Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

CMMamata

Puja: পুজো অনুদান মামলায় হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট, শর্তসাপেক্ষে রাজ্যকে স্বস্তি আদালতের

রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা অনুদানের (Puja Donation) সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা সরকার। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় রাজ্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ পুজো কমিটিগুলোকে ঘোষিত অনুদান দিতে আর বাধা রইল না নবান্নের। তবে পুজো অনুদান মামলায় কিছু শর্ত আরোপ করেছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

মোট যে ছ'টি শর্ত আরোপ করেছে কোর্ট, তার মধ্যে অন্যতম অডিট রিপোর্ট জমা এবং পুজোর আয়-ব্যয় হিসেব রাজ্য সরকারের কাছে জমা দিতে হবে কমিটিকে। এই মামলার গত শুনানিতে রাজ্যের ঘোষিত পুজো অনুদানের বিরোধিতায় করা মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত দায়ের সব মামলার শুনানি হয়েছে। রাজ্যের পক্ষে সেদিন আদালতে দাখিল করা হয়েছে পুজো কমিটিগুলোকে ৬০ হাজার টাকা অনুদানের সরকারি বিজ্ঞপ্তি। সেই বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুদানকে 'পুরস্কার হিসেবে অনুদান' প্রদান হিসেবে দেখানো হয়েছে। এবং এই সংক্রান্ত বরাদ্দ হয়েছে প্রয়োজনীয় অর্থ। সেটাও কোর্টকে জানিয়েছে মমতার সরকার।

এরপরেই এই বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।তাঁর সওয়াল, 'যে শহরে ভিন্ন ধর্ম এবং ভাষাভাষী মানুষের বাস, সেখানে নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের জন্য সরকার আর্থিক সাহায্য করতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সংবিধান বিরোধী। রাজ্যের মানুষের করের টাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে টাকা বিলি করতে পারেন না। ২০২০সালে করোনা অতিমারীর জন্য পুজো কমিটিগুলোকে ৫০হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল। তবে সেটা করোনা অতিমারীর জনসচেতনতা-সহ মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিলি করতে।'

আদালতকে স্মরণ করিয়ে দিতে বিকাশবাবু জানান, রাজ্যের মানুষের করের টাকায় ইমামদের দান-খয়রাতি জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও আদালতের হস্তক্ষেপের কারণে সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেখানেও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে আর্থিক সুবিধা দিতে চেয়েছিল রাজ্য।

যুক্তি তুলে ধরে তাঁর সওয়াল ছিল, 'যেখানে বিভিন্ন ভাষাভাষী এবং বিভিন্ন ধর্মের মানুষের বসবাস। সেখানে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের বা সম্প্রদায়ের মধ্যে অর্থ বিলি করা হলে সমাজে তাঁর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি হয় যা অনুমোদন করে না সংবিধান।'

2 years ago
Mamata: 'এখন দুয়ারে চাকরি আর বাইরে যেতে হবে না', নেতাজি ইনডোরের অনুষ্ঠানে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলায় ৪০% দারিদ্রতা (Proverty Level in Bengal) কমেছে। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে উৎকর্ষ বাংলার অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর দাবি, 'স্কিল ডেভলপমেন্টের (Skill Development) আওতায় কয়েকলক্ষ ছাত্র-ছাত্রী চাকরি পাবে।'এই অনুষ্ঠানে স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং কারিগরি শিক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ পত্র প্রদানের ঘোষণা করেন। সোমবারের অনুষ্ঠান থেকে ৩০ হাজার পড়ুয়াকে ১৩৬টি সংস্থায় নিয়োগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। স্কিল প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে বাংলার ৯ জন শীর্ষস্থানে রয়েছে। তাঁদের সংবর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারমূল্য পাবেন মেধাবী পড়ুয়ারা। তাঁর দাবি, 'আপনাদের বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। চাকরি আপনার ঘরের সামনে আপনাকে ডাকবে, আপনাকে শুধু খোঁজ রাখতে হবে। দুয়ারে রেশন, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, স্বাস্থ্যসাথী করে দিয়েছি, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড করে দিয়েছি।'

আর কী বললেন তিনি---

আমার স্বপ্ন বাংলা বিশ্ব সেরা হবে। কন্যাশ্রীতে আমরা সেরা হয়েছি। দুর্গাপুজো স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। কয়েকদিন আগে কালচারাল ট্যুরিজম ডেসটিনেশন, বিশ্বে প্রথম স্টেট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। ২৩ মার্চ বার্লিনে পুরস্কার দেওয়া হবে। আমি যাব, গর্ব করার মতো বিষয় হলেও আমি নিজে যাই, নয়তো যাই না 

বাংলায় ৪৫ হাজার মেয়েরা চাকরি পেয়েছে। বাংলায় এগিয়ে যাচ্ছে মেয়েরা।

উৎকর্ষ বাংলা নামটা স্বার্থক

নিয়োগের চিঠি পেয়েছো কেউ? মমতা বলেন ইমেলে উৎকর্ষ বাংলার লোগো-সহ চিঠি যাবে। চিঠি পেয়ে অনেকে জয়েন করে গিয়েছে

