ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাক্ষী থাকল মরোক্কো। শুক্রবার রাতে হঠাৎ ভূমিকম্প হয় মরোক্কোয়। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩০০ জনের। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের খবর অনুযায়ী, মারাক্কেশ নামের এলাকা থেকে ৪৪ মাইল দক্ষিণপশ্চিমে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল।
জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। এ ঘটনার প্রায় ১৯ মিনিট পর ফের আফটরশক হয়। সেসময় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৯। শুক্রবার রাত ১১টা ১১ নাগাদ ওই ভূমিকম্পে মূলত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মারাক্কেশ, ওয়ারজাজাটা, আজিলাল, টারোউডান্ট নামের এলাকাগুলি। প্রচুর বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে। ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা।
সরকারি ভাবে এখনও অবধি মৃত্যুর সংখ্যা স্পষ্ট না হলেও, অসমর্থিত সূত্রের খবর মৃত্যু ৩০০ ছাড়িয়েছে। গতকাল রাতে হঠাৎ এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গোটা শহরটা। এই ভূমিকম্পের ফলে ক্ষতি হয়েছে ওই শহর গুলির বহু সরকারি ক্ষেত্র ও বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলিও। এ ঘটনার পর উধারকার্যে নামানো হয়েছে সেনা। সে সঙ্গে উধারকার্যে নেমেছে এন্ডিয়ারএফের দল। সূত্রের খবর, এখনও উদ্ধার কার্য চালানো হচ্ছে। অসমর্থিত সূত্রেই খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও অবধি প্রায় ২০০০ জনের বেশি আহত। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সকাল সকাল ফের ভূমিকম্প (Earthquake)। এবারে কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) গুলমার্গ (Gulmarg)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.২। এরপরেও একাধিকবার আফটারশক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। দ্য ন্যাশনাল সেন্টার অফ সিসমোলজির তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
Earthquake of Magnitude:5.2, Occurred on 05-08-2023, 08:36:01 IST, Lat: 35.46 & Long: 73.32, Depth: 129 Km ,Location: 184km NNW of Gulmarg, Jammu and Kashmir, India for more information Download the BhooKamp App https://t.co/SQhNSDHu45 @Dr_Mishra1966 @KirenRijiju @moesgoi pic.twitter.com/dd4GrwMnnD
— National Center for Seismology (@NCS_Earthquake) August 5, 2023
সূত্রের খবর, শনিবার সকাল ৮ টা ৩৬ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে জম্মু-কাশ্মীরের গুলমার্গ। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূ-পৃষ্ট থেকে ১২৯ কিমি গভীরে। আর কম্পন অনুভূত হয়েছে গুলমার্গ থেকে প্রায় ১৮৪ কিমি দূরে। তবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগেই আন্দামান ও নিকোবরে ভূমিকম্প হয়েছে। এবারে কেঁপে উঠল গুলমার্গের মাটিও।
সূত্রের খবর, চলতি বছরে জুন মাস থেকে এখন অবধি ১২ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। ১০ জুলাই জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এর আগে ১৩ জুন ডোডায় কম্পন অনুভূত হয়। সেসময় একাধিক বাড়ি, বিল্ডিং, রাস্তায় ফাটল দেখা যায়।
এক ভূমিকম্পের (Earthquake) রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ভূমিকম্প আন্দামান নিকোবরে (Andaman And Nicobar)। গত পাঁচ দিনের মধ্যে আরও একবার কেঁপে উঠল আন্দামান। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, বুধবার ২ অগাস্ট রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রার কম্পনে কেঁপে ওঠে দ্বীপপুঞ্জ। সূত্রের খবর, এখনও অবধি প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, বুধবার সকাল ভোর ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে এদিন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি গভীরে। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অক্ষাংশ ৯.৩২ এবং দ্রাঘিমাংশ ৯৪.০৩।
আজ সকাল সকাল ভূমিকম্প হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা। একাধিকবার দ্বীপপুঞ্জে ভূমিকম্প হওয়ায় সুনামির আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। এর আগে গত শনিবারই আন্দামান ও নিকোবরে রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। যার উৎপত্তিস্থলও ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি গভীরে। চলতি বছরে দ্বীপপুঞ্জে এটি তৃতীয় ভূমিকম্প। এর আগে জানুয়ারি ও মার্চে সেখানে ভূমিকম্প হয়েছিল। তারপর গত শনিবারের পর এই বুধবার সকাল।
আবারও ভূমিকম্পে (Earthquake) কাঁপল রাজস্থান (Rajasthan), মণিপুর (Manipur)। শুক্রবার ভোররাতে রাজস্থানের জয়পুরে পরপর তিনটি ভূমিকম্প হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে ৩০ মিনিটের মধ্যে তিনটি কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ৩.৪ মাত্রার সর্বশেষ ভূমিকম্পটি হয় ভোররাত ৪.২৫ মিনিটে, ভূপৃষ্ট থেকে ১০ কিমি গভীরে।
