শেষমেষ জামিনের জন্য় আবেদন করলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অসুস্থতা ও রেশন দুর্নীতি মামলায় নিজের যোগ অস্বীকার করে এই প্রথমবার জামিনের আবেদন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তথা বালুর। শনিবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করেন জ্যোতিপ্রিয়। এই জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানি আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
গত ২৭ অক্টোবর রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রেশন দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে বিগত সাড়ে তিন মাস জেলবন্দি প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। এরমধ্য়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার তাঁকে রাজ্য়ের সকল মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার ঠিক পরের দিন শনিবার তিনি জামিনের জন্য় আবেদন জানিয়েছেন।
রামায়ণের মেঘনাদের মতোই অলক্ষ্যে থেকে কার্যসিদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সন্দেশখালি কাণ্ডের মুলচক্রী শেখ শাহজাহান। এবার বসিরহাট মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি। ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। তারপর থেকেই পলাতক এই তৃণমূল নেতা। ফের, ২৪ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এদিন শাহজাহানের বাড়িতে একটি নোটিশও টানিয়ে আসে ইডি। ২৯ জানুয়ারি তলব করা হয় শেখ শাহজাহানকে। কিন্তু তিনি আসেননি। উল্টে ৩০ শে জানুয়ারি আগাম জামিনের আবেদন করা হয় শাহজাহানের তরফে। সন্দেশখালির ঘটনায় ইডির পক্ষ থেকে ন্যাজাট থানায় এফআইআর দায়ের করা হলে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
এবার অলক্ষ্যে থেকেই বসিরহাট মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হলেন শেখ শাহজাহান। একদিকে ফের আগাম জামিনের আবেদন শেখ শাহজাহানের। অন্যদিকে শাহজাহানের আইনজীবীকে ইমেইলের মাধ্যমে সমন পাঠানো হয়েছে ইডির তরফে। আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারী ফের শেখ শাজাহানকে তলব করা হয়েছে। সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সন্দেশখালির ফেরার বাদশাকে।
আদৌ কি শেখ শাহজাহান হাজিরা দেবেন, না কি ফের নতুন কোনও ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে ইডি আধিকারিকদের, সে জবাব সময়ই দেবে।
দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের মতই কামদুনি গণধর্ষণের ঘটনায় শিউরে উঠেছিল রাজ্যবাসী। প্রায় ১০ বছর ধরে বিচারের আশায় বসেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার সহ গোটা কামদুনি। পাশে ছিল গোটা রাজ্য। আন্দোলন, প্রতিবাদে সরব হতে দেখা যায় মৌসুমী কয়াল, টুম্পা কয়াল, শিক্ষক প্রদীপ মূখোপাধ্যায় সহ বহু মানুষকে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় সরব হতেও দেখা যায় তাঁদের। এই পরিস্থিতি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে চাকরি সহ ঢালাও প্রতিশ্রুতির ডালি সাজিয়ে কামদুনি পৌঁছন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। কামদুনি থেকেই দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে বহু জল। প্রকৃতির নিয়মে সময় গড়িয়েছে। কিন্তু সুবিচার মেলেনি কামদুনির। বদলে উঠেছে পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। কিন্তু হঠাৎ এমনকি হল যে রাতারাতি তৎপর হয়ে উঠল প্রশাসন। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট কামদুনি মামলার রায় দিয়েছে।
ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। নিম্ন আদালতে আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলি বেকুসুরন খালাস পেয়েছেন। নিম্ন আদালতে আমৃত্যু জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করও ১০ বছর জেল খাটার কারণ জামিন পেয়েছেন হাইকোর্ট থেকে। এই নির্দেশের পরেই ক্ষোভের আঁচ বাড়তে থাকে কামদুনিবাসীর মনে। কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রতিবাদী মৌসুমী-টুম্পারা। ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এই আবহেই রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতা চোখে পড়ল। শুক্রবার রাতেই কামদুনিতে মৌসুমী কয়ালের বাড়িতে যান সিআরডি ডিআইজির নেতৃত্বে সিআইডির একটি প্রতিনিধি দল। এই মুহূর্তের প্রশাসনের এই তৎপরতা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। তাহলে কি সিআইডিকে দিয়েই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা রাজ্য প্রশাসনের? এতো দিন কেন এই তৎপরতা চোখে পড়ল না? এই মুহূর্তে সিআইডির আসার প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের। প্রশ্ন ১, নির্যাতিতার দেহ ময়নাতদন্ত করেছিল প্রশাসন, পরিবারের কোনও সদস্য নয়। ফলে নতুন করে দেহের তদন্তের প্রশ্ন উঠছে না। তা সম্ভব নয়। প্রশ্ন ২, দশ বছর পর নতুন আরও কী তথ্য জোগাড় করবে সিআইডি? প্রশ্ন ৩, সাক্ষীদের স্মৃতি খুঁড়ে আর কী জানবে রাজ্যের গেয়েন্দা দল?
এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কার্যত সবগুলোই অপ্রাসঙ্গিক। তাহলে কি কামদুনির ক্ষোভ বৃহত্তরভাবে ছড়িয়ে পড়ার আগেই কৌশলী পদক্ষেপ রাজ্যের? না নিজেদের ব্যর্থতা ডাকতেই কি ঢাল করা হল সিআইডিকে?
গরু পাচার মামলায় প্রথম জামিন। ৭ মাস পর দিল্লি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসেব রক্ষক মনীশ কোঠারি। গত ১৩ই মার্চ দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মণীশ। তার পর থেকে তিহার জেলে বন্দি ছিলেন মনীশ।
১৩ মার্চ ইডির তলবে হাজিরা দিতে এসে গ্রেফতার হয়ে যান অনুব্রত মণ্ডলের হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল, তার কন্যা সুকন্যা এবং প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস থেকে একাধিক ভুয়ো কোম্পানি খোলার কারণ জানাতে পারেননি মণীশ। আমাদের প্রতিনিধি মফিজুল ইসলামের সামনেই তিনি বলেছিলেন, তিনি শুধু ইনকাম ট্যাক্স জমা দিতেন, কোনও অন্যায়ের সঙ্গে তিনি থাকেন না। গ্রেফতার হওয়ার পর কাঁদতে কাঁদতেও নাটকীয় ভাবে বলেন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়াই তার ভুল হয়েছে।
অথচ অনুব্রত মণ্ডলই জেরায় জানিয়েছেন, তার একাধিক শেল কোম্পানি খোলার বিষয়ে জানেন একমাত্র মণীশই। মণীশই ভুয়ো কোম্পানি তৈরির ক্ষেত্রে অন্যতম মূল পাণ্ডা, এমনই দাবি ইডির। তার পর দীর্ঘ আইনি লড়াই। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন মিলল মনীশ কোঠারির। জামিন দিতে গিয়ে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, জামিন তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। ২৪ ঘন্টা মোবাইল খোলা রাখতে হবে। পাশাপাশি আদালতের শর্ত, তদন্তের প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকলে হাজিরা বাধ্যতামূলক। ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে না। দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
পাশাপাশি, কোনওভাবে তদন্তে অসহযোগিতা করতে পারবেন না। এমনকি তদন্ত বা সাক্ষীদের প্রভাবিত করা যাবে না বলেও জামিনের শর্তে জানানো হয়েছে। এছাড়াও জামিনে থাকাকালীন, এই তদন্তের সাথে যুক্ত কোন ব্যক্তির সাথে দেখা করতে পারবেন না মনীশ। এমনকি এই সময় কোনরকম অপরাধমূলক কাজের সাথে যুক্ত হতে পারবেন না বলেও স্পষ্ট করে আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মনীশ কোঠারির জামিনের খবরে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছসিত অনুব্রত মণ্ডল। মনীশ কোঠারির জামিনে খুশি অনুব্রত মণ্ডল জানালেন তার আইনজীবী সম্পৃক্ত ঘোষাল। ভিডিও কনফারেন্সিং-এ মনীশ কোঠারির জামিনের বিষয়টি অনুব্রত মণ্ডলকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। মনীশ কোঠারির জামিনের ফলে অনুব্রত এবং সুকন্যা মন্ডলের জামিন মামলায় যথেষ্ট সুবিধা হবে বলেই জানান সম্পৃক্তা ঘোষাল। যদিও অনুব্রত ও সুকন্যার জামিন খারিজ হওয়ায় পুজোতে তিহারেই থাকতে হচ্ছে তাঁদের।
পিছিয়ে গেল গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি মামলা। সিবিআই-এর গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে জামিনের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত। এর আগে নিম্ন আদালত এবং দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন তাঁর খারিজ হয়ে যায়। শীর্ষ আদালতে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বেলা এম ত্রিবেদির এজলাসে শুনানি তালিকাভুক্ত ছিল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী শুক্রবার।
বারবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনেরর মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে। অনুব্রতর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, যে কোনও মূল্যে তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই জেলে রয়েছেন। সিবিআই-এর আইনজীবী অবশ্য বারবারই অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাঁড়া করেছিলেন। সিবিআই-এর বরাবরই বক্তব্য, ‘উনি ভীষণই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই সময় তাঁকে জামিন দেওয়া হলে স্বাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।’
