বলিউডের ড্রামা কুইন (Bollywood Drama-Queen) রাখি সাওয়ান্ত মানেই বিতর্ক। সর্বদা চর্চায় থাকতে পছন্দ করেন কন্ট্রোভার্সি কুইন। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বহু বছর ধরেই লাইম লাইটে রয়েছেন রাখি (Rakhi Sawant)। এবারও ফের বিবাহিত সম্পর্ক নিয়ে খবরে উঠে এসেছেন তিনি। তাঁর জীবনটাই নাটকে পরিপূর্ণ। স্বামী আদিল খানের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ, পরকীয়ায় জড়িয়েছেন স্বামী। পাশাপাশি গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ করেন রাখি। এমন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আদিল খান দুরানিকে (Adil Durrani Khan)। আদিলকে গ্রেফতার (Arrested) করে ওশিয়ারা থানার পুলিস। বুধবার অন্ধেরি আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। রাখির উপর গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে আপাতত পুলিসি হেফাজতে আদিল।
সেদিন আদালতে পেশ করানোর সময় কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে পুলিস ভ্যান থেকে নামতে দেখা যায় আদিলকে। এরপর শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। রাখির অভিযোগ শুধুমাত্র পরকীয়াই ছিল না, অন্য মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে রাখার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। এছাড়া মায়ের মৃত্যুর জন্য আদিলকে দায়ী করে সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন রাখি। তিনি জানিয়েছিলেন, আদিলকে ১০ লক্ষ টাকার একটি চেক দিয়ে গিয়েছিলেন। যাতে প্রয়োজন মতো তাঁর মায়ের চিকিৎসার জন্য খরচ করেন।
কিন্তু আদিল তা করেননি। ফলে মায়ের অস্ত্রোপচারে দেরি হয়ে যায়। এছাড়া গত আট মাসে নাকি তিনটি বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাঁর স্বামী। বুধবার আদালত থেকে বেড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন আইটেম ডান্সার। তিনি জানিয়েছেন, জামিন পাননি আদিল। পুলিসি হেফাজতেই রয়েছেন। এছাড়া দেশের আইনব্যবস্থা ও পুলিসের উপর ভরসা আছে। সঠিক বিচার হবে বলেও জানান তিনি।
"কু-সন্তান যদি বা হয়, কু-মাতা কভু নয়!" এমনই একটি প্রচলিত কথা রয়েছে বাংলায়। কিন্তু সবসময় সঠিক নয় সে কথা, তা ঔরঙ্গাবাদের সাদাতনগরের ঘটনা থেকে স্পষ্ট। পারিবারিক অশান্তির জেরে সন্তানদের বিষ খাইয়ে খুন করলেন মা। সোমবার রাতে নিজের দুই সন্তানকে খুন করেছে মা, গুরুতর এই অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনা জানাজানি হতেই তদন্ত শুরু করে পুলিস। দুই শিশুর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। পুলিস জানিয়েছে, দুই শিশুর মধ্যে এক জনের বয়স ৮ এবং অন্য জনের বয়স ৪। ওই মহিলা আত্মীয়দের কাছে সন্তানদের খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিস সূত্রে দাবি। প্রতিবেদন লেখা অবধি মহিলাকে গ্রেফতার করার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ওই অভিযুক্ত মহিলার আত্মীয়রা জানান, প্রায়শই স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হত মহিলার। আর গত ১৫ দিন ধরে তা মাত্রারিক্ত হয়। এর জেরেই এই হত্যা বলে অনুমান পুলিসের। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অসুস্থ অবস্থায় দুই শিশুকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
বলিউডের ড্রামা কুইন (Bollywood Drama-Queen), কেউ কেউ আবার তাঁকে বলেন কন্ট্রোভার্সি কুইন। সম্প্রতি বিবাহিত জীবন নিয়ে চর্চায় রয়েছেন রাখী সওয়ান্ত (Rakhi Sawant)। বলা যায়, তাঁর জীবন নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ। অবশেষে সোমবার রাতে সাত মাসের বিয়েতে ইতির ইঙ্গিত দিলেন। "আমার কপাল খারাপ। আমার স্বামীকে কেড়ে নিল। কিচ্ছু করতে পারলাম না।" স্বামী আদিল খান দুরানির (Adil Durrani Khan) সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করে সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রাখী। এখনই শেষ নয় কাহিনি। স্বামী আদিলের বিরুদ্ধে পরকীয়া সহ আরও একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনে মুম্বইয়ের ওসিওয়ারা থানার দারস্থ হয়েছেন তিনি।
