টাটার ইস্পাত কারখানার ফার্নেসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Blast)। এই বিস্ফোরণে কোনও নিহতের খবর না মিললেও আহত (Injured) হয়েছেন কমপক্ষে ১৯ জন কর্মী। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার (Odisha) ঢেঙ্কানল জেলার মেরামণ্ডলীতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (Police)। এই ঘটনায় পুলিস আহত ওই কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্ধার করে কটকের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিস ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঢেঙ্কানলের পুলিস সুপার জ্ঞানরঞ্জন মহাপাত্র বলেন, “এই ঘটনায় ১৯ জন আহত হয়েছেন। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের একটি দল এই ঘটনার তদন্ত করবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আচমকা বিএফএফপি ২ পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস বেরোতে শুরু করে। সেটি মেরামতির কাজ করছিলেন কিছু কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়ার। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে ওই কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের গায়ে গরম জল ছিটকে পড়ে। যদিও এই বিষয়ে টাটা স্টিলের তরফে জানানো হয়েছে, আহতদের চিকিৎসা চলছে। এমনকি ওই আহত কর্মীদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।
রাতের অন্ধকারে বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) কেঁপে উঠল এলাকা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী (Basanti) থানার কাঠালবেরিয়া পঞ্চায়েতের কালিপদ মোড়ের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বাসন্তী থানার পুলিস (Police)। পুলিস বোমার সুতলি রাস্তার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, শনিবার রাত একটা নাগাদ বোমা ফাটতে থাকে এই এলাকায়। এলাকায় প্রচুর বোমা ফাটার দাগ এবং বোমার সুতলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হয়েছে এবার এলাকার দখল কাদের হাতে থাকবে, তা নিয়েই মূলত শক্তি প্রদর্শন চলছে বাসন্তীর কাঁঠালবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেই কারণেই রাতের অন্ধকারে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিস।
তবে কারা এই বোমা ফাটিয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ খবর শুরু করেছে পুলিস। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এগরা, বজবজের পর মালদহ (Maldah)। এবার মালদহের বাজির গুদামে বিস্ফোরণের (Firecrackers blast) জেরে আগুন (Fire) ধরে যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু (Death) হয়েছে। সূত্রের খবর, এ ঘটনায় এখনও অবধি ২ জন গুরুতর আহত অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে দমকলের আটটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সূত্রের খবর, মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার নেতাজি পুরবাজার এলাকায় মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণের পর ওই গুদামে আগুন লেগে যায়। এখন দমকলের ইঞ্জিন ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বাজির গুদাম ঘিরে একাধিক বাজির দোকানও ছিল। মঙ্গলবার সকালে গুদামের সামনে গাড়ি থেকে কার্বাইড নামানো হচ্ছিল। সেই কার্বাইড অসাবধানতায় নীচে পড়ে যায়। তার পরেই হয় বিস্ফোরণ।
বিস্ফোরণের ফলে গুদামে আগুন ধরে যায়। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। ঘটনাস্থলে বাজির এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিন জন শ্রমিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় আরও ১ শ্রমিকের।
এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে (Egra Blast) নতুন ধারা যোগ করল সিআইডি (CID)। হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়ার পরেই আজ অর্থাৎ শুক্রবারই এ ঘটনায় নতুন ধারা যোগ করল সিআইডি। সিআইডি সূত্রে খবর, এই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩০৭, ও ১৯০৮ এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্টের ধারা যোগ করল সিআইডি।
মঙ্গলবার এগরা বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডে এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছে ৯ জন। এছাড়া সূত্রের আরও খবর ২ জন এখনও এসএসকেএমের বার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। পূর্বেই এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের উপরে ক্ষুব্ধ ছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। নবান্নের প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা জানিয়েছিলেন দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরেই তদন্তভার সিআইডির হাতে যায়। পাশাপাশি ওই মামলায় পুলিসের করা এফআইআরে অসন্তোষ জানিয়েছিল বিরোধীরা। এমনকি এই মামলা হাইকোর্টে গেলে এই মামলার ধারা দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এবং তিনি রাজ্যের তরফে আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, 'এ ঘটনায় বিস্ফোরণের ধারা নেই কেন?'
