বুনো হাতির হামলায় (Elephant Attack) ভাঙল বসত বাড়ি ও দোকান। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারিহাট (Alipurduar) মেঘনাদ সাহা নাগর এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে হাতির তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে বাড়ি ও দোকান। এই ঘটনায় স্থানীয়রা বন দফতরের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগ, হাতিগুলিকে লোকালয় থেকে তাড়াতে বন দফতরের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান থেকে বেড়িয়ে একটি বুনো দাঁতাল হাতি সাহানাগর এলাকায় ঢুকে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। তরপরেই শুরু করে তাণ্ডব খেলা। প্রথমেই হামলা চালায় রিবি ওঁরা নামের একজনের দোকানে। তারপরেই আসে গোপাল দাস নামের এক ব্যক্তির সামনে। গোপাল দাসের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে যায় হাতিটি যায় ভারতী দাস নামের এক এলাকাবাসীর বাড়ির দিকে। স্থানীয়দের দাবি, ভারতী দাসের বাড়িতে যখন হাতিটি যায় তাঁরা ঘরে ঘুমোচ্ছিল। হাতি ঘর ভাঙছে টের পেতেই তাঁরা দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তাঁরা।
ধারালো অস্ত্র (Weapons) দিয়ে ভুটভুটি চালককে খুনের চেষ্টা (Attack) করার অভিযোগ উঠল কিছু দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মাদারিহাট (Alipurduar) থানার অন্তর্গত নয়মাইলের হলং এলাকায়। এই ঘটনায় ওই ভুটভুটি চালক গুরুতরভাবে জখম হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহত (Injured) অবস্থায় ওই চালককে উদ্ধার করে মাদারিহাট হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং সেখান থেকে তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
আহতর পরিবার সূত্রে খবর, আহত ওই ভুটভুটি চালকের নাম জব্বার মিঞা। তিনি মাদারিহাট নয়মাইলের বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, নয়মাইল থেকে হলং যাওয়ার পথে কিছু দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর আক্রমণ করে। তারপরেই গুরুতর ভাবে আহত হয়ে পড়েন তিনি। আর এই ঘটনার পরেই স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, কে বা কারা এই আক্রমণ করেছে তা এখনও জানা যায়নি।
নির্মীয়মান মহাসড়ক (Highway) যেন মৃত্যু ফাঁদ। ঠিক এমনই অবস্থা ফালাকাটা থেকে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) সলসলা বাড়ি পর্যন্ত নির্মীয়মান মহাসড়কের। সড়কের কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। পাশাপাশি নদীর উপরে তৈরি করা ডাইভার্সন বহু আগেই চলে গেছে নদী গর্ভে। তার ওপর দিয়েই কোনওক্রমে চলছে যাতায়াত। তবে সবকিছু ঠিকঠাক করতে শুরু হয়েছিল রাস্তার কাজ। কিন্তু কয়েকমাস হল নির্মাণকারী সংস্থা মহাসড়ক নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ রেখেই পাততাড়ি গুটিয়েছে। তাই রবিবার জাতীয় মহাসড়ক উন্নত করার দাবিতে ফালাকাটা সংলগ্ন বালুরঘাট ডাইভার্সন এলাকায় গণসংগ্রাম কমিটির সদস্যরা বিক্ষোভে (Agitation) নেমেছেন।
স্থানীয়দের দাবি, এই রাস্তার উপর দিয়েই কোনোক্রমে চলছে যাতায়াত। তবে বর্ষাকালে যখন নদীতে জল বাড়ে তখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ারের মধ্যে। স্থানীয়দের দাবি, আলিপুরদুয়ার সলাবাড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত প্রায় ৪১ কিমি মহাসড়কের এমন বেহাল অবস্থা। খারাপ অবস্থার কথা প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরে শুরু হয়েছিল কাজ। কিন্তু কয়েকমাস ধরে অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই ওই রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
হাতির হানায় (Elephant Attack) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচটি পরিবার। শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগানের সান্থাল লাইন ও মিশন লাইনে। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় ওই পাঁচটি পরিবার প্রশাসনের কাছে আর্থিকভাবে সহযোগীতার আবেদন জানিয়েছেন। এমনকি হাতির হামলা থেকে বাঁচার সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করারও আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে হামলা চালায় দাঁতাল হাতি। তারপরেই সংশ্লিষ্ট চা বাগানের ওই দুটি লাইনের পৃথক ৫ টি ঘর ভেঙে দেয় হাতিটি। শুধু তাই নয়, ঘরে মজুত রাখা চাল, আটাও সাবার করে দেয় হাতিটি। স্থানীয়দের দাবি, একটি বিশাল হাতি প্রথমে তাসাটি চা বাগানের মিশন লাইনে তাণ্ডব চালায়, তারপরেই সান্থাল লাইনে হানা দেয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক তাণ্ডব চালায় হাতিটি।
