Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

cpim

Bengal: পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী জোট হওয়া কঠিন

প্রসূন গুপ্তঃ সারা ভারতের রাজনৈতিক অবস্থান বদলে বিজেপি বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই এক ছাতার তলায় এসেছে। যদিও এখনও লোকসভা ভোটের বিস্তর দেরি আছে, কিন্তু এর আগেও এ ধরনের জোট করতে গিয়ে অবশেষে ব্যর্থতাই এসেছিলো। এই জোটের আপাতত নাম " ইন্ডিয়া "। মঙ্গলবার দেশের ৭টি কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচন হয়ে গেলেও সর্বক্ষেত্রে জোট হয়নি। উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডে জোট যেমন হয়েছে, তেমন ত্রিপুরার দুটি কেন্দ্রে কংগ্রেস/সিপিএম জোট হলেও তিপ্রা মোথা জোটে যায়নি।

আবার উত্তরাখণ্ডে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস এবং এসপি প্রার্থী দিয়েছে এবং কেরালায় কংগ্রেসের অন্যতম বন্ধু সিপিএমের বিরুদ্ধেই লড়তে হচ্ছে রাহুলের দলকে। পশ্চিমবঙ্গে তো জোট আদপে কোনও দিন হবে বলে তো আশা রাখে না তিনটি দলই। সদ্য শেষ হওয়া ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেস। আসনটি জিততে মরিয়া তিন দলই। এবারে প্রশ্ন উঠছে যে, যেখানে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন দ্রুত বাম অথবা কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা হোক নতুবা তারা পরিষ্কার বার্তা দিক, তা কি সম্ভব?

তৃণমূলের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে জোট হওয়া এক প্রকার অসম্ভব কারণ সিপিএম বিরোধিতা করেই ক্ষমতায় এসেছে তারা। এই একই মনোভাব সিপিএমের যদিও বামফ্রন্টের সকলেই তা মনে করে না তবুও সিপিএমে শূন্যে চলে যাওয়ার পরেও তারাই ফ্রন্টের প্রধান শক্তি। ধূপগুড়ি নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলকে তুলোধোনা করেছেন সম্পাদক সেলিম শুরু করে বাকি বাম নেতারা। পক্ষন্তরে তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেস অপেক্ষাকৃত অনেকটাই নরম।সিপিএমের বার্তা পরিষ্কার বাংলা বা কেরলে জোটের অন্য দলগুলির সঙ্গে আসন রফা করা কঠিন। অবিশ্যি এদের মুম্বই বৈঠকে ঠিক হয়েছে পারদপক্ষে চেষ্টা করতে হবে জোট করার নতুবা বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই।

কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য মনে করেন তিন দল এক হলে বিরোধী সমস্ত ভোট বিজেপি নিয়ে যাবে। শোনা গিয়েছে প্রদীপবাবুকে হয়তো ফের দলের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কোনও দায়িত্ব পাওয়ার আগেই যদি এই মনোভাব হয় তবে ভবিষ্যৎ কি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

8 months ago
By Election: বিক্ষিপ্ত কয়েকটি অভিযোগ ছাড়া শান্তিপূর্ন ধুপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচন

দু একটি বিক্ষিপ্ত অভিযোগ ছাড়া সকাল থেকেই শান্তিতে রাজ্যের ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচন। সম্প্রতি কলকাতার মৃত্যু হয়েছিল এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায়ের। সেই কারণেই মঙ্গলবার এই কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হচ্ছে।


সকাল থেকে ইভিএম বিকলের অভিযোগের পাশাপাশি, বুথের কেন পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, রাজ্যের এই একমাত্র বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রচুর পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কর্মব্যস্ত দিন হলেও সকাল থেকে প্রতিটি বুথের সামনে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে।

দু বছর আগে রাজ্যে বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে যে আসনগুলিতে শাসক তৃণমূলের রক্তক্ষরণ হয়েছিল, ধূপগুড়ি ছিল তাদের অন্যতম। তৃণমূলের মিতালি রায়কে হারিয়ে এই কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় গিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের বিষ্ণুপদ রায়। তাই এই নির্বাচন দুই রাজনৈতিক দলের কাছেই কার্যত চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে বিজেপির কাছে।

