Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

bjp

Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের

তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি। অভিযোগ, প্রচারে গিয়ে মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থীকে আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অভিযোগকে সামনে রেখে কমিশনে নালিশ বঙ্গ বিজেপির। অন্যদিকে এই অভিযোগে ইতিমধ্যে ডিজিকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। চারদিনের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে চাপের মধ্যে ডায়মণ্ডহারবারের বিদায়ী সাংসদ।

গত কয়েকদিন আগে প্রচারে গিয়ে মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির পোস্ট করা ভিডিও অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারে অভিষেক বলেছিলেন, “আপনি নির্ভয়া নন, আপনি নির্মম, আপনি বেহায়া, আপনি নিরুদ্দেশ, আপনি ব্যর্থ।” এই ‘বেহায়া’ শব্দটি নিয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ ঠুকেছে গেরুয়া শিবির। মানুষকে বঞ্চিত-লাঞ্ছিত-অত্যাচারিত ও শোষিত করে রাখার দলের প্রতিনিধি বলেও তোপ দাগেন তৃণমূল নেতা। আর তা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।

এরপরেই এই বিষয়ে ডিজিকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের। কমিশনের দাবি, বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর নামে যে মন্তব্য অভিষেক করেছেন তা সম্মানহানীকর। এর পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে ডিজিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে। এমনকি এই বিষয়ে ডিজিকে রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে। আর তা আগামী চারদিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

আর এর মধ্যেই এবার অভিষেকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। এবার কমিশন ভোটে মহিলাদের সম্মানের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখছে। কু-মন্তব্য যাতে কেউ না করে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এহেন অভিযোগ। বিজেপির দাবি, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে যেভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেছেন তাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছ। এমনকি প্রচার থেকে সাসপেন্ড করার দাবিও জানানো হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই নজর সবার। তবে অভিষেকের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক।

7 days ago
Jadavpur: যাদবপুর এখন কার?

প্রসূন গুপ্তঃ স্বাধীনতা উত্তর যুগে যে কয়েকটি এলাকা লাল দুর্গ হিসাবে খ্যাত হয়েছিল তার অন্যতম যাদবপুর। এর কারণও ছিল। অঞ্চলের বিশাল স্থানে এসেছিলো উদ্বাস্তুরা এবং ইতিহাস বলে বাম বা সিপিএম বা নক্সালরা যেখানে সংগঠন পোক্ত করেছিল তার বেশির ভাগই উদ্বাস্তু এলাকা ছিল। কিন্তু এই মিথটি ভেঙে দিয়েছিলেন ১৯৮৪/৮৫ তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ফের এই লোকসভা সিপিএমের হাতে চলে যায় ১৯৮৯ তে। ফের তৃণমূল দল তৈরি হলে এই যাদবপুর থেকে জিতে আসেন কৃষ্ণা বসু। ফের ২০০৪-এ ফের সিপিএমের হাতে আসে এই লোকসভা। কিন্তু ২০০৯ থেকে এই লোকসভা ফের চলে আসে তৃণমূলের হাতে।

যাদবপুর লোকসভায় ৭টি বিধানসভা আছে। টালিগঞ্জ, যাদবপুর, সোনারপুর ১ ও ২, বারুইপুর ১ ও ২ এবং ভাঙ্গর। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ৭টির মধ্যে ৬টি বিধানসভা যেতে তৃণমূল। একমাত্র ভাঙ্গরে আইএসএফ এর প্রার্থী নৌশাদ সিদ্দিকী জেতেন। গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী বিজেপির অনুপম হাজরাকে প্রায় ৩ লক্ষ ভোটে পরাজিত করেন। এবারে কিন্তু মিমি আর লড়াইয়ে নেই, এসেছেন আর এক গ্ল্যামার দুনিয়ার অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। বিরুদ্ধে বিজেপির উচ্চ শিক্ষিত অনির্বান গাঙ্গুলি এবং সিপিএমের সৃজন ভট্টাচার্য।

