Breaking News
CBI: সোমে জাস্টিস সিনহার তাবড়ে মঙ্গলের সকাল থেকে তল্লাশি অভিযানে সিবিআই      Dumdum: দমদম নাগেরবাজারে বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় উদ্ধার অস্ত্র, জেরায় খুনের কথা স্বীকার অভিযুক্তের      Court: অভিষেকের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই! ইডি-সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা জাস্টিস সিনহার      Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে একাধিক নির্দেশিকা জারি মুখ্যসচিবের      Dengue: ডেঞ্জার 'ডেঙ্গি' রুখতে হটস্পট, বিশেষ ব্যবস্থা স্বাস্থ্য ভবনেরও      Raghav-Parineeti: বর-কনে সাজে রাঘব-পরিণীতি, প্রকাশ্যে 'রাঘনীতি'-র রূপকথার বিয়ের ছবি      Dengue: ডেঙ্গি কিন্তু ডেঞ্জারাস...      India: ৪০০ রানের টার্গেট, শ্রেয়স-গিলের জোড়া সেঞ্চুরিতে পাহাড় সমান রান ভারতের      Resignation: মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে টিএমসিপি! অভিযোগ তুলে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ অধ্যক্ষর      Mamata: 'অনেক কাজ করতে পেরেছি...' স্পেন থেকে কলকাতায় ফিরে জানালেন মমতা     

Basirhat

police outpost বিভূতিভূষণের স্মৃতি বিজড়িত পানিতরে পুলিস ফাঁড়ি বন্ধ দীর্ঘ কয়েক বছর

বসিরহাট মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বন্ধ পুলিস ফাঁড়ি। তা চালুর দাবি এলাকাবাসীর। ইটিন্ডা পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে পানিতর গ্রামে স্বাধীনতার কয়েক বছর পর চালু হয়েছিল একটি পুলিশ ফাঁড়ি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেই সময়ে বাংলাদেশ থেকে ডাকাত দল ডাকাতি করতে আসত পানিতর গ্রামে। তখন এলাকাবাসীর দাবি মেনে পানিতর গ্রামে চালু হয়েছিল পুলিস ফাঁড়ি। এর ফলে উপকৃত হত পানিতর, ইটিন্ডা, ঘোজাডাঙা, নাকুয়াদহ সহ দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ।

জানা গেছে, পানিতর গ্রামে দেবপ্রসাদ বিশ্বাসের বাড়িতে চালু হয়েছিল এই পুলিস ফাঁড়ি।  কিন্তু বর্তমানে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই পুলিস ফাঁড়ি তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসী। এই এলাকায় ইটিন্ডা পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েত ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম আখারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে লক্ষাধিক মানুষের বাস। একটি পুলিস ফাঁড়ি, সেটাও বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ জানাতে গেলে কয়েক কিলোমিটার দূরে বসিরহাট থানায় আসতে হয়।

এলাকাবাসীর দাবি, সীমান্তবর্তী এইসব এলাকা সন্ধ্যার পরে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়। গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ফের পুলিস ফাঁড়ি চালুর দাবি এলাকাবাসীর। তবে ১৩ বছর ধরে বন্ধ থাকা পুলিস ফাঁড়ি চত্বর পরিস্কার রাখার কাজ করেন ডলি মণ্ডল। তিনি জানান, বছর দুয়েক ধরে বন্ধ এই পুলিস ফাঁড়ি। ফাঁড়ি বন্ধ থাকায় এলাকা নিরাপদ নয় বলে তার দাবি।

উল্লেখ্য এই পানিতর গ্রাম কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত। এখন তালাবন্দি পুলিস ফাঁড়ি কবে ফের চালু হবে, সেদিকে তাকিয়ে দিন গুনছে এলাকাবাসীরা।

2 years ago
Beaten death পাঁচিল দেওয়া নিয়ে দাদা-ভাইয়ের বচসা, কোদালের আঘাতে মৃত্যু

পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা। সাত সকালেই দাদাকে পিটিয়ে মারল ভাই। এমনই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার কারনদিয়া গ্রামে। বছর ৫৫-র ভগীরথ সর্দার ও তাঁর ভাই বছর ৫০ এর কৃষ্ণপদ সর্দার। বেশ কিছুদিন ধরে ভগীরথ জমিতে পাঁচিল দিচ্ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। দীর্ঘদিন ধরে ভাই কৃষ্ণপদ দাদাকে পাঁচিল দিতে বারণ করছিলেন। এই নিয়ে একাধিকবার দাদা-ভাইয়ের মধ‍্যে বচসাও বাধে। সোমবার সকালে সেই সমস্যা চরমে পৌঁছয়।

ভাইয়ের কথা দাদা না শোনায় সেই সময় পিছন দিক থেকে এসে ভাই দাদার মাথায় কোদাল দিয়ে মারেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই ভগীরথের মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে ভাই কৃষ্ণপদকে ধরে ফেলে। তারপর তাকে আটক করে রেখে মারধর করে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে।

এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাসনাবাদ থানার পুলিস। ভাই কৃষ্ণপদ সর্দার সহ মোট ৪ জনকে আটক করে পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রশ্ন উঠছে, শুধুই কি পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা? না অন্য কোনও দীর্ঘদিনের পুরনো শত্রুতার জের? সবটাই তদন্ত করে দেখছে হাসনাবাদ থানার পুলিস।

2 years ago
ghost : ভৌতিক কান্ড বসিরহাট নার্সিংহোমে, আতঙ্কে ছাত্রীরা

সারা বিশ্বজুড়ে থাবা বসিয়েছে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন। সেই আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। বসিরহাটে সেই ছবির অন্যথা না হলেও এক নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কী সেই আতঙ্ক?

