ফের রক্তাক্ত জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir)। কাশ্মীরের রাজৌরি (Rajouri) সেক্টর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পরগল এলাকার সেনা ঘাঁটিতে একটি আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় (terrorist attack) শহিদ হয়েছেন তিন সেনা জওয়ান (Army)। আহত আরও তিন। নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে খতম হয়েছে তিন জঙ্গি।
জানা গিয়েছে, ওই সেনা বেসের অপারেটিং ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। এবং সেনা ক্যাম্পে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল দুই জঙ্গি। সেনা জওয়ানরা দেখতে পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে গুলি করে খতম করেন তাদের। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খবর, এখনও আশপাশে জঙ্গিদের তল্লাশি চলছে। জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সেনারা।
জম্মু জোনের অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার মুকেশ সিং বলেছেন, হামলায় কয়েকজন সেনা কর্মীও আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা আধিকারিকরা এলাকাটি ঘেরাও করে রেখেছেন এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত টিম পাঠানো হয়েছে। ওই তিন জঙ্গি সেনা ক্যাম্পে আত্মঘাতী হামলা চালাতে এসেছিল। কিন্তু সেনার সতর্ক প্রহরায় তা সফল হতে পারেনি। নয়তো বড়সড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত। এই জঙ্গিরা আত্মঘাতী (ফিদায়েঁ) বাহিনীর বলেই অনুমান।
তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভের জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। সোমবার রাতে ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলির বাড়িতে হামলার অভিযোগ। স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, যে কোনও পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকার দাবি করেন বিধায়ক। এরপরই সোমবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিস আলির বাড়ির সামনে দলেরই একাংশ কার্যত তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে । অভিযোগের তিরে তৃণমূলের কুঠিরামপুর এলাকার অঞ্চল সভাপতি মোস্তাফা শেখ। একটি সাংগঠনিক মিটিং চলার সময় এই হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় ভগবানগোলা থানার পুলিস। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে, বিরোধীদের অভিযোগ ,টাকা দিয়ে পদ পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি চলছে ভগবানগোলায়। আর সেই কারণেই আজকের এই পরিণতি। কুঠিরামপুরের অঞ্চল সভাপতিও অভিযোগ করেছেন, অঞ্চল সভাপতি হওয়ার জন্য তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ব্লক সভাপতি করার জন্যও টাকা নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ভগবানগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ইদ্রিশ আলির আপ্ত সহায়ক মফিজুল হক। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি। অভিযোগকারীদের একটাই দাবি, এই বিধায়ককে তারা চান না। বিধায়ক দলের ভিতরে ভেদাভেদ তৈরি করছেন। এর সমাধান চান তারা।