
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) নিস্তার নেই এসএসকেএম হাসপাতালে থেকেও। বৃহস্পতিবার নগর দায়রা আদালতের নির্দেশ ছিল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে হাসপাতালের ভিতরেও সর্বক্ষণ রাখতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরাধীন। যার একটি লিঙ্ক থাকবে ইডির কাছে। অপর লিঙ্ক থাকবে জেল সুপারের কাছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল সকাল শুরু সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর প্রস্তুতি।
হাসপাতালের সুপার আসেননি। তবে আধিকারিকরা এসে উঠেও গেছেন কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিসিইউর ৫ নম্বর কেবিনে। সব মিলিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে নজরদারির ঘেরাটোপে রাখার জন্য, সবরকম প্রস্তুতি তুঙ্গে। এখন শুধু অপেক্ষা এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার পীযুষ রায়ের সইয়ের। তারপরেই ইডি করবে বালুর উপর নজরদারি। মূলত সারাদিন তিনি কী করছেন, প্রভাবশালী মানুষের প্রভাব কোথাও খাটছে না তো? এসব দেখতেই সিসিটিভির নজরাধীন হচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে নির্বীজকরণ বা এনএসভি করানোর অভিযোগ স্থানীয় দু'জন আশা কর্মী ও ফুলিয়া প্রাথমিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর থানার চাঁদরা রায়পাড়া এলাকায়। ইতিমধ্যে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার ২৭ নভেম্বর মাধব রায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে ফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনএসভি করানো হয়। পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকেই তাঁকে বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সারাদিন পেরিয়ে গেলেও ঠিক সন্ধের আগে পরিবারের লোকজন খবর পান রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছেন মাধব রায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পরিবারের লোকেরা ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। এরপর কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরিবারের সদস্যদের কাছে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় মাধব রায়ের এনএসভি অপারেশন করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে এই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলাকারই দু'জন আশা কর্মী এবং ফুলিয়া হাসপাতালে চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, পরিবারের তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মাধব রায়ের রোগের কর্ম ক্ষমতা হারানোর। চিন্তায় ভেঙে পড়ছেন মাধব রায়ের স্ত্রী মেনকা রায়। পরিবারের তরফ থেকে দোষীদের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস।
এসএসকেএমে গিয়েও স্বস্তি মিলল না জ্যোতিপ্রিয়র। ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে সর্বক্ষণের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরার নজরাধীন রাখার নির্দেশ দিল নগর দায়রা আদালত। এদিন বিচারক জেল সুপারকে আরও নির্দেশ দেয় যে, ওই সিসিটিভি ফুটেজের লিংক দিতে হবে ইডির তদন্তকারী অফিসারকে। পাশাপাশি এই মামলার শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার নগর দায়রা আদালতে বিচারক শুভেন্দু সাহার বেঞ্চে শুনানির সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী শ্যামল ঘোষ আদালতকে জানান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবার জানেননা তিনি কেমন আছেন! তার সুগারের সমস্যা রয়েছে। কিডনি ৭৫% নষ্ট। এরপর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী আদালতের মাধ্যমে তাঁর স্বাস্থ্যের রিপোর্ট চেয়ে আবেদন করেন। যদিও জ্যোতিপ্রিয়র তরফে কোনও জামিনের আবেদন এদিন করা হয়নি। এদিন জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী বলেন, 'আমরা তাঁর স্বাস্থ্যের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি, এর পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ওদিকে ইডির পক্ষে আইনজীবী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জেল হেফাজতের আবেদন জানান। এদিন ইডির আইনজীবী, ভাস্কর প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের কাছে আবেদন করে, বর্তমান বনমন্ত্রী অর্থাৎ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাই হাসপাতালে অবাধ প্রবেশধিকার যাতে রোখা যায় সে বিষয়ে যেন আদালতের নজরদারি করেন। এ ছাড়া ইডির পক্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এ যাবৎ চিকিৎসার রিপোর্ট আদালতের মাধ্যমে পাওয়ার আবেদন জানানো হয়। এরপরেই আদালত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের উদ্দেশে নির্দেশ দেয়, হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বাইরের কেউ এসে যাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে না পারেন, সেটি দেখতে হবে। পাশাপাশি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার এবং এসএসকেএম হাসপাতালে কী কী চিকিৎসা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
১৭ দিনের অভিযানে মিলল সাফল্য। সুড়ঙ্গের অন্ধকার থেকে মুক্তির পথে উত্তরকাশির শ্রমিকরা। উত্তরকাশির সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে ১ম শ্রমিককে নিয়ে বাইরে এলেন উদ্ধারকারীর। স্বস্তিতে শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের। পাইপের মাধ্যমেই বের করা হচ্ছে শ্রমিকদের। জানা গিয়েছে, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ টিম সুড়ঙ্গের ভিতরে যায়। সুরক্ষিতভাবে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে প্রথম শ্রমিককে।
সূত্রের খবর, শ্রমিকদের বার করার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্রেচারকেই ট্রলি হিসাবে ব্যবহার করেছেন উদ্ধারকারীরা।ট্রলি সমেত একজন এনডিআরএফ-এর জওয়ান শ্রমিক উদ্ধারে যান। সেই ট্রলিতেই শ্রমিককে শুয়ে বাইরে বের করে আনেন। প্রতি শ্রমিককে সুড়ঙ্গ থেকে বের করতে ৩ থেকে ৪ মিনিট সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগবে সব শ্রমিককে উদ্ধার করতে। বাকি ৪০ জন শ্রমিকও সুরক্ষিত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আজকেই সবাইকে উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল।
সোমবার রাতে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ধৃত মন্ত্রীকে সোমবারই এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউ-কে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা আইসিইউ-তে রেখেই তাঁকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করার পরই মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা জানাবেন যে, কবে তাঁকে ফের কার্ডিওলজি বিভাগের ৫ নম্বর কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
জানা গিয়েছে, সোমবার হঠাৎ রক্তচাপ কমে যায় রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে গ্রেফতার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এর পরই তাঁকে আইসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ফের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করবেন। এছাড়াও ইতিমধ্যে তাঁকে সাইকিয়াট্রিক বিশেষজ্ঞকেও দেখানো হয়েছে। এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বনমন্ত্রী।
আরও জানা গিয়েছে, সোমবার রক্তচাপ অনেকটা কমে গেলেও মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলই রয়েছে। নতুন করে কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা যায়নি। তবে তাঁকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য আইসিইউ-তেই পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এর পরই জানানো হবে যে, ফের কবে তাঁকে কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হবে।
এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। কত দিন তাঁকে সেখানে রাখা হবে? আদতে তাঁর কী হয়েছে? এই নিয়েই ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই তাঁর চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি বোর্ড। বিভিন্ন ধরনের বিভাগীয় প্রধানদের এই বোর্ডে রাখা হয়েছে। তবে কবে হাসপাতাল থেকে বালুকে ছাড়া হবে,অথবা ঠিক কি কি অসুবিধা রয়েছে, এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন খোদ হাসপাতাল সুপার থেকে শুরু করে বিভাগীয় প্রধানরা। তবে জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে।
রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক মঙ্গলবার রাতে জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম-এ। তাঁকে কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। এর পরই তাঁর চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড। জানা যায়, তাঁকে কার্ডিও বিভাগে ভর্তি করানো হলেও মেডিক্যাল বোর্ডে রাখা হয়নি কোনও কার্ডিওলজি বিভাগের কোনও চিকিৎসকই ছিল না সেখানে। তবে বালু প্রথম থেকেই পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে যাওয়ার দাবি করলে ইতিমধ্যেই তাঁকে একজন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ দেখে গিয়েছেন। তবে তাঁর ঠিক হয়েছে, এই বিষয়ে কেউই কিছু বলতে চাননি।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলেও হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। আরও কিছুদিন মন্ত্রীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আরও জানা গিয়েছে, ডপলার ইকোকার্ডিওগ্রাফির মাধ্যমে মন্ত্রীর রক্তের প্রবাহ নির্ণয় করা হচ্ছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলেও তাঁকে কবে ছাড়া হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় বুধবার আদালতে হাজির করানো হয় বাকিবুর রহমানকে (Bakibur Rahman)। এদিন তাঁর আইনজীবী দেবজ্যোতি সেনগুপ্তকে জামিনের আবেদন করতে দেখা যায়নি। এর পরই বাকিবুরকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু এদিন আদালতে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির দাবি, শুধু আটা নয়, চাল নিয়েও একই ধরণের দুর্নীতি হয়েছে। ফলে চাল কীভাবে চুরি করা হয়েছে, সে নিয়েও তদন্ত করছে ইডি। ইডির দাবি, এই দুর্নীতিতে ডিলাররা এবং সমবায় সমিতিও জড়িত।
এদিন বাকিবুরকে আদালতে হাজির করানো হলে ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ভুয়ো শিবির করে ভুয়ো চাষির নাম করে ধান কেনার ভান করতেন বাকিবুর রহমান। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ব্যবহার করা হত আধিকারিকদের সিলও। এ ভাবে খাদ্য দফতরের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন বাকিবুর। ইডির আইনজীবী আদালতে আরও জানান, ধান কেনার ক্ষেত্রে খাদ্য দফতরের ভুয়ো অফিসার এবং ভুয়ো সমবায় সমিতির মাধ্যমে সব লেনদেন হত। ধান কেনার জন্য শিবিরের আয়োজন না করেই ধান কেনা হত ও সরকার নির্ধারিত টাকা পেত ভুয়ো সমবায় সমিতি এবং ভুয়ো চাষিরা। ফলে আসল চাষিরা বঞ্চিত হতেন ও মূল চক্রিরা আড়ালেই থাকতেন।
বুধবার জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বাকিবুরকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) এবারে এল নয়া মোড়। যাঁরা ডিস্ট্রিবিউটর, তাঁরাই রেশন দোকানের মালিক! এমনটাই আপাতত দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির দাবি, ডিস্ট্রিবিউটরদের মধ্যেই অনেকেই রেশন দোকানের মালিক বা ডিলার)। ফলে রেশন দুর্নীতি হলেও অনেক ক্ষেত্রে রেশন দোকানের মালিক ও ডিস্ট্রিবিউটর একই ব্যক্তি হওয়াতে অভিযোগ জানাতেন না। নিয়োগ দুর্নীতির পর (Recruitment Scam) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সৌজন্যে পর্দাফাঁস হয়েছে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam)। ইডির (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন চালকল মালিক বাকিবুর রহমান থেকে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। এই আবহেই ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ইডির হাতে।
নিয়োগ দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতির পর এবারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সৌজন্যে পর্দাফাঁস হয়েছে রেশন দুর্নীতির। বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর থেকেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। আদালতের নির্দেশে আপাতত জেল হেফাজতে আছেন তিনি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁদের অনুমান রাজ্যে প্রায় কয়েকশ কোটি টাকার রেশন দুর্নীতি হয়েছে। আবার ইডি আধিকারিকরা দাবি করেছে, ডিস্ট্রিবিউটারদের অনেকেই বেনামে রেশন দোকানের মালিক ছিলেন। ইতিমধ্যেই তাঁদের সন্ধান শুরু করেছেন তাঁরা। নদিয়ার একজনকে চিহ্নিতও করেছেন তাঁরা। ইডি সূত্রে খবর, এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা তৈরি করে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রেশন দুর্নীতির জট খোলার চেষ্টায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
