Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Delhi

Spicejet: মাঝআকাশ থেকে নাসিকগামী স্পাইসজেট ফেরত এল সেই দিল্লি বিমানবন্দরে

অটোপাইলট সিস্টেমে (autopilot system) ত্রুটির কারণে একটি নাসিকগামী (Nashik) স্পাইসজেট (SpiceJet) ফ্লাইট বৃহস্পতিবার সকালে টেক-অফের কিছুক্ষণ পরেই দিল্লিতে ফিরে আসে। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Indira Gandhi International Airport) থেকে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাসিকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল ওই  স্পাইসজেট বিমানটি।  ডিজিসিএর একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছে।

স্পাইসজেট ফ্লাইট SG-8363 দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ৬.৫৪ মিনিটে নাসিকের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। কিন্তু অটোপাইলট সিস্টেমে বিপত্তি হওয়ায় দিল্লিতে ফিরে আসে। যাত্রীরা সকলে নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন  স্পাইসজেটের একজন মুখপাত্র।

জুলাইয়ের শুরুতে, এভিয়েশন ওয়াচডগ বলেছিল যে স্পাইসজেট নিরাপদ, দক্ষ এবং নির্ভরযোগ্য বিমান পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। পরে এয়ারলাইনটিকে তার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ফ্লাইট পরিচালনা করার নির্দেশ দেয়।

2 years ago
City: অপরাধের মাপকাঠিতে দেশে সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা: এনসিআরবি

দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের (Safest City) তকমা পেল কলকাতা (Kolkata)। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বা এনসিআরবি (NCRB) রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে এই দাবি করেছে। তিলোত্তমার পরেই অপরাধের নিরিখে নিরাপদ শহর পুনে, হায়দরাবাদ, কানপুর, বেঙ্গালুরু, মুম্বই। জানা গিয়েছে, পরপর দু'বছর অর্থাৎ ২০২০ এবং ২০২১ সালের নিরিখে দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতাই। এর আগে ২০১৮ সালে সেরার তকমা পেয়েছিল সিটি অফ জয়। যদিও এনসিআরবি দাবি করেছে তাদের কাছে কলকাতার ২০১৯-র কোনও তথ্য নেই। তবে গত ৪ বছরের হিসেবে মোট তিনবার দেশের নিরাপদ শহর হিসেবে শীর্ষে গঙ্গার পূর্বপাড়ের এই শহর।

এনসিআরবি সূত্রে খবর, দেশের যে শহরগুলোর জনসংখ্যা ২০ লক্ষের বেশি, তাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এনসিআরবি এই তালিকা বানায়। কলকাতায় প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় নথিভুক্ত অপরাধ ১০৩ আর পুনেরর ২৫৬। ২০২০-তে প্রতি লক্ষে কলকাতায় নথিভুক্ত অপরাধ ছিল ১২৯। এনসিআরবির দাবি, গত ৬ বছরে কলকাতার বুকে অপরাধ ক্রমেই কমছে। এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব কলকাতা পুলিসের কঠোর পরিশ্রম এবং জনগণের সহযোগিতার।

জানা গিয়েছে, নারী নির্যাতনঘটিত অপরাধও কমেছে কলকাতায়। বিশেষ করে ধর্ষণ ১১টি এবং খুন ৪৫টি গত এক বছরে নথিভুক্ত হয়েছে। পথ দুর্ঘটনা এবং ধর্ষণের নিরিখে একদম উপরের সারিতে রয়েছে দিল্লি।

2 years ago
Anandpur: দুষ্কৃতী ডেরা থেকেই কলকাতার সিপিকে ফোন অপহৃত ব্যবসায়ীর, আনন্দপুর থানার তৎপরতায় ধৃত ৩

