
অক্সিজেনের অভাবে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর (Patient) মৃত্যু (Death), গুরুতর অভিযোগ উঠল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ক্ষোভে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন রোগীর পরিজনরা। মঙ্গলবার, রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই রোগীর নাম, অঞ্জলী চৌধুরী (৭২)। বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের সাঁইতাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এই মৃত্য়ুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছিলেন মৃত ওই রোগী অঞ্জলী চৌধুরী। মঙ্গলবার, রাত ২ টো নাগাদ শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। রোগীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বুঝতে পেরে অক্সিজেন দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, একের পর এক অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে চালানো হলেও সিলিন্ডার গুলিতে কোনও অক্সিজেন ছিল না। রোগীর পরিজনদের দাবি, শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে অক্সিজেনের অভাবেই মারা যান ওই রোগী।
এরপর বুধবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলাতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রোগীর পরিজনরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কোতুলপুর থানার পুলিস। হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গাড়ি চুরি যাওয়ার ঘটনায় এবার বড়সড় সাফল্য পেল রাধানগর ফাঁড়ির পুলিস। বাড়ির গ্য়ারেজ থেকে চুরি (Theft) হল একটি গাড়ি (Car)। এই চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে তিন অভিযুক্ত। শুক্রবার, গভীর রাতে বাঁকুড়ার রাধানগর গ্রামের আরোগ্যপল্লীর বাসিন্দা সুকান্ত হালদারের একটি মারুতি ভ্যান চুরি হয়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, চুরির ঘটনায় যুক্ত ওই তিন অভিযুক্তই নাবালক।
গাড়ির মালিক জানিয়েছেন, শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান তাঁর গাড়ির গ্য়ারেজ থেকে একটি গাড়ি উধাও। তড়িঘড়ি তিনি দ্বারস্থ হন রাধানগর ফাঁড়িতে। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে রাধানগর ফাঁড়ির পুলিস। প্রকাশ্যে আসে গাড়ি চুরি যাওয়ার মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও।
পুলিস সূত্রে খবর, চোরের দলটি ওই গাড়িটি নিয়ে জঙ্গলের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় তাদের পিছনে ধাওয়া করে রাধানগর ফাঁড়ির ইনচার্জ মনোরঞ্জন নাগ ও তাঁর টিম। গাড়িটির পিছনে ধাওয়া করে পুলিস প্রায় দু'কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে চলে যায়। এরপর চোরের দল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে একটি গাছে। সেখানেই গাড়িটি রেখে ওই তিন চোর পুলিসের ভয়ে ছুটতে শুরু করে জঙ্গলের দিকে।
প্রায় দু'কিলোমিটার জঙ্গলের পথ ধরে চোরের পিছু নেওয়ার পর ধানের জমির ওপর দিয়ে ছুটে গিয়ে প্রথমে একজন চোরকে পাকড়াও করে রাধানগর ফাঁড়ির পুলিস। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই আরও দুই চোরের সন্ধান পেয়ে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চুরি যাওয়া ওই গাড়িটিকে উদ্ধার করেছে রাধানগর ফাঁড়ির পুলিস। অভিযুক্তদের নিয়ে আসা হয় রাধানগর ফাঁড়িতে। সোমবার, ওই তিন চোরকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
সকালে ছাদে ব্য়ায়ম (Exercise) করতে গিয়ে পা পিছলে নিচে পড়ে মৃত্যু (Death) হল এক ব্য়ক্তির। সোমবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের দক্ষিণ বৈলাপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্য়ক্তির নাম স্বপন কুমার দে (৭২)। বাড়ি বিষ্ণুপুর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বৈলাপাড়া এলাকায়। তিনি পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী ছিলেন। আচমকাই এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। ইতিমধ্যে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী স্বপন কুমার দে বিষ্ণুপুর শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বৈলাপাড়া এলাকায় ভারসাম্য়হীন মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন। তাঁর মেয়েকে দেখাশোনা করতেন একজন পরিচারিকা। প্রতিদিন সকালে মেয়েকে পরিচারিকার কাছে রেখে স্বপন কুমার দে প্রাতঃভ্রমণে বের হতেন। তবে এদিন পরিচারিকা কাজে না আসায় স্বপন কুমার দে প্রাতঃভ্রমণে না গিয়ে বাড়ির ছাদে ব্যায়াম করছিলেন।
