কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলা। মামলায় বিপাকে সিআইডি (CID)। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত (investigation) করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। দুর্নীতি দমন আইনে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে সিআইডির কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কল্যাণী এইমসে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে তদন্ত চালানো সিআইডিকে এই মর্মে সতর্ক করল হাইকোর্ট (Highcourt)। সোমবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।
উল্লেখ্য, গত শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। তাঁর যুক্তি ছিল, এইমসে বেআইনি কর্মী নিয়োগ মামলায় কয়েক জন কর্মীর নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি সিআইডিকে আদালত জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন আইনের ১৭ (এ), ১৯৮৮ মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ফলে কল্যাণী এইমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে। কেন্দ্রের আইনজীবীর যুক্তিকে মান্যতা দিয়ে সোমবার সিআইডিকে সতর্ক করল আদালত। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিকে সূত্রের খবর, এই মামলায় এতদিন সিআইডির তরফে শুনানি করা সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে কোনও সিনিয়র আইনজীবীকে এখানে নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।
শিক্ষা, ধর্ম এবং স্বাধীনতার মতো ইন্টারনেট পরিষেবাও (Internet Service) মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) নিয়ে একটি আবেদনের শুনানির সময় বছর খানেক আগে এমনই মন্তব্য করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে সম্প্রতি উলটো চিত্র ধরা পড়ল অসমে (Assam)। প্রায় ৪ ঘণ্টা বন্ধ (Close Internet)রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পরীক্ষায় নকল রুখতে এহেন উদ্যোগ।
জানা গিয়েছে, অসমে বিভিন্ন বিভাগে ২৭,০০০টি সরকারি পদপূরণের পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় রাজ্য সরকার প্রার্থীদের নকল করা রুখতে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে। প্রায় ১৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেন। সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল, যে সমস্ত জেলায় পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে, সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাবে না। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ১৪৪ ধারাও জারি হয়েছে।
নিয়মের অংশ হিসাবে, পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি পরিদর্শকদের পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট বহন করতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের ইনচার্জকে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিডিওগ্রাফ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, পরীক্ষা পরিচালনার সময় কোনও ঝামেলা বা অশান্তি যেন না হয়।
ফের সিবিআই হেফাজতে শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহা। ৭ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষে বুধবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় এসএসসির দুই প্রাক্তন কর্তাকে। সূত্রের খবর, শুধু এসএসসি নয়, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতেও যোগ এসপি সিনহার। এসএসসি মামলায় এসপি সিনহা ও অশোক সাহার ফের ৫ দিনের সিবিআই হেফাজত। অর্থাত আগামী ২২ আগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত দুই এসএসসি কর্তার।
"উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ কোন্ এক্তিয়ারে চাকরির সুপারিশ করতেন?" "তাঁকে এই ক্ষমতা কে দিয়েছিল?" আলিপুর কোর্টের বিশেষ আদালতে শুনানি চলাকালীন সওয়াল সিবিআই-এর। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গত ৭ দিনে বেশ কিছু নতুন তথ্য মিলেছে বলে দাবি সিবিআই-এর। এই মামলার তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কয়েকজনের নাম, খবর সিবিআই সূত্রে।
সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, এসপি সিনহার হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ বাকি আছে।রেকমেন্ডেশন লেটারের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি সূত্রের খবর, এদিন তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন এসপি সিনহা ও অশোক সাহা। যে প্রমাণ তাদের সামনে আনা হচ্ছে, তার সবটাই অস্বীকার করছেন তারা বলে সিবিআইয়ের দাবি।
নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন এসএসসি কর্তা এসপি সিনহা এবং অশোক সাহাকে গ্রেফতার(arrest) করে সিবিআই(CBI)। ইতিমধ্যেই তাঁদের দু-রাত কাটল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে(custody)। তবে সূত্রের খবর, তদন্তে অসহযোগিতা(non cooperation) করছেন এসপি সিনহা ও অশোক সাহা। উল্লেখ্য, তাঁদের দুজনকেই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু নিয়োগের ক্ষেত্রে তথ্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি সিবিআই-এর। সেগুলির খোঁজ দিচ্ছেন না এসপি সিনহা ও অশোক সাহা। অথচ তাঁরাই ছিলেন এই তথ্যের দায়িত্বে। নিয়োগ কে বা কারা করেছিল, জানতে চায় সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে নানা তথ্য হাতে এসেছে সিবিআই-এর। সেখান থেকেই যোগসূত্র খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে সিবিআই। তবে এসপি সিনহা একেবারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বলে সূত্রের খবর। অশোক সাহা সামান্য কিছু বক্তব্য রেখেছেন। তা রেকর্ড করা হয়েছে, লিখিত এবং ভিডিও।
সিবিআইয়ের প্রশ্ন ছিল, নিয়োগের তথ্যকারী ডিস্ক গায়েবের পিছনে কার হাত?