কারণ, গত পঞ্চায়েত ভোটে উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবি হয়েছে। বিধানসভায় হারানো ক্ষমতা ফের নিজেদের পালে টানতে সক্ষম হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী লোকসভা ভোটের আগে এই ধূপগুড়ি ধরে রাখা এখন সরাসরি চ্যালেঞ্জ সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীর কাছে।

গত প্রতিটি নির্বাচনেই এই রাজ্যে তাঁদের সামনে রেখেই ভোটে লড়াই করছে বিজেপি। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে। গত উপনির্বাচনেও নিজেদের জয়ী আসন হারিয়েছে বিজেপি। দিল্লি থেকেও কার্যত ধূপগুড়ি ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে সুকান্ত-শুভেন্দুকে।

গত শনিবার এই কেন্দ্রে প্রচারে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনে প্রচারে ধূপগুড়িকে আলাদা মহকুমা তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ওই সভায় হাজির থাকা প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়, পরের দিনেই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, মিতালির এই দলবদল কোনও ফ্যাক্টর হল কীনা, তা বোঝা যাবে ভোট শতাংশের উপরেই।

8 months ago
Derby And Election: ডার্বি থেকে ধূপগুড়ি, প্রেস্টিজ গেমের মুখে ফুটবল ও রাজনীতি

প্রসূন গুপ্ত: মাঝে মাঝে জমজমাট খবর উধাও হয়ে যায় আবার এমন ভাবে কখনও ফিরে আসে যার দিশা পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। এখন বার্তা হলো, দুটি বড় প্রেস্টিজ গেম রয়েছে, ধূপগুড়ি এবং রবিবারের সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের ডুরান্ড কাপ ফাইনাল। যদিও দুটিকেই খেলা বলা উচিত নয়, বিশেষ করে ধূপগুড়ি উপনির্বাচন। তবে বলতেই হয় ১৯৬৬ অবধি পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও ভোট ছিল খুবই স্পোর্টিং অর্থাৎ ভোটে হারজিত তো থাকেই কিন্তু তা বলে ভোট কেন্দ্রে লড়াই গন্ডগোল বা জিতে দেখে নেওয়ার আক্রোশ কোনও দলের ছিল না। বরং দেখা যেত ভোটের দিন সকাল থেকে যে যার টেন্টে গিয়ে বসতো এবং যারা বুথ এজেন্ট তারা বুথে ঢুকে পাশাপাশি বসে এক প্রকার গল্পগুজব করতো। সময়ে চা আসলে বা খাবার আসলে একেবারে ভাগাভাগি করে খেত। পরে ভোটের ফল বেরোলে জয়ী প্রার্থী পরাজিতের বাড়িতে গিয়ে চা খেয়ে আসত। সেসব দিন স্বপ্নের। অন্যদিকে ৬০, ৭০ বা ৮০র দশকের দর্শক মানেই ভয়ঙ্কর উগ্র বিশেষ করে ইস্টবেঙ্গলের। খেলা শুরু থেকেই উত্তেজনা এবং খেলা শেষে 'বাড়ি যাবো কি করে' পরিস্থিতি দাঁড়াতো। ব্যাপারটা যেন দুই দেশের যুদ্ধ। 

আজ সেই দিন গিয়েছে। আজকের ভোট মানেই জিততেই হবে। প্রচার ইত্যাদির উপর ভরসা না  রেখে যে ভাবেই হোক প্রার্থীকে জেতাও। আর ভাগাভাগি করে খাওয়া দাওয়া তো কবেই বিদায় নিয়েছে। দুপুরে কোনও বুথে ঢুকলে দেখা যায় যে কোনও একটি দলের এজেন্ট লাঞ্চ সারছে অন্য জনের দেখাই নেই। এই সংস্কৃতি জোরদার হয় বাম আমলে। আজকে তার কপি বিদ্যমান। পক্ষান্তরে ইস্টমোহনের সেই উগ্র দর্শক আজ আর নেই। তবে এটা ঠিক যে আজকের দিনেও ট্রাক বা বাস ভাড়া করে দলীয় পতাকা লাগিয়ে মাঠে আসে দর্শকরা। খেলা চলাকালীন হৈচৈও রয়েছে কিন্তু খেলা শেষে দেখা যায় যে যার মতো বাড়ি চলে যাচ্ছে এবং এলাকায় এলাকায় ইলিশ চিংড়ির দেখাও পাওয়া যায় না। কর্পোরেট যুগ, টিভি বা ইন্টারনেট খুললেই বিদেশী খেলা দেখা যায়, কাজেই সময় কোথায় ? 

