Breaking News
BJP: জাতীয় সঙ্গীত 'অবমাননা' মামলায় জোর ধাক্কা রাজ্যের! বিজেপি বিধায়কদের গ্রেফতারে 'না' হাইকোর্টের      Recruitment Scam: ফের তৃণমূলের দুই কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে উদ্ধার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও অ্যাডমিট কার্ড!      Congress: স্বাধীনতার পর প্রথম তেলেঙ্গানায় সরকার গঠনের পথে কংগ্রেস      Deganga: গুরুতর অভিযোগ! মিড ডে মিলের চাল লুকিয়ে রাখা হচ্ছে স্কুলের শৌচালয়ে      Sujoykrishna: সুজয়কৃষ্ণের ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টে 'ঢিলেমি'! এসএসকেএম-এর ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন      Recruitment Scam: এবারে দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে উদ্ধার নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি!      Jyotipriya: এসএসকেএম-এও নেই স্বস্তি! সিসিটিভি ক্যামেরার নজরাধীন রাখার নির্দেশ আদালতের      CBI: কোথাও বিধায়ক, কাউন্সিলর, কোথাও ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা, রাজ্যজুড়ে ফের সক্রিয় সিবিআই      Mamata Banerjee: 'অনেক বিধায়কের কোটি কোটি টাকা', বিজেপি বিধায়কদের চাঁচাছোলা আক্রমণ মমতার      Amit Shah: লোকসভার আগে বিজেপির শাহী সভা যেন প্রেস্টিজ ফাইট, সভার লাইভ আপডেট     

BayronBiswas

Sagardighi: শাসকের উপর আস্থা নেই সাগরদীঘির, বায়রনের নিজের পঞ্চায়েতেও হার তৃণমূলের

মণি ভট্টাচার্য: বায়রনে তো আস্থা নেই, এছাড়া সাগরদীঘির আস্থা নেই তৃণমূলেও। সেকারণেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাগরদিঘি হাতছাড়া তৃণমূলের। এমনকি বায়রনের নিজের এলাকাতেও বিপুল হার তৃণমূলের। সেখানে বিপুল ভোট জয়লাভ করেছে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী। ভালো ফল আইএসএফএফেরও। ফলে এটা কিছুটা স্পষ্ট যে বাম-কংগ্রেস জোটের টিকিটে উপনির্বাচন জিতে বায়রনের ডিগবাজিতে সাগরদীঘিতে কোনও ক্ষতিই হয়নি অধীর-সেলিমদের।

সম্প্রতি উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ বন্দোপাধ্যায়কে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারিয়ে সাগরদিঘি জয় করে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। সেসময় অধীর-সেলিমদের মুখে চওড়া হাসি ফুটলেও, সেই হাসি বেশিদিন থাকে নি অধীরদের। অভিষেকের 'নবজোয়ারেই' কংগ্রেসের হাত ছেড়ে তৃণমূলে ডিগবাজি খায় বায়রন।

যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বায়রনের হাত ধরে নির্বাচনী বৈতরণী টপকাতে পারল না কংগ্রেস। সূত্রের খবর, সাগরদীঘির বায়রন বিশ্বাসের নিজের এলাকা,  পাটকেলডাঙ্গা পঞ্চায়েতের দখল নিল বাম-কংগ্রেস জোট। সূত্রের খবর, পাটকেলডাঙা পঞ্চায়েতে ২০ টি আসনের মধ্যে, তৃণমূল পেয়েছে মাত্র ৬ টি আসন। সেখানে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ১০টি। বামেদের দখলে ৩টি ও আইএসএফের দখলে ১টি আসন। উপনির্বাচনে কংগ্রেস ও বামেদের সমর্থনে জিতে বায়রনের দলবদলে যে কোনও লাভই হয়নি তৃণমূলের সেটা কিছুরটা স্পষ্ট। এছাড়া রাজনৈতিক মহলের দাবি, বায়রন বিশ্বাসের উপর তো নয়ই, সাগরদীঘির বিশ্বাস নেই তৃণমূলেও। বায়রন জেতার পর গোটা রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের কাছে মডেল ছিল সাগরদীঘি, এরপরে বায়রনের দলবদলে সেই মডেল নিয়ে রাজনৈতিক কটাক্ষ ও বিতর্ক থাকলেও সাগরদিঘি আদতে মডেল সেটা ফের প্রমান করল বাম-কংগ্রেস। পাশাপাশি অনুব্রতর বীরভূমেও এবার খাতা খুলল বামেরা। বীরভুমেও বামেদের দখলে ২টি পঞ্চায়েত। 

