ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ বৃদ্ধকে। ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ব্য়ক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর হাজরাতলা এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল (৬০)। ধৃতের নাম পরিতোষ দাস।
পুলিস সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাত ১১ নাগাদ অভিযুক্ত পরিতোষ বিশ্বাসের বাড়ি লুকিয়ে ঢোকেন রবীন্দ্রনাথ। অভিযোগ, বাড়ি ঢুকে উঁকি মারছিলেন সে। তখন তাঁকে দেখতে পেয়ে কুড়ুল দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারতে শুরু করে পরিতোষ। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর মাথায় ও মুখে একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিস এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত পরিতোষের স্ত্রী কাকলী দাস বলেন, রবীন্দ্রনাথের তাঁর দিকে দীর্ঘদিনের কু'নজর ছিল। যা লক্ষ করেছিল তাঁর স্বামী পরিতোষ। কাকলির দাবি, এরপর রাতে বাড়ি ঢুকে রবীন্দ্রনাথ উঁকি মারতেই তাঁর উপর কুড়ুল নিয়ে হামলা চালায় তাঁর স্বামী পরিতোষ।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, পুরোনো শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথকে। মৃতের স্ত্রী সবিতা মণ্ডল বলেন, তাঁর স্বামী তাঁদের সঙ্গে থাকতেন না। তবে কী কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে সেই সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। ইতিমধ্য়ে পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
দুই ট্রাক চালকের মধ্য়ে বচসার জেরে প্রাণ গেল এক চালকের। অভিযোগ, ঝামেলা চলাকালীন স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খুন করা হয় ট্রাক চালককে। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার মাধাইপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত চালকের নাম মইনুদ্দিন মণ্ডল (৪১)। নদীয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, দু'জন চালকই একই মালিকের গাড়ি চালাত। সোমবার রাতে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার মাধাইপুর এলাকায় ওই দুই ট্রাক চালকের মধ্যে বচসা এবং হাতাহাতি শুরু হয়। তখনই মইনুদ্দিন মণ্ডল নামের ওই ট্রাক চালককে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় আরেক চালক। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়ে অভিযুক্ত চালকের সন্ধানেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। তবে কী কারণে বচসা হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি।
বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। সোমবার সকালে ওই দম্পতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর পুলিসে খবর দেওয়া হলে জয়পুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম বিশাখা দে ও গৌতম দে। বাড়ি ওন্দা থানা এলাকায়।
পুলিস সূত্রে খবর, জয়পুরের জঙ্গলে দম্পতির মৃতদেহ যেখানে পড়েছিল তার পাশেই পড়ে ছিল ঠান্ডা পানীয়ের বোতল। পাশেই পড়ে ছিল বিষের বোতল। স্বাভাবিক ভাবেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খেয়েই ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিন সকালে ওন্দা থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ দুটি শনাক্ত করেন দম্পতির ছেলে অপূর্ব দে। অপূর্ব দে র দাবি, রবিবার সামান্য পারিবারিক অশান্তি হয়। এরপরই বাবা ও মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। অনেক জায়গায় খোঁজ চালিয়েও তাঁদের খোঁজ মেলেনি। পরে থানার দ্বারস্থ হয়ে পুলিসে নিখোঁজ ডায়েরিও করেন অপূর্ব দে।
হাওড়ার দাসনগরে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। সোমবার ভোর রাতে দাসনগর থানার অন্তর্গত বিরাজময়ী রোডে রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিস এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দাসনগর থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রাজকুমার রাম (৫৫)। তিনি দাসনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পেশায় ট্রলি ভ্যান চালক। ক্যাটারিং-এর বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ভ্যানে চাপিয়ে নিয়ে যেতেন। রবিবার রাতে জন্মদিন উপলক্ষে একটি বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানের পর সেখান থেকে বাসনপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যান নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর সোমবার ভোর রাতে স্থানীয়দের থেকে তাঁর স্ত্রী খবর পান যে রাজকুমার সিড়ির পাশে পড়ে রয়েছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর স্ত্রী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দাসনগর থানার পুলিস। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে পুলিস উদ্ধার করে হাওড়া হাসপতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা নাকি এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিস জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল একসঙ্গে দুটি শিশুর। মৃত দুজন সম্পর্কে বোন। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার চরাবিদ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নম্বর হেঁতালখালি গ্রামে। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিস শিশু দুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে খেলা করছিল ওই দুটি শিশু। বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন । পুকুর পাড়ে দুই বোনের জুতো দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। পুকুরে নেমে খুঁজতেই ওই দুই শিশুর দেহই মেলে। এরপর তড়িঘড়ি তাদেরকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিস।
কসবায় বহুতল থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্য়ু হল এক ছাত্রীর। রবিবার আবাসনের ২৫ তলা থেকে ঝাঁপ দেন তরুনী। বছর ১৯-এর তামান্না হিরাওয়াত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। শনিবার প্রথমে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টার পর রবিবার শেষমেশ ঝাঁপ দেন বলে পুলিস সূত্রে খবর।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তামান্না চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্সির প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। কসবায় পিকনিক গার্ডেনের এক বহুতলের ২৫ তলায় থাকতেন বছর ১৯-এর তামান্না হিরাওয়াত। বাবা, মা, ভাইও থাকেন সঙ্গে। রবিবার ভোরবেলা সজোরে আওয়াজ। তারপরেই নীচে পড়ে থাকতে দেখা যায় তামান্না হিরাওয়াতের রক্তাক্ত দেহ। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই তামান্না। শনিবার প্রথমে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এরপর রবিবার ভোর ৩.৪৫ মিনিট নাগাদ ২৫ তলা থেকে পড়ে যান। তবে তামান্নার এই মৃত্যুর নেপথ্যে আসল কারণ কী? সেই সবটাই তামান্নার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, খতিয়ে দেখছে পুলিস।
বেঙ্গল কেমিক্যাল গেটের সামনে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল আহত দুই শিশুর মধ্যে এক শিশুর। গতকাল, শনিবার ওই শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়ার পাশাপাশি বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার কাঁকুড়গাছির দিক থেকে বাইপাসে দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে একটি গাড়ি। রাস্তার মধ্যে উল্টে গিয়ে পাল্টি খায় গাড়িটি। সেই সময়ই আচমকা গাড়িটির ধাক্কায় গুরুতরভাব জখম হয় শিশু দুটি। ধাক্কা মারার পরই পালিয়ে যায় ড্রাইভার। স্থানীয়রা গাড়ি সরিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর তারপরই নিরীহ বাচ্চা দুটির এই শোচনীয় পরিণতিতে এলাকার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিস এলে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তাঁরা।
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দিনই প্রাণ গেল এক সিপিআইএম কর্মীর। শুক্রবার নিজের দলের নির্বাচনী বুথ অফিসেই মৃত্য়ুর মুখে ঢলে পড়লেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকের বিনয় শা মোড় এলাকায় ১৫/১২৪ নং বুথের বাইরে।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই দলীয় কর্মীর নাম প্রদীপ দাস(৫৮)। এদিন ভোট দেওয়ার উদ্দেশ্য়ে সিপিআইএমের অস্থায়ী ক্যাম্পে বসে ছিলেন তিনি। তখন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালের মধ্য়েই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কর্মীরা। তবে কীভাবে মৃত্যু ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিপিআইএম নেতারা জানিয়েছেন, দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মীর মৃত্যু ঘটেছে। যা অত্যন্ত শোকের।