বসিরহাট জেলা হাসপাতাল চত্বরে মহিলাদের জি.এন.এম. নার্সিং ট্রেনিং স্কুল। সেখানকার ছাত্রীরা জানাচ্ছেন, রাত হলেই একাধিক অদ্ভুতুড়ে আওয়াজ আসছে ক্যাম্পাস জুড়ে। বিশেষ করে নার্সিং কলেজের হোস্টেল থেকে বেশি আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। কখনও কারোর পায়ে হেঁটে যাওয়ার শব্দ। কখনও বা কোনও ভারী জিনিস দিয়ে ছাদে আঘাত হানার শব্দ। সেই শব্দে নাজেহাল হচ্ছে নার্সিং কলেজের ছাত্রীরা।

শুধুমাত্র রাতেই নয়। এই আওয়াজ মাঝে মধ্যে নাকি দিনের বেলাতেও শুনতে পাচ্ছেন ছাত্রীরা। বিশেষ করে আবাসিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীরা ছাদের থেকে এই ধরনের আওয়াজ পেয়ে যথেষ্টই ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু এই অদ্ভুতুড়ে ভৌতিক আওয়াজের উৎস ঠিক কী? সেটা এখনও অজানা।

ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব অভিভাবকরা। এক ছাত্রীর অভিভাবক বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল ইসলাম গায়েনকে বিষয়টি সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর বসিরহাট জেলা হাসপাতালের সুপারকে তিনি ব্যাপারটি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও জি.এন.এম. নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের প্রিন্সিপাল প্রীতিকণা সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন।

পাশাপাশি তিনি বসিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে বসিরহাট থানার পুলিস এসে রাতে বেশ কয়েক বার ওই কলেজ চত্বরে তল্লাশি চালালেও সেখানে সন্দেহজনক কিছু না মেলায় এখনো পর্যন্ত এই আওয়াজের উৎসের কিনারা করতে পারেনি।

সামনেই ওই ছাত্রীদের সেমেস্টারের পরীক্ষা রয়েছে কিন্তু এই আওয়াজে তাঁদের পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে। কারণ তাঁরা পড়াশোনায় ঠিকঠাক ভাবে মনসংযোগ করতে পারছেন না। নিদ্রাহীনতায় কাটছে রাত। সারাক্ষণ তাঁরা ভাবছে কীসের আওয়াজ?

অবিলম্বে তাঁরা চাইছেন এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক। নয়তো ওই হোস্টেলে আবাসিক হিসেবে থাকা এক প্রকার সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে এই আওয়াজের পিছনে কী কোন ভৌতিক যোগ? নাকি কোন অশরীরির ছায়া? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন রহস্য?

একদিকে করোনার আতঙ্ক অন্যদিকে নার্সিং কলেজের এই নতুন আতঙ্কের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের চত্বরের নার্সিং ছাত্রী থেকে শুরু করে নার্স, শিক্ষিকা, ডাক্তার ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের মধ্যে।

2 years ago


circus করোনা কাঁটা সার্কাসে, বিপন্ন জীবিকা

দীর্ঘ দুই বছর পর অতিমারী পরিস্থিতির হতাশা কাটিয়ে নতুন করে সার্কাসের আসর বসেছিল বসিরহাটে। কিন্তু সার্কাস বসার দুদিনের মাথাতেই করোনা নিয়ে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করল রাজ্য সরকার। নতুন নির্দেশিকায় বিপন্ন সার্কাস শিল্প। কারণ নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে কোনও জমায়েতে ৫০% দর্শক ঢোকার অনুমতি রয়েছে।

কিন্তু বাস্তবে কী তা হচ্ছে? এই ধরনের সার্কাস গুলিতে আদৌ কি ৫০% দর্শক ঢুকছে? নাকি তা শুধুই প্রহসন? তবে সার্কাস তাঁবুর মধ‍্যে ঢুকলে দেখা যাচ্ছে দর্শক কিছুটা কম। কিন্তু অনেক দর্শকেরই মুখে মাস্ক নেই। যা যথেষ্টই আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠতে পারে শহর বসিরহাটের জন‍্য।