ব্যবসার কাজে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে অপহৃত হয়ে প্রায় ৪ দিন মাদুরদহে নজরবন্দি। অবশেষে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে কলকাতার পুলিস কমিশনারকে ফোন। সিপির নির্দেশ এবং আনন্দপুর থানার সক্রিয়তায় দুষ্কৃতী ডেরা থেকে উদ্ধার দিল্লির ব্যবসায়ী অশোক থাপা। টানটান এই চিত্রনাট্য কোনও ওয়েব সিরিজের নয়, বরং বাস্তবের কলকাতার। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিসের হাতে গ্রেফতার তিন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানতে পেরেছে ব্যবসায়িক শত্রুতার জের এই ঘটনা। 

কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা বছর ৫৫-র প্রৌঢ় অশোক থাপা।  তিনি পাইপ লাইনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দিন পনেরো আগে ব্যবসার কাজে কলকাতা আসেন এবং ইডেন গার্ডেন্সের সামনে থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। এরপর ছ’দিন ধরে শহরেই আটকে রাখা হয়েছিল অশোকবাবুকে। খানিকটা নিজের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্তি পেলেন অশোক।

ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, অশোক থাপাকে দু’দিন ধরে কলকাতার একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়েছিল। তারপর চারদিন তাঁকে রাখা হয়েছিল মাদুরদহের একটি পরিত্যক্ত গুদামে। সেখান থেকে দুষ্কৃতীদের চোখ এড়িয়ে সটান কলকাতার পুলিস কমিশনারকে ফোন করেন তিনি। গুগল থেকে খুঁজে বার করেন নম্বর। এরপরই তাঁর অবস্থান চিহ্নিত করে ওই গুদামের কাছে পৌঁছে যায় আনন্দপুর থানার পুলিশ। উদ্ধার করে প্রৌঢ়কে।

যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের নাম আলি, শাহানওয়াজ এবং শম্ভু। এঁরা সকলেই কুন্তল গুছাইত নামের এক ব্যক্তির লোক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, এই কুন্তলের সঙ্গেই দিল্লিতে ব্যবসায় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত গোলমাল ছিল অপহৃত অশোক থাপার। সেই কারণেই ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে লক্ষাধিক টাকা চেয়েছিলেন দুষ্কৃতীরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত করছে পুলিস।


2 years ago


Delhi: অফিসের মধ্যেই পড়ে মহিলাকর্মীর গলাকাটা দেহ, সিসিটিভি ফুটেজ দেখছে পুলিস

অফিসের মধ্যেই পড়ে রয়েছে এক মহিলা কর্মীর গলাকাটা দেহ (Woman DeadBody)। অফিসে ঢুকে এই দৃশ্য দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছেন বাকি অফিস কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে (Delhi)। ইতিমধ্যে ঘটনায় সন্দেহজনক একজনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস। খুন (Murder) নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিস সূত্রে খবর, ওই মহিলা উত্তর-পূর্ব দিল্লির আজাদপুরের একটি আর্থিক সংস্থার কর্মী।  তিনি সেখানে টেলিকলার হিসাবে কাজ করতেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ওই অফিস থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ পুলিসের কাছে ফোন করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিসের একটি দল।

অফিসের মধ্যে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের। প্রথমে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকর্মীকে পড়ে থাকতে দেখতে পায়।  এরপর কাছে যেতেই দেখা যায় মাথা থেকে আলাদা গলা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এই কাণ্ড করা হয়েছে বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান।

ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী কারণে খুন করা হল তা নিয়ে তদন্ত জারি রয়েছে। তবে উত্তর-পূর্ব দিল্লির পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন, একটি খুনের মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চালাচ্ছেন তাঁরা।

2 years ago
Monkeypox: সমকামে ছড়ায় না মাঙ্কিপক্স, দিল্লির ৫ আক্রান্তের উপর গবেষণায় দাবি

বিশ্বের ৭৫টি দেশে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ এই মুহূর্তে মাঙ্কিপক্সে (Monkeypox) আক্রান্ত। এই ভাইরাস নিয়ে 'রেড অ্যালার্ট' (Red Alert) জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছিল একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমপ্রেমী পুরুষ যাঁরা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন তাঁদের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। তবে সম্প্রতি মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের উপর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিল্লিতে (Delhi) যে পাঁচজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে তিনজন সমকামী বা উভকামী নয়। তাঁরা নিজেদের বিষমকামী বলে দাবিও করেন। বাকি দুজনের আক্রান্ত হওয়ার পিছনে কোনও যৌন সংযোগ নেই। এমনকি বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই।

এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার কারণে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন ওই দু’জন। আইসিএমআর, পুণের মৌলনা আজাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং এমস-এর বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণাটি করে।

উল্লেখ্য,সংক্রমণের কারণ আলাদা হলেও সকলের উপসর্গ একই।  মাথা ব্যথা, গায়ে ফোস্কার মতো ফুসকুড়ি, জ্বর, মাথাধরা সবটাই দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাতাসেও অর্থাৎ নিঃশ্বাসের মধ্যেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এই ভাইরাস করোনার মতো অধিক সংক্রামক নয়, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

2 years ago


Child: কুকীর্তির প্রত্যক্ষদর্শী! ৮ বছরের শিশুকে মায়ের প্রেমিকের ধর্ষণ করে খুন

পথের কাঁটা দূর করতে প্রথমে অপহরণ (Kidnapping)। তারপর ৮ বছরের শিশু (Girl) কন্যাকে ধর্ষণ (Rape) করে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লিবাসী (Delhi)। সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম রিজওয়ান আলিয়াস বাদশা। পেশায় মাংসবিক্রেতা। তিনি বিহারের বাসিন্দা। কাজের সূত্রে দিল্লিতে এসে বসবাস করছেন। মেয়েটির মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অভিযুক্তের। মা এবং তাঁর প্রেমিককে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিল মেয়েটি। তাঁদের সম্পর্কের কথা যদি জানাজানি হয়ে যায়, সেকারণে ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত।

পুলিস সূত্রে খবর, গত ৪ অগাস্ট মধ্যরাতে শিশুটিকে যমুনা খাদারের জঙ্গল এলাকায় অপহরণ করে নিয়ে যান রিজওয়ান। তারপর ধর্ষণ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করেন। কেবল তা নয়, নাবালিকার মুখে ছুরি দিয়ে কাটাকুটিও করেন। এককথায়, নৃশংসতার জ্বলন্ত উদাহরণ।

নির্যাতিতার বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং বলেন, স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সকালবেলা উঠে তাঁর ৮ বছরের মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন। কোথাও না পেয়ে পুলিসের দারস্থ হন। পুলিসের ৫০ জনের একটি দল তদন্ত শুরু করে। অবশেষে ১৮ অগাস্ট ঝোপের মধ্যে থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিস।

ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত ঘটনার কথা নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

2 years ago
IPS: কয়লা-কাণ্ডে ইডি ডাকে সাড়া দিলেন আইপিএস রাও, ৫ দফা প্রশ্নে বিদ্ধ পুলিসকর্তা

কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Smuggling) এবার দিল্লিতে ইডির (ED) দফতরে হাজিরা দিলেন আইপিএস কোটেশ্বর রাও (IPS Koteswar Rao)। ইতিমধ্যে এই মামলার তদন্তে রাজ্যের ৮ আইপিএসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই তালিকায় কোটেশ্বর রাও ছাড়াও নাম রয়েছে জ্ঞানবন্ত সিং-সহ অন্য আইপিএস-দের। তবে ইডি ডাকে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার নয়াদিল্লির পরিবর্তন ভবনে সময়ের আগেই পৌঁছন ২০১১ ব্যাচের এই আইপিএস। তাঁকে মূলত পুরুলিয়ার প্রাক্তন এসপি হিসেবে ডাকা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ইসিআইআর ১৭ দায়ের করে কয়লা পাচার-কাণ্ডে পুরুলিয়ার তৎকালীন এসপি-র কাছে একাধিক প্রশ্ন রেখেছেন। যে যে প্রশ্ন মূলত রাখা হয়, সেগুলো-- 

১) কয়লা-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালা ররফে অনুপ মাঝির কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে ছিল পুরুলিয়ায়। এই বিষয়ে পুলিস সুপার হিসেবে মিস্টার রাও কিছু জানতেন কিনা?

