Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

food

Ireland: কন্যাসন্তান জন্ম নিতেই নাম রাখলেন 'পকোড়া'! কেন শুনলে অবাক হবেন

ইন্টারনেটের এই যুগে সাড়া ফেলল এক সদ্যোজাত কন্যা, যার নাম "পকোড়া"।বাংলার মানুষের অতি প্রিয় এই খাবারের নামে সদ্যোজাতের নামকরণ? শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি কিন্তু সত্যি। একথাও সত্যি যে অনেক বিদেশি বাংলার কিছু নামে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নামকরণ করেছেন সেইসব নামে।

পকোড়া ভারতের একটি জনপ্রিয় তেলে মুচমুচে করে ভাজা স্ন্যাক্স, যা খুবই প্রসিদ্ধ বাংলায়। সেটা যে কারো নাম হতে পারে, বিশেষত কন্যাসন্তানের, সেটা অবশ্য অনেকেরই মাথায় সেভাবে আসেনি। এই ভারতীয় খাবারের প্রেমে পড়ে কেউ তাঁদের সদ্যোজাত সন্তানের নাম মিলিয়ে রেখেছেন, এ যেন ভাবাই যায় না।তাই স্বাভাবিকভাবেই দেশজুড়ে এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ইন্টানেটের দুনিয়াতেও প্রবল সাড়া ফেলেছে এই ঘটনা।

আয়ারল্যান্ডের নিউটাউনঅ্যাবেতে একটি রেস্তোরাঁ আছে। সেই রেস্তোরাঁয় ওই ব্রিটিশ দম্পতি প্রায়ই যান। সেখানে যাতায়াত করতে করতেই তাঁদের মাথায় আসে, সদ্যোজাতের নাম কোনও খাবারের নামে রাখা হবে।

ওই রেস্তোরাঁয় স্ত্রীর সবচেয়ে প্রিয় পদ পকোড়া।২৪ আগস্ট কন্যাসন্তান জন্ম নিতেই নাম রেখে দিলেন পকোড়া। ইন্টারনেটের জগত তো এমনই এক চটকদার খবরের অপেক্ষায় ছিল। ফলে নানা কমেন্টে ভরে গেল বক্স।

2 years ago
Pakistan: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ধুঁকছে পাকিস্তান, ভারত থেকে সবজি-শস্য আমদানির ভাবনা ইসলামাবাদের

বিধ্বংসী বন্যায় (Flood) ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে (Pakistan) হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু (Death) হয়েছে। ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। গ্রামের পর গ্রাম কার্যত জলের নিচে। বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে বইছে সিন্ধু নদ। আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা। উদ্ধার কাজে নেমেছে নৌবাহিনী এবং উদ্ধারকারীর দল। বন্যার জলে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে গিয়ে নৌকা উলটে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এককথায় বিপদের উপর বিপদ।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পাক সিন্ধু প্রদেশের সেহওয়ান এলাকার বিলাবলপুর গ্রামে। প্রবল বৃষ্টিতে (Heavy Rain) সিন্ধু নদের জলে ভেসে গিয়েছিল গ্রামটি। উদ্ধারে নেমেছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। একটি নৌকায় সেখান থেকে ২৫ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছিল। ফুলে ফেঁপে ওঠা নদে উল্টে যায় নৌকাটি। ১৩ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ অনেকে।

প্রবল বন্যার ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের খাদ্য ভাণ্ডার। সেই কারণেই ভারত থেকে সবজি এবং অন্য খাদ্যদ্রব্য আমদানি করার কথা ভাবতে হচ্ছে পাকিস্তানকে, এমনটাই জানিয়েছেন সেদেশের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল।

জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী দেশের বিপদে সাহায্য প্রদানের বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে দাবি করা হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে। প্রসঙ্গত, গত জুন মাস থেকে বৃষ্টি চলছে পাকিস্তানে। এই বছর বর্ষায় যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে, তা গত ৩০ বছরের সহ রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আর এই বিপুল বৃষ্টিপাতের কারণেই সিন্ধু এবং কাবুল নদী-সহ পাকিস্তানের অধিকাংশ নদীতেই জল এখন বন্যার সীমার অনেক উপর দিয়ে বইছে।

2 years ago
Food: পার্সিদের খাওয়া-দাওয়া সম্বন্ধে কোনও ধারণা আছে? জানুন এঁদের খাদ্যাভাস

