Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

bengaluru

App Cab: 'প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছে বুকিং বাতিল করুন', ক্যাব চালকের উত্তর মন জিতল নেট দুনিয়ার

দেশজুড়ে অ্যাপ–ক্যাব (App Cab) নিয়ে বিস্তর অভিযোগ যাত্রীদের। ইচ্ছামতো ভাড়া নেওয়া, কখনও দূরত্বের অজুহাতে বা কখনও নগদে টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়ে, আবার অনেকসময় অনেক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে বুকিং বাতিল (Booking Cancel) করেন ক্যাব চালকরা। যাত্রী হয়রানির ভুরিভুরি অভিযোগ রয়েছে অ্যাপ ক্যাব চালকদের বিরুদ্ধে। কিন্তু সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) ক্যাব চালক ও যাত্রীর মধ্যে মেসেজের মাধ্যমে কথোপকথনের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।

অশি একটি ক্যাব বুকিং করেছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপরও ক্যাবটি না আসায় চ্যাট বাক্সতে মেসেজ করার কথা ভাবেন। চ্যাট বক্স খুলতেই নজরে পড়ল আগে থেকেই একটি মেসেজ এসেছে ক্যাব চালকের থেকে। যা দেখে একেবারে অবাক হয়ে যান অশি। এরকম ধরনের বার্তা কোনওভাবেই তিনি আশা করেননি। ক্যাব চালক লিখেছেন, ‘‘আপনি ট্রিপ বাতিল করে দিন। আমার প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছে।’’ এরপর মেসেজের উত্তরে তরুণী লেখেন,‘ওকে’।

গোটা কথোপকথনটির স্ক্রিনশট তুলে টুইটারে নিজের পাতায় শেয়ার করেন অশি। কয়েক মুহূর্তে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যায় এই পোস্ট। অনেকেই ক্যাব চালককে সত্যি কথা বলার জন্য প্রশংসা করেন। কারণ অনেকেই মিথ্যে অজুহাত দেখিয়ে বুকিং ক্যান্সেল করে দেন।

one year ago
Viral Video: উড়ালপুল থেকে টাকার বৃষ্টি! বেঙ্গালুরুর রাস্তায় কুড়নোর হিড়িক, তাজ্জব পুলিস

টাকার বৃষ্টি! তাও আবার উড়ালপুল থেকে। বিশ্বাস হচ্ছে না, তাইতো? সত্যি সত্যি এমন ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) কেআর মার্কেটে সেতুর (flyover) নিচে। সঙ্গে সঙ্গেই নোট কুড়োনোর হিড়িক পড়ে গেল রাস্তায়। স্বাভাবিক ভাবেই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার আজব ঘটনার সাক্ষী থাকল পথচলতি মানুষ। এক ব্যক্তিকে উড়ালপুল থেকে ১০ টাকা (10 Rupees) ছড়াতে দেখে অবাক নেটপাড়ার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়।

ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, এক যুবক গলায় একটি দেওয়াল ঘড়ি ঝুলিয়ে রেখেছেন। তিনি মুঠো মুঠো নোট ছড়িয়ে দিচ্ছেন নীচের দিকে। এই টাকা বৃষ্টি দেখে এক মুহূর্তের জন্য হতভম্ব হয়ে যান সবাই। তারপরই টাকা সংগ্রহের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যে যেভাবে পারছে টাকা নিয়ে পকেটে ভরছেন। ঘটনার ভিডিও করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সেখানে উপস্থিত কেউ। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।

নোট কুড়োনোর হিড়িকে, বাস, গাড়ি সব দাঁড়িয়ে টাকা কুড়োতে থাকে। এর ফলে অল্প সময়ের জন্য হলেও যানজট সৃষ্টি হয়। বেঙ্গালুরুর ওয়েস্ট ডিভিশনের ডিএসপি লক্ষ্মণ নিম্বারগি বলেন, যে ব্যক্তি টাকা ছড়াচ্ছিলেন তাঁর সম্পর্কে কোনও তথ্য এখনও মেলেনি। কী উদ্দেশ্যে এ কাজ তিনি করেছেন তা জিজ্ঞাসাবাদের পরই জানা যাবে। ওই যুবকের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মণ নিম্বারগি।

