ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) কাছে একটি শপিং মলে ভয়াবহ আগুন (Fire Incident)। বুধবার সন্ধ্যায় লাগা আগুন ১২ ঘণ্টার চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকলের বিশাল বাহিনী। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই প্রায় ৪০টিরও বেশি দোকান। আগুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকেদের মধ্যে। পর্যটকদের (Puri Tourist) দ্রুত নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাজার সংলগ্ন হোটেলগুলির মধ্যে থাকা মানুষজনকেও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মন্দির চত্বর সংলগ্ন গোটা এলাকা ব্যারিকেড করে চলেছে আগুন নেভানোর কাজ।
#ଅସୁସ୍ଥ_ଅଗ୍ନିଶମ_କର୍ମଚାରୀ
— Kanak News (@kanak_news) March 8, 2023
ପ୍ରବଳ ଧୂଆଁରେ ଅଣନିଶ୍ୱାସୀ ଅଗ୍ନିଶମ କର୍ମଚାରୀ । ୨ ଜଣ ଅସୁସ୍ଥ ହୋଇଥିବା ସୂଚନା । #Fire #Puri #Odisha pic.twitter.com/5Ef5V9lmYs
ওড়িশার স্থানীয় সংবাদ সংস্থা থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ প্রথম আগুন লেগেছিল গ্র্যান্ড রোডের মারিচীকোট চকের লক্ষ্মী মার্কেট কমপ্লেক্সের একটি জামা কাপড়ের দোকানে। সেখান থেকই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাজার চত্বরের গায়ে গায়ে লেগে থাকা দোকানগুলিতে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অন্তত ৪০টি দোকান আগুনে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত। এমনকি বাজারের পাশের বেশ কয়েকটি হোটেলও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে।
আগুন লাগার সময় পুরী মন্দিরের কাছেই ওই বাজার চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বহু পর্যটক। আগুনের খবর ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকেদের মধ্যে। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রশাসন যথাযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
দমকল বাহিনী জানিয়েছে, যে সময় আগুন লাগে, সে সময় পুরীর মন্দিরের কাছেই ওই বাজার চত্বরে হাজির ছিলেন বহু পর্যটক। তবে ওই বাজার চত্বর থেকে সমস্ত পর্যটককেই উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁরা আরও জানায়, ওই বাজার চত্বরে বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করা ছিল। সেই সব সিলিন্ডার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত। দমকলের মুখপত্র জানান, ‘আগুন অনেকটা ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। তবে আশা করছি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিভবে।’
বাংলায় আবারও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) যাত্রা শুরু হতে পারে। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ির পর এবার চালু হতে হাওড়া-পুরী (Howrah-Puri) বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আজ চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ট্রেনের সেটটি পাঠানো হয়েছে। সম্ভবত আগামী মাসেই শুরু হতে পারে রাজ্যের সেমি হাইস্পিড দ্বিতীয় এক্সপ্রেসের পথ চলা। মাসখানেক ঘুরতে না ঘুরতেই রেল সূত্রে খবর,'ফের রাজ্য আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেতে চলেছে। এবার হাওড়া স্টেশন থেকে জগন্নাথধাম (Jagannath Temple) পুরীগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পথচলা শুরু হবে।'
প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের পুরী ভ্রমনের কথা মাথায় রেখে এই ট্রেনটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব কম সময়ের মধ্যে পুরী যাওয়া যাবে এই সেমি হাইস্পিড এক্সপ্রেসে। জানা গিয়েছে, মাত্র ৫-৬ ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন পুরীতে। খুব সীমিত স্টেশনে দাঁড়াবে ট্রেনটি।