প্রসূন গুপ্ত: পার্সি কারা? কোথা থেকে এদের আগমন? এরা কি হিন্দু না মুসলমান? এরকম প্রশ্ন বহু প্রাচীন সময় থেকে চলে আসছে। প্রথমেই বলে রাখা ভালো, আজ ভারতের বাণিজ্যিক যা অবস্থান, তার জন্য কৃতিত্বের অনেকটাই দাবিদার এই পার্সিরা। টাটা, গোদরেজ, মিস্ত্রি বা বালসারা ইত্যাদিরা ভারতের বাণিজ্যের মান উন্নত করেছে চিরকাল। এরা খুব দেশপ্রেমী এবং জাতীয়তাবাদের ভাবনায় অসামান্য। এদের নাম দেখলে মনে হতে পারে এরা হয়তো মুসলমান যেমন ফিরোজ, জামশেদ ইত্যাদি। কিন্তু পদবীতে গেলেই চমক আসে। কারও পদবি দারুওয়ালা, কারও ইঞ্জিনিয়ার, কারওবা ইরানি বা কন্ট্রাক্টর। অর্থাৎ পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকা থেকেই এদের পদবি। এরা একসময় পারস্য বা ইরানের বাসিন্দা ছিল। কিন্তু ক্রমশই কালের নিয়মে তাঁরা সিল্করুট ধরে চলে আসে ভারত উপমহাদেশে।

প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর স্বামী স্বদেশী আন্দোলন করা ফিরোজ গান্ধী ছিলেন পার্সি। পরে তিনি গান্ধী পদবী দত্তক নেন। এদের ঈশ্বর অগ্নিদেব বা আগুন। তার মন্দির পর্যন্ত আছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এদের বিয়ে অনেকটাই হিন্দুদের মতো। মৃত্যুর পর এদের মৃতদেহ আগে একটি উঁচু স্থানে ফেলে দেওয়া হতো, কাক শকুনের খাদ্য হতে। কিন্তু আজকাল দাহ করা হয়।

এদের উৎসবে খাওয়া কিন্তু দারুন। বাঙালিদের মতো এরাও আমিষ খাদ্য খান। মাংস বলতে মাটন ও চিকেন। ব্যস অন্য মাংসে এদের ঝোঁক নেই। যে কোনও উৎসবে এদের খাওয়া হয় কলাপাতায়। প্রথমে পরিবেশিত হয় সুস্বাদু সরবত। তারপর পাতে পরে আচার ও ছোট পাঁপড়। কখনও সামান্য ভাজাভুজি থাকলেও তেমন কিছু না। আসে রুটি, যাকে বলে রোটালি সঙ্গে চিকেনের পদ। এরপর সাদা মাটন, যা খেতে অপূর্ব, কাজু ইত্যাদি দিয়ে তৈরি। এরপর আসে ধান ডাল কলমি। একদম শেষে ভাত ডাল আসলেও তা সুস্বাদু। সব শেষে কাস্টার্ড বা পুডিং। বেশ রসালো হয় এঁদের রান্না কিন্তু একটু ভিন্ন স্বাদের। আজকাল মুম্বই ছাড়া এই পার্সিদের সংখ্যা অন্য প্রদেশে খুব কম।

2 years ago


Uluberia: অনুষ্ঠান বাড়ির খাবার খেয়েই বিপত্তি, অসুস্থ ৩৫ জন

অনুষ্ঠান বাড়িতে খাবার খেয়ে অসুস্থ (sick) একইসঙ্গে ৩৫ জন। ঘটনাটি রবিবার উলুবেড়িয়া (Uluberia) ২ ব্লকের জোয়ারগোড়ী নয়াচক মাখালপাড়ায়। ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা। বর্তমানে সকলেই চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এদিন মাখালপাড়ার একটি অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে সন্ধ্যা থেকে বমি (vomiting) পায়খানা উপসর্গ দেখা দেয় কমবেশী প্রায় ৩৫ জনের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে উলুবেড়িয়া ২ বিডিও অতনু দাস। তিনি খবর দেন স্থানীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। তারা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। জানা যায়, অসুস্থদের মধ্যে ৭ জন শিশু ও ১৫ জন মহিলা সহ মোট ৩৫ জন অসুস্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে উলবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে।

চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা, খাবারের বিষক্রিয়া হয়ে অসুস্থ হয়েছে এত মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিষয়টি।  

2 years ago
Fish: বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু ফিশ পাসিন্দা ফ্রাই

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: বাঙালি মাত্রই মাছের ভাজা পদের প্রতি আলাদা আকর্ষণ অনুভব করেন। সে ফিশ ফ্রাই, ফিশ রোল, ফিশ কবিরাজি, ফিশ বাটার ফ্রাই যাই হোক না কেন। এসব তো অনেক খেয়েছেন, এবার চটপটা পুরভর্তি ভেটকি মাছের একটা জম্পেশ ব্যাটার ফ্রাই খেয়ে দেখুন,  মন ভরে যাবে।

১) ফিশ পাসিন্দা ফ্রাই তৈরির পদ্ধতি -----  পাঁচশো গ্রাম বোনলেস ভেটকি মাছের ফিলে থেকে আটটা চৌকো চৌকো পিস করে নিন। মাছের পিসগুলোর উপর তিনটে পাতি লেবুর রস ও আন্দাজ মত নুন ছড়িয়ে দিয়ে হাতের সাহায্যে ভাল করে মাছের গায়ে মেখে নিন। পনেরো মিনিট আলাদা করে রেখে দিন। পনেরো মিনিট বাদে মাছের ফিলে গুলো হাতের সাহায্যে চেপে জল ঝড়িয়ে নিন। এবার জলে ভাল করে মাছগুলো ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন।