২) বন্ধ হয়ে যাওয়া কয়লা খনি নিয়ে অনুপ মাঝিকে খবর দিত ইসিএল-র কয়েকজন কর্মী। ওই কর্মীরা স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। সেই বিষয়ে এই আইপিএস কিছু জানতেন কিনা? ৩) পাচার সংক্রান্ত কোনও খবর পেলে কী পদক্ষেপ নিতেন তিনি? ৪) এই বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন তথা উচ্চ পদস্থ কোন কোন পুলিসকর্তাকে অবগত করেছিলেন? ৫) লালার ডায়রিতে পুরুলিয়ার পুলিসকর্তা ও থানার নাম দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা পেমেন্ট বলে লেখা। সে বিষয়ে আইপিএস কোটেশ্বর রাও কিছু জানেন কিনা?

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য ২০১৮-১৯ সালে কোটেশ্বর রাও পুরুলিয়ার এসপি ছিলেন। কয়লা পাচার-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে মোট ৮ আইপিএস অফিসারকে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম জ্ঞানবন্ত সিং। দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। সোমবার সকাল ১১ টায় দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে জানা গেছে, তিনি যে যেতে পারবেন না সেটা আগেই ইডিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন জ্ঞানবন্ত। জানা গিয়েছে, সাত দিন সময় চেয়েছেন তিনি। তবে কী কারণ দেখিয়ে তিনি সময় চেয়েছেন তা জানাননি স্বরাষ্ট্র দফতরের ওই সূত্র।

উল্লেখ্য, ইডি সূত্রের খবর, লালার নেতৃত্বে কয়লা পাচারের রমরমা ছিল রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে। সেই সময় এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে ছিলেন জ্ঞানবন্ত সিং। দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাঁর সময়ে এ ভাবে কয়লা পাচার হত, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, কয়লাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে জেরা করেই জ্ঞানবন্তের নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁকে তলব করা হয়েছে।

2 years ago
Delhi: কৃষক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে ব্যাপক নিরাপত্তা, ১৪৪ ধারা জারি

কৃষকদের (Farmers) বিক্ষোভ (Agitation) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার (Security) চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিকে। বিশেষত সীমান্ত (Border) এলাকাগুলিতে কড়া পুলিস প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar) সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এই জমায়েতের জন্য পুলিস অনুমতি না দেওয়ায় গণ্ডগোলের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পুলিস জানিয়েছে, কোনও জমায়েত করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু কী দাবিতে এই আন্দোলন? সংগঠনগুলি জানিয়েছে, উত্পাদিত শস্যের জন্য মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য চালু করার দাবি তাদের দীর্ঘদিনের। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বছরভর আন্দোলন করাকালীন যাঁদের বিরুদ্ধে কেস দেওয়া হয়েছে, সেগুলি তুলে নেওয়ার দাবিও রয়েছে।

এদিকে নিরাপত্তার কারণে শুধু দিল্লি পুলিস নয়, বাইরে থেকে বাড়তি ফোর্স আনা হয়েছে। সিংঘু, টিকরি, গাজিপুর সহ সীমান্ত এলাকাগুলিতে সমস্ত গাড়ি পরীক্ষা করার পর তবেই রাজধানীতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। ফলে শহরে যানবাহনের গতিও শ্লথ হয়ে গিয়েছে। রেললাইন, বাসস্টপ এবং মেট্রোতেও বিশাল ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। বেশ কিছু রুটে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যানবাহন। সব মিলিয়ে গোটা দিল্লি জুড়ে সাজো সাজো রব।

উল্লেখ্য, গত রবিবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতকে সীমান্তে আটক করা হয়েছিল। কারণ, ঘোষিত কর্মসূচি মহাপঞ্চায়েতে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি দিল্লি ঢুকতে চাইছিলেন। তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার পর তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, শেষ নিঃশ্বাস পড়া পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন চলবে।

2 years ago


New Delhi: নিখোঁজ আট বছর বয়সী মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার

সপ্তাহ দুই ধরে নিখোঁজ (missing) ছিল আট বছর বয়সী এক শিশুকন্যা (Girl)। রবিবার মেলে মেয়েটির খোঁজ। তবে উদ্ধার হয় শিশুটির মৃতদেহ। রবিবার পুলিস জানিয়েছে, নয়াদিল্লির (New Delhi) যমুনা খাদার এলাকার (Yamuna Khadar) কাছে পাওয়া গিয়েছে মৃতদেহটি (Deadbody)।

সূত্রের খবর, মেয়েটি তার মধ্য দিল্লির বাড়ি থেকে ৫ই অগাস্ট নিখোঁজ হয়ে যায়। সর্বত্র খুঁজেও মেয়েকে না পেয়ে পুলিসের দারস্থ হয়েছিলেন বাবা-মা। সেদিনই থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেছিলেন।

একজন ঊর্ধ্বতন পুলিস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৮ই অগাস্ট বনাঞ্চলে মৃতদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপর তাদের খবর দেন এলাকাবাসীই। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মনে করা হচ্ছে মেয়েটিকে গলা টিপে খুন করা হয়। এরপর গলা কেটেও দেওয়া হয়। একজন পরিচিত ব্যক্তি এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, মেয়েটিকে অপহরণ করে জঙ্গল এলাকায় নিয়ে গিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে তার লাশ নদীর ধারে ফেলে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে অপহরণ ও হত্যার একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ।

উল্লেখ্য, পুলিসের ডেপুটি কমিশন (সেন্ট্রাল) শ্বেতা চৌহান বলেছেন, একজন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

2 years ago
Scam: ৫০০ কোটির তাৎক্ষণিক ঋণ-চক্রে পাকড়াও ২২, পুলিসের নজরে চিন

দিল্লি পুলিসের (Delhi Police) বড় সাফল্য। চিনা (China) নাগরিকদের দ্বারা পরিচালিত ৫০০ কোটি টাকার তাৎক্ষণিক ঋণ-কাম-চাঁদাবাজির চক্রে জড়িত ২২ জনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস। সারাদেশে গত দু'মাস ধরে তল্লাশি চালিয়ে চক্রটির হদিশ পায় দিল্লি পুলিস। চিনে বসে এই চক্র চালাচ্ছিল কয়েকজন নাগরিক। টাকা তোলার জন্য ১০০টি লোন অ্যাপ (Loan App) ব্যবহার করেছে অভিযুক্তরা। ব্যবহারকারীদের বিবরণ পাঠানো হয়েছে চিনে বলে জানান এক পুলিস আধিকারিক।

এই নেটওয়ার্কটি দিল্লি, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং অন্যান্য রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। জানা গিয়েছে, যত টাকার ঋণ চাইত তত দেওয়া হত ঋণগ্রহীতাদের। আর ঋণ দেওয়ার বদলে হাতিয়ে নেওয়া হত গোপন তথ্য। তারপর সেই তথ্য ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করা হত গ্রাহকদের। এবং আদায় করত মোটা অঙ্কের টাকা।

ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (IFSO) কেপিএস মালহোত্রা বলেছেন, এই দলটি ভুয়ো আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন নম্বর থেকে গ্রাহদের কল করত। এবং দাবি মানতে না চাইলে ব্যবহারকারীদের মর্ফ করা নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে আপলোড করা হবে বলে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করত। বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের মেসেজ, চ্যাটেরও অ্যাকসেস নেওয়া হত। সে সব তথ্য চিন এবং হংকংয়ের সার্ভারে আপলোড করা হত।

সামাজিক ভয় এবং কলঙ্কের কারণে, ব্যবহারকারীরা অর্থ প্রদান করতেন। যা পরে হাওয়ালার মাধ্যমে বা ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার পরে চিনে পাঠানো হয়েছিল। গ্যাংটি টাকা লেনদের জন্য একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এবং প্রতিটি অ্যাকাউন্টে প্রতিদিন ১ কোটি টাকারও বেশি ঢুকত।