লড়াইটা কেমন হবে উঠেছে প্রশ্ন? প্রথমত এবারে লড়াই তৃণমূল বনাম বিজেপি নাকি তৃণমূলের লড়াই সিপিএমের সঙ্গে? বাম প্রার্থী সৃজন নব্য যুবা। জনপ্রিয়তা আছে তাঁর। একই সাথে জানতে হবে যে গতবারে লড়াই কিন্তু ত্রিমুখী হয়েছিল এই যাদবপুরেই। একমাত্র সিপিএম প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্য সারা বাংলায় নিজের জামানত রাখতে পেরেছিলেন। যদি সেই মোতাবেক ভোট হয় তবে সায়নীর বড়সড় ভোট জিতে আসাটা সমস্যার হবে না। কিন্তু যদি সৃজনকে খোদ সিপিএম ভোট না দিয়ে অনির্বাণকে দেয় তবে লড়াই জোরদার। আবার যদি সিপিএমের পুরাতন ভোট দলেই ফিরে আসে তবে লড়াই জোরদার তৃণমূলের সঙ্গে তাদের। সে যাই হোক না কেন কলকাতা, বিশেষ করে দক্ষিণ কলকাতা লাগোয়া যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র কিন্তু তৃণমূলের অন্যতম খাসতালুক ফলে অনেকটাই পা বাড়িয়ে খেলছেন সায়নী।

2 weeks ago
BJP: ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির, 'এক দেশ এবং এক ভোট' লাগু করার প্রতিশ্রুতি

পয়লা বৈশাখের শুভ দিনেই ইস্তেহার প্রকাশ বিজেপির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই 'সংকল্প পত্র' প্রকাশ হয় আজ রবিবার। ইস্তেহারে উন্নত ভারতের কথা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি 'মোদীর গ্যারেন্টি'র উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়।

দফায় দফায় একাধিক বৈঠক শেষে এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে। ইস্তেহারের নাম বিজেপির তরফে 'সংকল্প পত্র' রাখা হয়েছে। যেখানে মহিলা, কৃষক থেকে শুরু করে গরীব পরিবারের জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে।

পাশাপাশি যুব সম্প্রদায়, কৃষক পরিবারের প্রতিও একাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির সংকল্প পত্রে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে নির্মলা সীতারমণ, জেপি নাড্ডা সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন। তার আগে এদিন ইস্তেহার প্রকাশ করলেন নরেন্দ্র মোদী। যেখানে একাধিক বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রয়েছে এক দেশ এবং ভোট লাগু করার প্রতিশ্রুতি। পাশাপাশি নারীবন্দন আইন থেকে শুরু করে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

3 weeks ago


BJP Candidate: আলুওয়ালিয়া কঠিন শত্রুর মুখে

প্রসূন গুপ্তঃ অবশেষে একেবারে ভোট শুরুর দোরগোড়ায় আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করল পুরাতন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে। বড্ড দেরিতে এই ঘোষণা হলো। অঞ্চলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ অঞ্চলে প্রচার সেরে ফেলেছেন। এবারে প্রশ্ন এই আসানসোল কেন্দ্রে প্রার্থী ঠিক করতে এত দেরি হলো কেন?

প্রথমত একেবারে প্রথমেই ভোজপুরি গায়ক/অভিনেতা পবন সিংকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু বাঙালিকে নিয়ে পবনের একটি আপত্তিকর গানে তুমুল প্রতিবাদ ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। মানে মানে পবন এক প্রকার পালিয়ে যান ভোট লড়াই থেকে।