এর আগে ভোর ৪.২২-এ ৩.১ মাত্রার ভূমিকম্পটি হয় ৫ কিমি গভীরে। ভোর রাত ৪.০৯ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি হয় ১০ কিমি গভীরে। ভোররাতে শহরের বিভিন্ন অংশে কম্পন অনুভূত হওয়ায় আতঙ্কিত মানুষজন ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কারও প্রাণহানি কিবা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে,৫টা ১ মিনিটে কেঁপে ওঠে দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের রাজ্য মণিপুর। উখুরুলের ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পন কেন্দ্র। কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩.৫। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একাধিক ভিডিও ও ছবি।
ফের কেঁপে উঠল (Earthquake) জম্মু ও কাশ্মীর। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৩ মিনিট নাগাদ শুরু হয় প্রথম কম্পন। তারপর থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চারবার কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। মঙ্গলবার মাঝরাতে ২ টো ২০ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। বুধবার সকালে ৭ টা ৫৬ মিনিট নাগাদ আবার কম্পন শুরু হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৫। এমনকি এর উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। তার আধ ঘণ্টা পরেই সকাল ৮টা ২৯ মিনিট নাগাদ আবার চতুর্থ ভূমিকম্প অনুভূত হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৩।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরপর অনুভূত হওয়া এই ভূকম্পন স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে মানুষের মনে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে খবর, চতুর্থবার অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের উৎসস্থল কিশতওয়ারের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই ভূমিকম্পের জেরে ফাটল দেখা দিয়েছে বহু ঘরবাড়িতে। এমনকি এই ঘটনায় জম্মু ও কাশ্মীরে নিহত না হলেও আহত হয়েছেন চার জন।
আচমকা কেঁপে উঠল রাজধানী (Delhi) সহ পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীর। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৩ মিনিট ৪২ সেকেণ্ডে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি সহ উত্তর ভারতের একাংশে। রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের (Earthquake) মাত্রা ছিল ৫.৪। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার বা ইএমএসসি-র (EMSC) তথ্য অনুসারে, জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলায় ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। এমনকি মঙ্গলবার ভোরে মায়ানমারেও ৩.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, শুধু ভারত নয়, এই কম্পন অনুভূত হয়েছে পাকিস্তান এবং চিনেও।
#earthquake pic.twitter.com/xbqy21Y4hl
— Zafar Virk (@zafarvirk9) June 13, 2023
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১০ তারিখেই ভূমিকম্পন অনুভূত হয়েছিল লাদাখ সহ জম্মু-কাশ্মীরে। লাদাখে তৈরি হওয়া সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৯। যা এবারে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের তুলনায় অনেক কম। তবে এই ভূমিকম্প নিয়ে নানান অভিজ্ঞতা ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যেম ভাগ করে নিয়েছেন বহু মানুষ। এমনকি তাঁরা এই ভূমিকম্প নিয়ে অনেক ভিডিও পোস্ট করেছেন সমাজমাধ্যেম।
ফের ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir)। রবিবার ছুটির দিনে জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি (Delhi) ও আশেপাশের এলাকাগুলি। রিখটার স্কেলে জম্মু ও কাশ্মীরে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৯। এখনও অবধি কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতি বা নিহতের খোঁজ মেলেনি।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, সকাল ১১টা ২৩ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী ছিল সেই কম্পন। সূত্রের খবর, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কিছু অংশও কেঁপেছে। চণ্ডীগড়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেবল দেশ নয়, আফগানিস্তানের ফৈজাবাদে রবিবার সকালে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটর স্কেলে ৫.২। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল আফগানিস্তানের ফৈজাবাদ থেকে ৭৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ২২০ কিলোমিটার গভীরে।
ফের ভূমিকম্প (Earthquake)। এবার ভূমিকম্প অনুভূত হল বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানীতে (Dhaka)। তবে এই কম্পনে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর মেলেনি। ঢাকায় অনুভূত হওয়া এই কম্পনের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৩। এই ভূমি কম্পনের উৎসস্থল ছিল দোহার উপজেলা। শুক্রবার ভোর ৫ টা নাগাদ ঢাকাতে একটি মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। গত এপ্রিল মাসেই ঢাকাতে ভূমিকম্প হয়েছিল। তবে সেইবার রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪।
