ফের চিকিৎসা (Treatment) না পাওয়ার অভিযোগে তোলপাড় হাসপাতাল (hospital) চত্বর। ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর (Islampur) মহকুমা হাসপাতাল। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিক্ষোভ (protest)। ঘটনার খবর পেয়ে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান (Chairman of Patient Welfare Association) ও ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল হাসপাতালে পৌঁছন। তিনি রোগীর আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পর বিক্ষোভ বন্ধ হয়।
রোগীর আত্মীয়রা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় একটি বাচ্চার ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বল লেগে যায়, আহত অবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তখন প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হলেও চিকিৎসক না আসায় রোগীর ভালো চিকিৎসা করা হয়নি বলে অভিযোগ। দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টা পর্যন্ত চিকিৎসক না আসায় রোগীর আত্মীয়রা সেই শিশুকে চিকিৎসার জন্য অন্য জায়গা নিয়ে যায়। কিন্তু এরপরই রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা রবিবার রাত দশটায় হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
অভিযোগ, চিকিৎসক হাসপাতাল না এসে তিনি তাঁর শিলিগুড়ি চলে যান। রোগীর আত্মীয় পরিজনদের দাবি, ওই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করতে হবে না হলে পরবর্তীকালে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলন করবেন।
মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়াতে (Gambia) মৃত্যু (Child Death) হয়েছে ৬৬ জন শিশুর। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (World Health Organisation) রিপোর্ট করার এক সপ্তাহ পরে হরিয়ানা সরকার (Haryana government) তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, হরিয়ানা ভিত্তিক সিরাপ প্রস্তুতকারক মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস-এর কারখানায় উৎপাদনে বড় ধরনের অনিয়ম পাওয়া গিয়েছে। হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "শোনপতের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির ৩টি ওষুধের নমুনা কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্ট এখনও আসেনি, তার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
তিনি আরও বলেছেন, কেন্দ্র ও হরিয়ানা রাজ্যের ওষুধ বিভাগের যৌথ পরিদর্শনে ম্যানুফ্যাকচারিং-এ প্রায় ১২টি ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে। এরপরই উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। কোম্পানিকে জারি করা একটি কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে যে, ফার্মটি প্রশ্নবিদ্ধ ওষুধ তৈরি এবং পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জাম এবং যন্ত্রের লগ বুক তৈরি করতে পারেনি। ওই কাশির সিরাপের মধ্যে সম্ভাব্য বিপজ্জনক রাসায়নিকের মধ্যে রয়েছে প্রোপিলিন গ্লাইকল, সরবিটল সলিউশন এবং সোডিয়াম মিথাইল প্যারাবেন।
হরিয়ানা স্টেট ড্রাগস কন্ট্রোলার, কোম্পানিকে তার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য ৭ দিন সময় দিয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে জবাব দিতে না পারলে উৎপাদন লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করা যেতে পারে এবং আরও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, জুলাইয়ের শেষের দিকে গাম্বিয়ায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে মারাত্মক কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে শনাক্ত হতে থাকে। পরে গত মাসে শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করে দেখার ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার।