এরপর বিজেপি ভাবতে শুরু করে যে, একসময় পরপর দুবার এই লোকসভা জেতার পরে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় দল ছেড়ে, পদ ছেড়ে তৃণমূলে যদি দেন এবং তাদের সিম্বলে জিতে মমতা মন্ত্রিসভার সদস্য হন। অন্যদিকে উপনির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্রে প্রার্থী হন অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন এবং ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতে আসেন। কাজেই অঞ্চলটি যে বেশ কঠিন তা বেশ ভালো বুঝতে পারে বিজেপি। কিন্তু শত্রুর বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে পায় না তারা। একবার প্রাক্তন তৃণমূল এবং বর্তমানে বিজেপির নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে কে প্রার্থী করার ভাবনা আসে তাদের কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে গোপন বৈঠকের কথা জানতে পেরে জিতেনকে বাতিল করা হয়। অবাঙালি অধ্যুষিত এই অঞ্চলে শেষ পর্যন্ত আলুওলিয়াকে ঠিক করা হয়।

আলুওয়ালিয়া ২০১৪-তে দার্জিলিং থেকে সাংসদ হন, ২০১৯ পদ্মফুল চিন্হে জিতে আসেন বর্ধমান/ দুর্গাপুর থেকে। শেষ বার অবিশ্যি নামমাত্র ভোটে জেতেন আলুওয়ালিয়া। এই আলুওয়ালিয়া মূলত প্রয়াত সুষমা স্বরাজের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং লালকৃষ্ণ আদবানিরও পছন্দের মানুষ। সুরিন্দর আসানসোলের মানুষ, চমৎকার বাংলা বলেন, তাঁর স্ত্রীও বাঙালি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কিন্তু একটাই মাইনাস পয়েন্ট তিনি মোদী/শাহের অপছন্দের নেতা বলেই গুঞ্জন। শেষ পর্যন্ত উপায়ান্তর না দেখেই তাঁকে প্রার্থী করা হলো। সমস্যা হচ্ছে শত্রুঘ্ন কঠিন প্রার্থী। আসানসোলে প্রচুর বিহারী এবং মুসলিম ভোট। এ ছাড়া শত্রু বিহারীবাবুও বটে কাজেই বেশ কঠিন লড়াই আলুওয়ালিয়ার।

3 weeks ago
BJP: তমোঘ্ন ঘোষের বাড়িতে 'হামলা', প্রতিবাদে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার সামনে বিক্ষোভ বিজেপি সমর্থকদের

ভোটের আগে ফের অশান্তি বাংলায়। এবার বিজেপির উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার আগে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে হামলার আগে এক ব্যক্তি মুখে গামছা বেঁধে সাইকেলে করে এসে বাঁশ দিয়ে সিসিটিভি ভাঙে।

বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিবাদে বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার সামনে তমোঘ্ন ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। পালটা তৃণমূল সমর্থকরা হাজির হন সেখানে। চলে স্লোগান পালটা স্লোগান। সব মিলিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। বিক্ষোভ চলাকালীন থানায় এসে হাজির হন কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। ঘটনার জেরে রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।

3 weeks ago


BJP: ভূপতিনগরকাণ্ডে উদাসীন পুলিস, নালিশ কমিশনে, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ বিজেপির

ভূপতিনগরে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলার ঘটনায় এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে নালিশ বিজেপির। মূলত পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপার গ্রামীণ পূর্ব মেদিনীপুর, মহকুমা পুলিস অফিসার কন্টাই এবং ভূপতিনগরের ওসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছে পুলিস। কিন্ত পুলিসের এই পক্ষপাতিত্ব কাম্য নয়। তাই পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে কমিশনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি বিজেপির।

প্রসঙ্গত, ভূপতিনগরকাণ্ডের তদন্তে অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে আটক করতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছিল এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাঁশ-লাঠি নিয়ে সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর হামলার ঘটনা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর শাসকদলের দুষ্কৃতিদের ধেয়ে আসার ঘটনা। কিন্তু বঙ্গে সত্য উদঘাটন করতে গেলে কেন বার বার আক্রান্ত হতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই? স্থানীয় পুলিস প্রশাসন কেন নিরুত্তাপ এই ঘটনায়। তবে কি সত্যিই প্রশাসনের অঙ্গুলিহেলনেই চলে পুলিস? কমিশনের হস্তক্ষেপেই মিলবে সব প্রশ্নের জবাব তা বলাই বাহুল্য।

3 weeks ago
Tapas Roy: রবিবাসরীয় সকালেও প্রচারে ব্যস্ত বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়...