প্রসঙ্গত, রবিবার সাত সকালে একটি হাতিকে দেখতে পায় বাগডোগরা সেনা ছাউনির জাওয়ানরা। এই ঘটনায় রীতিমতো তাঁরা ভয় পেয়ে যায়। জওয়ানদের দাবি, মাঝেমধ্যেই এভাবে জঙ্গল থেকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বেরিয়ে আসে হাতি। এর আগেও ঠিক একইভাবে সেনা ছাউনির ভেতর ঢুকতে দেখা গিয়েছিল হাতিকে। তবে আজ অর্থাৎ রবিবার জওয়ানদের ছাউনির কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতি না করেই জঙ্গলে ফিরে যায় হাতিটি।
দক্ষিণবঙ্গে যখন হাঁসফাঁস গরমে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়েছে তখনই উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতি ছিল ৪২ শতাংশ। তবে শনিবার থেকে পরিস্থিতি বদলাতে পারে এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার সারাদিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মূলত মেঘলাই থাকবে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভবনা দক্ষিণবঙ্গে।
এদিকে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের ওপরের ৫টি জেলায় ভারী বৃষ্টি ও বাকি ৩টি জায়গায় মাঝারি বৃষ্টি আপাতত চলবে। এর মধ্যে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। একদিকে উত্তরবঙ্গে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বানভাসি পরিস্থিতি। ফলে ওই দুই জেলায় ডুয়ার্স সহ বিভিন্ন এলাকা বন্যা পরিস্থিতির শিকার। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শনিবার ওই এলাকার বন্যা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক। কিছুটা হলেও জলস্তর নেমে ওই এলাকাগুলির। যদিও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তর বঙ্গে এখনই বৃষ্টি বন্ধ হচ্ছে না।
বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আলিপুরদুয়ারেই হেরে গেলেন দলের জেলা সভাপতি নিজেই। তৃণমূল প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে মাত্র ১টা ভোট কম পেয়ে হেরে গেলেন ভূষণ মোদক।
২০২১-এর বিধানসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারে সব ক’টি আসনেই জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু তার পরই ছন্দপতন। প্রথমে বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা সদলবলে যোগ দেন তৃণমূলে। তার পর ভূষণকে আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেয় বিজেপি।তেইশের পঞ্চায়েতে ভূষণ দাঁড়িয়েছিলেন ফালাকাটার ময়রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী হিসাবে। মঙ্গলবার ফলপ্রকাশ হলে দেখা গেল, মাত্র ১ ভোটে ভূষণকে হারিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বিমল মোদক।
হারের পর তিনি বলেন, ‘গোটা জেলার দায়িত্ব আমার উপর ছিল। তাই নিজের জায়গায় একদমই সময় দিতে পারিনি। আমার কাছে আরও একটু সময় চেয়েছিলেন কর্মীরা। কিন্তু কী আর করব! আমি অজুহাত দেওয়ার লোক নই।’
নিজের মা কে খুন (Killed) করল ছেলে! বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম থানার বেংডোবা বনবস্তি এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুমারগ্রাম থানার পুলিস (Police)। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এমনকি এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতার নাম বাহা টুডু (৫৯) এবং অভিযুক্ত ওই ছেলের নাম রমান টুডু (৩৩)। পুলিস আরও জানিয়েছে, অভিযু্ক্ত ওই ছেলেটি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। সূত্রে খবর, বাড়িতে মা বাহা টুডুকে নিয়ে বসবাস করত ছেলে রমান টুডু। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে দেখতে পান বাহা টুডু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তারপরেই স্থানীয়রা কুমারগ্রাম থানায় খবর দেয়।
