ব্যথায় (Pain) কাতর, আর হাতের কাছেই আছে পেইন কিলার (Pain Killer), তবে আর দেরি কেন? ঝটপট খেয়ে নিলেন তো! এবারে ব্যথাও কমল, আর স্বস্তিও পেলেন। কিন্তু জানেন কি এই স্বস্তির পিছনে কী কী ভয়ানক বিপদ আপনি ডেকে আনছেন নিজের শরীরে? আপনি জেনে অবাক হবেন যে সামান্য ব্যথার জন্য আপনি যে পেইন কিলার ব্যবহার করেন তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর (Side Effects)।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পেইন কিলার খাওয়ার অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পেট খারাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, রক্তপাত বা পেটের আলসারের সমস্যা, ঘুমের অভাব, শ্বাসকষ্ট, ত্বকে ফুসকুড়ি, ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি। এছাড়াও পেইন কিলার খাওয়ার ফলে কিছু মারণব্যাধিও দেখা যেতে পারে শরীরে। যেমন- পেইন কিলার বেশি খেলে আপনার মানসিক অবসাদ দেখা দিতে পারে। লিভারের সমস্যা হতে পারে, এমনকী হার্টের রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। আবার কিডনিরও রোগ দেখা দিতে পারে। ফলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কোনও ব্যথা হলেই সঙ্গে সঙ্গে পেইন কিলার খাওয়া উচিত নয়, আর খেতে হলেও চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে।
বর্ষাকাল (Monsoon) মানেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ। এই সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ (Immunity power) ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় ব্যাকটেরিয়া (Bacteria), ভাইরাস এবং ছত্রাকের বৃদ্ধি ঘটে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও হঠাৎ তাপমাত্রার ওঠানামা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। হজমের সমস্যা এবং মশার কামড় ঘটিত নানারকমের রোগ এই সময় বেশি দেখা যায়। শরীরে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনও দেখা দেয়। এককথায় বলতে গেলে, বর্ষাকাল হল রোগের আঁতুড়ঘর। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী ধরনের খাবার খাওয়া দরকার, জেনে নিন।
তুলসী পাতা: তুলসী তার ঔষধি গুণাবলীর জন্য পরিচিত। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসেবে কাজ করে। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, তুলসী পাতা সরাসরি খাওয়া, ভেষজ চায়ে, বা স্যুপ এবং কারিতে দিয়ে আপনি খেতে পারেন। এটি রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ও বর্ষাকালে আমাদের সুস্থ রাখে।
আদা: বিশেষজ্ঞের মতে আরেকটি ইমিউনিটি বুস্টার খাবার হল আদা। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এছাড়াও এতে জিঞ্জেরোল, প্যারাডল, সেসকুইটারপেনস, শোগাওল এবং জিঞ্জেরোনের মতো যৌগ রয়েছে। যা ঠান্ডা ও ফ্লু থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে।
ব্ল্য়াক পেপার: ব্ল্যাক পেপার এক ধরণের মশলা যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এতে পিপারিন নামক একটি যৌগ রয়েছে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য এটি পরিচিত। ফলে এই মশলা ক্ষতিকারক রোগজীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে এবং অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।
কারি পাতা: কারি পাতাও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা শরীরকে সুস্থ এবং রোগমুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারি পাতা আপনার প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহার করা যেতে পারে, বিশেষ করে তরকারি, স্যুপ এবং মুসুর ডালের মধ্যে।
লেবু: ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ লেবু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
