পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat elections) প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলের হাতে বেধড়ক মার খেলেন সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা। ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর (Ashokanagar) থানার দীঘরা মালিকবেড়িয়া পঞ্চায়েতের ট্যাংরা এলাকায়। এই ঘটনায় চার জন সিপিআইএম কর্মী সমর্থক আহত (injure) হয়েছেন বলে খবর। আহতদের বারাসাত হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করানো হয়। পঞ্চায়েতের নির্বাচনী প্রচারের প্রায় শেষ সময়ে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের ২১ নম্বর সংসদের প্রার্থী বিলকিস বিবি ট্যাংরা এলাকাতে ভোট প্রচার বেরিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় তৃণমূলের একটি বাইক মিছিল যাচ্ছিল। অভিযোগ, সিপিএম সমর্থকদের প্রচার করতে দেখে তৃণমূলের কর্মীরা বাইক মিছিল থেকে বেরিয়ে হামলা চালায়। আচমকাই বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধারক মারধর করতে শুরু করে। এর ফলে চার জন সিপিএম কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসাপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সিপিআইএমের তরফে অভিযোগ, সিপিআইএম সমর্থক আতিয়ার রহমানকে বেধড়ক মারধর করে এবং তাঁর মাথায় বাঁশ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ২১ নম্বর জেলা পরিষদের সিপিএম প্রার্থী বিলকিস খাতুন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat elections) প্রচারে বেড়িয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধায়ক (MLA)। ভোগান্তি কাকে বলে বোঝাতে বিধায়ক কে কাঁদা রাস্তায় জোর করে হাঁটালেন গ্রামবাসীরা। কথায় বলে ঠ্যালায় পড়লেই নাকি বিড়ালও গাছে ওঠে, কিন্তু এই ঠ্যালায় যে কোনো দিন স্বয়ং বিধায়ককেই পড়তে হবে তা মনে হয় স্বপ্নেও ভাবেন নি ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী।
শনিবার সকালে ভাতারের নিত্যনন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুত্তকে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী আব্দুল রউফের সমর্থনে প্রচারে বের হোন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। প্রচার শুরু করতেই গ্রামবাসীরা, প্রার্থী ও বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। এবং তাঁদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। সেখানেই কার্যত গ্রামবাসীদের সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় প্রার্থীকে। শুধু তাই নয় এরপর গ্রামবাসীরা নিজেদের নিত্যদিনের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরতে বিধায়ককে কাঁদা রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করেন। গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, ভোট দিই, ভোট নেন, রাস্তা কই?
বিধায়ক মনগোবিন্দ অধিকারী জানিয়েছেন, গ্রামের মেয়েরা এসে রাস্তা খারাপের কথা জানিয়েছেন। তিনিও আরও বলেছেন তৃণমূলের লোক দেখলেই বিক্ষোভ করতে পারেন। সিপিআইএম কিংবা বিজেপির লোককে মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে পারে না। কারণ, তাঁরা জানে তৃণমূলের লোক কথা শুনবে। এই কারণে তিনি গ্রামবাসীদে আশ্বাস দেন আগামী দু,মাসের মধ্যেই রাস্তা ঠিক করে দেবেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গ্রামের রাস্তার হাল খারাপ। বিভিন্ন স্তরে বারংবার জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। তাই এদিন বিধায়ক আসতেই রাস্তার দাবী জানানো হয়।
পঞ্চয়েত নির্বাচনের (Panchayat elections) আগে একের পর এক জায়গা থেকে উদ্ধার (Rescue) হচ্ছে বোমা (Bomb)। আবারও ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে রানীনগরের পানিপিয়ায়। বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর রাতে রানীনগরের পানিপিয়ায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার করে রানীনগর থানার পুলিস। বোম ডিসপোজাল ইউনিটে খবর দেওয়া হয়েছে পুলিসের তরফে। পুলিস বোমা উদ্ধারের স্থানটিকে ঘিরে রেখেছে। তবে কে বা কারা এই বোমা গুলিকে পাট খেতে রেখে গিয়েছে তা এখনও পর্যন্ত অজানা এলাকাবাসীর। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানীনগর থানার পুলিস।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat elections) আগে আবারও উদ্ধার (Rescue) হল বোমা (Bomb)। বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরের লোহাগর এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের পিছনের মাঠ থেকে আনুমানিক প্রায় ৫০ টি তাজা বোমা উদ্ধার করলো শান্তিনিকেতন থানার পুলিস। বোমা উদ্ধারকাণ্ডকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। যার ফলে বোমাতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে বোমা গুলি উদ্ধার করেছে পুলিস। ইতিমধ্যেই বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে বোমা গুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য।