যে অ্যাপগুলো সাধারণ ব্যবহার করা হত, সেগুলি হল, ক্যাশ পোর্ট, রুপি ওয়ে, লোন কিউব, ওয়াও রুপি, স্মার্ট ওয়ালেট, জায়ান্ট ওয়ালেট, হাই রুপি, সুইফট রুপি, ওয়ালেটউইন, ফিশক্লাব, ইয়েহক্যাশ, ইম লোন, গ্রোট্রি, ম্যাজিক ব্যালেন্স, ইয়োক্যাশ, ফরচুন ট্রি, সুপারকয়েন, রেড ম্যাজিক। তল্লাশি চালিয়ে ৫১টি মোবাইল ফোন, ২৫ টি হার্ডডিস্ক, নয়টি ল্যাপটপ, ১৯ টি ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ড এবং তিনটি গাড়ি এবং ৪ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করেছে পুলিস।

গ্রেফতারকৃত সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছে যে চিনা নাগরিকদের নির্দেশে এই চক্রটি পরিচালিত হয়েছিল। পুলিস কয়েকজন চিনা নাগরিককে শনাক্ত করেছে এবং তাঁদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ধৃত ২২ জনের মধ্যে ২ জন মহিলাও যুক্ত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

2 years ago


Sisodia: উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার সিবিআইয়ের

সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) (CBI) রবিবার দিল্লির (Delhi) আবগারি নীতিতে দুর্নীতির অভিযোগে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী (Deputy Chief Minister) মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia) এবং ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি লুক আউট সার্কুলার (look out circular) জারি করেছে।

এই মামলায় সিবিআই দায়ের করা এফআইআর-এ মণীশ সিসোদিয়া সহ ১৪ জনের নাম ছিল। একটি লুক আউট সার্কুলারের অর্থ, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। অর্থাৎ সিসোদিয়া সহ ওই ১৪ জন মামলা চলাকালীন দেশত্যাগ করতে পারবেন না। যদি তাঁরা শর্ত লঙ্ঘন করে তাহলে তাঁদের আটক করা যেতে পারে।

মণীশ সিসোদিয়া নোটিশের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, "এটা কী নাটক?" তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘‘আপনার সমস্ত অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। কিছুই পাননি...। এ বার আপনি লুক আউট সার্কুলার জারি করলেন যেন, মণীশ সিসোদিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! কী ধরনের চমক এটা মোদীজি? দিল্লিতে স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আপনি কি আমায় দেখতে পাচ্ছেন না? দয়া করে বলুন, কোথায় যেতে হবে?’’

উল্লেখ্য, শুক্রবার সাতসকালেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। শনিবার এই মামলার কয়েকজন অভিযুক্তকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সংস্থা যাঁদের তলব করেছে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে মণীশ সিসোদিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে মনে করা হয়।

এদিকে, সিবিআই তাঁর বাড়িতে অভিযান চালানোর একদিন পরে শনিবার সিসোদিয়া একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, “গতকাল আমার বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা গিয়েছিলেন। তাদের ওপর আমার কোনও রাগ-ক্ষোভ নেই, তার ওপর মহলের নির্দেশ পালন করছিলেন। কিন্তু যে আবগারি নীতি নিয়ে এত জলঘোলা হচ্ছে, আমি এখনও বলছি, সেটা দেশের সেরা আবগারি নীতি এবং আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে সেই নীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ষড়যন্ত্রের কারণে ওই নীতি যদি বদলে ফেলা না হত, তবে এই মুহূর্তে দিল্লির সরকারের ১০ হাজার কোটি টাকার মুনাফা হত।” তিনি আরও বলেছেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভায় একটি পদে থাকার জন্য তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে।

2 years ago
AAP: সিবিআই এবার পৌঁছল দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে, চলছে তল্লাশি

