
তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ সিপিআইএমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে কেশপুরের (KESHPUR) চরকা এলাকার ঘটনা। পুলিস সূত্রে খবর এই এখনও পর্যন্ত ৩ জন আহত। এ ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিপিআইএমের বিরুদ্ধে কেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিআইএম। ঘটনায় এখনও অবধি কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি বলেই পুলিস সূত্রের খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় এক চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কিছু তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ সে সময় তাঁদের উপর হামলা করে সিপিআইএম কর্মীরা, অভিযোগ আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠি দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয়। বেশ গুরুতর যখম অবস্থায় তিনজন তৃণমূল কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে একজনের মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। যদিও স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্বের দাবি, এটা শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল।
আহত তৃণমূল কর্মী সিম গাজেল জানিয়েছেন, তারা সকালে চায়ের দোকানে বসেছিলেন, এমন সময় সিপিআইএম কর্মীরা ওখানে এসে চড়াও হয়ে তাদের মারতে শুরু করে। পাশাপাশি সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিংহ জানিয়েছেন,এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো , এটি শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল, এর সাথে সিপিআইএম বা বামফ্রন্টের কোনো যোগ নেই। গোটা ঘটনাটাই শাসক দলের অন্দরের ব্যাপার। পঞ্চায়েতের বোর্ডে কার গোষ্ঠী থাকবে সেই নিয়েই গোষ্ঠী কোন্দল শাসক দলের মধ্যে। সিপিআইএম এমন হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। এ ঘটনার পর এখনও চাঞ্চল্য কাটেনি এলাকায়।