শ্রমজীবী বাবার কাছে নতুন জুতো কেনার বায়না ছেলের। জুতো কিনে দিতে না পারায় বাবার উপর অভিমান করে আত্মঘাতী হল ১৭ বছরের এক কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার ফুলিয়া চাঁপাতলা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজমিস্ত্রির কাজ করে কোনও রকমভাবে সংসার চালাতেন রনজিত মণ্ডল। তার মাঝে হঠাৎ ছেলের জুতো কেনার বায়না। আর সেই বায়না রাখতে পারলেন না বাবা। তাই বাবার প্রতি অভিমান করে বাড়ির থেকে বেরিয়ে যায় ১৭ বছরের ওই কিশোর। এরপর ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় কিশোরের মৃতদেহ। যদিও পরিবারের দাবি, গতকাল অর্থাৎ শনিবার ওই কিশোর তার বাবার কাছে বায়না করেছিল একজোড়া জুতো কিনে দেয়ার জন্য। সেই জুতো কিনে না দেওয়ায় আত্মঘাতী হয় ওই কিশোর।
এরপর কিশোরের ঝুলন্ত মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। শনিবার মৃতদেহটির ময়না তদন্তের জন্য রানাঘাট পুলিস মর্গে পাঠানো হয়। তবে কিশোরের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
ফাইভ জির যুগে ফের কুসংস্কারের বলি। তান্ত্রিক সন্দেহে 'খুন'। মৃত ব্যক্তির নাম জয়দেব বর্মন। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের ভগবানপুর গ্রামে। ইতিমধ্য়ে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম জয়দেব বর্মন (৬০)। অভিযোগ, গ্রামের কেউ অসুস্থ হলেই তাঁকে দায়ী করা হত।
অভিযোগ, ভগবানপুরের গ্রামবাসীরা সন্দেহ করেন যে জয়দেব বর্মন তন্ত্র সাধনা করেন। সেই সন্দেহের বসে একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছে তাঁকে। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে সালিশি সভা করে মল মূত্র খাইয়ে মারধর করাও হয়েছে। এরপর গতকাল, বৃহস্পতিবার গাছ থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্য়ক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ। খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। এই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গোটা পরিবার। বর্তমান যুগে এই ধরণের মধ্যযুগের কু সংস্কার কীভাবে তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। প্রশ্নের মুখে পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা।
ভরা বাজারে ব্য়বসায়ীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ তুফানগঞ্জ-১ নং ব্লকের মারুগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মারুগঞ্জ বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়বসায়ীর নাম সজল সাহা (৩৫)। যদিও পুলিস আসার আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
প্রত্য়ক্ষদর্শী সূত্রে খবর, মারুগঞ্জ বাজারের ওপরেই মুদিখানার দোকান ব্য়বসায়ী সজলের। প্রতিদিনের মতোই রাতে কাজ সেরে দোকানের শাটার বন্ধ করছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই সময় আচমকা এক যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর মাথায় ও বুকে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের সামনেই লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে।
এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। গোটা ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তে খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
রেললাইনে বসে মদ ও গাঁজা খাওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই যুবকের। বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ফুলিয়া প্রফুল্ল নগরে। যদিও মৃত ওই দুই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রানাঘাট জিআরপি গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন ভোরে প্রফুল্ল নগর রেল গেটের কাছে রেল লাইনে বসে মদ ও গাঁজার নেশা করছিল ওই দুই যুবক। অভিযোগ, ৪ টে ৫৪ ডাউন শান্তিপুর লোকাল ট্রেনের ধাক্কা লাগে দুই যুবকের। চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতল ও গাঁজার প্যাকেট উদ্ধার করেছে পুলিস।
পুলিস ও স্থানীয়দের অনুমান, রেল লাইনে বসে নেশা করার জন্যই নেশার ঘোরে ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল না করার জন্যই এই দুর্ঘটনা। মৃত যুবকদের পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট জিআরপি।
