ষষ্ঠীর (Maha Sasthi) সকালে পথদুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু বাইক আরোহী এক যুবকের। ঘটনাটি উলটোডাঙা ফ্লাইওভারের। বাইপাস থেকে ফ্লাইওভার ধরে ভিআইপি (VIP Road) রোডে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে বাইক আরোহী। এয়ারপোর্টের দিকে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান পুলিসের। বাইকে দু'জন ছিল।
ষষ্ঠীর সকালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে লেকটাউন ট্রাফিক পুলিস ও লেকটাউন থানার পুলিস। আহত দু'জনকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একজনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাইক আরোহী একজনের নাম রাহুল ঘোষ। গড়ফার বাসিন্দা, অন্যজনের নাম রামপ্রসাদ ঘরামি, স্থানীয় সূত্রের খবর দু'জনের মাথায় হেলমেট ছিল না।
পুজোর সময় এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্পষ্টতই শোকের ছায়া দুই পরিবারে। আহত একজনের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে স্থানীয়রা।
কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Govt) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে পুকুরিয়া থানার শ্রীপুর স্ট্যান্ডে তৃণমূলের (tmc) একটি বিক্ষোভ (protest) সমাবেশ হয়। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। সভায় যোগদান করে বাড়ি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় (accident) আহত হন ১০ জন তৃণমূল কর্মী, ঘটনাস্থলে মৃত্যু (death) হয় এক শিশুর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে মালদহ শ্রীপুর এলাকায়। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি ৬ জনকে উদ্ধার করে চাঁচল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ জনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহত চারজনের মধ্যে তিনজন যুবক ও একজন কিশোর। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয় ওই শিশুর। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় নীতি এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় পুকুরিয়া থানার শ্রীপুর স্ট্যান্ডে তৃণমূলের একটি বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। যেখানে জেলা সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের আব্দুল রহিম বক্সী নেতৃত্বে সভা হয়েছিল। সেই মিটিং শেষ করে টোটো করে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সেই সময় লস্করপুর থেকে শ্রীপুরের দিকে একটি বোলেরো গাড়ি দ্রুত গতিতে আসার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে টোটো গাড়িটিকে। টোটোর মধ্যে থাকা তৃণমূলকর্মী সমর্থকরা রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান। মৃত কিশোর বছর ১১-এর মেহবুব আলম। গুরুতর আহতরা হলেন, যুবরাজ নবী, খাদিমুল ইসলাম, সোনালী। ঘটনার পর পুলিস ঘাতক গাড়ি ও তার চালককে আটক করেছে।
পুলিস সূত্রে খবর, মদ্যপ অবস্থায় চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। যার জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সাত সকালেই ভয়ানক দুর্ঘটনা (Accident) হলদিয়ায়। হলদিয়ার চকদ্বীপা হাইস্কুলের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রী বোঝাই বাস (bus) উল্টে গিয়ে পড়ে পুকুরে। ঘটনায় সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, বাসের সামনের অংশ পুকুরে ডুবে গিয়েছে। ভেতরে কম করেও প্রায় ৪০ থেকে ৪২ জন যাত্রী ছিলেন। এলাকার লোকজনই খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস (police)।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, এদিন বাসটি যাত্রী নিয়ে সকালে বালুঘাটা থেকে কুকুড়াহাটির দিকে রওনা দিয়েছিল। তবে বাসটির প্রচণ্ড গতি থাকায় চালক কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এরপরই ঘটে এঘটন। বাস উল্টে সোজা পুকুরে গিয়ে পড়ে। বাসের সামনের অংশ জলে ডুবতে শুরু করে। ভেতর থেকে যাত্রীদের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। ভেতরে প্রায় ৪৫ জন যাত্রী ছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। তাঁদের মধ্যে ৫-৬ জন মহিলা, ৪ জন শিশুও রয়েছে। সব যাত্রীরাই জখম বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