সম্প্রতি ভারতেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। ভারতে কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি সহ মধ্যপ্রদেশে। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪। জানা গিয়েছিল, মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের ২৮ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে এই কম্পন অনুভূত হয়। এনসিএস আরও জানিয়েছিল, রিখটার স্কেলে একটি ভূমিকম্প মণিপুরের মইরাং-এ আঘাত হানে। সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে মইরাং-এ ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে সেখানে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৯।
ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) পর এবার নিউজিল্যান্ডে (New Zealand) ভয়াবহ ভূমিকম্প (Earthquake)। সোমবার ভোর ৬টা ১১ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলের কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। সঙ্গে সঙ্গে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। নিউজিল্যান্ডের কারডেক দ্বীপে এই তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে।
সোমবার ভোর ৬টা ১১ মিনিট নাগাদ অনুভূত হয় কম্পন। কারমাডেক দ্বীপের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎস্যস্থল। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সে কারণে নিউজিল্যান্ড সহ কারমাডিক দ্বীপের বাসিন্দাদের সমুদ্রের পাড়ে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে ইন্দোনেশিয়ায় তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.১। আতঙ্কিত হয়েছিলেন বাসিন্দারা। যদিও হতাহতের তেমন খবর পাওয়া যায়নি। সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি। তবে ভূমিকম্পের তীব্রতায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। ঠিক তার পরের দিন আবার নিউজিল্যান্ডে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প অনুভূত হল।
এদিকে, ভারতের মেঘালয়ের দক্ষিণ গারো পাহাড়ে অনুভূত হয়েছে মৃদু কম্পন। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৫। সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ অনুভূত হয় কম্পন। গত কয়েক মাস ধরেই এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে ভূমিকম্প হয়ে চলেছে।
ইন্দোনেশিয়ার পর এবারে ফের জোরালো কম্পনে কেঁপে উঠল নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৭.২। ভারতীয় সময় অনুসারে, সোমবার সকাল ৬টা ১১ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হয়। এর পাশাপাশি ভূমিকম্পের ফলে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা।
Earthquake of Magnitude:7.2, Occurred on 24-04-2023, 06:11:52 IST, Lat: -29.95 & Long: -178.02, Depth: 10 Km ,Location: Kermadec Islands, New Zealand for more information Download the BhooKamp App https://t.co/QrBjJKkycR @ndmaindia @Indiametdept @Dr_Mishra1966 @DDNewslive pic.twitter.com/UlboEhMhEf
— National Center for Seismology (@NCS_Earthquake) April 24, 2023
ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের কারমাডেক দ্বীপপুঞ্জে এই তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। কারমাডেক দ্বীপের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। তবে এই ভূমিকম্পের ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা বা হতাহতের সংখ্যা কত ,তা এখনও জানা যায়নি। তীব্র মাত্রায় কম্পনের ফলে এলাকায় ইতিমধ্যেই সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবারই ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.১। আর সোমবার ফের ভূমিকম্প হল নিউজিল্যান্ডে। সেকারণে নিউজিল্যান্ড সহ কারমাডেক দ্বীপের বাসিন্দাদের সমুদ্রের পাড়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সোমবার ফের ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল অসম (Assam)। এই নিয়ে পাঁচদিনে তিনবার ভূমিকম্পে কাঁপল অসম। এবার ভূমিকম্পস্থল অসমের রাজধানী গুয়াহাটি (Guwahati) ও সংলগ্ন অঞ্চল। সোমবার দুপুরে ভূমিকম্প অনুভূত হয় অসমের গুয়াহাটিতে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩.৭। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভূটানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। যদিও কম্পনের তীব্রতা খুব বেশি ছিল না। ফলে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও খবর নেই। বারবার ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল কামরূপ জেলায় ভূ-পৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। যদিও এই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও খবর নেই। প্রসঙ্গত, এর আগে রবিবার বিকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল অসমের নওগাঁও। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪। তার তিনদিন আগে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল গুয়াহাটি। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৫। মৃদু হলেও চারদিনের মধ্যে পরপর তিনবার ভূমিকম্পের ঘটনায় ক্রমশ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অসমে।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় ৩টে বেজে ২৫ মিনিটে জাভার উত্তর উপকূলে এই ভূমিকম্প হয়। উৎস ছিল তুবান (Tuban) শহর থেকে ৯৬ কিলোমিটার উত্তরে, সাগরের নীচে। সমুদ্রের নীচে ভূমিকম্প হলে সাধারণত সুনামির আশঙ্কা থাকে।