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফের আসানসোলের কুলটিতে চলল গুলি। অফিসে ঢুকে গুলি করা হয় এক ব্য়বসায়ী। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্য়ু হয় তাঁর। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়ক্তির নাম উমাশঙ্কর চৌহান। সোমবার দুপুরে ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে আসানসোলের কুলটি থানার চিনাকুড়ি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ প্রকাশ্য দিবালোকে অফিসে ঢুকে গুলি চালানো হয় ওই ব্য়বসায়ীর উপর। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্য়ু হয় তাঁর। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। অফিসের কর্মীরা বলেন, এক দুষ্কৃতী এসে উমাশঙ্কর চৌহানকে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে খুন করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের পুলিস আধিকারিকরা। পৌঁছয় গোয়েন্দা বিভাগ।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের আটক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রকাশ্য দিবালোকে দুপুর বারোটা নাগাদ বাজার এলাকায় এমন ঘটনা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নির্বাচনের আগে এইরকম অস্ত্রের ব্যবহার, গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার দিকে আঙ্গুল তুলছে সাধারণ মানুষেরা।
গাজন উৎসব চলাকালীন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনায় আহত আরও ৪জন। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্য়ায় মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হুড়া থানার জামবাদ গ্রামে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শক্তিপদ মাহাতো (২৭)। বর্তমানে চারজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজন উৎসবকে কেন্দ্র করে ভক্তরা স্থানীয় একটি পুকুর থেকে স্নান করে শোভা যাত্রার মাধ্যমে গ্রামের শিব মন্দিরে আসছিল। অন্ধকারের থাকার কারণে জেনেরেটরের লাইটের ব্য়বস্থা করা হয়। সেই জেনেরেটরের তারের দুর্ঘটনা বশত শর্টসার্কিট-এ বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় পাঁচ জন। এরপর হুড়া থানার পুলিস আহতদের তড়িঘড়ি দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্য়ু হয় শক্তিপদ মাহাতোর। এই পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোকের ছায়া নেমেছে জামবাদ এলাকায়। এমনকি আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্য়ে।
গার্ডেনরিচ, বিরাটির পর এবার কার্নিশ ভেঙে বিপত্তি রানাঘাটে। দোকানের কার্নিশে ভেঙে ইটে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক সবজি বিক্রেতার। জানা গিয়েছে, মৃত সবজি বিক্রেতার নাম সত্যেন কুন্ডু। শনিবার বিল্ডিং ভেঙে পড়ায় ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এই ঘটনার পর আবারও বিপদজনক বাড়ি ভাঙা নিয়ে রানাঘাট পুরসভার ভূমিকা প্রশ্নের মুখে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতন এদিন সকালেও সবজি বিক্রি করতে বাজারে আসেন। অভিযোগ, হঠাৎ ওই দোকানের সামনের কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে। আর তাতেই ইট চাপা পড়েন তিনি। এরপর বাজারের অন্যান্য দোকানদাররা তাঁকে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ওই দোকানটি বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। অভিযোগ, বারংবার পুরসভাকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। অভিযোগ, বিপদজ্জনক ওই দোকানের বর্তমান মালিক টাকার জোরে আটকে রেখেছে। পুরসভার সেই উদাসীনতায় প্রাণ গেল এক সবজি বিক্রেতাকে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবারে।
ভিনরাজ্য়ে চাকরি করতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্য়ু হল এক তরুণীর। খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের নয়ডায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই তরুণীর নাম সায়নী দাস (২৫)। বাড়ি নদীয়ার চাকদহের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নরেন্দ্রপল্লীতে। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের পুলিসের কাছে সাহায্য় চাইলেও তা না পেয়ে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ওই তরুণীর বাবা-মা।