8 months ago


DhupGuri: অ্যাসিড টেস্টের মুখে ধূপগুড়ি উপনির্বাচন ( শেষ পর্ব )

প্রসূন গুপ্ত: আর হাতে শনিবার এবং রবিবার বিকেল অবধি প্রচারের সময়সীমা ধার্য রয়েছে, কাজেই শেষ লগ্নে লড়ে যাচ্ছে তিন দল। ধূপগুড়ির মতো প্রায় অনিয়মিত প্রকাশের বিধানসভায় এতো কোমর কষে ভোট প্রচার এর আগে বোধকরি হয় নি। আর হবেই বা না কেন, এই কেন্দ্রের ভোটের ফল তৃণমূল বিজেপি বা কংগ্রেস/সিপিএম জোটের উত্তরবঙ্গের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।

প্রচারে সব থেকে এগিয়ে নিঃসন্দেহে বিজেপি। ওই এলাকার সমস্ত হোটেল বা গেস্ট হাউস দখল করে রেখে প্রচার চালাচ্ছে তারা বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই কেন্দ্রে জিততেই হবে বিজেপিকে কারণ বিগত বিধানসভা ভোটে জয় তাদেরই হয়েছিল। দেখা গেলো রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদা, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সহ প্রথম শ্রেণীর তাবড় তাবড় নেতারা মাটি কামড়ে পরে রয়েছেন ধুপগুড়িতে। কেন্দ্রের নাকি কড়া নির্দেশিকা রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে এই কেন্দ্রে জয় আনতেই হবে নতুবা নাকি আসন্ন লোকসভায় এর প্রতিচ্ছবি দেখা যাবে। প্রায় প্রতিদিন সুকান্তবাবু ওখানে থাকাকালীন প্রচার এবং ভোটারদের সঙ্গে কথা চালাচ্ছেন।

প্রচারে পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষ সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নেতা ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার করছেন। জনসভা বা পথসভা তো আছেই। শনিবার প্রায় শেষ লগ্নে যাচ্ছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বালিগঞ্জ থেকে আসানসোল ইত্যাদি বিভিন্ন উপনির্বাচনে শেষ লগ্নে প্রচার করে অভিষেক বাজিমাত করেছিলেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম নেই। 

ঘরে ঘরে প্রচার করছে সিপিএমের যুব কর্মী নেতারা। অবিশ্যি তাদের দলে সেলিম বা সুজন চক্রবর্তী ছাড়া তেমন প্রচারের বড় মুখ কোথায়? যদিও শুক্রবার অধীররঞ্জনকে নিয়ে বেশ বড়োসড়ো প্রচার করলো বাম/কং জোট। এই কেন্দ্রে একসময় সিপিএমের দাপট থাকলেও আজ সেই সংগঠন হারিয়েছে সিপিএম। এবারে বাস্তব হচ্ছে এই যে সিপিএম যদি ১০/১৫% ভোট বাক্সবন্দি করতে পারে তবে আখেরে সুবিধা হবে তাদের "ইন্ডিয়া" জোটসঙ্গী তৃণমূলের। মজার বিষয় সারা ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির নজর কিন্তু এই কেন্দ্রে। ধূপগুড়ি বিখ্যাত হতে চলেছে।

8 months ago
Abhishek: অশ্লীল ভাষায় অভিষেককে আক্রমণ, দলে-বাইরে সমালোচনায় ভুল শুধরোলেন সেলিম

পতিতা মুছে যৌনকর্মী। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমালোচনা করতে গিয়ে নিজে সমালোচিত হয়েছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। একটি বিশেষ শব্দ ব্যবহার করে অভিষেকের আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই প্রতিক্রিয়ায় সিপিএমের অন্দরেই তাঁকে সমালোচনা করা হয়। সোমবার এই ব্যাপারে ক্ষমা না চাইলেও, মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্ট করে টুইটের ভুল শুধরে নেওয়ার দাবি করেছেন।

সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক টুইটারে লিখেছিলেন, অসাধু সম্পদ রাখার করার জন্য ১৫ জন বিদেশি পতিতার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রস্টিটিউট এই শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন তিনি। আর এখানে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে মহিলা নেতৃত্বের একাংশ থেকে।