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা কী ছিল? তবে এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না এসপি সিনহা, খবর সিবিআই সূত্রে।
এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে (Presidency jail) এখন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার (Cabinet meet) বৈঠকে শিক্ষক নিয়োগ (teacher recruitment) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরকে সম্মতি দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর (state finance ministry)। শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের মধ্যেই শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তৎপর রাজ্য সরকার।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে অনুমোদন মিললেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে তৎপর রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রধান শিক্ষকের পদে প্রায় আড়াই হাজার শূন্য পদে রয়েছে। সেই শূন্য পদগুলিতেই নিয়োগের জন্য তৎপর হয়েছে রাজ্য। যদিও স্কুলভিত্তিক চূড়ান্ত শূন্য পদের তালিকা শীঘ্রই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তৈরি করে তা এসএসসিতে পাঠিয়ে দেবে বলেই সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, হাইকোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার শিক্ষক পদ রয়েছে। পাশাপাশি, প্রাথমিকভাবে নিয়োগের বিধিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেই সেপ্টেম্বর মাসের গোড়াতেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেবে এসএসসি তেমনটাই কমিশনের আধিকারিকরা মনে করছেন।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসপি সিনহা ও অশোক সাহাকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। এসএসসি(SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দফতরে রাতভর জেরা(interrogation) করা হয় এসপি সিনহাকে।গতকাল মেডিক্যাল টেস্টের(medical test) পর সিবিআই দফতরে চলে রাতভর জেরা। জেরায় নিয়োগ সুপারিশের দায় এড়িয়েছেন তিনি। কমিটির(committee) প্রধান হলেও তাঁর কাছে পূর্ণ ক্ষমতা(power) ছিল না। তাঁর সই(sign) জাল করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে, জেরায় দাবি এসপি সিনহার।
উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন কনভেনর শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং এসএসসি-র প্রাক্তন সচিব অশোক সাহাকে বুধবার গ্রেফতার করে সিবিআই৷ সূত্রের খবর, এসএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই উপদেষ্টা কমিটিকে কারা নিয়ন্ত্রণ করত, বেআইনিভাবে চাকরি কাদের নির্দেশে দেওয়া হত, এসপি সিনহা এবং অশোক সাহার থেকে তা জানতে চেয়েছিলেন সিবিআই কর্তারা৷ যদিও, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরই অভিযুক্ত দু'জন এড়িয়ে গিয়েছেন বলে খবর৷ এরপরেই তাঁদেরকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলার তদন্তে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এবার সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার হলেন এই দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই যে এফআইআর করেছে, তাতে এসপি সিনহার নাম রয়েছে একেবারে প্রথমে। আর চার নম্বরে রয়েছে অশোক সাহার নাম। উল্লেখ্য হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টেও এঁদের নাম ছিল।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় এবার সিবিআই (CBI) গ্রেফতার (Arrest) করল এসএসসি-র (SSC) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা (S P Sinha) এবং প্রাক্তন সচিব অশোক সাহাকে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পরই তাঁদের প্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপন করার অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলার তদন্তে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এবার সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার হলেন এই দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য, এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে এসপি সিনহা সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছেন। এমনকী তাঁর বাড়িতেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। সিবিআই যে প্রয়োজনে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, সেকথাও হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই যে এফআইআর করেছে, তাতে এসপি সিনহার নাম রয়েছে একেবারে প্রথমে। আর চার নম্বরে রয়েছে অশোক সাহার নাম। উল্লেখ্য হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টেও এঁদের নাম ছিল।