বসিরহাট পৌরসভার ১৮নং ওয়ার্ডের ভ্যাবলায় স‍্যার আর.এন. মুখার্জি হাই স্কুলের মাঠে একটি সংস্থা সার্কাসের আসর বসিয়েছে। শুধুমাত্র বসিরহাট শহর নয় পার্শ্ববর্তী শহর টাকি-হাসনাবাদ সহ একাধিক গ্রাম ও সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের বহু দর্শক এই সার্কাসে অংশগ্রহণ করতে ভিড় জমাচ্ছেন হাই স্কুল মাঠে। সেখানে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা কী আদৌ পালন হচ্ছে? যদিও সার্কাসের ম্যানেজার থেকে শুরু করে শিল্পীরা নতুন নির্দেশিকা পাওয়ায় হতাশার মধ্যে ভুগছেন।

সার্কাসের ম‍্যানেজার সঞ্জীব ঘোষ জানান, দীর্ঘ দু'বছর ধরে করোনা মহামারীর জেরে তাঁদের এই সার্কাস শিল্প বন্ধ ছিল। বাধ্য হয়ে তাঁদেরকে অন্য কাজে এমনকি বিকল্প পেশা বেছে নিতে হয়েছিল। নতুন করে সার্কাস চালু হওয়ায় তাঁদের মনে অনেক আশা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এই নির্দেশিকা তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

সার্কাস শিল্পী অনিমেষ খাটুয়া জানাচ্ছেন যদি এরকমভাবে চলতে থাকে তাহলে তাঁদের বেঁচে থাকায় দুষ্কর হয়ে যাবে। বাধ্য হয়েই তাঁদের আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে একাধিক নামী সার্কাস তাদের ব্য়বসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু সবে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল জনজীবন। আশার আলো দেখেছিলেন এখানকার জোকার, জিমন্যাস্ট ও ট্র‍্যাপিজের খেলা দেখানোর একাধিক শিল্পীরা। কিন্তু নতুন নির্দেশিকায় তাঁদেরও মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে। ওমিক্রন ও করোনা বাড়লে সম্পূর্ণ লকডাউন হয়ে গেলে কীভাবে তাঁরা তাঁদের জীবন-জীবিকা চালিয়ে যাবেন সেই নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে সার্কাসের কলা কুশলীদের।

2 years ago
gold racket: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সক্রিয় সোনা পাচার চক্র, গ্রেফতার ১

সীমান্তে বিএসএফের কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও ফের সক্রিয় সোনা পাচার। ঘটনার কেন্দ্রস্থল এবার বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশের গাবরডাহ সীমান্ত। 

জানা যায়, বিএসএফের ১৫৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সীমান্তে বুধবার টহলরত থাকার সময় সন্দেহজনক অবস্থায় এক ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখে। এরপরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তল্লাশির পর তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮১১ টাকা মূল্যের দুটি সোনার বিস্কুট। যার ওজন ২৩২.৫১ গ্রাম। 


আরও খবর, ধৃতের নাম শ্যামসুন্দর অধিকারী। ওই ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী সরফরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি মোবাইল ফোন, একটি ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড এবং ১২০০ টাকার নগদ ভারতীয় মুদ্রা সহ একটি পুরোনো সাইকেল। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, ভাদুড়িয়ার বাসিন্দা চন্দন দফাদার ও বলাই মণ্ডলের মদতে এই সোনাগুলো সে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করিয়েছে। পাশাপাশি শায়েস্তানগরের বাসিন্দা হাফিজুল দফাদারকে সোনার বিস্কুটগুলি হস্তান্তর করার কথা ছিল তার। কিন্তু তার সেই পরিকল্পনাকে ভেস্তে দিল বিএসএফ। 

উদ্ধার হওয়া সামগ্রীগুলি ইতিমধ্যেই তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।  ধৃত সোনা পাচারকারীকে স্বরূপনগর পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বুধবারই ধৃতকে বসিরহাট মহকুমার তোলা হয় ।

2 years ago


setu broken ভেঙে পড়ে রয়েছে সেতু, বিপাকে ২০ হাজার সীমান্তবাসী

এক দু বছর নয়, গত পাঁচ বছর ধরে কাঠের সেতু ভেঙে পড়ে রয়েছে। সেতু মেরামত করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ সীমান্তপারের মানুষদের। এর জেরে তীব্র নাকাল হতে হচ্ছে সীমান্তের মানুষদের। বসিরহাট মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপনগর ব্লকের চারঘাট ও তেঁপুল-মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সংযোগস্থলে যমুনা নদীর উপরে একটি কাঠের ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় তিরিশ বছর আগে। কিন্তু বিগত ৫ বছর আগে সেই কাঠের সেতু হঠাৎ করে ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে তা আর মেরামত করা হয় না। যার জেরে বিপাকে পড়েছেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার কুড়ি হাজার মানুষ।

