ধুলিসাৎ নয়ডার (Noida) ৪০ তলা উঁচু ‘টুইন টাওয়ার’ (Twin Tower)। দুপুর ২.৩১ মিনিটে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ধুলোয় মিশল টাওয়ার। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল জোড়া টাওয়ার। UNESCO’র হেরিটেজ কুতুব মিনারের চেয়েও উঁচু এই জোড়া ইমারত এখন ইতিহাস। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন ডিনামাইট’।
#WATCH | 'Controlled implosion' turns Noida's #SupertechTwinTowers to dust pic.twitter.com/zDksI6lfIF
— ANI (@ANI) August 28, 2022
দুটি টাওয়ারের মধ্যে একটি টাওয়ারের নাম ‘অ্যাপেক্স’ এবং অপরটির নাম ‘সিয়ান’। দুর্নীতির ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই বিশাল জোড়া আবাসন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মোতাবেক ভেঙে ফেলা হল আকাশচুম্বী এই টাওয়ার।
উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞদের হিসেব অনুযায়ী সোজাসুজি ভেঙে পড়েছে টুইন টাওয়ার। স্থানীয়দের যে বিপদের আশঙ্কা করছিল তা ঘটেনি।
শহর কলকাতায় ভর দুপুরেই বোমা বিস্ফোরণের (bomb blust) ঘটনায় আতঙ্কিত বেলেঘাটাবাসী। ঘটনায় গুরুতর আহত (injured) হন দুজন। তাঁদের মধ্যে একজন লোকমান মোল্লা, ও অন্যজন বীরেন দাস। তবে ঘটনার পর থেকেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠে আসছে। মঙ্গলবার বোমা কাণ্ডে আহত মিস্ত্রি লোকমান মোল্লাকে এনআরএস (NRS) হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে দঃ২৪ পরগনার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে প্রোমোটার বীরেন দাসকে টাকা দিয়ে এনআরএস হাসপাতাল (hospital) থেকে নার্সিং হোমে নিয়ে গিয়েছে পরিবার বলে জানিয়েছে, পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, সোমবারের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন লোকমান মোল্লা, কিন্তু তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা সঠিক দেওয়া হচ্ছিল না। যে কারণের দীর্ঘক্ষণ ধরে হাসপাতালের বারান্দার ট্রলির উপরেই পড়েছিলেন লোকমান মোল্লা। অবশেষে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ার কারণের জন্য মধ্যরাতেই তাঁর পরিবার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করে।
তবে এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে একটাই, কীভাবে সরকারি হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনের এই রোগীকে দীর্ঘক্ষণ ধরে হাসপাতালের বারান্দায় এক কোণে টলির মধ্যেই রক্তক্ষরণ অবস্থায় ফেলে রাখা হল? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকরা কেন লোকমান মোল্লার অস্ত্র প্রচার করার ব্যবস্থা করলেন না।
এবার খাস কলকাতায় বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা। প্রাথমিক অনুমান, সকেট বোমা ফেটেই ঘটেছে এই বিপত্তি। ঘটনায় গুরুতর জখম (injured) হয়েছেন দুজন। আহতদের মধ্যে একজন শ্রমিক ও অপরজন এলাকারই বাসিন্দা। জানা যায়, ঘটনায় হাত উড়ে গিয়েছে শ্রমিকের। জখম দুজনকে এনআরএস (NRS) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বেলেঘাটা (Beleghata) থানা এলাকার।
জানা গিয়েছে, এই এলাকায় একটি নির্মাণের কাজ চলছিল৷ সেখানে শ্রমিকরা মাটি খুঁড়তেই আচমকা বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখেন, দুজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁদের একজন শ্রমিক, যার ডান হাত উড়ে গিয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয় বেলেঘাটা থানা এবং কলকাতা পুলিসের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, রাতের অন্ধকারে কোনও দুষ্কৃতী ওই জায়গায় সকেট বোমাগুলি মাটি চাপা দিয়ে রেখে গিয়েছিল। নির্মাণের কাজ চলাকালীন এদিন শ্রমিকরা মাটি খুঁড়তেই সেখানে চাপ পড়ে সকেট বোমাগুলি ফেটে যায়।
