দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা জগতের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু(Samantha Ruth Prabhu)। তেলেগু সিনেমার জগৎ থেকে বেরিয়ে নিজেকে প্যান ইন্ডিয়া অভিনেত্রী করে তুলেছেন তিনি। তাঁর ব্যক্তিত্বর পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনকাহিনীও অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে ভক্তদের। সিনেমার জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার লড়াই, ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই থেকে উৎসাহ পান ভক্তরা। ইতিমধ্যেই তেলেগু সিনেমা জগতে বেতনের দিক থেকে উচ্চতায় নিজের জায়গা করেছেন। এবার নিজের দাম বাড়াতে ভরসা রাখছেন আরও কঠোর পরিশ্রমে। অভিনেত্রী প্রযোজকদের থেকে আর ভিক্ষা চান না, বরং লড়ে আদায় করে নিতে চান প্রাপ্য।
সম্প্রতি অভিনেত্রী সামান্থা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আমি খুব লড়াই করছি। তবে সরাসরি নয়। এমন নয় যে আমি সমান বেতন পাওয়ার জন্য লড়ছি। আমি পরিশ্রম এবং সাফল্যের উপজাত হতে চাইছি। যাতে লোকে এসে বলে, আমি আপনাকে এত টাকা দিতে চাই। আমাকে যেন ভিক্ষে চাইতে না হয়। আমার বিশ্বাস এই ক্ষমতা প্রচুর পরিশ্রমের পরে আসে।' তিনি আরও বলেন, 'আমাদের যতটুকু ক্ষমতা তার বাইরে বেরিয়ে নিজেকে মেলে ধরা উচিত।'
সৌমেন সুর: মেদিনীপুরের মেয়ে সৌদামিনী। আইন অমান্য আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৯৩২ সালের ১১ ডিসেম্বরে বাগবাজারে সভা করতে যাওয়ার সময় পুলিশ লাঠি চালায় তাঁদের উপর। সৌদামিনীকে রাস্তা দিয়ে টেনে-হিচঁড়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়, পুলিশের সামনেই চিৎকার করতে করতে দেশবাসীর উদ্দেশে দৃপ্তকন্ঠে বলেছিলেন, প্রতিটা জিনিস কেনার সময় চিন্তা করে দেখবেন সেটা ভারতে তৈরি কিনা।
শুধু তাই নয়, বিচারের সময় তিনি বিচারককে সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন, আইন ভাঙলে আপনারা যাকে খুশি গ্রেফতার করতে পারেন। কিন্তু মহিলাদের প্রতি পুলিশ খারাপ কথা বলতে পারে কোন আইনে? জনতার উপর লাঠি চালানো হয় কোন আইনে? তাঁর প্রশ্নের কোনো উত্তর বিচারকের কাছে ছিল না। তবুও বিচারক তাঁকে ছ'মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
চামেলী গুপ্ত কলকাতার নারী সত্যাগ্রহ সমিতির সদস্য ছিলেন। তিনি বড়বাজারে শোভাযাত্রা, পিকেটিং করতেন পুরুষদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে। বড়বাজার বিলাতি বস্ত্রের ব্যবসায়ীরা রীতিমত ভয় পেতো এই উত্তরপ্রদেশের কন্যাকে দেখে। তিনি গর্ভবতী অবস্থায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। সরকার থেকে বন্ড লিখতে বললেও তিনি রাজি হননি। তাই ছাড়া পাননি।
জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন চামেলী। জেলের মধ্যে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর শরীর আরও খারাপ হলে,সরকার বিনা শর্তে মুক্তি দিয়েছিল। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে যায়। কয়েকদিন পরে চামেলী ও শিশু পুত্র মারা গিয়েছে। দেশের জন্য তাঁর এই আত্মত্যাগের কথা না খাতাতে, না স্মৃতিতে কোথাও নেই। তথ্যঋণ: সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