পরিবার সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে বিবিএ পাশ করে গত বছর জুলাই মাসে নয়ডায় একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজে যোগ দেন সায়নী। সেখানে গৌতম বুদ্ধনগরের একটি আবাসনের ১৮ তলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তিনি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় তাঁদের ইনস্টিটিউটের একটি অনুষ্ঠানে আসেন তিনি। সেখান থেকে চাকদহে বাড়িতে ফেরার কথা থাকলেও, অফিসের কাজ থাকায় পরের দিন ভোরে বিমানে তিনি নয়ডায় ফিরে যান। অভিযোগ, ওই দিন রাতেই অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ফ্ল্যাট থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের কাছে খবর আসা মাত্রই তাঁরা ২৩ তারিখ নয়ডায় পৌঁছে যান।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তীর ওই তরুণীর পরিচিত তিন যুবকের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে দু'জন এলাকার প্রভাবশালী বলে পরিচিত। মৃতার বাবা শান্তনু দাস বলেন, মেয়ের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাঁদের কঠোর শাস্তি চাই আমরা। কিন্তু নয়ডা পুলিস কোনওভাবেই সহযোগিতা করছে না। অন্যদিকে নয়ডা পুলিস ওই পরিবারকে জানিয়েছে, তদন্ত করা হয়েছে। এক যুবককে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
ভোটের বাংলায় ফের বেআইনি চোলাই কারবারে মৃত্যুর অভিযোগ। চোলাই তৈরির জন্য পচানো গুড় তুলতে গিয়ে মৃত এক। মৃতের নাম রঞ্জিত সোরেন (৪০)। অসুস্থ আরও ২। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটির পলাশি মাঝিপাড়া এলাকার ঘটনা। ঘটনার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়। মদের ভাটি নিয়ে পুলিসের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, দিনের পর দিন মদের ঠেক চলে। তোলা নিয়ে পুলিস বেআইনি চোলাই কারবার চলতে দেয়। অবিলম্বে মদের ভাটি না উঠলে ভোট দেবে্ন না বলে হুঁশিয়ারি মহিলাদের।
এলাকা বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিসের মদতেই এই মদের ভাটি চলছে। যদি এই মদের ভাটি না ওঠে তাহলে তাঁরা ভোট দেবেন না। এমনটাই দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। মদের ভাটির জন্যই এলাকার পরিবেশ ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে।
ফের পণের দাবিতে প্রাণ গেল এক গৃহবধূর। পরিকল্পনামাফিক খুনের অভিযোগ মৃতার পরিবারের। ইতিমধ্য়েই পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে জিয়াগঞ্জ থানার আমিনা বাজার এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম রকসেনা খাতুন (১৯)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মেয়ের উপর তাঁর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন নানানভাবে অত্যাচার করত। প্রায়শই জিনিসপত্রের দাবিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে ঝামেলা অশান্তি চলত। এরপর গতকাল অর্থাৎ রবিবার ওই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্য়ে থানায় গিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জিয়াগঞ্জ থানার পুলিস মৃতার স্বামী মিসকাতুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
ঠাকুর বিসর্জন দিতে গিয়ে জলে তলিয়ে গেলেন দুই বন্ধু। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের নাথেরবাগান ঘাটে। জানা গিয়েছে, মৃত দু'জন হলেন, সৌমজিৎ ব্যানার্জি (২৫) এবং বিশাল বিশ্বাস (২৬)। দুইজনের বাড়ি পুরুলিয়ায়। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন ওই দুই যুবক। রবিবার সকালে উদ্ধার তাঁদের মৃতদেহ।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শনিবার মাঝরাতে ঠাকুর বিসর্জন দিতে গঙ্গায় এসেছিলেন চার বন্ধু। বিসর্জনের পর গঙ্গার ঘাটে বসেই আড্ডা দিচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় হঠাৎ জলে পড়ে যান সৌমজিৎ। আর তাঁকে বাঁচতে গিয়ে আরেক বন্ধু বিশালও পড়ে যান জলে। তাতেই মৃত্য়ু হয় ওই দুই বন্ধুর। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। তারপর তড়িঘড়ি শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এরপর দুই বন্ধুকে জল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে মাঝরাতে কেন ঠাকুর বিসর্জন দিতে এসেছিল চারবন্ধু, কীভাবে জলে পড়ে গেল দু'জন? যা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। চার বন্ধুর মধ্য়ে জীবিত বাকি দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।