হাসপাতালে কর্মরত নার্সের উপর আচমকা চড়াও হলেন রোগীর আত্মীয়। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মেল ওয়ার্ডে। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হাসপাতালের নার্সরা। সেই সঙ্গে হাসপাতালের বিরুদ্ধে নিরপত্তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এই ঘটনায় আহত নার্সের নাম মৌমিতা কর্মকার। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে সিউরি থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতে যখন মৌমিতা কর্মকার নামে ওই নার্স হাসপাতালে আসেন তখন ডিউটি চলাকালীন আচমকা তাঁর উপর হামলা চালায় রোগীর পরিজনেরা। অভিযোগ, হাসপাতালের ভিতরে ছুরি দিয়ে ওই নার্সের হাত, কান ও গলায় আঘাত করা হয়। সেই সময় জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই নার্স। তারপর তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও গুরুতর আহত না হওয়ায় আপাতত সুস্থ রয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে।
গঙ্গাসাগর মেলাকে ঘিরে শুরু হয়েছে সাজো সাজো রব। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে পৌঁছেছেন সাধু সন্তরা। এর মধ্যেই পুরুলিয়ায় উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত গঙ্গাসাগরগামী ৩ সাধুকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ার কাশীপুরের গৌরাঙ্গডি গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ৩ সাধুকে উদ্ধার করে কাশীপুর থানার পুলিস। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১২ জন। ভাষাগত সমস্যার জেরেই এই ঘটনা বলে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট পুরুলিয়া পুলিসের।
জানা যায়, উত্তরপ্রদেশের বরেলির বাসিন্দা তিন সাধু একটি গাড়ি ভাড়া করে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন। রাস্তায় রাঁচির জগন্নাথ মন্দির দর্শন করে তাঁরা এসে পৌঁছন পুরুলিয়ার কাশীপুরে। সেখানেই নাবালিকা অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে ওই ৩ সাধুর উপর চড়াও হয় স্থানীয়রা। গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। অপহরণকারী সন্দেহে গণপিটুনি!
শুক্রবার রাতে কাশিপুর থানা থেকে ওই তিন সাধুকে নিজের বাসভবনে নিয়ে যান পুরুলিয়ার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। শনিবার ওই তিন সাধুকে পুরুলিয়ার চকবাজারের বড় কালী মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সসম্মানে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। ঘটনায় সমালোচনার ঝড় রাজ্যজুড়ে।
রেশন দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে সক্রিয় ইডি। শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে হামলা হয়েছে ইডির উপর। তারপর ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। শুক্রবার মধ্য়রাতে বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্য়কে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। ইডির গাড়িকে উদ্দেশ্য় করে ছোড়া হয় ইট, পাথর। ভাঙা হয় গাড়ির কাঁচ। এর ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালেই সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে আক্রান্ত হন তিন ইডি আধিকারিক। শাহজাহানের অনুগামীরা বেধড়ক মারধর করেন ইডি আধিকারিকদের। সেখানে বাদ গেলেন না সিআরপিএফের জওয়ানরাও। মার খেতে হয় তাঁদেরও। এছাড়াও সাংবাদিকদের উপরেও চড়াও হওয়া, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে শাহজাহানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, জখম তিন ইডি আধিকারিক অঙ্কুর গুপ্তা, রাজকুমার রাম এবং সোমনাথ দত্তকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। এই গোটা ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লায় জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারালেন এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিক। স্থানীয় মসজিদে আজান দেওয়ার সময়ই তাঁর উপরে হামলা চালানো হয় বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। বছর শেষে উৎসবের মরশুমে একের পর এক জঙ্গি হামলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভূস্বর্গে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নিহত অবসরপ্রপ্ত পুলিস অফিসারের নাম মহম্মদ শাফি। তিনি পুলিসের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সুপারিটেন্ডেন্ট। মসজিদে আজান দিতে এসেই তিনি আক্রান্ত হলেন। জঙ্গিদের গুলিতে হারালেন প্রাণ। এরপরই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিস। গোটা এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