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) যুগে কোনও কিছুই আর ধামাচাপা থাকে না। বাচ্চাদের নানারকম মজাদার ভিডিও মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল (Viral) হয়ে যায় নেটপাড়ায়। আর নেট নাগরিকরাও তা আদ্যপান্ত উপভোগ করেন। সম্প্রতি একটি খুদের ভিডিও ঘোরাঘুরি করছে নেটদুনিয়ায়। সেই খুদের ভাবনা দেখে হাসি আটকে রাখতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা।
বাচ্চারা পড়াশুনো থেকে একটু পালাতেই ভালোবাসে। খুবই কম বাচ্চা রয়েছে যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বইয়ের মধ্যে মুখ গুজে বসে থাকে। শিশুদের পড়াশোনা নিয়ে বাবা-মাকে কোনওরকম ঝক্কি পোহাতে হয় না, এমন সংখ্যাটা অনেক কম। ভিডিওতে ভাইরাল হয়েছে এমনই এক খুদে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অঝোরে কাঁদছে বাচ্চাটি। আর তার মায়ের কাছে বলছে, “সারাজীবন পড়াশোনা করতে করতে বুড়ো হয়ে যাব। পাগল মা।” ছেলের সেই মন্তব্য ক্যামেরাবন্দি করছিলেন খোদ মা। শিশুটি আবারও একই কথা বলে তার মাকে, “এত পড়াশোনা করতে করতে আমি তো বুড়ো হয়ে যাব!” তারপরই আবার কাঁদতে শুরু করে সে।
এরপর ক্যামেরার পিছনে থাকা খুদের মাকে বলতে শোনা যায়, “কেন বুড়ো হয়ে যাবি? তার মানে, ক, খ লিখতে লিখতে তুই বুড়ো হয়ে যাবি?” এরপরও একই কথা বলে চলে বাচ্চাটি। তখন তার মা তাকে বলেন, “সারাজীবন অশিক্ষিত থেকে বুড়ো হওয়ার চেয়ে লেখাপড়া করে বুড়ো হওয়া অনেক ভাল।” আবার কাঁদতে শুরু করে দেয় সেই বাচ্চা।
একের পর এক নিখোঁজের ঘটনা। হদিশ হওয়ায় কিছুদিন বাদে মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার। এসব ঘটনায় কার্যত আতঙ্কিত ছিলেন নিখোঁজ (Missing) হওয়া দুই শিশুর পরিবার। অবশেষে খোঁজ মিলল তাঁদের। পুলিসি (Police) তৎপরতায় তারা এখন কোথায় রয়েছে তা জানা গিয়েছে। অবশেষে স্বস্তি শিশুদুটির পরিবারে।
গত শনিবার দুপুর ১ টার পর থেকে বোলপুর (Bolpur) থানার অন্তর্গত সুরশ্রী পল্লী (Surashree Palli) থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় বিনোদ মাহাতো এবং প্রমোদ মাহাতো নামের ওই দুই শিশু। ঘটনার পর বোলপুর থানায় অভিযোগ জানান শিশুদুটির বাবা। এরপর থেকেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিসের তরফ থেকে তল্লাশি শুরু হয়। তবে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই দুই শিশুর।
শেষমেশ রবিবার রাতে তাদের খোঁজ পায় পুলিস। পুলিস এবং তার বাবা যৌথভাবে পৌঁছে যায় বিহারের বৈশালী জেলার শীতল ভাকরোহ গ্রামে। সেখানে ওই দুই শিশুর মায়ের নিজের বাড়ি। দুই শিশুর খোঁজ মিলতে স্বস্তি ফেরে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। যদিও দুই শিশুকে বাবা মহেশ মাহাতো মায়ের কাছে রেখে আসতে বাধ্য হন বলে জানা গিয়েছে। এরপর সেখান থেকে বোলপুর থানার পুলিস এবং মহেশ মাহাতো বোলপুর ফিরে আসছেন।
বোলপুরের (Bolpur) দুই শিশু নিখোঁজের (missing) ঘটনায় এবার নয়া মোড়। রবিবার বেলা গড়াতেই শিশু দুটির বাবাকে পুলিস (police) নিয়ে যায়। তবে কোথায় গিয়েছে এখনও পর্যন্ত বাড়ির কেউ জানেনা এবং বাচ্চার বাবার ফোনটাও অফ, লোকেশন জানা যাচ্ছে না বলে পরিবার জানায়।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুর ১ টার পর থেকে বোলপুর থানার অন্তর্গত সুরশ্রী পল্লী (Surashree Palli) থেকে দুই শিশু নিখোঁজ হয়ে যায়। ঘটনার পর বোলপুর থানায় অভিযোগ জানান নিখোঁজ ওই দুই শিশুর বাবা। তবে এরই মধ্যে শোনা যায় ওই শিশু দুটিকে নাকি তার মা বর্ধমানের কোনও এক জায়গায় নিয়ে চলে গিয়েছেন। সেই খবর পেয়ে বোলপুর থানার পুলিস এবং ওই দুই শিশুর বাবা তাদের খুঁজতে রওনা দেন বর্ধমানের দিকে। যদিও এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি ওই দুই শিশু তার মায়ের কাছেই রয়েছে কিনা।
