এবার একই দিনে বুনো হাতির হানায় জোড়া মৃত্যু। ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ব্লকে। বেশ কিছুদিন ধরে বুনো হাতির হানা বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা যায়, শনিবার দুপুরে মাদারিহাটের ধুমচিপাড়া চা বাগানের নীতু পাইক নামে একজন ঘাস কাটতে বেরিয়েছিল। এরপর রাত হয়ে যাওয়ার বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাঁঁকে খুঁজতে বের হয়। তারপর তাঁরা বাগানে বুনো হাতির দল দেখতে পায় এবং তার কাছেই চা বাগানে নীতু পাইকের মৃতদেহ পড়ে ছিল।
অপরদিকে হাতির হানায় মৃত্যু হয় মাদারিহাটের উত্তর খয়েরবাড়ি বাসিন্দা এতয়া খড়িয়ার (৬০)। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাক্তিও গতকাল অর্থাৎ শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। কিন্তু রাত হলেও সে বাড়ি না ফেরায় সবাই খুঁজতে বের হয়। কিছুদূর যেতেই এলাকার জঙ্গলের পাশে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
শরীরের একাধিক আঘাত দেখে প্রাথমিক অনুমান, হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মাদারিহাট পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। রবিবার ময়না তদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠায়। যদিও হাতির তাণ্ডবে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
হাতির সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানে ঢুকে পড়ল ট্রাক। যার ফলে ব্য়াপক ক্ষতিগ্রস্তের মুখে পরপর তিনটি দোকান। মাথায় হাত ব্য়বসায়ীদের। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের দলসিংপাড়া জিএসটি মোড় এলাকার। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে ট্রাক চালককে উদ্ধার করে লতাবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে জয়গাঁ থেকে হাসিমারা গামী বারো চাকার একটি ট্রাকের সামনে আচমকা একটি হাতি চলে আসে। হাতিটিকে বাঁচাতে গিয়ে হাতির গায়ে ধাক্কা খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি সড়কের ধারে থাকা তিনটি দোকানে ঢুকে পড়ে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় জিএসটি মোড় এলাকার ব্যবসায়ী উর্গেন গুরুংয়ের চায়ের দোকান, দীপক গোয়েলের মোটর পার্টসের দোকান ও রাজু ঠাকুরের সেলুনের দোকান।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্য়বসায়ীদের দাবি, তিনটি দোকান মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, এ ঘটনায় ট্রাকটিরও সামনের অংশ একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলের কয়েক মিটার দূরত্বেই রয়েছে জয়গাঁ থানার অন্তর্গত জিএসটি চেকপোস্ট। এ বিষয়ে বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, হাতির সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা লাগার কোনো প্রমান এখনো পাওয়া যায় নি। তবুও বন দফতর আশেপাশের জঙ্গলে নাজিরদারি চালাচ্ছে।
অর্থের অভাব। মেলেনি সরকারি অ্য়াম্বুলেন্স। অর্থ ও চিকিৎসার অভাবে বাড়িতে মৃত্য়ু হল এক চা শ্রমিকের। মৃতের নাম সুশীল ওঁরাও (৪৫)। মাদারিহাট ব্লকের ঢেকলা পাড়া চা বাগানে কাজ করতেন। যদিও তালাবন্ধ হয়ে গিয়েছে ওই চা বাগানে। এমনকি মালিক পক্ষ নিজে বাগান ছেড়ে পালিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে অসুস্থ হন তিনি।
অভিযোগ, হাসপাতালে ফোন করলে জানানো হয় অ্যাম্বুলেন্স খারাপ হয়ে রয়েছে। প্রায় দু মাস ধরে চা শ্রমিকদের উপার্জন না থাকায় অর্থকষ্টে ভুগছিলেন সুশীল ওঁরাও। অর্থের অভাবে অন্য গাড়িও জোগাড় করতে পারে নি তাঁর পরিবার। তাই একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় বাড়িতেই মারা যান তিনি।
বীরপাড়া হাসপাতালে বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনের সময় পাওয়া যায়নি সেই অ্যাম্বুলেন্স। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারে সরকারি পরিষেবা প্রদান করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্য়ায়। সেই সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, বন্ধ চা বাগানে শ্রমিকদের ১৫০০ টাকা করে এই মাস থেকেই অনুদান দিতে। পাশাপাশি ওই শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, চিকিৎসা পরিষেবা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে। কিন্তু তাঁর এই ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যেই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল এক চা শ্রমিকের।