একদিকে চারঘাট পঞ্চায়েত অন্যদিকে সগুনা ও তেঁপুল-মির্জাপুর পঞ্চায়েত। এই তিন থেকে চারটি পঞ্চায়েতের অধীনে ছোট মির্জাপুর,লবনগোলা, কপিলেশ্বরপুর অন্যদিকে ভূমিতলা ও চারঘাট বাজার সহ বিস্তীর্ণ এলাকার ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অসুস্থ রোগীদের নিয়ে যেতে যথেষ্টই বিপাকে পড়ছে স্থানীয় মানুষজন। স্বরূপনগর থানার একটি ফাঁড়ি রয়েছে চারঘাটে। পাশাপাশি রয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সমগ্র স্বরূপনগর ব্লকটি কৃষি প্রধান ব্লক হওয়ায় এখানকার সবজি বসিরহাট, বারাসাত সহ রাজ‍্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায়। আর এই ব্রিজ ভাঙার ফলে তাদের বাধ্য হয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে নিকটবর্তী বাজারে যেতে হচ্ছে। যার জেরে বিপাকে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। নিকটবর্তী সেই চারঘাটে রয়েছে বড় বাজার সহ একাধিক দফতর।

পাশাপাশি গ্রামের মানুষ এটাও দাবি করেন, নিকটবর্তী শ্মশান রয়েছে ওই চারঘাট এলাকায়। কিন্তু সৎকার করতে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃতদেহ নৌকায় পার করা যথেষ্টই সমস্যার হয়ে পড়ে। তাই বলাই বাহুল্য এই ব্রিজের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে এই এলাকার মানুষদের ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে হচ্ছে। যা যথেষ্টই ঝক্কির হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ব্রিজটি উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের অধীনস্থ। তাই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ইচ্ছে থাকলেও কাজ করার উপায় হচ্ছে না। যদিও চারঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাসন্তী বিশ্বাস জেলা পরিষদ সহ জেলাশাসক ও সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিককে বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কবে এই সেতু ফের সংস্কার হয়ে মানুষের চলাচলের যোগ‍্য হবে, তার অপেক্ষায় দিন গুনছেন সীমান্তের হাজার হাজার মানুষ।

2 years ago
library বন্ধ বিভূতিভূষণের স্মৃতিবিজড়িত গ্রন্থাগার

বই পড়ার অভ্য়েস নাকি কমে গেছে এখন। নেটাগরিকরা নাকি ব্য়স্ত এখন মুঠোফোনের নেট মোহে। তাই সময় নেই বইয়ের পাতা উল্টানোর। এখন তো বইও ফোনে পড়া যায়। কিন্তু সেই মজা পাওয়া যায় কি ? কিন্তু বইপ্রেমীরা জানেন নতুন বইয়ের পাতার গন্ধে কি মাদকতা। আর একসঙ্গে অনেক বইয়ের সম্ভার মেলে গ্রন্থাগারে।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পানিতর গ্রাম। কোনও এক সময় এই গ্রামেই জীবনের অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছেন সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তিনি বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এই গ্রামেরই গৌরী দেবীর সঙ্গে। বলা যেতে পারে কথা সাহিত্যিকের উদ্যোগেই বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১নং ব্লকের ইটিন্ডা পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘূণীর ঘরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বঙ্গীয় গ্রামীণ পাঠাগার।

সেই সময় তৎকালীন পূর্ব বঙ্গের থেকেও বহু পাঠক এই পাঠাগারে ভিড় জমাতেন। কিন্তু দেশভাগের পরে তা ইতিহাসে পরিণত হয়। তাঁর মৃত্যুর পর কিছুকাল কেটে গেলে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার দায়িত্ব নেয় ওই লাইব্রেরির। ১৯৭৮ সালে বিভূতিভূষণ গ্রামীণ পাঠাগার নামে আত্মপ্রকাশ করার পর, সেই পাঠাগারে মানুষের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘদিন ধরে স্বমহিমায় সেই পাঠাগার তার অস্তিত্ব বজায় রাখলেও বর্তমানে সেই লাইব্রেরি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। কারণ এই পাঠাগারের যিনি গ্রন্থাগারিক ছিলেন তিনি অবসর নিয়েছেন। তারপর থেকেই লাইব্রেরি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।

যার জন্য বিপাকে স্থানীয় পাঠক থেকে শুরু করে সীমান্ত এলাকার ছাত্র-ছাত্রী সহ এলাকার বইপ্রেমী মানুষ। যদিও বর্তমানে মোবাইলের দৌলতে লাইব্রেরির ভূমিকা অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কথা সাহিত্যিকের স্মৃতি বিজড়িত এই লাইব্রেরিতে বসে বই পড়ার নস্টালজিয়া সীমান্তের গ্রামের মানুষের কাছে ছিল এক অনন্য পাওনা। যা থেকে বঞ্চিত হয়ে তাদের মন যথেষ্টই খারাপ।

ইটিন্ডা পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মালেকা বিবি জানান,তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। আদৌ কবে সমস্যার সমাধান হবে তার অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পানিতর গ্রামের মানুষ।

এক বইপ্রেমী শান্তনু সরকার  বলেন, লাইব্রেরিটা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। লাইব্রেরিটা খুললে খুব ভালো হয়। সকলে এলে পড়তেও পারে। সরকারের কাছে তিনি একান্ত অনুরোধ করেন যেন গ্রন্থাগারটা খুলে দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সরকারি লাইব্রেরিগুলোকে নতুন মোড়কে আনার পরিকল্পনা নিয়েছেন। কিন্তু সীমান্তের এই লাইব্রেরি বন্ধ হওয়া খুবই দুঃখের সংবাদ বলে মনে করছেন বই প্রেমী মানুষ।