তবে আরও জানা যায়, পারিবারিক অশান্তির জেরে দিন কয়েক আগেই ওই দুই শিশুর মা বাড়ি থেকে চলে যান। তবে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় বাচ্চাদের নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। এরপরেই এমন ঘটনা। এই ঘটনায় বর্তমানে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
ফের জোড়া শিশু নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো বোলপুরে (Bolpur)। বীরভূমের (Birbhum) বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক শিশু নিখোঁজের (missing) ঘটনা ক্রমশই ঘটে চলেছে। প্রথম শিশু নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় শান্তিনিকেতন (Santiniketan) থানার অন্তর্গত মোলডাঙ্গা গ্রামে। এরপর একইভাবে নানুরের ১৫ বছর বয়সী এক শিশুর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা সামনে আসে। এরপর সিউড়ি থেকেও এক শিশু নিখোঁজ হয়। যদিও তাকে বর্তমানে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে এই সকল ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার নতুন করে দুই শিশু নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা বোলপুরে।
জানা যায়, বোলপুর থানার অন্তর্গত সুরশ্রীপল্লী থেকে বিনোদ মাহাতো, বয়স সাত বছর এবং প্রমোদ মাহাতো যার বয়স চার বছর এই দুই শিশু নিখোঁজ হয়। শনিবার তাদের দুপুর ১ টার পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পরিবারের। এই দুই শিশু অন্তরঙ্গ প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র। সম্পর্কে তারা দুজনে দাদাভাই। এইভাবে তাদের খোঁজ না পাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিস অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে।
এদিকে, ওই দুই শিশুর পরিবারের অভিভাবকদের দাবি, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটলো তাঁরা বুঝতে পারছেন না। এমনকি তাঁরা অপহরণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন। যদিও তাঁদের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না বলেও তাঁরা দাবি করেছেন।
সদ্যোজাত শিশু মৃত্যুকে (child death) ঘিরে তোলপাড় শহর কলকাতা (Kolkata)। খাস কলকাতার ঠাকুরপুকুর (Thakurpukur) থানা এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে (nursing home) শনিবার বেলা গড়াতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শোকের ছায়া পরিবারে।
ঠাকুরপুকুর থানার অন্তর্গত একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে উত্তেজনা ও বিক্ষোভের অভিযোগ রোগীর পরিবারের লোকজনেদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বিজয় দশমীর দিন ঠাকুরপুকুর থানার দাস পাড়ার বাসিন্দা সুপর্ণা দত্ত গর্ভ যন্ত্রনা নিয়ে রাত ৮ টা নাগাদ ভর্তি হন। এরপর রাত ৯ টা নাগাদ সিজার হয় তাঁর এবং একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু অভিযোগ, ৬ তারিখ বিকালেই শিশুটি মারা যায়। এরপরই ওই নার্সিং হোমের গাফিলতির অভিযোগ তোলে মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন। পাশাপাশি বিক্ষোভে সামিল হয়।
উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তেই মোতায়েন করা হয় ঠাকুরপুকুর থানার পুলিস। এই বিষয়ে কোনও সদুত্তর দেয়নি নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। এরপরই মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন স্বাস্থ্য দফতর ও ঠাকুর পুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তবে আদতে কী ঘটেছিল বলতে চায়নি নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ।