২) একটা পাত্রে দুই টেবিল চামচ ধনেপাতা বাটা, দুই টেবিল চামচ পুদিনাপাতা বাটা, এক টেবিল চামচ কাচালঙ্কা বাটা, তিন টেবিল চামচ নারকেল বাটা, দুটো পাতিলেবুর রস, এক টেবিল চামচ চিনির গুড়, আন্দাজ মত নুন নিয়ে ভাল করে হাতের সাহায্যে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। পুর তৈরি হয়ে গেল। অন্য একটা পাত্রে একটা ডিমের গোলা, তিন টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, দেড় টেবিল চামচ ময়দা, এক চা চামচ বেকিং পাউডার, আন্দাজ মতো নুন ও ছোট এক মুঠো সবুজ, হলুদ ও লাল ক্যাপসিকাম কুচি নিয়ে হুইস্কের সাহায্যে খুব ভাল করে নেড়ে মিশিয়ে নিন। ব্যাটার তৈরি হয়ে গেল।

৩) এবার ভেটকি মাছের পিসগুলোর মধ্যে লম্বালম্বি করে আন্দাজ মতো পুর ভরে মাছের পিসটা ফোল্ড করে নিন। পুরো পুরটা সমান ভাগে বাকি মাছের পিসগুলোর মধ্যে ভরে ফোল্ড করে নিন। কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজ মত সাদা তেল গরম করে নিন। পুর ভর্তি মাছের পিসগুলো ব্যাটারে চুবিয়ে কড়াতে দিয়ে ডুবো তেলে হালকা বাদামী রং করে ভেজে নিন। হয়ে গেলে তুলে তেল ঝরিয়ে নিন। প্লেটে রেখে মেয়োনিজ সহযোগে গরম গরম পরিবেশন করুন।

2 years ago


Food: বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু চিলি চিকেন

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: চিলি চিকেন এর প্রতি বাঙালির বরাবরই একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। ফ্রায়েড রাইস, দেরাদুন চালের সাদা ভাত, হাতরুটি, নুডলস সবকিছুর সঙ্গেই চিলি চিকেন একেবারে জমে ক্ষীর। চিনে খাবারের রেস্তোরাঁতে গিয়ে বা অনলাইন অর্ডার করে বাড়িতে  আনিয়ে চিলি চিকেন খেতেই  পারেন। তবে নিজের হাতে বানিয়ে সবাইকে খাওয়ানো ও নিজে খাবার মজাই আলাদা। তাই চাইলে সহজ পদ্ধতিতে বাড়িতে বানিয়ে ফেলতেই পারেন চিলি চিকেন।

জানুন চিলি চিকেন তৈরির পদ্ধতি: এক কেজি ড্রেসড চিকেনের বারোটা খণ্ড করে কেটে নিন। জলে ধুয়ে পরিস্কার করে জল মুছে নিন। একটা পাত্রে চিকেনের খণ্ডগুলো রেখে ওর মধ্যে ১/৪ কাপ কুকিং ওয়াইন, তিন টেবিল চামচ শুকনো লঙ্কারগুড়ো, দুই টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, একটা ডিমের গোলা, এক টেবিল চামচ সাদা তেল দিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। আধ ঘণ্টা আলাদা করে রাখুন। কড়া আঁচে বসিয়ে আন্দাজ মতো সাদা তেল গরম করে ডুব তেলে চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে হালকা বাদামী রং করে ভেজে নিন। হয়ে গেলে তুলে তেল ঝড়িয়ে তুলে আলাদা করে রাখুন।

অন্য একটি কড়া আঁচে বসিয়ে চার টেবিল চামচ সাদা তেল গরম করে এক টেবিল চামচ রসুন কুচি দিয়ে নেড়ে ভেজে নিন। এক মুঠো কাচা লঙ্কা কুচি, দুই মুঠো পেঁয়াজের স্লাইস  দিয়ে নেড়ে হালকা ভেজে নিন। এক মুঠো স্প্রিং ওনিয়ন কুচি দিয়ে নেড়ে ভাল করে ভেজে নিন। আন্দাজমতো নুন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার ভাজা চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ সোয়া সস ও এক টেবিল চামচ কুকিং ওয়াইন দিয়ে নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। ফ্রায়েড রাইস, নুডলস, বাসমতি চালের ভাত বা রুটি সহযোগে পরিবেশন করুন।

2 years ago
Food: বর্ষাকালে তেলেভাজা বা খিচুড়ি, বাংলা সাহিত্যেও মিলেছে এই খাবারের রেওয়াজ