ইটিন্ডা পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মালেকা বিবি জানান, তাঁরা ব্যাপারটা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। আদৌ কবে সমস্যার সমাধান হবে তার অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পানিতর গ্রামের মানুষ।

2 years ago
Police Station এলাকাবাসীর দাবি মেনে নতুন পুলিস ফাঁড়ি বসিরহাটে

বসিরহাট মহকুমার অনন্তপুরে স্টেশন লাগোয়া একটি পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধন হল সোমবার। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারকে কাজে লাগিয়ে একদিকে যেমন চলন্ত ট্রেনে ছিনতাই করত, তেমনই চলত রাহাজানি। সমাজবিরোধীরা এই কাজ করে এলাকা থেকে চলে যেত। ফলে সমস্যায় পড়তেন স্থানীয়রা।

এই সমস্যায় অভিযোগ জমা পড়ত বসিরহাট থানায়। যা ওই সমস্ত এলাকা থেকে দূরে হওয়ায় কিনারা করতে অনেকটাই সময় লেগে যেত। একদিকে রেল পুলিস, অন্যদিকে বসিরহাট থানার পুলিস। তবুও সমস্যায় সাধারণ মানুষ। এবার অনন্তপুর, নিমদাঁড়িয়া, মধ্যমপুর স্টেশন লাগোয়া অনন্তপুর এলাকায় তৈরি হল একটি পুলিস ফাঁড়ি। তারই শুভ উদ্বোধন হয় সোমবার দুপুরে। ফিতে কেটে শুভ উদ্বোধন করেন বসিরহাট জেলার পুলিস সুপার জবি থমাসকে, অতিরিক্ত পুলিস সুপার গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট থানার আইসি সুরিন্দর সিং, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শাহানুর মণ্ডল, বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় সহ পুলিস আধিকারিকরা।

এখানে দিবারাত্র সাধারণ ট্রেনযাত্রীরা যেমন পরিষেবা পাবেন, অন্যদিকে এলাকাবাসীরা পাবেন সঠিক সুরক্ষা। সোমবার এই শুভদিনে পুলিস-প্রশাসন একদিকে যেমন করোনা সচেতনতার বার্তা দেয়, অন্যদিকে মাস্ক-স্যানিটাইজার বিতরণও করে। এরই পাশাপাশি মাইকিং করা হয়, আংশিক লকডাউন যাতে সকলেই যাতে মেনে চলে। "নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যকে সুস্থ রাখুন" সাধারণ মানুষকে তাঁরা বার্তা দেন।

বছরের প্রথমেই এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ।

2 years ago


Bsf বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধিতে খুশি সীমান্তের বাসিন্দারা

সম্প্রতি বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কেন্দ্র। নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার নয়, আরও ৫০ কিমি পর্যন্ত ভিতরে যেতে পারবে বিএসএফ। তল্লাশি সহ একাধিক পদক্ষেপও নিতে পারবে বাহিনী। পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। আর তা নিয়ে তরজা শুরু। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত। ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত এই সিদ্ধান্ত বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন। এমনকী বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ পঞ্জাব সরকারের।

বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া, বসিরহাট, টাকি-হাসনাবাদ ও হিঙ্গলগঞ্জ সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমানা। পরিমাপ করলে দেখা যায় মোট ১৯২ কিলোমিটার সীমানা রয়েছে বসিরহাট মহকুমার সঙ্গে বাংলাদেশের। বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ, স্বরূপনগরের হাকিমপুর, বিথারী ও কৈজুরী, বাদুড়িয়ার শায়েস্তানগরসহ সীমান্তবর্তী এলাকা। এইসব এলাকায় চলছে বিএসএফের টহলদারি।

কিন্তু বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধিতে সত্যিই কি উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ? কী বলছেন তাঁরা? খোঁজ নিল সিএন পোর্টাল। বসিরহাট ১ নং ব্লকের ঘোজাডাঙা, পানিতর ও উত্তরপাড়ার মতো একাধিক এলাকার সীমান্তবর্তী মানুষরা বলছেন, নিরাপত্তার খাতিরে বিএসএফের এই ভূমিকা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁরা জানালেন, বিএসএফের নজরদারি বৃদ্ধির ফলে এখন আর গরু পাচার, বাইক পাচার হয় না। তিন টাইমে এরা টহল দেয়। ফলে রাতের ঘুম শান্তিতে হয়।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর আগেই রাজস্থানে ৫০ কিলোমিটার ও গুজরাতে ৮০ কিলোমিটার এক্তিয়ার বাড়ানো হয়েছে বিএসএফের। সীমান্তে বিএসএফের প্রহরার জন্য এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর চলতে থাকুক। সাধারণ খেটেখাওয়া প্রান্তিক মানুষ তা বোঝেন না। দিনের শেষে ঘরে ফিরে তাঁরা চান স্বস্তির ঘুম। পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে ওই বিভীষিকাময় দিন আর তাঁরা চান না। তাঁদের একটাই চাওয়া, এলাকা শান্তিপূর্ণ থাকুক। 