সারা বছরের সঞ্চয় নিমেষে শেষ। কৃষকের সারা বছরের মুখের খাবার কেড়ে নিল দুষ্কৃতীরা। প্রায় ৫ বিঘা জমির ধান কেটে ঝাড়াইয়ের আগে শুকিয়ে নেওয়ার জন্য আঁটিগুলি স্তূপ করে জমিতেই রেখেছিলেন আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেংকান্দি পূর্ব পাড়ার তারক চন্দ্র রায়। রবিবার ভোরে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সেই ধানের আঁটিগুলি। কেউ পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়েছিল বলে সন্দেহ তারক চন্দ্র রায়ের।
তারক চন্দ্র রায় জানান, এদিন ভোরে তিনি খবর পেয়ে জমিতে গিয়ে দেখেন দাউদাউ করে ধানের আঁটিগুলি জ্বলছে। এরপর খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফালাকাটা দমকলকেন্দ্রের একটি ইঞ্জিন। অনেক চেষ্টা করার পর আগুন আয়ত্তে এলেও অবশিষ্ট রইল না ধানের আঁটি। পুড়ে ছাই হয়ে গেল প্রায় লাখ টাকার ধান। তারপর ঘটনাস্থলে জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিস এসে জমির নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।
উত্তরবঙ্গে ফের ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হাতির। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের ভিতর ওয়েস্ট রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জে একই সঙ্গে মৃত্যু হল তিনটি হাতির। সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িগামী একটি পার্সেল ট্রেনের সামনে আচমকা চলে আসে হাতির দলটি। রাজাভাতখাওয়া ও কালচিনি রেলস্টেশনের মাঝে প্রাণ গেল তাদের।
সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ির একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় শাবককে সঙ্গে নিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক ও একটি মাঝবয়সী হাতি রেললাইন পারাপার করছিল। মালগাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে তিনটি হাতি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল এবং বনদফতর ও রেলের উচ্চ আধিকারিকরা। তিনটি হাতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ রেল চলাচল ব্যাহত হয়।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। এভাবে ট্রেনের ধাক্কায় বারংবার হাতি মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তিত বনদফতর। রেলের তরফে নয়া প্রযুক্তি প্রয়োগ করে হাতি মৃত্যু আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। রেললাইনের পাশে ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। এটি মূলত এক ধরনের থার্মাল ডিভাইস। রেললাইনের কাছাকাছি কোনও হাতি এলে তার শরীরের তাপমাত্রা সেন্স করবে এই ডিভাইস। তখনই গাড়ির চালক সতর্ক হয়ে যাবেন। হাতি কাছাকাছি থাকলে ৩০ ফুটের মধ্যে এই ডিভাইস কাজ করে। এই ডিভাইসের জন্য নিকটবর্তী স্টেশনে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এক্ষেত্রে কেন মালগাড়ির চালক আগে থেকে বুঝতে পারলেন না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মালগাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কালীপুজোর পরের দিন অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা ব্লকের দলগাঁও ফরেস্টের এক নম্বর কম্পার্টমেন্টের সিকিয়া ঝোরা নদী সংলগ্ন এলাকায়। এখনও অবদি মৃত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে দেখতে পান অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। তবে মৃত ওই ব্যক্তিকে আগে কোনোদিন এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয়রা। মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করার পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পাশাপাশি এদিন সাতসকালে কোচবিহার শহর সংলগ্ন শিবযজ্ঞ রোড সংলগ্ন এলাকায় ড্রেনের মধ্যে থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিস সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কর্মকার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে হাঁটতে বেরিয়ে তাঁরা দেখতে পান ড্রেনের মধ্যে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিস।