ইতিমধ্যেই বাসটিকে তোলার জন্য ক্রেন নিয়ে আসা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যে কয়েকজনকে উদ্ধার করা গিয়েছে তাঁদেরকে তড়িঘড়ি স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং হলদিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বেপরোয়া গতির জন্যই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিস৷
হিমাচলের (Himachal) কুলুতে (kullu) ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident)। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পর্যটক বোঝাই একটি গাড়ি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ৭ জন পর্যটকের মৃত্যু (Death) হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। কুলুর বাঞ্জার উপত্যকা এলাকায় রবিবার রাত সাটে আটটা নাগাদ ঘটে এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনের মধ্যে ৫ জনকে কুলুর জোনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকি ৫ জনকে বাঞ্জাররে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, রাতে খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে উদ্ধার অভিযান। আহতদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ শেষ হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ৫ জন পুরুষ এবং ২ জন মহিলা। যাত্রীদের মধ্যে তিনজন আইআইটি বারানসীর ছাত্র বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিস।
কুলুর পুলিস সুপার গুরদেব সিং জানিয়েছেন, রবিবার রাতে কুলু জেলার বাঞ্জার উপত্যকার ঘিয়াগি এলাকায় একটি টেম্পো ট্রাভেলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় নিহত পর্যটকদের বাড়ি রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি ও হরিয়ানাতে। তবে, কারও নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। অন্ধকারের মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালিয়ে ১০ জনকে প্রাণে বাঁচানোর জন্য পুলিস ও প্রশাসন ও স্থানীয় মানুষজনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক সুরেন্দর সৌরি।
একটি লরিকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার (Accident) মুখে পড়েন বাইক (Bike) আরোহী। প্রথমে রাস্তা লাগোয়া একটি মন্দির ও পড়ে মন্দিরের সামনে বট গাছে ধাক্কা মারে বাইকটি। জখম বাইকে থাকা চারজন যুবক। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ার (Habra) গৌড়বঙ্গ রোডের কৈপুকুর এলাকায়।
একটি বাইকেই চার যুবক মগড়ার দিক থেকে হাবড়ার দিকে ফিরছিলেন। সকাল ছ'টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়দের তৎপরতায় আহতদের নিয়ে আসা হয় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা তিনজনকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
আহতরা হলেন শম্ভু রায়, প্রণয় কর ,সোনাই ভৌমিক ও প্রীতম দে। আহতদের প্রত্যেকের বাড়ি হাবড়া থানা এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাইকটি উদ্ধার করেছে হাবড়া থানার পুলিস। পুলিস খবর দেয় আহতদের পরিবারকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আহত চারজনের কারোর মাথায় হেলমেট ছিল না।
বিধানসভা ভোটের (Assembly vote) আগে রাস্তার আলোকিকরণের জন্য বিদ্যুতের খুটি বসানোর জন্য সিমেন্টের পিলার বসে। কিন্তু আজও সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। অন্ধকার নামলেই দুর্গাপুরের (Durgapur) কোকওভেন থানার অন্তর্গত করঙ্গপাড়া সংলগ্ন সঞ্জীব সরণীর মতো ব্যস্ততম রাস্তা আজও অন্ধকারে রয়ে গিয়েছে। আলোর অভাবে বেড়েছে দুর্ঘটনা (accident), বেড়েছে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। ফলে অতিষ্ট এলাকাবাসী থেকে পথচারি।
দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে সঞ্জীব সরণী। দুর্গাপুরে বন্ধ সংস্থা জেশপ কারখানা পড়ে এই রাস্তার ওপর এছাড়াও রাস্তার আশেপাশে রয়েছে ছোট মাঝারি বেশ কয়েকটি কারখানা। রয়েছে একটা বড় বসতি। ভগৎ পল্লী করঙ্গপাড়া সহ আশপাশ এলাকার বেশ কয়েক হাজার মানুষ সঞ্জীব সরণীর এই রাস্তা ব্যবহার করেন। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সহ বেশ কয়েকটি স্কুল থেকে শুরু করে কারখানার শ্রমিকরা এই রাস্তা ব্যবহার করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই রাস্তা দুর্গাপুরের অন্যতম ব্যস্ততম রাস্তা। কিন্তু অন্ধকার নামলেই এই রাস্তা মৃত্যুফাঁদ হয়ে পড়ে। রাস্তায় আলো থাকে না, ফলে যেমন বাড়ে দুর্ঘটনার সংখ্যা ঠিক তেমনি দুষ্কৃতীদের উৎপাত শুরু হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা জেশপ কারখানার ভেতর থেকে দামি গাছ ও ভেতরে থাকা লোহার যন্ত্রাংশ একটু একটু করে চুরি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। অর্থাৎ অন্ধকার নামলেই সঞ্জীব সরণীর গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা কার্যত দুষ্কৃতীদের দখলে চলে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে গত বিধানসভা নির্বাচনের মাস তিনেক আগে সঞ্জীব সরণীর এই রাস্তার ওপর আলোকিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দুর্গাপুর নগর নিগম। প্রতিশ্রুতিমাফিক রাস্তার একপাশে বিদ্যুতের খুটি বসানোর জন্য সিমেন্টের পিলারও তৈরি হয়েছিল, খোঁড়া হয়েছিল গর্ত। কিন্তু আজও বিদ্যুতের খুটি বসেনি ঐ সিমন্টের পিলারে। ফলে অন্ধকার নামলেই একই যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটছে এলাকার মানুষের। রাতের বেলায় অন্ধকার এই রাস্তা কার্যত মরণফাঁদ পথচারীদের কাছে। ফলে আজও মিথ্যে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির কোনও দাম নেই। কিন্তু কেন এই যন্ত্রনা?
এই প্রশ্নের উত্তরে জেলা বিজেপির সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এই খাসতালুকে বিজেপি থাবা বসায়। দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে গত বিধানসভা নির্বাচনে ১১০ ভোটে লিড পায় বিজেপি। আর বন্ধ কারখানা থেকে যন্ত্রাংশ চুরি আর গাছ চুরির অবাধ কারবারে সায় আছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের। এর ফলে রাস্তার আলোকিকরণের বিষয়ে আর গা করেনি কেউ, আর এর জেরে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
যদিও বিজেপির এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির পায়ের তলাতে মাটি নেই তাই মন মতো যা পারছে বলে দিচ্ছে। তৃণমূল মানুষের স্বার্থে সবসময় কাজ করে। রাস্তায় আলোকিকরণের প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে বলে আস্বস্ত করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Accident)। যাত্রীবাহী বাস (Bus) ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু (Death) হয় এক মাসের শিশুর (Child)। গুরুতর আহত হয়েছেন ৮ জন। খড়িবাড়ি কলাবাড়ির ৩২৭ নম্বর জাতীয় সড়কে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, খড়িবাড়ি থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। উল্টো দিকে থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে মুখোমুখি সজোরে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার জেরে বাসটির সামনের অংশ একেবারে দুমড়েমুচড়ে যায়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চালক ও একটি একমাসের শিশুসহ আহতদের উদ্ধার করে খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। ৮জন আহতের মধ্যে চালকসহ মোট তিনজনকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুজন আহত খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মৃত্যু হয় এক মাসের শিশুটির। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিসবাহিনী।
উল্লেখ্য, একইদিনে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক বাগনান আমতা মোড়ে স্করপিও গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ১০ চাকা লরির। ঘটনায় আহত হন ৫ জন। যাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে এলাকার মানুষ ও বাগনান থানার পুলিস স্করপিওতে থাকা ৫ জনকে উদ্ধার করেন। আহতদের প্রথমে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে আশঙ্কাজনক ২ জনকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়গপুরমুখী লেন দিয়ে একটি স্করপিও গাড়ি যাওয়ার সময় বাগনান আমতা ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের মোড়ে একটি বাইক হঠাৎ রাস্তার উপর চলে আসে। তাকে বাঁচাতেই স্করপিও গাড়িটি ডানদিকে টার্ন নেয়। সেই সময় পিছনে আসা একটি ডাম্পার গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। তার পিছনে আরেকটি প্রাইভেট গাড়ি এসে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে স্করপিও গাড়িটি কলকাতা মুখী লেনে চলে এলে কলকাতা মুখী লেনে আসা একটি ১০ চাকার লরির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে।