স্থানীয়দের দাবি, ছাদে ব্য়ায়াম করার সময় কোনওভাবে পা পিছলে ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় ওই বৃদ্ধের। শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। স্থানীয়রা বিষয়টিকে নিছক দুর্ঘটনা বলে দাবি করলেও এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
কনফর্ম করা টিকিট (Ticket) হঠাত্ বাতিল (Canceled) হওয়ায় চিন্তার মুখে বহু যাত্রী। স্টেশন ম্যানেজারের কাছে টিকিট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ যাত্রীদের। এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া (Bankura) স্টেশনে। ঘটনায় ব্য়পক শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা স্টেশন চত্বর এলাকায়।
অনলাইনের মাধ্য়মে কনফর্ম করা টিকিট কারও বাতিল কারও আবার কনফর্ম। টিকিট আরএসি আবার কারও কনফর্ম টিকিট হয়ে গিয়েছে ওয়েটিং লিস্ট। টিকিট নিয়ে এমন বড় বিপাকে পড়লেন বহু যাত্রী। ট্রেনের সময় হয়ে গেলেও ট্রেনে কিভাবে চড়বেন তা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন যাত্রীরা। যে সব যাত্রীর এই সমস্যায় পড়েছে তারা বেশিরভাগ সকলেই চিকিত্সা করাতে যাচ্ছেন কাটপাটি। তবে এইভাবে টিকিটের সমস্যায় পড়ে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন যাত্রীরা। ২২৬০৫ পুরুলিয়া ভেল্লিপুরম ট্রেন ধরতে বাঁকুড়া স্টেশনে এসে দেখেন টিকিট নিয়ে এই সমস্যা।
এরপরেই রেলের বিরুদ্ধে উঠছে বিভিন্ন প্রশ্ন। বাঁকুড়া স্টেশন ম্যানেজার সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছনোর আগে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল স্টেশন ম্যানেজার।
বাঁকুড়ায় (Bankura) ভয়াবহ পৃথক দুটি পথ দুর্ঘটনায় (Road accident) মৃত্যু (Death) হয়েছে তিন জনের। এবং আহত তিনজন। শুক্রবার, এই দুর্ঘটনা দুটি ঘটে জয়পুর জঙ্গলে ও বিষ্ণুপুরের তাঁতিপুকুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে কোতুলপুর থেকে বিষ্ণুপুরের দিকে দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল একটি ডাম্পার। ঠিক তার উল্টো দিক থেকে আসা একটি ডিজায়ার গাড়ি মুখোমুখি সজোরে ধাক্কা মারে ডাম্পারটিকে। ঘটনার অভিঘাতে ডিজায়ার গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ডিজায়ার গাড়ির চালক সহ দুই যাত্রীর। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়িটির গ্যাস কার্টার দিয়ে কেটে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে গতকাল রাতে জয়পুর জঙ্গলে একটি ইঞ্জিন ভ্যানের সাথে একটি বাইকের মুখোমুখি ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর। এই ঘটনায় আহত হন আরও তিনজন। দুটি পথ দুর্ঘটনায় তিন জনের এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পথকুকুর (Dog) নিয়ে সমস্যা কম বেশি সব জায়গাতেই রয়েছে। তবে বাঁকুড়ায় (Bankura) পথকুকুরের বাড়বাড়ন্ত অতিমাত্রায়। কুকুরের তান্ডবে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। রাস্তায় বেরোলেই প্রায়শই কুকুরের আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে পথচারী মানুষকে। এই কারণে পথ কুকুরগুলিকে জাল ভরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে একদল লোক। শহরজুড়ে শোরগোল পড়েছে এই ঘটনায়। শুক্রবার, ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার মাচানতলায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস।
বাঁকুড়া শহরে বিশেষ আকারের নেটের মাধ্যমে ব্যপক হারে পথকুকুর ধরে একদল লোক নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করতে গেলে তাঁদের সঙ্গে রীতিমত বচসা শুরু হয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। শেষপর্যন্ত জানা গিয়েছে, প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী বাঁকুড়া শহরজুড়ে শুরু হয়েছে কুকুর ধরার অভিযান। কারণ কুকুরদের জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা ও ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করেছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে শুধুমাত্র বাঁকুড়া শহরেই পথ কুকুরের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ সম্পর্কে আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার চালানো উচিৎ ছিল।
প্রশাসনের দাবী, অন্য রাজ্যে এই মডেল সফলতা পাওয়ায় বাঁকুড়া শহরের ক্ষেত্রেও কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এই উদ্যোগের সিধান্ত নেওয়ায় প্রচার চালানো সম্ভব হয়নি।
গ্রামের একমাত্র পানীয় জলের (Water) কল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বারাসত বুথ বিজেপি দখল করার ক্ষোভে প্রতিবাদ জানাতে এইরকম ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) পাত্রসায়ের ব্লকের নারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যদিও বিষয়টি জানা নেই বলে দায় এড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