প্রসূন গুপ্ত: বাঙালির খাওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনও কাল নেই, এক আড্ডায় এক সময়ে বলেছিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। ওনার গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ পড়তে গেলে খাবারের কত রকম যে বিবরণ পাওয়া যায় তার তুলনা নেই। ব্যোমকেশের গল্পেই বর্ষাকালে তেলেভাজা বা খিচুড়ি ও ডিমভাজার গপ্পো শোনা যায়। বাংলার আবহাওয়ার একটি দিক আছে। শীত ও বসন্তকালে বাংলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকে বলেই এই সময়ে পেটের রুগীদের পর্যন্ত নানা খাবার বা রান্না হজম হয়ে যায়। অনেকেই বলে গ্রীষ্মকাল নাকি হজমের পক্ষে কঠিন সময়। কিন্তু এই ধারণা আংশিক সত্যি। আসলে বর্ষকালে ভিজে আবহাওয়ার জন্য হজম শক্তি মানুষের কমে যায়। যে কারণে দেখা যায় যত পেটের গন্ডগোল বা সর্দিকাশির প্রকোপ এই সময়েই বাড়ছে।

কিন্তু জিভের লালসা এই বর্ষাকালেই বেড়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ তেতো খেতে ভালোবাসতেন, তিনি বিভিন্ন মানুষকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার উপদেশ দিতেন। তিনি বলতেন, 'বর্ষাকাল রোমান্টিক সময় কিন্তু খাওয়া দাওয়ার জন্য নয়। তাঁদের কলকাতার ঠাকুরবাড়িতে পেয়াঁজ রসুন ছাড়া পাতলা মাছের ঝোল রান্না হতো বর্ষাকালে যার রেসিপি পর্যন্ত দেওয়া আছে।'  তবে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেনিদার আবার বর্ষাকালে খিদে পেত বেশি। চানাচুর থেকে আলুকাবলি কোনও কিছুতেই টেনিদার আপত্তি ছিল না। শোনা যায়, নারায়ণবাবুর প্রিয় খাদ্যগুলিই টেনিদার নামে চালাতেন।

সাহিত্যিক বা বিখ্যাতরা যাই বলুন না কেন। সারাদিনের কালো আকাশ এবং ক্ষণে ক্ষণে বৃষ্টি। কোনওভাবে অফিসে রেইনি ডে মিললে, ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জন বাঙালি গৃহকর্ত্রী, গিন্নিকে অনুরোধ করবেই আজ একটু খিচুড়ি হয়ে যাক। তা না হয় হলো, কিন্তু খিচুড়ির সঙ্গে খাবে কি? বললেই তো আর বাজারে গিয়ে ইলিশমাছ কিনে আনা যায় না অতএব ডিমের ওমলেট আর খিচুড়ি। ডিমও যদি না থাকে তবে কিছু একটা ভাজাভুজি দিয়ে দুপুরের খাওয়াটা জম্পেশ করে খাওয়া যায়। আর এসব কোনওটাই হলো না তবে অবশ্যই বিকেলে তেলেভাজা আর মুড়ি মাস্ট। বর্ষার গৃহবন্দী হয়ে এর বিকল্প কিছু আছে নাকি?

2 years ago
Restaurant: সুস্বাদু ইতালিয়ান, মেক্সিকান ও ফিউশন ফুডের গন্তব্য KK'S ফিউশন

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: কলকাতায় বসে আন্তর্জাতিক মানের ইতালিয়ান, মেক্সিকান ও মজাদার ফিউশন ফুড-এর মজা নিতে হলে আসতে পারেন হায়াত হোটেলের উল্টোদিকে কাদাপাড়া স্বভূমির পাশে অবস্থিত KK'S ফিউশন রেস্তোরাঁতে। সুন্দর অন্তসজ্জাবিশিষ্ট বাতানুকূল এই রেস্তোরাঁতে উপর-নিচ মিলিয়ে শখানেক লোক বসে খেতে পারে। এই রেস্তোরাঁর কর্ণধার কাম শেফ প্রদীপ রোজারিও ইতালিয়ান ও মেক্সিকান খাবারে বিশেষ পারদর্শী। পনেরো বছর তাজ গ্রুপ অফ হোটেলস-এ চাকরি করার পর কলকাতা ফিরে ১৯৯৪ সালে ইতালিয়ান ও মেক্সিকান খাবারের রেস্তোরাঁ চালু করেন। প্রদীপ অনেকদিন ইতালিতে ছিলেন ইতালিয়ান খাবার তৈরির তালিম নিতে। কলকাতার খাদ্যরসিকদের প্রথম ফিউশন ফুড-এর সাথে পরিচয় করান প্রদীপ রোজারিও। মিঠুন চক্রবর্তী, সুনীল শেঠঠি, ঐশ্বর্য রাই, বিপাশা বসু, শাহরুখ খান, ওয়াসিম আক্রম প্রমুখ বহু বিখ্যাত মানুষ প্রদীপের হাতের তৈরি খাবারের বিশেষ ভক্ত।