মুম্বইয় শহরতলির পালঘরে পথদুর্ঘটনা। মৃত্যু বিশিষ্ট উদ্যোগপতি সাইরাস মিস্ত্রির। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পালঘরের এসপি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইরাসের গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মারতেই সেটা উলটে যায়। তাতেই এই দুর্ঘটনা। তাঁর সঙ্গে থাকা বাকি দু'জন গুরুতর জখম অবস্থায় গুজরাতের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রাথমিক তদন্তে, বিষয়টা দুর্ঘটনাই মনে করছে পুলিস। আহমেদাবাদ থেকে সড়ক পথে মুম্বই আসার পথে রবিবার সাড়ে ৩টা নাগাদ ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। তিনি রিয়াল এস্টেট গোষ্ঠী শাপুরজি, পালোনজি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি। রতন টাটা টাটা সন্সের চেয়ারম্যান হিসেবে অবসর নেওয়ার পরেই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যদিও পরে সাইরাস মিস্ত্রিকে সরিয়ে অন্য একজন চেয়ারম্যান করেছিল টাটা সন্স।
ফের ট্রাকের (truck) ধাক্কায় মৃত্যু (Death)। মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বুরহানপুর (Burhanpur) জেলায় একটি বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে দুই জন কলেজ ছাত্র (college student) এবং ওই কলেজ ভ্যান চালকের (van driver)। পুলিস সূত্রে খবর, আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
পুলিস সুপার (এসপি) রাহুল কুমার জানিয়েছেন, সকাল ৯.৩০ মিনিটে ইন্দোর-ইছাপুর মহাসড়কের শাহপুরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ছাত্র বহনকারী ভ্যানটি পাশের একটি গ্রাম থেকে বুরহানপুরের দিকে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলেই দুই ছাত্রী ও ভ্যান চালকের মৃত্যু হয় বলে ওই কর্মকর্তা জানান। তিনি আরও জানান, আহত আরও সাত পড়ুয়াকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করতে জেলা হাসপাতালে যান বুরহানপুরের জেলাশাসক প্রবীণ সিং এবং এসপি। এদিকে ট্রাক চালক বর্তমানে পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান টুইটারে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্র ও চালকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছেন। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
এক দশকের পরেও বাকি জ্ঞানেশ্বরী(Gyansehwari rail accident)) রেল দুর্ঘটনার সাক্ষ্য গ্রহণ। মামলাকারীর আইনজীবী জানান, চলতি বছরে মার্চ মাস থেকে নিম্ন আদালতে(lower court) নেই বিচারক। বাকি রয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণও। বন্ধ শুনানি পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে। কি অবস্থায় তদন্ত? কি অবস্থায় রয়েছে মামলা? এর প্রেক্ষিতে সিবিআইকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata Highcourt)।
সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনার ১৪৮ জনের মৃত্যু হয় ১৭০ জন আহত হয়। রেল কর্তৃপক্ষ ২৫ কোটি টাকার সম্মুখীন হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। জ্ঞানেশ্বরী মামলায় জামিনের আবেদনে দ্বারস্থ হয় মোট ৫ জন। এরা হলেন মন্টু মাহাত, লক্ষ্মণ মাহাত, সঞ্জয় মাহাত,তপন মাহাত এবং বাবলু রানা। সেই মামলাতেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। রিপোর্টের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন। উল্লেখ্য এই মামলার বিচার চলছে মেদিনীপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের (আরডি কোর্ট অর্থাৎ রি-ডেজিগনেটেড কোর্ট) আদালতে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৭ মে গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের সরডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ঠিক ওই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির। মৃত্যু হয় জ্ঞানেশ্বরীর ১৪৮ জন যাত্রীর। ১৭০ জন যাত্রী আহত হন। উল্টো দিকের মালগাড়ির চালকও নিহত হন। অভিযোগ, মাওবাদী-মদতপুষ্ট জনসাধারণের কমিটির লোকজন আপ লাইনের প্যানড্রোল ক্লিপ ও ফিসপ্লেট খুলে দেওয়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস।