অবশেষে উদ্ধার সিউরির (Siuri) নিখোঁজ (missing) শিশু। গত দুদিন আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিশুকে শনিবার সকালে পাথর চাপরি থেকে এক মহিলা তার বাড়িতে দিয়ে আসে। সেই শিশু সহ তার পরিবারকে ইতিমধ্যেই সিউরি থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ির ১৮ নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে ফের এক শিশু নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ শিশুর নাম নাজিমুদ্দিন মণ্ডল, বয়স ৮ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে চা খেয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবার জানায় অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপরই তদন্তে নামে সিউড়ি থানার পুলিস (police)। ওই এলাকা অন্তর্গত পুকুর-সহ অন্য জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছিল, তাঁদের ছেলেকে হয়তো কেউ অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। বেলা বাড়তেই এলাকায় এসে পৌঁছয় স্নিফার ডগ। ব্যবহার করা হয় ড্রোনও। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে তল্লাশি। তবে এদিন সকালে শেষমেশ উদ্ধার হয় নিখোঁজ শিশু।
শান্তিনিকেতনের ছায়া সিউড়িতে। এবার বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ির ১৮ নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে ফের শিশু নিখোঁজ (missing)। নিখোঁজ শিশুর নাম নাজিমুদ্দিন মণ্ডল, তার বয়স ৮ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে চা খেয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। এমনটাই পুলিসকে জানিয়েছে পরিবার। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে পাওয়া যায়নি। এরপরই সিউড়ি (Siuri) থানার পুলিস (police) তদন্তে যায়।
ওই এলাকা অন্তর্গত পুকুর-সহ অন্য জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলেকে হয়তো কেউ অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। বেলা বাড়তেই এলাকায় এসে পৌঁছয় স্নিফার ডগ। ব্যবহার করা হয়েছে ড্রোনও। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে তল্লাশি। তবে এখনও নিখোঁজ সেই শিশু।
এই ঘটনা মনে করিয়ে দিল সাম্প্রতিক শান্তিনিকেতন-কাণ্ডকে। যেখানে প্রায় ৫২ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর পড়শির বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয় এক শিশুর দেহ। যদিও সেই ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে বিস্তর গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্তর বাড়ি তল্লাশি করেও কেন প্রাথমিকভাবে শিশুকে উদ্ধার করা যায়নি। এই প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয়রা। এমনকি শিশু খুনে অভিযুক্ত সেই পড়শির বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মানুষ। গ্রেফতার করা হয় এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রুবি বিবিকে।
তাইল্যান্ডের (Thailanad Firing) এক বেবি ডে কেয়ারে এলোপাথাড়ি গুলি। শিশু-সহ নিহত কমপক্ষে ৩৪ জন। এই ঘটনার পর আত্মঘাতী হয়েছেন আততায়ী। এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নিহতদের মধ্যে ২২ জন শিশু (Child Death)। পুলিসের এক মুখপাত্র জানান, তাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব প্রদশে এক ক্রেশে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় জখম হয়েছেন আরও অনেকে।
বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাইল্যান্ডের এক চাইল্ড ডে কেয়ার সেন্টারে গুলি চালান প্রাক্তন এক পুলিসকর্তা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলি চালানোর পাশাপাশি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের কোপান বন্দুকবাজ। তবে কী কারণে হামলা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তাইল্যান্ডের নং বুয়া লম্ফু শহরে এই হামলা হয়েছে। বিবিসি সূত্রে দাবি, সম্প্রতি ওই পুলিশ আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়। তার জেরেই এই হামলা কিনা, খতিয়ে দেখবে প্রশাসন।