আইটেম ডান্সার গার্হস্থ্য হিংসারও অভিযোগ এনেছেন আদিলের বিরুদ্ধে। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আদিল তাঁকে রীতিমতো মারধর করতেন। রাখীর দাবি, তাঁকে এক দিন আদিল এমনভাবে টেনে হিঁচড়ে দরজা পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন, তাতে তিনি ভয়ে প্রস্রাব করে ফেলেন। এছাড়া তাঁর মায়ের মৃত্যুর জন্য আদিলই দায়ী। তিনি আদিলকে ১০ লক্ষ টাকার একটি চেক দিয়ে গিয়েছিলেন। যাতে প্রয়োজন মতো তাঁর মায়ের চিকিৎসার জন্য খরচ করেন। কিন্তু আদিল তা করেননি। ফলে মায়ের অস্ত্রোপচারে দেরি হয়ে যায়। এছাড়া গত আট মাসে নাকি তিনটি বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাঁর স্বামী।
অন্যদিকে, আদিলের পরিবারও রাখীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, রাখী নাকি গায়ে হাত তুলতেন আদিলের। কিছু ঘটলেই সলমন খানের নাম করে ভয় দেখাতেন। রোজই নিত্যনতুন ঘটনা ঘটে চলেছে রাখী-আদিলকে কেন্দ্র করে।
স্ত্রী হাসিন জাহানের দায়ের করা গার্হস্থ্য হিংসা মামলায় সোমবার আদালত বড় সিদ্ধান্ত শোনাল ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামিকে (Mohammad Shami)। ভারতীয় বোলারকে প্রতি মাসে স্ত্রী হাসিন জাহানের (Hasin Jahan) খোরপোশ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিল আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালত। যদিও কোর্টের এই রায়ে খুশি নয় হাসিন। কারণ তিনি প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার আর্জি জানান আদালতকে। এদিন রায়ের পর তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, হাসিন উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
২০১৮ সালে হাসিন জাহান, মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, গার্হস্থ্য হিংসা-সহ বেশ কয়েকটি মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। যদিও শামি প্রতিটা অভিযোগই একেবারে ভুয়ো দাবি করে অস্বীকার করেন। তারপর থেকেই তাঁরা আলাদা থাকা শুরু করেন। বিচ্ছেদ মামলা আদালতে ওঠার পর হাসিন মাসে ১০ লক্ষ টাকা খোরপোশ দাবি করেছিলেন। যদিও জাতীয় দলের ক্রিকেটার পাল্টা দাবি করেন, হাসিন মডেলিং করে মাসে ১০ লক্ষ টাকা আয় করেন। ফলে খোরপোশের বিষয়ে আপত্তি জানান শামি।
এদিন অতিরিক্ত জেলা বিচারক অনিন্দিতা গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, 'স্ত্রী হাসিন জাহানকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দিতে হবে মহম্মদ শামির। এমনকি তা প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে দিতে হবে।' স্ত্রী হাসিনের পাশাপাশি ক্রিকেটারের মেয়েও আগের মতোই মাসিক খরচের টাকা পাবে শামির থেকে।
প্রসঙ্গত, এই দম্পতি ২০১৪ সালে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের আগে হাসিন জাহান একজন চিয়ার লিডার হিসেবে কাজ করতেন। পাশাপাশি তিনি মডেলিংও করতেন। তাঁদের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। তবে মেয়ে এখন মায়ের সঙ্গেই থাকে। উল্লেখ্য, আগেও একবার বিয়ে করেছিলেন হাসিন জাহান। কিন্তু ২০১০ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়।
স্ত্রীকে খুন (murder) করার অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। হাসপাতালে (hospital) দেখতে এলে শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের গণপ্রহার মৃতার (death) পরিবারের। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা সোদপুর (Sodepur) পানিহাটি হাসপাতাল চত্বরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় ঘোলা থানার পুলিস (police)। জানা গিয়েছে, ঘোলা বিদ্যাসাগর পল্লীর নন্দিতা ঘরামির বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল বিলকান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বিশ্বনাথ হালদারের সঙ্গে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ছোটখাটো সমস্ত বিষয়ে নন্দিতাকে মারধর করতেন স্বামী বিশ্বনাথ।