2 years ago
Extra Marital বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক, স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ

স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা তিনি জেনে ফেলে ডিভোর্স চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজি হয়নি স্বামী ও তার পরিবার। অবশেষে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা। শ্বশুরবাড়িতে নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হল ওই গূহবধূর মৃতদেহ। আর একে ঘিরেই উঠল প্রশ্ন, এটি কি আত্মহত্যা, নাকি খুন? অন্তত ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ি থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাঁকে খুন করা হয়েছে এবং এতে জড়িত তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বাংলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের হঠাৎগঞ্জ গ্রামের ঘটনা। বছর ৩২ এর প্রীতিলতা হালদার, স্বামী প্রলয় হালদার বিএসএফে কর্মরত। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে প্রতিবেশী এক গৃহবধূর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। বেশ কয়েকবার স্বামীর মোবাইলে ওই মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মূহুর্তের ছবি দেখে ফেলেন গৃহবধূ। এই নিয়ে একাধিকবার স্ত্রী ও স্বামীর মধ্যে ঝামেলা হয়। সালিশি সভা হলেও আদৌ কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি।

এক বছর আগে প্রীতিলতা বসিরহাট মহকুমা আদালতে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়ে মামলা করেছিলেন। কিন্তু ডিভোর্স দিতে নারাজ স্বামী ও তার পরিবার। পরবর্তী সময় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। যার ফলে শেষ পরিণতি হল মৃত্যু। এদিন শ্বশুরবাড়িতে নিজের ঘর থেকে ওই বধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যা না খুন? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মৃত গৃহবধূর বাবা প্রভাত পাত্র বলেন, "গত দু বছর ধরে এই গণ্ডগোল চলছে‌। আমার জামাইয়ের সঙ্গে এক মহিলার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। সেই নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত।

মৃতার বোন জানান, দিদি তাঁকে রাতে ফোন করে হ্যাপি নিউ ইয়ার জানিয়েছিল। পরের দিন আসবে বলেও জানিয়েছিল। তখন তার মধ্য়ে কোনও অস্বাভাবিকতা তিনি দেখেননি। তারপরই সকালে তাঁর বাবা ফোন করে মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানায়।

পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে স্বামী সহ পরিবারের সদস্যরা তাকে মেরে ফেলেছে।" এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ আটক ও গ্রেপ্তার হয়নি।

2 years ago


Football নববর্ষের প্রাক্কালে সীমান্তের গ্রামে মহিলা ফুটবলের আসর

বর্তমান সময়ে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে চলেছেন মহিলারা। সে বিজ্ঞান হোক বা রাজনীতি, খেলা থেকে শুরু করে সাংবাদিকতা, সমস্ত ক্ষেত্রে মহিলারা নিজেদের অবস্থানকে তুলে ধরছেন। মেয়েরা কোনও অংশে কম নয়। ঘরে-বাইরে তাঁরা যে দশভুজা, তা সবসময় প্রমাণিত হয়ে আসছে। কুস্তি থেকে শুরু করে বক্সিং রিং-এও প্রবেশ করেছেন মেয়েরা।

কোনও এক সময় মনে করা হত, ফুটবলটা শুধুমাত্র পুরুষদের খেলা। কিন্তু বিশ্বজুড়ে তাকালে দেখা যাবে, একাধিক জায়গায় মহিলারাও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফুটবল মাঠে। তারই এক প্রতিচ্ছবি উঠে এল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গ্রামে। বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১ নং ব্লকের অনন্তপুর গ্রামে মহিলাদের ফুটবল ম্যাচ সেই ধারাকে অব্যাহত রাখল। নারীশক্তি উদ্ভাবনীতে নতুন পালক মহিলাদের ফুটবল ম্যাচ।

সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায়ই দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন সময় মহিলাদের বাল্যবিবাহ হচ্ছে।  কখনও বা তারা পাচার হয়ে যাচ্ছে। সেই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে মাঠে নামল সকিনা, রিয়া ও আমিনারা। অনন্তপুরে এই মহিলা ফুটবল আগামী প্রজন্মের তরুণ মহিলাদের আরও উৎসাহ জোগাবে, এমনটাই মনে করেন সেখানে খেলতে আসা মহিলা ফুটবলাররা।

সীমান্ত থেকে সুন্দরবন, সর্বত্রই মহিলা ফুটবল ম‍্যাচ আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে। এই মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টে মহিলা ফুটবলারদের উৎসাহিত করতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বসিরহাট এক নম্বর ব্লক সভাপতি নজরুল হক, সহ-সভাপতি চন্দ্রনাথ সিনহা ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের বসিরহাট এক নম্বর ব্লক সভাপতি শারিফুল মণ্ডল সহ একাধিক ফুটবল অনুরাগী মানুষ। একদিকে তাঁরা যেমন নিজে মাঠে নেমে গোল করে মহিলা ফুটবলারদের উৎসাহিত করলেন, পাশাপাশি জানালেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড আগামী দিনে আরও চলবে।