বামপন্থীরা পতিতা শব্দের ব্যবহার করে না। এমনকী বিশ্বাসও করে না। পার্টির মহিলা নেতৃত্বে একাংশের প্রবল সমালোচনা মুখে পড়তে হয় রাজ্য সম্পাদককে। সেই মহিলাদের সম্মানার্থে তাঁদের যৌনকর্মী বলা হয়। যার ইংরেজি সেক্স ওয়ার্কার। এই ঘটনার পরেই মঙ্গলবার ফেসবুকে মহম্মদ সেলিমের একটি পোস্ট দেখা যায়। তাতে একটি অংশে লেখা, ১৫ জন বিদেশি যৌনকর্মীর অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাচারে অভিযুক্ত। তবে এখানে কোনও নাম তিনি উল্লেখ করেননি।

9 months ago


Buddhadeb: বুধবারই উডল্যান্ডস থেকে নিজের বাড়িতে ফিরতে পারেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব বাবু

সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সব ঠিক থাকলে বুধবারেই হাসপাতাল থেকে পাম এভিনিউয়ের বাড়িতে ফিরতে পারেন বুদ্ধবাবু। তবে বাড়ি ফেরার পরেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে বর্ষীয়ান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। গত ২৯ জুলাই থেকে আলিপুরের উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি তিনি। বুদ্ধবাবু বাড়ি ফেরার আগে জীবাণুমুক্ত করা হবে তাঁর গোটা বাড়ি। অন্যদিকে আপাতত ক'দিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে খাওয়ানো হবে রাইলস টিউবের মাধ্যমেই। সোমবার মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাড়িতেও চিকিৎসকদের চোখে চোখে থাকবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।  বাড়ি ফেরার পর আগামী বেশ কয়েক সপ্তাহ তাঁকে দেখভাল করবে ‘হোম কেয়ার টিম’।বাইরে থেকে যেন কেউ তাঁর ঘরে না ঢোকেন সে বিষয়েও নজর রাখার নির্দেশ।  চলবে ‘সোয়ালো অ্যাসেসমেন্ট’। বাড়িতেই থাকবে অক্সিজেনের ব্যবস্থাও।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভাল। সুস্থ হয়ে উঠছেন দ্রুত। তাই হাসপাতাল থেকে বর্ষীয়ান নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়ে ফেলেছেন চিকিৎসকরা। সব ঠিক থাকলে ৯ অগাস্ট তাঁর পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতে যেতে পারেন। তবে মঙ্গলবার আরও একটা বৈঠকে বসবে মেডিক্যাল বোর্ড। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

9 months ago
keshpur : তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ সিপিআইএমের বিরুদ্ধে, অভিযোগ অস্বীকার সিপিআইএমের

তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ সিপিআইএমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে  কেশপুরের (KESHPUR) চরকা এলাকার ঘটনা। পুলিস সূত্রে খবর এই  এখনও পর্যন্ত ৩ জন আহত। এ ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিপিআইএমের  বিরুদ্ধে কেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  ওই  লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।  যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম। ঘটনায় এখনও অবধি কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি বলেই পুলিস  সূত্রের খবর। 

 স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় এক চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কিছু তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ সে সময় তাঁদের উপর হামলা করে সিপিআইএম কর্মীরা, অভিযোগ আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠি দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয়। বেশ গুরুতর যখম অবস্থায় তিনজন তৃণমূল কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে একজনের মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।  ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। যদিও স্থানীয়  সিপিআইএম নেতৃত্বের দাবি, এটা শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল।

আহত তৃণমূল কর্মী সিম গাজেল জানিয়েছেন, তারা সকালে চায়ের দোকানে বসেছিলেন, এমন সময় সিপিআইএম কর্মীরা ওখানে এসে চড়াও হয়ে তাদের মারতে শুরু করে।  পাশাপাশি সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিংহ জানিয়েছেন,এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো , এটি শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল, এর সাথে সিপিআইএম বা বামফ্রন্টের কোনো যোগ নেই। গোটা ঘটনাটাই শাসক দলের অন্দরের ব্যাপার। পঞ্চায়েতের বোর্ডে কার গোষ্ঠী থাকবে সেই নিয়েই গোষ্ঠী কোন্দল শাসক দলের মধ্যে। সিপিআইএম এমন হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। এ ঘটনার পর এখনও চাঞ্চল্য কাটেনি এলাকায়। 

9 months ago
Condition: সংক্রমণ ও ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বাড়লেও চিকিৎসায় সাড়া, স্থিতিশীল বুদ্ধ