হাতে গোনা আর কয়েকটা মাত্র দিন। তারপরেই শুরু হতে চলেছে দিল্লির কুরসি দখলের লড়াই। রবিবাসরীয় সকালে কলেজ স্কোয়ারে মর্নিং ওয়াক থেকে শুরু করে চায়ে পে চর্চার মাধ্যমে জনসংযোগ সারেন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। চায়ের আড্ডায় যোগ দিয়ে বিজেপির দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথাও শোনেন তিনি।

উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে মূলত গণতন্ত্রের সম্মানের লড়াই হতে চলেছে। এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে আক্রমণ করেন তাপস রায়। সংসদে কোনওদিন উত্তর কলকাতার মানুষদের দাবিদাওয়ার কথা জানাননি সাংসদ, অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর।

কলেজ স্কোয়ারে প্রচার সেরে বেলেঘাটার সিআইটি রোডে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। এদিন হুড খোলা জিপে চড়ে নির্বাচনী প্রচার সারেন তিনি। উত্তর কলকাতায় জয় নিশ্চিত, জানান জয়ের বিষয় আত্মবিশ্বাসী তাপস। 

এনআই-এর উপর হামলার ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করেন তাপস রায়। এছাড়াও উত্তর কলকাতার একাধিক বেআইনি নির্মাণের বিষয়েও চিন্তাপ্রকাশ করেন তিনি।

প্রতিপক্ষ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনও দুর্নীতিগ্রস্ত তো কখনও সুবিধাবাদী বলে কটাক্ষ করেছেন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। এর থেকেই স্পষ্ট যে লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। তবে শেষ হাসি কে হাসবে তা জানতে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে রাজ্যবাসীকে।

4 weeks ago
Sheikh Shahjahan: বিজেপির 'দালাল'রা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে বলছে, দাবি শেখ শাহজাহানের

'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র' করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে, কয়েকদিন আগে এমনই দাবি করেছিলেন শেখ শাহজাহান। এবার বিজেপি মিথ্যে কথা বলছে সরব হন তিনি। আজ, শুক্রবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল সন্দেশখালির বাঘকে। সেখান থেকে বেরোনোর সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।

শেখ শাহজাহান এদিন দাবি করেছেন, বিজেপির দালালরা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা বলছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক পাচারকের অভিযোগ ছিল। যেটা একেবারেই মিথ্যে বলে দাবি করেছেন তিনি। কোনও রকম মাদক কারবারের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শেখ শাহজাহান।

এদিকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে শেখ শাহজাহানকে দেখে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভকারীরা তাঁকে দেখে 'চোর চোর' স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন শেখ শাহজাহানকে নিরাপত্তা না দিয়ে বুথে নিরাপত্তা দেওয়া। একজন চোরকে নিরাপত্তা দিয়ে কি হবে। তার চেয়ে বুথে বুথে নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে অপরাধীরা জেল থেকে ছাড়া পাবে না। সন্দেশখালির অপরাধীদের সারাজীবন জেলেই থাকতে হবে। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টও সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে। কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে যদি সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের একটি ঘটনাও ঘটে থাকে তাহলে শাসক দল সেটার দায় এড়াতে পারেন না।

ইডির উপরে হামলার পর ৫৫ দিন পলাতক ছিলেন তিনি। ৫৬ দিনের দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরে সিআইডি হেফাজতে ছিলেন শাহজাহান শেখ। সেখান থেকে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নেয়। কিন্তু একটা কথাও তাঁরা বলাতে পারেনি। তারপরে ইডি হেফাজতে মুখ খুলেছিলেন শাহজাহান শেখ। সেখানেই তিনি দাবি করেছেন, সন্দেশখালিতে মানুষের উপকারেই কাজ করেছেন তিনি। কারোর এক টুকরো জমি তিনি দখল করেননি।