প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব (Conflict)। সোমবার রাতে আলিপুরদুয়ার ১নং ব্লকের ও বিবেকানন্দ ২ নং অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে ২ গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরী হয়। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী। কালচিনি, জয়গাও -এর পর এবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) এক নম্বর ব্লক। সব জায়গায় একই চিত্র উঠে আসছে। যে কারণে জেলায় এখনও পর্যন্ত একটিও মনোনয়ন দাখিল করতে পারেনি শাসক দল।
সূত্রের খবর, এদিন রাতে বিবেকানন্দের ২ নং অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকার প্রার্থী বাছাই নিয়ে আলোচনায় বসেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, তার কিছুক্ষণ বাদেই অঞ্চল সভাপতি সুকান্ত দে দলবল নিয়ে ওই কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। আচমকাই কার্যালয়ে থাকা অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। ভেঙে ফেলা হয় কার্যালয়ের বহু চেয়ার, খুলে ফেলা হয় দলীয় পতাকা। এমনকি মহিলা তৃণমূল কর্মীদের ওপর আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী নিয়ে পৌঁছন আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য। তাঁকেও ধাক্কাধাকির মধ্যে পড়তে হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে এই পরিস্থিতি চলে কার্যালয়ের ভিতরে। অবশেষে আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য দুপক্ষকে আলাদা করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এর পরেই কার্যালয়ে তালা বন্ধ করে দেন এলাকার বাসিন্দারা। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে অঞ্চল সভাপতি সুকান্ত দের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জমি বিক্রির টাকার ভাগ নিয়ে বিবাদ। বিবাদের জেরে মাকে খুন (Killed) করে দেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালাকাটা থানার অন্তর্গত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিলরোড এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় ফালাকাটা থানার পুলিস (Police)। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই মায়ের নাম মায়া চট্টোপাধ্যায় (৬৫)। আর অভিযুক্ত ছেলের নাম বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, জমি বিক্রির টাকার বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদের জেরে নিজের মাকে খুন করে অভিযুক্ত। তারপরে সেই দেহ শৌচালয়ের সেফটি ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টাও করে। তবে স্থানীয়রা এই খবর জানতে পেরে খবর দেয় পুলিসে। পুলিস এসে শৌচালয়ের সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে দেহটি উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানিয়েছে, ওই পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জমি বিক্রি করা হয়েছিল। সেই জমি বিক্রির টাকার ভাগ পাওয়া নিয়েই মা ও ছেলের মধ্যে বচসা প্রায়ই লেগেই থাকতো। আর এর ফলেই এমন ঘটনা। তবে ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনার তদন্তের ভার নিয়েছেন ফালাকাটা থানার আইসি সমিত তালুকদার।
নেশার ট্যাবলেট (Drug Tablets) সহ গ্রেফতার (Arrest) এক মহিলা। সোমবার রাতে কালচিনি থানার পুলিস আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার ভুটান সীমান্তবর্তী সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকা থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত মহিলাকে মঙ্গলবার সকালে জলপাইগুড়ি কোর্টে পেশ করেছে পুলিস (Police)। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই মহিলার নাম প্রীতি লামা। অভিযুক্ত কালচিনি ব্লকের সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকার বাসিন্দা।
পুলিস আরও জানিয়েছে, সোমবার রাতে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে কালচিনি থানার পুলিস সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে ওই এলাকারই বাসিন্দা প্রীতি লামাকে গ্রেফতার করে এবং তার কাছ থেকে প্রচুর নেশার ট্যাবলেটও উদ্ধার করে পুলিস।