ওই মহিলা ফুটবলারদের মধ্যে রেহেনা খাতুন নামে একজন বলেন,  যদি একটি মহিলা দেশ সামলাতে পারে, রাজ্য সামলাতে পারে, মেয়েরা সব পারে। মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে না দিয়ে ওঁদের জীবনে দাঁড়াতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে। আর খেলাতেও বা কেন পিছিয়ে থাকবে? মেয়েদের মাঠে নামতে হবে বলেই তিনি মনে করেন।

বসিরহাট যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শরিফুল মণ্ডল বলেন, আগামী নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন প্রোগ্রামের মধ্যে এটি অন্যতম। মুখ্যমন্ত্রী মেয়েদের এগিয়ে আসার বার্তা দিচ্ছেন। সেইমতো মহিলাদের ফুটবল ম্যাচ দিয়েই এই খেলার শুভ উদ্বোধন করছেন বলে তিনি জানালেন।

বসিরহাট এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নজরুল হক বলেন, নতুন বছরে আরও সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মেয়েরা এগিয়ে আসুক, এই বার্তা দিতেই এই আয়োজন। এই উদ্যোগ খুবই ভালো, প্রশংসনীয়।

এই খেলা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই।

2 years ago
Suicide: বসিরহাটে শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার নতুন বাজার এলাকার ঘটনা। বছর ৪২-এর হারান মণ্ডল, পেশায় শ্রমিক। তাঁর বাড়ি হাসনাবাদ থানার আবাদ মোহনপুর গ্রামে। নতুন বাজার সংলগ্ন স্থানে শ্রমিকের কাজ করছিলেন তিনি। বাজার সংলগ্ন একটি নির্জন স্থানে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান অন্যান্য শ্রমিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে।

উল্লেখ্য, ঘটনার দিন তাঁর মোবাইলে ফোন করেন অন্য এক শ্রমিক। বেশ কয়েকবার ফোন করেও তাঁকে ফোনে না পেয়ে খোঁজ করতে থাকে তাঁর পরিবার। তারপর কিছু সময়ের জন্য তাঁর খোঁজ পাওয়া যায় না। খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে হারানের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিসকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় হাসনাবাদ থানার পুলিস।  মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

এক সহকর্মী জানান, কাজের দরকারে হারানকে ফোন করেছিলেন তিনি। ফোন না ধরায় তাঁর সন্দেহ হয়। তারপর একজন এসে তাঁকে খবর দেয় হারান আত্মহত্যা করেছে। তিনি ওই এলাকায় গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় হারানকে দেখেন।

কী কারণে মৃত্যু, তদন্ত শুরু করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিস। পারিবারিক অশান্তির কারণে মৃত্যু, নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে শুরু থোঁজখবর। ইতিমধ্যে তাঁর মোবাইল উদ্ধার করে পুলিস। তার ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

2 years ago
Mobile: মোবাইল নিয়ে দম্পতির বচসা, আত্মঘাতী স্ত্রী

একটা মোবাইল ফোন কেড়ে নিল একটা প্রাণ। মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্য। নতুন মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বচসা ও গণ্ডগোলের পর স্ত্রীর মৃত্যু, গ্রেফতার স্বামী। বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার ঢোলটুকারি গ্রামের ঘটনা।

 স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর চারেক আগে বাদুড়িয়া থানার নাগরপুর গ্রামের রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে হাসনাবাদ থানার আমলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোলটুকারি পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা হাফিজুল মণ্ডলের বিয়ে হয়। আফিজুল মণ্ডল পেশায় কৃষক। সেই সময় সাধ্য মতো মোটরবাইক, আসবাবপত্র, সোনার গয়না ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছিল বধূর পরিবারের পক্ষ থেকে। 

মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্বামী হাফিজুলের চাহিদা ক্রমশ বাড়তে থাকে। বারবার টাকাপয়সার দাবি করে হাফিজুল। কিন্তু মৃতা বধূর বাপের বাড়ি অবস্থাপন্ন ছিল না। ফলে টাকার যোগান দিতে পারত না মৃতার বাপের বাড়ির পরিবার। টাকাপয়সা না মেলায় একাধিকবার বচসা, গণ্ডগোল, ঝামেলার পর সালিশি সভা বসলেও সমাধানসূত্র মেলেনি। অভিযোগ, ক্রমেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বেড়ে চলে। অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে এক ও আড়াই বছরের দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসত ওই বধূ। সম্প্রতি নতুন একটি মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে গণ্ডগোল, বচসা ও মারধর হয়। শুক্রবার রাতে পুরো বিষয়টা বধূ বাপের বাড়ির লোকজনদের জানায়। তারপর হঠাৎই বাপের বাড়ির লোকজন জানতে পারে, শনিবার সকালে তাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। 