যে নোট তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন, তা আদৌ আসল কিনা, সে বিষয়েও নিশ্চিত নয় পুলিস।

one year ago
Viral: জ্যাম ঠেলে সময়ে বিয়েতে পৌঁছনো অসম্ভব! তাই ছাদনাতলায় পৌঁছতে মেট্রোয় চাপলেন কনে

মাঝরাস্তায় গাড়ি থেকে নেমে বিয়ের কনে (Bride in MEtro) ছুটলেন মেট্রোর দিকে। সঠিক সময়ে বিয়ের মণ্ডপে না পৌঁছতে পারলে লগ্নভ্রষ্টা হবেন। তাই কোনও কিছু না ভেবেই কনে এবং তাঁর কয়েকজন কনেযাত্রীকে নিয়ে মেট্রোয় উঠে পড়লেন। বিরল এই ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru Incident)। বিয়ের সাজে কনেকে মেট্রোয় দেখে সকলেই বিস্মিত!

বিয়ের কনে মেট্রোয় চেপে ছাদনাতলায়, এই দৃশ্য একেবারেই বিরল। ফলে এই ঘটনা মুহূর্তবন্দি করতে পিছুপা হয়নি সহযাত্রীরা। ফলে মুহুর্তের মধ্যে ভাইরালও হয়েছে  ভিডিওটি। তবে কেন এমন ঘটনা, সকলের মধ্যেই উঠছে প্রশ্ন। বেঙ্গালুরুতে দিনের পর দিন গাড়ির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যে কারণে যাত্রীদের রোজদিন ট্রাফিক জটে পড়তে হয়। ঘটনার দিনে শহরের রাস্তায় তীব্র যানযটের মুখে পরে কনের গাড়ি। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে তাঁরা অপেক্ষার পর মেট্রোয় গন্তব্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। এরপরই কনে তার কয়েকজন সঙ্গী ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মেট্রোয় উঠে পড়েন।

হাসিমুখে কনেযাত্রীদের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা গিয়েছে কনেকে। পরে জানা গিয়েছে, নির্বিঘ্নে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে ওই কনের।

one year ago


Murder: স্ত্রীকে খুনের আগে শ্যালককে হোয়াটসঅ্যাপ, বেঙ্গালুরুতে পলাতক কলকাতার ইঞ্জিনিয়ার

বিয়ের ৬ মাসের মাথায় খুন (Murder) হলেন স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। মাস ছয়েক আগে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে (Marriage) করেন বছর বাইশের নাজ থানুম। পরিবারের অনুমতিতে মাস কয়েক আগে বিয়ে হয় তাঁদের। পলাতক স্বামী পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। চাকরি সূত্রে তাঁরা দুজনেই বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই স্ত্রীকে সন্দেহ করতে থাকেন তাঁর স্বামী। অশান্তির চরমে পৌঁছলে স্ত্রীকে হত্যা করার ছক কষেন ওই যুবক। এরপর স্ত্রীকে খুন করে পালায় অভিযুক্ত স্বামী। অভিযুক্তর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।

পুলিস সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান করা হচ্ছে অভিযুক্তর আসল বাড়ি কলকাতায়। তবে ওই যুবক স্ত্রীকে খুন করে পালানোর আগে তাঁর শ্যালককে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন। অভিযুক্ত স্বামীর নাম নাসির হোসেন।

কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। মাত্র ২০ দিন আগেই সুভাষনগর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন ওই নবদম্পতি। বিয়ের পর থেকেই নানারকম কারণ নিয়ে অশান্তি চলতে থাকে। সেই অশান্তি এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছয় যে অভিযুক্ত স্বামী তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেন।

one year ago
Accident: বেঙ্গালুরুতে নির্মীয়মাণ মেট্রোর পিলার ভেঙে মৃত্যু মা-শিশুর, গুরুতর জখম আরও ২

