উত্তর ও পশ্চিম-ভারতে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে বৃষ্টির দাপট। একই ছবি পশ্চিম ভারতেও। নাগাড়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল দিল্লি (Delhi), পঞ্জাব, হরিয়ানার বাসিন্দারা। রাজধানীতে বেড়েছে যমুনার জলস্তর। কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে বন্য়া পরিস্থিতি। বৃষ্টিতে ভাসছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থানও। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) ছবিটা আরও ভয়ঙ্কর। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। হিমাচলে দুর্যোগের বলি ৭ জন। গত ২৪ জুন থেকেই দুর্যোগ চলছে হিমাচলে। সরকারি হিসেবে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫৪। ক্ষতি হয়েছে ৫,০৭৭ কোটি টাকার।
এদিকে শনিবার ৮ ঘণ্টায় ২১৯ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে গুজরাতে। হড়পা বান এবং বর্ষার জলে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের ছবি। প্রশাসন সূত্রে খবর, সৌরাষ্ট্র এলাকায় একটানা বৃষ্টিতে বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে একাধিক নদী। নিচু এলাকাগুলি সেই জলে ভেসে গিয়েছে। প্লাবিত শহরাঞ্চলের অধিকাংশ রাস্তাঘাটও। প্লাবিত জুনাগড় শহরের ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাখণ্ডে ক্রমাগত বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তবে শুক্রবার সকালে এই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়ে যায় পিথোরাগড়ের ধরচুলা এলাকার চল গ্রামে। যার ফলে একটি সেতুও ভেঙে গিয়েছে। পিথোরাগড় পুলিসের তরফে সেই সেতু ভাঙার ভিডিওটি (Video) সমজমাধ্যমে (Viral) প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেতুটি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। ওই এলাকা দিয়ে পারাপার করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি সেতুর ধ্বংসাবশেষগুলি সরিয়ে এলাকা সাফ করার কাজে লেগেছেন খোদ স্থানীয়রাই।
#मौसम_अलर्ट, #जनपद_पिथौरागढ़_पुलिस#UttarakhandPolice #pithoragarhpoliceuttarakhand #मौसम_अलर्ट @DIGKUMAUN @MyPithoragarh @CityPithoragarh @uksdrf pic.twitter.com/pIQ5XMUAZu
— Pithoragarh Police Uttarakhand (@PithoragarhPol) July 7, 2023
ওই সেতুটি ভাঙার পর কার্যত চল গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। চল গ্রামের সঙ্গে সংযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল ওই সেতুই। কিন্তু তাও ভেঙেচুড়ে শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে ওই গ্রামে পৌঁছতে পারছেন না কেউই। তবে ইতিমধ্যেই মৌসম ভবন থেকে আগামী পাঁচ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
সেলফি (Selfie) তুলতে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়ে যে, সামনে থেকে যে ট্রেন আসছে, সেটাই দেখতে পায়নি দু'ভাই। ফলে এই পরিস্থিতিতে রেলে কাটা পড়ল তারা। জানা গিয়েছে, রেলব্রিজে উঠে সেলফি তুলছিল দুজনে। আর পাশ থেকেই দ্রুতগতিতে ছুটে আসছিল শতাব্দী এক্সপ্রেস। আর এরপরেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যার ঘটনাটি উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারের।
জানা গিয়েছে, মৃত দুই ভাইয়ের নাম সিদ্ধার্থ সাইনি (১৯) ও শিবম সাইনি (১৬)। পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় হরিদ্বারের দোসনি রেলসেতুতে উঠে সেলফি তুলছিল দুজনে। আর সেসময় সেখানে দিয়ে ছুটে চলে যায় দিল্লি-দেরাদুন শতাব্দী এক্সপ্রেস। কিন্তু তারা সেলফি তুলতে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েছিল যে, তারা ট্রেনের আওয়াজই শুনতেই পারেনি। ফলে মুহূর্তের মধ্যে দুই ভাইয়ের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেল। এরপর ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মৃতদের দেহ। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের পরিবারের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্যই তাঁরা হরিদ্বারে এসেছিলেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে এসেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। একই পরিবারের দুই ছেলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাইনি পরিবারে।