নিয়ম নির্দেশিকাকে থোড়াই কেয়ার,নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে নদীখাতে ট্রাক নামিয়ে বালি-পাথর তোলা হচ্ছে প্রতিদিন।একেবারে অভিনব কায়দায় চলেছে লুঠ! নদী থেকে পাথর তুলে টিউবে করে ভাসিয়ে মজুত করা হচ্ছে। তারপর লরিতে তুলেই পাচার। বানারহাটের ধূপগুড়ির নেপালি বস্তিতে আংরাভাসা নদী, রাঙাতি নদী, গিলান্ডি নদী থেকে এভাবেই চলেছে বালি পাথর চুরি। যা ফলে বর্ষায় দেখা দিচ্ছে নদী ভাঙন। কয়েক বছরে বসত বাড়ি, বিঘা পর বিঘা জমি চলে গেছে নদী গর্ভে। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন পরিবেশ প্রেমীরা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং একাধিকবার প্রশাসনিক সভা থেকে অবৈধ বালি পাথর পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছে। কিন্তু তারপরও অবাধে চলেছে লুঠ। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে আমল দেওয়া হচ্ছেনা ? কি করছে প্রশাসন ? কেন ঠেকানো যাচ্ছেনা অবৈধ কারবার ? বিরোধীদের অভিযোগ, তৃনমূল ও পুলিস প্রশাসনের মদতেই চলছে গোটা কর্মকাণ্ড। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকশিবির।
তবে পুলিস সূত্রে খবর, আটক করা হয়েছে লরিটিকে। বালি-পাথর লুঠ রুখতে অভিযানও চালানো হচ্ছে নিয়মিত। প্রশ্ন উঠছে, নিয়মিত অভিযান চালানোর পরও কিভাবে নজর এড়িয়ে যাচ্ছে বিষয়গুলি?
চাষের ক্ষেত থেকে উদ্ধার একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর দলগাঁও বস্তি এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনকর্মীরা যায় এবং চিতা বাঘের মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়। চিতা বাঘের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা কাজে বের হয়েছিল। সেই সময় তারাই প্রথম চাষের জমির উপরে একটি মৃত চিতাবাঘ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। তবে ঠিক কী কারণে চিতা বাঘটির মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বনকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত দু মাস ধরে ফালাকাটা ব্লক এলাকায় চিতা বাঘের উপদ্রব বেশ বেড়ে গিয়েছিল। তারপর এদিন সাত সকালে সেই এলাকারই একটি চাষের ক্ষেতে উদ্ধার হয় চিতা বাঘের মৃতদেহ। তবে চিতা বাঘটির কবে, কী ভাবে মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
একটি ক্লাউডেড লেপার্ডের চামড়া সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন জলদাপাড়ার বনদফতরের আধিকারিকরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযানে নামেন বনদফতরের কর্মীরা। সন্দেহের জেরে ওই দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় লেপার্ডের চামড়া। সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্য়ে একজনের বাড়ি কোচবিহার জেলার ঘুঘুমারি আর অপরজনের বাড়ি মালদহের সুজাপুরে। যদিও তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের নাম গোপন রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার বনপাল রাজেন্দ্র শেখর জানান, কোচবিহারের দিক থেকে ফালাকাটার দিকে গাড়ি নিয়ে আসছিল ওই চোরাকারবারীরা। এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিসের সাহায্য নিয়ে বনকর্মীরা সোনাপুরের কাছে অপেক্ষা করতে থাকেন। সম্ভবত লেপার্ডের চামড়া পাচারের উদ্দেশ্য়ে অসম থেকে চামড়াটি আনা হচ্ছিল।
