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির দাবিতে, অন্যটি বাংলার বকেয়া আদায়ের দাবিতে। আর এই দুই লড়াইকেই এখন একই দাঁড়িপাল্লায় মাপছে বাংলার জনসাধারণের একাংশ। একদিকে বাংলায় দিনের পর দিন অধিকারের দাবিতে পুলিশের লাঠির বাড়ি জুটেছে চাকরিপ্রার্থীদের। অন্যদিকে, সোমবার ও মঙ্গলবারে দিল্লিতে তৃণমূলের আন্দোলনের চিত্রটিও যেন কিছুটা একইরকম। কখনও খেলেন পুলিশের তাড়া, কিংবা কখনও অভিষেক সহ সমস্ত সাংসদদের টেনে-হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। ঠিক যেমনটা চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে করা হয় এ রাজ্যে। দিল্লির পুলিশ যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে মনে করিয়ে দিলেন, 'প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।'
হ্যাঁ, একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি জর্জরিত রাজ্য, ঠিক তখনও রাস্তায় বসে কাতরাচ্ছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। তখনও হুশ ফেরে না প্রশাসনের। চ্যাংদোলা করে, কখনও আন্দোলনকারীদের কামড়ে, কখনও রাত বাড়লেই মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে লাঠিচার্জ, সে এক নির্মম অত্যাচার। এই ঘটনা লিখতে গেলেই মনে পড়ে যায়, ক্যা-এনআরসি আন্দোলন চলাকালীন কবি আমির আজিজের লেখা কবিতার দুটি লাইন। 'রাত্রি হলে অধিকার দাবিতে গুলি আর লাঠির বাড়ি, যাদের গায়ে আঘাত তাদেরকেই বলা বদমাইশের ধারি,' আন্দোলন ও প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও লাইন দুটি আজ বড়ই প্রাসঙ্গিক। এভাবেই প্রত্যেকবার বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কেউ কখনও তাঁদের কথা শোনেইনি। বরং রাজনীতির আঙিনা বাঁচাতে প্রতিশ্রুতি জুটেছে তাঁদের। ঠিক তেমনই তৃণমূল দিল্লির রাজপথে ধরণা-প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করলেও কেউই শুনলো না তাঁদের কথা, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও দেখা মিলল না কেন্দীয় মন্ত্রীর। বরং চ্যাংদোলা করে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে।
আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজে বকেয়ার দাবি তুলে দিল্লির রাজপথে কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল। চলতি সপ্তাহেই সোমবার অর্থাৎ তৃণমূলের আন্দোলনের প্রথম দিনই কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং জানিয়েছিলেন, ৫৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল আবাস যোজনা খাতে। সেই টাকার হিসাব তৃণমূল দেখাতে পারছেনা। ফলে গিরিরাজ সিংয়ের অভিযোগ সেখানেও টাকার নয়-ছয় হয়েছে। পাশাপাশি জবকার্ডের ক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ জবকার্ড ভুয়ো বলে দাবি করেন তিনি।
কেন্দীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কৃষি ভবনে ধরনা দিলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সাংদেরও জোরপূর্বক প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। মোটের উপর প্রথম বারের জন্য প্রিজন ভ্যানে ওঠার অভিজ্ঞতা হলো তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডের। এরই প্রতিবাদের সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি দাবি করেন, '৩রা অক্টোবর দেশের জন্য কালো দিন।' প্রশ্ন উঠছে, জোর করে, টেনে-হিঁচড়ে, কামড়ে, লাঠির বাড়ি মেরে বাংলায় প্রতিনিয়ত চাকরিপ্রার্থীদের মারধর করা হয়। ওদের আন্দোলনও তো অধিকারের দাবিতে। ওদের ক্ষেত্রে তবে আপনাকে সরব হতে দেখা যায় না কেন? নাকি আপনি কেবল আপনার সাংসদদের মুখ্যমন্ত্রী! রাজ্যের যোগ্য চাকরিপ্রার্থী কিংবা সমস্ত আপামর জন সাধারণের মুখ্যমন্ত্রী নয়?
দিল্লির যন্তর মন্তরের মঞ্চে মঙ্গলবারও অবস্থান তৃণমূল কংগ্রেসের। সোমবার তৃণমূলের কর্মসূচিতে বারবার বাধা দিয়েছে দিল্লি পুলিস। এদিনও তৃণমূল কর্মীরা রান্নার গ্যাসের দাম, পেট্রোলের দাম, কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা নিয়ে বঞ্চনা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার হাতে যন্তর মন্তরে আসেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে যন্তর-মন্তরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে তৃণমূল। এক্স প্ল্যাটফর্মে তৃণমূল কংগ্রেস লেখে, "সুবিচারের দাবিতে গর্জন করছে বাংলা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ধর্না শুরু হয়েছে। বাংলার মানুষকে অধিকারের দাবিতে লড়াই করার থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।"
বাংলার জব কার্ড হোল্ডারদের ১০০ দিনের কাজের টাকা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে, একাধিক আর্থিক দাবি নিয়ে রাজধানীর যন্তর মন্তরে এই কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে 'মিশন দিল্লি'।
এক সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে সিপিএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বাড়িতে পৌঁছল দিল্লি পুলিস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার দিল্লির বহু জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে দিল্লি পুলিসের তরফে। সেই সূত্রেই, এদিন ইয়েচুরির বাড়িতে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিসের একটি টিম। সিপিএম নেতা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে থাকেন এমন এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর ল্যাপটপ ও মোবাইল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে ইয়েচুরি জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিতেই এই ধরনের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কী কারণে এই তল্লাশি, তা স্পষ্টভাবে জানানোর দাবি জানিয়েছেন সিপিএম নেতা।
ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। সোমবারই উত্তরবঙ্গে কম্পন অনুভূত হয়। আর এর পর আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কম্পন অনুভূত হল দিল্লি সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২। প্রায় ৪০ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে এর তীব্রতাও বেশি ছিল। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী দিল্লিতে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর ২টো ২৫ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয় নেপালে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৬। দ্বিতীয় ভূমিকম্প হয় মঙ্গলবার দুপুর ২টো ৫১ মিনিটে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.২। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎস্থল নেপালের ভাতেখোলা থেকে ২ কিলোমিটার দূরে, মাটির পাঁচ কিলোমিটার কিলোমিটার গভীরে।
দিল্লিবাসীর পাশাপাশি কম্পন অনুভব করেন নয়ডা, ফরিদাবাদ, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদের বাসিন্দারা। উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশেও কম্পন অনুভূত হয়। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, বহুতল থেকে মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।