উল্লেখ্য, রাজৌরি সেক্টরের পুঞ্চে জঙ্গি হামলায় পাঁচ সেনা জওয়ান শহিদ হন দু'দিন আগেই। এদিকে এরপর এনকাউন্টারে তিন জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়। এই হামলাকারী জঙ্গিদের কাছে প্রচুর অস্ত্র ছিল বলে খবর। পুঞ্চের ঢেরা কি গলির থানামান্ডি-সুরানকোট এলাকায় জঙ্গিরা রয়েছে বলে বুধবারই খবর পেয়েছিল সেনা।
পুলওয়ামার স্মৃতি উস্কে দিল পুঞ্চের জঙ্গি হামলা। শহিদের রক্তে ভিজল কাশ্মীর উপত্যকা। বৃহস্পতিবার বিকেলে জম্মুর পুঞ্চে ভারতীয় সেনার একটি ট্রাক লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়ে ট্রাকের ভিতের থাকা তিনজন জওয়ানের মৃত্য়ু হয়। পরে সেই মৃত্য়ুর সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ। আহত অবস্থায় এখনও চিকিৎসাধীন ২।
পুঞ্চের এই জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করল পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (PAFF)। পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এর একটি শাখা দ্বারা এই অতর্কিত হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। একই বছরে রাজৌরি এবং পুঞ্চের যমজ সীমান্ত জেলায় চতুর্থবার এই হামলা চলে। এবার পুঞ্চের ডেরা কি গালি এবং বুফলিয়াজের মধ্যে ধাতিয়ার মোড়ে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ সেনা সৈন্য শহীদ এবং আহত আরও দু'জন।
রাজৌরি-পুঞ্চ সীমান্তে সেনার কনভয়ে জঙ্গি হানার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন এনআইএ এর সদস্যরা। এছাড়া এ ঘটনায় এখনও অবধি ৬ জন স্থানীয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলের ছবিতে বেশ কয়েকজন সৈন্যের লাশ বিকৃত অবস্থায় দেখা গেছে।
সূ্ত্রের খবর, পাকিস্তান, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি-পুঞ্চ সেক্টরে সন্ত্রাসবাদ পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে। শুক্রবার প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ২৫-৩০ জন পাকিস্তানী সন্ত্রাসী এই অঞ্চলের বনাঞ্চলে লুকিয়ে আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা বিভাগের দাবি, ওই এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনাটি পাকিস্তান এবং চীনের একটি বৃহত্তর গেম প্ল্যানের অংশ। যা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লাদাখ সেক্টর থেকে সৈন্য অপসারণ করতে এবং এই এলাকায় বাহিনীকে পুনরায় মোতায়েন করার চাপ সৃষ্টি করবে।
ভারত পুঞ্চ সেক্টর থেকে লাদাখে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ইউনিফর্ম বাহিনীকে ২০২০ সালে ভারসাম্য বজায় রাখার অংশ হিসাবে চীনা আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে এবং ভারতীয় শক্তির সাথে সামঞ্জস্য করার জন্য PLA এর উপর চাপ সৃষ্টি করে। সূত্র জানিয়েছে যে, প্রায় ২৫-৩০ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী নিরাপত্তা বাহিনীর উপর আক্রমণ চালানোর জন্য একটি জঙ্গল এলাকায় পুঞ্চ রাজৌরি সেক্টরের উপরের অংশে লুকিয়ে আছে। ইতিমধ্যে সন্ত্রাসীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে সেনাবাহিনীর জওয়ান।
আবারও ঝাড়খন্ডে মাওবাদী হামলা। ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা। যার জেরে হাওড়া-মুম্বই শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।মাওবাদীদের সমর্থনে লাগানো হয়েছে রেললাইনে ব্যানার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রের খবর, চক্রধরপুর রেলওয়ে বিভাগের অধীন হাওড়া-মুম্বই প্রধান রেলওয়ে বিভাগের মনোহরপুর থানা এলাকায় পোসাইতা স্টেশনের মাঝে একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রায় ৭০ মিটার রেল লাইন উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা। এছাড়া ঘটনাস্থলে একটি লাল রঙের ব্যানার পোস্টারও লাগানো হয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাইন মেরামতির কাজ শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, বুধবারও নকশালরা পোস্টার দিয়েছিল মনোহরপুর শহুরে এলাকার কলেজ মোড়ে। ২২ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার আয়োজিত বনধ সফল করার আহ্বান জানিয়েছিল। পোস্টারে, ঝাড়খণ্ড এবং কোলহান মুক্তের নামে আদিবাসী এবং জনগণের উপর