গ্রামবাসীদের দাবী, রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের লোকেরা গ্রামে থাকা একটি মাত্র পানীয় জলের কল ভেঙে দিয়েছে। তবে হঠাৎ কেন এই পানীয় জলের কল ভেঙ্গে দেওয়া হয় এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বারাসত বুথ বিজেপি দখল করেছে এবং তারই প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল কর্মীরা রাতের অন্ধকারে গ্রামের একমাত্র পানীয় জলের কলটি ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ উঠছে। গ্রামে একটিমাত্র পানীয় জলের কল ভেঙে ফেলাতে এই মুহূর্তে চরম জল সংকটে ভুগছেন গ্রামের সাধারণ মানুষরা। তবে কি তৃণমূলের পাশে না থাকলে এভাবেই কি সাধারণ মানুষদের সমস্যায় পড়তে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষরা।
এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজা। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস জানান, এলাকায় মানুষের উন্নয়ন না করে এলাকায় মানুষের ক্ষতি করছে। তৃণমূল মানেই দুষ্কৃতী। আর তাদের কাছ থেকে এর থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
অন্য়দিকে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে গ্রামে বেশ কিছু পানীয় জলের কল ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি জয়লাভ করে। এই আক্রোশে ওই সংসদের বেশ কিছু পানীয় জলের কল ভেঙ্গে দেয় বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বিজেপি সমর্থিত গ্রামবাসীদের একাংশকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও এই ভাবে কল ভাঙ্গার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। শুধু পানীয় কল নয় রাতের অন্ধকরে নল কূপের সাবমারসিবল পাম্পের বিদ্যুৎ-এর তারও কেটে দেয় বলেও অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের শাসক দল।
দামোদরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিল তিন ছাত্র (student)। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়া থানার দামোদর নদে নিখোঁজ (missing) হওয়া তিন ছাত্রের নাম, সৌম্যজিত সাহা, শুভজিত নস্কর, ও ভিকি শীল। টানা কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি (search) চালানোর পর অবশেষে বৃহস্পতিবার দামোদর নদ থেকে তিন ছাত্রের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় পুলিসের নজরদারির অভাবকেই দায়ী করছে স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ স্কুল পালিয়ে আট ছাত্র দামোদর নদে স্নান করতে আসে। এরা সবাই দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার এম. এ. এম. সি টাউনশিপ ও মামরা বাজার এলাকার বাসিন্দা। সবাই দশম শ্রেণীর ছাত্র। এরপর তাদের মধ্য়ে পাঁচজন চলে যায় এবং তিনজন সেখানেই থেকে যায়।
বুধবার, সকালে নিখোঁজ হওয়া তিন ছাত্রের মধ্যে দুই জনকে উদ্ধার করল উদ্ধারকারী দল। আরো এক নিখোঁজ ছাত্রের খোঁজ চলছিল। নিখোঁজ হওয়া শুভজিত দুর্গাপুরে তার পিসির বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করত। শুভজিতের বাবা ট্রেনে হকারি করে সংসার চালায়। এর মধ্যে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
তবে বড়জোড়া থানা এলাকায় বারংবার দামোদর নদের জলে এই ধরনের ঘটনা বাড়তে থাকার জন্য পুলিসকেই দায়ী করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব, একই অভিযোগে সরব স্থানীয়রা। যদিও নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে দুর্গাপুর শহরের প্রাক্তন কাউন্সিলার লাভলি রায় দাবি করলেও পুলিস তা মানতে নারাজ।
রবিবার ভোরে বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দা (Onda) স্টেশনে দুর্ঘটনার কবলে মালগাড়ি। লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িকে (Freight car) পিছন থেকে ধাক্কা মারে অন্য একটি মালগাড়ি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করলেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার মনীশ কুমার। তিনি জানান, সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন চালক। তাই সিগন্যাল দেখতে পাননি তিনি। তবে ঘটনায় কেউ আহত হননি। জানিয়েছেন ডিআরএম।
ওন্দা স্টেশনের লুপ লাইনে বিষ্ণুপুরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে ছিল মালগাড়ি। সেই লাইনে ঢুকে যায় অন্য একটি মালগাড়ি। দুমড়ে-মুচড়ে যায় একাধিক বগি। ইঞ্জিন অন্য মালগাড়ির উপর উঠে যায়। দুর্ঘটনার জেরে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে গিয়েছে। আদ্রা-খড়গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ডিআরএম।