4 weeks ago


Tapas Roy: ভোট প্রচারে তাপস রায়, জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি প্রার্থী

লোকসভা আবহে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। গ্রীষ্মের দাবদাহকে উপেক্ষা করেই চলছে নির্বাচনী প্রচার। শুক্রবার সকাল সকাল প্রচার সারলেন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। বেলেঘাটার লোহাপোল এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ সারেন তিনি। সেখানে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথাও শোনেন তিনি।

উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে কোনও লড়াই-ই নেই। তিনিই জিতছেন এই কেন্দ্র থেকে, নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে জানালেন জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তাপস। এর আগেও একাধিকবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

প্রতিপক্ষ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনও দুর্নীতিগ্রস্ত তো কখনও সুবিধাবাদী বলে কটাক্ষ করেছেন উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। এর থেকেই স্পষ্ট যে লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। তবে শেষ হাসি কে হাসবে তা জানতে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে রাজ্যবাসীকে।

4 weeks ago
Narendra Modi: মোদীই ভরসা বিজেপির

প্রসূন গুপ্তঃ ২০২৪-এর লোকসভা ভোটটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। নরেন্দ্র মোদীর স্লোগান, ইস বার ৪০০ পার। চাট্টিখানি ব্যাপার নয়, ৫৪৩ আসন বিশিষ্ট লোকসভা একক শক্তিতে ৪০০ পার একবারই হয়েছিল। ১৯৮৪/৮৫ তে রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে। এছাড়া ৩৫০ পার করেছেন জওহরলাল নেহেরু এবং ইন্দিরা গান্ধী। এখনও পর্যন্ত সেরা ফল নরেন্দ্র মোদীর ৩০৩, যা কিনা গত লোকসভায় আসন পেয়েছিলেন। প্রথমত নেহেরু, ইন্দিরা বা রাজীব পেরেছিলেন কারণ সারা ভারতে কংগ্রেসের ভোটার ছিল এবং যস্মিন রাজ্যে যদাচার ফর্মুলাতে এই জয় পেয়েছিলেন তাঁরা। পক্ষান্তরে মূলত হিন্দি এবং পশ্চিমী সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত বিজেপি কিন্তু দক্ষিণে কর্ণাটক ছাড়া কোথাও সংগঠন করতেই পারেনি। বলতে গেলে পূর্ব ভারতেও কিন্তু একক শক্তি একমাত্র অসম ও ত্রিপুরা ছাড়া কোথায়? আজ অবধি বিহারেও একক শক্তি গড়ে তুলতে পারেনি কেন্দ্রীয় বিজেপি।

দেখা গিয়েছে, ২০১৯-এ রাজস্থান, গুজরাত, হরিয়ানা, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, ঝাড়খন্ড, কর্ণাটক এবং ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছিল বিরোধীদের। কোথাও শূন্য কোথাও একটি বা দুটি আসনের বেশি বিরোধীদের বাক্সে আসেনি কিছুই। এছাড়া উত্তরপ্রদেশে ৮০ তে ৬২+, এনডিএ ৪ , বিহারে জোট নিয়ে ৪০ এ ৩৯ এবং মহারাষ্ট্রে গোটা পাঁচেক আসন ছাড়া ৪৩ টি আসন জয় করেছিল বিজেপি এবং তাদের ভীষণ কাছের জোট। এখানেই এবং অসম, ত্রিপুরা, উড়িষ্যা ইত্যাদি রাজ্য ধরে সব মিলিয়ে ২৫০টির বেশি আসন পেয়েছিলো বিজেপি+ জোট। পরে দক্ষিণ ভারত-পূর্ব ভারত, পশ্চিমবঙ্গ ইত্যাদি নিয়ে বিজেপি একা ৩০৩ এবং জোট সহ ৩৫০-র উপর আসন পেয়েছিলো। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির সেরা ফল বলেই গণ্য করেছে বিশেষজ্ঞ মহল।