দেশজুড়ে প্রবেশ করেছে বর্ষা (Monsoon)। শনিবার থেকে দেশের একাধিক রাজ্যে ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডেও (Uttarakhand) প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। রুদ্রপ্রয়াগ (Rudraprayag) জেলাতেও তুমুল বর্ষণ। এহেন পরিস্থিততে কেদারনাথ যাত্রা পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হল। অনবরত বৃষ্টির ফলেই স্থগিত রাখা হল কেদারনাথ যাত্রা (Kedarnath Yatra)।
শনিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে উত্তরাখণ্ডের সোনপ্রয়াগ সহ রুদ্রপ্রয়াগ জেলার বিভিন্ন জায়গায়। এদিকে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ সহ চার ধাম যাত্রা চলছে। তাই ঝুঁকি এড়াতে কেদারনাথ যাত্রা স্থগিত করে দিল উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই যাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। রুদ্রপ্রয়াগের জেলাশাসক ময়ূর দীক্ষিত রবিবার এই ঘোষণা করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টির কারণে আপাতত স্থগিত তীর্থযাত্রা। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত।
জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিক নন্দন সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, সে রাজ্যে ভারী বর্ষণের জেরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কন্ট্রোল রুমে যান মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি। কেদারনাথ সহ চারধাম যাত্রার পুণ্যার্থীদের সম্পর্কেও খোঁজ-খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
ফের ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা (Car Accident)। বৃহস্পতিবার সকালে এক যাত্রীবাহী গাড়ি খাদে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল ৯ জনের, আহত ২। ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পিথোরাগড়ের। জানা গিয়েছে, যাত্রীবাহী গাড়িটি পিথোরাগড়ের কাছে এক ৬০০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ পিথোরাগড়ের হকরায় কোকিলা দেবী মন্দিরে যাওয়ার পথেই গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। পিথোরাগড়ের জেলাশাসক রিনা জোশী জানিয়েছেন, ওই গাড়িতে মোট ১১ জন যাত্রী ছিলেন। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়েই পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা গাড়িটির কাছে পৌঁছন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরে জানা যায়, মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল রাতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাস্তার অবস্থা খারাপ ছিল। আর সে কারণেই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বলে ধারণা তাঁদের।
দেশের আরও একটি রাজ্যে চালু হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাদ এই ট্রেনের উদ্বোধন করলেন। তিনি আজ, বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করলেন এই ট্রেনের। এই ট্রেন দেরাদুন (Dehradun) থেকে নয়া দিল্লি (New Delhi) পর্যন্ত যাবে। রেলসূত্রে খবর, ২৯ মে থেকে এই ট্রেনে সর্বসাধারণের জন্য যাত্রা চালু হবে। বুধবার ছাড়া প্রতিদিনই এই ট্রেন চলবে। এটি উত্তরাখন্ডের (Uttarakhand) প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ফলে এই রাজ্যবাসীদের জন্য এটি প্রধানমন্ত্রীর তরফে একটি উপহারই বটে।
#WATCH | Prime Minister Narendra Modi virtually flags off the inaugural run of Uttarakhand's first semi-high speed Vande Bharat Express train connecting Dehradun with New Delhi in Dehradun. pic.twitter.com/896YzX4jZu
— ANI (@ANI) May 25, 2023
