
নিম্নচাপের জেরে একটানা বৃষ্টি ভারী বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী নদীর জলস্তর বাড়তেই বিপদে গ্রামবাসী। প্রবল বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে গেল বাঁকুড়া-মানকানালি সড়কের উপর থাকা সেতু। বন্ধ যাতায়াত। বিছিন্ন হয়ে পড়েছে মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ থেকে ১৫ টি গ্রাম।
ভারী বৃষ্টিতে শনিবার সকাল থেকেই মানকানালির কাছে বাঁকুড়া-মানকানালি সড়কের উপরের থাকা সেতুর উপর দিয়ে প্রবল বেগে জল বইছে। বিপদ এড়াতে এদিন সকাল থেকেই ওই সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
যদিও ঘুরপথ ৩০ কিলোমিটারের বেশি হওয়ায়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই পথ দিয়েই যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, লক্ষ টাকা দিয়ে সেতু সংস্কার করা হলেও। এলাকার মানুষের দাবি মেনে উঁচু সেতু নির্মাণ করা হয়নি। যার জেরে বৃষ্টি হলেই বিপদে পড়েন স্থানীয়রা।
বর্ষায় শুরুতেই জেলা জুড়ে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গির সংক্রমণ। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের পাশাপাশি এবার বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের সাতমৌলি গ্রামে ব্যাপক আকার নিচ্ছে জন্ডিস। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্য়ে ওই গ্রামে গত আড়াই মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫০ ছাড়িয়েছে। বেশ কিছু গ্রাম বাসিন্দা জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। যার ফলে জন্ডিসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের মধ্য়ে।
প্রথমে জ্বর পরে বমি ও পেটে ব্যাথার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। পরীক্ষা করলেই ধরা পড়ছে জন্ডিস। বিষয়টি জানার পরই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এলাকার নলকূপগুলি থেকে পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি নলকূপের জলে জন্ডিসের জীবানুর নমুনা মিলেছে। আপাতত ওই নলকূপগুলির জল শোধন করার জন্য ব্লিচিং দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে গ্রামবাসীদের জল ভালো করে ফুটিয়ে পান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, স্বাস্থ্য দফতরের সমস্ত পরামর্শ মেনে চললেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না জন্ডিস। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি আক্রান্তদের একটা বড় অংশ সুস্থ হয়ে গিয়েছে। আপাতত ২৯ জন আক্রান্ত রয়েছে। যার মধ্যে শারিরীক অবস্থা তুলনায় খারাপ থাকায় তাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফেও সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত দেখা মেলে না চিকিৎসকের। ওষুধ দিচ্ছেন নার্স ও কম্পাউণ্ডার। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই কাজ কি করতে পারেন একজন গ্রুপ সি কর্মী ও নার্স? উঠছে প্রশ্ন। ঘটনাটি বাঁকুড়ার (Bankura) নিকুঞ্জপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।
আছে সরকারি ডাক্তার, কিন্তু ওষুধ দিচ্ছেন নার্স ও কম্পাউণ্ডার। সিএন এর ক্যামেরায় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমনই ছবি ধরা পড়ল। জানা গিয়েছে, ১৯৯৪ সালে বাম আমলে গ্রামীণ হাসপাতালের আদলে গোড়াপত্তন হয়েছিল এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। শুরুর দিকে শিশুর জন্ম থেকে অরপারেশন সবই হত। কিন্তু বর্তমানে গ্রামীণ হাসপাতালে পরিণত হয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খাতায়-কলমে আছেন চিকিৎসক, কিন্তু নিয়মিত তাঁর দেখা মেলে না। রোগীদের ওষুধ প্রদান করেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত নার্স ও গ্রুপ সি কর্মীরা।
দীর্ঘদিন ধরে একই ঘটনা চলতে থাকায় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে গ্রামবাসীদের। প্রতিবাদে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছন চিকিৎসক। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