এ বিষয়ে কালচিনি থানার ওসি টিএন লামা জানান, অভিযুক্ত মহিলা নিজের দোকান থেকেই নেশার ট্যাবলেট বিক্রি করতো। সোমবার অভিযান চালিয়ে মহিলাকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। মহিলার কাছ থেকে প্রায় ১ হাজার পিস নেশার ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আ্যক্টে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এমনকি এই ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
ফের পাচারের (Smuggling) চেষ্টা বানচাল করল পুলিস (Police)। বিএসএফ-এর (BSF) স্টিকার লাগানো বাইকে করে নেশার ট্যাবলেট (Addictive Tablets) পাচারের চেষ্টায় এক যুবকেক গ্রেফতার করল সোনাপুর (Alipurduar) ফাঁড়ির পুলিস। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোনাপুর পুলিস ফাঁড়ির ওসি মিংমা শেরপা নিজে অভিযান চালিয়ে চিলাপাতা চেকিং পয়েন্ট-এ নেশার ট্যাবলেট সহ একটি বাইক আটক করে। এই অভিযানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিসের এসডিপিও দেবাশীষ চক্রবর্তী ও আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচাৰ্য।
পুলিস জানিয়েছে, কোচবিহার থেকে জয়গাঁও যাওয়ার পথে চিলাপাতা মোড়ে চেকিং পয়েন্ট থেকে নেশার ট্যাবলেট সহ ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি কোচবিহার জেলায়। অভিযু্ক্ত পুলিসের নজর এড়াতে বাইকে বিএসএফ-র স্টিকার লাগিয়ে ট্যাবলেটগুলি পাচারের চেষ্টা করছিল। তবে পুলিসের তৎপরতায় তা সফল করতে পারেনি পাচারকারী। ইতিমধ্যেই বাইক সহ পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিস।
প্রসঙ্গত, মাঝে মাঝেই এই পথ ধরে নেশার সামগ্রী ভুটানে পাচারের চেষ্টা করে পাচারকারীরা।
ফের লোকালয়ে দেখা মিলল বাইসনের (Bison)। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সাঁতালি এলাকায়। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে বাইসনকে কাবু করলেন বন দফতরের (Forest Department) কর্মীরা। বাইসনের প্রবেশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটি বাইসন লোকালয়ে চলে আসে। বাইসনটি বেশ কিছুক্ষণ এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। খবর দেওয়া হয় বন দফতরফে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ও জলদাপাড়া বনবিভাগের বনকর্মীরা। সেখানে পৌঁছে দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় বাইসনটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি ছুঁড়ে কাবু করেন তাঁরা। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইসনটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর, আবার তাকে জলদাপাড়া জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। এর আগে এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে। এমনকি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে গ্রামে ঢুকে স্থনীয় বাসিন্দাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
বন দফতরের (Forest Division) সচেতনতায় সাড়া দিয়ে এবার বন রক্ষায় (Forest Protection) এগিয়ে এল কাঠ মাফিয়ারা (Wood Smuggler)। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম ব্লক ও সংলগ্ন কোচবিহার জেলার ঘটনা। এ যেন অনেকটা রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হয়ে ওঠার গল্প। বন দফতরের সচেতনতার ডাকে সাড়া দিয়ে, এক সময়ের দুর্ধর্ষ কাঠ মাফিয়ারাও কাঠ পাচার ছেড়ে বন রক্ষার কাজে সামিল হলেন। বন দফতরের রেঞ্জ অফিসে এসে তা রীতিমতো অঙ্গীকার করে গেলেন কাঠ মাফিয়ারা। তাঁদের মুখে এখন শুধু একটাই কথা, 'আগে যা করেছি ভুল করেছি, আর কোনও দিন বন ধংস করবো না।' উল্টে তাঁরা প্রতিজ্ঞাও করেছেন, 'বন রক্ষাই এখন থেকে হবে তাঁদের প্রধান কাজ।'
বন দফতর সূত্রে খবর, এই কাঠ মাফিয়াদের মধ্যে অনেকেই এক সময় কাঠ পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরাও পরেছেন বন দফতরের কাছে। এমনকি তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে এখনও মামলা চলছে, অনেকে আবার জামিনে মুক্ত। আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লক সংলগ্ন কোচবিহার জেলার বেশ কয়েকজন কাঠ পাচারকারীকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভল্কা রেঞ্জে ডেকে পাঠান সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার প্রভাত কুমার বর্মন।