5 months ago
Bayron: বাইরন বিশ্বাসের বিধায়ক পদ খারিজ করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা

বাইরন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) বিধায়ক (MLA) পদ খারিজ করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) দায়ের হল মামলা। সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই সংক্রান্ত একটি মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয়। বেঞ্চ সেই মামলার অনুমতি দিয়েছে।

মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বাইরন বিশ্বাস। কিন্তু তিন-মাস কাটতে না কাটতেই  তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার সভায় পৌঁছে তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও, বাইরন কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক। তাই বিধানসভায় তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে।

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে ওই মামলার জন্য আর্জি জানান। ওই বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানি হতে পারে।

6 months ago
Bayron: দলবদলু বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে নিয়ে এবার উল্টো সুর মমতার গলায়

বায়রন নিয়ে এবার উল্টো সুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) গলায়। বায়রন প্রসঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের স্পষ্ট দাবি, বায়রনের যোগদান নিয়ে আমি তেমন কিছু জানি না। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার যাত্রায় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস (Bayron Biswas)। মঙ্গলবার এই ব্যাপারে নিজের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে তিনি সরাসরি কিছু জানেন না। সবটাই তিনি খবরের কাগজ পড়ে জানতে পেরেছেন। এমনকী এই ব্যাপারে তাঁর দলের ব্লকের নেতারাই বলতে পারবেন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী।

এদিনই সাগরদিঘির বিধায়কের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে রাজ্য। সম্প্রতি তাঁর নিরাপত্তা চেয়ে সরকারের বিরুদ্ধেই আদালতে গিয়েছিলেন বায়রন। কারণ, তাঁর আশঙ্কা মুর্শিদাবার ফিরলেই তাঁর এবং তাঁর পরিবারের উপর হামলা হতে পারে। তাই সোমবার তৃণমূলে যোগ দিয়েই রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বায়রন। সোমবার তিনি দাবি করেছিলেন, শুরু থেকেই তৃণমূল করতেন। কিন্তু টিকিট না পাওয়ায় তাঁর মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল।

এদিকে মঙ্গলবার সাগরদিঘিতে বায়রনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন কংগ্রেস কর্মীরা। বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। এমনকী তৃণমূলকে কটাক্ষ করে টুইট করেন দিল্লির কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও।

6 months ago


Congress: 'আমি তৃণমূলেরই লোক' দল পরিবর্তন করে দাবি সাগরদীঘির বিধায়ক বায়রনের

কংগ্রেসের (Congress) ভোটে নয়। মাত্র তিন মাস আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদীঘি উপনির্বাচনে তিনি জিতেছিলেন নিজের ক্ষমতায়। মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে বঙ্গ রাজনীতিতে কংগ্রেসকে ফের শূন্য করে সোমবার এই দাবি করলেন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। এদিন সুদূর ঘাটালে এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েই প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর দিকেই অভিযোগর তীর ছুড়লেন। দাবি করলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে যতটা সরব অধীর, ঠিক ততটাই চুপ বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে। নিজেকে তৃণমূলের লোক বলে দাবি করে, বাইরন জানিয়েছেন, মানুষের জন্য বটেই। এমনকী তাঁর লড়াই মুর্শিদাবাদে বিজেপির বিরুদ্ধেও।

আগাগোড়া কংগ্রেস পরিবার থেকে বড় হওয়া বাইরনের দাবি, তিনি শুরু থেকেই তৃণমূলে ছিলেন। টিকিট পাননি বলেই মন খারাপ হয়েছিল এবং কংগ্রেসে গিয়েছিলেন। তাঁরা বাবা ছিলেন সাগরদীঘির কংগ্রেস নেতা এবং প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অন্যতম ছায়াসঙ্গী। তাহলে কি তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন? উত্তরে বাইরন জানিয়েছেন, এটা সময় বলবে। কারণ, সাগরদীঘিতে ভোট হলে আবার তিনি জিতবেন। প্রমাণ করে দেবেন, তিনি কংগ্রেসের ভোটে জেতেননি।