তবে কবে থেকে ট্রেনটি চালু হবে, তা এখনও জানা যায়নি। ভাড়াই বা কত হবে, কোন কোন স্টেশনেই বা দাঁড়াবে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস – সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইঁদুরের উৎপাতে ত্রস্ত পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple Puri)। যত দিন যাচ্ছে, বাড়ছে মূষিকের (Rodent Animal) উৎপাত। রীতিমতো নাকি তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা। কখনও বিগ্রহের পোশাক কেটে, কখনও আবার পুজোর সময় উৎপাত করে পুরোহিতদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে ইঁদুর। কোভিড অতিমারি (Corona Pandemic) এবং লকডাউনের সময় থেকে পুরীর মন্দিরে এই উৎপাত শুরু বলে দাবি সেবায়েতদের। লকডাউনের সময় দীর্ঘ সময় মন্দির বন্ধ ছিল। সেই সুযোগে বংশবিস্তার করেছে মূষিক বাহিনী। তারপর অতিমারি কাটলেও ইঁদুর তাড়ানো যায়নি মন্দির থেকে। বরং প্রভু জগন্নাথের ডেরায় তাদের দাপট বাড়ছে।
ইঁদুরের দৌরাত্ম্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মন্দিরের পুরোহিতরা। তাঁরা জানিয়েছেন, মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ কাঠের তৈরি। ইঁদুর যদি তা-ও কেটে ফেলে, তাহলে বিপদ বাড়বে। সেবায়েতরা জানান, বিগ্রহের পোশাক কেটে ফেলছে ইঁদুর। গর্ভগৃহে পুজোর সময়েও তারা নানা উৎপাত করছে। অবিলম্বে ইঁদুরের এই তাণ্ডব বন্ধ করা দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা।
এই ঘটনায় এক সেবায়েত বলেন, 'আমরা ইঁদুরগুলিকে ধরে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করছি। শুধু ইঁদুর নয়, মন্দিরে রয়েছে বিছেও। তাদেরও তাড়ানোর চেষ্টা চলছে।' মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, দেবতার প্রতি উৎসর্গীকৃত ফুল খেয়ে ফেলছে ইঁদুর। বিগ্রহের পোশাকও কাটছে ফেলছে। কিন্তু মন্দিরের মধ্যে প্রাণীহত্যা নিষিদ্ধ। তাই ইঁদুরের বিষ দেওয়া যাচ্ছে না। ইঁদুর ধরে ধরে মন্দিরের বাইরে ফেলে আসছেন কর্মীরা।'
বাদাম ভেবে বিষাক্ত ফল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ৮ জন শিশু। সকলের চিকিৎসা চলছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার ওন্দা থানার রামসাগরের তেঘরিয়া গ্রামে। গ্রামবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে বাচ্চারা মাঠে খেলতে যায়। খেলার সময় ভ্যারেন্ডা নামক ফল কুড়িয়ে সেই ফলের বীচ বের করে বাদাম ভেবে খেয়ে ফেলে শিশুরা। সন্ধ্যায় গ্রামের বেশ কয়েকজন শিশু বমি,পায়খানা ও পেট ব্যাথার উপসর্গ শুরু হলে শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে রামসাগর প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে। সেখান থেকে ওন্দা সুপার স্পেশালিটি তারপর সেখান থেকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গিয়েছে, গ্রামের ৮ জন শিশু এই মুহুর্তে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। শিশুরা যে ফল খেয়েছিল সেই ফল খেয়ে দেখে অসুস্থ হয়ে পরেন বছর ৪৫-এর এক মহিলা। তিনিও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গ্রামবাসী সূত্রে জানা গিয়েছে অসুস্থ শিশুদের বয়স ৬ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। পরিবারের লোকজন শিশুরা যে ফল খেয়েছে সেই ফলও চিকিৎসকদের দেখিয়েছেন। প্রত্যেকে আপাতত সুস্থ রয়েছে বলে খবর।
ফের বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal) ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হল। এনসিএসের (NCS) রিপোর্ট অনুযায়ী এই খবর প্রকাশ্যে আসে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.১। সোমবার সকাল ৮.৩২ মিনিট নাগাদ বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ভূমিকম্প হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার নীচে এই কম্পন অনুভূত হয় বলেও জানিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি।