আজ, কাল, পরশুর মধ্যে নিয়োগ পান কিনা দেখুন, নয়তো আমি ১৫ তারিখ থাকব খড়গপুরে জানাবেন

খড়গপুরে ৭ হাজার নিয়োগপত্র দেব। বর্ধমান, মালদা, মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়ি, দুর্গাপুরে-সহ অন্য জেলার ছেলেমেয়ে মিলিয়ে ৩০ হাজার নিয়োগ দেব পুজোর আগে 

সরাসরি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁতিদের ৩ বছরের জন্য বরাত দেওয়া হচ্ছে।

দুর্গাপুজোর সময় ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হয়। ৯০ লক্ষ এমএসএমই বা স্মল স্কেল ইউনিট হয়েছে

এখানে কিছু পলিটিক্যাল দল ও মিডিয়া ভালো কিছু দেখায় না। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম তখনও দেখাতো রেলে ইঁদুর ঘুরছে, এখন কী ঘুরে বেরোয়? ভালো জিনিস দেখায় না, ভালো হবে কী করে?

দেউচা পাচামিতে কতগুলো মানুষ অশান্তি করে বেরাচ্ছে। আমরা কর্মসংস্থান করে দিচ্ছি। ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। চাকরির জন্য বাইরে যাওয়ার দরকার নেই

আমার লক্ষ্য এখন শিল্প। ৩৪ বছরে শিল্প তছনছ হয়েছে, শিল্পে নবজাগরণ হবে।

আমার লক্ষ্য কর্মসংস্থান, কর্ম সঙ্কোচন নয়

রেল, সেইল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আমরা এখানে বন্ধ করতে দিই না। কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা দল কর্মসংস্থান চায় না, চাকরি চায় না। শুধু এজেন্সি রাজ চলছে

বেঙ্গল আগামির গন্তব্য, আসুন এবং বিনিয়োগ করুন, আমরা বণিক, শিল্পপতিদের পক্ষে


2 years ago
Mamata: 'কেষ্টকে বীরের মতো ফিরিয়ে আনতে তৈরি হন', নেতাজি ইন্ডোর কর্মিসভায় সুর চড়া মমতার

কেষ্টর (Anubrata Mondal) শরীর এমনিতেই খারাপ। তার মধ্যে বগটুই হল, ওকে একটা ধাক্কা দিল। প্রতি ভোটে ওকে নজরবন্দি করে আটকাতে পারেন? ভাবছেন কেষ্টকে ধরে রেখে দু'টো লোকসভা আসন বেশি পাবেন, সে গুড়ে বালি! কেষ্ট ফিরে না আসা পর্যন্ত লড়াই তিন গুণ। ওকে বীরের মতো ফিরিয়ে আনতে তৈরি হন। এভাবেই বৃহস্পতিবার ফের জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। এদিন নেতাজি ইন্ডোরে (Netaji Indoor Meet) পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে বুথস্তরের কর্মিসভা ডাকা হয়েছিল। সেই মঞ্চ থেকেই সরব ছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো।

বিজেপির প্রতি সুর চড়া করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওরা ভাবছে তৃণমূলের কয়েকজন স্ট্রং লিডারকে জেলে ভরে রাখলে জেলার কর্মীরা, ব্লকের নেতারা ভয় পেয়ে যাবেন। আর সেই সুযোগে বিজেপি টুকটুক করে জল খেয়ে যাবে। মনে রাখবেন নিহত সিংহের চেয়ে আহত সিংহ বেশি ভয়ঙ্কর। আমাকে ধমকালে আমি চমকাই, চমকালে আমি গর্জাই। বাংলায় সব চোর আর তোমরা মন কা ব্যথায় দেখছ নতুন ভোর। এভাবে দেশ চলবে না। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী।

পাশাপাশি যারা আগে সিপিএম করত, এখন তাঁরাই বিজেপি করে এই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী খোঁচা, 'যারা সিপিএম-র হার্মাদ, তাঁরাই বিজেপির জহ্লাদ। একদিন শুনতেই হবে জগাই-মাধাই-গদাই কবে হবে বাই বাই?'  কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো নাকি সকালে ঘুম থেকে উঠেই বেড়িয়ে পড়ছে। এই দাবি করে তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্য, 'ইডি-সিবিআই সকালে ঘুম থেকে উঠেই আজ মলয়ের বাড়ি যাচ্ছে, কাল ববির বাড়ি যাবে, পরশু চন্দ্রিমার বাড়ি যাবে। অভিষেকের দু'বছরের বাচ্চাও সিবিআই অফিস ঘুরে এসেছে। মা বাচ্চাকে ছেড়ে যাবে কীভাবে?'