চারদিনের জেল হেফাজত শেষে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করার কথা ছিল রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে (Ration Scam) ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে(Jyotipriya Mallick)। কিন্তু জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক অসুস্থতার জন্য আজ তিনি আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে পারবেন না। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাঁকে পেশ করা হবে বলে আদালত সূত্রে খবর। ইডি হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই তাঁকে বারবার বলতে শোনা যায়, তিনি খুবই অসুস্থ, মৃত্যুশয্যায় প্রায়। তাঁর বাঁদিক প্যারালাইসিস হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালই আছে। আর এর পরই আজ জানা যাচ্ছে, তিনি আদালতে সশরীরে যেতে পারবেন না, ভার্চুয়ালি মাধ্যমে তিনি হাজিরা দেবেন।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি গ্রেফতার করে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এর পর এই ঘটনার তদন্তে বালুকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। গত শুনানিতে ব্যাঙ্কশাল আদালত বালুকে চারদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ফলে বিগত চারদিন তাঁর ঠিকানা ছিল প্রেসিডেন্সি জেল। জেলে পৌঁছতেই একের পর এক আবদার শুরু হয়। তাঁর দাবি, তিনি মন্ত্রী, জেলে থাকবে কেন? তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হোক। এর পর তিনি জেলে বসেই ফোনেরও দাবি করেন। ফলে 'বালুর বায়না' যেন শেষই হতে চায় না। আজ জেল হেফাজত শেষে তাঁকে আদালতে পেশ করার দিন, কিন্তু জানা যাচ্ছে, তিনি অসুস্থ, ফলে তাঁকে ভার্চুয়ালি পেশ করা হবে। ফলে এখন এটাই দেখার ভার্চুয়ালি মাধ্যমে পেশ করার পর বালুর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন কিনা। জামিনের আবেদন করলেও সেই জামিন আদালত মঞ্জুর করবে নাকি ফের বালুর ঠিকানা হবে প্রেসিডেন্সি জেল।
রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে (Ration Scam) জেরবার রাজ্য। চালকল মালিক থেকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ইতিমধ্যে জেল হেফাজতে রয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর এবারে রেশনের সামগ্রী বিলিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় (Bagda)। এরকম ঘটনা এর আগেও একাধিকবার দেখা গিয়েছে। কিন্তু এতদিন ভ্রূক্ষেপ ছিল না প্রশাসন ও পুলিসের। কিন্তু প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবারে জেলে যেতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন থেকে রাজ্য পুলিস। জানা গিয়েছে, রেশনের সামগ্রী বিলিতে প্রায় ৫ বছর ধরে অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে বাগদার হরিনাথপুর এলাকায়। দিনের পর দিন মিলছে কম রেশন সামগ্রী। ১৯ কেজির স্লিপ দিয়ে ১৫ কেজি পণ্য দেওয়ার অভিযোগ। ফলে এই অভিযোগে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার রেশন ডিলারকে ঘিরে বিক্ষোভে সামিল বাসিন্দারা। চাপে পড়ে অবশেষে নিজের দোষের কথা স্বীকার করলেন খোদ রেশন ডিলারের ছেলে শান্তনু সাধু।
রেশন দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রেশন বণ্টনে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রাহকরা। কোথাও কম সামগ্রী, কোথাও পোকা ধরেছে ন্যায্য সামগ্রীতে, আবার কোথাও রেশনে দেওয়ার খাদ্যের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশু খাদ্য। এবারে রেশনের সামগ্রী পরিমাণে কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বাগদার হরিনাথপুর এলাকার গ্রামবাসীদের। অভিযোগ, প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন গ্রাহকের থেকে ৫ বছর ধরে চাল, আটা, চুরি করেছে হরিনাথপুরের রেশন ডিলার। চাপে পড়ে অভিযোগ স্বীকার রেশন কর্মীর। তাঁর দাবি, ডিলারের কথা মতোই কাজ হয়েছে। এর পর মঙ্গলবার রেশন ডিলার নিবেদিতা সাধুর ছেলে শান্তনু সাধুর কাছে প্রশ্ন করতেই তিনি জানান, 'ভুল হয়েছে'।
ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন বাগদা ফুড ইন্সপেক্টর সঞ্জীব চক্রবর্তী ও বাগদা থানার পুলিস। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেন ফুড ইন্সপেক্টর। পাশাপাশি রেশন ডিলারের ছেলে শান্তনু সাধু ও কর্মচারীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিস।
'শরীর ভালো নেই, শরীরের একদিক প্যারালাইসিস হয়ে যাচ্ছে', এ কথা বারংবার বলেছেন রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু কালীপুজোর দিন রবিবার সকালে এক অন্য দৃশ্যই দেখা গেল। এবারে বালুকে দেখা গেল, তিনি হাঁটতেই পারছেন না, ইডি আধিকারিকরা তাঁকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। এদিন তিনি ক্ষীণ স্বরে বললেন, 'মরে যাব আর বাঁচবো না।'
রবিবার সকালে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য। আজ সকালেই স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর জন্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে ইডি আধিকারিকরা রওনা দেন, তাঁদের সল্টলেকের অফিস থেকে। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল থেকে ফিরেও আসেন তাঁরা। সল্টলেকের অফিসে প্রবেশ করার সময়ই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ক্ষীণ স্বরে বলে উঠলেন, 'শরীর অত্যন্ত খারাপ, মৃত্যু শয্যায় প্রায়। এক সাইড প্রায় প্যারালাইসিস হয়ে গেছে।' হাসপাতালে যাওয়ার সময়ও জানিয়েছিলেন, 'আমি মরে যাব, আর বাঁচবো না।' এই যাওয়া-আসার মাঝেই যে কী বিড়বিড় করে বললেন, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে এদিনও ইডি দফতরে এসেছিলেন প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ির পরিচারক রামস্বরূপ শর্মা। বেরিয়ে যাওয়ার সময় রামস্বরূপ শর্মা জানিয়েছেন, 'আমার যা বলার ইডিকে বলে দিয়েছি। বাড়ি থেকে যা খাবার দিয়েছে সেটাই নিয়ে এসেছি।'
রেশন দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এরমধ্যেই নদিয়ার বীরনগর পুরসভার ৮ নম্বর চরকপাড়া এলাকায় হাতেনাতে ধরা পড়ল রেশনের কালো বাজারি। অভিযোগ সেখান থেকে, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া রেশনের আটা বস্তাবন্দি করে পাচার হচ্ছিল। এলাকাবাসীরাই এই অপকর্ম ধরে ফেলেন। পশু খাদ্য সহ নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী মেশানোর অভিযোগও তোলেন তাঁরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশান্ত পাল নামে এক রেশন সাপ্লায়ার এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। কলাবাগানে রাতের অন্ধকারে হাজার হাজার বস্তা রেশন সামগ্রীর নতুন বস্তার মুখ কেটে পশু খাদ্য এবং নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী মেশানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) নাম করে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল মন্ত্রীর বাড়ির পরিচারক রামস্বরূপ শর্মাকে (RamSwarup Sharma)। শুক্রবারের পর আজ অর্থাৎ শনিবার দুপুরে ইডি দফতরে ফের এলেন রামস্বরূপ শর্মা। আর ইডির দফতর থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক দাবি করলেন তিনি। ইডি দফতরে 'সাহেব' অর্থাৎ মন্ত্রীকে খাবার দিতে এসেছেন, এমনটাই দাবি করে এক বিস্ফোরক তথ্য দিলেন তিনি। রামস্বরূপ জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয়র নাম করে কয়েকজন এসে সাদা কাগজে তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নিয়েছিল।
শনিবার দুপুরে ইডি দফতরে হাজির হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ির পরিচারক রামস্বরূপ শর্মা। যদিও তাঁর দাবি, তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের খাবার নিয়ে এসেছেন। বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন। এর পর তিনি সিএন-এর মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'সাহেবের নাম করে অচেনা লোক উল্টোডাঙ্গার রাস্তায় সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কেন সই করিয়েছিল জানিনা।'