ফের দুর্ঘটনার (accident) কবলে শুভেন্দুর কনভয়ের (convoy) গাড়ি। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের বেতালিয়া থানার মারিশদা এলাকায় শুভেন্দুর কনভয়ের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ১১৬ বি জাতীয় সড়কে উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে বিরোধী দলনেতার কনভয়ের গাড়ির। প্লাস্টিক বোঝাই ট্রাকটি হলদিয়া থেকে ভুবনেশ্বর যাচ্ছিল। তবে শুভেন্দু অধিকারী যে গাড়িটিতে ছিলেন, সেটি কনভয়ের মাঝের দিকে ছিল। তাই বড় কোনও দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল ৫টা ২০ নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শুভেন্দুর কনভয়ের গাড়িটি। শুভেন্দু অধিকারী কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কনভয়ের গতি ছিল বেপরোয়া। এর আগেও তিনবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বিরোধী দলনেতার কনভয়ের গাড়ি বলে দাবি স্থানীয়দের। এর ফলে রাস্তার পাশে থাকা সাধারণ মানুষ দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে মারিশদা থানার পুলিসের (police) বিশাল বাহিনী এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
গাড়িটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে গাড়িটির চাকা ভেঙে যায়। গাড়িটির সামনের অংশ একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। জখম হন চালকও।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১ জুলাই এই মারিশদাতেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শুভেন্দুর কনভয়ের একটি গাড়ি। সোমবারের দুর্ঘটনাস্থল ওই এলাকা থেকে সামান্য দূরে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তার তদন্তে মারিশদা থানার পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাকটির চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে তাঁকে এখনই আটক বা গ্রেফতার করা হচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদের পর কোনও অসঙ্গতি পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সমুদ্রে ইলিশ মাছ (Hilsa fish) ধরতে গিয়ে একের পর এক দুর্ঘটনার (Accident) কবলে পড়ছেন মৎস্যজীবীরা (Fishermen)। শুধু ভারতীয় জলসীমাতেই নয়, বাংলাদেশী (Bangladesh) জলসীমাতেও একই রকম দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন মৎস্যজীবীরা। আর এরকমই এক দুর্ঘটনার মুখে পড়া ১৭ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের প্রাণে বাঁচালেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা
উল্লেখ্য, গত ১৫ ই অগাস্ট বাংলাদেশের বরগুনা থেকে ৮-১০ টি ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরতে বার হয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। ১৭ তারিখ সমুদ্রে খারাপ আবহাওয়ার দরুন একটি ট্রলারের নিচে ছিদ্র হয়ে যায়। তখন ট্রলারে থাকা ১৯ জন মৎস্যজীবী বাঁশ দিয়ে একটি ভেলা বানান। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পরে তাঁরা সমুদ্রের মধ্যে ভাসতে থাকেন। এর মধ্যে দুজন মৎস্যজীবী সমুদ্রের জলে তলিয়ে যান। বাকিরা দুইদিন দুই রাত বাঁশের ভেলায় ভেসে থাকেন।
অবশেষে নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ওই ১৯ জন মৎস্যজীবী মইপিট কোস্টাল থানার কালি দ্বীপের কাছে ভারতীয় জলসীমার মধ্যে প্রবেশ করেন। সুন্দরবনের জঙ্গলের বাঘের ভয় তাঁরা রাত কাটান গাছের উপর। রবিবার বিকেলে মইপিট এলাকার মৎস্যজীবীরা কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের দেখতে পান। তখন তাঁরা বিপদে পড়া ১৭ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন মইপিট কোস্টাল থানায়।
প্রসঙ্গত, কোস্টাল থানার পুলিস উদ্ধার হওয়া ১৭ জন বাংলাদেশী মৎস্যজীবীর প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। তারপর সেখান থেকে নিয়ে যায় বৈকন্ঠপুর ফ্লাট সেন্টারে। সেখানেই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ফের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে (Samsherganj) ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident)। বাবা মায়ের সঙ্গে মামার বাড়ি থেকে বাইকে করে নিজ বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু (Death) হল সাত বছরের এক শিশুর (Child)। জখম হয়েছেন ওই শিশুর বাবা এবং মা। রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার মহব্বতপুর এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত শিশুর নাম সাগর শেখ(৭)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করা হয়েছে বাবা ও মাকে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ মামার বাড়ি সামশেরগঞ্জের মালঞ্চ থেকে বাইকে চেপে বাবা মায়ের সঙ্গে চশকাপুরে ফিরছিল ওই শিশু। সেসময় পল্টন ব্রিজের নীচ দিয়ে আসার সময় একটি ট্রাক্টরকে ওভারটেক করতে গিয়ে ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষে ছিটকে পড়ে সাত বছরের ওই শিশু। তখনই ট্রাক্টরটি কার্যত তাকে পিষে দেয়। প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর জখম হন ওই শিশুর বাবা মা। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
এদিকে, অবৈধভাবে ট্রাক্টর চলাচলের ফলেই যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটছে বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ট্রাক্টর চলাচল নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। ট্রাক্টর নিয়ে পুলিসকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তাঁরা।
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু (death) হল ২ জনের, আরও দুইজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আহতদের দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। রবিবার ভোর রাতে দুর্গাপুরের বুদবুদ বাইপাশে জাতীয় সড়কের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, কাজ সেরে কলকাতা (Kolkata) থেকে গাড়ি করে পানাগড়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলোন সতেন্দ্রর যাদব, দীনেশ যাদব, সন্তোষ রাম। অন্যদিকে ইন্দ্রজিত চৌরাসিয়া অফিসের কাজ সেড়ে দুর্গাপুর পানাগড়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন। আচমকাই বুদবুদ বাইপাশের কাছে জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারে ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বছর ২৮ এর সতেন্দ্রর যাদব ও বছর ৩৮ এর দীনেশ যাদবের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্তোষ রাম আর ইন্দ্রজিত চৌরাসিয়াকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। দুইজনের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক বলেই জানিয়ে হাসপাতাল।
রবিবার ভোর রাতের মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কের আসানসোলগামী লেনে যানজট তৈরি হয়। পড়ে বুদবুদ থানার পুলিস পৌঁছে যানজট মুক্ত করে জাতীয় সড়ক। পুলিসই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে এই চারজনকে।
পাহাড়(hill) থেকে প্রায় ৩০০ ফুট নিচে খাদে গাড়ি। ভয়াবহ দুর্ঘটনায়(accident)মৃত্যু হল গাড়ির চালক(car driver) সহ দুইজনের। আহত আরও একজন। জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের চম্পাগুড়ি পাহাড়ের ঘটনা। পাকদণ্ডী বেয়ে চম্পাগুড়ি পাহাড় থেকে চা বাগানের দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি। কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তা খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নাগরাকাটা থানার পুলিস(police)।
মৃত্যু হয় গণেশ গোন্ড (২৩) ও বিশাল গোপের (১৯)। গণেশের বাড়ি নয়া সাইলি চা বাগান এলাকায়। তিনিই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। অন্যদিকে বিশালের বাড়ি নাগরাকাটা চা বাগানের রতন লাইনে। মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন ছোট গাড়িটি দু’জন আরোহী নিয়ে নাগরাকাটা চা বাগান থেকে বাজারের দিকে আসছিল। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিসের সহযোগিতায় আহতকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা চালক ও আরও একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্থানান্তরিত করা হয় মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে উদ্ধার করেছে পুলিস।
নাগরাকাটা থানার পুলিস সূত্রে জানা গেছে, চম্পাগুড়ি থেকে একটি গাড়ি আসছিল। যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি থাকতে পারে গাড়িটিতে। ক্রেন দিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।
এভাবেই পাকদণ্ডী বেয়ে গাড়ি চালানোর ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু বহু মানুষ পেটের টানে বাধ্য হন এই কাজে। এদিন নিহতদের বাড়িতে খবর দেওয়ার পরই শোকের ছায়া পরিবারে।