রেলসূত্রে খবর, দেরাদুন ও নয়া দিল্লির ৩০২ কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। এই ট্রেনের এসি চেয়ার কারের ভাড়া ১ হাজার ০৬৫ টাকা। এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারের ভাড়া ১৮৯০ টাকা। দিল্লির আনন্দ বিহার রেলস্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়বে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে, দেরাদুন পৌঁছবে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে। আবার দেরাদুন থেকে এই ট্রেনটি ছাড়বে সকাল ৭ টায় ও দিল্লি পৌঁছবে ১১ টা ৪৫ মিনিটে। মাঝে মিরাট, মুজাফ্ফরনগর, সাহারানপুর, রুরকি, হরিদ্বারে ট্রেনটি দাঁড়াবে।
সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ডের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, এই ট্রেনের ফলে তীর্থযাত্রী ও পর্যকরা উপকৃত হবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) মানেই নানা অজানা খাজানার ভাণ্ডার। সমাজমাধ্যমের পাতায় খানিক ঘোরাফেরা করলেই দেখতে পাওয়া যায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অজানা, অদেখা ভিডিও (Viral Video)। তেমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেট পাড়ায়। যা দেখে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, একটি যুবক ষাঁড়ের (Bull Riding) উপরে চেপে দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে। ঠিক ঘোড়া ছোটানোর ভঙ্গিমায় ষাঁড়টিকে ছোটাতে দেখা গেল ওই যুবককে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) ঋষিকেশে। সন্ধ্যের সময় রাস্তা দিয়ে ঝড়ের গতিতে একটি ষাঁড় ছুটে যাচ্ছিল। আর সেই ষাঁড়ের পিঠের বসে ছিলেন ওই যুবক। ষাঁড়টি সোজা রাস্তা ধরে কিছুক্ষণ ছোটার পরই একটি গলিতে ঢুকে যায়। তবে এই পুরো যাত্রাপথে একবারের জন্যও ওই যুবকে অপ্রস্তুত হতে দেখা যায়নি। আর এই ভিডিওই সমাজমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এমনকি ওই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা রয়েছে “ঋষিকেশের ষাঁড়সওয়ারি যুবক।”
জাতীয় উদ্যানে বাঘকে (Tiger) উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) সাফারি গাড়ি চালক (Driver)। কিছুদিন আগেই সাফারি গাড়ির দিকে বাঘের ধাওয়া করার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। তেমনি এবার উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের কাছে এই ঘটনায় সাফারি গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল বনদফতর।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে সাফারিতে গিয়েছিলেন এক দল পর্যটক। সেই সময় তাঁরা রাস্তার ঝোপের ধারে একটি বাঘ দেখতে পান। বাঘটিকে দেখা মাত্রই চালক গাড়িটিকে থামিয়ে দেন। বাঘ দেখে উৎসাহী হয়ে পড়েন পর্যটকরাও। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ছবি আবার তোলেন।
অভিযোগ, বাঘটিকে ঝোপের বাইরে আনার জন্য পর্যটকরা চিৎকার করতে থাকেন। বাঘটিকে উত্ত্যক্ত করায় সেটি ঝোপের বাইরে বেরিয়ে আসে। তার পরেও পর্যটকদের চিৎকার চেঁচামেচি থামেনি। আচমকাই বাঘটি সেই গাড়ি লক্ষ্য করে তেড়ে আসে। চালক গাড়িটিকে পিছিয়ে নিয়ে যান। বাঘটিও তাড়া করে কিছুটা যায়। কোনওরকম প্রাণে বেঁচে যান গাড়ির চালক। সমাজমাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হতেই পদক্ষেপ করে বন দফতর। বাঘটিকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে গাড়ির চালককে বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনে গ্রেফতার করে পুলিস।
খোলা জায়গায় একেবারে পর্যটকদের সামনাসামনি বাঘ (Tiger)। এত সামনে বাঘ দেখে গাড়ি থেকেই বাঘের ছবি তোলা শুরু করেন পর্যটকরা। কিন্তু কিছু মুহূর্তের সেই আনন্দ উচ্ছ্বাস আতঙ্কে বদলে গিয়েছিল পর্যটকদের। তাঁদের হট্টগোল এবং ছবি তোলার জেরে ‘বিরক্ত’ হয়ে পর্যটকদের গাড়ি লক্ষ্য করে ছুটে আসে বাঘটি। তা দেখে চালক সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি পিছিয়ে নিলেও বাঘটি বেশ কিছুটা ধাওয়া করে গাড়িটির। তবে বাঘের সেই আক্রমণের (Attack) ধরনও ক্যামেরাবন্দি করেন পর্যটকরা। বাঘের সেই ভিডিওটিই (Viral Video) ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। আর সেই ভিডিওই নিজের টুইাটর অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে বনাধিকারিক সুশান্ত নন্দ ক্যাপশনে লিখেছেন, “ডোরাকাটা সন্ন্যাসী বিরক্ত হয়েছে। কিন্তু তারা কী-ই বা করবে, প্রতি মুহূর্তেই তাদের এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াত লেগেই রয়েছে।”