কলকাতার ওয়াটগঞ্জে প্লাস্টিকের ব্যাগে মহিলার ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় মৃতার ভাসুরকে গ্রেফতার করল পুলিস। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা ৪৫ নাগাদ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম দুর্গা সরখেল। ধৃতের নাম নীলাঞ্জন সরখেল। তবে মৃতার স্বামীর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। এদিন ধৃত নীলাঞ্জন সরখেলকে আলিপুর পুলিস আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, ২০০৭ সালে বিয়ে হয় দুর্গার সঙ্গে ধনী সরখেলের। তাঁদের ১৬ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। দুর্গার স্বামী বেশ কয়েক বছর ধরে রিহ্যাবে থাকেন। গত রবিবার সকালবেলা ফিরে এসে বউকে মারধর করে। দুর্গার দেহ কাটাকাটি এবং প্লাস্টিকে ভরে ফেলে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল তাঁর ভাসুর নীলাঞ্জন সরখেল ও ননদের। আপাতত ননদকে ওয়ার্ডগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল দুর্গা সরখেল। বিভিন্ন খবরের কাগজ এবং সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর দেখে দুর্গার সরখেলের বাপের বাড়ির লোকজনেরা যোগাযোগ করেন ওয়েস্ট পোর্ট থানায়।
পুলিসের অনুমান, একাধিক ব্যক্তি এই খুনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। মহিলার বিরুদ্ধে পারিবারিক এবং আর্থিক কিছু বিষয়ে প্রায়শই বিরোধ ছিল। দুর্গার পেটে পাওয়া গিয়েছে অ্যালকোহলের নমুনা। প্রশ্ন উঠছে অ্যালকোহল দিয়ে বেহুশ করে খুনের পরিকল্পনা করেছিল স্বামী? বৃহস্পতিবার দুর্গার মৃতদেহ শনাক্ত করেন বাপের বাড়ির সদস্যরা।
ইদের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে ধারালো অস্ত্রের কোপে মৃত্য়ু হল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর। ঘটনায় আহত আরও একজন। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়ায়। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম জাহিদুল শেখ (৩৮)। আর আহত ব্য়ক্তি হলেন পঞ্চায়েত মেম্বারের দেওর আব্দুর শেখ। বর্তমানে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে আহত অবস্থায় ভর্তি আছেন তিনি। ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠেছে কংগ্রেস এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধাবার রাতে ইদের বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন হরনগর তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী জাহিদুল শেখ এবং দেওর আব্দুর শেখ। সেই সময় বোমা ছুঁড়ে তাঁদের পথ আটকায় কয়েকজন দুষ্কৃতীর দল। এরপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় জাহিদুল শেখের। ইতিমধ্য়ে এই ঘটনায় নাকাশিপাড়া থানার পুলিস আটক করেছে দুই জনকে।
গার্ডেনরিচকাণ্ডে ঘা এখনও দগদগে রাজ্যবাসীর মনে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়া বেশ কিছু ব্যক্তি। গরিবদের মাথার ছাদের ওপর বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখনও আসছে মৃত্যুর খবর। মঙ্গলবার ফের মৃত্যুর খবর এল গার্ডেনরিচকাণ্ডে আহত এক যুবকের। এসএসকেএম হাসপাতালে জখম অবস্থায় ভর্তি ছিলেন তিনজন। যাঁদের মধ্যে একজন বছর ২৩-এর মইনুল সর্দার। মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুসরাত জাহান এবং মহম্মদ সহিলউদ্দিন নামে আরও দুজন। অন্যদিকে গার্ডেনরিচ সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালেও ভর্তি রয়েছেন আরও ৬ জন।
ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু নয় মাসের শিশু কন্যার। মঙ্গলবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচলের খরবা স্ট্যান্ডে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশু কন্যাটির নাম আনিসা পারভিন। বয়স মাত্র নয় মাস। এদিন সকালে শিশুটির মা সাগরি খাতুন চাঁচলে নিয়ে আসেন ডাক্তারের কাছে। তারপর ডাক্তার দেখিয়ে মেয়েকে নিয়ে অটোয় করে বাড়ি ফিরছিলেন। ঠিক সেই সময় চাঁচল আশাপুর রাজ্য সড়কের খরবা স্ট্যান্ডে একটি স্কুল পড়ুয়াকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে যায় অটোটি। এরফলে দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই নয় মাসের শিশু কন্যাটির। শিশুর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের পরিবার থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা।
মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়। আর তাতেই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। তছনছ হয়ে গেল বহু মানুষের সাজানো ঘর-বাড়ি। প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন। প্রিয়জনকে হারিয়ে সর্বহারা হয়েছেন জলাপাইগুড়ির এক অংশের মানুষ। ঝড়ে উড়েছে চাল, ভেঙেছে বহু ঘর। এখনও চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ।
রবিবার রাতে খবর পেয়ে বিশেষ বিমানে উত্তরবঙ্গে পৌঁছন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। রাতেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সকালে ঝড়ে পরিস্থিতি দেখতে জলপাইগুড়ি যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
সূত্রের খবর, রবিবার ঝড়ের পর ১৬৬ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। যদিও অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্য়ে দুজন শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পারিবারিক বিবাদের জেরে ভাইয়ের হাতে খুন হল দাদা ও বৌদি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি ব্লকের অন্তর্গত ক্ষেত্র বাড়ি বালিয়াদিঘী এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত দুইজন হলেন দীনবন্ধু পোদ্দার ও কাজল পোদ্দার। মৃতদেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাই দীনবন্ধু পোদ্দার ও জগবন্ধু পোদ্দারের মধ্যে বচসা চলছিল। রবিবার সেই বিবাদ বিশাল আকার ধারণ করে। এরপর ছোট ভাই জগবন্ধু তাঁর দাদা দীনবন্ধুকে শাবল দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তাঁর।
অভিযোগ, দীনবন্ধু পোদ্দারের স্ত্রী কাজল পোদ্দার তিনি ঝামেলায় মীমাংসা করতে গেলে তাঁকেও শাবল দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর কাজল দেবীকে গুরুতর আহত অবস্থায় শিলিগুড়ি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় করনদিঘী থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। অভিযুক্ত জগবন্ধু পোদ্দারকে পুলিস গ্রেফতার করেছে। যদিও অভিযুক্ত ভাইকে গ্রেফতার করছে পুলিস। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
কাজ নেই গ্রামে। এদিকে, জর্জরিত দেনায়। দু'পয়সা বেশি রোজগার, ঘর-গেরস্থালি মেরামতের জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন বনগাঁর পরিযায়ী শ্রমিক কৃষ্ণপদ হালদার। মালয়েশিয়া থেকে রবিবার কৃষ্ণপদ-র নিথর দেহ ফিরল ট্যাংরার গ্রামের বাড়িতে। পরিবারের সঙ্গে কান্নায় ভাঙল গোটা গ্রাম।
পরিবার সূত্রে খবর, পাম বাগানে কাজ নিয়ে মাস দেড়েক আগে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন কৃষ্ণপদ। চলতি মাসের ২২ তারিখ তাঁর মৃত্যু সংবাদ এসে পৌঁছয় বাড়িতে। জানতে পারেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪২ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।
বাড়িতে স্ত্রী ও ২ ছেলে রয়েছে। একজন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। অন্যজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। স্বামীকে হারিয়ে আকুল পাথারে স্ত্রী। ভেবে পাচ্ছেন না এরপর কীভাবে কী হবে? কেঁদেই চলেছেন ক্রমাগত।
এই অবস্থায় মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েত। বিদেশে কাজে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের কর্মসংস্থানের অবস্থা নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
এমন ঘটনায় রাজ্যের কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে যে প্রশ্ন উঠবে তা বলাই বাহুল্য। রাজ্যে কবে কাজের সুযোগ তৈরি হবে? রোজগারের আশায় আর কতজনকে এই ভাবে বাইরে গিয়ে অকাল মৃত্যুর মুখে পড়তে হবে, উঠছে প্রশ্ন।
মহেশতলা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার গেট সাফা রায়পুরে বৌমার হাতে শাশুড়ি খুন। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, শাশুড়ি যমুনা নস্করও বৌমা ভারতী নস্করের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা লেগেই থাকত। শনিবার রাতেও ঝামেলা হয় শাশুড়ি ও বৌমার মধ্যে। বাড়িতে ছেলে, বৌমার সঙ্গেই থাকতেন যমুনা নস্কর। মৃতের ছেলে জানান, বাড়ি এসে তিনি দেখেন মা মেঝেতে পড়ে আছে। দেখার পরই আত্মীয়দের ডেকে আনেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার সকালবেলায় বৌমা ভারতী নস্কর মহেশতলা জিনজিরা ফাঁড়িতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। পুলিসকে সে জানায় সে তার শাশুড়িকে হত্যা করেছে। তারপরেই মহেশতলা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে ৭৭ বছরের বৃদ্ধা যমুনা নস্করের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিএসপি কামরুদ জামাল মোল্লা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলা থানার পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছে বৌমা ভারতী নস্করকে।