আগামি দিনে লড়াইয়ের পাল্টা লড়াই হবের স্লোগান তুলে বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর খোঁচা, 'একটা বর্ণপরিচয় জানে না, ওরা সবারটা কেটে দিচ্ছে। ওরা জানে না রাজনীতিতে কেটে দিলে কিছু হয় না, ছেঁটে দিতে হয়। লড়াইয়ের পাল্টা লড়াই হবে।' তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেসে কর্মীরাই সম্পদ। এই দলে টিকিটের জন্য লবি করতে হয় না। যারা কাজ করবে তাঁকে দল টিকিটের জন্য খুঁজে নেবে।

2 years ago


Tapas: দু'দশকের বেশি সময় তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী! মন্ত্রিত্ব না পেয়ে সেই তাপস রায় কি বিষণ্ণ?

বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথস্তরের সভা। দলনেত্রীর আহ্বানেই এই জমায়েত। উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোনা যাচ্ছে, দলের কাছে বিশেষ বার্তা থাকবে মমতা এবং অভিষেকের তরফে। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই সভা বলে খবর হলেও ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের ভাবনাও থাকছে এই সভায়। ২১ জুলাই বা ছাত্র সমাবেশের পরে ফের এই সভা। দলের বুথস্তরেরকর্মীদের জন্য খোলা এবং প্রকাশ্যে। উপস্থিত থাকার কথা সর্বস্তরের নেত-মন্ত্রীদের। কাজেই বলে ফেলা যায় হয়তো বা উপস্থিত থাকতে পারেন জহর সরকার কিংবা ইদানিং খানিক বেসুরো হওয়া তাপস রায়। হিসাব মতো জেলার নানা দায়িত্বে থাকা নেতাদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন তাপস রায় কি কোনও বিষয়ে হতাশ দলের উপর। তাপস দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী। প্রথমে ছাত্র পরিষদের সভাপতি হয়েছিলেন। ঘোরতর সিপিএম বিরোধী চরিত্র। তাপস প্রথমে সোমেন মিত্রের ঘনিষ্ঠ ছিলেন পরে তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হওয়ার পরে যোগ দেন ২০০০-এ। মমতা পরের বছর তাঁকে তৎকালীন বড়বাজার কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেন, তাপস জিতেও আসেন। এই ছিল আদি ইতিহাস। ২০১১-তে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময়ে থেকে তিনি বরানগরের বিধায়ক। 

তাপস সেবার মন্ত্রী হননি। ১৬-র ভোট জিতে আসার অনেকদিন বাদে প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু এবার ২১-এর ভোটের পর ফের দায়িত্ব নেই তাপসের। গত বছর থেকে একবার উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি হয়েছিলেন বটে কিন্তু সম্প্রতি সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাপস আপাতত বিধানসভার ডেপুটি চিফ হুইপ (এর আগে এমন কোনও পদ ছিল না)। কাজেই তাপস হয়তো ভেবেছিলেন সাম্প্রতিক মন্ত্রিসভার পরিবর্তনে তাঁর দায়িত্ব আসতে পারে, আসেনি। এরপর থেকে লক্ষ্য করা গিয়েছে, তাপস নাকি খানিক বিষন্ন। হয়তো বা সে কারণেই অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছেন। দেখার বিষয় বৃহস্পতিবার দলের বৈঠকে তাঁর ভূমিকা।

2 years ago
Nabanna: বাগুইআটি-কাণ্ডে নবান্নে ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, 'ন্যূনতম সমন্বয় নেই কেন', ডিজিকে প্রশ্ন

বুধবার নবান্নে (Nabanna) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। এদিনের বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দফতরের সচিব-সহ সিনিয়র আধিকারিকরা। এছাড়াও বিএলআরও-রাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি পুজোর পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে পারে। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

এদিন নবান্নের পর্যালোচনামূলক বৈঠক থেকে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "কোনও অভিযোগই যেন ফাইল চাপা হয়ে পড়ে না থাকে। সচিবালয়ে কোনও অভিযোগ এলে ৭ দিনের মধ্যে করতে হবে নিষ্পত্তি। সচিবালয়ের পাশাপাশি পঞ্চায়েত বা জেলা পরিষদ স্তরেও কোনও অভিযোগ এলে তা সমাধান করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই।" এদিন রিভিউ বৈঠকের শুরুতেই আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে বাগুইহাটির ঘটনা নিয়ে ডিজিকে ডেকে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন ১৩ দিন দেহ পড়ে থাকল? সমন্বয়ের অভাব হল কেন? কমিশনারকে জিজ্ঞাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিজির ওপরেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি ডিজি-র উদ্দেশ্যে বলেন, "বেআইনি কিছু সহ্য করব না। ৭ দিন সময় দিলাম সমন্বয় ফিরিয়ে আনার জন্য যা করার করুন।" অন্যদিকে নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "স্থায়ী হোক বা অস্থায়ী, সরকারি নিয়ম মেনে অনুমতি নিয়েই নিয়োগ করতে হবে। অনুমতি ছাড়া কোনও নিয়োগ নয়।" নিয়োগের আগে প্রতিটি দফতরের নির্দিষ্ট কমিটির থেকে অনুমতি নিতে হবে বলেও কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেই বিশেষ করে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ 