এর আগে অনুব্রতর সিবিআই- বিশেষ আদালত, দিল্লি হাইকোর্টেও অনুব্রতর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। সিবিআই-এর বিশেষ আদালত অনুব্রতর আর্জিই সেভাবে শোনেনি।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গত বছরের অগস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। তারপর তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। বর্তমানে তিহাড় জেলেই রয়েছেন তিনি। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও বর্তমানে জেলেই। তিনিও জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আবেদনও চার মাস পিছিয়ে যায়। তাঁর জামিনের আবেদনের পরবর্তী শুনানি ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলার তদন্ত এখন বাংলা থেকে সরে দিল্লিতে গিয়েছে। আসানসোল সিবিআই-এর বিশেষ আদালত থেকে সরে মামলা গিয়েছে দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। গরু পাচার মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর্থিক দুর্নীতি মামলাও। ৪৪/১ সি ধারায় স্থানান্তরের আবেদন করে ইডি। তাতে নিম্ন আদালতের বিচারক সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারপরই মামলা সরে দিল্লিতে।
পুজোতে কোথায় থাকবেন তিনি ? জেলে নাকি জেলের বাইরে। বুধবার তার সিদ্ধান্ত হল না। বরং আরও একমাস পর এই ব্যাপারে শুনানি হবে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, আরও একটা পুজো হয়তো জেলেই কাটাতে চলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
জামিনের আবেদন চেয়ে এদিন হাই কোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। বিচারপতির এজালাসে নাকি মামলাও উঠেছিল। কিন্তু বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ তা ৯ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন।
হিসাব বলছে, ১৯ তারিখ থেকে পুজো শুরু। তার আগে জামি চেয়ে এদিন হাই কোর্টে গিয়েছিলেন পার্থর আইনজীবীরা। কারণ, এর আগে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাস থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন আর এক অভিযুক্ত মানিক ভট্টচার্যের স্ত্রী। যদিও পার্থর ক্ষেত্রে তা কাজে লাগলো না। ইতিমধ্যেই ১৩ মাস জেল খাটা হয়ে গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গত বছরের জুলাই মাসে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পার্থর দাবি, তাঁর সঙ্গে দুর্নীতির যোগ রয়েছে, তা এখনও প্রমাণ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাঁকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও শোভনকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া চার শিক্ষককে অন্তর্বর্তী জামিন দিল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। কিছুদিন আগেই, টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন চার শিক্ষক। অভিযুক্ত চার শিক্ষককেই এদিন অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিল আদালত। ৬ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই চার প্রাথমিক শিক্ষকের। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৭ অগস্ট সাইগর হুসেন, সীমার হুসেন, জাহিরউদ্দিন শেখ ও সৌগত মণ্ডলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশের ১২ দিন পর চারজনকেই অন্তর্বর্তী জামিন দিল আদালত।
আদালত সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রথমে সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে এই চার শিক্ষক টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছিল। কিন্তু পরে ৭ অগস্ট আদালতে হাজিরা দিয়ে নিজেদের আগের বয়ান থেকে পুরোপুরি সরে গিয়েছিলেন ওই চার প্রাথমিক শিক্ষক। টাকা দেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন তাঁরা আদালতে। এরপর শনিবার তাঁদের ফের অভিযুক্ত চার শিক্ষককে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এদিন তাঁরা আদালতে হাজিরা দিয়ে জানান, তাঁরা তদন্তে সিবিআইকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করবেন। এরপর আদালত ওই চার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষককে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন।