Striped monk gets irritated 😣
— Susanta Nanda (@susantananda3) April 26, 2023
What will you do if at every designated hours people crash into your house as their matter of right? pic.twitter.com/4RDCVLWiRR
জঙ্গল সাফারিতে বেরিয়ে বাঘের দর্শন পেতে উত্সুক হয় সব পর্যটকরাই। আর সেটা যদি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) জিম করবেট জাতীয় উদ্যান হয়, তাহলে আর কোনও কথাই হয় না। আর সেখানেই জঙ্গল সাফারিতে গিয়ে গাড়িতে চেপে জঙ্গল ভ্রমণ করছিলেন এক দল পর্যটক। গাড়িতে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে কিছু একটা নড়াচড়া করতে দেখেন পর্যটকরা। তখনই সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামিয়ে দেন ওই গাড়ির চালক। ঝোপের আড়াল থেকে হলুদ ডোরাকাটা বিশালাকার বাঘ দেখে আনন্দে আত্ম্যহারা হয়ে পড়েন পর্যটকরা।
তাই বাঘের ছবি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। আর তখনই বিরক্ত হয়ে আক্রমনাত্মক ভাবে গাড়ির দিকে ছুটে আসে সেই বাঘটি। কিন্তু এই ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বাঘের সেই তাড়া খেয়ে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গাড়ির চালক-সহ পর্যটকরা।
চিতাবাঘ (Leopard) বাচ্চা জন্ম দেওয়ার আগে নিরাপদ স্থান খুঁজে নেয়। জঙ্গলের মধ্যেই স্বভাবত জন্ম দিয়ে থাকে শাবকের। কিন্তু এবার একেবারে জঙ্গল ছেড়ে পরিত্যক্ত বাড়ি এসে শাবকের জন্ম (Birth) দিল চিতাবাঘ। যা দেখে অবাক স্থানীয়রা এবং বন দফতরের কর্মীরাও। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বাগেশ্বর জেলার সিরকোট গ্রামে। জানা গিয়েছে, জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের ওই বাড়িতে কয়েকজন থাকতেন। কিন্তু তাঁরা বেশিরভাগ সময় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে বাইরে থাকতেন। ফলে ওই বাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকত।
এছাড়া জঙ্গল লাগোয়া হওয়ায় ওই এলাকায় জনবসতিও কম ছিল। এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে ওই মা চিতাবাঘ। পরিত্যক্ত ঘরে তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছে সে। সেই এলাকায় থাকা বন দফতরের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ওই চিতাবাঘের ছবি। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মা চিতাবাঘের গর্জন শুনেছেন এর আগে। পরে বন দফতরের লোকেরা এসে নজর রাখছিলেন চিতাবাঘের শাবকের উপর। জানা গিয়েছে, চিতাবাঘ জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে শাবকদের।
উল্লেখ্য, বন দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, তিনটি শাবকের মধ্যে দুটি শাবককে মুখে করে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছে মা চিতাবাঘ। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, তখন একটি শাবক ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে রয়েছে। সেই শাবককে দুধ খাইয়েছেন বন দফতরের কর্মীরা। ওই এলাকায় চিতাবাঘের গতিবিধির নজর রাখতে তিনটি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। অপর এক শাবককে উদ্ধার করেনি বন দফতরের কর্মীরা। অপেক্ষায় রয়েছেন, মা চিতাবাঘ এসে কখন ওই শাবককে জঙ্গলে নিয়ে যায়।
উত্তরাখণ্ডের জেলে এইচআইভি (HIV) সংক্রমণ, চিন্তিত জেল প্রশাসন। জেল (Jail) প্রশাসন সূত্রে খবর, এক মহিলা-সহ মোট ৪৪ জন বন্দি এইচআইভি-তে সংক্রমিত হয়েছেন। সংক্রমিত সব বন্দিকেই সুশীলা তিওয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যে সব বন্দি এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই মাদক সেবন করতেন।
