আম্বানিদের (Ambani) অনুষ্ঠান মানেই রাজকীয় ব্যাপার। আম্বানি পরিবারে বিয়ে, তার মানেই সেখানে জাঁকজমক, নাচ-গান, এলাহি খাবার, দেশ-বিদেশের তারকাদের উপস্থিতি। তবে ভেবে দেখেছেন কি দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির বড় ছেলের বিয়ের কার্ড কেমন হবে? সম্প্রতি একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, আকাশ আম্বানি (Akash Ambani) ও শ্লোকা মেহেতার (Shloka Mehta) বিয়ের কার্ড হাতে লিখে অতিথিদের আমন্ত্রণ করেছেন মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানি।
২০১৯ সালের ৯ মার্চ বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন মুকেশ ও নীতা আম্বানির বড় ছেলে আকাশ আম্বানি। শ্লোকা মেহেতার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সেসময় তাঁর বিয়ের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল রাজকীয় অনুষ্ঠানের। তাঁদের বিয়ের কার্ডও ছিল দেখার মত। দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির বাড়িতে বিয়ে, ফলে নিমন্ত্রণ কার্ডও হবে তাক লাগানোর মতোই। রূপোয় বাঁধানো সেই কার্ডের মধ্যে যেমন এলাহি ব্যাপার রয়েছে, তেমনই তাতে রয়েছে এক অভিনব ব্যাপার। কারণ সাধারণত নিমন্ত্রণ কার্ড ছাপানোই হয়ে থাকে। কিন্তু নীতা ও মুকেশ আম্বানি একটু অন্যভাবে ভেবে হাতে লিখে তাতে এক চমক দিয়েছেন। এমনটা হয়তো এখন আর বেশি দেখা যায় না। ফলে এটা এক বিরল ঘটনাই বটে।
সেই বিয়ের কার্ডের বাইরে থেকে দেখা গিয়েছে, রূপোয় বাঁধা ঘূর্ণায়মান রাধা-কৃষ্ণ, এরপর ভিতর থেকে একটি বাক্স মতো খুললেই দেখা যাচ্ছে হাতে লেখা সেই কার্ডটি। এরপর প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা কার্ডও রয়েছে। ফলে এককথায় একেবারে তাক লাগানো কার্ড। উল্লেখ্য, খুব শীঘ্রই আম্বানি পরিবারে ফের বিয়ের সানাই বাজতে চলেছে। ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়েতে কী কী নতুন চমক নিয়ে আসতে চলেছে আম্বানি পরিবার, তা দেখার অপেক্ষায় দেশবাসী।
বিয়ে (Wedding) মানেই নাচ-গান-আনন্দ আর বিভিন্ন রীতি-নিয়মে ভরা এক অনুষ্ঠান। বিশ্বের এক এক জায়গায় এক এক রকমের বিয়ের রীতি (Rituals) রয়েছে। এমন এমন অদ্ভুত নিয়ম রয়েছে যা দেখে অবাক হবেন আপনিও। এমন এক ভিডিও সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, যেখানে নতুন বরকে শাস্তি দেওয়া হয় মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এই শাস্তি আবার বরের বাড়ির সকলেই আনন্দের সঙ্গে মেনেও নেয়। এমন আজব নিয়ম নেপালের (Nepal) এক সম্প্রদায়ের।
নেপালের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে, কারোর মুখে পাতা দিয়ে বানানো মুখোশ, কারোর গলায় পাতা দিয়ে বানানো মালা, আবার মাথায়ও পাতার বানানো অদ্ভূত ধরনের টুপি, চোখে চশমা সেটাও পাতা দিয়ে বানানো। আর এমন বেশে দেখা গিয়েছে নতুন বর সহ তাঁর পক্ষের সবাইকেই। এটাই নাকি তাঁদের শাস্তি। বিয়ে হওয়ার পর কনেকে বরের বাড়ি চলে যেতে হয়। বর যেহেতু মেয়েকে নিয়ে চলে যায়, তাই এই শাস্তি দেওয়া হয় বরের বাড়ির সদস্যদের। তাঁদের প্রত্যেককে পাতা দিয়ে উদ্ভট ভাবে সাজানোটাই তাঁদের শাস্তি। তবে তাঁরা এই নিয়ম বেশ মজা করেই পালন করেন। ভিডিওতে পাত্রপক্ষের সবাইকে এই সাজে নাচতে, মজা করতেও দেখা গিয়েছে।