চার শিক্ষকের আইনজীবী এদিন আদালতের বাইরে বলেন, ‘আদালত জানতে চেয়েছে তদন্তের ক্ষেত্রে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় বা কোনও গোপন জবানবন্দি দেওয়ার প্রয়োজন হলে, শিক্ষকরা তাতে ইচ্ছুক কি না। জবাবে একজন শিক্ষক প্রথমে জানান, তিনি ইচ্ছুক। তারপর বাকিরাও জানান, তাঁরা ইচ্ছুক। তখন সিবিআই-এর আইনজীবী কিছুটা আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আদালত জানিয়েছে, যেহেতু এঁরা তদন্তে সহযোগিতায় রাজি, তাই এঁদের আটকে রাখার মতো কোনও কারণ নেই। তাই চারজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।’
২০২০ সালের ১৪ জুন একটি খবরে স্তব্ধ হয়ে যায় সারা দেশের নেটিজেনরা। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) আর নেই। নিজের বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল অভিনেতাকে। সেই মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছিল। ছোট পর্দায় অভিনয় করে তখন বড় পর্দায় পা রেখে ফেলেছেন সুশান্ত। একের পর এক সিনেমা করে দর্শকদের পছন্দের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন ততদিনে। প্রিয় অভিনেতার এই মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে নেননি নেটিজেনরা। বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সুশান্ত। একসঙ্গেই থাকতেন অভিনেতার ফ্ল্যাটে।
২০২০ সালের ৮ জুন রিয়া নাকি রাগারাগি করে সুশান্তের ফ্ল্যাট ছেড়ে বেরিয়ে যান। আর কয়েকটি দিন পরেই মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গিয়েছিল তাঁর। জানা গিয়েছিল, অভিনেতাকে বিষাদ ঘিরে ধরেছে। আরও অনুসন্ধান করলে সামনে আসে মাদক যোগ। রিয়া চক্রবর্তীর সামাজিক মাধ্যমে চ্যাট থেকে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো অভিনেত্রীকে এই নিয়ে জেরা করা শুরু করেন।
অভিনেত্রীকে এরপর গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ জেরার পর রিয়া জামিনে ছাড়া পান। তবে ২০২০ সালে সেই জামিনের বিরোধিতা করেছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেই মামলাতেই এবার জামিনের বিরোধিতা প্রত্যাহার করলেন। তাঁদের আইনজীবী আজ আদালতে বলেছেন,২৭-এ ধারা অনুসারে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই বিরোধিতা প্রত্যাহার করলেন তাঁরা।
সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে রিয়া কতটা জড়িত সেই প্রশ্নের উত্তর সকলেরই অজানা। অভিনেতার মৃত্যু কাণ্ডে জড়িয়ে বেশ কিছুটা সময় তিনি ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে ছিলেন। সম্প্রতি এক জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোয়ের হাত ধরে মূল স্রোতে ফিরছেন অভিনেত্রী। তবে আজও ভোলেননি প্রাক্তন প্রেমিককে। সুশান্তের জন্মদিনেও তাঁর স্মৃতিচারণ করেছিলেন রিয়া।
মামলা লড়াইয়ের খরচ জোগাড় করতে ছয় সপ্তাহের জন্য জামিন (Bail) চাইলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubara Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। ১০ জুলাই এই মামলার শুনানি রয়েছে। পাশাপাশি সুকন্যার এই আর্জির ভিত্তিতে ইডির বক্তব্য জানতে চেয়েছেন বিচারক রঘুবীর সিং। আদালতের কাছে সুকন্যার আর্জি, মামলা লড়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। এমনকি, বাড়িতেও টাকা জোগাড় করার মতো কেউ নেই। তাঁর বক্তব্য ছয় সপ্তাহের জন্য জামিন পেলে তিনি আইনজীবীদের ফি দেওয়ার অর্থ জোগাড় করতে পারবেন।
এই প্রথম নয়, এর আগেও জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন সুকন্যা মণ্ডল। তখন প্রভাবশালী তত্ত্বে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ইডির অভিযোগ, গরু পাচারের ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনওভাবে জড়িত ছিলেন না বলে বারবার দাবি করলেও কালো টাকা সাদা করার কাজ দেখভাল করতেন তিনি। পাশাপাশি খাতায় কলমে তিনি স্কুল শিক্ষকা হলেও তাঁর নামে কোটি কোটি টাকা সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।
এদিকে আদালতে সুকন্যা জানিয়েছেন, তিনি এখন আইনজীবীদের ফি জোগাড় করতে পারছেন না। পরিচিত ও আত্মীয়দের থেকেও টাকা চাইতে পারছেন না। সেকারণে ৬ সপ্তাহের জন্য জামিনের আবেদন করেছেন।