যাঁরা KK'S ফিউশন-এ আসবেন, তাঁরা শুরু করতে পারেন এখানকার বিখ্যাত চিজ ফন্দু দিয়ে। টেবিলের উপর রাখা জ্বলন্ত বার্নারের উপর বসানো হাতলওয়ালা সসপ্যানের মধ্যে বেচামেল সস, হোয়াইট ওয়াইন মিশ্রিত ঘন সুস্বাদু গলানো চিজের সম্ভার। সঙ্গে চৌকো চৌকো পাউরুটির খণ্ড, গরম মুচমুচে চিকেন ওরলি ও পিকলড ভেজিটেবিলস।

লম্বা স্ক্রু ড্রাইভারের মতো দেখতে ফন্দু ফোক-এ পাউরুটির খণ্ড ও চিকেন ওরলি গেঁথে উষ্ণ চিজের মধ্যে চুবিয়ে চুবিয়ে সুস্বাদু চিজের প্রলেপ লাগিয়ে মুখে ঢুকিয়ে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে পারেন চিজ ফন্দুর স্বর্গীয় স্বাদ। দাম ৬১০ টাকা। স্বচ্ছন্দে দুই থেকে তিন জনে ভাগ করে খেতে পারেন। স্টার্টারে অর্ডার করতে পারেন এখানকার বিখ্যাত ফিউশন কাবাব প্ল্যাটার। ছোট্ট সুদৃশ্য তন্দুর মধ্যে জ্বলন্ত কাঠকয়লার আগুনের উপর রাখা বড় লোহার তারের উপর পরিবেশিত চিকেন টিক্কা, চিকেন রেশমি কাবাব, জাপানি চিকেন ইয়াকিতরি, ফিশ শাসলিক, ক্রিওল পোটাটো, সার্ভড উইথ ইতালিয়ান সালসা, পুদিনা চাটনি, স্যালাড, ফ্রায়েড এগ সহ কোরিয়ান নাসিগোরেং রাইস। দাম ৬৪০ টাকা। তিনজনে ভাগ করে খাওয়া যায়।

মেইন কোর্সে মৎস্যপ্রেমীরা চেখে দেখতে পারেন মশলাদার মেক্সিকান সস দিয়ে রান্না করা বোনলেস ভেটকি মাছের ফিলে ও চিংড়ির দুর্দান্ত পদ "পেসকে কারতোচিও"। পিস পোলাও সহ এই পদটি পরিবেশন করা হয়। দাম ৫১৫ টাকা। মশলাদার রসুনের সস দিয়ে রান্না করা চিকেন ব্রেস্ট ও চিংড়ির যুগলবন্দিতে তৈরি "লাভলি কাপেল" স্বাদেগন্ধে অতুলনীয়। এর সাথেও পিস পোলাও পরিবেশিত হয়। দাম ৪৪০ টাকা।

চিংড়িপ্রেমীরা চেখে দেখতে পারেন ঘন চিজ সসে রান্না করা মাশরুম ও চিংড়ির যুগলবন্দিতে তৈরি সুস্বাদু প্রন থারমিডর। ইতালিয়ান পাস্তা সহযোগে পরিবেশন করা হয়। দাম ৫১৫ টাকা। যাঁরা ইতালিয়ান পাস্তার স্বাদ নিতে চান, তাঁরা বিশেষ টমেটো সস ও চিলি ফ্লেক্স সহযোগে তৈরি ভেটকি, চিংড়ি, চিকেন দিয়ে তৈরি পাস্তা "সালসা স্প্যাগনোলা " দেখতে পারেন। দাম ৪৭৫ টাকা। বা টমেটো, ক্রিমসস, চিজ ও চিকেন সহযোগে তৈরি সুস্বাদু পাস্তা "সালসা সোফিয়া লরেন" (দাম ৩৯৫ টাকা) খেতে পারেন।

চিকেনের বিখ্যাত পদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিজ, ওরিগ্যানো সহযোগে বোনলেস চিকেন ও মাশরুম দিয়ে তৈরি সুস্বাদু "পোল্ল দেল্ল শেফ" (দাম ৪১৫ টাকা)। লেমন বাটার সসে রান্না করা মাশরুম ও চিজের পুরভর্তি চিকেন ব্রেস্ট "পোর্টফোগলিও ভাল দাস্তানা (দাম ৪৫০ টাকা) স্বাদেগন্ধে অতুলনীয়। এই দুটি পদের সাথে রাইস বা পাস্তা পরিবেশিত হয়। শেষ পাতে চকোলেট ব্রাউনি উইথ চকোলেট সস ও ভ্যানিলা আইসক্রিম (দাম ১৯৫ টাকা) অনবদ্য। এখানে প্রতিটি খাবারের মান ও পরিমাণ বেশ ভালো।

2 years ago


Kapoor: বাংলার সঙ্গে কাপুরদের যোগ আত্মিক, সেভাবে বাঙালির মতোন এঁরাও যথেষ্ট খাদ্যরসিক