নতুন করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। এখনও ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি স্যালাইনের মাধ্যমে কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বুকের সিটি স্ক্যান করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

রবিবার দুপুরে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালের তরফে একটি মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়েছে, বর্তমানে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্বাসনালীর নিম্নাংশের সংক্রমণ এবং টাইপ ২ রেসপিরেটরি ফেলিওরের উপসর্গ রয়েছে।

ওই বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে, সংক্রমণ কাটাতে স্যালাইনের মাধ্যমে কড়া ডোজের অ্য়ান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে প্রভাবিত হচ্ছে কিডনি। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।

শনিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও রবিবার গিয়েছিলেন সুজন চক্রবর্তী, বিমান বসু সহ অনেকেই।

9 months ago


Budha Babu: আপনাকে জিততেই হবে বুদ্ধ বাবু

সৌমেন সুর: একটা সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত মানুষ, যাকে দেখলে রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দল তো বটেই, সাধারণ মানুষেরও মনে শ্রদ্ধার ভাব ফুটে ওঠে। তিনিই বুদ্ধ বাবু। আমাদের রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অপাদমস্তক কমিউনিস্ট শ্রেণীর মানুষ হলেও, তিনি গোটা একজন সংস্কৃত প্রেমী মানুষ। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মতো একজন সুজ্জল সূর্য সমান মানুষ ছিলেন ওনার আত্মীয়।

আজ তিনি ফুসফুসের সংক্রমণ জাতীয় রোগ নিয়ে, শ্বাসকষ্টের কারণে অসুস্থ হয়ে উডল্যান্ডস নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছেন। বেসরকারি ওই নার্সিংহোম সূত্রের খবর, তাঁর শরীরে অক্সিজেন কমেছে। শ্বাসকষ্টের জন্য তাঁকে সিপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। গত চারদিন ধরে তিনি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন বলেই জানা যায়। ৫ জন চিকিৎসকের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

বুদ্ধবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নানাবিধ গণ-আন্দোলনের একজন মোক্ষ শরীক ছিলেন। যেমন সুন্দর বক্তব্য রাখতেন, তেমনই সুন্দর সাহিত্য প্রেমিক মানুষ তিনি। সাহিত্যের অর্থ হল পারস্পরিক যোগ। একের সঙ্গে বহুর মিলন ঘটিয়ে সাহিত্য আত্মীয়তার সূত্র তৈরি করে। বুদ্ধদেব বাবু আমাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন কিভাবে সাহিত্য মানুষের সঙ্গে সখ্যতা করতে পারে। তাঁর আবৃত্তি নাটক আজও মনের অনুরনণে বাজে। বুদ্ধদেব বাবু মাঠটা ভালো চিনতেন তাই মানুষের শান্তির জন্য অনেক আন্দোলন, অনেক চেষ্টা করেছিলেন। এখনও উনার মত স্বচ্ছ ভাব মূর্তির মানুষ এই সমাজে দ্বিতীয়টি পাওয়া দুষ্কর।

ইতিমধ্যেই তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ফোন করে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর সুস্থতা কামনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

যে মানুষটা আজ অক্সিজেনের অভাবে উডল্যান্ডসের ৫০১ নম্বর বেডে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। বলাই বাহুল্য, সেই মানুষটাই একসময় রাজ্যের বিরোধীদল অর্থাৎ তৎকালীন বামফ্রন্ট দলের অক্সিজেন ছিলেন। এখনও তাঁর হাতে লেখা দলের উদ্দেশে বার্তাবহ একটি চিরকুট জমিয়ে দিতে পারে ব্রিগেডের মঞ্চ। কেবল সিপিআইএম বা বামফ্রন্ট নয়, তৃণমূল, বিজেপি সব দল এবং সাধারণ মানুষও নিশ্চয়ই চাইছেন বুদ্ধবাবু এ লড়াই জিতুক। ফের সুস্থ হয়ে চিরকুটে জমিয়ে দিক আরও একটা ব্রিগেড। গোটা রাজ্য, গোটা দেশের তরফে এটা যদি চিরকুট হয়, তবে এই চিরকুটে লেখা থাকবে, বুদ্ধ বাবু জিতবে, জিতবে ৫০১ নম্বর উডল্যান্ডসের বেড।'