আপনারা নিশ্চয় জানেন যে, কোল্ড ড্রিঙ্কস (Cold Drinks) শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক। কারণ কোল্ড ড্রিঙ্কসগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। যার ফলে শরীরে ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হৃদরোগ থেকে শুরু করে ডিমেনশিয়া, আর্থ্রাইটিস, দাঁতের ক্ষয় অনেক কিছু হতে পারে। কিন্তু এবারে এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, এই ধরণের ড্রিঙ্কসগুলো পুরুষদের যৌন জীবনের (Sexual Health) জন্য ভালো।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কসগুলো পুরুষদের যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়ে। এছাড়াও এই ধরণের ড্রিঙ্কসগুলো টেস্টিকেলের আকার ঠিক রাখে। আবার এমন ধরণের ড্রিঙ্কস বেশি পরিমাণে বীর্য উৎপন্ন করতে পারে।
একটি গবেষণার মাধ্যমেই বিশেষজ্ঞরা এমন ধারণায় পৌঁছেছেন। জানা গিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা ইঁদুরের উপর একটি গবেষণা চালায়। ১৫ দিন ধরে কিছু ইঁদুরকে কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়ানো হয়েছে ও বাকি কিছু ইঁদুরকে শুধু জল খাওয়ানো হয়েছে। এতেই দেখা গিয়েছে যে, যাদের কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়ানো হয়েছিল তাদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে এই থেকেই বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্তে আসেন যে, কোল্ড ড্রিঙ্কস পুরুষদের যৌন জীবন উন্নত করতে কার্যকরী।
বর্ষাকাল (Monsoon) মানেই রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ। তাই শুধু বড়দের নয়, এই ঋতু পরিবর্তনের সময় ছোটদের প্রতিও বাড়তি নজর রাখতে হয়। এই সময় ফুড পয়জন থেকে শুরু করে ডায়রিয়া, সাধারণ বদহজম, জ্বর-সর্দি-কাশি ইত্যাদি মাথাচাড়া দেয়। এছাড়াও বাতাসে আর্দ্রতার উচ্চ মাত্রার জন্য ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কলেরা, টাইফয়েড এবং ডায়রিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ বৃদ্ধি পায়। এই রোগের বৃদ্ধির কারণে বিশেষত বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই বাচ্চাদের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। বর্ষায় রোগ-জীবাণু থেকে বাচ্চাদের নিরাপদে রাখবেন কী ভাবে, সে বিষয় কিছু টিপস দেওয়া হল—
এই ধরনের রোগ থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য, আপনার চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার প্রতি মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আশেপাশে যেন জল জমে না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, শিশুদের মশার কামড় থেকে রক্ষা করার জন্য বাড়িতে মশা নিরোধক এবং মশারি ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও তাদের লম্বা হাতা শার্ট, প্যান্ট এবং মোজা পরিয়ে রাখা উচিত। স্যাঁতসেঁতে কোনও জায়গায় দীর্ঘক্ষণ তাদের রাখা যাবে না। এছাড়াও যেসব খাবারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, তেমন খাবার বাচ্চাদের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পুষ্টিকর খাবার যেমন সাইট্রাস ফল, শাক সবজি, প্রোবায়োটিক সহ দই, মাশরুম, বেরি এবং চর্বিযুক্ত মাংস খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। কারণ এই সমস্ত খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৭ জুলই বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ওয়ার্ল্ড চকোলেট ডে (World Chocolate Day)। ২০০৯ সাল থেকে 'ওয়ার্ল্ড চকোলেট ডে'-র উদযাপন শুরু। ফলে এই দিনে জেনে নিন চকোলেটের (Chocolate) কী কী উপকারিতা রয়েছে। চকোলেট বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের চকোলেটের মধ্যে যেমন- ডার্ক চকোলেট (Dark Chocolate) শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সুস্থ থাকতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সেরা উপকরণ হল চকোলেট। ফলে চকোলেট খেলে কী কী ক্ষতি হয়, তা তো জানেন। কিন্তু এবারে এর উপকারিতাগুলোও জেনে নেওয়া দরকার।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভরপুর: ডার্ক চকোলেট অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে জন্য উপকারী। ফলে বিশেষজ্ঞরাও জানিয়েছেন, আপনারা কম-বেশী ডার্ক চকোলেট খেতেই পারেন।