গ্রামের পাশের জলাশয় থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ (DeadBody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া (Bankura) জেলা ইন্দাস ব্লকের আকুই এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দোলকালী তলা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইন্দাস থানার পুলিস (Police)। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস। আত্মহত্যা নাকি খুন তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রাবণ সরেন। বাড়ি আকুই বাজার এলাকায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জলাশয়ের মধ্যে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। এরপর খবর জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায় এলাকায়। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় ইন্দাস থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইন্দাস থানার পুলিস। উদ্ধার করে মৃতদেহটি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, রবিবার বিকেল থেকে ওই ব্যক্তি নিখোঁজ ছিলেন। বহু খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি। এরপর সোমবার বিকেল নাগাদ ওই ব্যক্তির দেহ গ্রামের পাশেই একটি জলাশয় ভাসতে দেখেন গ্রামবাসীরা।
তবে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ঘটনাটি আদৌ আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য তদন্ত করে দেখছে পুলিস। এদিন মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে এমনটাই অনুমান পুলিসের।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthyasathi Card) অ্যাপ্রুভাল নিয়ে টানাপোড়েন। দড়ি টানাটানির মাঝেই বাঁকুড়ায় (Bankura) মৃত্যু হল রোগীর। মা হারা হলেন সন্তান, এর দায় নেবে কে? নিয়ম-নীতির বেড়াজালে ওষ্ঠাগত প্রাণ।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীর কাছে চিকিৎসার জন্য টাকা চাওয়া হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সাথীর অ্যাপ্রুভাল না মেলায় রোগীকে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে না দেওয়ার অভিযোগে উত্তাল হল বাঁকুড়ার একটি বেসরকারী নার্সিংহোম। শনিবার সকালে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়। রোগীর পরিজনেরা নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের পুনিশোলের বাসিন্দা বছর ৬২-র পার্শ্বলা মণ্ডল পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ার একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে ভর্তি হন। রোগীর পরিবারের দাবি, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভর্তি নিলেও ভর্তির পর থেকেই রোগীর পরিজনদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাইতে থাকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার রোগীর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে রোগীর পরিজনেরা রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়।
রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, দিন প্রতি আইসিইউ চার্জ বরাদ্দ হয় ৪ হাজার টাকা। দরিদ্র পরিবার সেই বোঝা টানতে অপারগ। রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে গেলেও বাধা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অ্যাপ্রুভাল না মেলা পর্যন্ত আটকে রাখা হয় রোগীকে।
মা হারালেন এক সন্তান। কার গাফিলতি? নিয়ম-নীতি কি মানুষের জীবনের থেকেও বড়? ভরসার স্বাস্থ্যসাথী হয়ে উঠছে আতঙ্ক!
পৃথক দুটি পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরে মৃত্যু হল তিন জনের। দুটি ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন জন। আহতদের উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, রবিবার পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক আনন্দ মোহন নিজের দশ বছরের ছেলেকে বাইকে চাপিয়ে গ্রামের বাড়ি বিষ্ণুপুর ব্লকের হেত্যাগড়া থেকে বিষ্ণুপুর শহরের শালবাগানের বাড়িতে ফিরছিলেন। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ফেরার সময় এক নম্বর ক্যাম্পের কাছে একটি পিকআপ ভ্যান ওই শিক্ষকের বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই ছিটকে পড়েন বাবা ও ছেলে। আহত দু'জনকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় বাবা ও ছেলের।