এনসিএস সূত্রে আরও খবর, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল যথাক্রমে পুরী (পূর্ব) এবং ভুবনেশ্বর (পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব) থেকে যথাক্রমে ৪২১ কিলোমিটার এবং ৪৩৪ কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্পের জেরে সকাল ৯টা ০৫ মিনিট নাগাদ ঢাকা-সহ বাংলাদেশের একাধিক এলাকাতে কম্পন অনুভূত হয়।
বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ঢাকার ৫২৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং চট্টগ্রাম থেকে ৩৯৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। যদিও ভূমিকম্পের ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাতেও সব স্বাভাবিক রয়েছে।
পুরীর (Puri) সমুদ্রতটে উদ্ধার তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ। ধর্ষণের (Rape) পর খুন (Murder) করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। পুলিস সূত্রে খবর, অন্তর্বাস পরা অবস্থায় মধ্যপ্রদেশের ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও মুখে অ্যাসিড ছোড়া হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। কারণ তরুণীর মুখ একেবারে কালচে হয়ে গিয়েছে। মুখ দেখে চেনার উপায় নেই।
উল্লেখ্য, ওই তরুণী মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে পুরী বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। গত ২৩ নভেম্বর থেকে ওই তরুণী নিখোঁজ ছিলেন। হোটেলের বাইরে জামাকাপড় শুকোতে দিয়েছিলেন তাঁরা। আর তা আনার জন্য বাইরে বেরোন, এরপর থেকেই তরুণীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের তরফে থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। গত ২৬ নভেম্বর পুরীর পেন্থাকাটা এলাকার একটি সমুদ্রসৈকত থেকে ওই তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়।
তরুণীর বাবার অভিযোগ, মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এবং কেউ যাতে চিনতে না পারে তার জন্য মুখে অ্যাসিড মারা হয়েছে। কানের দুল, সোনার নাকছাবি দেখে তরুণীর দেহ চিহ্নিত করেন তাঁর বাবা। পুলিস জানিয়েছে, যখন ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়, তখন মেয়েটির মুখ কালো ছিল এবং হাতের আঙুলগুলি বিকৃত অবস্থায় ছিল। তবে পুলিসের অনুমান, সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছিলেন তরুণী। একটা দীর্ঘ সময় জলের তলায় থাকার জন্য মুখের রং কালো হয়ে গিয়ে থাকতে পারে। আর আঙুলগুলি বিকৃত করার যুক্তি হিসাবে পুলিসের দাবি, কোনও সামুদ্রিক প্রাণী হয়তো সেগুলি খেয়ে নিয়েছে।
তবে পরিবারের অভিযোগকেও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।
খড়গপুর IIT-র ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু (Student Death) মামলায় রাজ্যের জমা দেয়া রিপোর্টে উল্লেখ আত্মহত্যার প্রসঙ্গ। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) উদ্বিগ্ন IIT ক্যাম্পাসের র্যাগিং (Ragging) নিয়ে। এই বিষয়ে প্রথিতযশা এই কলেজকে সতর্ক হওয়ার বার্তা হাইকোর্টের। বৃহস্পতিবার আদালত জানতে চেয়েছে, আইআইটি খড়গপুর র্যাগিং প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে? সেই রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ। আগামী সোমবার দিতে হবে রিপোর্ট। পাশাপাশি পুলিসকেও দিতে হবে রিপোর্ট। ২২ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এসপি এবং ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারকে উপস্থিত থাকতে হবে আদালতে।