পুলিসের দমন অভিযানের বিরুদ্ধে ১৬ থেকে ২১ ডিসেম্বর প্রচারাভিযান সফল করার জন্য একটি আবেদন করা হয়েছিল। বনধকে সফল করতে হাওড়া-মুম্বই রেলপথের গোইলকেরা এবং পোসাইতা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে পোল নম্বর ৩৫৬/২৯এ এবং ৩১এ-এর মধ্যে তৃতীয় লাইনে একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রেলপথ উড়িয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার জাগারগুন্দা এলাকায় নাশকতা চালায় মাওবাদীরা। নিরাপত্তাবাহিনী ও মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু সিআরপিএফ সাব-ইন্সপেক্টরের। ঝাড়খণ্ডেও মাঝে মাঝেই নাশকতা চালাচ্ছে নকশালপন্থীরা।
হাতির সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানে ঢুকে পড়ল ট্রাক। যার ফলে ব্য়াপক ক্ষতিগ্রস্তের মুখে পরপর তিনটি দোকান। মাথায় হাত ব্য়বসায়ীদের। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের দলসিংপাড়া জিএসটি মোড় এলাকার। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে ট্রাক চালককে উদ্ধার করে লতাবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে জয়গাঁ থেকে হাসিমারা গামী বারো চাকার একটি ট্রাকের সামনে আচমকা একটি হাতি চলে আসে। হাতিটিকে বাঁচাতে গিয়ে হাতির গায়ে ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি সড়কের ধারে থাকা তিনটি দোকানে ঢুকে পড়ে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় জিএসটি মোড় এলাকার ব্যবসায়ী উর্গেন গুরুংয়ের চায়ের দোকান, দীপক গোয়েলের মোটর পার্টসের দোকান ও রাজু ঠাকুরের সেলুনের দোকান।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্য়বসায়ীদের দাবি, তিনটি দোকান মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, এ ঘটনায় ট্রাকটিরও সামনের অংশ একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলের কয়েক মিটার দূরত্বেই রয়েছে জয়গাঁ থানার অন্তর্গত জিএসটি চেকপোস্ট। এ বিষয়ে বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, হাতির সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা লাগার কোনো প্রমান এখনো পাওয়া যায় নি। তবুও বন দফতর আশেপাশের জঙ্গলে নাজিরদারি চালাচ্ছে।
মধ্যরাতে সিপিআইএমের প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো ঘটনার বৃত্তান্ত। চাঞ্চল্য দুর্গাপুরের কাঁকসা অঞ্চলের পানাগড় এলাকায়। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রাত তখন ২ টো বেজে ৭ মিনিট। হঠাৎই বাড়ির ভারী লোহার গেট ভাঙার শব্দে ঘুম ভাঙলো সিপিআইএম নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সহ পরিবারের সদস্যদের। এরপর ফের রাত ২ টো বেজে ১৫ মিনিটে দ্বিতীয় দরজা ভাঙার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। শনিবার গভীর রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুরের কাঁকসা অঞ্চলের পানাগড় এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কাঁকসার গুরুদ্বারা রোডে মধ্যরাতে সিপিআইএম নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। দরজা ভেঙে ওপরে উঠে আরও একটি দরজা ভাঙার চেষ্টা করলে পরিবারের সদস্যদের চিৎকার চেঁচামেচিতে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রায় দশ মিনিট ধরে এই তাণ্ডব চলে যদিও কিছু নিতে পারেনি দুষ্কৃতী দল। কিন্তু সশস্ত্র এই দুষ্কৃতী দল কি কারণে এসেছিলো? তা নিয়ে ধন্দে পরিবারের সদস্যরা।
সম্ভবত খুনের উদ্দেশেই ৯ জন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ করেন সিপিআইএম নেতা তথা কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ওমপ্রকাশ আগরওয়াল।
দুষ্কৃতী তাণ্ডবের এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসায় তোলপাড় কাঁকসা অঞ্চল জুড়ে। গোটা ঘটনায় আতঙ্কে পানাগড় চেম্বার অফ কমার্সের চিফ অ্যাডভাইজার সহ বাম নেতারা।
জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু হল এক মহিলার। জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম নূরজাহান বেগম। বাড়ি মেটেলি ব্লকের বামনী বনবস্তিতে। জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে ওই মহিলা লাটাগুড়ির জঙ্গলের বড়দিঘি বিটে গিয়েছিলেন। সেই সময় জঙ্গলে একটি বুনো হাতি ঢুকে পড়ে। সেই বুনো হাতির আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনদফতরের কর্মী এবং মেটেলি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়।
