ফের হাতির হানায় মৃত্যু (death)। এবার প্রাণ গেল এক চা বাগান শ্রমিকের। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার মাদারিহাট থানার মুজনাই চা বাগানের। শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতার নাম মালো গঞ্জু। তিনি চা বাগানের ৫ নম্বর লাইনের বাসিন্দা। শুক্রবার ওই যুবতি ম্যানেজারের বাংলো থেকে ঘরে ফিরছিলেন। সেই সময় একটি হাতি (elephant) তাঁর উপর আক্রমণ করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। দেহটি উদ্ধারে গিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বনকর্মীদের। বনদফতরের মাদারিহাট রেঞ্জ (Madarihat Range) সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তবে স্থানীয়দের বক্তব্য, এলাকায় নিত্যদিন হাতির হানা লেগেই রয়েছে। সন্ধ্যার পর হাতির ভয়ে ঘর থেকে বেরোনো যায়না। হাতির আক্রমণে মাদারিহাটে পরপর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। হাতির হানা বন্ধের জন্য একাধিকবার বলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। কিন্তু এবার পাকাপোক্ত ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তাঁরা। তবে বনদফতরের দাবি, হাতির হানা রুখতে লাগাতার টহল চলছে তাঁদের পক্ষ থেকে।
শুক্রবারের এই মর্মান্তিক ঘটনার পর চা শ্রমিকরা শনিবার বাগানের কাজ বন্ধ রাখে। এদিন ফ্যাক্টরির সামনে জমায়েত হয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা দাবি রাখেন। তাঁরা জানান, বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের সমস্ত কাজ থেকে ছুটি দিতে হবে। তা না হলে শ্রমিকদের বাগান কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সঠিক নিরাপত্তার সঙ্গে শ্রমিক মহল্লায় পৌঁছে দিতে হবে।
কোভিড (covid19) অতিমারী প্রতিবেশী বন্ধু দুই রাষ্ট্রের টুইন টাউনকে (Twin Town) একে অপরের থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল দীর্ঘ আড়াই বছর। কোভিড থেকে নিজের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে এই পন্থাই অবলম্বন করেছিল ভুটান (Bhutan)। আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর শুক্রবার থেকে অবশেষে খুলে গেল জয়ঁগার ভুটান গেট। শুক্রবার সকালে ভুটান গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে জয়ঁগা ভুটান গেটের সামনে অজস্র মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দীর্ঘদিন পর আগের মতোই ভুটানে প্রবেশের জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় জমান।
এদিন ভুটান গেট খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে সিরিং। তিনি জানান, "দীর্ঘ করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে ভুটান গেট খুলতে পেরে আমরা খুশি। আমাদের দেশে ৯৪ শতাংশ মানুষের কোভিড ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ হয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, আড়াই বছর ভুটান গেট বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে ভারতীয় শহর জয়ঁগাকে। একসময় যে শহরে যানজট লেগে থাকত, ভুটান গেট বন্ধ থাকার সময় জয়ঁগা-এর শূন্য রাস্তায় নিশ্চিন্তে গরু চড়তেও দেখা গেছে। বহু ব্যবসায়ী এই শহর ছেড়ে ব্যবসা গুটিয়ে পাড়ি দিয়েছেন অন্য কোনও শহরে। তবে এবার সকলের আশা আজ থেকে ভুটান গেট খুলে যাবার পর আবার আগের রূপেই ফিরবে আলিপুরদুয়ারের সীমান্ত শহর জয়ঁগা।
নৃশংস ঘটনা। বহুল প্রচলিত প্রবাদ- "মামা ভাগ্নে যেখানে, ভয় নেই সেখানে"। তবে আধুনিক যুগে এই প্রবাদ বাক্যে কার্যত জল ঢেলে দিয়েছে ভাগ্নে। ভাগ্নের ভোজালির কোপে মৃত্যু (death) মামার। নৃশংসভাবে মামাকে খুনের (murder) ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোমবার রাতে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার মথুরা চা বাগানে।