বুধবার সকালে বিশ্বনাথ, নন্দিতার বাপের বাড়িতে ফোন করে জানায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাঁদের মেয়ে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। খবর পেয়েই নন্দিতার বোন ও তাঁর মা ছুটে আসেন হাসপাতালে। সেখানে এসে তাঁরা জানতে পারেন মৃত অবস্থায় নন্দিতাকে আনা হয়েছিল হাসপাতালে। এরপরেই নন্দিতার পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
স্বামী-সহ নন্দিতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাসপাতালে আসলে তাঁদের ব্যাপক গণপ্রহার দেয় মৃতার পরিবারের সদস্যরা। তবে এই ঘটনায় পুলিস অভিযুক্তদের মারের হাত থেকে বাঁচাতে নিয়ে দৌড়ে পালায়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের আটক করেছে ঘোলা থানার পুলিস।
কর্নাটকের (Karnataka) নন্দাগুড়ি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত এলাকা থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে (Husband) খুন (Murder) করে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে।ইতিমধ্যে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে ২৮ বছরের ওই অভিযুক্ত মহিলাকে। এমনকি খুন করার জন্য একজনকে ভাড়া করেন। তাঁকে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলে পুলিসি তদন্তে উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, পরিত্যক্ত এলাকা থেকে দেহ উদ্ধারের পর পুলিস জানতে পারে দেহটি সেখানকার কোলাক জেলার চাম্বি গ্রামের এক বাসিন্দার। নাম আনন্দ, পেশায় ট্রাকচালক। বেশ কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এরপর তদন্তের স্বার্থে তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি থাকায় পুলিশের সন্দেহ হয় মৃতের স্ত্রীয়ের উপর। ফলে প্রথমে তাঁকে আটক করে পুলিস, পরে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে আনন্দ ও চিত্রার বিয়ে হয়। আনন্দ প্রতিবেশী চলপতিকে নিয়ে সন্দেহ করতেন। এর ফলে তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া-অশান্তি লেগে থাকত। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মদ্যপ অবস্থায় প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন আনন্দ। একসময় চিত্রা চলপতির বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পরে অবশ্য তাঁদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পথের কাঁটা সরাতে খুন করার পরিকল্পনা করেন দুজনে।
প্ল্যানমাফিক চলপতি তাঁর ভাইয়ের এক বন্ধুর সঙ্গে এবিষয় নিয়ে যোগাযোগ করেন। খুন করার জন্য সুপারিশ দেন। আর এর জন্য ১ লক্ষ টাকা ভাড়া করা ব্যক্তিকে দেওয়া হবে বলেও জানায়। পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। খুনের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন চলপতি এবং চিত্রাও। পুলিস তদন্তে নেমে চলপতি-সহ আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছে।
স্বামীর লাথিতে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মৃত্যু (death)। খবর জানাজানি হতেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা। অভিযোগ, ঘটনার পরই পলাতক স্বামী (husband)। তাঁর খোঁজে পুলিস (police)। নির্মম এই ঘটনা নৈহাটি (Naihati) কুলিয়াগড় দিঘীরপাড় এলাকার। পরিবার সূত্রে খবর, দু'বছর আগে দিঘীরপাড়ের বাসিন্দা বিধান হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় নৈহাটি দোগাছিয়া তালবাগানের বছর ২২-এর পূজার। পেশায় রাজমিস্ত্রীর কনট্রাকটর ছিলেন বিধান। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পূজার বাড়ি থেকে টাকা চাওয়া হত। টাকা না পেয়ে চরম অত্যাচার করতেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ি।