অন্যদিকে বিষ্ণুপুর থানার বামুনবাঁধ এলাকায় পৃথক একটি দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর শহর থেকে সমাপ্তি লাহা নামের ওই মহিলা আরও দু'জনের সঙ্গে বাইকে চড়ে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বামুনবাঁধের কাছে একটি মারুতি ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর দুটি বাইকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলে ছিটকে পড়েন সমাপ্তি লাহা সহ চার জন। আহত অবস্থায় তাঁদেরও বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা সমাপ্তি লাহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন হাসপাতালে।
রাস্তার উপর এক হাঁটু কাদা। তার মধ্যে আবার কোথাও জমে রয়েছে জল। এই অবস্থায় রাস্তায় দিয়ে চলাচল মানেই যেন নরক যন্ত্রণা। কোথাও চিহ্ন নেই রাস্তার, আবার কোথাও নর্দমায় ঢাকা পড়েছে ঢালাই রাস্তা। স্কুল, পোস্ট অফিস থেকে বাজার হাট যেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। কাদায় ভরা রাস্তা দিয়ে সাইকেল, মোটরবাইক নিয়ে পার হওয়াও বিপজ্জনক। যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ছবিটা বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের আমডাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনাচাপড়ার। অভিযোগ, একাধিকবার পঞ্চায়েতে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি, তাই ধানের চারা পুঁতে প্রতিবাদ দেখান গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, বাম জমানার শেষের দিকে গ্রামের ভিতর দিয়ে তৈরি হয়েছিল কংক্রিটের ঢালাই। কিন্তু তারপর থেকে হয়নি কোনও সংস্কার। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল থাকায় বৃষ্টি জল জমে রাস্তার দশা বেহাল হয়ে যায়।
দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাফাই শাসকশিবিরের। বেনাচাপড়া বুথে বিজেপি জয়লাভ করেছে বলেই মানুষের সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না শাসকদল, এমনই অভিযোগ বিজেপির। এখন দেখার প্রশাসন কবে এই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।
অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় (Accident) মৃত্যু (Death) হলো নবম শ্রেণির পড়ুয়ার। বাঁকুড়ার (Bankura) বেলিয়াতোড় থানার বড়কুড়া স্কুলের ছাত্র (Student Death) সাগর মণ্ডল। স্কুল ছুটির পর সাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় সাগর। রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় সেখান থেকে রেফার করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা নাবালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, স্কুল ছুটির পর সাইকেলে করে বাঁকুড়া সোনামুখী রাজ্য সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিল সাগর। সোনামুখী থেকে বেলিয়াতোড়গামী একটি অ্যাম্বুলেন্স বেপরোয়া ভাবে ধাক্কা মারে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
প্রাণ বাঁচাতে, দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সকে সকলে ফোন করেন। আর সেই অ্যাম্বুলেন্সের গতি কাড়ল নিষ্পাপ নাবালকের প্রাণ। স্থানীয়রা ওই ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় ও ভাঙচুর চালায়।
আদালত থেকে বেরিয়ে চার বন্ধু গাড়িতে ফেরার পথে লক্ষ্য করেন একটি বাইক তাঁদের পিছু নিয়েছে। এ ঘটনা টের পাওয়ার পরেই তাদের গাড়ির গতি বাড়াতে শুরু করেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ে বাইকের গতিও। অভিযোগ গাড়িটি বাঁকুড়া শহর লাগোয়া কেশিয়াকোল এলাকা ছেড়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছাকাছি আসতেই বাইকের পিছনে বসে থাকা যুবক দুহাতে দুটি বন্দুক নিয়ে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। গুলিতে গাড়িতেই জখম হন জিয়াবুল হক শেখ, নুর মহম্মদ শেখ এবং গোবিন্দ মণ্ডল নামে তিন যুবক।