এবারে তার থেকে বেশি আসনের জায়গা কোথায়? অন্দরের খবর মহারাষ্ট্র, বিহার, ঝাড়খন্ড, কর্ণাটক, দিল্লি এবং হারিয়ানাতে আসন কমছে বিজেপির। উত্তরপ্রদেশ দাঁড়িয়ে আছে যোগী আদিত্যনাথের জনপ্রিয়তার উপর। কাজেই কোথাও মোদীর জনপ্রিয়তাকে ফের তুলে ধরে একক সংখ্যাগরিষ্টতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। তাই যে ভাবেই হোক পশ্চিমবঙ্গের ২৫/২৬ আসন  টার্গেট করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কাজটি কিন্তু বেশ জটিল।

4 weeks ago


Mahua Moitra: 'খুলে হ্যায় বিজেপি কে দ্বার...', বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পোস্ট মহুয়ার

প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্তমানে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে ইডি। এই প্রেক্ষিতে মহুয়া মৈত্র সংসদে টাকার বদলে প্রশ্ন কাণ্ডে কটাক্ষপূর্ণ পোস্ট করলেন সমাজমাধ্যমে। এর আগে সিবিআই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মামলা করে তাঁর নিউ আলিপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ইডি মহুয়া মৈত্রকে এর আগে তিনটি সমন পাঠালেও, তিনি হাজিরা দেননি।

বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়া পোস্ট করে লেখেন, 'খুলে হ্যায় বিজেপি কে দ্বার/ আ যাও নহি তো অব কে বার— তিহাড়।' যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, 'বিজেপির দরজা খোলা আছে। চলে এস, নইলে এই বার ঠিকানা তিহাড়।' অর্থাৎ, বিজেপির বিরুদ্ধে ফের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির অভিযোগ তুললেন মহুয়া।


ইডির অভিযোগ, তৃণমূল নেত্রী ফেমার নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। এর আগে ইডি মহুয়া মৈত্রকে ফেমা সম্পর্কিত একটি মামলায় সমন পাঠিয়ে ২৮ মার্চ হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময় মহুয়া মৈত্র বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত থাাকায় তিনি হাজির হতে পারবেন না।

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে সংসদে টাকার বদলে প্রশ্ন মামলায় লোকপালের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। লোকপালের তরফে এব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। লোকপাল সিবিআইকে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ছয় মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল লোকপাল। লোকপাল তার আদেশে বলেছিল মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মূল্যায়নের পরে দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রমাণ রয়েছে এবং তা খুবই গুরুতর প্রকৃতির। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতে দুবাই ভিত্তিক ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ ও উপহারের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। যদিও মহুয়া মৈত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, মহুয়া মৈত্র লোকসভা সদস্য হিসেবে পোর্টালের লগইন পাসোয়ার্ড দর্শন হিরানন্দানিকে শেয়ার করেছিলেন। নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ অনুযায়ী, মহুয়া মৈত্র লোকসভায় অন্তত ৫০ টি এমন প্রশ্ন করেছিলেন, যা হিরানন্দানি ও তার পরিবারের ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। বিজেপি সাংসদ আরও অভিযোগ করেছিলেন, এই প্রশ্ন করার পরিবর্তে মহুয়া মৈত্র নগদে দুই কোটি টাকা পেয়েছিলেন। মহুয়া মৈত্র নিজের লোকসভার পোর্টালের লগইন পাসোয়ার্ড শেয়ার করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিযোগ ওঠার পরে লোকসভার অধ্যক্ষ এম বিড়লা একটি কমিটি গঠন করেন। সেখানে নিশিকান্ত দুবে, মহুয়া মৈত্র-সহ অনেকের বয়ান রেকর্ড করা হয়।

এরপর গত নয় নভেম্বর ক্যাশ ফর কোয়ারির অভিযোগে মহুয়া মৈত্রের লোকসভা সদস্যপদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। কমিটির ছয় সদস্য রিপোর্টের পক্ষে ভোট দেন এবং গত ডিসেম্বরে মহুয়া মৈত্রের লোকসভা সদস্যপদ খারিজ করা হয়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কৃষ্ণনগর আসন থেকে মহুয়া মৈত্রকে ফের মনোনয়ন দিয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী আবারও তাঁর জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।