এরপর পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পূজাকে পেটে লাথি মারেন তাঁরই স্বামী। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে ছেড়ে দেওয়া হয় পূজাকে। এই ঘটনার পর নিজের স্বামীর নামেই অভিযোগ দায়ের করেন পূজা। কিন্তু এরপর ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। দু'দিন আগে ফের পূজাকে ভর্তি করা হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে।
কিন্তু গত সোমবার সেখানে মৃত্যু হয় পূজার। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে পূজার মৃত্যু হয়েছে এমনই অভিযোগ তুলে শিবদাসপুর থানায় আবারও অভিযোগ দায়ের করে পূজার পরিবার। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বিধান হালদার এখনও পর্যন্ত পলাতক। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
এক গৃহবধুকে খুন (murder) করে মৃতদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর (husband) বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় খানাকুলের (Khanakul) পাঁচুইখানা এলাকার। অভিযোগ, ওই গৃহবধূর স্বামী আগে খুন করে, তারপর মৃতদেহ (deadbody) পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের চরমতম শাস্তির দাবিতে এলাকা ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে খানাকুল থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিস অভিযুক্ত স্বামী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিস ওই গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম মানসী মণ্ডল(৪২), দম্পতির দুই সন্তান। তড়িঘড়ি গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় ক্ষুব্ধ মানুষজন দেহটি আটকে রাখে। পুলিস এলে অভিযুক্তদের পুলিসের হাতে তুলে দেন তাঁরা। অভিযুক্ত স্বামী হরেকৃষ্ণ জানা পেশায় সোনা ব্যবসায়ী। দোকান লাগোয়া তাঁদের বাড়ি। বেশ কিছু দিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। পারিবারিক বিবাদ লেগেই থাকত। পাশাপাশি হরেকৃষ্ণের ভাই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। পাঁচুইখানার বাড়িতে মৃতার ছোট জা থাকেন।
পরিবার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত হরেকৃষ্ণ জানার গ্রামের বাড়ি খানাকুলের নন্দনপুর এলাকায়। কর্মসূত্রে তাঁরা এখানেই থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে হরেকৃষ্ণ পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে যান। আর সেই ঘটনা জানতে পারায় স্ত্রী মানসীর সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে আগে খুন করেন স্বামী হরেকৃষ্ণ। পরে তাঁর দেহ বাথরুমে টেনে নিয়ে গিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন স্বামী। ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি আসে খানাকুল থানার পুলিস।
সৌমেন সুর: ইতিহাসের কত পট পরিবর্তন হয়েছে। সভ্যতা বিবর্তিত হয়েছে, সেই সঙ্গে মানুষের জীবনধারাও পাল্টেছে। তবু হিংসা, বিদ্বেষ থেকে মানুষের মুক্তি ঘটেনি। এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও মানুষ হিংসার ছোবলে প্রাণ হারায়। আজও কত রক্তপাত, দলাদলির নির্লজ্জ বীভৎস ছবি। কেন এত রক্তপাত! কেন আজও হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী! কেন মানুষের ভিতরের হিংস্রতার আদিম পশুটা ক্ষণে ক্ষণে জেগে ওঠে? জীবনের এটাই কি অপরিহার্য ললাট লিখন?
শুরু হলো বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। মানুষ হাতে পেল ভয়ংকর সব অস্ত্রশস্ত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা- নাগাসাকিতে খেলা হলো শক্তিশালী অ্যাটম বোম। নিমিষে ধ্বংস হয়ে গেল দুটো শহর। এই দৃশ্যের পরেও শেষ নেই হিংসা-বিলাসের। আজও চলছে উৎপীড়ন। রক্তের হোলি খেলায় সমাপ্তি ঘটলো না। দিন বদলায়। সমাজ পাল্টায়। রাজার রাজত্ব যায়। বিজ্ঞান তার গতিপথে এগিয়েই চলে। জনপ্রতিনিধিরা শাসকের আসনে বসেন। কোথায় গেল শহর সাজে নতুন নতুন উপকরণে। বারে শ্রমজীবীর দল। শ্রমিক-মালিকের সম্পর্ক তিক্ত হয়। অসন্তোষ বাড়ে। শোষিতের দল চায় এক শোষণমুক্ত সমাজ। তার জন্য আন্দোলন, মৃত্যুবরণ। সব রাজনৈতিক দল চায় দেশের মঙ্গল, মানুষের কল্যাণ। কে কাকে টপকে শাসকের ভূমিকা নেবে, তাই নিয়ে চলে রেষারেষি, হিংসা, মারামারি, খুনখারাপি। দলের লোক খারাপ হলেও ভালো। ভালো লোক অন্য দলের হলে খারাপ। এই ভাবেই সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম্য বাড়ে। বর্তমানে ভারতের প্রায় সব রাজ্যেই ক্ষমতার লড়াইয়ে খুনোখুনি হিংসা বেড়েই চলেছে।