জানা গিয়েছে, এদিন বেলা দেড়টা নাগাদ একটি চার চাকা গাড়িতে চড়ে চালক-সহ পাঁচ যুবক বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক ধরে বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এই পাঁচজনই বাঁকুড়া জেলা আদালতে আইনি কাজে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় তাঁদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ দুই বাইক আরোহীর বিরুদ্ধে।
এর মধ্যে আহত জিয়াবুলের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের দয়ালপুর গ্রামে। নুরের বাড়ি গলসির তেঁতুলমুড়ি গ্রামে। গোবিন্দর বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার পাবড়াডিহি গ্রামে। এদিকে গুলি চলা শুরু হতেই ভয়ে গাড়ি থামিয়ে দেন চালক। ততক্ষণে গুলিবিদ্ধ হয়ে গিয়েছেন তিনজন। সকলকেই গুলি এড়িয়ে কোনওমতে গাড়ি থেকে নেমে পার্শ্ববর্তী একটি বাউন্ডারি ঘেরা জায়গায় আত্মগোপন করেন।
এঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ বাঁকুড়া থেকে বেরোনোর সমস্ত রাস্তা ঘিরে ফেলে। তল্লাশি শুরু হয় বাঁকুড়া থেকে বেরোতে থাকা প্রতিটি বাস ও ছোট গাড়িতে। যদিও এখনও পর্যন্ত দুই দুষ্কৃতীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিন মাস ধরে সবজি ও ডিমের টাকা বাকি আইসিডিএস খাবার সেন্টারে। বকেয়া টাকার দাবিতে খাবার বন্ধ করে দিলেন আইসিডিএস কর্মীরা। শুক্রবার সকাল থেকেই বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের সমস্ত আইসিডিএস কেন্দ্রে খাবার বন্ধ করে দিলেন কর্মীরা। যার ফলে আইসিডিএস সেন্টারের খাবার থেকে বঞ্চিত হল শিশুরা।
আইসিডিএস কর্মীরা জানিয়েছেন, তিন মাস ধরে মেলেনি সবজি, ডিম ও জ্বালানীর দাম। অভিযোগ, আইসিডিএস কর্মীরা বকেয়া বিলের দাবি নিয়ে বারংবার দ্বারস্থ হয়েছেন ওন্দা ব্লক সিডিপিও এর কাছে। কিন্তু তাতেও মেলেনি বকেয়া বিলের টাকা। বকেয়া টাকা না পাওয়াতে সেন্টার চালাতে বড় সমস্যায় পড়েছেন কর্মীরা। বাজারে দেনা না মেটানো পর্যন্ত নতুন করে বাজার থেকেও ধারে মিলছে না সবজি ও ডিম।
আইসিডিএস কর্মীদের দাবি, বাজার থেকে সবজি, ডিম ও জ্বালানী টাকা পাওয়া যায় সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে। আর মাসে মাসে সেই টাকাও দেওয়া হয় ওই দফতর থেকে। কিন্তু গত তিন মাস ধরে বাজার থেকে সেই সব জিনিসপত্র কেনা হয়েছে আর সরকারিভাবেও কোনও টাকাপয়সা দেওয়া হয়নি। তিন মাস ধরে বকেয়া টাকা না পাওয়াতে বাজার থেকে ধার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে সেন্টার চালাতে বড় বিপাকে পড়েছেন কর্মীরা। এই সমস্যার কারণে ওন্দা ব্লকের আইসিডিএস কেন্দ্রে শিশুদের খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিলেন আইসিডিএস কর্মীরা।
এদিন সকাল থেকেই ওন্দা ব্লকের সমস্ত আইসিডিএস সেন্টারে খাবার রান্না করলেন না কর্মীরা। কর্মীদের দাবি, বকেয়া টাকা মিলে গেলেই আবার চালু হবে রান্না। অন্য়দিকে শুক্রবার সকাল থেকে আইসিডিএস সেন্টারে এসে খাবার খেতে পেল না শিশুরা, তাই ক্ষোভ জন্মেছে অভিভাবকদের মধ্যেও।
খাবারে বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন জনের। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার ফুটিডাঙ্গা গ্রামে। জানা গিয়েছে, প্রথমে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। তারপর বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চলাকালীন মৃত্যু হয় মায়েরও। খাবারের বিষক্রিয়ার জেরেই এই ঘটনা, তা জানতে পেরে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেছে কোতুলপুর থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, গত বুধবার সকালে হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বাদল সোরেন, তাঁর স্ত্রী চম্পা সোরেন ও তাঁদের দুই ছেলে বিধান ও বীরেন্দ্রনাথ। তড়িঘড়ি তাঁদের স্থানীয় গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর শুক্রবার চার জনেরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায় তাঁর বছর বারোর ছোট ছেলে বিধান।