প্রসূন গুপ্ত: পৃথ্বিরাজ কাপুর পশ্চিম পাকিস্তান থেকে কলকাতায় চলে আসেন। খুব ভালো বাংলা বলতে পারতেন, এখানে টুকিটাকি কাজ করতে করতেই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে থিয়েটার, পরে সিনেমায় যোগ দেন। কলকাতার নানা খাবারে তখন ঝোঁক ছিল অসম্ভব। একদিকে জন্মসূত্রে পাঞ্জাবি, তাই পাঞ্জাবি খানা এবং পরে কলকাতায় থেকে মাছ থেকে খাঁসির মাংস, মিষ্টির প্রতি পৃথ্বিরাজের আগ্রহ বাড়ে। একই খাবারের আকর্ষণ ছিল রাজ কাপুরের। তিনিও বাংলা জানতেন, শাম্মি বা শশী এত ভালো বাংলা না জানলেও খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ তাঁদেরও এই কলকাতার সূত্রে।

শুধু খাবারই নয় বিদেশী সুরার প্রতিও আকর্ষণ ছিল কাপুরদের। রাজ বা তাঁর বংশধরাও নানান ডিশ খেতে ও খাওয়াতে ভালোবাসতেন। এদের মুম্বাইয়ের বাড়িতে বা আরকে স্টুডিওতে প্রায়ই খানাপিনার আসর বসতো। সিনেমা জগৎ বলে শুধু নয় সাংবাদিক থেকে রাজনৈতিক নেতা বা মুম্বইয়ের ক্রিকেটারদের নিমন্ত্রণ থাকতো কাপুরদের আসরে। দোল হোলিতে আরকে স্টুডিওতে ৫০০ অতিথির নিমন্ত্রণ থাকতো কম করে।

ঋষি কাপুর খেতে এবং মদ্যপান করতে ভীষণ ভালোবাসতেন। তিনি যখন নায়কের চরিত্রে অভিনয়ে ছিলেন, তখন স্ত্রী নিতু সিং অনেকটাই তাঁকে কন্ট্রোল করতেন। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিতু জানিয়েছেন, ঋষি নাকি ৩০ দিনে ৩০ রকম ডিশের বায়না করতেন। করোনা আবহে তিনি মদের দোকান বন্ধ ছিল বলে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন।

কিন্তু এই পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম অর্থাৎ রণবীর কাপুর কিন্তু একবারেই খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক। সকালে ফ্রুট জুস্, ডিমের সাদা অংশ-সহ একটি টোস্ট এবং ফল। 

দুপুরে প্রায় কিছুই নয়। খিদে পেলে  হেলথ বিস্কুট, রাতে সবুজ সবজি, সেদ্ধ মাংস এবং একটি রুটি। রণবীর জানে তাঁর বাজার এবং চেহারা ধরে রাখতে হবে।

2 years ago
Nadia: একদিন তাদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন, আজ সেই পাখিরাই তাঁর অন্নদাতা

পাখিদের (birds) প্রতি ভালোবাসা সেই ছোট থেকেই। নিজের খাবার (food) বাঁচিয়ে রেখে দিতেন পাখিদের জন্য। আর এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্যই আজ গোটা পরিবারের মুখে অন্ন জোগাচ্ছে পাখিরাই। এমনই ঘটনার স্বাক্ষী রইলেন নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর শহরের লক্ষীতলা গুলবাজ মোড়ের বাসিন্দারা।

জানা যায়, গুলবাজ মোড়ের বাসিন্দা কৌশিক প্রামাণিক ছোট থেকেই পাখি ভালোবাসতেন। প্রতিদিন নিজের খাবারের কিছুটা অংশ ছাদে গিয়ে দিয়ে আসতেন পাখিদের। দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতেন, কোনওদিন যদি পাখিরা তাঁর কথা শোনে এবং বুঝতে পারে তাহলেই এ জীবন সার্থক হবে তাঁর। তবে তিনি তখনও জানতেন না একদিন সেই পাখিরাই তাঁর গোটা পরিবারের মুখে ভাত জোগাবে। ভাবছেন, এটা কীভাবে সম্ভব?

তাঁর বাবা ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক। তিনি মারা যাবার পর ভাই এবং মায়ের সংসারের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব পড়ে কৌশিকবাবুর কাঁধে। স্নাতক হবার পর মাস্টার্স, অবশেষে ডিএলএড করেও মেলেনি চাকরি। তবে বর্তমান রাজ্যের পরিস্থিতির কথা হয়ত আগাম বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। তখনই টিউশনি এবং কম দামের নানান পাখি পুষে বিক্রি করা শুরু করেন। আজ কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ বেশ কয়েকজন কর্মচারী ও ঝাঁ চকচকে দোকান জেলার মধ্যে অন্যতম হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিচিতির দিক থেকে।