2 years ago


Asset: মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধি মামলা কি গ্রহণযোগ্য? জানতে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধি (CM Mamata) মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য কিনা, সবপক্ষ থেকে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বাদী-বিবাদী সবপক্ষকে আগামি দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা (Affidavit) আকারে জমা দিতে হবে। এমনটাই এদিন নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিনের শুনানি প্রসঙ্গে মামলাকারী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, '২০১১-র পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে চিটফান্ড-কাণ্ডের পর ২০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি কিনেছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার। এই অভিযোগ সংক্রান্ত নথি আমরা জমা দিয়েছি। আমরা কোর্টকে জানিয়েছি নির্বাচন কমিশনে দাখিল হলফনামায় উল্লেখ সম্পত্তির সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই।' 

তিনি জানান, সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতর এই মামলার অন্যতম পক্ষ। প্রত্যেকেই হলফনামা জমা দেবে। সমাজসেবীর পরিবার লক্ষ-কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছে। আদালত আমাদের সওয়াল শুনে জনস্বার্থ মামলাটি গ্রহণ করেছে। ২৮ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি। গ্রহণযোগ্য কিনা, সেই প্রশ্নের উপর শুনানি হলফনামা দাখিলের পর হবে।

তাঁর মন্তব্য, 'উনি আমার মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। উনি পরিষ্কার হয়ে আসুক। উনার উচিৎ তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো থেকে নিজেকে পরিষ্কার রাখা। বলা উচিৎ ছিল আয়কর দফতর বা ইডি ওঠা অভিযোগগুলো তদন্ত করুক।'

2 years ago
Tala Bridge: মহালয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে নবনির্মিত টালা ব্রিজ উদ্বোধনের সম্ভাবনা

সম্ভবত মহালয়ার আগেই নতুন টালা ব্রিজের (Tala Bridge) সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মহালয়ার দিনেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হতে পরে টালা ব্রিজ। তারই পাশে থাকা আর একটি চিৎপুর সেতুর ভাঙার কাজ শুরু হবে বলেও কলকাতা পুর সংস্থার (Kolkata Municipal Corporation) সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য, চিৎপুর সেতু জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনও দিন এই চিৎপুর ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। তাই কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসংস্থার যৌথ উদ্যোগে এই চিৎপুর ব্রিজ ভেঙে দিয়ে নতুন উড়ালপুল তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে এই ব্রিজ ভাঙতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ব্রিজের তলায় অবস্থিত বসবাসকারীরা। সোমবার কলকাতা পুরসংস্থার একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র ও স্থানীয় বিধায়ক অতীন ঘোষ এবং পুর উন্নয়ন দফতরের সচিব খলিল আহমেদ। এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কেএমডি-এর অধীনে পড়ে।

পুরসংস্থা সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে চিৎপুর সেতুর তলায় প্রায় ৮০টি পরিবার বসবাস করে। তবে সেই সময় তাঁদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার জন্য শীঘ্রই এই বসবাসকারীদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছে কলকাতা পুর সংস্থা এবং কেএমডি-এর আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে স্থানীয় বাসিন্দাদের পুনর্বাসন আশ্বাস সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা হতে পারে। এই আলোচনায় স্থানীয় কাউন্সিলর, বরো চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় বিধায়ক এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পুর সংস্থার সূত্রের খবর, চিৎপুর সেতুর কাছেই রেলের একটি জমিতে তাঁদের পূর্নবাসন দেওয়ার প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতা পুর সংস্থার পক্ষ থেকে রেলের কাছে আবেদনও করা হয়েছে।

2 years ago
Viral Audio:ফের কেএলও নেতা জীবন সিংহের অডিওবার্তা, কটাক্ষ মুখম্যন্ত্রীকে, সমর্থন মোদীকে

ফের গোপন ডেরা থেকে অডিওবার্তা প্রকাশ কেএলও (KLO) প্রধান জীবন সিংহর। বার্তায় একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) প্রতি নরম মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। 

সূত্রের খবর, ভারত-মায়নামার সীমান্তে কোনও গোপন ডেরায় রয়েছেন জীবন। রবিবার সেখান থেকেই এই অডিওবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে বলে অনুমান। যদিও এই অডিও বার্তার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি সিএন ডিজিটালের পক্ষে।

এদিনের অডিও বার্তায় ফের একবার আলাদা কামতাপুর রাজ্যের জিগির তুলেছেন জীবন সিংহ। পাশাপাশি তাঁর দাবি, বর্তমান বিজেপি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আলাদা রাজ্যের পক্ষপাতী। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আক্রমণ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই আলাদা রাজ্যের বিরোধী। প্রশ্ন, আলাদা রাজ্যের দাবিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকৃতি দেওয়ার কে? তিনি স্বীকৃতি দিলেন, কী দিলেন না তাতে কিছু আসে যায় না। কলকাতার সরকার তাঁদের শত্রু বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন।

অডিবার্তায় জীবন জানিয়েছেন, কোচবিহারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু দালালরা আছে, তারা আলাদা রাজ্যের বিরোধিতা করছে। জীবন হুশিয়ারিও দিয়েছেন। এমনকি লড়াইয়ের নামার চ্যালেঞ্জও ছুড়েছেন তিনি। তাঁদের নিয়ে "খেলা করা" অভিযোগ তুলেছেন জীবন সিংহ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই অডিও বার্তা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