এই ভিডিওটি সম্প্রতি ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনরাও কমেন্ট করেছেন। কেউ লিখেছেন, 'এটা সত্যি একটি মজাদার নিয়ম। এখানে পণ দেওয়া হয় না। এমন মজাদার শাস্তি দেওয়া হয়।'
বলি পাড়ায় নাকি আবারও বিয়ের সানাই বাজতে চলেছে। চার হাত এক হতে চলেছে দক্ষিণী অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া (Tamannaah Bhatia) এবং বলিউড অভিনেতা বিজয় বর্মার (Vijay Varma)। তাঁদের ভালোবাসার গুঞ্জন শুরু হয়েছে অনেকদিন আগে থেকেই। প্রকাশ্যে প্রেমের কথা স্বীকার না করতে চাইলেও, বিশেষ লুকোতে চাননি। একসঙ্গে একাধিকবার ডেটে গিয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন যুগলে। এমনকি গাড়ির ভিতরে তাঁদের আদর যাপনের ছবিও ধরা পড়েছিল।
শোনা গিয়েছে, প্রেম পর্ব পেরিয়ে এবার বিবাহ পর্বে উত্তোরণ হতে চলেছে তাঁদের সম্পর্ক। তামান্না এবং বিজয়ের পরিবার নাকি বিয়ে নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। ঘনিষ্ট মহলেই নাকি বিয়ে সারতে চাইছেন তাঁরা। আমন্ত্রিতের লিস্টে থাকতে পারে কাছের আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধবের নাম। বিয়ের তারিখ পাকা হয়নি এখনও। তবে শুভ কাজে নাকি আর দেরি করতে চাইছেন না তামান্না এবং বিজয়ের পরিবার।
এই সপ্তাহের শুরুতেই মুম্বইয়ের এক রেস্তোরাঁয় ডিনার করতে গিয়েছিলেন তামান্না এবং বিজয়। কিছুদিন আগেই দু'জনে ঘুরতে গিয়েছিলেন গোয়া। সেই ছবিও সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই দেখেছেন। গাড়িতে বসে বিজয় তামান্নার চুমু খাওয়ার দৃশ্যও ধরা পড়েছিল পাপারাৎজিদের ক্যামেরায়। খুল্লমখুল্লা প্রেম করার পর নাকি জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাইছেন এই দুই বলি তারকা।
একটি বিয়ের (wedding) মন্ডপে কনেকে কোলে তুলে সাতপাক ঘুরছেন বর, ঠিক এমনই একটি ভিডিও (Viral Video) ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ওই বর-কনে নিজেরাই সেই বিয়ের ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। এই ঘটনার কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, বিয়ের ঠিক ৪৫ দিন আগেই পথ দুর্ঘটনায় পড়েন কনে। আর সেই দুর্ঘটনার পরই নিজের চলার ক্ষমতা হারিয়েছিলেন ওই কনে। তাই অস্ত্রোপচার করতে দু'মাস বিয়ে পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় দুই পরিবার। তবে অস্ত্রোপচার করেও কোনও উপকার হয়নি। চলার ক্ষমতা ফিরে পাননি ওই তরুণী। শেষ পর্যন্ত বর-কনে ঠিক করেন, দ্বিতীয়বার নির্ধারিত দিনেই বিয়ে করবেন তাঁরা। তাই বিয়ের দিন কনে চলতে না পারায় তাঁকে কোলে তুলেই সাত পাকে ঘোরেন বর।
সবমিলিয়ে অনেক বাধা সত্ত্বেও পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিয়ে করেছেন তাঁরা। আর নিজেদের সেই বিয়ের ভিডিও পোস্ট করে কনে লেখেন, ‘‘আমি জানি রূপকথার গল্প সত্যি হয়, কারণ তুমি রয়েছ আমার পাশে।’’ আবার কনের পোস্ট করা ওই ভিডিওতে বর প্রথম মন্তব্য করে লিখেছেন, ‘‘সারা জীবন এভাবেই ভার তুলব। এত শারীরিক কসরত কী এমনি এমনি করি!’’