ফের অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের (Bail) আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। প্রায় ৩২৩ দিন জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। শুক্রবারও প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করে জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআই (CBI) আইনজীবী। শুক্রবার ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথম থেকেই জামিনের জন্য আবেদন করে আসছিলেন অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। কিন্তু পাল্টা যুক্তি দেন সিবিআই আইনজীবী। দুপক্ষের শুনানি শেষে ফের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।
শুক্রবার শুনানি চলাকালীন, বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সি বি আইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যর উদ্দেশে বলেন, ২৮৩ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। আর কতজনের সাক্ষী লাগবে?? জবাবে সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, তদন্তে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। তাই এখনও কয়েকজনের বয়ান প্রয়োজন। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, দ্রুত শেষ করা হবে তদন্ত।
দুপক্ষের বক্তব্য শুনে প্রথমে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। যদিও তার ঘণ্টা দুয়েক পর অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ৫টি চার্জশিট জমা পড়েছে। তবে কবে থেকে ট্রায়াল শুরু হবে তা এখনও জানা যায়নি।
ফের দিল্লি হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia)। আজ, সোমবার ফের দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Excise Policy Case) চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তিহাড় জেলে বন্দি তিনি। গত শনিবার কিছুক্ষণের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষপর্যন্ত হয়নি। এরপর তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতার জন্যই ছয় সপ্তাহের জন্য জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য এবার ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার হাইকোর্ট প্রাক্তন আপ মন্ত্রীর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সোমবার মামলার শুনানিতে জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। প্রভাবশালী তকমা দিয়ে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রভাবিত করার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এরপরেই আপ নেতার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি। তবে জামিনের আর্জি খারিজ করে দিলেও অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে ফের একটা দিন কাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে সিসোদিয়াকে।
'সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছি না। আমি মরে গেলে বিচার করবেন কি করে?' আদালতে এসে জেলের চিকিৎসা নিয়ে এমনিই দাবি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ পেয়ে বিষয়টা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন বিচারপতি।
মঙ্গলবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছিল। সেখানেই সশরীরে হাজির করানো হয় পার্থকে। এজলাসে তাঁর আইনজীবী বিচারককে নিজের মক্কেলের অসুস্থতার কথা যখন বলছিলেন, তখনই নিজের জায়গায় উঠে দাঁড়ান পার্থ। হাত জোড় করে বিচারককে জানান নিজের শরীর খারাপের কথা। বিচারকের উদ্দেশে পার্থ বলেন, ‘স্যার একটা কথা বলতে চাই। আমার অসুস্থতার কথা জেল সুপার লিখে দিচ্ছেন হাসপাতালক কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতাল ১০ দিন পর রিপোর্ট ব্যাক করছে (ফেরত পাঠাচ্ছে)। এক জন আক্রান্ত হবেন, তার ১০ দিন পর এসে চিকিৎসক দেখবেন! দেখুন একটু।’
জবাবে বিচারক জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না। তাঁর কথায়, ‘আপনি প্রথম জানালেন। দেখছি ব্যাপারটা।’ পার্থ এর পরে আরও জোরালো ভাবে আর্জি জানান। তিনি বিচারকের সামনে হাত জোড় করে বলেন, ‘‘দেখুন স্যর! মরে গেলে আর বিচার করবেন কী করে? স্যর, ৩০০ দিনের উপর হয়ে গিয়েছে।’’ এর পরে বিচারক বলেন, 'ঠিক আছে।'