2 years ago


Teacher: 'একটা ভুল হয়ে গিয়েছে', নিয়োগ-কাণ্ডে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর, বার্তা দিলেন 'চরিত্র গড়ার'

শিক্ষক দিবসের (Teachers Day) অনুষ্ঠানে দুর্নীতি প্রসঙ্গে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। তিনি বলেন, 'হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না। কে কতটা লোভী হবেন তা ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। ব্যক্তি মানুষের উপর সততা নির্ভর করে। কিন্তু বাম আমলের কোনও কাগজ নেই। কোনও ফাইল আমরা কিছু পাইনি। আমাদের আমলে কাগজ আছে তাই ভুল ধরা পড়ে। একটা ভুল হয়ে গিয়েছে। আগামি দিনে ৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। আমরা কারও চাকরি খাইনি। যারা সুবিচার পায়নি আমাদের আমলে পাবেন।'

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে তিনি জানান, আমরা নিয়োগ করতে চাইছি, কিন্তু সময় সাপেক্ষ। শুধু একের পর এক জনস্বার্থ মামলা। সঙ্গ দোষে কেউ কেউ বিপথে যান, তার জন্য সবাইকে খারাপ বলা ঠিক নয়। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে পুরো ক্ষমতা নেই। সঙ্গদোষে ভালো খারাপ হয়ে যায়। পয়সা আজ আছে কাল ফুরোবে, তাই চরিত্র গঠন করুন। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে শিক্ষারত্ন প্রদান অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠানে চরিত্র গঠনের বার্তা দেন তিনি।

তাঁর দাবি, কয়েকজন ছেলেমেয়ে রাস্তায় বসে ছিল, আমি বলেছিলাম তাঁদেরটা করে দিন। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন ওদের নাম্বার পারমিট করছে না। তারপরেও আমি বলেছিলাম দিন একটু করে দিন। যেহেতু আমার দয়া-মায়া বেশি। যে কারণে গালাগাল খাই বেশি।'

2 years ago
TMC:'তৃণমূলের সবাই চোর বলবেন না'ফের সমঝে দিলেন সৌগত, 'আমরা গান্ধীবাদী', মন্তব্য ফিরহাদের

ফের বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Ray)। শুক্রবার দমদমের এক অনুষ্ঠানে বিরোধীদের পিঠে তাল পড়ার প্রসঙ্গ টেনেছেন এই প্রবীণ সাংসদ (TMC MP)। তিনি বলেন, 'আপনারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলুন কোনও আপত্তি নেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সম্বন্ধে বলুন, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ভুল করে একথা বলবেন না, তৃণমূল সবাই চোর। তাহলে পিঠে তাল পড়লে দুঃখ করবেন না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করবেন না। দুর্নীতির রানী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata) এসব বললে আমাদের ছেলেরা রেগে যায়। রেগে গেলে মানুষের মাথা ঠিক থাকে না, কী করবে আমরা বলতে পারছি না। সিপিএম, বিজেপি সবাইকে এ কথা বলে যাচ্ছি।'

গণতন্ত্রে আপনারা অন্যভাবে প্রচার করুন, দেশে আইন আছে, আপনারা আইনি ব্যবস্থা নিন। দোষ হলে এমন একটা ভাব যে তৃণমূল পচে গিয়েছে, এটা নয়। এভাবেও দমদমের অনুষ্ঠানে সরব ছিলেন সৌগত রায়। 

শুক্রবারের অনুষ্ঠানে তিনি ক্যালকাটা নিউজ বা সিএন চ্যানেলের নাম উল্লেখ করে হুমকি দেন দমদমের সাংসদ। তিনি অনুষ্ঠানমঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, 'এখানে একজন সিএন-র উপস্থিত আছে। সিএন-র মতো সত্যের অপলাপ করে এমন চ্যানেল আমি দেখিনি। এই চ্যানেলের মালিকরা থাকে বিরাটি, ইচ্ছে করলে চ্যানেলটা বন্ধ করে দিতে পারি। কিন্তু আমরা একাজে বিশ্বাস করি না।'

যদিও সৌগত রায়ের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আমরা গান্ধীবাদী। এযাবৎকাল আমরা মার খেয়ে বড় হয়েছি, অত্যাচারিতদের পাশে মানুষের সহানুভূতি থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরো দেহে মারের দাগ। রাজশক্তি শেষ কথা বলে না, জনশক্তি শেষ কথা বলে।' 

কী বললেন সৌগত রায় এবং ফিরহাদ হাকিম:

2 years ago


UNESCO: ইউনেস্কোকে ধন্যবাদজ্ঞাপন মিছিল দিয়েই ভরা ভাদ্রে আগমনীর সুর

ভরা ভাদ্রেই কলকাতার আকাশে-বাতাসে আগমনীর সুর। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো থেকেই রাজ্যে শুরু দুর্গোৎসব (Durga Puja)। বুধবার নবান্নে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ইউনেস্কোর ধন্যবাদজ্ঞাপন মিছিল নির্ঘণ্ট মেনেই শুরু হয় জোড়াসাঁকো থেকে। তারপর কলুটোলা, বউবাজার, চাঁদনী চক, ধর্মতলা হয়ে সেই মিছিল পৌঁছবে রেড রোডে। যদিও বেলা একটার পর শুরু হওয়া বৃষ্টি, এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সাময়িক তাল কাটলেও বিপর্যয়কে মাথায় নিয়েই হাঁটা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রীর। যদিও দুটোর কিছু পরে বাগে আসে বৃষ্টি। এদিন মিছিলের শুরুতে স্বল্প বক্তৃতা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি সব ধর্ম, বর্ণকে নিয়ে এই মিছিলে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।    

যদিও এই মিছিলের সুর বুধবার নবান্নে বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি (CM Mamata) বলেন, 'দুর্গোৎসব এবার একমাস আগে শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ইউনেস্কোকে (Unesco) ধন্যবাদ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করব। ক্লাব কমিটি-সহ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল হবে। বেলা ২টোর মধ্যে সকলকে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যাঁরা হাঁটতে ইচ্ছুক, জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির কাছে চলে আসুন। বিশ্ববন্দিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাটি ছুয়ে শুরু হবে মিছিল।'

মুখ্যমন্ত্রী জানান, সাতটি ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে হেঁটে মিছিল শেষ হবে রেড রোডে। যাঁরা হাঁটতে পারেন না, রেড রোডে তাঁদের জন্য বসার চেয়ার থাকবে। আলাদা করে কাউকে বলতে পারব না, সকলের জন্য রইল আমন্ত্রণ। দলমত নির্বিশেষে পায়ে পায়ে পা মেলাবেন, ঢাকের সঙ্গে, ধামসার সঙ্গে, শঙ্খের সঙ্গে, সর্বধর্ম, সর্ব বর্ণ, সর্ব জাতি সকলকে আমন্ত্রণ জানাব। কারণ ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।

এদিকে এই পদযাত্রাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে লালবাজার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। সূত্রের খবর, শহরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের নেতৃত্ব দেন ২২ জন ডেপুটি কমিশনার, ৪০ জন অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার। প্রত্যেক জোনের নেতৃত্বে ডিসি পদমর্যাদার পুলিসকর্তা। তাঁদের সাহায্য করেন এসি-রা। গিরিশ পার্ক থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত ছিল ৫৫টি পুলিশ পিকেট। তিনটি কুইক রেসপন্স টিম, ন’টি পিসিআর ভ্যান, ১১টি হেভি রেডিও ফ্লায়িং স্কোয়াডস।

অপরদিকে, এই পদযাত্রার জন্য বৃহস্পতিবার গোটা দিন বন্ধ  রেড রোড। পাশাপাশি যান নিয়ন্ত্রিত ছিল একাধিক রাস্তার। উত্তর কলকাতায় যেতে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণি, স্ট্র্যান্ড রোড ব্যবহার করা হয়েছে।  স্ট্র্যান্ড রোডে বৃহস্পতিবার পার্কিং নেই।। দুপুর ১টা থেকে ৪টে পর্যন্ত বন্ধ ছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। হাওড়া যেতে হলে ধরতে হয়েছে স্ট্র্যান্ড রোড। শিয়ালদহগামী বাস এজেসি বোস রোড বা এপিসি রোড ধরেছে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিস সূত্রে খবর, পরিস্থিতি বুঝে ট্রাফিকের অভিমুখ ঘোরানো হয়েছে।

2 years ago
Mamata: 'রাজনীতি এত নোংরা জানলে কবেই রাজনীতি ছেড়ে দিতাম', সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা

এরকম নোংরা রাজনীতি দেখলে আগেই রাজনীতি ছেড়ে দিতাম। নবান্নে ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata)। সব কয়লার টাকা নাকি কালীঘাটে যাচ্ছে। কার কাছে যাচ্ছে মা কালীর কাছে? এহেন প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, 'জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারকে (TMC) কলঙ্কিত করবেন না। আমি একটা মশাও মারি না। রক্ত, মৃতদেহ দেখতে পারি না। ভয় পাই। যাকে তাঁকে কলুষিত করার চেষ্টা চলছে। তৃণমূলকে পরিকল্পিত করে কলঙ্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রতিহিংসা না প্রকাশ্যে হিংসা?'