হিংসা মানুষের জীবনে সত্য, কিন্তু শেষ সত্য নয়। জীবনে প্রেম, জ্ঞান ও মৈত্রীর পথ দেখিয়েছেন। যে সমস্ত অবতার ও ধর্মীয় মহাপুরুষ দেখিয়েছেন মানুষের মুক্তির পথ, একদিন এদের নির্দেশিত পথে বিকশিত হয়ে মানুষ চেতনার আলোই আলোকিত হবেই। অন্ধ সংস্কারে আচ্ছন্ন মানুষ রোগমুক্তির ঠিকানা খুঁজে পাবেই। তখন মানুষ শান্তিতে বিরাজ করবে, নচেৎ নয়।
বৌমা জোরে আওয়াজ দিয়ে টিভি দেখছিলেন। আর শাশুড়ি (Mother-in-law) টিভি বন্ধ করে দেওয়ায় রেগে আগুন। যার জেরে এমন ঘটনা ঘটিয়ে বসবেন বৌমা, তা ভাবাও যায় না। বৌমার কীর্তি শুনে হতবাক সকলে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা রাগে বৃদ্ধা শাশুড়ির তিনটি আঙুল কামড়ে দেন। পুলিস সূত্রে এমনটাই খবর। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) থানে (Thane) জেলার অম্বরনাথে।
শিবাজি নগর থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা ব্রুশালি কুলকার্নি বাড়িতে ভজন পাঠ করছিলেন। আর সেসময় পুত্রবধূ বিজয়া কুলকার্নি (৩২) টেলিভিশন দেখছিলেন। আওয়াজ জোরে হওয়ায় শাশুড়ির ভজন পাঠে অসুবিধে হয়। তখন তিনি কমাতে বলেন আওয়াজ। এরপর শুরু হয় ঝগড়া।
ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছয় রেগে শাশুড়ি টিভি বন্ধ করে দেন। তখন ঘটে যায় বিপত্তি। শাশুড়ির হাত ধরে তাঁর তিনটি আঙুল কামড়ে দেন। এমনকি বিজয়া তাঁর স্বামীকেও চড় মারেন, দুজনের ঝগড়ার মধ্যে ঢোকার জন্য।
আহত শিবাজিনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি অপরাধ নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে।
ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) মামলায় ফের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) হাজিরা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। প্রায় আড়াই-তিন ঘণ্টা তিনি ছিলেন সিজিও কমপ্লেক্স। বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের ঘটনায় তাঁকে (TMC MLA Paresh Pal) দ্বিতীয়বার তলব করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই তলবে সাড়া দিতেই বেলেঘাটার বিধায়কের এই হাজিরা। মূলত অভিজিৎ খুনে উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। বিজেপি (BJP) কর্মীর পরিবার সেই অভিযোগ করেছে। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার সবকটি মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।
এদিন সিজিও থেকে বেড়িয়ে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য, 'রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে। তবে সিবিআই যতবার ডাকবে, ততবার আসব। বেলেঘাটায় কাউন্সিলর বলুন বা বিধায়ক সব আমাদের। তাই ওরা কাউকে তো অভিযুক্ত করবেই।' মঙ্গলবার পরেশ পালকে অভিজিতের মৃত্যুকালীন জবানবন্দী প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।'
যদিও পরেশ পালের গ্রেফতারির দাবিতে সরব অভিজিৎ সরকারের দাদা। তাঁর দাবি, 'এই খুনি-আসামি ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এরপর তো আমি খুন হয়ে যাব। ভবিষ্যতে আরও মানুষ খুন হবে।' তিনি জানান তদন্তে সিবিআই নিশ্চয় আরও তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়েছে তাই আবার ডেকেছে। ভাইয়ের মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে পরেশ পালের নাম রয়েছে।
নৃশংস ঘটনা। মায়ের এহেন রূপ কল্পনাতীত। স্বামীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকে। পারিবারিকে কলহের জেরে তিন সন্তানকে বিষ খাইয়ে (poisoned) মারলেন (Murder) মা। দুই ছেলেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিস। আর রাতে হাসপাতালেই মারা যায় মেয়ে। সোমবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিপুরের (Ghazipur) এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য।