রবিবার ভোরে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় এলাকাবাসীর। লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িকে ধাক্কা মারে অন্য একটি মালগাড়ি। ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। আটকে পড়া লোকো পাইলটকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
দুর্ঘটনার জেরে আসানসোল-দিঘা এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস, আদ্রা-খড়গপুর এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, বিষ্ণুুপুর-আদ্রা এক্সপ্রেস, আদ্রা-আসানসোল এক্সপ্রেস, আসানসোল-টাটানগর মেমু বাতিল হয়েছিল। বর্তমানে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।
ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ায় (Bankura) পৌছলো এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। কমিশনের (Election Commission) তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক দফায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছিল এর সঙ্গে আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে প্রাথমিক দফায়। অর্থাৎ মোট ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রাথমিক দফায় রাজ্য আসতে চলেছে। যার মধ্যে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্যে বাঁকুড়ায় পৌঁছে গিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপারেশন দিকটা দেখবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জেলা শাসক। এছাড়া আরও খবর পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে যার মধ্যে ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়া গিয়েছে এছাড়া আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ফের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে বলে এখন অবধি কমিশন সূত্রের খবর।
ফের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রতারণার (Fraud) শিকার হলেন বাঁকুড়ায় (Bankura)। প্রথমে, বিভিন্ন কৌশলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাছ থেকে নথিপত্র ও বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করে। তারপর তাঁদের নামে ঋণ তুলে আত্মসাৎ-এর অভিযোগ উঠল একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের কর্তা সহ দু'জনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত দু'জনকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করেন প্রতারিতরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার সাসপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে লতা যশ নামে এক মহিলা সাসপুর এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে আলাপ জমান। এমনকি তাঁদের পাকা বাড়ি তৈরী করে দেওয়ার প্রস্তাবও দেন। আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে মহিলারা প্রথমে ২৫ হাজার টাকা ও পরে ৪৫ হাজার টাকা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির কাছে জমা দেন। বাড়ি তৈরীর জন্য এলাকার মহিলাদের কাছ থেকে নথিপত্রও নেয় ওই অভিযুক্ত মহিলা। অভিযোগ, মহিলার কথামতো প্রথম দফার ২৫ হাজার টাকা গোষ্ঠীর মহিলারা দিতে অসমর্থ হলে একটি মাইক্রোফিনান্স সংস্থা থেকে ওই টাকা ঋণ হিসাবে মহিলাদের পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। লতা যশ নামের ওই মহিলা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি নিশাকর খাঁ ও স্থানীয় একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের কর্তা সার্থক নন্দীর সহায়তায় স্থানীয় ৩০০ জন মহিলার নামে মাইক্রোফিনান্স সংস্থা থেকে ঋণ নেয় এবং আত্মসাৎ করতে শুরু করে।
পরবর্তীতে মাইক্রোফিনান্স সংস্থার কর্মীরা গোষ্ঠীর মহিলাদের কাছ থেকে ঋণের টাকা চাইতে গেলে গোটা বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের কর্তা সার্থক নন্দী ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি নিশাকর খাঁ-কে গাছে বেঁধে মারধর করেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, গোটা প্রতারণা চক্রের মাস্টারমাইন্ড নিশাকর খাঁ। ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের মালিক সার্থক নন্দী গোষ্ঠীর মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের নথি ও বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে ঋণের টাকা তুলে নেওয়ার জন্য নিশাকর খাঁর হয়ে কাজ করেছে। অভিযুক্ত দু'জনই গোষ্ঠীর মহিলাদের ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের কর্তা সার্থক নন্দীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
জ্বালানি কুড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে (Lightning) মৃত্যু (Death) হল এক গৃহবধুর। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুর থানার মদনমোহনপুর অঞ্চলের সুন্দরচক গ্রামে। ঘটনার পরই তড়িঘড়ি ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতুলপুর থানার পুলিস (Police)। মৃতদেহটি উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। \