সুজিত সাহা: শত ক্লান্তির মাঝে একমুঠো পুজোর গন্ধ দূর করে দেয় সব হতাশা আর মলিনতা। আনন্দময়ী মায়ের আগমনে আনন্দে উদ্ভাসিত আবালবৃদ্ধবনিতা। এবার পুজোর উন্মাদনা একটু বেশি। হতে পারে বছর দুই করোনার জন্য পুজো নিয়ে তেমন মাতামাতির সাহস হয়নি। বর্তমানে কচিকাচারা বেস উন্মুক্ত, ব্যস্ত। ন'দশটা পুজোর জামাকাপড় কোনদিন কীভাবে পরবে, কীভাবে সাজবে, কোথায় যাবে, কী খাবে সবের চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত। নিউক্লিয়াস ফ্যামিলিতে বাচ্চাদের পরিবার বলতে মা-বাবা। কালের নিয়মে ঠাকুর দেখার ধরন বদলেছে। আমাদের সময়ে গোটাকতক সমবয়সী ছেলেমেয়েদের জোটের এ মণ্ডপ থেকে ও মণ্ডপ ঘোরা। সকাল-সন্ধ্যা যখন ইচ্ছা, সময়ের কোনও বাঁধন নেই।
পুজো শেষে পরিসংখ্যান কে, ক'টা ঠাকুর দেখলো তার পরিমাপ। আমাদের শৈশবে নতুন পোশাকগুলো পুজো শেষে পরিপাটি করে দেরাজে তুলে রাখা হতো। কারণ এরপর লক্ষ্মীপুজো এবং কালীপুজোয় পরতে হবে। কিন্তু বর্তমান বাচ্চাদের অনুভূতি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। তুই কোথায় খেয়েছিস? তোর এতগুলো জামা! আবার এতগুলো হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। হয়তো সরল শিশুমনে প্রভাব পড়ে পরিবার পরিবেশ থেকে। সে যাই হোক শিশু তো শিশুই। তাঁদের আনন্দ ভালবাসা নিয়েই তো শৈশব।
মুদিয়ালি বা শ্রীভূমি অথবা পাড়ার মণ্ডপে গাড়ি করে ঘোরা। বা পায়ে হেঁটে, একালের হোক বা সেকালের; শিশু মন চায় একটু ভিন্ন স্বাদ। গতানুগতিকতার বাইরে খোলামেলা জীবন। বাঁধনছেঁড়া অপু-দুর্গার রেলগাড়ি দেখার মতোন বিস্ময় চোখে কচিকাচারা নিজের মতো করে দুর্গাপুজো দেখার স্বাধীনতা, তাঁদের একাকিত্ব জীবনে খানিকটা অন্য হাওয়া বয়ে আনে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আলিয়া ভাটকে (Alia Bhat) টাইম ১০০ ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ডে (Time100 Impact award) ভূষিত করা হয় রবিবার সিঙ্গাপুরে। গর্ভবতী অভিনেত্রীকে সোনালি পোশাকে অপূর্ব সুন্দর লাগছিল। সেখানে তিনি বক্তৃতার সময় বলেন, তাঁর গর্ভে থাকা শিশুটি(Child) নিরলসভাবে লাথি মেরে চলেছে। আলিয়া তাঁর স্বামী রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor), তাঁর পরিবার এবং তাঁর টিমকে সর্বদা সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সাময়িকী, টাইম, বিশ্বব্যাপী নেতাদের স্বীকৃতি দেয় যাঁরা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী কাজ করেছেন। এর আগে এই সম্মান পেয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন।
সূত্রের খবর, আগামী বছরের শুরুতে বাবা-মা হবেন দুজনে। গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি অভিনেত্রী তাঁর বক্তৃতা শুরু করে বলেছিলেন, "আমার মনে হয় ১০ বছর আগে যখন আমি কাজ শুরু করি, তখন আমি শুধু ভেবেছিলাম যে আমি কীভাবে একদিন বিশ্বকে দখল করব। কীভাবে সবাই, সর্বত্র জানবে আমি কে। আমি নিখুঁত হতে চেয়েছিলাম এবং আমি চেয়েছিলাম যে বিশ্ব এটি জানুক।"
সবশেষে আলিয়া বললেন, শিশুটি পুরো বক্তৃতায় নিরলসভাবে লাথি মেরেছে তাঁকে। তবে এদিনের পুরস্কার যে তাঁর উপর প্রভাব ফেলেছে তা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন।
কেরলের (Kerala) পাথানামথিট্টার (Pathanamthitta) একটি পকসো আদালত (Pocso court) ৪১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ১৪২ বছরের জেল-সহ সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করে। এবং ১০ বছরের একটি শিশুকে দুই বছরের জন্য যৌন নির্যাতনের (sexually assaulting) করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আদালত লোকটিকে শাস্তি প্রদান করে। এবং বলে অভিযুক্ত যদি জরিমানা না দেয় তবে তাকে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এই ঘটনা এখনও পর্যন্ত জেলার একটি পকসো মামলায় অভিযুক্তকে দেওয়া সর্বোচ্চ শাস্তি।