শনিবার রাতে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বছর তেরোর বড় ছেলে বীরেন্দ্রনাথেরও। এরপর আজ অর্থাৎ সোমবার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় চম্পা সোরেনের। ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল একই পরিবারের তিনজনের। কিন্তু অসুস্থ ওই পরিবারের কর্তা বাদল সোরেন চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রাথমিক ভাবে বাদল সোরেনের পরিবারের ধারণা ছিল, মঙ্গলবার দুপুরের রান্না করা খাবারে কোনও কারণে বিষক্রিয়া ঘটেছিল। আর সেই খাবার পরিবারের সকলে মিলে খাওয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু একই পরিবারের একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, সোরেন পরিবারের সদস্য়দের মেরে ফেলার জন্য় ষড়যন্ত্র করে কেউ বা কারা খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়ে থাকতে পারে। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া জেলা পুলিস।
মাতালদের মাতলামি রুখতে ঝাঁটা লাঠি হাতে রাস্তায় নামল এলাকার মহিলা বাহিনী (Women Force)। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া (Bankura) জেলা বিষ্ণুপুর ব্লকের ছিলিমপুর গ্রামের প্রকাশঘাট সংলগ্ন এলাকায়। মহিলাদের অভিযোগ, এই সব অসুবিধার কথা বারবার পুলিস প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। তাই তাঁদেরই ঝাঁটা লাঠি হাতে রাস্তায় নামতে হয়েছে।
তাঁরা আরও অভিযোগ করেছেন, প্রকাশঘাট সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদীর চরে একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরেই চোলাই মদ বিক্রি করে। আর সেই মদ পান করে এলাকার পুরুষরা, নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের ওপর অত্যাচার করে। এমনকি নেশার টাকা না দিলে মহিলাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। পাশাপাশি এই মদ খেয়ে প্রাণও হারিয়েছেন একাধিক ব্যাক্তি। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ির কাজ-কর্ম সেরে ঝাঁটা লাঠি হাতে এলাকার মাতালদের শায়েস্তা করতেই বেরিয়ে পড়েছেন এলাকার মহিলা বাহিনী।
সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ গৃহবধূর (Housewife) গলা কাটা মৃতদেহ। খুনের অভিযোগে আটক স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। পরে তদন্তের ভিত্তিতে গ্রেফতার (Arrest) করা হয় মৃতার শ্বশুর-শাশুড়িকে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত বধূর নাম মোনালিসা ঘটক। অভিযোগ, পণের দাবিতে খুন করা হয়েছে গৃহবধূকে। শনিবার, নিখোঁজ ওই গৃহবধূর দেহ বাঁকুড়ার ঢেকিয়া গ্রামের এক প্রতিবেশির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করে পুলিস। এদিন দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে পাঠায় পুলিস। পাশাপাশি ধৃত শ্বশুর সুজিত ঘটক ও শাশুড়ি ইতু ঘটককে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
বৃহস্পতিবার থেকে আচমকাই শালতোড়া থানার অন্তর্গত ঢেকিয়া গ্রামে নিজের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মোনালিসা ঘটক নামের ওই গৃহবধূ। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার মোনালিসার স্বামী কাজু ঘটক ও মোনালিসার বাবা ও মাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে শালতোড়া থানায় তার স্ত্রীর নিখোঁজ অভিযোগ জানান। স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পরেই কাজু ঘটকের বাবা সুজিত ঘটক ও মা ইতু ঘটকও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বলে পুলিসকে জানায় সে। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই মোনালিসার শ্বশুর শাশুড়ির খোঁজ শুরু করে পুলিস।