রক্তপ্রবাহে উন্নত করতে সহায়ক: চকোলেটে ফ্ল্যাভনয়েডস রয়েছে, যা দেহের রক্তপ্রবাহকে উন্নত করতে সাহায্য করে। আর রক্তের প্রবাহ ঠিকমতো হতে থাকলে ব্লাড প্রেশারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়: ডার্ক চকোলেট শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএল বাড়াতে সহায়ক।
হার্ট ভালো রাখে: ডার্ক চকোলেট হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্টের রোগীরা উপযুক্ত পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন।
ব্রেনের জন্য ভালো: ডার্ক চকোলেটে থাকা ফ্ল্যাভনয়েডস মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ বাড়াতে পারে। এবার এই রক্তপ্রবাহ বাড়ার কারণে মস্তিষ্কে ব্রেনের কগনিটিভ ফাংশন ভালো হয়। ফলে বুদ্ধি বাড়ার পাশাপাশি ব্রেনের কার্যক্ষমতাও বাড়তে পারে। এছাড়াও ব্রেনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে ডার্ক চকোলেট।
গরমকালে ডায়েটে এমন খাবার রাখা উচিত, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে। ফলে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে বিভিন্ন ধরনের খাবারের মধ্যে এমন একটি ফল রয়েছে, যা শরীরে জলের অভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। সেই ফল হল শসা (Cucumber)। পুষ্টিবিদদের মতে, গ্রীষ্মকালে ডায়েটে অবশ্যই রাখা উচিত শসা। তবে আপানারা সাধারণত খোসা ছাড়িয়েই শসা খেয়ে থাকেন। কিন্তু শসা খোসাযুক্ত খেলে যে কী কী উপকার পাওয়া যায়, তা অনেকেরই অজানা। তাই জেনে নিন, শসা খোসা সমেত খেলে কী কী উপকারিতা পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যে কার্যকর: শসাার খোসায় ফাইবার আছে, যা অদ্রবণীয়। ফলে এটি খাবার হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সহায়ক: খোসাযুক্ত শসা খেলে তা বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে। ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে ও লোভ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই সারাক্ষণ খাবার খাওয়ার তেমন প্রবণতা থাকে না। তাই ওজন স্বাভাবিকভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্বকের জন্য উপকারী: শসায় অ্যাসকরবিক অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়: যাদের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল তাঁদের খোসা সমেত নিয়মিত শসা খাওয়া উচিত কারণ এতে ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যা শুধু দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় না, চোখের বিভিন্ন রোগ থেকেও রক্ষা করে।
সকলের মিষ্টি (Sugar) খাওয়ার প্রবণতা একরকম নয়। দেখা যায় অনেকে হয়তো ঝাল খেতে বেশি ভালোবাসেন। অনেকের আবার মিষ্টি পছন্দ। এই যাদের মিষ্টি বেশি পছন্দ তাঁদের চা কিংবা কফি, তাছাড়াও সারাদিনের নানা খাবার মিষ্টি পছন্দ। অতিরিক্ত মিষ্টি যে শরীরে ডায়াবেটিসের মাত্রা বৃদ্ধি করে তা মোটামুটি সকলেরই জানা। কিন্তু জানেন কী ত্বকেও (Skin) প্রভাব ফেলতে পারে চিনি।
অ্যাকনে: অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে প্রদাহ শুরু হয়, এই প্রদাহ থেকেই চেহারায় দেখা দেয় অ্যাকনের সমস্যা। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায়। যা শরীরে সিবামের মাত্রা বাড়ায় এবং শরীরের কোষের মুখে জমাট বাধে। মুখের অতিরিক্ত অ্যাকনে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের মাত্রাও বাড়ায়। তাই এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চিনি খাওয়ার মাত্রা কমানো উচিত।
বয়সের দাগ: অতিরিক্ত চিনি শরীরে গ্লাইকেশনের প্রক্তিয়াকে উসকে দেয়। চিনির অণুগুলি কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় এবং ত্বকে ভাঁজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই চেহারা দেখতে বয়সের থেকেও বেশি মনে হয়।