রেঞ্জ অফিসার প্রভাত কুমার বর্মনের দফতরে দীর্ঘক্ষণ চলে এই বন্য সচেতনতার পাঠ। সেখান থেকেই বাইরে বেরিয়ে বনভক্ষক থেকে বনরক্ষক হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন, জঙ্গলের কাঠ অবৈধভাবে পাচার করা বাদ দিয়ে সৎ পথেই চলবেন তাঁরা। পাশাপাশি বনাঞ্চল রক্ষায় বন দফতরকে সহয়োগিতার হাতও বাড়িয়ে দেবেন প্রতিনিয়ত। এমনকি তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কাঠ পাচার সম্পর্কিত বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পেয়েছে বন দফতর, এমনটাই জানিয়েছেন ভলকা রেঞ্জ অফিসার প্রভাত বর্মন।
চা বাগানে খাঁচাবন্দী হয় একটি লেপার্ড (Leopard)। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি ব্লকের আটিয়াবাড়ি চা বাগান এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে নিমতি রেঞ্জের বনকর্মীরা (Forest Department) পৌঁছে খাঁচাবন্দী লেপার্ডটিকে উদ্ধার করে রাজাভাতখাওয়ায় নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, সোমবার খুব ভোরে খাঁচাবন্দী হয় লেপার্ডটি। এদিন সকালে আটিয়াবাড়ি চা বাগানের ১৬ নং সেকশনে বনদফতরের পাতা খাঁচাতেই ধরা পড়ে ওই পূর্ণবয়স্ক লেপার্ডটি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকালে কাজ করতে গিয়ে বাগানের শ্রমিকরা খাঁচাতে ওই লেপার্ডটিকে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা বন দফতরে খবর দেন। বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে লেপার্ডটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
বন দফতর সূত্রে খবর, পশু চিকিৎসক লেপার্ডটিকে পরীক্ষা করে সুস্থ ঘোষণা করেছেন। লেপার্ডটি সুস্থ আছে জেনে বক্সারের গভীর জঙ্গলে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই আটিয়াবাড়ি চা বাগানে লেপার্ডের উপদ্রব চলছে। এখনও পর্যন্ত দুজন শ্রমিক লেপার্ডের হানায় জখমও হয়েছে। তাই চা বাগান কর্তৃপক্ষের অনুরোধেই বন দফতর লেপার্ড ধরতে খাঁচা পেতেছিল। এমনকি এই কাজে সফলও হয়েছে বন দফতর।
কথায় আছে 'প্রয়োজনীয়তা উদ্ভাবনের জনক', সেই কথাকেই সত্যি করল এক খুদে স্কুলপড়ুয়া (Student)। তাই তীব্র গরম থেকে রেহাই পেতে সাইকেলে ফ্যান লাগিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই পড়ুয়া। ফালাকাটা (Alipurduar) ব্লকের জটেশ্বর ৩ নম্বর অতিরিক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর এক পড়ুয়ার এই অভিনবত্বে হতভম্ব শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। রাজ্যজুড়েই চলছে তাপ প্রবাহ, আর তা থেকে বাদ পড়ছে না কেউই। তাই এই তাপ প্রবাহের মধ্যেই বিদ্যালয় যেতে খানিকটা স্বস্তির উদ্দেশে, নিজের সাইকেলে ফ্যান লাগিয়ে ফেললো এই খুদে পড়ুয়া।
জানা গিয়েছে, চতুর্থ শ্রেণীর ওই খুদে ছাত্রর নাম প্রিয়াংশু সরকার। বাড়ি ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বরে। বিদ্যালয়ের হাতের কাজের পরীক্ষায় নানা চিন্তা-ভাবনা করে সে ওই সাইকেলে মোটর চালিত ফ্যান তৈরি করেছে। সকালে বিদ্যালয় খুলতেই বাড়ি থেকে ওই সাইকেল নিয়েই বিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হয় প্রিয়াংশু। বিদ্যালয়ে পৌঁছতেই শিক্ষক-শিক্ষিকারাও তার এই সাইকেল দেখে অবাক হয়ে যায়। এমনকি প্রিয়াংশুর ওই সাইকেল দেখার আগ্রহ প্রকাশ করে স্কুলের বাকি ছাত্রছাত্রীরাও।
এমনকি এই খবর পেয়ে ওই খুদে পড়ুয়া প্রিয়াংশু সরকারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন ডিপিএসসি চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মন। ডিপিএসসি চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মন জানান, প্রিয়াংশু আমাদের গর্ব, তাঁকে আশীর্বাদ ও সংবর্ধনা প্রদান করতেই এখানে আসা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে ফুলের তোড়া ও মিষ্টি মুখ করিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয় প্রিয়াংশুকে। সংবর্ধনা পেয়ে বেশ আপ্লুত প্রিয়াংশুও।