পাশাপাশি, স্থানীয়দের অভিযোগ, জমির ফসল সাবাড় করতে হাতির হানা অব্যাহত রয়েছে ডুয়ার্সের একাধিক এলাকায়। গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন উত্তর ধূপঝোড়ায় তিনটি বুনোহাতি চলে আসে। মূলত জমির ধান সহ অন্যান্য ফসল খেতেই হাতিগুলি হানা দেয়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে হাতিগুলি তাড়ানোর চেষ্টা করে। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। এরপর খবর পেয়ে বনদফতরের খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা এসে ওই হাতিগুলিকে তাড়িয়ে জঙ্গলে ফেরায়। তবে হাতি হানাতে মৃত্য়ুর ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
আবারও হাতির হানায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। শনিবার সকালে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে নকশালবাড়ির ওড চা বাগানের ২৬ নম্বর সেকশন থেকে। জানা গিয়েছে, গত তিন দিন নিখোঁজ ছিল ওই ব্যক্তি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে এদিন জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায় ওই ব্যক্তির মৃতদেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতের সময় খাবারের সন্ধানে হাতির দল জঙ্গল ছেড়ে তাণ্ডব চালায় লোকালয়ে। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার খড়িবাড়ির বুড়াগঞ্জ-এ হাতির দল ভাঙচুর চালায় বেশ কয়েকটি ঘর বাড়ি। ঠিক একইভাবে শুক্রবার হাতির দল নকশালবাড়ির ওড চা বাগানে ঢুকে পড়ে এবং দাপিয়ে বেড়ায় গোটা এলাকাজুড়ে। এরপর এদিন সকালে নকশালবাড়ির ওড চা বাগানে চা শ্রমিকেরা চা পাতা তুলতে গিয়ে চা বাগানের ভিতরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পায়। এরপর খবর দেওয়া হয় নকশালবাড়ি থানায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পানিঘাটা বনদফতরের কর্মীরা গিয়ে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। বনদফতরের অনুমান, হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। এর আগেও হাতির হানায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু ঘটেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বনদফতর চাইলেই হাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা করতে পারে সাধারণ মানুষদের। তা সত্ত্বেও বনদফতরের পক্ষ থেকে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
বেশ কয়েকদিন ধরে গাজায় ঢুকে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। হামাসের বেশ কয়েকটি ডেরাও ধ্বংস করেছে তাঁরা। এবার পাল্টা ইজরায়েলের শহরে নতুন করে হামলা চালালো হামাস গোষ্ঠী। সীমান্ত শহর ইরেজে হামলার সেই ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে খোদ হামাস গোষ্ঠী।
আল-কাসাম ব্রিগেডের ফুটেজে দেখা গেল, বেশ কয়েকজন টানেল থেকে উঠে খানিকটা এগিয়ে গেল। তারপরই শহরকে লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালাতে দেখা গেল তাঁদের।
এদিকে মঙ্গলবার হামাস নির্মিত বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গে অভিযান চালায় ইজ়রায়েল বাহিনী। একটি সুড়ঙ্গ থেকে যুদ্ধবন্দি এক সেনাকে উদ্ধার করে তারা। উল্লেখ্য, হামাস শর্তসাপেক্ষে যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিলেও, ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যুদ্ধবিরতি করা হবে না।
পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীর গায়ে অ্যাসিড ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরূদ্ধে। ঘটনায় জখম এক শিশু সহ আরো দু'জন। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। শনিবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার মহিল্লাপাড়া গ্রামে। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত স্বামীর নাম অসীম লেট। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মাড়গ্রাম থানার পুলিস।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে স্বামী স্ত্রী মধ্যে অশান্তি চলছিল। গতকাল অর্থাৎ শনিবার সকালে অসীম লেটের স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে মাড়গ্রাম থানার মহিল্লাপাড়া মেয়ের বাড়ি যায়। সেই খবর শুনে অসীম লেটও তাঁর মেয়ের বাড়ি যায় স্ত্রীর খোঁজে। তারপর সেখানে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তির সৃষ্টি হয়।