9 months ago
TMC: গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট, কিন্তু তাতে রেহাই নেই, জয়ী তৃণমূল সদস্যকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ
ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত মগরাহাট। প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যকে। নিহতের নাম মইমুর ঘরামি ওরফে ময়না( ৪০)। শনিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি মগরাহাটের অর্জুনপুরের বাসিন্দা। 
স্থানীয় সূত্রে খবর, মগরাহাটের ২ নম্বর ব্লকের অর্জুনপুরের পূর্বগ্রাম এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপরই তাঁকে কোপানো হয়। মৃতের পরিবারে তরফে অভিযোগ, এই খুনের পিছনে সিপিআইএমের হাত আছে। বোর্ড গঠন করার জন্যই সিপিআইএম এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ মৃতের ছেলের। 
মইমুরের সঙ্গে আক্রান্ত হন তাঁর সঙ্গী শাজাহান মোল্লাকেও। দুজনকেই মগরাহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতির অবনতি হলে ডায়মন্ডহারবারের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েতের সদস্যের।
9 months ago


Selim: জাতীয় স্তরে সিপিআইএম-তৃণমূল এক ছাতার তলায় এলেও, রাজ্যে তৃণমূলই তাদের শত্রু: সেলিম

বেঙ্গালুরুতে যতই তৈরি হোক ইন্ডিয়া জোট, যতই একছাতার তলায় আসুক তৃণমূল-সিপিএম, রাজ্যস্তরে তৃণমূলই যে তাঁদের শত্রু, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল আলিমুদ্দিন। সেইসঙ্গে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে 'সেটিং' তত্ত্বকে আরও একবার উসকে দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

বুধবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠক শেষ হয়ে‌ছে। তারপরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন মহম্মদ সেলিম। সেখানেই তিনি বলেন, "বেঙ্গালুরুতে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, তার স্তবক ধরে ধরে দেখিয়ে দেওয়া যাবে, দেশে বিজেপি যা যা করছে, বাংলায় তৃণমূল সেটাই করছে । পঞ্চায়েতে তৃণমূল ভোট লুট করেছে নিজেরা জেতার জন্য এবং বিজেপিকে দ্বিতীয় করার জন্য।"

তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, '২১ জুলাই বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এক সপ্তাহও হয়নি। আগে দেখো কী হয়। এর আগে এনআরসি, সিএএ, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ভোটে সরে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল।'

9 months ago
CPIM: অনুব্রত গড়ে ২টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল বামেদের

তৃণমূলের একসময় দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের এলাকায় এবার ২টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল বাম কংগ্রেস জোট। ওই দুটি পঞ্চায়েত হল বারা ১ এবং বারা ২।

জানা গিয়েছে বারা ১ পঞ্চায়েতের মোট ২২ টি আসন ছিল। তারমধ্যে ১২টি আসনে জয়ী হয়েছেন জোট প্রার্থীরা। অপরদিকে বারা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসনই জোট প্রার্থীদের দখলে গেছে।

উল্লেখ্য ১১ অগাস্ট গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে তিনি তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনিও রয়েছে তিহার জেলেই। প্রায় এক বছর ধরে জেলার বাইরে থাকায় তৃণমূলের শক্তিক্ষয় হয়েছে বলে মনে করছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব।

10 months ago
Ballot: ব্যালট চুরি নয়, হারের ভয়ে এবার ব্যালট খেয়ে ফেলল তৃণমূল প্রার্থী

এতদিন রাজ্য জুড়ে ব্যালটে ছাপ্পা, ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়া, ব্যালট বাক্স নিয়ে ঝাঁপ মারার অভিযোগ উঠে এসেছে। এবার সেসঙ্গেই ব্যালট খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ব্যালট গোনার কাজ চলছিল তখন, যখন প্রায় শেষ সময়। তখন দেখা যায় সিপিআইএম প্রার্থী ৪ ভোটে এগিয়ে গিয়েছে। সেই মুহূর্তে টেবিলে থাকা কিছু ব্যালট মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলে তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি, এমনই অভিযোগ সিপিএইএমের।

সূত্রের খবর, এদিন হাবরার ভুরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট গণনা চলছিল। সেসময় ৪ ভোটে এগিয়ে ছিলেন বাম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার। সেসময় তৃণমূল প্রার্থী আচমকা ব্যালট গিলে ফেলে বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বাম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন,'এতদিন ব্যালট লুঠ করত, এবার হেরে গিয়ে ব্যালট খেয়ে নিল তৃণমূল। আমরা সংশ্লিট জায়গায় জানিয়েছি। প্রয়োজনে পুনর্নিবাচন করতে হবে।' এ বিষয়ে পাল্টা তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি জানিয়েছেন, 'সব মিথ্যে অভিযোগ করছে সিপিআইএম। হেরে গিয়ে তো একটা অজুহাত দরকার। সেটাই করছে বামফ্রন্ট।'