আনন্দন পিআর ওরফে বাবু নামে ওই ব্যক্তিকে ১৪২ বছর জেল হেফাজত থাকতে হবে। ২০ মার্চ, ২০২১-এ, তিরুভাল্লা পুলিস তার বিরুদ্ধে ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি ১০ বছর বয়সী শিশুকে একাধিকবার নৃশংসভাবে যৌন নির্যাতন করার জন্য একটি মামলা দায়ের করে। বাবু আত্মীয় ছিল ওই শিশুর। এবং শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন।
পাথানামথিট্টা জেলা পুলিশ বলেছে, "মামলায় প্রধান পকসো প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জেসন ম্যাথিউস প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাক্ষীর বক্তব্য, মেডিকেল রেকর্ড এবং প্রমাণ প্রসিকিউশনের পক্ষে শক্তিশালী ছিল। হরিলাল, যিনি তিরুভাল্লা থানার পরিদর্শক ছিলেন, মামলাটি নথিভুক্ত করেন এবং তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।"
মহাপঞ্চমীতে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। দোলনায় চড়তে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু (death) এক ৯ বছরের শিশুর। দুর্গাপুজোয় (durga puja) এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকাহত শিশুটির পরিবার সহ এলাকাবাসীরা। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর (Ashokanagar) এলাকার।
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে একটি বাড়িতে কাপড় দিয়ে দোলনা বানিয়ে নয় বছরের শিশু সুদীপ পাইক তাতে চড়েছিল। তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল সে। পরবর্তীতে ওই বাড়ির অন্য এক শিশু আচমকাই দেখতে পায় গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় সে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সে তার মাকে জানালে, তিনি অন্যান্য লোকজনকে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় অশোকনগর হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শিশুটির বাড়ি বিরা এলাকায়, তবে মামার বাড়িতেই থাকতো সে মায়ের সঙ্গে। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর অশোকনগর থানার পক্ষ থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে। শুক্রবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বারাসাত হাসপাতালে।
রাশিয়ার (Russia) স্কুলে বন্দুকবাজের (Gunman Attack) হামলা। নাশকতার এই ঘটনায় কমপক্ষে ন’জনের মৃত্যু। গুলিবিদ্ধ অন্তত ২০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ শিশুও (Child Death)। সোমবার মধ্য রাশিয়ার এক শহরের স্কুলে গুলি চালায় এক বন্দুকবাজ। আন্তর্জাতিক এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার পরেই আত্মঘাতী ওই বন্দুকবাজ। স্থানীয়রা জানান, বন্দুক নিয়ে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আচমকা স্কুলে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করেন। নিহতদের মধ্যে স্কুলের এক রক্ষীও রয়েছেন।
ঠিক কী কারণে এই হামলা স্পষ্ট হয়নি। ঘটনার পরেই সুরক্ষার স্বার্থে স্কুলটি খালি করে দেওয়া হয়। বন্দুকবাজের পরিচয় এখনও জানা যায়নি, তদন্তে পুলিস।
এদিকে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের মাটিতে রুশ আগ্রাসন অব্যাহত। তবে এই আগ্রাসন থেকে খুব একটা লাভের গুড় ঘরে তোলেনি মস্কো। উলটে একসময় রুশ সেনার দখলে থাকা এমন অনেক শহর ক্রমেই দখলমুক্ত করছে ইউক্রেনীয় সেনা।
তারপরেও ইউক্রেনে নতুন করে সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণার পর থেকেই রাশিয়ার সাধারণ মানুষের মনে অসন্তোষ তুঙ্গে। রাশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। যুদ্ধে যেতে অনিচ্ছুকদের জন্য কঠোর পদক্ষেপের হুমকিও দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার স্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় নতুন করে চাঞ্চল্য।