শুক্রবার ধৃত ওই দুজনকেই আলিপুরদুয়ার আদালতে পাঠিয়ে বারো দিনের জন্য পুলিসি হেফাজতে আনা হয়েছে। তবে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ এবং চামড়া পাচারের সঙ্গে আরও বড়ো কোনও চক্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগান থেকে উদ্ধার হয় একটি অসুস্থ ময়ূর (peacock)। বুধবার সকালে ওই অসুস্থ ময়ূরটিকে উদ্ধার করে তাসাটি এলাকার এক যুবক। এরপর খবর দেওয়া হয় বন দফতরে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা রোহিত ওঁরাও প্রাতঃভ্রমণের উদ্দেশ্য়ে বেরিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় চা বাগানে পড়ে থাকতে দেখেন একটি অসুস্থ ময়ূর। তারপর তিনি ওই ময়ূরটিকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং বন দফতরে খবর দেন। খবর পেয়ে ওই যুবকের বাড়িতে যান বন দফতরের কর্মীরা, তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই অসুস্থ ময়ূরটিকে। স্থানীয়দের অনুমান, বাগানের বিষাক্ত কোনও প্রাণী বা পোকামাকড়ের কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ওই ময়ূরটি। যার ফলে ওড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে মাটিতেই লুটিয়ে পড়েছিল ময়ূরটি।
যদিও রোহিত ওঁরাও-এর পদক্ষেপে শুধু বন বিভাগের কর্মীরাই নন, খুশি হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও৷ সকলে রোহিত ওঁরাও এর এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
চা বাগান (Tea Garden) থেকে উদ্ধার এক দিনমজুরের মৃতদেহ (DeadBody)। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) এক নম্বর ব্লকের পাটকাপাড়া চা বাগানে। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায়।
মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, রাত প্রায় ৯টা নাগাদ বাগানের গুদাম লাইনের একটি বন্ধ দোকানের বারান্দায় শুয়ে ছিলেন বছর পঞ্চাশের শিবচরন মুন্ডা। আচমকাই স্থানীয় যুবক কাজল বড়াইক শিবচরনের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে গলায় তারপর ঘাড়ে কোপ মারে। তাঁর স্বামী চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। অভিযুক্ত কাজলকে বাধা দিতে গেলে ওই যুবক অস্ত্র হাতে সবাইকে ভয় দেখাতে থাকে। এরপর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় ঘাতক কাজল।
যদিও পরবর্তীকালে তাকে স্থানীয়রা খুঁজে বের করে পুলিসের হাতে তুলে দেন। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়। আলিপুরদুয়ার থানার বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
আলিপুরদুয়ারের দুটি ভিন্ন জায়গায় হাতির হানা। ভাঙ্গল বাড়ি-ঘর। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুটি বুনো দাঁতাল হাতি হামলা চালায় উত্তর ছেকামারী এলাকায়। জানা গিয়েছে মাদারী হাটের জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাতি দুটি হামলা চালিয়ে ভেঙে দেয় তিনটি পাকা ঘরবাড়ি।
পাশাপাশি ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগানের হাটখোলা লাইনে একটি হাতি তাণ্ডব চালায়। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট চা বাগানের হাটখোলা লাইনের এক ব্য়ক্তির বাড়িতে হাতি হানা দিয়ে ঘর ভেঙে দেয়। শুধু তাই নয় ঘরে মজুত রাখা চাল সাবার করে দেয় ওই হাতিটি। এমনকি বাসনপত্রও ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আচমকাই হামলা চালায় ওই হাতিটি। প্রায় ঘণ্টাখানেক তাণ্ডব চালিয়ে অন্ধকারে মিলিয়ে যায় সে। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির সদস্য রবি ওঁরাও জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে আলিপুরের বেশ কয়েক জায়গায় হাতির হামলা বেড়ে গিয়েছে। যার কারণে প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাতি হামলায় ফসল ক্ষতি ছাড়াও বাড়ি ঘরও ভাঙচুর চালাচ্ছে। তিনি আরও জানান, হাতি হামলার ঘটনার পর বনদফতরের কর্মীরা আসার আগেই পালিয়ে যায় হাতি।
সুপারি বাগান থেকে উদ্ধার বুনো হাতির মৃতদেহ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আলিপু্রদুয়ার (Alipurduar) জেলার মাদারিহাট থানার রাঙ্গালিবাজলা গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায়। শনিবার সন্ধ্য়ায় ওই এলাকার এক বাসিন্দার সুপারি বাগানে হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বন দফতরের কর্মীরা এসে ওই হাতির মৃতদেহটি উদ্ধার করে। বনদফতর সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মৃত হাতিটি একটি পুরুষ হাতি। শুক্রবার রাতেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান বনকর্মীদের। রবিবার মৃতদেহটির ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান বনদফতরের কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাঙ্গালিবাজলা গ্ৰামের কাছেই রয়েছে ধুমচি ফরেস্ট। আর ওই ফরেস্ট থেকে প্রায়ই হাতির দল বেরিয়ে এলাকায় হানা দেয়। এরপর শনিবার সন্ধ্য়ায় গোরু খুঁজতে গিয়ে এলাকারই একজন বাসিন্দা একটি পূর্ণ বয়ষ্ক হাতির মৃতদেহ দেখতে পান। পরবর্তীতে গ্ৰামবাসীরা খবর দেয় বনদফতরে। রাতেই ঘটনাস্থলে জলদাপাড়া বনবিভাগের বনকর্মীরা পৌছেছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও পর্যন্ত জনা যায়নি। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ময়না তদন্তের পরেই আসল কারণ জানা যাবে।
এবার আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) পুলিসের বড় সাফল্য। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিপুল পরিমাণ জাল নোট সহ গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। শনিবার রাতে আলিপুরদুয়ারের মাঝের ডাবড়ী চৌপথী এলাকায় পুলিস অভিযান চালিয়ে নগদ ছয় লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। ওই ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার মধ্যে নকল ৫০০ টাকার নোট ছিল। রবিবার ধৃত ব্যক্তিকে আদালতে তুলে পুলিসি হেফাজতে চাওয়া হবে পুলিসের তরফে।
রবিবার জেলা পুলিস সুপারের অফিসে এক সাংবাদিক বৈঠকে অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুন্তল ব্যানার্জি বলেন, অ্যান্টি ক্রাইম টিম ও আলিপুরদুয়ার থানার আই সি অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তির নাম ব্রজেন শীল। বাড়ি পানিয়ালগুড়িতে। ওই ব্যক্তির ব্যাগ তল্লাশি করে ৬ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা আলিপুরদুয়ারে গত দু'বছরের মধ্যে ঘটেনি। সব কিছু খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। আলিপুরদুয়ারের কাছেই রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত, পাশে ভুটান ও অসম সীমান্ত। তাই এই ঘটনার সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগসাজস রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ধৃত ওই ব্যক্তির কাছে নকল টাকা কি করে এলো এবং কার কাছে পাচার করতে যাচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর (Child Death) ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ঘটে গেল আরও এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। বেহাল রাস্তার বলি ৭ মাসের শিশু। বাইক থেকে দুই সন্তান ছিটকে পড়ে তোর্সা নদীতে।এক সন্তানকে কোনওভাবে বাঁচাতে পারলেও জলের তোড়ে তলিয়ে যায় ৭ মাসের শিশুটি। ফালাকাটা আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) নির্মীয়মান মহা সড়কের বালুরঘাটের চর তোর্সা ডাইভারসনের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফালাকাটা থানার পুলিস (Police) ও ফালাকাটা দমকলের একটি ইঞ্জিন। এই ঘটনায় তোর্সা নদীতে কয়েক ঘন্টা তল্লাশির পরই নদীর ভাটি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে শিশুটির দেহে উদ্ধার হয়। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, বুধবার রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ফালাকাটা থেকে সাহেবপোতার বাড়িতে ফিরছিলেন উত্তম দাস নামের ওই ব্যক্তি। তবে আলিপুরদুয়ারের নির্মীয়মান মহা সড়কের বালুরঘাটের চর তোরসা ডাইভারসনের ওপর দিয়ে আসার সময় যান জটে পড়েন তাঁরা। সেই সময়ই এক গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। এই ঘটনার পরেই হঠাৎ মোটরসাইকেল থেকে তোর্সা নদীতে পড়ে যায় দুই সন্তান।
স্থানীয সূত্রে খবর, সন্তানদের বাঁচাতে অন্ধকারেই তোর্সা নদীতে ঝাঁপ দেন ওই দাম্পত্তি। কোনও রকমে এক সন্তানকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারলেও জলের স্রোতে ভেসে যায় তাঁদের ৭ মাসের দুধের সন্তান।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই এই এলাকায় মহা সড়কের কাজ থমকে আছে। সাধারণ মানুষ নিত্যদিন এই ভোগান্তির শিকার হয়ে সংগ্রাম কমিটি গড়ে আন্দোলনে নেমেছেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না।