10 months ago


Kalna: আগে তৃণমূলই করতাম, জিতেই সিপিআইএম প্রার্থী যোগ দিলেন তৃণমূলে

জয়ের পরই দলবদল। সিপিএমের টিকিটে জিতে ফের তৃণমূলে যোগ দিলেন গীতা হাঁসদা। পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১ নম্বর ব্লকের কাকুরিয়া পঞ্চায়েতে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, তৃণমূলকে হারিয়ে ২৩ ভোটে জিতেছেন তিনি। কিন্তু, জয়ের পরই গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে দলবদল করেন গীতা হাঁসদা। ফের তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি জানান, রাগের কারণে তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিয়েছিলেন। এখন আবার তৃণমূলে যোগ দিলেন।

সিপিএমের অভিযোগ, গীতা হাঁসদা-র উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই তিনি তৃণমূলের যোগ দিয়েছেন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসকদল। পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১ নম্বর ব্লকের কাকুরিয়া পঞ্চায়েতে ১৮ টি আসন ছিল। তার মধ্যে একটি জেতে সিপিএম। ওই আসনেই দাঁড়িয়েছিলেন গীতা হাঁসদা।

10 months ago
Attack: কেবল ছাপ্পাতে সন্তুষ্ট নয়, রাজারহাটে সিপিআইএম প্রার্থীর বাবাকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

নিবেদিতা মাইতি: কলকাতা লাগোয়া নিউটাউন রাজারহাটেও নির্বাচনী হিংসার রেশ বহাল। ব্যালট বক্স ভাঙচুড়, ছাপ্পা ভোট সহ ব্যাপক মারধর, বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি রাজারহাটের ২৬৯, ২৭০ নম্বর বুথের গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএম প্রার্থী (CPIM Candidates) সুতপা মিস্ত্রি সহ তাঁর বাবার উপর প্রাণঘাতী হামলারও (Attack) অভিযোগ উঠে আসছে। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। 

এই ঘটনায় ওই সিপিআইএম প্রার্থী সুতপা মিস্ত্রি সিএন ডিজিটালকে জানিয়েছেন, 'শনিবার সকালে আমি ও বাবা ভোটকেন্দ্রে পৌঁছই। আমার বাবাই আমার পোলিং এজেন্ট। আমারা বুথে ঢোকার পরই বুথ দখল করতে আসে তৃণমূলের প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন দুষ্কৃতী। তারপরেই দুষ্কৃতীরা বুথের বাইরে আমাকে আর বাবাকে ঘেরাও করে মারধরের চেষ্টা করে। এমনকি আমাকে খুনের হুমকিও দেয়। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই দুষ্কৃতীরা লোকচক্ষুর আড়াল থেকে বাবাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা বাবাকে আটকে রাখে। বাবার ফোন কেড়ে নেয়, মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে খুন করার হুমকি দেয়।' তিনি আরও বলেন, 'দুষ্কৃতীরা বাবাকে মারধর করে, হুমকি দিয়ে, শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেয়। তবে এখনও পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া ফোনটি ফেরত দেয়নি। এমনকি শনিবার রাতেও আমাদের বাড়ির বাইরে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা।' 

সিপিআইএম প্রার্থী সুতপা মিস্ত্রি দাবি করেন, 'বাবকে মারধর কারার কথা লিখিতভাবে জনানো হয়েছে নিউটাউন থানার পুলিসকে। তবে পুলিসের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কোনও রকমের সহযোগিতা করেননি পুলিস,' এমনটাই দাবি করছেন তিনি।

শনিবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ দখলকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই দিক থেকে হিংসার আঁচে বাদ পড়েনি নিউটাউনের পঞ্চায়েত এলাকাগুলিও। তবে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে সামাল দিতে বুথের বাইরে দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। রাজ্যের প্রায় সব পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিসের নিষ্ক্রিয়তার ছবি পাওয়া গিয়েছে। তবে রবিবার নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, এই নির্বাচনে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও অলিখিত ভাবে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৪ এবং আহতর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে।

10 months ago