গার্ডেনরিচকাণ্ডের পর ফের শহর কলকাতায় ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শনিবার বিরাটির শরৎ কলোনীতে নির্মীয়মান আবাসন ভেঙে মৃত্য়ু হল এক মহিলার। ঘটনায় আজ, রবিবার তিন প্রোমোটার সহ কন্টাক্টার ও দুজন লেবার ইনচার্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী। ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থল ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটিতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্মীয়মান বাড়ির ছাদ আচমকা ভেঙে পড়ে। আর সেই সময় বাড়ির থেকে বেরিয়ে ছিলেন কেয়া শর্মা চৌধুরী। তখনই সেই ভেঙে যাওয়া ছাদের ইট মাথায় পড়ে মৃত্য়ু হয় ওই মহিলার।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগেই গার্ডেনরিচে বহুতল নির্মীয়মান আবাসন ভেঙে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। সর্বহারা হয়েছেন আরও অনেকে। সেই ঘটনার পরই আবারও কলকাতার বুকে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা।
পরিত্যক্ত খাদান থেকে বেআইনি ভাবে কয়লা কাটার সময় ধস। মৃত্যু যুবকের। নাম কার্তিক বাউরি। বাঁকুড়ার বড়জোড়ার ঘটনা। শনিবার বাগুলি এলাকার পরিত্যক্ত নর্থ ব্লক খোলামুখ খনিতে কয়লা কাটতে নামেন বছর ৩৬-র যুবক কার্তিক বাউরি। সেই সময় আচমকাই ধস নামে।
সূত্রের খবর, এলাকার আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা অনেক বাসিন্দা বিকল্প উপার্জনের জন্য বেছে নেন পরিত্যক্ত খনিকে। বেআইনি ভাবে কয়লা তোলেন। নিয়ম , খনি পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়ার পর সেটি ঘিরে দিতে হয়। প্রবেশ রুখতে পরিত্যক্ত খনির মুখে বসাতে হয় গাছ। রাখতে হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থাও। এর মধ্যে কোনওটাই কি ছিল বড়জোড়ার কয়লা খনিতে?
একটা মৃত্যু অসংখ্য প্রশ্ন তোলে। সেই সব প্রশ্ন নিয়ে চলে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কিন্তু যে প্রাণ ঝরে যায়, তা কি আর ফিরবে কোনওদিন? কোনওদিন কি হবে সমস্যার সমাধান।
কারখানার ভিতের লরি চাপা পড়ে মৃত্য়ু হল এক শ্রমিকের। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুর্গাপুরের বামুনাড়া শিল্পতালুকে। ঘটনাকে ঘিরে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে মৃতদেহ লোপাটের অভিযোগ। দেহ আটকে রেখে মৃত শ্রমিকের পরিচিতরা ঘাতক লরিতে ভাঙচুর চালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কাঁকসা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম সুজয় বিশ্বাস (২৭)। বাড়ি দুর্গাপুরের গোপালপুরের উত্তরপাড়ার সন্ন্যাসীতলায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের বামুনাড়া শিল্পতালুকে এক বেসরকারি ইস্পাত কারখানার ভিতরে এক শ্রমিক বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেই সময় একটি পণ্যবাহী লরি চাপা দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি কারখানায় ছুটে আসে স্থানীয়রা। অভিযোগ সেই সময় লাল রঙের একটি স্করপিও গাড়ি করে মৃত শ্রমিকের মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা করছিল কারখানার কর্তৃপক্ষ। সেটা দেখতে পাওয়া মাত্রই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। এরপরই শুরু হয় ঘাতক লরিতে ভাঙচুর, এমনকি ভাঙচুর করা হয় লাল রঙের স্করপিও গাড়িটিও। এরপর উত্তেজিত জনতা শ্রমিকের মৃতদেহটি কারখানার ভিতর রেখে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেয়।
যদিও কারখানার কর্তৃপক্ষ তাঁর ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রায় ২৪ ঘন্টা পর ক্ষতিপূরণের আশ্বাস পাওয়ায় শ্রমিকের মৃতদেহটি তোলা হয় কারখানার ভিতর থেকে। এরপর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়।