প্রসূন গুপ্ত: জন্মাষ্টমীর আনন্দে যখন রাজধানী মাতোয়ারা তখন সকাল থেকে সিবিআই হানা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে। বিষয় আবগারি দফতরের বেহিসাবি কাজ। দিল্লি আবগারি নীতিতে বেনিয়ম চলছে এই অভিযোগে সিবিআই আগেই এফআইআর করেছিল। তাঁদের বক্তব্য, মদ বিক্রির সংক্রান্ত বেনিয়ম। দিল্লি পুলিস যদিও দিল্লি সরকারের অধীনস্থ নয়। কাজেই শোনা গিয়েছ, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে আবগারি দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট তারা। এরপরই নাকি তদন্তে নামে সিবিআই এবং বর্তমান আপ সরকারের আবগারি দফতরের মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে সিসোদিয়ার বাড়িতে একবার সিবিআই হানা দিয়েছিল, আজ নিয়ে দ্বিতীয়বার সিবিআই তল্লাশি।

শুধুমাত্র মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িই নয়, তাঁর বাড়ির আশেপাশে ২০টিরও বেশি এলাকায় একইসঙ্গে অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিসোদিয়া অবশ্য বিচলিত নয় বলে জানাচ্ছেন। এই নিয়ে তিনি টুইটও করেছেন। তিনি টুইটে জানাচ্ছেন, সিবিআই এসেছে, স্বাগত তাদের। আমরা (অর্থাৎ আপ পার্টি) খুব সৎ, এই বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যের যে, দেশে যারা ভালো কাজ করে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এ সমস্ত কারণে আমাদের দেশ পয়লা নম্বরে যেতে পারল না। 

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, এর আগেও সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। সেবারও কিছু পায়নি, এবারও পাবে না। কেজরিওয়াল প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে।

মূল ঘটনার বিষয় মদের দোকান। সিসোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লির কিছু অঞ্চলে বা এলাকায় মদের দোকান খোলা নিয়ে অবস্থান পাল্টিয়েছেন উপ-রাজ্যপাল অনিল বাইজল। মন্ত্রিসভা থেকে একসময় অনুমোদন করা হয়েছিল নতুন স্থানে এই ব্যবসা খোলা হবে। মন্ত্রিসভার এই বিলে সম্মতি নাকি জানিয়েছিলেন উপ-রাজ্যপাল। পরে অজানা কারণে এই নীতি অনুমোদন করছেন না তিনি। এর ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি বিরোধীরা সচল হয়ে জানাচ্ছে, সিবিআই দিয়ে রাজনীতি চালাচ্ছে সরকার।

2 years ago
Accident: রাতের অন্ধকারে দিল্লি-জয়পুর হাইওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত ৪

স্বাধীনতা দিবসের রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident) দিল্লি-জয়পুর হাইওয়েতে ( Delhi-Jaipur highway)। জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে চলন্ত গাড়িতে এসে ধাক্কা মারে মাল বহনকারী ট্রাক (heavily-loaded truck)। এই ঘটনায় নিহত (Death) হয়েছেন চারজন এবং দুজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বিলাসপুর পুলিস স্টেশন এলাকায়। গুরুগ্রাম পুলিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতরা প্রত্যেকেই দিল্লির বাসিন্দা। ওই গাড়ির যাত্রীরা নয়ডার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। দুই মহিলা এবং একজন চালক সহ ছয়জন উদয়পুর থেকে নয়ডায় ফিরছিলেন। 

নিহতদের মধ্যে একজন মহিলা, দু'জন পুরুষ এবং চালক রয়েছেন। প্রত্যেকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ মর্গে রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিস। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

স্টেশন হাউস অফিসার (বিলাসপুর) অজয় ​​মালিক বলেন, মৃত এবং আহতদের পরিবারকে দুর্ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে। একটি এফআইআর বা পুলিস মামলাও নথিভুক্ত করা হয়েছে।

2 years ago


Delhi: দিল্লি পুলিসের জালে ডজনখানেক ভুয়ো পাসপোর্ট সহ দুই বাংলাদেশি

৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উপলক্ষে গোটা দেশ জুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। রাত পোহালেই উৎসবের আনন্দে মেতে উঠবে দেশবাসী। আর শেষ মুহূর্তের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে নেমে দিল্লি পুলিসের (Delhi Police) জালে ধরা পড়ল দুই বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডজনখানেক ভুয়ো পাসপোর্ট (Passport)। এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রকের জাল রাবার স্ট্যাম্পও পাওয়া গিয়েছে তাদের কাছ থেকে বলে অভিযোগ। রবিবার অভিযুক্তদের দিল্লির দ্বারকা এলাকা থেকে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে।