সৌমেন সুর: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪১-১৯৪২ থেকে ১৯৪৪ এই দু-তিনটি বছরে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এবং পরে ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা প্রাপ্তির ইতিহাস বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা যখন নিষ্ফলা, তখন জাতীয় কংগ্রেস ১৯৪২ সালে ৮-ই আগস্ট বোম্বাই অধিবেশনে 'ভারত ছাড়ো আন্দোলন'-র প্রস্তাব গৃহীত হয়। তখন হিটলারের আক্রমনে ফ্রান্স-ব্রিটেন বিধ্বস্ত। অন্য়দিকে হিটলারের মিত্র শক্তি জাপান পার্ল হার্বার আক্রমণ করেছে। ফলে যুদ্ধের পরিধি দঃপূর্ব এশিয়ায় বিস্তৃত। ভারতের ব্রিটিশ সরকার তখন বিপর্যস্ত।
এদিকে 'ভারত ছাড়ো আন্দোলন' যেটা গান্ধিজি স্বাধীনতার অন্তিম যুদ্ধ বলে ঘোষণা করেন। তাঁর এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার দিন মধ্য়রাত্রে বোম্বাইতে উপস্থিত সব নেতৃবৃন্দ গ্রেফতার হয়েছিলেন। কলকাতায় দাদাভাই নৌরজির দৌহিত্রী খুরশেদ বেন, নেতা বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। বোম্বাই নেতৃবৃন্দের গ্রেপ্তারের পর সে শহরে ব্য়াপক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় বহু স্বেচ্ছাসেবক ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য় প্রস্তুত। এখানে একজনের নাম করতেই হবে-তিনি হলেন সরলা বেন। ইনি ১৯৪২-এ লরি ভর্তি স্বেচ্ছাসেবক ও সেবিকাদের নিয়ে আন্দোলন করে কারাবরণ করেন। (চলবে)
সৌমেন সুরঃ ছোটগল্প, উপন্যাস ও শিশুসাহিত্যে দৌলতউন্নিসার বিশেষ দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর প্রথম উপন্যাস 'পরশপাথর'। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ১৯৩২ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে যুক্ত হন দৌলতউন্নিসা। ওঁর শ্বশুরবাড়ি গাইগান্ধা। গাইগান্ধা মহিলা সমিতির সম্পাদক তিনি। তাঁর জ্বালামুখী বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে ৭/৮ গ্রামের মেয়েরা, এমন কি মুসলিম সম্প্রদায়ের মেয়েরা পর্দা সরিয়ে ছুটে আসত তাঁর সভায় যোগ দিতে। রাগে-ক্ষোভে ব্রিটিশ পুলিসরা যোগদানকারীদের বসত বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দিত। তবু দৌলতকে দিমিয়ে রাখতে পারেনি। সভার পর সভা করে গেছিলেন। অবশেষে পুলিস ফুলছড়ি গ্রামের সভা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে জেলে ঢোকায়। তবু আন্দোলন থেমে থাকেনি। স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলিম মেয়েরাও যে ঘর ছেড়ে বাইরে বেড়িয়ে প্রতিবাদ করতেন তার প্রামাণ দৌলতউন্নিসা।
অথচ ওঁর ত্যাগ, সংগ্রামী চেতনা, নাম, আমরা কজনই বা জানি। ইতিহাসের অন্তরালে হারিয়ে গেছে এমন অনেক অজানা আত্মত্যাগী মানুষ। যখন পুলিস দৌলতউন্নিসাকে ধরে, তখন তাঁর শাস্তি ছিল এমন, রাজশাহী, প্রেসিডেন্সি, বহরমপুর প্রভৃতি জেলে তাঁকে পাল্টে পাল্টে রাখা হতো। যাইহোক দৌলতউন্নিসা যে ব্রিটিশদের একসময় ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল, একথা প্রমাণিত সত্য। শুধু মুসলিম পুরুষরা নয়, মেয়েরা স্বাধীনতা সংগ্রামে যে বীরত্ব দেখিয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। (সমাপ্ত)
তথ্যঋণ: সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