মেট্রোর নির্মীয়মাণ পিলার ভেঙে পড়ে আচমকা মর্মান্তিক মৃত্যু। আর তার জেরে এক মহিলা এবং তাঁর তিন বছরের শিশুপুত্রের মৃত্যু (Death) হয়েছে। গুরুতর জখম ওই মহিলার স্বামী এবং  অন্য এক সন্তান। ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru Hospital) আউটার রিং রোড ভর্তি করানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এলাকা দিয়ে বাইকে করে দুই যমজ সন্তানকে নিয়ে যাচ্ছিলেন দম্পতি। তখনই মেট্রো প্রকল্পের একটি পিলারের অংশ তাদের উপর ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থেল পৌঁছয় পুলিস এবং বেঙ্গালুরু মেট্রো কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা। সঙ্গে সঙ্গে চার জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা চলাকালীন মারা গিয়েছেন তেজস্বিনী এবং তাঁর ছেলে। স্বামী এবং মেয়ের চিকিৎসা চলছে।

বেঙ্গালুরু পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (ইস্ট) বিএস গুলেড় জানান, নির্মীয়মাণ পিলারের লোহার খাঁটার কাজ চলছিল। তখনই পায়ারের অংশ ভেঙে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তেজস্বী নামে ২৫ বছরের ওই মহিলা এবং তাঁর শিশুপুত্র বিহানের মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন দুর্ঘটনার সময় সকলেই হেলমেট পরে ছিলেন।

বেঙ্গালুরুর আগে মুম্বইয়ে এমন ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। থানের ভিভানা মলের কাছে মেট্রেরা পিলারে লাগানো ধাতব অংশ খুলে পড়ে মৃত্যু হয় ওই কাগজ কুড়ানির। ধাতব পাত সরাসরি তাঁর উপরে এসে পড়ে। ধাতব খাঁচায় আটকে পড়েন ওই মহিলা। এরপরেই তাঁর মৃত্যু হয়।

one year ago


Air India: বিমানের মধ্যে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিস

এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমানে বয়স্কা সহ-যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনায় নয়া মোড়। ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক মুম্বই (Mumbai) নিবাসী শঙ্কর মিশ্রকে (Shankar Mishra) বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে গ্রেফতার (arrested) করল দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। বেশ কয়েকদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে পুলিসি জালে ধরা পড়লেন তিনি। শঙ্করকে গ্রেফতার করার জন্য তাঁর নামে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল। তিনি যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, তার জন্য দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল।

সূত্র মারফত খবর, অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্র বেঙ্গালুরুতে একটি হোম-স্টেতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দিল্লি পুলিস, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতে অভিযান চালাচ্ছিল। কারণ এই দুটি শহরেই তাঁর অফিস রয়েছে এবং তিনি প্রায়শই এই শহর দুটিতে ভ্রমণ করতেন। শেষমেশ দিল্লি পুলিসের একটি দল তাঁর অবস্থান জানতে পেরে সেখানে হানা দেয়।

উল্লেখ্য, শঙ্কর মিশ্র নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এক বৃদ্ধা যাত্রীর উপর প্রস্রাব করেছিলেন। অভিযোগ, নভেম্বরে নিউ ইয়র্ক- দিল্লি বিমানে তিনি বিজনেস ক্লাসে নিজের প্যান্টের চেন খুলে এক মহিলার উপর প্রস্রাব করেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে তাঁর সংস্থা ওয়েলস ফার্গো। ওই সংস্থা জানিয়েছে, শঙ্কর মিশ্রের উপর ওঠা অভিযোগ 'অত্যন্ত বিরক্তিকর'।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কোম্পানিটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ওয়েলস ফার্গো কর্মীদের পেশাদার এবং ব্যক্তিগত আচরণের সর্বোচ্চ মান ধরে রাখে এবং এই অভিযোগুলিকে আমরা অত্যন্ত বিরক্তিকর বলে মনে করি। ওই ব্যক্তিকে ওয়েলস ফার্গো বরখাস্ত করেছে।" শঙ্কর মিশ্র যখন নিখোঁজ ছিল, তখন তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়া শঙ্কর মিশ্রকে ৩০ দিন তাদের সংস্থার বিমানে ওঠার উপর নিষোজ্ঞা আরোপ করেছে। যদিও শঙ্কর মিশ্রের বাবা দাবি করেছেন, তাঁর ছেলেকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য এ কাজ করা হয়েছে।