এরপরে এ ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে সিআইডিকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি। তারপরেই আজ অর্থাৎ শুক্রবার এই মামলায় আরও ধারা যোগ করল সিআইডি। ঘটনার তদন্তে নেমে এই মামলায় এখনও অবধি মূল অভিযুক্ত ভানু, তাঁর ছেলে ও তাঁর ভাইপোকে গ্রেফতার করে সিআইডি। যদিও শুক্রবার কাকভোরে অভিযুক্ত ভানু বাগ ওড়িশার কটকের একটি নার্সিংহোমে মারা যান।
ভয়াবহ বিস্ফোরণ ইতালিতে। বিস্ফোরণের (Blast) ঘটনাটি ঘটেছে ইতালির (Italy) মিলানে। বিস্ফোরণের জেরে পাশে থাকা গাড়ি গুলিতেও আগুন লেগে যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চার পাশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে পুলিস (Police) ও দমকল বাহিনী। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, সিলিন্ডার বোঝাই গাড়িতে আগুন লাগার ফলেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচটি গাড়ি এবং চারটি বাইক সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। এমনকি কয়েকটি গাড়ির ক্ষতিও হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে পুলিস ওই গোটা এলাকাটি ঘিরে রেখেছে।
Several vehicles are in flames in the center of Milan in northern Italy after an explosion, possibly coming from a van full of oxygen bottles #Milano#Italy #BreakingNEWS pic.twitter.com/h01NOJ9uKH
— D® Phil (@philabouzeid) May 11, 2023
জানা গিয়েছে, আচমকাই মিলানের পোর্তা রোমানার একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিলিন্ডারের গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে বেশ খানিকটা উড়ে যায় গাড়িটি। আশপাশে পার্ক করে রাখা গাড়ি এবং বাইকেও আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণস্থলের পাশেই রয়েছে একটি স্কুল এবং একটি নার্সিংহোম। বিস্ফোরণের পরেই সেখান থেকে পড়ুয়া এবং রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
২০২১ সালে কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’কে খুন করেছে তালিবান (Taliban)। এমনই দাবি আমেরিকার আধিকারিকদের। ২০২১-এর ২৬ অগস্ট ওই বিস্ফোরণের (Blast) ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩ জন আমেরিকার সেনাকর্মী এবং ১৭০ জন সাধারণের। আমেরিকার দাবি, সেই বিস্ফোরণের মূলচক্রীকেই শেষ করেছে তালিবান। তবে কীভাবে তাকে হত্যা করা হল তা এখনও জানায়নি আমেরিকা। এমনকি জানা যায়নি মৃতের নামও।
এই ঘটনায় হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘নিহত এক জন আইসিস-এর সদস্য এবং অ্যাবে গেটের মতো একাধিক ঘটনার মূলচক্রীদের অন্যতম ছিল। কিন্তু আর নতুন কোনও ছক কষা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না।’’
২০২১-এর ১৫ অগস্ট তালিবান আনুষ্ঠানিক ভাবে কাবুল পুনর্দখল করে। আফগানিস্তানে দ্বিতীয় বার তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার পরেই সে দেশ থেকে যেতে শুরু করে আমেরিকা। পরে বিমানটি কাবুল বিমানবন্দর থেকে ছাড়ে ২০২১-এর অগস্টের শেষে। সেই সময়ই ঘটে যায় ভয়ঙ্কর এই বিস্ফোরণের ঘটনা। তবে এবার তালিবানের হাতে চলে এলেন কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের মূলচক্রী।
আজকাল বাচ্চাদের খাওয়াতে বা কান্না করলে শান্ত করতে বাবা-মারা স্মার্ট ফোনের (Smart Phone) সাহায্য নিয়ে থাকেন। এর ফলে ছোট থেকেই স্মার্টফোনের প্রতি আকর্ষণ জন্মে যায় বাচ্চাদের। মোবাইল ফোনে কার্টুন দেখা বা গেম খেলাকে (Game) অভ্যাসে পরিণত করে ফেলে। আর সেই অ্যাডিকশন থেকে নিজের সন্তানকে বার করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় বাবা-মাকে। আর এই গেম খেলায় প্রাণ (Death) কেড়ে নিল ৮ বছরের এক শিশুকন্যার।
জানা গিয়েছে, কেরলের বাসিন্দা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আদিত্যাশ্রী। সোমবার রাতে নিত্যদিনের অভ্যাস মতো ফোন নিয়ে গেম খেলতে বসেছিল ছোট্ট আদিত্যাশ্রী। খেলতে খেলতেই আচমকা বিকট শব্দে ফেটে যায় মোবাইল ফোনটি। রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট্ট আদিত্যাশ্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার মা, বাবা। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও চিকিৎসকরা বাঁচাতে পারলো না শিশুটিকে। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে, মোবাইল ফোনে গেম খেলা এবং ভিডিও দেখা ছিল আদিত্যাশ্রীর সবচেয়ে প্রিয়। কাজের পর মা, বাবা বাড়ি ফিরলে তাই মেয়ের হাতে তুলে দিতে হত মোবাইল ফোন। তা করতে গিয়েই ঘটে গেল অঘটন। পুলিস ইতিমধ্যে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্ট পেলে স্পষ্ট হবে, আদিত্যাশ্রীর মৃত্যুর সঠিক কারণ। পুলিসও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মেটিয়াবুরুজে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে (Cylinder Blast) আহত কমপক্ষে ২২ জন। অত্যাধিক বার্ন ইনজুরি (Burn Injury) নিয়ে ২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি কথা বলেন প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে। মেয়র জানান, 'পুরসভার ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইলেকট্রিক ওয়্যার থেকে আগুন লাগে। সেখান থেকে তড়িঘড়ি গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়েছে। যারা আগুন নেভাতে গিয়েছিল তাঁরা অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। মোট ২২ জন জখম হয়েছেন, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।'