সাত সকালেই আবর্জনা (garbage) ফেলাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা। পুলিসের (police) সামনেই এলাকাবাসীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরও। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) শহরের সিপাইবাজার এলাকার।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই সিপাই বাজার এলাকায় থাকা একটি ভ্যাট ভেঙে দেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তারপর থেকেই আবর্জনা ফেলতে অসুবিধে হয় এলাকাবাসীদের। বাধ্য হয়েই এলাকায় নতুন ভ্যাটের দাবিতে রবিবার বিক্ষোভে সামিল হন এলাকাবাসীরা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতোয়ালি থানার পুলিস। ঘটনাস্থলটি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানায় হওয়ায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্যামল ভকতও। এরপরই পুলিসের সামনে প্রথমে এলাকাবাসীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন, পরে তা হাতাহাতিতেও পৌঁছয়। কোনওক্রমে প্রাক্তন কাউন্সিলরকে সরিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় কোতোয়ালি থানার পুলিস।
তবে ঘটনার পর এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। আশ্বাস পেয়ে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। কিন্তু এলাকায় এখনও পর্যন্ত মোতায়েন রয়েছে পুলিসবাহিনী। এদিকে, এই বিষয়ে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি প্রাক্তন কাউন্সিলর।
সৌমেন সুর: ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার মেয়েদের বাড়ির সদর দরজার বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। তাঁরা পর্দাসীন ছিল। তবু শত শত নারী তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিল স্বাধীনতার নিরিখে। নিজেদের নাম, যশ, মোহ ত্যাগ করে স্বাধীনতার সংগ্রামে জড়িয়েছিলেন বহু নারী। তৎকালীন সমাজে কোণঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরা নিজের নিজের জায়গা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ করেছেন গোপনে বা প্রকাশ্যে। কেউ সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, কেউ প্রাণ দিয়েছেন, কেউ বা ব্রিটিশ পুলিসের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিজের প্রাণকে আত্মহুতি দিয়েছে দেশমাতৃকার চরণে। প্রথম পর্বের পর...
সত্যবতীকে পুলিস জেলে চালান করে। তিন মাস জেল খেটে মুক্তি পেয়ে আবার দেশের হয়ে প্রতিরোধ আন্দোলনে নেমে পড়েন। ১৯ ফেব্রুয়ারি নন্দীগ্রামে এক রাজনৈতিক সভায় যোগ দিতে গিয়ে আবার গ্রেফতার হন সত্যবতী। এদিকে সূত্র মারফৎ পুলিস জানতে পারে সত্যবতী গোপনে খবর চালান করে বিপ্লবীদের। যার ফলে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌছনোর আগেই বিপ্লবীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হত। এই খবর জানতে পেরে পুলিস সত্যবতীর উপর পাশবিক অত্যাচার চালায়। অত্যাচারের ফলে সত্যবতীর কিডনি ও অন্ত্র খারাপ হয়ে যায়। হাসপাতালে এই ক্ষতের চিকিৎসা সম্ভব হয়নি। ফলে সত্যবতী শহিদ হন।