কৌশিকবাবু জানান, লাভ বার্ড, ককাটেল, ফ্রিঞ্চ, জেব্রাফিঞ্চ, জাভা, ইয়োলো সাইডেড কুনুর, পাইনাপেল কুনুর, হেলিপ্যাড বদ্রি, কোবাল্ট সিরিজ কুনুর, সান কনুর-- এ ধরনের নানান পাখি এখন তাঁর পরিবারভুক্ত। তবে সম্প্রতি যোগ হয়েছে অ্যাকোয়ারিয়ামের বেশ কিছু মূল্যবান মাছ, টেক্ট্ররা উইডো, গোল্ড ফিশ, ইমপোর্টেড মলি, সুহাঙ্গী, রেড ক্যাপ, স্প্যারট, ডিসকাস, হর্ন, ক্রোকোডাইল আরও কত কী! তাঁদের বাসস্থান, ওষুধ, খাবার পরিচর্চার যাবতীয় দ্রব্যাদি, পাখি এবং মাছের যাবতীয় পরিষেবা দিয়েই চলছে তাঁর পরিবার।

2 years ago


Food: ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি, দুমাসের মধ্যে বিচার করতে হবে স্যাটকে

ফুড ইন্সপেক্টর (Food Inspector) নিয়োগে বেনিয়মের মামলা এক যুগ পরে ফের বিচারের জন্য ফিরল স্যাটে (SAT)। ওই নিয়োগে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি (Corruption) হয়েছে কি না, আগামী দু মাসের মধ্যে তা খতিয়ে দেখে রায় দিতে হবে স্যাটকে।

এর আগে ২০১০ সালে ৬৫০ জন ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০১২ সালে স্যাট মামলায় কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দেয়। হাইকোর্টে মামলা এলে ডিভিশন বেঞ্চ স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় স্যাটকে। সেই মামলায় গত বছর স্যাট আগের নিয়োগ তালিকা বাতিল করে নতুন তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়। ফের মামলা আসে হাইকোর্টে। আজ বিচারপতি ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির বিচার করতে হবে স্যাটকে।

উল্লেখ্য, এর আগে ফুড ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চরম অস্বচ্ছতা, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কাট অফ মার্কস না প্রকাশ করা, রিজার্ভেশন নীতি প্রয়োগ না করা ইত্যাদি কারণের জন্য এই চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে ট্রাইবুনাল।

৯৫৭ টি শূন্য পদে ফুড ইন্সপেক্টর নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই চূড়ান্ত প্যানেল বাতিল করে দেয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল। ওই নির্দেশের ফলে ৯৫৭ জনের চাকরি নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।

2 years ago
Food Poison: ফুচকা খেয়ে অসুস্থ ১৫০, ক্ষোভে বিক্রেতার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

পোলবার সুগন্ধা পঞ্চায়েতের দোগাছিয়া গ্রামের হেমন্ত পাত্র গ্রামেই ফুচকা বিক্রি করেন গত ৯ আগস্ট। সেদিন তাঁর কাছে ফুচকা খেয়েছিল দোগাছিয়া, বাহির রানাগাছা, মাকালতলার প্রায় শ দেড়েক লোক। কিন্তু কমবেশি সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। চুঁচুড়া, চন্দননগর ও পোলবা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় এদের। গ্রামে যায় পোলবা হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম। অভিযুক্ত ফুচকা বিক্রেতার বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ তুলে আজ হেমন্তর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘরের জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলা হয়। সিভিক ভলান্টিয়াররা আটকাতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

ফুচকা বিক্রেতাও পোলবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর দাবি, ফুচকার জলটা কেমন লাগছে একজন বলেছিল। তাই তিনিও দুটি ফুচকা খেয়েছিলেন। তাতে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। যদিও বিজেপি এই ঘটনার মধ্যে রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে। হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ অভিযোগ করেন, ফুচকা বিক্রেতা তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় তাকে বাঁচাতে আসরে নেমেছে দল। উল্টে তাকেই হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে। আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়, একথা বলার পরেও ভাঙচুর প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এটা পুরোপুরি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

বিক্ষোভকারীরাও তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তাঁদেরও বক্তব্য, ফুচকা বিক্রেতাকে বাঁচাতেই হাসপাতালের বেডে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ফুচকায় কেমিক্যাল মেশানো হয়েছিল। তার জেরেই এই মর্মান্তিক পরিণতি। 

2 years ago
Gas Leak: কারখানায় গ্যাস লিক কাণ্ডে গ্রেফতার ম্যানেজার, অসুস্থ বেশ কয়েকজন

বসিরহাটে (Basirhat) গ্যাস লিক কাণ্ডে গ্রেফতার (arrest) এক। উল্লেখ্য, বসিরহাটের মাটিয়া থানার খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর মাংসের প্রসেসিং কারখানায় অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হয়। শুক্রবারই এই ঘটনায় উঠে আসে বেআইনিভাবে অ্যামোনিয়া গ্যাস (Ammonia gas) রাখার অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই মাটিয়া থানার পুলিস (police) তদন্তে নেমে ওই কারখানার ম্যানেজার ফারুক হাসানকে গ্রেফতার করে। পুলিস অভিযুক্তকে শনিবারই বসিরহাট মহকুমা আদালতে (court) তোলে।