জানা যায়, মথুরা চা বাগানের গীর্জালাইনের বাসিন্দা প্রেম কিশোর লাকড়া। অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁর মামা রাজেন টিগ্গার উপর ভোজালি দিয়ে আঘাত করে। খবর জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে সোনাপুর ফাঁড়ির পুলিস ও পরিবারের সদস্যরা এসে উপস্থিত হয়। গুরুতর আহত রাজেন টিগ্গাকে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার গভীর রাতেই পুলিস অভিযুক্ত প্রেম কিশোর লাকড়াকে গ্ৰেফতার করে। অভিযুক্তকে মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার কোর্টে তোলা হয়। দোষীর শঠিক শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার।
নৃশংস ঘটনা! পরকীয়া সন্দেহে প্রতিবেশির হাতে খুন (murder) হলেন এক বৃদ্ধ। ঘটনাটি রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার দক্ষিণ কামাখ্যাগুড়ি এলাকার। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দোষীর সঠিক শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যাতে বৃষ্টি হচ্ছিল, এমন সময় বাড়ির বারান্দায় বসে ছিলেন বয়স ৬৫-এর রশিয়া রাভা। সেই সময় প্রতিবেশি এক ব্যক্তি মাছ মারার শুল দিয়ে রশিয়া রাভাকে বুকে পেটে আঘাত করে। আঘাতের তীব্রতা এতটাই ছিল, শুলের আঘাত এফোর অফোর হয়ে যায় রশিয়া। পরিবারের সদস্যরা আহত (injured) অবস্থায় তাঁকে তড়িঘড়ি কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল (hospital) নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সকরা রশিয়াকে মৃত (dead) ঘোষণা করেন। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কামাখ্যাগুড়ি ফাড়ির পুলিস (police)। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস৷ ঘটনার পরই লাপাতা ছিল অভিযুক্ত। কিন্তু পুলিসি তত্পরতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বড়সড় সাফল্য পেল জয়গাঁ থানার পুলিস (police)। ক্লাউডেড লেপার্ডের চামড়া ও ভাল্লুকের পিত্তথলি-সহ এক ব্যক্তিকে ভুটান (Bhutan) সীমান্ত থেকে যৌথ অভিযান গ্রেফতার করে পুলিস ও বন দফতরের হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জ (Hamiltonganj Range)।
জয়গাঁ থানা (police station) সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা জয় বিজয় রায় নামের এক ব্যক্তি একটি ব্যাগে করে ক্লাউডেড লেপার্ডের চামড়া, ভাল্লুকের পিত্তথলি নিয়ে এসেছিল ভুটান সীমান্তের জয়গাঁ এলাকায়। এই ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া কাশিপুরের (cossipore) বাসিন্দা।
তবে রবিবার সন্ধ্যায় সে হাসিমারায় এসে পৌঁছেছে, নাকি আগের থেকেই এই এলাকায় ছিল সেই বিষয় এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিস। তবে পুলিস ও বন দফতরের কাছে খবর ছিল ভুটানগামী এশিয়ান হাইওয়েতে এক ব্যক্তি ক্লাউডেড লেপার্ডের চামড়া ভর্তি ব্যাগ নিয়ে অপেক্ষা করবে। সেই খবরের ভিত্তিতে এশিয়ান হাইওয়ের ডুয়ার্স ধাবার আগে এক ব্যক্তিকে সন্ধ্যায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হয় পুলিস ও বন দফতরের কর্মীদের। এরপর তার ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে ক্লাউডেড লেপার্ডের চামড়া।
বনদফতর সূত্রে জানা যায়, যা উদ্ধার হয়েছে তার ওজন ১৮৬ গ্রাম, পাশাপাশি চারটি বিভিন্ন মাপের ভাল্লুকের পিত্তথলিও পাওয়া গিয়েছে। সেগুলির ওজন যথাক্রমে ৭৬ গ্রাম, ৩১ গ্রাম, ২৫ গ্রাম ও ১৫ গ্রাম। পাশাপাশি ৫৩০ গ্রাম শুয়োপোকার দেহের রোমশ অংশ পাওয়া যায়। এরপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিস ও বনকর্মীরা।
সোমবার আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি অরুণাচল প্রদেশ থেকে এই বন্যপ্রাণীর দেহাংশ নিয়ে এসেছিল ভুটানে পাচার করার উদ্দেশ্যে বলে জানা যায়।
বরাবরই বন্যপ্রাণীর দেহাংশ ও চামড়া পাচারের স্বর্গরাজ্য জয়গাঁ এলাকা। জয়গাঁ হয়েই ভুটানে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ ও চামড়া পাচার করার ছক কষেন পাচারকারীরা। মাঝে কিছুদিন এই কার্যকলাপ বন্ধ থাকলেও বর্তমানে ফের শুরু হয়েছে পাচারের কাজ। তবে বর্তমানে এই নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে পুলিস প্রশাসন ও বন দফতর।