দেশের কাজে তাঁর আত্মত্যাগ ভোলা সম্ভব নয়। তবু দেশের স্বাধীনতার কাজে তাঁর ভূমিকা আজও মানুষের কাছে অধরা হয়ে আছে। কজনই বা তাঁকে আমরা স্মরণ করি। এবার আপনাদের সামনে হাজির করছি বিপ্লবি দৌলতউন্নিসাকে। ইনিও হারিয়ে গিয়েছে অবহেলার স্রোতে। ছোট বয়স থেকে তিনি ছিলেন প্রচণ্ড মেধাবী মাত্র ১২ বছর বয়স থেকেই তিনি লিখতে শুরু করে যশোরের এই প্রতিভাবান ছাত্রী। ঢাকার ইডেন স্কুলে তিনি পড়াশোনা করেছেন। এছাড়া দেশ, বঙ্গশ্রী ও বিচিত্রা পত্রিকায় তিনি লেখালেখি করতেন। তখনকার দিনে মেয়েদের পড়াশোনা এমনকি কোনও সৃজনশীল কাজে যুক্ত থাকা সমাজ পছন্দ করতো না। তাছাড়া মুসলমান সমাজের কোনও মেয়ে পড়াশোনা করে উন্নতি করুক এটা তখনকার সময়ে সম্পূর্ণ নিষেধ ছিল। কিন্তু দৌলতউন্নিসার বাবা, মা এবং স্বামীর সমর্থনে পড়াশোনার দরজা খুলে যায়। (চলবে)
তথ্যঋণ: সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
সৌমেন সুর: ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার মেয়েদের বাড়ির সদর দরজার বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। তাঁরা পর্দাসীন ছিল। তবু শত শত নারী তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিল স্বাধীনতার নিরিখে। নিজেদের নাম, যশ, মোহ ত্যাগ করে স্বাধীনতার সংগ্রামে জড়িয়েছিলেন বহু নারী। তৎকালীন সমাজে কোণঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরা নিজের নিজের জায়গা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ করেছেন গোপনে বা প্রকাশ্যে। কেউ সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন, কেউ প্রাণ দিয়েছেন, কেউ বা ব্রিটিশ পুলিসের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিজের প্রাণকে আত্মহুতি দিয়েছে দেশমাতৃকার চরণে।
আজ এমনই একজন দেশপ্রেমী নারীর কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করব, যার নাম আমরা অনেকেই জানি না। মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা হলেন সত্যবতী। বিধবা এই অসহায় মহিলাকে কিছু স্বার্থপর মানুষ কার্যসিদ্ধির জন্য তাঁকে দেহপসারিণী করে তুলেছিল। এই বিভীষিকাময় জীবন মেনে নিলেও সত্যবতীর মন পড়েছিল পরাধিন দেশকে কীভাবে শৃঙ্খলমুক্ত করা যায়। তাঁর ঘরে নিত্য আসা এক গ্রাহক পুলিস অফিসারের থেকে তথ্য নিয়ে পাচার করেন বিপ্লবীদের ম্যাসেঞ্জারকে। প্রত্যেকবার পুলিস পৌছনোর আগেই ডেরা থেকে পালিয়ে যায় বিপ্লবীরা।
এদিকে শুধু গোপন খবর দিয়ে সত্যবতী ক্ষান্ত থাকেননি। তিনি আইন অমান্য আন্দোলনে সরাসরি জড়িয়ে পড়েন। ১৯৩২-র ১১ ফেব্রুয়ারি তেরপেখিয়া বাজারে মদের দোকানের সামনে পিকেটিং করার সময় পুলিসের লাঠির ঘায়ে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারান। (চলবে)
তথ্যঋণ: সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
সৌমেন সুর: আমরা কীভাবে স্বাধীনতা অর্জন করলাম অত্যাচারী ইংরেজ শাসকের থেকে, সে ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মকে জানতে হবে। তারা সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হোক- যে শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হবে তাঁদের প্রাণ, তাঁদের মন। এসব জানতে হলে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তাঁদের পড়তে হবে, ভাবতে হবে, লিখতে হবে। এমন অনেক বিপ্লবী আছেন, যাঁদের নাম বিস্মৃতির অন্তরালে তলিয়ে গিয়েছে। আবার অনেক নাম আছে যাঁদের স্মরণ করলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায়। প্রথম পর্বের পর...