এছাড়াও রামস্বরূপকে ফ্ল্যাট প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমার টাকা, আমার সেলুনের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি। এখন কেষ্টপুরে থাকি, কেষ্টপুরেই ফ্ল্যাট আছে। ২০ বছর সেলুনে রোজগার করে সেই টাকা দিয়ে এই ফ্ল্যাট কিনেছি। ২০ লাখ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি। সাহেব ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। টাকা নিয়েছিলাম লোন হিসাবে, ধারে নিয়েছিলাম। সাহেবের কাছ থেকে লকডাউনের আগে টাকা নিয়েছিলাম। ২০১৯ সালের আগে লকডাউনের আগে রেজিস্ট্রি হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা শোধ করেছি, বাকি টাকা পাবে, মাঝে মাঝে শোধ করব। আজ ইডি ডেকেছিল, ওনারা যা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল বলেছি যা হয়েছিল তাই বলেছি। নথি, প্যান কার্ড, ব্যাংক ডিটেলস জমা নিয়েছে।'
মন্ত্রীর পরিচারক আরও বলেন, 'ওনার সম্পত্তির কথা বলতে পারব না, যেগুলো জানিনা সেগুলো বলতে পারব না। আমি কোনও কিছুতে নেই। কোনও কিছু জানি না। নগদ টাকা নিয়েছিলাম জ্যোতিপ্রিয়র কাছ থেকে, মাসে মাসে শোধ করে দেব। ডিরেক্টর থাকার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। আপনারা বলছেন বলেই জানতে পারছি, আগে জানা ছিল না।'
বাকিবুরের থেকে ঋণ নিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। নিজেই জানালেন মন্ত্রী। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে বাকিবুর রহমান ও রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁদের ইডি হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে জেরা পর্ব। জেরা পর্বের পরই নয়া নয়া তথ্য উঠে আসছে ইডির হাতে। এবারে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, আর এই তথ্য খোদ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ই দিয়েছেন।
ইডি সূত্রে খবর, কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, বাকিবুর রহমানের থেকে ৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডি জেরায় স্বীকার করলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বালু। তবে সেই টাকা নিজের নামে নেননি বলেই সূত্রের খবর। তিনি জেরায় দাবি করেছেন, ওই ৯ কোটি টাকার উপর তিনি ২০১৬ সালে আয়কর জমা দিয়েছিলেন। নিজের মেয়ে ও স্ত্রীর নামে সেই আয়কর জমা পড়েছিল বলে দাবি বালুর। আয়কর দফতর থেকে নথি সংগ্রহ করে বালুর দাবি যাচাই করছে ইডি। তবে ব্যাঙ্ক থেকে না নিয়ে বাকিবুরের থেকে ঋণ কেন নিয়েছিলেন? তার সদুত্তর দিতে পারেননি মন্ত্রী।
অন্যদিকে ইডি আধিকারিকদের অনুমান, কালো টাকাকে সাদা করতেই একাধিক কোম্পানি খোলা হয়েছিল। ফ্লাওয়ার মিল, হোটেল ব্যবসা ছাড়াও বিনিয়োগ করা হয়েছিল পেট্রোল পাম্পে। ২০১৯ সালে তিন মাসের ব্যবধানে তিনটি কোম্পানি তৈরি করে সাহা ব্রাদার্স। আর এই দুর্নীতি মামলায় ইডির নজরে রয়েছে একাধিক ব্যবসায়ী। রেশন দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ কালো টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়েছে এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই, এমনটাই অনুমান ইডির।
রেশন 'দুর্নীতি'র মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে ডাকা হতে পারে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও কন্যাকে৷ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক এবং কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিককে ডাকতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এই মামলার তদন্তে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দাবি করেছে, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মন্ত্রীর স্ত্রী এবং কন্যা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মন্ত্রীর এক আপ্ত সহায়কও জানিয়েছিলেন যে, জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী এবং মেয়েকে দিয়ে সই করিয়ে ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর করা হয়েছিল। ইডির দাবি, এভাবে কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল। নামে-বেনামে জমি, বাড়ি ও হোটেল কেনা হয়েছে।
বনমন্ত্রীর স্ত্রী মণীদীপার সম্পত্তি এক বছরে ৪৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৬ কোটি টাকা হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারকও। ইতিমধ্যেই মণিদীপা ও প্রিয়দর্শিনীর ব্যাঙ্কের লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেশন প্রাইভেট লিমিটেড এবং ‘শ্রীহনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী এবং মেয়ে। অথচ, তাঁদের বাড়ি থেকেই তিনটি কোম্পানির স্ট্যাম্প এবং সিল উদ্ধার হয়েছে।