অভিযোগ, অশান্তির চলাকালীন বোতলের মধ্যে থাকা অ্যাসিড বের করে তাঁর স্ত্রীর গায়ে ছোড়ে অভিযুক্ত স্বামী। অসীমের ছোঁড়া অ্যাসিড তাঁর স্ত্রী, মেয়ে এবং নাতির গায়েও লাগে। পরিবারের লোক তাঁদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত স্বামী অসীম লেট। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।
হাতির সামনে পড়ে গিয়ে আহত হল দুই পুলিসকর্মী। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ায় প্রবেশ করেছে ৪০ টি হাতি। বুধবার ওই হাতির দলের একটি বাচ্চা হাতির মৃত্যু হয় বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর সীমান্তে। এই ঘটনার পর থেকেই ওই হাতির দল খুব আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই হাতির দল পাঞ্চেত বনবিভাগের আস্থাশোল জঙ্গল থেকে বিষ্ণুপুরোমুখী হয়। সেখানে ডিউটিতে ছিলেন বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। হাতির দল রাস্তা পারাপার করার সময় একটি হাতি কর্তব্যরত দুই পুলিসের ওপর আক্রমণ করে। ঘটনায় জখম হন ওই দুই পুলিসকর্মী। এরপর স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে। বর্তমানে ওই দুই পুলিসকর্মী সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, ওই হাতির দল বনদফতরের এলিফ্যান্ট স্কোয়ার্ড টিম ও বনকর্মীদের তৎপরতায় পাঞ্চেত বনবিভাগের বিষ্ণুপুর, জয়পুরের জঙ্গল পেরিয়ে গোসাইপুরের কাছে দ্বারকেশ্বর নদ পেরিয়ে হিংজুড়ি, কুশদ্বীপ হয়ে বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের সোনামুখী রেঞ্জের তেঁতুলবাধে অবস্থান করছে। তবে এখনও হাতির হানায় ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
চলন্ত ট্রেনে মহিলা কনস্টেবলকে আক্রমণ। অভিযুক্তকে এনকাউন্টার (Encounter) করে নিকেশ করল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিস (Police)। অভিযুক্তের দুই সঙ্গী এখনও চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, গত ৩০ শে অগাস্ট সরযূ এক্সপ্রেসে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হয়েছিল ওই মহিলা পুলিস কর্মীর দেহ। গুরুতর অবস্থায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। অভিযুক্তের খোঁজ পেয়েই এনকাউন্টার করে পুলিস।
উত্তরপ্রদেশ পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা কনস্টেবলকে আক্রমণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম আনিস। শুক্রবার সকালে পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে আনিস ও তার দুই সঙ্গী। পুলিসের গুলি লেগে গুরুতর আহত হন আনিস। পরে তার মৃত্যু হয়। আনিসের দুই সঙ্গী আজাদ খান ও বিশ্বম্ভর দয়ালও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এক কর্মী রতন শর্মাও আহত হয়েছেন এনকাউন্টার চলাকালীন।
প্রসঙ্গত, ৩০ অগাস্ট অযোধ্যা স্টেশনে সরযূ এক্সপ্রেসের কামরা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক মহিলা কনস্টেবলকে। ধারা্লো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মুখ কোপানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে মারধর করে ভেঙে দেওয়া হয় মাথার খুলিও। গুরুতর অবস্থায় ওই পুলিসকর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও লখনউয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
বাঙালিদের সকালে ঘুম থেকে উঠতেই তাঁদের দরকার চা-বিস্কুটের (Tea-Biscuit)। বাঙালি ছাড়াও এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা সকালের শুরু চায়ের কাপে চুমুক ও বিস্কুটে কামড় দিয়েই শুরু করেন। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, সকালের শুরু চা ও বিস্কুট দিয়ে শুরু করাটা কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হচ্ছে? তবে অনেকে আবার এও জানেন না যে, সকাল সকাল চা-বিস্কুট শরীরের ক্ষতি পারে। তবে এবারে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চা-বিস্কুট খাওয়া কেন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আসলে বিস্কুটে সুগারের মাত্রা অত্যন্ত বেশি থাকে। সুগারের অত্যধিক প্রভাব ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে। আর তার ছাপ ফুটে ওঠে ত্বকে। এছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় শরীরে ডায়াবেটিসের মত রোগ-ব্যাধি বাসা বাঁধে। এছাড়াও এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, চা-বিস্কুট দিয়ে সকাল শুরু করলেই শরীরের স্ট্রোক, হৃদরোগ এমনকি স্থূলতার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠেই চা-বিস্কুট না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।