4 weeks ago
Municipality: বিজেপির কার্যালয় হিসেবে ভাড়া নেওয়া বাড়ি, ৭ দিনের মাথায় অবৈধ নির্মাণের নোটিশ

গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ের পর থেকে একের পর এক বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠে আসছে প্রকাশ্যে। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের নাকের ডগায় এতো অবৈধ নির্মাণ কীভাবে সম্ভব? তাহলে কি এতদিন ঘুমিয়ে ছিল বাংলার প্রশাসন? এই আবহেই সল্টলেক এফডি ব্লকে দেখা গেল প্রশাসনের অতিসক্রিয়তা।

জানা গিয়েছে, সল্টলেকের এফডি ব্লকের ১৮০ নম্বর বাড়ি, নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। সাত দিন আগে এই বাড়িটি অস্থায়ী রূপে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ের জন্য ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। তারপরেই সোমবার বিকেলে বেআইনি নির্মাণ ঘোষণা করে নোটিশ বিধাননগর পুরনিগমের। ৭ বছর আগে নির্মাণ হওয়া বাড়ির অবৈধতা নিয়ে প্রশ্ন এতদিন পরে কেন? তাহলে কি বিজেপিকে ভাড়া দেওয়াতেই এই আক্রোশ প্রশাসনের? বাড়ির মালিক জানালেন সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই বাংলায়।

তবে এলাকার কাউন্সিলর বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, অবৈধ নির্মাণ বলেই নোটিশ গেছে। বাড়ির মালিক প্রমাণ করুক বাড়ি বৈধ কিনা।

এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি বিরোধীদের প্রতি স্বাভাবিক প্রতিহিংসার কারণেই প্রশাসনের এই পদক্ষেপ? না হলে এতদিন কেন ফেরেনি হুঁশ? বিরোধীরা বারংবার দাবি করেন, শাসকদলের কারণেই বাংলায় সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। বিরোধী দলের নির্বাচনী কার্যালয় হওয়ার ৭ দিনের মাথাতে প্রশাসনের অবৈধ নোটিশ যে সেই দাবিতেই শিলমোহর, তা বলাই বাহুল্য।

4 weeks ago
Arjun Singh: ভোট আবহে কেন্দ্রের নয়া চমক! বঙ্গে সড়ক নির্মাণে অনুমোদন কেন্দ্রের

লোকসভা আবহে রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর কেন্দ্রীয় সড়ক, পরিবহন এবং মহাসড়ক মন্ত্রকের। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অর্জুন সিং-কে চিঠি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরির। এক্স হ্যাণ্ডেলে সেই কথা নিজেই জানান অর্জুন সিং। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি জানান, কেন্দ্রের তরফে বারাসত-বঢ়জাগুলি বিভাগের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে চার লেন তৈরির কাজে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের তরফে ৩৫২.০১ কোটি টারা বরাদ্দ করা হয়েছে।

এই মুহুর্তে দেশজুড়ে লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। সেকারণে ভোটপর্ব মিটলেই শুরু হবে এই রাস্তা তৈরির কাজ। ফলে সাধারণের যাত্রী ভোগান্তি কমবে, এছাড়াও এলাকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এই প্রকল্প, আশাবাদী অর্জুন সিং।

রাজ্যের একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ কেন্দ্র। বারবার সংবাদমাধ্যমের সামনে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের ছবিও উঠে এসেছে। বলাই বাহুল্য, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার ইস্যুই যখন রাজ্যের শাসকদলের ভোটপ্রচারের প্রধান বিষয়, সেই মুহূর্তেই কেন্দ্রের বিরাট ঘোষণা। তবে কি বাংলায় নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করতেই নয়া চমক বিজেপির? প্রশ্ন ওয়াকিবহল মহলের।