তাঁর দাবি, 'উত্তর প্রদেশ, বিহার হয়ে গোরু আসছে। গোরু-কয়লা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। আমি সেটিং করি না। এই কাজের জন্য আমি ফিট না। আমার কাছে সেটিং করতে আসে। আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাই না, প্রাপ্য চাই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সে ব্যাপারে কথা বলতে গেলে বলা হয় সেটিং করতে গিয়েছি।'  মুখ্যমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি কোনও বেতন নিই না। প্রায় ৫-৬ কোটি টাকা সাদা টাকা তো হবেই। আমার চেয়ারের লোভ নেই। এটা মানুষের চেয়ার, মানুষ যেদিন চাইবে না থাকবো না। একটা ঝোলা ব্যাগ নিয়ে রেল মন্ত্রক ছেড়ে চলে এসেছিলাম। ক্রীড়া মন্ত্রক ছেড়ে দিয়েছিলাম।

অভিমানের সুরে তাঁর মন্তব্য, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বই লিখলে আপত্তি কোথায়। বাচ্চাদের সঙ্গে মিশতে গেলে বাচ্চা মন করতে হয়। তাও সোশাল মিডিয়ায় আমার লেখা নিয়ে হাসাহাসি হয়। দু'বার আঁকার প্রদর্শনী করেছিলাম। যা টাকা পেয়েছি দান করে দিয়েছি। আমি ছোট থেকেই লিখি। আমার সৃজনশীলতা আমাকে গান লিখতে, বই লিখতে অনুপ্রেরণা দিলে আমি লিখি। আপনারও লিখুন, কে না করেছে। আমার তো তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া কোনও পরিবার নেই। রান্না করতে হয় না, অভিষেকের মা আমাকে দেখে। তাই এসব নিয়ে থাকি।'

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ইউনেস্কোর জন্য আয়োজিত থ্যাঙ্কস গিভিং পদযাত্রার পরকিল্পনা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন। কোথা থেকে মিছিল শুরু হয়ে, কোথায় থামবে। সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দেন তিনি।

2 years ago
BJP: 'মমতা জানেন তৃণমূলের কে কী করেছে', খোঁচা শমীকের, অভিষেককেও কটাক্ষ বিজেপির

সোমবার মেয়ো রোডে (Mayo Road) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে কড়া বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। এদিন এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের উদ্দেশে বিদেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভায় মমতা এবং অভিষেকের আক্রমণের মূল নিশানায় ছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। সেই আক্রমণের পাল্টা এসেছে গেরুয়া শিবির (BJP) থেকে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, 'আমাকে, অভিষেককে চোর বলছে। সবাই চোর আর ওরা সাধু এটা হতে পারে না।'

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন কে কী করেছেন। উনি পশ্চিমবঙ্গের মাটি এবং মানুষ ছেনেন,স এভাবেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চেনেন। মা যেমন ছেলের দোষ ত্রুটি জানেন, সেভাবেই প্রত্যেককেই উনি মাতৃস্নেহে লালিত পালিত করেছেন।' 

এদিকে, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। সেই মামলা প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য জানান, যিনি মামলা করেছেন, তিনি প্রতিক্রিয়া দিতে পারবেন। এখানে সব ব্যাপারে মামলা চলছে। আমাদের বিরুদ্ধে এবং আমার বিরুদ্ধেও মামলা চলছে। আমাদের জিজ্ঞাসা করলে কোর্টে উত্তর দেব।

পাশাপাশি এদিন অভিষেকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই বিজেপি নেতা বলেন, 'কয়লা চুরি-গোরু চুরিতে যে অভিযুক্ত বিএসএফ তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে। পুলিস ব্যবস্থা নেবে। তারপর বিএসএফ-র কেউ প্রতিবাদ মিছিল করেছে? না আমাদের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীরা রাস্তায় নেমেছেন? দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স। তৃণমূলের অসুবিধা কোথায়? ওদের কাছে যদি খবর থাকে প্রমাণ দিক কারা চোর।' 

এমনকি, জয় শাহ প্রসঙ্গে কড়া অভিষেকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, 'কে জয় শাহ? বিজেপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, না পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক। আর যে তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের নিচে নেতাজির ছবি রাখে সে এই সমালোচনা করছে!'

ঠিক কী কী বললেন শমীক ভট্টাচার্য--

2 years ago


CM Asset: 'টালির চালায় থেকে এত সম্পত্তি কীভাবে', প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা

রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে একাধিক মামলা বিচারাধীন কলকাতা হাইকোর্টে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা। ২০১১-র পর থেকে বিপুল সম্পত্তিবৃদ্ধি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে সাধারণ পরিবারের সদস্য বলে দাবি করেন বারবার। কিন্তু বিভিন্ন সরকারি মাধ্যম (পাবলিক ডমেন) যে নথি রয়েছে, সেই নথি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে 

২০১১-র পর থেকে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার বিপুল সম্পত্তি বেড়েছে। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিবৃদ্ধির উৎস কী? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়ে আদালতে দরবার করলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।

তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উত্থান অনেকের অনুপ্রেরণা। কিন্তু বিশেষ করে ২০১৩-র পর থেকে তাঁর পরিবারের সম্পত্তিবৃদ্ধির রকেট গতি দেখা গিয়েছে। আর সেই বছরেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে সর্বস্বান্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর এই ঘটনার পর কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, চিটফান্ডের সব টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে লুকোনো রয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় জানা গিয়েছিল তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি টাকা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ নিজেকে সমাজসেবী বলে দাবি করেন।

আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, 'আমার মামলায় দুটি আবেদন করা হয়েছে। প্রথমে যারা সমাজকর্মী বলে দাবি করেন তাঁদের এহেন সম্পত্তিবৃদ্ধি কারণ কী? আয়কর দফতর বিষয়টার তদন্ত করুক, আর দুই ইডি-কে দিয়ে এই বিপুল তহবিলের উৎস সন্ধান করা হোক।' টালির চালায় যারা থাকে, তাঁদের কাছে এত সম্পত্তি আসল কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েই মামলা। আগামি ৬ তারিখ পরবর্তী শুনানি। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানান তরুণজ্যোতিবাবু।  

ঠিক কী বলেছেন এই আইনজীবী? 