বিয়েবাড়ি মানেই গান-বাজনা, আনন্দ আর বরপক্ষ ও কনেপক্ষের হুল্লোড়। চোখ ধাঁধানো আলোর রোশনাই। আর এরকম বহু ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। তার মধ্যে সম্প্রতি একটি ভিডিও নেটবাসীদের মন জয় করেছে। যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে আলোচনাও। মুহূর্তেই হাজার হাজার শেয়ার আর কমেন্টের ঝড় তুলেছে সেই ভিডিও। বলা বাহুল্য, মন ভালো করা সেই ভিডিও দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেন না আপনিও।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি বিয়েবাড়িতে বরযাত্রীদের সঙ্গে এক ব্যক্তি বেশ গানের তালে নাচছেন। আর তার কোলে চুপটি করে রয়েছে একটি কুকুর। আর সেই পোষ্যটিও যে তার বন্ধুর কোলে উঠে নাচ উপভোগ করছে তা বেশ বোঝা গিয়েছে। আর তাদের দুজনের একসঙ্গে নাচের ভিডিও সকলের মন জয় করে নিয়েছে। বরযাত্রীদের সঙ্গেই ওই ব্যক্তি নাচতে শুরু করলে সারমেয়টিও বেশ গানের তালে লাফাতে থাকে।
এক ঝলক দেখে মনে হবে যেন কোনও শিশুকে কোলে নেওয়া হয়েছে। আর পোষ্যকে কোলে নিয়েও যে এত সুন্দর নাচ করা যায় তা যেন ভিডিওটি না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়তই কত ধরনের ভিডিয়ো ভাইরাল হতে থাকে। কিন্তু তারই মধ্যে বেশ কিছু বিষয় নেটিজেনদের মন ছুঁয়ে যায়। আর এমন ভিডিও যে ভাইরাল হতে বেশি সময় নেবে না তা বলাই বাহুল্য। ভিডিওয় পোষ্যকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। যেমন এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, "বন্ধুর সঙ্গে এত সুন্দর করে সেও যেভাবে নাচছে তা দেখে মন ভরে গেল।"
বিয়ে বাড়িতে (Wedding) হুলুস্থুল কাণ্ড। বর ও কনে পক্ষের মধ্যে ছবি তোলা নিয়ে তুমুল অশান্তি। প্রথমে মজার ছলে কথাকাটি এগোলেও শেষমেষ তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। এই ঝামেলার জেরে বর বিয়ের পিঁড়ি ছেড়ে চলেও যেতে চায়। তবে স্থানীয় এবং পুলিসরা (Police) এসে বোঝানোয় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে রাজি হন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) সীতামারি জেলায়।
পুলিস সূত্রে খবর, বর-কনের মধ্যে প্রথমে ঝগড়ার সূত্রপাত ঘটে। মালা বদলের পর কে আগে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন তা নিয়ে ঠাট্টা-তামাশার সুরেই ঝগড়া শুরু হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে সুর চড়তে থাকে দু'জনের। শেষে দু'পক্ষের আত্মীয়-স্বজনরা সেই ঝগড়ায় অংশগ্রহণ করতে শুরু করে। এরপর পরিস্থিতি মারামারি পর্যায়ে পৌঁছয়। এমনকি চেয়ার তুলে মারতে শুরু করে দু'পক্ষ। আর ঘটনায় জখমও হন বর এবং কনে পক্ষের কয়েকজন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও ভর্তি করাতে হয়েছে।
স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে, বিয়ের মণ্ডপে হাজির হয় পুলিস। এত ঘটনায় খেপে গিয়ে বর বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেন। অনেক বোঝানোর পর বিয়ে করতে রাজি হন বর বলে পুলিস সূত্রে খবর।
বিয়ে চলাকালীন ছাদনাতলায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু (Death) হল কনের। উভয় পরিবারের সম্মতিতে তড়িঘড়ি শ্যালিকার সঙ্গে বিয়ের (Wedding) পিঁড়িতে বসলেন হবু বর। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের (Gujarat) ভাবনগর এলাকায়।