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই গৃহবধূর নাম ঝুমা ঘোষ (২৮)। তিনি কোতুলপুর থানার মদনমোহনপুর অঞ্চলের সুন্দরচক গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির কাছেই জ্বালানি কুড়োতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। তখনই আচমকা বজ্রবিদ্যুৎ সহ জোড়ো হাওয়া বইতে আরম্ভ করে। তারপরেই বজ্রাঘাতে আহত হন ওই গৃহবধূ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কিছুক্ষণ পরে ওই গৃহবধূকে আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেই খবর দেওয়া হয় থানায়।
সরকারি বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে (Accident) জখম (Injured) কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) বেলিয়াতোড় থানার চাঁদুড়িয়া মোড়ে দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রাজ্য সড়কে। এই ঘটনায় আহত যাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বেলিয়াতোড় থানার পুলিস (Police)। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল একটি সরকারি বাস। বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক ধরে যাবার পথেই বেলিয়াতোড় থানার চাঁদুড়িয়া এলাকায় উলটো দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তারপর এই সংঘর্ষের বিকট শব্দেই ছুটে আসে স্থানীয় মানুষরা। এমনকি এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বেলিয়াতোড় থানার পুলিসও। স্থানীয়দের দাবি, বাসের থেকে উদ্ধার করা হয় যাত্রীদের। ঘটনায় আহত কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী। তাঁদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ওই রুটে। তবে এখন তা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Accident)। ট্রাক্টর এবং লরির মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে মৃত (Death) এক এবং গুরুতর আহত (Injured) ২৬ জন। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) কতুলপুর থানার অন্তর্গত মির্জাপুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতুলপুর থানার পুলিস (Police)। আহত সকল ব্যক্তিদের স্থানীয় কোতুলপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল ও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বাঁকুড়া রাজ্য বালেশ্বরের ওই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে বহমান। ঠিক সেই ঘটনা চলাকালীনই ভয়াবহ এক পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকলো বাঁকুড়ার কোতুলপুর। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার অন্তর্গত ছাতিনা গ্রামের ২৭ জন ব্যক্তি একলোকি গ্রামে একটি ট্রাক্টারে করে বিয়ের দেখা শোনার জন্য গিয়েছিলেন। দেখাশোনা সেরে আসার পথেই বিপত্তি।
সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুর থেকে জয়পুরমুখী একটি লরি সজরে ধাক্কা মারে সেই ট্র্যাক্টরটিকে। সেই ট্র্যাক্টরে থাকা ২৭ জন ব্যাক্তির মধ্য ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক ব্যক্তি, এবং গুরুতর আহত হয় বাকিরা। স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। মৃত ওই মহিলার নাম চম্পা মুর্মু (৬০)।
গৃহবধূকে (Housewife) শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুর এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে কোতুলপুর থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত (Death) মহিলার নাম লাইলা বিবি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েক বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল আসাদুল এবং লাইলা বিবি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আসাদুল বিয়ের একমাস পর থেকেই অকথ্য ভাষায় অত্যাচার চালাতো লাইলা বিবির উপর। শুক্রবার সকাল বেলায় কোতুলপুর এর ধজমনিপুর গ্রামে লাইলা বিবির নিজের শ্বশুর বাড়িতেই তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি সেই দেহকে উদ্ধার করে গোকরা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, লাইলা বিবিকে তাঁর স্বামী, দেওর ও শাশুড়ি সবাই মিলে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপর দেহটিকে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কোতুলপুর থানায়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিস। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত লাইলা বিবির স্বামী, দেওর এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পলাতক। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।