আর্থিক প্রতারণার দায়ে কিছুদিন আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন গায়ক নোবেল (Mainul Ahsan Noble)। অবশেষে মোটা অংকের বন্ড সই করে ছাড়া পেলেন তিনি। বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দিয়েই উত্থান হয়েছিল গায়ক নোবেলের। ভারত-বাংলাদেশ, দুই বাংলাতেই দর্শকেরা তাঁকে চিনতে শুরু করেছিলেন। জেমসের পর নোবেলের কণ্ঠে 'সেই তুমি আজ কেন অচেনা হলে!' গানটি শুনতে পছন্দ করতেন দর্শক। সেই চেনা নোবেলকেই এখন অচেনা ঠেকছে দর্শকদের।
গত কয়েকমাসে একাধিকবার চর্চায় উঠে এসেছেন নোবেল। ফেসবুকে তাঁর একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে ছয়লাপ হয়েছিল নেট দুনিয়া। কিছুদিন আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। মদ্যপ নোবেল স্টেজে উঠে স্পষ্ট মাতলামি করার দৃশ্য ধরা পড়েছিল। এই ঘটনার পর নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, প্রত্যেক মাসে নোবেলের বহু টাকার মাদক দ্রব্য লাগে। এই ঘটনার পর নোবেলের স্ত্রী তার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন।
এই এত কিছু নিয়ে চর্চা হলেও নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আর্থিক প্রতারণা মামলায়। এক স্কুলের অনুষ্ঠানে গান গাইবেন বলে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছিলেন নোবেল। কিন্তু নির্ধারিত দিনে গায়ক সেই অনুষ্ঠানে যাননি। এরপরেই স্কুলের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি নোবেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে গায়ককে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিস। বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থার ম্যারাথন জিজ্ঞাসার মুখ পড়তে হয়েছিল নোবেলকে। অবশেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে মঙ্গলবার ছাড়া পেলেন তিনি।
কম্বল-কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari Bail) শর্তসাপেক্ষে জামিনের আবেদন (Bail plea) মঞ্জুর কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। জিতেন্দ্র তিওয়ারির জামিনে কী কী শর্ত চাপানো হয়েছে।
১.আসানসোলের বাইরে থাকতে হবে
২. থানার ওসি র সঙ্গে দেখা করবে সপ্তাহে একদিন
৩ আসানসোল আদালত সময়মতো হাজির হতে হবে
৪.৫০ হাজার বন্ড ও একজন লোকাল সিকিউরিটি দিতে হবে
কম্বল বিতরনের অনুষ্ঠানে মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে আসানসোল পুলিস। সেই প্রেক্ষিতেই জামিনের আবেদন করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার আইনজীবী বলেন, 'যে ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে, তা এই ঘটনায় কার্যকর নয়। পাশাপাশি তিন সপ্তাহ ধরে তিনি যেহেতু জেলে, জেরা ভালো মতোই হয়েছে। তাই জামিন মঞ্জুর হতেই পারে। আসনসোল পুরসভার বাইরে থাকতে হবে তাঁকে।'
'মোদি' পদবী টেনে বিতর্কিত মন্তব্যে স্বস্তি রাহুল গান্ধীর। সুরাতের দায়রা কোর্ট জামিন মঞ্জুর করেছে রাহুলের। পরবর্তী শুনানি ১৩ এপ্রিল। ১০ এপ্রিলের মধ্যে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা গুজরাতের মন্ত্রীকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে আদালত। আপাতত ১৩ই এপ্রিল অবধি রাহুলের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। এমনটাই জানিয়েছে সুরাতের দায়রা আদালত।
সূত্রের খবর, সোমবার সুরাতের দায়রা আদালতে হলফনামা জমা দেন ওয়ানাডের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। রায়ের উপর স্থগিতাদেশের পাশাপাশি লোকসভার সদস্যপদ ফিরিয়ে দিতেও আবেদন করেন তিনি। এদিকে, সোমবার রাহুল তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে আদালতে পৌঁছন। এছাড়াও এদিন রাহুলের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের তিন মুখ্যমন্ত্রী। এরা হলেন, রাজস্থানের অশোক গেহলট, ছত্তিশগড়ের ভূপেশ বাঘেল ও হিমাচলপ্রদেশের সুখবিন্দর সিং সুখু।
সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে 'মোদি' পদবী টেনে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় সুরাতের এক আদালতে। চূড়ান্ত রায়ে সুরাতের ওই আদালত তাঁকে দু বছরের সাজা শোনায়। তারপর লোকসভায় তাঁর সাংসদপদ বাতিল হয়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশন দাখিল করেন কংগ্রেস নেতা। তার ভিত্তিতেই ১৩ তারিখ অবধি জামিন পেয়েছেন তিনি।