one year ago
Police: আজব! রাত ১১টার পর বাইরে থাকায় বেঙ্গালুরুতে দম্পতির থেকে হাজার টাকা ফাইন

রাত ১১টার পর বাড়ির বাইরে থাকা অপরাধ। আর এর শাস্তিস্বরূপ দম্পতিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা (Fine) পুলিসের। অনেক কথা কাটাকাটির পর ১ হাজার টাকায় রফা হয় বিষয়টি। এমন আইন হয়ত ভারতবর্ষের কোনও প্রান্তেই নেই। ভয়ানক সেই অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমে (Social Media) ভাগ করে নিয়েছেন বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) বাসিন্দা কার্তিক পত্রী।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ বেঙ্গালুরু পুলিসের এই হয়রানির শিকার হয়েছেন ওই দম্পতি। জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির প্রায় কাছেই পথ আটকায় দুই পুলিস আধিকারিক। তাঁদের জানায় রাত ১১ টার পরে বাড়ির বাইরে থাকা একপ্রকার 'আইন লঙ্ঘন'। এরপর তাঁদের কাছে প্রথমে পরিচয় পত্র দেখতে চান ওই আধিকারিকরা। ফোনে আধার কার্ডের ছবি দেখাতেই ৩০০০ টাকা জরিমানা করেন বলে অভিযোগ জানান ওই দম্পতি।

কার্তিক জানিয়েছেন, ওই পুলিসকর্মীদের দাবি মতো মোবাইল ফোনে আধার কার্ডের ছবি দেখান তাঁরা। অভিযোগ, সেই ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এর পরই তাঁদের মধ্যে এক জন চালানের বই বার করে আমাদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করতে শুরু করেন। কার্তিক জানতে চান, কেন এ সব চাওয়া হচ্ছে? অভিযোগ, তখন এক পুলিশকর্মী তাঁদের ধমকের সুরে বলেন, “রাত ১১টার পর রাস্তায় ঘোরার কোনও অনুমতি নেই।” কার্তিক বলেন, “এমন কোনও আইন তিনি শোনেননি। যদিও পুলিশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তর্কে যেতে চাইনি।” বরং এই ধরনের নিয়ম সম্পর্কে অবহিত না থাকার জন্য পুলিসকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন দম্পতি। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি বলে জানান কার্তিক।

অভিযোগ, এরপরই তাঁদের ৩০০০ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়। এরপর অনেক অনুরোধ করার পর একজন আধিকারিক একপাশে নিয়ে গিয়ে বলেন, ১০০০ টাকা দিলে সব ঝামেলা মিটিয়ে দেবেন। এরপর তাঁরা অ্যাপের মাধ্যমে টাকা দেন। এরপর তাঁরা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্ত শুরু করে। তদন্তের নেমে সাম্পিগেহাল্লি থানার সঙ্গে সংযুক্ত একজন কনস্টেবল এবং একজন হেড কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

one year ago
Bengaluru: পড়শি তরুণীর আলমারিতে উদ্ধার নিখোঁজ বৃদ্ধার দেহ, উধাও মৃতার গয়না