১৭৭৫ সালে ৫-ই অগাস্ট কলকাতার রেসকোর্সে কাছে কুলিবাজার মোড়ে বর্তমান বিদ্যাসাগর সেতুর প্রান্তে প্রায় ৩০০ বছর আগে মহারাজা নন্দকুমারকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধে নবাব সিরাজদৌল্লার পতন হয়। সেই সময় দিল্লির বাদশাহ ছিলেন শাহ আলম। সিরাজদৌল্লার পতনের পর নতুন নবাব হন মীরজাফর দিল্লির বাদশাহের কাছে সুপারিশ করে 'মহারাজ' বিশেষণে ভূষিত করেন।
মহারাজা নন্দকুমার প্রকৃত অর্থে একজন দানশীল মহৎপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন। বাংলার মানুষের কাছে তিনি ভীষণ জনপ্রিয় মানুষ। তারপরেও ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ফাঁসি দিয়েছিল। সাড়া বাংলা জানে তিনি নির্দোষ। তবু এই নির্মম পরিহাস তাঁকে বরণ করতে হয়েছিল। যাইহোক এই সংগ্রামী মানুষদের কথা আমরা যেন ভুলে না যাই। এঁরা সকলেই আমাদের কাছে প্রণম্য, বরেণ্য ও চিরস্মরণীয়।
তথ্যঋণ: ড. ত্রিগুণা চট্টোপাধ্যায়
সৌমেন সুর: আমরা কীভাবে স্বাধীনতা অর্জন করলাম অত্যাচারী ইংরেজ শাসকের থেকে, সে ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মকে জানতে হবে। তারা সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হোক- যে শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হবে তাঁদের প্রাণ, তাঁদের মন। এসব জানতে হলে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তাঁদের পড়তে হবে, ভাবতে হবে, লিখতে হবে। এমন অনেক বিপ্লবী আছেন, যাঁদের নাম বিস্মৃতির অন্তরালে তলিয়ে গিয়েছে। আবার অনেক নাম আছে যাঁদের স্মরণ করলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যায়।
মা এবং মাতৃভূমির ঋণ কখনও শোধ করা যায় না। যারা পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন দেশমাতৃকার চরণে। তাঁরা আমাদের কাছে মহান, চিরঋণী। আসলে আমাদের সঠিক স্বাধীনতার ইতিহাস না জানার ফলে আমরা আত্মমুখী ও ভোগবাদী হয়ে উঠছি। দেশের জন্য আমাদের একটু স্বার্থত্যাগ আর অপার ভালবাসা না থাকলে সোনার ভারত গড়ে উঠবে কীভাবে!
আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্ত বাঙালি একজনকে। যার নাম মহারাজ নন্দকুমার। ব্রিটিশদের কাছে তিনি ছিলেন নান কুমার। সত্তর বছর বয়সেই দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় ফাঁসিতে তাঁর প্রাণ দিতে হয়েছিল। (চলবে)
হঠাৎ করেই যুদ্ধ বিমানের (Fighter Plane) দেখা মিলল কলকাতা বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরের (Kolkata Airport) অ্যাপ্রন এরিয়াতে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে একাধিক যুদ্ধ বিমান। একটি, দুটি বা তিনিটি নয়। একসাথে ৯ টি যুদ্ধ বিমান। সবগুলিই কোরিয়ান যুদ্ধবিমান (টি৫০বি)। কালো-হলুদ রঙের বিমানের গায়ে লেখা ব্ল্যাক ঈগলস।
তবে কি কোথাও কোন যুদ্ধ (War) বাধল? এই প্রশ্ন যখন উঁকি মারছে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত কর্মীদের মধ্যে, তখন অভয় দিচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ট্যুইট করে জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার ওই যুদ্ধ বিমানগুলি কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছে জ্বালানি ভরার জন্য এবং পাইলটদের বিশ্রামের জন্য। এটি আসলে যাঁরা যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, মূলত তাঁদের জন্য এই এয়ার ক্র্যাফট ব্যবহার করা হয়। কোরিয়ার এই ৯ টি বিমান ইংল্যন্ড গিয়েছিল ব্রিটিশ এয়ার শোতে অংশ নিতে। এরা মঙ্গলবার কলকাতায় নামে জ্বালানি ভরতে এবং বিশ্রাম নিতে।