গত কয়েকমাস আগে তৃণমূলের দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে উপনির্বাচন জিতেছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়ানো বাইরন বিশ্বাস। সাগরদীঘিতে এই হার ধাক্কা দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছিল সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। কারণ, রাজ্যের প্রয়াতমন্ত্রী সুব্রত সাহার তিন বারের জেতা আসনে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছিল তৃণমূল। সেই সাগরদিঘির বিধায়ক তৃণমূলে ফিরতে কার্যত স্বস্তিতে শাসক দল। বাইরনের দাবি, সাগরদিঘির মানুষের জন্য কাজ করতেই তাঁর তৃণমূলে ফিরে আসা।

6 months ago
Bayron: তৃণমূলে যোগদান করলেন সাগরদিঘীতে কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস

সাগরদিঘী (Sagardighi) ভোটের ফলাফলের তিন মাস পর দলবদল করলেন কংগ্রেসের (Congress) একমাত্র বিধায়ক (MLA) বাইরন বিশ্বাস। আজ অর্থাৎ সোমবার কংগ্রেসের হাত ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। যদিও তিনি সম্প্রতি জানিয়েছিলেন তিনি কংগ্রেস করবেন। তৃণমূলে যাওয়ার কোন প্রশ্নই নেই।

সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। যদিও আপাতত এ ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ বিষয়ে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন, ' আমরা এবার থেকে একটু সচেতন হব প্রার্থী বাছার কাজ বুঝে শুনে করতে হবে। অধীর বাবু উনার উপর ভরসা করেছিলেন, কিন্তু সেই ভরসা উনি রাখলেন না।'

6 months ago


Bayron: বায়রনের জন্য মমতার দুয়ার সবসময় খোলা, সাগরদিঘির বিধায়ক বললেন কংগ্রেসে ছিলাম......

মনি ভট্টাচার্য: 'আমি কংগ্রেসে ছিলাম, কংগ্রেসে আছি, কংগ্রেসেই থাকব।' সিএন ডিজিটালকে সাফ জানালেন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির (Sagardighi) বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস (Bayron Biswas)। বর্তমানে শাসকদলের কাছে সাগরদিঘি যে এক্সফ্যাক্টর সেটা স্পষ্ট হয়েছে সংখ্যালঘু দফতর মমতা (Mamata Banerjee) নিজের কব্জায় নেওয়ার পরই। এরপর জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায় রানীনগরের সভা থেকে বায়রনকে উদ্দেশ্য করে বার্তা দেন যে তাঁর জন্য মমতার দুয়ার সবসময় খোলা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। এবার সিএন ডিজিটালের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত মুখ খুললেন বায়রন বিশ্বাস। জানালেন কী করবেন এবং আগাম প্রস্তুতি কী।

রানীনগরে অভিষেকের বার্তার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাওয়া নিয়ে বায়রনের স্পষ্ট মত, 'অবশ্যই যাবো। সাগরদীঘির উন্নয়নের জন্য অবশ্যই যাবো। কিন্তু ওদের দলে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসছে না।'

সম্প্রতি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ মহলে কানাঘুষো শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বায়রন বিশ্বাসকে সরকারি কোনও পদে বসাতে পারেন। সে বিষয়ে তিনি এখনও কিছু জানেন না বলেই জানান তিনি। এ বিষয়ে সোমবার সিএন-ডিজিটালকে বায়রন বলেন, 'সাগরদিঘির উন্নয়নের কাজে প্রয়োজন হলে অবশ্যই পদ গ্রহণ করব। কিন্তু দলীয় পদ গ্রহণ করব না।' বায়রন বলেন, 'সরকারি পদের সঙ্গে তৃণমূলে যোগদানের কোনও সম্পর্ক নেই, ফলে উন্নয়ন করার সুযোগ থাকলে সেই পদ গ্রহণ করব।'

রাজ্য যখন তৃণমূলের জয়ের জোয়ার, সংখ্যালঘু ভোট যখন তৃণমূলের শিয়রে। তখন সাগরদিঘিতে হঠাৎ একটা ছেলে কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়ে গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে। প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে, দুর্নীতি হলে, কাজে গাফিলতি থাকলে সংখ্যালঘু ভোট ঘুরে যেতে পারে, আর সেটিই যে এক্সফ্যাক্টর হতে পারে সেটা ভালোমতই জানেন মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্যই হয়ত সাগরদিঘির হারের পরেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর নিজের হাতে নিয়েছেন। এবার ওই কেন্দ্রের জয়ী কংগ্রেসের প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। স্পষ্ট জানিয়েছেন, তৃণমূলের দুয়ার তাঁর জন্য সবসময় খোলা।