এক আত্মঘাতী হামলায় কাবুলে (Kabul blast) নিহত তালিবান (Taliban) নেতা রহিমুল্লা হাক্কানি। আফগানিস্তানের (Afganisthan) তালিবান সরকারের ধর্মীয় নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি। বৃহস্পতিবার সে দেশের সংবাদ সংস্থা টলো নিউজ এই খবর দিয়েছে। যে খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার।
জানা গিয়েছে, ধর্ম পণ্ডিত, শিক্ষক শেখ রহিমুল্লা হক্কানি বৃহস্পতিবার কাবুলের একটি স্কুলবাড়ির কাছে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। সেই সময় জলসায় উপস্থিত এক ব্যক্তির কৃত্রিম পায়ে লুকিয়ে থাকা বিস্ফোরক থেকেই এই বিস্ফোরণ। এমনটাই টলো নিউজ সূত্রে খবর।
এদিকে, আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল ইস্তক সে দেশে তালিবান এবং পাক তালিবানের ছায়া যুদ্ধ চলছে। আর পাক তালিবানকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে তালিবান বিরোধী অপর গোষ্ঠী হাক্কানি নেটওয়ার্ক। যদিও এই জঙ্গি সংগঠন আফগানিস্তানে জোট সরকারের শরিক। কিন্তু ক্ষমতা বৃদ্ধির লড়াইয়ে তারা তালিবান থেকে পিছিয়ে। তাই তৈরি হয়েছে বৈরিতা।
এদিনের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ সেই বৈরিতার বহিঃপ্রকাশ কিনা খতিয়ে দেখবে তালিবান পুলিস। অন্যদিকে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী আফগানিস্তানে সক্রিয় হতে মরিয়া। এসবের মাঝে পড়ে প্রায়ই তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে বিস্ফোরণ এবং মৃত্যুর খবর মিলছে।
মালদায় বিস্ফোরণের (Maldaha Blast) ঘটনায় এনআইএ তদন্তের (NIA Investigation) আবেদন জানানো হল হাইকোর্টে (High Court)। আবেদনকারী জানান, এখনও এই মামলার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিস। কিন্তু তদন্ত এগোয়নি একটুও। তাই এনআইএ তদন্তের দাবি নিয়ে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। আজকের মতো সেই মামলার শুনানি (Hearing) শেষ। পরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার।
আবেদনকারী আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। পাঁচজন শিশু জখম হয়। পুলিসের তরফ থেকে কোনও স্বতঃপ্রণোদিত কেস করা হয়নি। একজন ক্ষতিগ্রস্তের আত্মীয় অভিযোগ করার পর তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। এফআইআর হয় ২৫ এপ্রিল দুপুর ১২ টার পর। যদিও ঘটনা ঘটে ২৪ এপ্রিল দুপুর ২ টো ১৫ মিনিটে। অথচ আইনে আছে, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তদন্তকারী সংস্থা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করতে পারে। কিন্তু রাজ্য পুলিসের তদন্তকারী অফিসার সেদিন কিচ্ছু করেননি। এলাকায় অপরাধ বেড়েছে বহুদিন। পুলিসের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। এটা সীমান্ত এলাকা এবং অপরাধের আঁতুড়ঘর। পুলিসেরই রিপোর্টে পাওয়া যাচ্ছে, ওখানে মাঝে মাঝেই বোমা পাওয়া যায়। এলকাবাসী সুরক্ষিত নয়। তাই এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন।
রাজ্যের আইনিজীবী অনির্বাণ রায় বলেন, আমরা তদন্ত করছি, কোথা থেকে এল অত পরিমাণে বিস্ফোরক। ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে মামলাটি এলে তদন্ত দেরি হবে। অপরাধীরা পালিয়ে যেতে পারে।
রাজ্যের আইনজীবী অনির্বাণ রায় আরও জানান, এফআইআর দেরিতে করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। রাজ্য এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্টেই অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, সমস্ত সিডিউল অফেন্স এনআইএ সংস্থা তদন্ত করে। সার্বভৌমিকতা, দেশের নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় জড়িত থাকলে তবেই। সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে, এমন ঘটনা হলেই তারা তদন্ত করে।