বর্ষবরণের (New Year 2023) রাতে সকলে মেতে উঠেছিল আনন্দে। সেই সময়ই হঠাৎ কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। কম্পনের তীব্রতা সামান্য হলেও, সাতসকালে ভূমিকম্পের খবরে আতঙ্ক ছড়ায়। পাশাপাশি একই দিনে হরিয়ানায়ওভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হয়। যদিও ১ জানুয়ারির মধ্য রাতের এই ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৮।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল হরিয়ানার ঝাজ্জর। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল বলে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি এক বিবৃতিতে বলেছে। রাত ১টা ১৯ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এই কম্পন।
এদিকে, ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই টুইটারে মিমের ছড়াছড়ি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী কেউ লিখেছেন, দিল্লিবাসী নববর্ষের উন্মাদনায় এতটাই মেতে উঠেছেন যে ভূমিকম্প ঘটিয়ে দিল। কেউ আবার লিখেছেন, বর্ষবর্ষণের রাতেই ভূমিকম্প দিয়ে কাঁপিয়ে দিল ২০২৩। অনেকেই বলছেন, ২০২৩ আসতে না আসতেই তার প্রভাব টের পাওয়া যাচ্ছে। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আমি কি দিল্লিতে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভব করেছি?
উল্লেখ্য, বছরের শেষ দিনে শনিবার ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে হিমাচল প্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মান্ডি জেলার সুন্দরনগরের কাছে নালুতে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৮।
ফের বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal) ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হল। এনসিএসের (NCS) রিপোর্ট অনুযায়ী এই খবর প্রকাশ্যে আসে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.১। সোমবার সকাল ৮.৩২ মিনিট নাগাদ বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ভূমিকম্প হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার নীচে এই কম্পন অনুভূত হয় বলেও জানিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি।
এনসিএস সূত্রে আরও খবর, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল যথাক্রমে পুরী (পূর্ব) এবং ভুবনেশ্বর (পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব) থেকে যথাক্রমে ৪২১ কিলোমিটার এবং ৪৩৪ কিলোমিটার দূরে। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্পের জেরে সকাল ৯টা ০৫ মিনিট নাগাদ ঢাকা-সহ বাংলাদেশের একাধিক এলাকাতে কম্পন অনুভূত হয়।
বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ঢাকার ৫২৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং চট্টগ্রাম থেকে ৩৯৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। যদিও ভূমিকম্পের ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাতেও সব স্বাভাবিক রয়েছে।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। ভারতীয় সময় সোমবার সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে প্রধান দ্বীপ জাভা (Java)। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিকম্পে (Earthquake)। আহত হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ। কয়েক সেকেন্ডের জন্য কম্পন অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরতায় পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিয়ানজুর অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। কম্পনের কারণে বহু মানুষ ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন। খালি করে দেওয়া হয় অফিস। ভূমিকম্পে কয়েকশো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া কয়েকটি স্কুলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘরবাড়ি ভেঙে চাপা পড়ে আহত হওয়া সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুধু জাভা নয়, রাজধানী জাকার্তাতেও কম্পণ অনুভূত হয়েছে। প্রথমে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে সেখানকার সরকার৷ কিন্তু তারপর থেকে মৃত্যুর খবর আরও বাড়তে থাকে৷
ভূমিকম্পের জেরে প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়তে শুরু করে৷ উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে বাড়ি চাপা পড়ে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল দিল্লি-এনসিআর (Delhi-NCR)। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩। নেপাল(Nepal) সীমান্তে উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের কাছে হিমালয় অঞ্চল এর উৎসস্থল। ৯ নভেম্বর, গভীর রাত ১:৫৭ মিনিটে দিল্লি, নয়ডা, গাজিয়াবাদ এবং উত্তর ভারতজুড়ে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছিল।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানিয়েছে যে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপাল, যা উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে। নয়ডা, গাজিয়াবাদ এবং গুরুগ্রাম সহ দিল্লি এবং আশেপাশের শহরগুলিতে এমনকি লখনউতেও শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের হিমালয় অঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী নেপালে গত কয়েকদিন ধরে নিম্ন মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে।
গভীর রাতে হঠাৎ এই কম্পনের ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন মানুষজন। তবে দিল্লি-এনসিআর-এ ভূমিকম্পের কারণে কোনও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি বা মানুষের প্রাণহানির খবর এখনও অবধি পাওয়া যায়নি। কিন্তু নেপালে ভুমিকম্পের জেরে ৬ জন নিহত হয়েছে এবং জানা যাচ্ছে ৭ জন আহত হয়েছেন।
জোড়া ভূমিকম্পে (earthquake) বৃহস্পতিবার কেঁপে উঠেছিল ভূস্বর্গ। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের শুক্রবার সকাল সাড়ে ৩টের দিকে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) ৩.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে এখনও অবধি কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির (no damage) খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার অব সিসমোলজির রিপোর্ট অনুসারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জম্মু কাটরা এলাকার ৬২ কিলোমিটার পূর্ব- উত্তর পূর্বে। ভূপৃষ্ট থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল ছিল।
অন্যদিকে, একই দিনে মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরের কাছে ৩.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এই খবর জানায়। মহারাষ্ট্রেও ভূমিকম্পের কারণে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
জোড়া ভূমিকম্পে (earthquake) কেঁপে উঠল জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir)। বুধবার গভীর রাতে ৪.১ ও ৩.২ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে ভূস্বর্গে। তবে এখনও অবধি কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির (no damage) খবর পাওয়া যায়নি।
ন্যাশনাল সেন্টার অব সিসমোলজির রিপোর্ট অনুসারে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জম্মু কাটরা এলাকার ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। ভূপৃষ্ট থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল ছিল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ছয়টি ভূমিকম্পে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেঁপে উঠলেও সেখানে কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির হয়নি বলেই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরা, ডোডা, উধমপুর এবং কিশতওয়ার জেলায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বারবার ভূমিকম্প হওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।