সুশীলা তিওয়ারি হাসপাতালের চিকিৎসক পরমজিৎ সিং বলেন, জেলের বন্দিদের জন্য অন্তত মাসে দু'বার করে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। হাসপাতাল থেকে সেই জন্য একটি দলও গঠন করা হয়েছে ইতিমধ্যে। যে সকল বন্দিরা এইচআইভিতে সংক্রমিত হয়েছে তাদেরকে তিওয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকেই তাদের চিকিৎসা চলছে। এমনকি যাদের মধ্যে অল্প হলেও সমস্যা দেখা যাচ্ছে তাদেরকে জেলের মধ্যেই ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
আর যাদের মধ্যে মারাত্মক কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে তাঁদেরকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। এমনকি তাদের জন্য অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি সেন্টারও গড়ে তোলা হয়েছে হাসপাতালে।
জেল সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৩ জন এইচআইভিতে সংক্রমিত হন। মার্চে ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে কীভাবে বা কোথা থেকে এই সংক্রমণ ছড়াল তা নিয়ে চিন্তিত জেলা প্রশাসন।
বলিউডের অন্যতম চর্চিত দম্পতি বিরুষ্কা। বর্তমানে মেয়ে ভামিকাকে নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন উত্তরাখণ্ডে। সম্প্রতি ঋষিকেশের দয়ানন্দ গিরি আশ্রমে গিয়েছিলেন অনুষ্কা (Anushka Sharma) ও বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। এমনকি তাঁদের ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ঋষিকেশের (Rishikesh) পাহাড়ে ট্রেকিং করতেও দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে।
বিরাট ও অনুষ্কা দু'জনেই নিজেদের ইনস্টাগ্রামে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, লাঠি হাতে পাহাড়ে উঠছেন বিরাট। আর বাবার পিঠে করে পাহাড় চড়ছে ছোট ভামিকা। এমনকি ভামিকাকে বাবার কোলে থেকেই নদীর জল ছুঁতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে উত্তরাখণ্ডের প্রকৃতির ছবিও সমাজমাধ্যমে দিয়েছেন তাঁরা। দেখে বোঝা যাচ্ছে, দৈনন্দিন জীবনের বাইরে বেরিয়ে বেশ আনন্দে রয়েছেন তাঁরা। অনুষ্কা ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, "পাহাড়ের মধ্যে একটি পর্বত আছে এবং শীর্ষে কেউ নেই।" আর বিরাট কোহলিও হার্ট ইমোজি সহ একটি ছবি শেয়ার করেছেন।
যদিও এদিন আশ্রম সফরে দেখা গেল না কন্যা ভামিকাকে। আশ্রমের সভাঘরে বসে আছেন অনুষ্কা এবং বিরাট। অনুষ্কার পরনে বাদামি রঙের আনারকলি। বিরাট পরেছেন কালো প্যান্ট এবং ঘিয়ে রঙের সোয়েটার। গলার কাছে জড়ানো শাল। চোখে চশমা। মাথায় সবুজ রং-এর টুপি।এমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ (Rishabh Panth Accident)। ৩০ ডিসেম্বর ভোরে দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ডে (Delhi to Uttarakhand) নিজের বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। মুম্বইয়ের হাসপাতালে (Mumbai Hospital) ভারতীয় ব্যাটার-উইকেট রক্ষকের হাঁটুর লিগামেন্টের অস্ত্রোপচার হয়েছে। আর প্রায় দশ দিন হয়ে গিয়েছে। এবার ঋষভ ভক্তদের জন্য সুখবর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন তিনি। বাড়িতেই বাকি চিকিৎসা চলবে।
তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাড়িতে থাকলেও কড়া পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকতে হবে পন্থকে। হাসপাতালের সূত্রের খবর, ডাক্তার দীনশ পার্দিওয়ালা ও তাঁর দল এই সার্জারি করেছেন। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয় ব্যাটার-উইকেট রক্ষকের। কোল্যাটেরাল লিগামেন্টে (এমসিএল) বড়সড় অস্ত্রোপচার হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডাক্তার পার্দিওয়ালা সরাসরি বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক এবং ক্রিকেটারদের ফিটনেস সম্বন্ধে অবগত। তাঁর অধীনেই চিকিৎসাধীন পন্থ।