যদিও এই মামলা প্রসঙ্গে এদিন মেয়ো রোডের সভায় মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে তাঁর সুর ছিল যথেষ্ট চড়া। তিনি বলেন, 'আমার সম্পত্তি নিয়ে মামলা এখানে কেন আন্তর্জাতিক কোর্টে হওয়া উচিৎ। এখানে তো বিজেপি যা শিখিয়ে দেবে তাই বলবে।'

শুনুন সেই বক্তব্য: 

2 years ago
TMCP: 'আমাকে, অভিষেককে চোর বলা হচ্ছে, সবাই চোর, আর তোমরা সাধু', চড়া সুর মমতার

মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমাবেশ থেকে আক্রমণাত্মক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। সোমবার শুরু থেকেই সুর চড়া ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর মন্তব্য, 'তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। আমরাও লিস্ট করে রাখছি কারা বদনাম করার চেষ্টা করছি। বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। রাজনীতি না করলে জিভ ছিঁড়ে নিতে বলতাম।' তাঁর সরকারের আমলে চাকরির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সরব বিরোধী দলগুলো (BJP-CPM)। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাম আমলে টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়া হতো। বাম আমলের সেই তালিকা কোথায়? এদিকে ইডি-সিবিআইকে দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা লুঠ করা হচ্ছে। জনগণের টাকা লুঠ চলছে।'

তাঁর অভিযোগ, 'বিজেপি বিদেশে টাকা পাচার করছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় চোর হলে আইন বিচার করবে। কিন্তু মনে রাখবেন অনুব্রত চোর, মমতা চোর, ববি চোর, অভিষেক চোর, রেড রোড চোর, মেয়ো রোডও চোর। আর তোমরা সব সাধু। এসব চলবে না।'

মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষের সুরে মন্তব্য, 'আমার সম্পত্তি বেড়েছে, এই সংক্রান্ত মামলা আন্তর্জাতিক কোর্টে হওয়া উচিৎ। এখানে বিজেপি শিখিয়ে দেবে। আমি আমার মুখ্যমন্ত্রীর বেতন, প্রাক্তন সাংসদ-মন্ত্রী হিসেবে পেনশন নিই না। সেই ১০-১২ বছর ধরে চলছে। বাইরে একটা চা খেলেও নিজের পয়সায় খাই। ৯১ সালের পর থেকে বিমানে কোনওদিন ইকোনমিক ক্লাসে চড়ি না। আমি বই বিক্রি করলেও ওদের জ্বালা। শুভা দা ছবি আঁকলেও ওদের জ্বালা।' 

ব্রাত্য কেন আমাকে পুরস্কার দিল? তা নিয়েও সমালোচনা। অতীতে কত পুরস্কার আমি ছেড়ে দিয়েছি। এতো কাজের মধ্যেও এক হাজার-দু'হাজার পাতার বই লিখুন। এভাবেই বিরোধী শিবিরের সমালোচনার জবাব এদিন মেয়ো রোডে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সুর আরও ছড়িয়ে তিনি জানান, আমি রাজনীতি করতে এসেছি, সমাজসেবা করব বলে। সিপিএম ৩৪ বছরে ৩৪ বছরই দুর্নীতি করে খেয়েছ। বিজেপির আট বছরে শুধু জিএসটি, চাকরি নেই। আর মানুষের টাকা দিয়ে নিজের ভাণ্ডার বাড়াচ্ছ। আর সেই টাকা দিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার ভাঙছ? ঝাড়খণ্ডে সরকার ভাঙার চেষ্টা করছো? এতে কত টাকার লেনদেন? এই দুর্নীতির সিবিআই-ইডি হবে না কেন?

আর কী বললেন তিনি?


আমাদের অফিসারদের দিল্লিতে ডাকলে, আপনাদের অফিসারকে ডাকা হবে

ববি, অরূপ, অভিষেক, চন্দ্রিমা এমনকি আমাকেও আটকে রাখো, তারপর দেখো কী হয় 

সাধারণ মানুষ সংবাদ মাধ্যমের কথায় কান দেবেন না

ববিকে গ্রেফতার করলে বুঝবেন সব সাজানো, আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য

আমি চুরি ডাকাতি করার জন্য রাজনীতি করি না

দেশের মধ্যে তৃণমূল একমাত্র সাচ্চা এবং মানুষের পার্টি

বিজেপিকে সরানো আমার লড়াই, বাংলাকে বাঁচানো আমার প্রথম লড়াই

২০২৪-এ আমরা দিল্লি থেকে বিজেপিকে সরাবো 

আমাদের চমকালে আমরা গর্জাই, গর্জালে বর্ষাই


2 years ago