আশ্চর্যজনক ঘটনা! তরুণীর ফ্ল্যাটের আলমারিতে সাজানো প্রতিবেশী এক বৃদ্ধার দেহ (OLd woman dead body)। দিন দুই ধরে নিখোঁজ ছিলেন ৮০ বছরের ওই বৃদ্ধা। তারপর তদন্তে নেমে খোঁজ পায় পুলিস। বৃদ্ধার পরিবারের তরফ থেকে অভিযুক্ত বাংলার (West Bengal) ওই তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস শুরু করেছে তাঁর খোঁজ।

পুলিস সূত্রে খবর, মৃত বৃদ্ধার নাম প্রভাতাম্মা। তিনি বেঙ্গালুরুর আনেকলের একটি আবাসনে ছেলে রমেশ এবং পুত্রবধূ জ্যোতির সঙ্গে থাকতেন। দুই দিন ধরে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান বৃদ্ধা। তারপরই শুরু হয়ে খোঁজাখুঁজি। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিস এসে ওই আবাসনের তরুণীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে মৃতদেহ।

বৃদ্ধার ছেলের অভিযোগ, ২৬ বছরের তরুণী পাভল খান তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন। তরুণীর বাড়ি বাংলায়। তিনি কর্ণাটকের একটি কাপড় কলে কাজ করতেন। ওই অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ভালো ছিল। বাড়িতে আসা-যাওয়াও ছিল। যেদিন নিখোঁজ হন তাঁর মা, সেদিন বাজারে যাচ্ছিলেন। সেসময় ওই তরুণী তাঁর ফ্ল্যাটে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর মা অনেক্ষণ বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু তাঁদের সন্দেহ তখনও ওই তরুণীর উপর হয়নি। কিন্তু পরে পুলিসকে তাঁর স্ত্রী জানান, তাঁর মা পাভলের বাড়িতে যেতে পারেন। এর পর পুলিসও ওই ফ্ল্যাটে যায়। কিন্তু দরজা ছিল তালা বন্ধ।

পুলিস তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে তল্লাশি করতেই আলমারি থেকে উদ্ধার বৃদ্ধার দেহ। রমেশের অভিযোগ, তাঁর মায়ের গলায় যে গয়না ছিল, দেহ উদ্ধারের পর তা মেলেনি। এরপর ওই তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা রজু করেন থানায়।

one year ago


Durand Cup: মুম্বইকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ব্যাঙ্গালোর এফসি, কমবেশি সব ট্রফির মালিকানা সুনীল ছেত্রী

যত দিন যাচ্ছে ভারতীয় স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রীর একের পর এক কৃতিত্ব ব্যাগে পুড়ছেন | ভাবা গিয়েছিলো বাইচুং ভুটিয়ার পর আন্তর্জাতিক মানের স্ট্রাইকার যে কবে আসবে তার ঠিক নেই। দু'জনই পাহাড়ের ছেলে। সাধারণত পাহাড়ি খেলোয়াড়দের দম প্রচুর হয় বলে মানুষ জানে। কিন্তু স্কিল, সেটাও তো একটি বিষয়। গৌতম সুরজিৎদের সময়ে ভারত খুব বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি। এর আগে পিকে চুনীদের আমলে ভারত এশিয়াডে দুর্দান্ত ফল করেছিল। পরবর্তী ভালো ফল বলতে ওই এশিয়াডে ১৯৮২ তে দিল্লিতে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিল ভারত। কিন্তু সে সব আদি ইতিহাস। এখন খেলার মূলমন্ত্র স্পিড ও স্কিল। বিশ্বকাপ থেকে ইউরোপিয়ান বা ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবল সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে।

ভারতও বদলেছে নিজেকে কিন্তু ভারতে গত ৪০ বছরে বাইচুং ভুটিয়া, সুদীপ চ্যাটার্জি এবং সুনীল ছেত্রী ছাড়া এই দক্ষতা দেখতে পারেনি তেমন ভাবে কেউই। স্পিড বিষয়টিকে আয়ত্ব করা কঠিন বিষয়। সুনীলকে কিন্তু বিদেশিরা আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় হিসাবে মেনে নিয়েছে। বিদেশি টিমে সুনীল খেলেছে।

