Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

worldcup

Khela Dibas: ১৬ অগাস্ট ভারতীয় ফুটবলের কালো দিন! ১৯৮০-র এদিনেই প্রাণ ঝরেছিল ইডেনে

প্রসূন গুপ্ত: একদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রাজ্যের সর্বত্র 'খেলা হবে' বলে জানিয়েছেন। এই খেলা কী শুধু ফুটবল কিনা, জানা যায়নি। যদিও আজ বাংলার 'খেল দিবস' বা খেলা দিবস। ১৫ আগস্টের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই জানা গেল, ভারতীয় ফুটবল সংস্থা বা এআইএফএফ-কে বিশ্ব ফুটবলে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ফুটবল সংস্থা বা ফিফা। এর ফলে ডুরান্ড কাপ থেকে আইএসএল-সহ সমস্ত টুর্নামেন্ট বাতিল হয়ে গেল। কারণ, এ সমস্তই ফিফা অনুমোদিত। সামনেই মোহনবাগান দলের দেশের বাইরে এএসফসি টুর্নামেন্ট। হয়তো তাতেও বাধা আসতে চলেছে। তবে বিশ বাঁও জলে ভারতে হতে চলা অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। অক্টোবর-নভেম্বরে এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এদেশে আয়োজনের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। কিন্তু ফিফার সিদ্ধান্তে সেই বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ যারপরনাই অন্ধকারে।

এদিকে প্রশ্ন থাকছে, খেলা দিবস এ রাজ্যে পালন করা হোক না কেন, আসলে ১৬ অগাস্ট বাংলা ফুটবলের কালো দিন। ১৯৮০ তে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের লিগ ম্যাচে মাঠের অভ্যন্তরে ঘটা অনভিপ্রেত ঘটনায় ইডেন গার্ডেনে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তৎকালীন রঞ্জি স্টেডিয়ামে ১৬ জন সমর্থক এই কলহে প্রাণ হারায়। তারপর সেদিনের খেলা শেষে বাতিল হয় কলকাতা লিগ এবং শিল্ড। তৎকালীন সরকারের ত্রুটিতেই এই গন্ডগোল এবং মৃত্যু।

সে বছর ইস্টবেঙ্গল থেকে ১৫ জন খেলোয়াড় দল ছেড়ে বেরিয়ে যায়। অনেকেই বলে, সুরজিৎ সেনগুপ্তের নেতৃত্বে নাকি এই দল বদল। সেবার দলের কোচ ছিলেন পি কে ব্যানার্জি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে নতুন করে দল গড়েন। বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল মজিদ জামশেদকে। কার্যত এই যুগল ইস্টবেঙ্গলকে ফেড কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন করে।

তারপর থেকেই তেতে ছিল দুই দলের সমর্থকরা। সেবারই সরকার এক অদ্ভুত কাণ্ড করে। সারা স্টেডিয়ামে দুই দলের সমর্থকদের মিলেমিশে বসার ব্যবস্থা করে, যা অভূতপূর্ব। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের বিদেশ বসুকে ইস্টবেঙ্গলের ব্যাক দিলীপ পালিত ট্যাকেল করেন। তারপর বিদেশ উঠে দিলীপকে লাথি মারেন। রেফারি দুজনকেই লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। এরপরই ইট-পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়। পাশাপাশি বসে থাকা দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এরপর ওই অঘটন। আর কোনও দিনও এই দুই সমর্থকদের পাশাপাশি বসানো হয়নি। কিন্তু যারা প্রাণ দিল?

2 years ago