তিনি জানা, চিকিৎসক জানিয়েছে, অধিকাংশকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হবে। এই দুর্ঘটনায় দু'জন শিশুও গুরুতর আহত। জানা গিয়েছে, এরপর তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে যান জখমদের দেখতে।
শিনজো আবের পর ফুমিও কিশিদা। ফের জাপানে প্রাণঘাতী হামলার কবলে প্রধানমন্ত্রী (Attack on Japan PM)। জানা গিয়েছে, শনিবার এক শহরের একটি সভায় কিশিদার (Fumio Kishida) বক্তৃতা শুরুর আগে মঞ্চের অদূরে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে তিনি অক্ষত, এমনটাই জানিয়েছে একাধিক জাপ সংবাদমাধ্যম। এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত খবরে বলা, লোহার পাইপের টুকরোর মতো একটি বস্তুর ভিতরে বিস্ফোরক রাখা ছিল। ঘটনার পরেই দ্রুত কিশিদাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। বিস্ফোরণের পরেই সভাস্থলে শুরু হয় হইচই। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক এক ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে পশ্চিম জাপানের এক শহরে কর্মসূচিতে বক্তৃতা চলাকালীন একইভাবে হামলার মুখে পড়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন এক আততায়ী। গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি শিনজোকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর নেওয়া এক সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই হামলা। পুলিসকে জানিয়েছিল আততায়ী।
ফের রক্তাক্ত পাকিস্তান (Pakistan)। পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম বালুচিস্তানের (Balochistan) কোয়েটায় বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) নিহত হয়েছেন ৪ জন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১৮ জন। ঘটনাটি সোমবারের। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিসের অনুমান ঘটনাটির পিছনে রয়েছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি।
জানা গিয়েছে, আইইডি অর্থাৎ ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস ফেটেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুলিস আধিকারিক আজহার মেহসর জানিয়েছেন, কোয়েটার এক বাজারের পাশে পার্ক করা একটি গাড়িতে রাখা ছিল কিছু বিস্ফোরক। পুলিসের গাড়ি লক্ষ্য করেই তার কাছাকাছি মোটর সাইকেলে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল। এই বিস্ফোরণে দু'জন পুলিসকর্মী-সহ মোট ৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতের মধ্যে মহিলা ও ৫ বছর বয়সী এক শিশু ছিল বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও বিস্ফোরণের ফলে আশেপাশের দোকান ও পুলিসের দুটো গাড়িও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সূত্রের খবর, আহতদের স্থানীয় কোয়েটা সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, তিন থেকে চার কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন হামকারীদের শাস্তি দেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২৪ ঘণ্টায় আরও একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে পাকিস্তানের কুচলাক নামক জায়গায়। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দু'জন পুলিসকর্মী-সহ একজন নাগরিক।
গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ভয়ঙ্কর অগ্নিকান্ড (Fire Incident)। আগুনে পুড়়ে মৃত (Death) সত্তর বছরের এক বৃদ্ধা এবং জখম বহু মানুষ। নাগাল্যান্ডের (Nagaland) ডিমাপুর জেলার বার্মা ক্যাম্পের পূর্ব ব্লকে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকার বহু ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে গিয়েছে। আগুন লাগায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে। আগুন লাগার ফলে এলাকার বহু মানুষের নানা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকি এলাকার খড়ের তৈরি প্রচুর বাড়ি ছিল, আগুন ছড়িয়ে সেই সমস্ত বাড়িগুলি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যার ফলে প্রচুর মানুষ মাথার উপরে ছাদ হারিয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, অগ্নিকান্ডের ফলে ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছেন ৯০০ জন বাসিন্দা। আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকল কর্মীরা। তিন ঘণ্টা ধরে আগুন নেভানোর চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর, অগ্নিকান্ডের জেরে লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি কয়েক জন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসীরা।
দমকল সূত্রে খবর, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ওই এলাকায় আগুন লেগেছিল। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার আশপাশে তা ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার ভোররাতে বিস্ফোরণে (Blast) শব্দে কেঁপে উঠল আসানসোলের (Asansol) কুলটি থানা এলাকা (Kulti Police Station)। জানা গিয়েছে, সাকতরিয়া ফাঁড়ির ময়লা গাদা এলাকার বাসিন্দা সুভাষ ঘাসি। যাঁর বাড়িতে ঘটেছে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, রান্নাঘরের চাল উড়ে গিয়ে পড়ে অন্য বাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে রাত ২টো নাগাদ।