এদিন শুনানিতে মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে অভিযোগ, র্যাগিং করা হতো অসমের ওই পড়ুয়াকে। একাধিকবার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার ওই পড়ুয়া। কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছিল বলে আদালতে দাবি করেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। এমনকি, সেই দাবির প্রেক্ষিতে একটি অভিযোগ পত্র এদিন বিচারপতির কাছে জমা দেয় পরিবার। যদিও রাজ্যের তরফে এদিন পুলিস সুপারের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। এমনকি ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিস। এই দাবিও আদালতে করেছে রাজ্য।
দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতির মন্তব্য, এসপি রিপোর্ট কাউকে দেখানো যাবে না। আবেদনকারীপক্ষকেও না। তিনি জানান, আমি বুঝতে পারছি না কলেজগুলো কেন কলেজ র্যাগিং নিয়ে ওয়াকিবহাল নয়। এটা এক্রা সামাজিক ব্যাধি। কলেজকেই র্যাগিং প্রতিরোধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিচারপতি বলেন, 'আমি রিপোর্ট দেখে বুঝলাম ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। তবে আমি চাই কলেজগুলো থেকে র্যাগিং একেবারে নির্মূল হোক।'
সুজিত সাহা: পুজো পুজো গন্ধ মেখে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির মন ছোটে একটু ভিন্ন স্বাদের আশায়। রাস্তাঘাট, মাঠময়দান, হোটেল, রেস্তোরাঁ, কলকাতার, চতুর্দিকে রঙবেরঙ মানুষের ভিড়। আর বাড়ির সামনে পুজো হলে তো কথাই নেই। নিজের বাড়িতে ঢুকতেও বাঁশের ব্যারিকেডে লাইন। শহর বা শহরতলিতে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার দু'পাশে লাল শালু জড়ানো সস্তার বিরিয়ানি হাড়ির সিন্থেটিক আতরের গন্ধ চারদিকে। নাভিশ্বাস এক শ্রেণির মানুষের। সারা বছরের কর্মব্যস্ততার মাঝে ছুটিকে একটু অন্য স্বাদে অনুভব করার চেষ্টা, তাঁরা মনে করে পুজোর সময় কলকাতাকে। ওরে বাবা রক্ষা করো।
বাঙালির দিপুদা; দিঘা, পুরী, দার্জিলিং তো আছে। সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বকখালি, টাকি, হিমাচল প্রদেশ, কাকদ্বীপ আরও কত নাম! যার যেখানে মন চায়, আমাদের ছুটি ছুটি চল নেব লুটি ওই আনন্দ ঝর্নায় বলতে বলতে চলে যায়। আমার একটা ছোট ভ্রমণপিপাসু দল আছে, যারা আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিল পুরীর জন্য। একাধিকবার যাওয়া সত্বেও সময়টা অন্যভাবে অতিবাহিত করতে এবারের যাত্রা। পুরী পৌঁছলাম সপ্তমীর ভোরে। আলো-আঁধারির ভোরে টোটোয় চেপে এগোতেই সূর্য উঁকি মারল সমুদ্রের বুক চিড়ে। আলো বাড়ার সঙ্গেই বালুকাবেলায় ছুটে আসা ঢেউগুলো ঝিকমিক করে মিলিয়ে যাচ্ছে। আবার আর একটা ঢেউ ছুটে আসার জন্য তৈরি।
আমি এই সূর্যোদয়ের মাঝে সুবিশাল জলরাশির সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে কখন হারিয়ে ফেলেছি জানি না। সম্বিত ফিরল দেখি আমার এক বন্ধু একতাল বালি নিয়ে ঢিবি করছেন।দৃশ্য দেখে হাসলাম বটে, সবাই যে যার নিজের মতো করে সময়ের সঙ্গে কথা বলছে। সমুদ্রে স্নান, ঘোরাঘুরি, অনাবিল আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, কখন যে তিন দিন কেটে যাবে টের পাব না। দশমীর দিন আবার দুরন্ত এসে ঠেকবে শিয়ালদহে। একাদশী থেকে আবার সেই আগের জীবন, থোর বড়ি খারা আর...।
দুর্গাপুরের (Durgapur) একটি ড্রপ বক্স (Drop box), যাকে ঘিরেই যত বিতর্ক। অভিযোগ, সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল কাউন্সেলিং হবে, কিন্তু সেটা কার্যত বদলে গেলো ড্রপ বক্সে। আর যাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি দুর্গাপুর আইটিআই-তে (ITI)।
সরকারি নোটিফিকেশন অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ সোমবার দুর্গাপুর আইটিআই কলেজে স্পট কাউন্সেলিং হওয়ার কথা, যেটা চলবে সেপ্টেম্বর ২৯ পর্যন্ত। সরকারি নির্দেশিকাতে লেখা রয়েছে পুরো প্রক্রিয়াটা হবে ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ মেনে। অর্থাৎ যিনি প্রথম আসবেন তাঁর প্রথম কাউন্সেলিং হবে। প্রশ্ন উঠেছে প্রথম আসলে প্রথম অগ্রাধিকার, কিন্তু ড্রপ বক্সে এই প্রক্রিয়া কীভাবে কার্যকর হবে?