দ্বারকার ডেপুটি কমিশনার এম হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লিতে প্রতিবারের মতো তল্লাশি চলছিল। রামপাল চক এলাকাতে অভিযানের সময় একটি বাড়ি থেকে মহম্মদ মুস্তাফা এবং মহম্মদ হুসেন শেখ নামে দু’জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। তল্লাশি করে ১১টি ভুয়ো পাসপোস্ট-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রক এবং নোটারির জাল রাবার স্ট্যাম্প বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই পাসপোর্টগুলি বাংলাদেশের বিভিন্ন নাগরিকের নামে তৈরি করা হয়েছিল।

জাল স্ট্যাম্পগুলি তাঁদের কাছে কীভাবে এল? তা জানার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে পুলিস। পাশাপাশি ধৃতরা এও দাবি করেছেন, তারা বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য আগত ব্যক্তিদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করত। একথা কতটা সত্যি তাও খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুলিস।

2 years ago
Covid Delhi: দিল্লিতে জনবহুল স্থানে মাস্ক ছাড়া ধরা পড়লেই ৫০০ টাকা জরিমানা

সারা দেশেই করোনার (Corona) সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। তারই মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লি (Delhi)। তাই করোনা প্রতিরোধে আরও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হাঁটল দিল্লির প্রশাসন। সেখানে মাস্ক ছাড়া ধরা পড়লেই ৫০০ টাকা জরিমানা (Fine)। আর এটা যাতে কড়াভাবে কার্যকর করা যায়, তার জন্য বিশেষ টিম (Special Team) গঠন করে অভিযানে নামছে সেখানকার প্রশাসন।

প্রসাশনের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, কোভিডগ্রাফ কিছুটা কমতেই মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে এমনভাবে পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যেন করোনা চলে গিয়েছে। এটা প্রশাসন ভালোভাবে নিচ্ছে না। সেই কারণেই প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম গাফিলতি যেন বরদাস্ত করা না হয়। কারণ, বিগত দুই সপ্তাহের করোনা-চিত্রে দেখা গিয়েছে, দিল্লিতে সংক্রমণ ধাপে ধাপে বেড়ে গিয়েছে। তবে আইন অনুযায়ী, মূলত জনবহুল স্থানগুলির জন্যই বিপর্যয় মোকাবিলার এই আইন কার্যকর করা হবে। কেউ যদি একসঙ্গে নিজেদের গাড়িতে চড়ে কোথাও যান, তাহলে তাঁরা এই জরিমানার আওতায় পড়বেন না।

দক্ষিণ দিল্লির জেলাশাসক আইন কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য তিনটি বিশেষ টিমও গঠন করেছেন। প্রতিটি টিমে থাকবেন ১৫ জন সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার এবং জেলা প্রসাসনের অফিসাররা, যাঁরা বাজারের মতো জনবহুল এলাকাগুলিতে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাবেন। কারণ হিসাবে প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, যেহেতু সামনেই উত্সবের মরশুম, তাই বাজারগুলিতেই বেশি সংখ্যক মানুষের ভিড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই নজরদারির তালিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বাজারগুলিকেই। দরকার হলে এই ধরনের নজরদারি টিমের সংখ্যা আগামিদিনে আরও বাড়ানো হবে, এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিটি মহকুমাকেও প্রতিদিন নজরদারি চালিয়ে আইনভঙ্গকারীদের পাকড়াও করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, দিল্লিতে বুধবার গত তিনমাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে, ৮ জনের। ওইদিন করোনায় আক্রান্ত হন ২১৪৬ জন এবং পজিটিভিটি রেট ছিল ১৭.৮৩ শতাংশ।      

2 years ago