ভগবানেশ্বর মহাদেব মন্দিরে আয়োজন করা হয়েছিল বিয়ের। উপস্থিত হয়ে গিয়েছিলেন নিমন্ত্রিতরা। হবু বর বিশাল এবং মৃতা তরুণী হেতাল সেজে বিয়ের পিঁড়িতে বসেও পড়েন। কিছুক্ষণের মধ্যেই যুগলের মালাবদল, সাত পাকে বাঁধা পড়ার আনন্দে মেতে উঠেছিল উভয়পক্ষ। একের পর এক নিয়ম পালনও করছিলেন কনে। গানবাজনা, হৈচৈ-এর মাঝে আচমকা তাল কাটে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছাদনাতলাতেই সংজ্ঞাহীন হয়ে লুটিয়ে পড়লেন হেতাল। হুলুস্থুলু কাণ্ড ঘটে গেল বিয়ের আসরে।
তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে কনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু নিয়ম অনুসারে বিয়ের পিঁড়ি থেকে বরের ফিরে যাওয়া অশুভ। তাি কনের বোনকে রাজি করানো হয় বিয়ের জন্য। শেষে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর মৃতের শেষকৃত্য করেন পরিবারের সদস্যেরা। কনের মৃত্যুর খবরে মুহূর্তের মধ্যে বিয়ের আনন্দ বদলে যায় বিষাদে। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে পরিবারকে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
বিয়ের তারিখ বদল সিড-কিয়ারার (Kiara Advani)। ৪ তারিখ মেহেন্দির অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছেন তাঁরা। ৬ তারিখ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল চর্চিত জুটির। তবে সেই দিনটিকে বদলে ৭ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজস্থানের জয়সালমিরে উপস্থিত হয়েছেন কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা (Sidharth Malhotra)। শনিবারই যোধপুর বিমানবন্দরে স্পট করা হয় সিদ্ধার্থ মলহোত্রর পরিবারকে। বিয়ে নিয়ে সিদ্ধার্থের মায়ের সংযোজন 'আমরা সকলেই খুব উত্তেজিত।' ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফের মতোই ব্যক্তিগত পরিসরেই বিয়ে করছেন এই মুহূর্তের চর্চিত কাপল।
শনিবার সন্ধ্যায় সূর্যগড় প্রাসাদে বসছিল মেহেন্দির অনুষ্ঠান। বিয়ের অনুষ্ঠান ৬ তারিখ হওয়ার কথা থাকলেও এখন সেই জায়গায় সঙ্গীত অনুষ্ঠান থাকছে বলেই খবর। বিয়ে হবে ৭ তারিখ। নিমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনের নাম। উপস্থিত থাকবেন মনীশ মালহোত্রা থেকে দক্ষিণী অভিনেতা রামচরণ, শাহিদ কাপুর ও তাঁর স্ত্রী মীরা কাপুরও।
যদিও বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া হবেনা 'শেরশাহ' জুটির। এই মুহূর্তে রোহিত শেট্টি পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ইন্ডিয়ান পুলিশ ফোর্স-এর শুটিং-এর কারণে ব্যস্ত থাকবেন সিদ্ধার্থ। তাছাড়াও, বিয়ের পর আচার-আচরণ পালন করা হবে পঞ্জাবি ও সিন্ধ্রি পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে কাজের শেষে নাকি দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে যেতে পারেন সিড-কিয়ারা।
বছরের শুরু থেকেই নেটিজেনদের কাছে চর্চিত কাপল হিসেবে ধরা দিয়েছেন কিয়ারা আদবানি (Kiara Advani) ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা (Siddharth Malhotra)। তাঁদের বিয়ে নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে একাধিক পোস্ট। ফেব্রুয়ারি মাসেই সিড-কিয়ারা জুটি বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবেন বলেও খবর ছিল। এবার সেই খবরে পড়লো সিলমোহর। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখেই মেহেন্দি পর্ব সারছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, বিয়ের জন্যই সিদ্ধার্থ এবং কিয়ারা রয়েছেন রাজস্থানের জয়সলমিরে। চলতি মাসের ৬ তারিখ বিয়েও সেরে ফেলবেন বলিউড ডিভা কিয়ারা এবং পর্দার 'শেরশাহ'। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখে মেহেন্দি হওয়ার কথা ছিল তবে সেই দিনটিকে এগিয়ে ৪ তারিখ করা হয়েছে। বিয়ের দিনে উপস্থিত ঘনিষ্ঠদের তালিকায় দক্ষিণী অভিনেতা থেকে বলিউডের পরিচালকদের নাম নথিভুক্ত। বিয়ের দিন সিদ্ধার্থ ও কিয়ারার ছবির গানে তাল মেলাবেন দুজনেই।
ইতিমধ্যেই দু'পক্ষের মেহেন্দি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে জয়সলমিরে উপস্থিত হয়েছেন মেহেন্দি আর্টির্স্ট ভীনা নাগদা। দুপুর বা সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠান হতে পারে বলে খবর।
চর্চিত বান্ধবী আথিয়া শেট্টির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন ভারতীয় ক্রিকেটার কেএল রাহুল (Rahul weds Athiya)। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বৃত্তকে সাক্ষী রেখে চার হাত এক হয়েছে এই যুগলের। বিয়ের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সুনীল শেট্টি (Suniel Shetty)। তাঁদের মিষ্টিমুখ করিয়ে সুনীল আন্না জানান, 'এতদিনে আইনি মতে শ্বশুর হলাম।' তাঁর সঙ্গে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে ছেলে অহন শেট্টিকেও। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কাকপক্ষী যাতে বিয়ের মণ্ডপে প্রবেশ করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল সুনীল শেট্টির খান্দালার ফার্ম হাউসে (Khandala Farm House)।
তাও যুগলের বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে চলে আসে। দেখা গিয়েছে, হালকা গোলাপি শেরওয়ানিতে কেএল রাহুল। উল্টো দিকে আইভরি লেহঙ্গায় পাত্রী আথিয়া। সুনীল জানান, 'অসাধারণ অনুষ্ঠান হল, কিন্তু ছোট করে। শুধু মাত্র পারিবারিক বৃত্তে।' জানা গিয়েছে, দিনকয়েক বাদে বড় করে রিসেপশনের আয়োজন করা হয়েছে। যদিও এদিন বিয়েতে সুনীল ঘনিষ্ঠ একাধিক বলিউড তারকাকে খান্ডালার ফার্ম হাউসে দেখা গিয়েছে।
ক্রিকেটের (Cricket) হেলমেট ছেড়ে এবার মাথায় পাগড়ি (Pheta)। দাদার মেয়ের বিয়েতে মাথায় ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি বেঁধে সাজলেন শচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। যে দেখে উচ্ছ্বসিত অনুরাগী মহল। ভাইঝির বিয়ে (Marraige) বলে কথা।
মঙ্গলবার রাতে শচিন নিজে পাগড়ি পরার ভিডিও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এই ভিডিওটির ক্যাপশনে শচিন তেন্ডুলকর বিয়ে, উৎসব, ট্র্যাডিশন এই শব্দ গুলি লিখেছেন। ভিডিওতে দেখা যায় তাঁকে পাগড়ি পরিয়ে দিচ্ছেন বিয়েবাড়িতে উপস্থিত কোনও ব্যক্তি। আর শচিনকে পাগড়ি পরতে পরতে বলেন, “আমার দাদা নীতিনের মেয়ের বিয়ে। সেই জন্যই এই ফেটা (মহারাষ্ট্রে পাগড়িকে ফেটা বলে) পরছি।”
পাজামা-পাঞ্জাবি এবং পাগড়ি বেঁধে একেবারে নয়া লুকে দেখে কোনও কোনও অনুরাগী বলে বসেন, 'বরকেও হার মানাবে তাঁর এই লুক।' এমনকি ভিডিও দেখে খুনসুটি করতে ছাড়েননি যুবরাজ সিং। তিনি ইনস্টাগ্রামে লেখেন, 'আরে সচিন কুমার যে...'। একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ভারতের সচিন স্যারের মুকুট।’ অন্য আরেকজন লিখেছেন,‘আমার প্রিয়, আমার আদর্শ, আমার অনুপ্রেরণা।’