ডাক্তার জানিয়েছেন, বাকি যে লিগামেন্টগুলিতে চোট লেগেছে, সেগুলি ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। দুর্ঘটনার দিন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। গাড়িতে আগুন ধরে যায়। কোনওভাবে প্রাণে রক্ষা পান ঋষভ। প্রথমে দেরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হয়েছিলেন পন্থ। সেখান থেকে মুম্বইতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খাণ্ডোয়া থেকে ধৃত জঙ্গি আব্দুল রাকিব কুরেশির সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ (STF)। সূত্রের খবর, আব্দুল রাকিব কুরেশি ২০০৯ সালে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। প্রায় ১০ বছর জেল খেটে ২০১৯ সালে জেল থেকে মুক্তি পান আব্দুল। তারপরেই সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাদ্দামের সঙ্গে পরিচয় হয় আব্দুল রাকিবের। এই দুই সন্দেহভাজনের পরিকল্পনা ছিল বাংলা-সহ ভিন রাজ্য এবং মধ্যপ্রদেশে তাঁদের জঙ্গি সংগঠনকে (Terrorist Organisation) আরও মজবুত করা।
তাঁদের নজরে ছিল উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং ঝাড়খণ্ডে সংগঠন মজবুত করা। জানা গিয়েছে, সাদ্দাম- আব্দুলের দায়িত্ব ছিল যুব সমাজকে আইএস মতাদর্শে অনুপ্রাণিত করা। এবং তহবিল সংগ্রহের বিশেষ দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল রাকিব কুরেশি। এই মুহূর্তে সাদ্দাম এবং আব্দুল রাকিবকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করছে এসটিএফ।
সম্প্রতি হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। তাদের জেরা করে আব্দুল রাকিবের খোঁজ পায় এসটিএফ। তাকে খাণ্ডোয়া থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। রিমান্ডে আনা হয়েছে কলকাতায়।
মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্থ (Rishabh Panth Accident)। ৩০ ডিসেম্বর ভোরে দিল্লি থেকে উত্তরাখন্ডে (Delhi to Uttarakhand) নিজের বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। গাড়িতে আগুন ধরে যায়। কোনওভাবে প্রাণে রক্ষা পান ঋষভ। দেরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পন্থ। অসংখ্য অনুরাগী হাসপাতালের সামনে ভিড় জমিয়েছেন তাঁদের প্রিয় ক্রিকেটারের শারীরিক অবস্থা কেমন তা জানতে।
কেউ কেউ দেখা করতে হাসপাতালের ভিতর প্রবেশ করছেন। এর ফলে যেমন বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না ক্রিকেটার, তেমনই তাঁর সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। পন্থের পরিবারের পক্ষ থেকে ভক্তদের অনুরোধ করা হলেও ভিড় কমার কোনও লক্ষণ নেই। সেকারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁকে আইসিইউ থেকে প্রাইভেট স্যুইটে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে মুম্বই। এমনটাই দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার কর্তা শ্যাম শর্মা জানান সংবাদমাধ্যমকে।
এ বিষয়ে শ্যাম জানিয়েছেন, 'সংক্রমণের আশঙ্কা থাকায় আমরা ঋষভ পন্থের পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলে ওকে প্রাইভেট স্যুইটে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ও এখন ভাল আছে। ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। বুধবারই মুম্বই নিয়ে যাওয়া হবে। বাকি চিকিৎসা হবে ওখানেই।'
এর ঠিক কিছুদিন আগে শ্যাম শর্মা জানিয়েছিলেন, “সংক্রমণের ভয়ে আমরা পন্থের পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম যাতে পন্থকে আলাদা কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেটা করেছেন। ও এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।” কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের পরেও অনেকে পন্থকে দেখতে আসছেন।
এর ফলে তাঁর বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটছে। দুর্ঘটনার ফলে যে চোট পেয়েছে, তার ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এখনও যন্ত্রণা। এরই মধ্যে ওকে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। এর ফলে ওর শারীরিক শক্তিক্ষয় হচ্ছে যা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ঋষভের বিশ্রামের জন্যই স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,সম্প্রতি পন্থকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন অভিনেতা অনিল কাপুর ও অনুপম খের। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিও হাসপাতালে যান। এছাড়া প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ পন্থকে দেখতে উপস্থিত হচ্ছেন।