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতন থানার লোহাগর গ্রাম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, এখানেই বোমায় গুরুতর জখম হয়েছেন দুই তৃণমূল কর্মী। অভিযোগের তীর ছিল কংগ্রেসের দিকে। একের পর এক জায়গা থেকে এইধরনের তাজা বোমা উদ্ধার হচ্ছে। পাশাপাশি অনেক জায়গাতে আবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া চলাকালীন বোমাবাজিও হয়েছে। যার ফলে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্য়ে। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।
এক মাসের মধ্যেই কি রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)! এই আশঙ্কাই দেখা দিচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এবং রাজ্যের বৈঠকে। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় সেই সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে চলেছেন রাজ্যে নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিতর্ক রয়েছেই। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এরই মধ্যে ২৮ শে মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় একটা বড় প্রশ্নের মুখে পড়েছিলে পঞ্চায়েত ভোট। এছাড়া বিরোধী দলনেতার আদালতে মামলা তো ছিলই। এরই মধ্যে গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পদে বসেন রাজীব সিনহা। নির্বাচন কমিশনার পদে বসার পরই তিনি বলেছিলেন, রাজ্যই জানাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে। সেইমতো আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এরপরেই এক মাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোট সম্ভব কিনা বা হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই সংক্রান্ত বিষয়ে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এখন দেখার রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে আগামীতে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কোন সুরাহা হয় কিনা। যদিও এই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হলে তবেই পঞ্চায়েত ভোট সমর্থন করব।
হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) বহু প্রতীক্ষিত ৬৮টি বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections 2022) ভোটগ্রহণ শনিবার সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে। রাজ্য জুড়ে ৭ হাজার ৮৮১টি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব। রাজ্যে মোট ৫৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৮২৮ জন ভোটার রয়েছেন। তাঁরাই নির্ধারণ করতে চলেছে রাজ্যের মোট ৪১২ জন প্রার্থীর ভাগ্য। নির্বাচনের ফলাফল বেরোবে ৮ ডিসেম্বর।
সূত্রের খবর, মোট ভোটারের মধ্যে ২৮,৫৪,৯৪৫ জন পুরুষ এবং ২৭,৩৭,৮৪৫ জন মহিলা ভোটার। এ ছাড়া মোট ৩৮ জন তৃতীয় লিঙ্গও ভোট দেবেন। রাজ্যের ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭৫.৫৭ শতাংশ। এটি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৩.৫ শতাংশ ভোটের চেয়ে বেশি।
ভোট শুরুর কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় বলেন , “আজ হিমাচল প্রদেশের সব বিধানসভা আসনের ভোটের দিন। দেবভূমির সকল ভোটারদের অনুরোধ করছি গণতন্ত্রের এই উৎসবে পূর্ণ উদ্যমে অংশগ্রহণ করে ভোটের নতুন রেকর্ড গড়তে। এই উপলক্ষে প্রথমবার ভোট দেওয়া রাজ্যের সমস্ত যুবকদের জন্য আমার বিশেষ শুভেচ্ছা।”
অন্যদিকে, আরেকটি টুইটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুরও জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “রাজ্যের জনগণের কাছে আজ গণতন্ত্রের সর্ববৃহৎ উৎসব। আজ ভোটের দিন। হিমাচলের সকল ভোটারদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, গণতন্ত্রের এই মহান উৎসবে পূর্ণ উদ্যমে অংশগ্রহণ করুন। বিপুল সংখ্যক ভোট দিন, আপনার একটি ভোট একটি সমৃদ্ধ হিমাচল তৈরি করবে।”
উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশের প্রবণতা, এখনও পর্যন্ত প্রতি নির্বাচনেই সরকার পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ ক্ষমতাসীন দলকে পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়। তাই এবার নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি নতুন স্লোগান দিয়েছে-'রাজ না, রিবাজ বদলেঙ্গে।' অর্থাৎ সরকার নয়, বদলে দেবে পুরনো ইতিহাস। বর্তমানে রাজ্যে বিজেপির সরকার রয়েছে এবং জয়রাম ঠাকুর মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে ২০১২ সালে কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়েছিল।