সাগরদিঘি এক্সফ্যাক্টর বুঝেই কি তৃণমূল বায়রনকে প্রভাবিত করতে চাইছে! এ প্রশ্নের উত্তরে সিএন-ডিজিটালকে বায়রন বিশ্বাস জানিয়েছেন, 'এটা নিজের উপর নির্ভর করে, ওরা প্রভাবিত করলেই যে আমি চলে যাবো এরকম কোনও ব্যাপার না। ওরা প্রস্তাব দিতে পারে, কিন্তু আমার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। আমি আবার বলছি, আমি কংগ্রেসে ছিলাম, কংগ্রেসে আছি, কংগ্রেসেই থাকব।' বায়রন অবশ্য এরপরে আরও বলেন, 'উন্নয়নের জন্য কোনও সরকারি পদ দিলে আমি অবশ্যই যাবো।'

7 months ago
Bayron Biswas: শাঁখের করাত বায়রন বিশ্বাস

প্রসূন গুপ্তঃ পঞ্চায়েত ভোটের আগে সমস্ত বাংলার দলগুলো নিজেদের অস্ত্রগুলো বের করবে তা আর নতুন কথা কী? তবে এই অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা বা শারীরিক নির্যাতন করা নয়, স্ট্রাটেজি দিয়ে বিরোধীদের ভোঁতা করাটাই লক্ষ্য। তবে বেদনার বিষয় ইদানিং এই স্ট্রাটেজি বড়ই অশালীন হয়ে যাচ্ছে। এটা বাস্তব যুদ্ধ ও প্রেমে কোনও বাঁধা থাকেনা কৃত্তিম অস্ত্র ব্যবহারে। ভোটটিও যুদ্ধই বটে।

সম্প্রতি সাগরদিঘি কেন্দ্রে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস-বাম জোট। ভোট কমেছে বিজেপিরও। তবে ভোটের আগেই বিরোধী নেতার কণ্ঠে যে ভাষণ শোনা গিয়েছিলো, তাতে তৃণমূলকে হারিয়ে দেওয়ার বিশেষ পরিকল্পনার কথাও ছিল। ফলে তিন বিরোধী ভোট যে বায়রন বিশ্বাসের বাক্সে পড়েছে তা এখন পরিষ্কার। এরপরেই বিতর্ক বায়রনের ভাইরাল হওয়া এক অডিও থেকে।

ভোটে জিতে শপথ নেওয়ার আগেই বায়রন নাকি সঞ্জয় জৈন নামক এক তৃণমূল নেতাকে টেলিফোনে হুমকি দিয়েছেন। যদিও ওই অডিও সিএন পোর্টাল যাচাই করেনি। বায়রনের হুমকি অডিও যা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। তা অত্যন্ত কদর্য এবং অশ্লীল।একজন নতুন বিধায়ক, যাঁর এর আগে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সামান্য এবং মূলত বিড়ি ব্যবসায়ী। তিনি বিধায়ক হয়েই এতো কুৎসিত ভাষা ব্যবহার করলেন কেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

বুধবার বায়রন বিধানসভায় গিয়ে শপথ নেন। আগে ও পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে এই প্রশ্নই উড়ে আসে তাঁর দিকে। শান্তভাবে তিনি কিন্তু এমন কথা বলেননি, এমন কোনও যুক্তি দেননি। বরং বলেছেন যে কোর্টে দরকার হলে উত্তর দেবেন। জল্পনা এখানেই। তবে কি বায়রন নন আসলে এটি জোটের একটি খেলা যা বায়রনকে সামনে রাখা হয়েছে।

বায়রন কি শাঁখের করাত? তাই তো দাঁড়াচ্ছে। এটি নিয়ে তৃণমূল যদি বেশি কোর্ট কাছারি করে তবে ফের সংখ্যালঘু সেন্টিমেন্ট তাঁর দিকে হেলে পড়বে। যেমনটি হয়েছিল নওশাদ সিদ্দিকীর ক্ষেত্রে। আবার যদি প্রতিবাদ না করে তৃণমূল চুপ করে থাকে তবে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সমর্থকরা ভেঙে পড়বে শক্তি বৃদ্ধি হবে কংগ্রেসের। কাজেই উভয় সংকট। এই কারণেই কি মুখপাত্র কুনাল ঘোষ একটা আইনের কথা বললেন? সময় কিন্তু অপেক্ষা করবে না।

9 months ago