রবিবার ছিল ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। টানটান উত্তেজনা ছিল ফাইনাল ঘিরে। ইতিমধ্যে একে একে বিদায় নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং সারা জাগিয়েছিল মহামেডানও। ইদানিং তথাকথিত এই তিন বাংলার কোনও দলের ক্লাবে ট্রফি ওঠেনি। ফাইনালে খেলেছে সুনীল ছেত্রীর ব্যাঙ্গালোর এফসি এবং মুম্বই সিটি। মজার বিষয় এই দুই ক্লাবের কোনও অস্তিত্বই ছিল না কয়েক বছর আগে। কিন্তু আইএসএল আসার পর অনেক দলের মধ্যে এই দুটি দলও অন্যতম। মুম্বইকে অনেকেই বলেছিলো ডার্ক হর্স। কিন্তু ফাইনালে দাগ ফোটাতেই পারেনি। সুনীলকে অবশ্য মুম্বই কিছুটা আটকে রাখতে 'পুলিসম্যান' মার্কিং করেছিল তাতে ব্যাঙ্গালোরের সুবিধা হয়েছে। ২-১ গোলে জিতে ডুরান্ড কাপ এখন ব্যাঙ্গালোরে।

সুব্রত ভট্টাচার্যের জামাইয়ের লকারে অনেক ট্রফি আছে, ছিল না ডুরান্ড। এবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের হাত ধরে সেটাও চলে এলো সুনীলের দেরাজে। এই রেকর্ড বাইচুংয়ের ছিল না।

2 years ago
Bangalore: ট্রাফিকে আটকে গাড়ি, ওটি-তে রোগী! অস্ত্রোপচার করতে গাড়ি ফেলে এক দৌড়ে হাসপাতালে সার্জেন

ডাক্তারকে (Doctor) অনেকেই বলে থাকেন  'ভগবানের দূত’। তাঁর হাতেই জন্ম, মৃত্যুও তাঁরই হাতে। সম্প্রতি চিকিৎসকদের গাফিলতির একাধিক খবর উঠে এসেছে। ডাক্তারদের উপর ভরসাটা উঠেই যাচ্ছিল রোগীদের (Patient)। তবে এখনও চিকিৎসকদের মধ্যে কর্তব্যবোধ বেঁচে রয়েছে। তারই প্রমাণ দিলেন বেঙ্গালুরুর (Bangalore) মণিপাল হাসপাতালে (Manipal Hospital) কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ গোবিন্দ নন্দকুমার (Govinda Nandakumar)।

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল বেঙ্গালুরুর একাধিক জায়গা। এর ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। হাসপাতালে যাওয়ার সময় ডাঃ গোবিন্দের গাড়ি সরজাপুর-মারাঠাহাল্লি রাস্তায় আটকে পড়ে। এদিকে, হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের গলব্লাডার অস্ত্রোপচার করার কথা তাঁর। রোগীরা অপেক্ষায়, তাই দেরি হয়ে যাবে ভেবে গাড়ি ছেড়ে নেমে পড়েন তিনি। তিন কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ৪৫ মিনিটে দৌড়ে হাসপাতাল পৌঁছন তিনি। যা শুনে স্তম্ভিত সকলে।

ওই চিকিৎসক বলেছেন, তিনি সময় নষ্ট করতে চাননি। রোগীরা তাঁর জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন। এদিকে বৃষ্টির জল জমে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা জ্যাম হয়ে গিয়েছিল। সেকারণে তিনি দৌড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জানা গিয়েছে, গত ১৮ বছর ধরে একাধিক জটিল অস্ত্রোপচার করেছেন নন্দকুমার। ডাক্তার হিসেবে যথেষ্ট নামডাক রয়েছে তাঁর। এই কীর্তিতে সকলে বিস্মিত।

2 years ago