কারণ, বক্সের ভেতরে সবইতো মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবে। কে প্রথম, কে পড়ে এটা বোঝা যাবে কীভাবে? আর আজ দুর্গাপুর আইটিআই-তে যারা স্পট কাউন্সেলিং-এর জন্য আসেন তাঁদের অভিযোগ এখান থেকেই শুরু। কেউ পুরুলিয়া, কেউ বাঁকুড়া, কেউ আসানসোল আবার কেউ বা আরও দূর থেকে দুর্গাপুরে এই সরকারি আইটিআই কলেজে কাউন্সেলিং-এর জন্য এসেছিলেন।
তাঁদের অভিযোগ, কোথাও তো একটা অস্বচ্ছতা রয়েছে, যার চরম মাসুল দিতে হচ্ছে তাঁদেরকে। বিতর্কের এখানেই যে শেষ তা নয়, সরকারিভাবে জারি করা এই নোটিফিকেশন। যেখানে সকাল ১১ টার কথা লেখা থাকলেও তা কলেজ আসার শেষ সময় না। তার আগে আসতে হবে কাউন্সিলিং-এর জন্য সেই নিয়েই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এতে করে অনেক ছাত্র যারা দূর জেলা থেকে সোমবার দুর্গাপুরে এসেছিলেন, এদের অনেকে ড্রপ বক্সে ফর্ম ফেলতে পারেনি।
এই বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি দুর্গাপুর আইটিআই কলেজের প্রিন্সিপাল বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়। সিএনের ক্যামেরা দেখে পালিয়ে বাঁচেন সরকারি কলেজের এই শিক্ষক। এমন ঘটনায় সুর চড়িয়েছে বিরোধীরাও।
নৌকাডুবিতে মৃত্যু (Boat Capsized) হল দুই ব্যক্তির। নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে চলে আসেন বলে জানা গিয়েছে। পরে বাকি দু'জনের মৃতদেহ (Death) উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় ওড়িশার (Odisha) পুরী (Puri) জেলার চিলকা হ্রদে (Chilika lake)।
জানা গিয়েছে, একদল লোক চিলকা হ্রদের একটি দ্বীপ কালিজাইকুদা থেকে ফিরছিলেন। তীর থেকে নৌকাটি মাত্র ৩ কিমি দূরে ছিল। সেসময় প্রবল বৃষ্টি এবং প্রবল হাওয়ায় ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে নৌকাটি ডুবে যায় বলে জানিয়েছে পুরীর পুলিস সুপার কেভি সিং।
নৌকাডুবির পর তিনজন নিখোঁজ হয়ে গেলেও তাদের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে চলে যায় বলে জানান কে ভি সিং। পরে, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে। যাঁদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এসপি।
প্রসঙ্গত, স্থানীয়রা নৌকার অন্তত ১০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এসপি আরও জানিয়েছেন, নৌকায় কতজন লোক ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (NCRB) রিপোর্ট অনুসারে গত বছর ওড়িশায় নৌকাডুবির ঘটনায় ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।