অভিযোগ, ঘটনাটি বারবার জানতে চাওয়া হলেও পুরো বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করে বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃত বধূর মা আলেয়া বিবি তার জামাই হাফিজুল, মেয়ের শাশুড়ি ফজিলা সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ করেন। তার মেয়েকে পরিকল্পনা করে শ্বাসরোধ করে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানান তাঁরা। 

দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যা না খুন? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

2 years ago


honesty: সততার নজির গড়লেন টোটো চালক, ফেরালেন গয়নাসহ টাকার ব্যাগ

কে বলে হারিয়েছে মানবিকতা? গাড়িতে ফেলে যাওয়া সোনার গহনা, অর্থ সমস্ত কিছু ফিরিয়ে দিয়ে মানবিকতার নজির গড়লেন এক টোটো চালক। জানা গেছে, বসিরহাটের মাটিয়া থানার চাঁপাপুকুর থেকে বছর ৩৫ শের রিম্পা মণ্ডল তাঁর ছোট শিশুকে নিয়ে বসিরহাটে যাচ্ছিলেন। টোটো চেপে তিনি আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন।  গন্তব্যস্থল আসার পর তিনি নেমে যান। তবে তিনি ফেলে যান তাঁর পার্স। এরপরই তা নজরে আসে ওই টোটো চালকের।

তিনি পার্সটিকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বসিরহাট টাউন টোটো ই রিক্সা সংগঠনের সভাপতি ভাস্কর মিত্রের কাছে জমা দেন। এরপ‍র তাঁদের যৌথ উদ্যোগে বসিরহাট থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় পার্সটিকে। ওই যাত্রীর নাম ঠিকানা খুঁজে বার করে বসিরহাট থানার পুলিস। খোঁজ পাওয়ার পর ওই যাত্রীর কাছ থেকে উপযুক্ত নথিপত্র নেওয়া হয়। এরপরই শুক্রবার ফেলে যাওয়া পার্সটিকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। পার্সটি তুলে দেন বসিরহাট থানার আইসি সুরিন্দর সিং সহ টোটো চালক সুজিত ভট্টাচার্য ও সংগঠনের সভাপতি ভাস্কর মিত্র।

পরে পার্সটি খুলে দেখা যায়, তার মধ্যে প্রচুর সোনার গয়না ছিল। যার বাজার মূল্য প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। সঙ্গে ছিল নগদ অর্থও।

ওই যাত্রী রিম্পা মণ্ডল জানান, তিনি এক আত্মীয়র বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পরিবারের একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সোনার গয়না থাকায় তিনি তা ব্যাগের মধ্যে করেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে বেশ কিছু পরিমানে নগদ অর্থ। তবে অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েই তিনি দেখতে পান পার্সটি নেই। অনেক খোঁজাখুজির পরও পায়নি পার্সটিকে। তাঁর সোনার গহনা অর্থ ফিরে পেয়ে রীতিমতো ধন্যবাদ জানান টোটো চালক ও টোটো ইউনিয়ন সহ বসিরহাট থানার পুলিস আধিকারিকদের।

বসিরহাট থানার আইসি সুরিন্দর সিং জানান, ওই যাত্রীর পার্সটি উদ্ধার করেই টোটো চালক সততার নজির সৃষ্টি করেন। টোটো চালক ও টোটো ইউনিয়নের সহযোগিতায় তাঁরা এই কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন।

2 years ago
Bsf: সীমান্তে বাইকের চাকায় লুকানো ১০ কেজি রুপোর বল

ফের আন্তর্জাতিক পাচারের চেষ্টা রুখে দিল বিএসএফ। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তের ঘটনা। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে টহলের সময় সীমান্তের দিকে যাওয়া এক বাইক আরোহীকে সন্দেহের বশে জিজ্ঞাসাবাদের জন‍্য আটক করেন বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়ানের জওয়ানরা। কথায় অসঙ্গতি পাওয়ায় তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ বিএসএফের। ওই বাইক আরোহীর বাইকের চাকা থেকে উদ্ধার হল ১০ কিলো ৯৫০ গ্রাম রুপোর বল। 

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর বাজারদর ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ২৫২ টাকা। এগুলি এদেশ থেকে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান বিএসএফের। ধৃতের নাম মোজাফ্ফর দফাদার, বাড়ি পার্শ্ববর্তী দহরকন্দা গ্রামে। উদ্ধার হওয়া রুপোর গয়না ও বাইক তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ওই পাচারকারীকে স্বরূপনগর থানার পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। ধৃত পাচারকারীকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।

ধৃত মোজাফ্ফর দফাদার স্বীকার করে নেয়, তার কাছে আনুমানিক ১০ কিলো রুপো ছিল। কর্মরত ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়ানের জওয়ানরা তাকে আটক করে। তার একটি মোটর সাইকেল ছিল। যেটি নিয়ে নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগে এই বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে প্রায় এক কোটি টাকার সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছিল সীমান্তে কর্মরত বিএসএফ জওয়ানরা। গ্রেফতার করা হয়েছিল পাচারকারীকে। বেশ কয়েকমাস ধরে বসিরহাট সীমান্ত ও স্বরূপনগর এলাকায় পাচারকারীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। 

2 years ago