সুভাষবাবুর স্ত্রী বলেন, 'বিস্ফোরণের সময় তাঁরা ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ বিশাল শব্দ হয়। তড়িঘড়ি বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে আসেন। তখন দেখতে পান, রান্না ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। এরপর তাঁরা আসানসোলের কুলটি থানার পুলিসকে খবর দেন।' পুলিস এসে তদন্ত করে জানান, বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ির কর্তা সুভাষ ঘাসি ও ছেলে সাগর ঘাসিকে তুলে নিয়ে যায়। যদিও পুলিস সূত্রে খবর, তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের কারণে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনার জেরে রাতের ঘুম উড়েছে বলে জানান এলাকার মহিলারা। আবার কখন কোথায় কী ঘটে? সেই ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত সকলেই। তবে কীভাবে বিস্ফোরণ হল, বিস্ফোরক কী আগে থেকেই মজুদ ছিল? কী বিস্ফোরক ছিল তাই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। যদিও গৃহকর্ত্রীর কথায় পুরোনো বিবাদের কথা উঠে আসছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
বস্ত্র কারখানার কম্প্রেসার সিলিন্ডার (Cylinder) ফেটে (Blast) মৃত্যু (Dead) হল কারখানার মালিকের। রবিবার সকালে, ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার নূরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুক্তারপুর গ্রামে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বরুণ ঘোষ (৩৬)। তাঁর বাড়ি দেগঙ্গার নূরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নুরনগর ঘোষপাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নূরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুক্তারপুর গ্রামে বরুণের একটি কম্পিউটার চালিত এমব্রয়ডারি কারখানা আছে। শনিবার সারারাত ওই কারখানায় একজন কর্মচারী কাজ করেছেন। ভোরবেলা ওই কর্মচারী মেশিন বন্ধ করে চলে যান। পরে সকালবেলা কারখানার মালিক বরুণ নিজে যান, ওই মেশিন চালাতে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কারখানা খোলার কিছুক্ষণ পরই একটা বিকট আওয়াজ হয়।
আওয়াজ শুনে গ্রামের লোকজন ওই কারখানায় যান। তাঁরা দেখেন মেশিনের কম্প্রেসার সিলিন্ডার ফেটে গিয়েছে। পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বরুণ। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে পরে সেখান থেকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় বরুণের। বরুণের মৃত্যুতে শোকাহত গোটা এলাকা।
জোরালো বিস্ফোরণে (Blast) কেঁপে উঠল আন্তর্জাতিক সীমান্ত। জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) ঘটনাটি ঘটেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় সানিয়ালে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাশ্মীর পুলিস এবং সেনাবাহিনী।
পুলিস সূত্রে খবর, কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের ডিজি মুকেশ সিংহ। স্থানীয়দের দাবি, ড্রোনে করে সীমান্তের ওপার থেকে আইইডি পাচার করা হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বিস্ফোরক নীচে পড়ে গিয়ে ফেটে গিয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। সানিয়াল গ্রামের এক বাসিন্দা রামলাল কালিয়া বলেন, 'রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিকট একটা শব্দ পেয়ে গ্রামবাসীরা বেরিয়ে আসেন বাইরে। জোরালো বিস্ফোরণের আওয়াজ বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু কোথা থেকে আওয়াজ এলো তা বোঝা যাচ্ছিল না। বিস্ফোরণ হয়েছে অনুমান করা হচ্ছিল। একটি চাষের জমিতে বিস্ফোরণ হওয়ায় বিশাল বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।'
কাঠুয়ার এসএসপি শিবদীপ সিংহ জামওয়াল জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালায়। বম্ব স্কোয়াডকেও ডাকা হয়। তারা এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই বিস্ফোরণ, তা নিয়ে তল্লাশি চলছে।
বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Blast)। ঘটনায় মৃত্যু (Death) হল অন্তত ৩ জনের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মহেশতলায়। জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকল বাহিনী এবং মহেশতলা ও বজবজ থানার পুলিস (Police)। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম লিপিকা হাতি(৫২), শান্তনু হাতি(২২) এবং আলো দাস(১৭)।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের পুটখালী মণ্ডলপাড়ায় একটি বাজি কারখানাতে বিস্ফোরণটি হয়। তাতেই ওই বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী-পুত্র এবং এক প্রতিবেশীর নাবালিকা মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তখনই এলাকাবাসীরা পুলিস ও দমকল কর্মীকে খবর দেয়।
পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দেহগুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তিনটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে বলেই খবর। তবে এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠছে নানান প্রশ্ন। এমন ঘন জনবসতি এলাকায় বাজি কারখানা করা যায় না। যদিও এ নিয়ে এখনই প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।