প্রসঙ্গত, গোপালপুর মোড়ে মাংসের ফুড প্রসেসিং কারখানা থেকে হঠাৎই শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হয়ে বের হয়। দীর্ঘক্ষণ পরও তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই গ্যাস নাকে আসলে বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয় বলে জানা যায়। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা মাটিয়া থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন বাদুড়িয়ার এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র ও বিশাল পুলিসবাহিনী। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে খতিয়ে দেখেন বিষয়টি। প্রত্যেক পুলিস কর্মী মুখে গামছা-রুমাল পরে তারপরই যান। ঘটনাস্থলে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। ওই কারখানার অ্যামোনিয়া গ্যাস যেখান থেকে লিক হয়, সেখানে জল দিতে শুরু করেন তাঁরা। এরপরই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছয় ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা। আহতদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও এলাকায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে।

2 years ago


Food: বাড়ি থেকে আনা আড়াই কেজি মুড়ি আর সিবিআইয়ের দেওয়া শসাই অনুব্রতর মূল খোরাক

বৃহস্পতিবার আটক হওয়ার সময় বাড়ি থেকে আড়াই কেজি মুড়ি (Puffed Rice) নিয়ে বেরিয়েছিলেন। মূলত এটাই গত ৪৮ ঘণ্টায় তাঁর খোরাক। সিবিআই শসা (Cucumber) এনে দিয়েছিল। এছাড়া সেই অর্থে রান্না করা বাইরের খাবার (Cooked Food) খেতে চাইছেন না অনুব্রত। তবে দিনে বার তিনেক চা ও ক্রিম ক্র্যাকার বিস্কুট খেয়েছেন। যদিও চা বলতে দুধ-চিনি ছাড়া লাল চা।

অন্যদিকে, বিপুল অঙ্কের টাকা কোথায় কোথায় এবং কার কার কাছে গচ্ছিত রেখেছেন অনুব্রত? জেরায় জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। বোলপুরে পৈতৃক বাড়ি ছাড়া বাকি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি কী কী আছে? কোথায় কোথায় আছে? জানার চেষ্টা চলছে। অনুব্রতর নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সামান্য টাকা আছে। তাঁর খরচ চলে কিভাবে? বিলাসবহুল জীবনযাপন কীভাবে? ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের চিকিৎসার বিপুল খরচ কিভাবে মিটিয়েছেন তিনি? এসব নিয়েউ প্রশ্ন করতে চলেছে সিবিআই। 

জানা গিয়েছে, অনুব্রতর নিজের নামে প্রায় কিছুই নেই। সবই বেনামে। বাড়ি থেকে উদ্ধার ডায়েরির সূত্র ধরেই প্রশ্ন করতে চলেছে সিবিআই।

2 years ago
Food: এই খাবার পশুও খাবে না, থালা হাতে রাস্তায় প্রতিবাদী পুলিস

হস্টেলের খাবার পছন্দ না হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ আমরা অনেক দেখেছি। কিন্তু পুলিসের মেসের (Police Mess) খাবার (Food) পছন্দ হয়নি বলে প্রকাশ্য রাস্তায় এসে কেঁদে ভাসাচ্ছেন এক পুলিস কনস্টেবল, এমন দৃশ্য দেখেছেন কখনও।

উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলায় এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন পথচলতি মানুষজন। আর এমন বিরল দৃশ্য দেখতে রাস্তায় রীতিমতো ভিড়ও জমে গেল।

ওই কনস্টেবলের অভিযোগটা ঠিক কী? যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কনস্টেবল মনোজ কুমার হাতে থালা নিয়ে রাস্তায়। থালায় রয়েছে রুটি, ডাল এবং ভাত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন এক সিনিয়র অফিসার। তাঁকে বলে-বুঝিয়ে থানায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু মনোজ কুমার বলেই যেতে থাকেন, এই খাবার কি মানুষে খায়? এটা পশুদেরও মুখে উঠবে না। রুটি ভালো করে সেঁকা হয় না। আর ডাল মানে তো জল। তাঁর আরও অভিযোগ, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী, এসব করলে তাঁকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হবে, এমন হুমকিও নাকি শুনতে হয়েছে।

মনোজ কুমারের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, পুলিসকর্মীদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ডিউটি করার পর তাঁদের ভাগ্যে জোটে এমনই সব অখাদ্য। ভালো খাবার না পেলে আমরা কাজ করব কীভাবে? প্রশ্ন মনোজ কুমারের।

পরে ফিরোজাবাদ পুলিস একটি ট্যুইটে এই ঘটনার ব্যাপারে জানায়, ওই কনস্টেবল এর আগে নয় নয় করে ১৫ বার এভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। এবারের ঘটনা নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

2 years ago