4 weeks ago


Election: ফের একবার বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে কোচবিহার আসবেন নরেন্দ্র মোদী

বেজে গিয়েছে লোকসভা ভোটের দামামা। সাত দফায় লোকসভা ভোটের নির্বাচন হতে চলেছে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত চলবে ভোটগণনা পর্ব। প্রথম দফায় কোচবিহারে লোকসভা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে নির্বাচনী প্রচারে দেখা যাবে নেতা মন্ত্রীদের। আগামী ৪ এপ্রিল কোচবিহারে লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের আমন্ত্রণে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

সূত্রের খবর, আগামী ৪ এপ্রিল কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে নির্বাচনী প্রচার সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই রাসমেলা মাঠ পরিদর্শন করে কোথায় কী হবে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারে আসার চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই রবিবার কোচবিহার রাসমেলা ময়দান পরিদর্শনে গেলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিদর্শক মঙ্গল পান্ডে, কোচবিহার বিজেপি জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায়, বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা। 

চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রী দুদিনের জন্য় বাংলা সফরে এসেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণার আগে আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসত জনসভা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। 

a month ago
Dilip Ghosh: তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াতে চাইছে না, প্রার্থী না পেয়ে 'ইউসুফে' ভরসা! বিস্ফোরক দিলীপ

বৃহস্পতিবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে বিস্ফোরক বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি ইউসুফ পাঠান ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। যদিও ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন আক্রমণের জন্য দিলীপ ঘোষকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন।

তৃণমূল এবার রেকর্ড গড়ার আশায় বহরমপুরে প্রার্থী করেছে ইউসুফ পাঠানকে। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন, ইউসুফ পাঠান থাকেন গুজরাতে। একটা শব্দ বোঝেন না, বাংলায় তাঁকে নিয়ে এসেছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের টিকিটে কেউ দাঁড়াতে চাইছে না। প্রার্থী পাচ্ছে না শাসক দল।

দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, পুরনোরা রিজেক্ট হয়ে যাচ্ছে তাও কিছু লোককে পাল্টাতে পারেনি, রেখেছে। তাঁদের হোয়াইটওয়াশ করার চেষ্টা হচ্ছে। আর প্রার্থী খুঁজতে খুঁজতে বিহার পার হয়ে গুজরাত চলে গিয়েছে। তৃণমূলের অবস্থা বোঝাই যাচ্ছে, যার টিকিট কেউ দাঁড়াতে চায় না, তারা জিতবে টা কী করে! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ডায়মন্ড হারবারে হাই প্রোফাইল দলীয় বৈঠক করেছেন। সেখানে একলক্ষের বেশি ভোটে জেতার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওখানে সবার সব সময় হাই প্রোফাইল থাকে, লো প্রোফাইল হয় না। ওখানে একটা আলাদা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চলে, ওয়েস্ট বেঙ্গল গর্ভমেন্টের থেকে আলাদা।

নাম না করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রকে উনিও আলাদা দেখাতে চান। তিনি বলেন, সরকারের টাকা নেই, ওখানে বিলিয়ে দেয় কী করে? এত খরচা করেছেন। একটাই লোকসভা আছে নাকি? বাকি ৪১ টার কী হয়েছে, কেন সরকার দেখে না। এদিক ওদিক লুটপাট করে সব লোককে দেখাচ্ছেন! দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, ডায়মন্ড হারবারের মানুষের জীবনে কী উন্নতি হয়েছে, সামাজিক কি পরিবর্তন হয়েছে, বড় বড় কথা বলেন।

শান্তনু ঠাকুর, রেখা পাত্রকে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাধা দেওয়া ছাড়া কী করবে তারা? রেখা পাত্রকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছিল, সন্দেশখালি তার জবাব দিয়ে দিয়েছে। রেখা পাত্রকে বুকে টেনে নিয়েছে। এই ধরনের রাজনীতি এবার বাংলা থেকে বিদায় নেবে, বলেছেন তিনি।


a month ago