মোনালিসার স্বামী কাজু ঘটককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এবং বিশেষ সূত্রের খবর পেয়ে পুলিস জানতে পারে মৃতার শ্বশুর শাশুড়ি বিষ্ণুপুর থানার হিংজুড়ি গ্রামে তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে। সেখানে হানা দিয়ে নিখোঁজ বধুর শ্বশুর শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। এরপরই পুলিস ঢেকিয়া গ্রামে হানা দিয়ে মৃতার এক প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ছয় আগে শালতোড়ার বিষজোড় গ্রামের এক যুবককে ভালোবেসে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী ঢেকিয়া গ্রামের কাজু ঘটকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে তাঁকে বিয়ে করে ঢেকিয়া গ্রামে কাজু ঘটকের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন। ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। এই গোটা ঘটনার খতিয়ে দেখছে পুলিস।
সন্দেহজনকভাবে এক গৃহবধূর (House Wife) নিখোঁজের (Missing) ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার (Bankura) শালতোড়া থানার ঢেকিয়া গ্রামে। গৃহবধূ নিখোঁজের পর থেকেই পলাতক শ্বশুর শাশুড়িও। ঘটনায় নিখোঁজ গৃহবধূর পরিবারের লোকজন শালতোড় থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস (Police)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিতলপুর গ্রামের মোনালিসাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের বিষজোড়া গ্রামের এক যুবক। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে সম্প্রতি, মোনালিসা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পার্শ্ববর্তী গ্রামের টোটো চালক কাজু ঘটকের সঙ্গে। মে মাসে কাজু ঘটককে বিয়েও করেন মোনালিসা। এরপর থেকেই ওই গৃহবধূ ঢেকিয়া গ্রামে কাজু ঘটকের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন।
গৃহবধূর বাড়ির লোকজনের দাবি, কাজু ঘটকের বাবা-মা পণের দাবীতে মাঝেমধ্যেই মোনালিসার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। বৃহস্পতিবার কাজু ঘটক টোটো মেরামতির জন্য শালতোড়ায় যান। সেই সময়ই কাজুর বাবা ফোনে কাজুকে জানায় তাঁর স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। তড়িঘড়ি কাজু নিজের বাড়িতে ফিরে এলে দেখেন শুধু তাঁর স্ত্রী নয় বাবা-মাও পালিয়ে গিয়েছেন। এরপরেই কাজু তাঁদের খবর দেয়। তাঁদের আরও দাবি, মেয়ের শ্বশুরবাড়ির ভিতরে রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। আশঙ্কা মোনালিসাকে খুন করে অথবা জোর করে অন্য কোথাও সরিয়ে দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে কাজুর বাবা ও মা।
এক আদিবাসী তরুনীকে শারীরিক নির্যাতনের (Physical Abuse) ঘটনায়, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation)। বিক্ষোভে সামিল আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) খাতরা থানার অন্তর্গত সুপুর মোড়ে। রবিবার সকাল থেকে এই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভের জেরে স্তব্ধ রয়েছে যান চলাচল। খবর পেয়ে খাতড়া থানার পুলিস (Police) অবরোধস্থলে পৌঁছালেও অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে সরানো যায়নি। অবরোধকারীদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই অবরোধ চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার বিকেলে বাঁকুড়ার খাতড়া থানা এলাকার এক আদিবাসী তরুনী মাঠে গরু চরাতে যান। অভিযোগ, সেই সময়ই এক যুবক আচমকাই সেখানে হাজির হয়। তারপরেই তাঁকে জোরপূর্বকভাবে ওই আদিবাসী তরুনীকে শারিরীক ভাবে হেনস্থা ও নির্যাতন করে। তবে বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় ওই তরুণী কোনওরকমে পালিয়ে যান। তারপরেই তিনি থানায় গিয়ে এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের দাবি, অভিযোগ করার পরেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিস। তাই অবিলম্বে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল রবিবার সকাল থেকে পথে নেমেছেন।