গাজিপুরের এসপি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত সুনিতা যাদব নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, বিবাদের জেরে স্বামীর উপর ক্রোধে ওই মহিলা তাঁর তিন সন্তানকে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড খাইয়েছিলেন। দুই ছেলের বয়স ১০ বছর এবং ৮ বছর। মেয়ের অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল এবং বারাণসী বিএইচইউতে রেফার করা হয়েছিল। তবে ওই রাতেই মেয়ের মৃত্যু হয়।
সোমবার বিকেল ৩ টের দিকে গাজিপুর থানার পুলিস এই খবর পায়। ওই অভিযুক্ত মহিলার নামে মামলাও দায়ের করেছে পুলিস।
আদালতের মধ্যেই স্ত্রীকে গলা কেটে খুন (Murder)করলেন স্বামী! এমনই শিউরে ওঠার মতো কাণ্ডের সাক্ষী থাকল কর্ণাটকের (Karnataka) হাসানের এক পরিবার আদালত। ঘটনায় হতবাক বিচারপতি থেকে আইনজীবী সকলে। স্বামীর হামলায় গুরুতর আহত স্ত্রীকে হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারও (Arrested) করা হয়েছে তাঁকে।
কর্নাটক পুলিস সূত্রে খবর, এই হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে ৩২ বছর বয়সি শিবকুমার এবং ২৮ বছরের চিত্রার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন। নিয়ম অনুযায়ী, দু’পক্ষের আইনজীবী সওয়াল-জবাব চলছিল। সবটা শোনার পর মামলার পরবর্তী দিন জানান বিচারক। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এদিন শুনানিতে চিত্রা এবং শিবকুমার একসঙ্গে থাকতে রাজিও হয়েছিলেন। শিবকুমারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন চিত্রা। শুনানির শেষে আদালত ভবনের শৌচালয়ে যান চিত্রা। তখনই ছুড়ি নিয়ে পিছন থেকে চিত্রার গলায় কোপ বসান। স্ত্রীর চিৎকার শুনে সকলে ছুটে আসেন। তখন শিবকুমার পালানোর চেষ্টা করলেও তা বৃথা হয়। আদালতে উপস্থিত জনতাই তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেন।
জানা গিয়েছে, চিত্রার গলার ধমনী কেটে গিয়েছিল। অতিরিক্তি রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সম্পর্কে 'সন্দেহ' কতটা ভয়ানক হতে পারে তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই ঘটনা। স্বামী, স্ত্রীকে (Husband-Wife) সন্দেহ করতেন। তার জেরে স্ত্রীকে মারধরও করতেন। দিনের পর দিন স্বামীর অকথ্য অত্যাচার (Torture) সহ্য করতে করতে বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল রঞ্জনাবেনের। এরপরই নিয়েছেন দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত। ঘুমের মধ্যেই রবিবার স্বামীকে হত্যা (Murder) করলেন তিনি। খুনের অভিযোগে রঞ্জনাবেনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এই কাজ করেছেন তিনি। পুলিসকে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তিনি কেবল সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। রবিবার রাতে আসে সেই সুবর্ণ সুযোগ। ছেলেমেয়েকে নিয়ে যে ঘরে ঘুমোন, তার পাশের ঘরে অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন স্বামী নবীন। ছেলেমেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে স্বামীর ঘরে গিয়ে গলা টিপে ধরেন রঞ্জনবেন। তারপর স্বামী অচৈতন্য হয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ইলেক্ট্রিক শক দেন তিনি।
ছেলেমেয়েকে সকালে স্কুলে পাঠানোর পর রঞ্জনাবেন চিৎকার শুরু করেন। তা শুনে তাঁর শ্বশুর এলে, দেখতে পান, ছেলে নবীন বিছানায় পড়ে রয়েছে। গলায় ও পায়ের নিচে আঘাতের দাগ রয়েছে। যদিও রঞ্জনাবেন তখন বলেন বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়েছেন। তবুও সন্দেহ হয় অভিযুক্তর শ্বশুরের।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি থানায় খবর দেন। পুলিস এসে তদন্ত শুরু করতেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। রঞ্জনাবেন নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন সত্যিটা। অবশেষে খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।