তবে, ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জানিয়েছে, সমুদ্রের নীচে প্রায় ৫৯৪ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎস। তাই এই ক্ষেত্রে সুনামি আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। সেই দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার মুখপাত্র এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সুরাবায়া, তুবান, ডেনপাসার এবং সেমারাং অঞ্চলে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ওই মুখপাত্র বলেন, “ভূমিকম্পটি খুব গভীরে সৃষ্ট হওয়ায় এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। মনে হয় না বড়মাপের কোনও ক্ষতি হবে। তবে আমরা এখনও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।”
তীব্র কম্পনে কেঁপে উঠল দিল্লি (Delhi) সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে শক্তিশালী কম্পন (Earthquake) অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল মূলত আফগানিস্তান হলেও, টানা ২ মিনিট ধরে কেঁপেছে উত্তর ভারতের একাধিক শহর। খবর অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। আতঙ্কে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন বহু মানুষ। রাত ১০টা নাগাদ এই ভূমিকম্পের জেরে রাজধানী-সহ বহু শহরের রাস্তায় ভিড় জমে গিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ধরে তিন দফায় কম্পন অনুভূত হয়।
কম্পন অনুভূত হয়েছে নয়ডা, গাজিয়াবাদ, জয়পুর এবং কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকায়। ভূমিকম্পের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল আফগানিস্তান ও তার উত্তর-পশ্চিমাংশ। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৭ হতে পারে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে। আফগানিস্তানের পাশাপাশি পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরঘিজস্তান এবং চিনের শিনজিয়াংয়েও জোরাল ভূমিকম্প হয় বলেই খবর।
ভয়াবহ ভূমিকম্প (Earthquake)। ভূমিকম্পের ফলে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু (death) হয়, আহত প্রায় ৩৮০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এক সংবাদ সংস্থা। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, শনিবার ভারতীয় সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিট নাগাদ ইকুয়েডরে (Ecuador) ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮।
সূত্রের খবর, ইকুয়েডরের ভূমিকম্পে ৪৪টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং ৯০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আহতদের উদ্ধারের কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, শনিবার ইকুয়েডরে ভূমিকম্প হয়। আচমকাই কম্পনে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ে। এমনকি স্কুল, কলেজ, চিকিৎসা কেন্দ্রেও ফাটলের সৃষ্টি হয়। এমনকি ইকুয়েডরের পাশাপাশি কেঁপে উঠেছে পেরুর উত্তরাংশও।
আমেরিকান জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, ইকুয়েডরের বালাও শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মাটি থেকে ৬৬.৪ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন হয় এই ভূমিকম্প। উপকূলবর্তী এলাকাতেই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে। তবে এর ফলে এখনও পর্যন্ত সুনামির কোনও সম্ভাবনা তৈরি হয়নি, দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তবে এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলেরমো লাসো টুইট করেছেন, এই দুর্যোগে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের যথাসম্ভব সাহায্য করবে সরকার।
ফের ভূমিকম্প (Earthquake)। এবার কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানে (Japan)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। শনিবার গভীর রাতে কেঁপে ওঠে জাপানের হোক্কাইড শহর। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।
এখনও পর্যন্ত তেমন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যদিও ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার মধ্যেই পড়ে জাপান। এর থেকেও বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়ে থাকে এখানে। সেই সঙ্গে সুনামিও হতে দেখা গিয়েছে। তবে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প নেহাত কম নয়। হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি কিছুদিন ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল চিন-আফগানিস্তান তাজিকিস্তান সীমান্ত। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্প কেঁপে ওঠে তুর্কি ও সিরিয়া। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। শক্তিশালী সেই ভূমিকম্পে কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে দুই দেশ। ভূমিকম্পের জেরে চোখের নিমেষে ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি। গোটা বিশ্বজুড়ে এভাবে ভূমিকম্পের ফলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে সকলের মধ্যে।