উত্তরপ্রদেশ(uttar pradesh) এখন শান্তির প্রতিক। দুষ্কৃতী, মাফিয়াদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। উত্তরপ্রদেশ এখন পুরোপুরি নিরাপদ। সাহারানপুরের এক জনসভায় নিজের রাজ্যের দুষ্কৃতী মুক্ত ছবি তুলে ধরলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আগে উত্তরপ্রদেশ বলতেই মাফিয়া, দুষ্কৃতীদের ঘর পরিচয় উঠে আসত, সেই ছবি বদলে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন যোগী। তাঁর কথায়, “আগে রাজ্যের মেয়েরা দুষ্কৃতীদের ভয়ে দূরে কোথাও পড়তে যেতে পারতেন না। কিন্তু এখন সেই ছবি পুরোপুরি বদলে গিয়েছে।উত্তরপ্রদেশ আজ গোটা দেশের কাছে একটা উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।আজ উত্তরপ্রদেশকে দুনিয়া মাফিয়ারাজের জন্য চেনেনা, চেনে সংস্কৃতি এবং উৎসবের জন্য।”
সাহারানপুরের জনসভায় দাঁড়িয়ে আগের শহরের সঙ্গে বর্তমান শহরের তুলনা করেছেন যোগী। ২০১৭ সালের আগে এই শহরটির উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাঁর সরকার এই শহরের উন্নয়নে জোর দিয়েছে। বিজেপি সরকারের প্রশংসা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রাজ্যের উন্নয়নের উপরেও যে বরাবর জোর দিয়েছেন সেই কথাও যোগী তুলে ধরেছিলেন এই জনসভা থেকে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে এই কথা ঘুরপাক খাচ্ছে যে, ভোটের আগে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে উত্তরপ্রদেশে ভোট প্রচার করতে চাইছে বিজেপি।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar pradesh) এক রেস্তোরাঁয় (Restaurant) উদ্বোধনের প্রধান অতিথি গরু (Cow)। সাধারনত কোনও নতুন দোকান কিংবা রেস্তোরাঁ খোলা হলে সেখানে উদ্বোধনের জন্য বা ফিতে কাটানোর জন্য প্রধান অতিথি হিসাবে খ্যাতনামী কাউকে নিয়ে আসা হয়। তবে এসবের কোনও কিছুর ধার ধারেনি উত্তরপ্রদেশের এক রেস্তোরাঁ। কোনও খ্যাতনামী ব্যক্তি বা কোনও তারকাকে নিয়ে এসে উদ্বোধন করানো হয়নি। প্রধান অতিথি হিসাবে নিয়ে আসা হল একটি গরুকে। পুজো দেওয়া হল, তারপর দোকান উদ্বোধনও হল। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে।
ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি গরুকে সাজিয়ে রেস্তোরাঁয় নিয়ে আসা হয়েছে। শঙ্খ বাজিয়ে ‘প্রধান অতিথি’ হিসেবে বরণ করা হয়। তারপর তাকে নিজে হাতে খাওয়ান রেস্তরাঁর মালিক। ‘প্রধান অতিথি’কে আলিঙ্গনও করতে দেখা যায় কয়েক জনকে। রেস্তোরাঁটি লখউয়ের প্রাক্তন ডেপুটি পুলিস সুপার শৈলেন্দ্র সিংহের। সংবাদ সংস্থাকে রেস্তোরাঁর মালিক শৈলেন্দ্র বলেন, 'আমাদের কৃষি এবং অর্থনীতি গরুদের উপরই নির্ভরশীল। তাই গোমাতাকে দিয়েই আমাদের রেস্তরাঁ উদ্বোধন করালাম।'
মাফিয়া আতিক আহমেদ (Gangster Atiq) হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরগরম উত্তর প্রদেশের রাজনীতি। সেই ঘটনার দিন কয়েক পরে এবার রাজ্যব্যাপী দুষ্ট দমনে কোমর বাঁধছে উত্তর প্রদেশ পুলিস (Uttar Pradesh Police)। জানা গিয়েছে, রাজ্যের জেলা ধরে ধরে মাফিয়া-তোলাবাজদের তালিকা তৈরি করেছে পুলিস। এদের ভবিষ্যৎ কী, ঠিক করবেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। জানা গিয়েছে, এসব মাফিয়া-তোলাবাজদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের পথেও হাঁটতে পারে পুলিস।
এদিকে, সম্প্রতি এক বাণিজ্য সম্মেলনে বিনিয়োগকারীদের বার্তা দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জানিয়েছেন, 'কোনও মাফিয়া বা গ্যাংস্টারকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। উত্তরপ্রদেশ সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে তাঁদের নিরাপত্তার। উত্তরপ্রদেশ সরকার আপনাদের এবং আপনাদের বিনিয়োগের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিচ্ছে। এখন থেকে কোনও জেলায় কাউকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই।'
অপরদিকে, আতিক-কাণ্ডে হইচইয়ের মধ্যেই আদালতে গড়িয়েছে এই হত্যাকাণ্ড। এখন সেদিকে তাকিয়ে ইউপিবাসী।
স্ত্রীকে কামড়েছে সাপ (Snake), কিন্তু তাঁকে না নিয়ে সাপকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন স্বামী। এই অবাক করা কাণ্ডটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে (UttarPradesh)। সূত্রের খবর, উন্নাও জেলার উমর আটওয়া গ্রামের নরেন্দ্র নামের ব্যক্তি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। হাসপাতালে সাপ দেখে হতবাক হয়ে পড়ে সেখানে উপস্থিত মানুষরা। তবে স্ত্রীর বদলে সাপ নিয়ে কেন হাসপাতালে ছুটলেন ওই ব্যক্তি, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলেই বেরিয়ে এল আসল সত্য।
জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রর স্ত্রী কুষ্মা রান্নাঘরে কাজ করছিলেন, সেসময় হঠাৎ একটি পাইথন সাপ এসে তাঁকে কামড়ে দেয়। এরপরেই চিৎকার করে ওঠে কুষ্মা ও পরমুহূর্তেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনতেই প্রতিবেশীরা তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটে ও পরে তাঁর স্বামীকেও খবর দেয়। তবে নরেন্দ্র তাঁর বউকে দেখতে হাসপাতালে না গিয়ে সরাসরি চলে যান বাড়ি। সেখানে গিয়ে সেই সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান হাসপাতালে। সাপ দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান হাসপাতালের সকলে।
এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে নরেন্দ্রকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, তিনি আসলে চেয়েছিলেন যে, তাঁর বউকে কোন ধরনের সাপ কামড়েছে, সেই বুঝেই যেন চিকিৎসা করানো হয়। যদিও পরে হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, তাঁর স্ত্রী কুষ্মা এখন সুস্থ আছেন।
৫০০ কিলোমিটার ধাওয়া করে ‘সুপার চোর’ বান্টিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি (Delhi Police) পুলিস। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বান্টি চোরের (Thief) এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে হিন্দি ছবি ‘বান্টি অউর বাবলি’র। জানা গিয়েছে, ‘সুপার চোরের’ আসল নাম দেবেন্দ্র সিং। পাঁচশোরও বেশি চুরির মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তারমধ্যে বেশ কিছু মামলায় সাজাও হয়েছে তাঁর। এমনকি ২০১০ সালে চুরির মামলায় ৩ বছর জেল খেটেছে সে।
সূত্রের খবর, জেলে থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নিজেকে শোধরানোর প্রতিশ্রুতি নিয়েছিল বান্টি। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিও রাখতে পারেনি সে। জেল থেকে বেরনোর পরই ‘বিগ বস’ রিয়ালিটি শো-এ অংশ নেন। কিন্তু ‘বিগ বস’-এর শো ছেড়ে বেরনোর পরই আবার নিজের পুরনো ‘ব্যবসায়’ নেমে পড়েন দেবেন্দ্র।
পুলিস সূত্রে খবর, বান্টি বেশির ভাগ চুরি করে রাত ২টো থেকে ভোর ৬টার মধ্যে। চুরি করার সময় বাড়ির ভিতরে ঢুকতে স্ক্রু ড্রাইভার কাজে লাগিয়ে দরজা অথবা জানলা অনায়াসে খুলে ফেলে বান্টি। তবে কম দামি জিনিস চুরি করতেন না বান্টি। তাঁর চুরির তালিকায় রয়েছে, বিলাসবহুল গাড়ি, সোনার গয়না, বিদেশি ঘড়ি এবং বহুমূল্যবান পুরনো আসবাব। এমনকি গাড়ি চুরি করার সময় লক না ভেঙেই গাড়ি মালিকের বাড়ি থেকে চাবি চুরি করেই গাড়ি চুরি করতেন তিনি। এমনকি দেবেন্দ্র চুরি করতে যান গাড়ি চড়ে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, অনেক দিন ধরেই তক্কে-তক্কে ছিল পুলিস। বারবার নাগাল পেলেও পুলিশকে ‘বোকা’ বানিয়ে পালিয়ে যেতেন তিনি। তবে এবার আর শেষরক্ষা হল না।
পুলিসের (Police) এনকাউন্টারে মৃত্যু (Death) হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের পুত্র আসাদ সহ গুলাম নামে আরও এক জনের। জানা গিয়েছে, ঝাঁসিতেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় আসাদ এবং গুলামের। প্রয়াগরাজে উমেশ পালের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এই দুই অভিযুক্ত। যার ফলে উমেশ হত্যাকাণ্ডের পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা উত্তরপ্রদেশে। এমনকি ‘ওয়ান্টেড’ অপরাধীর তালিকাতে রাখা হয়েছিল আসাদ এবং গুলামকে।
সূত্রের খবর, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে নিজের বাড়ির সামনে উমেশ পালকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় উমেশের দুই নিরাপত্তারক্ষীরও মৃত্যু হয়। উমেশ খুনের অভিযোগ ওঠে সম্পূর্ণ আতিক এবং তার গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। তাই আসাদ এবং গুলামকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করেছিল পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, রাজ্যের এসটিএফের সঙ্গে গুলির লড়াই চলাকালীনই মৃত্যু হয়েছে আসাদ এবং গুলামের। মৃত্যুর পর তাঁদের থেকে অস্ত্র, মোবাইল ফোন এবং সিম কার্ডও উদ্ধার করে এসটিএফ। এমনকি উমেশ পাল অপহরণের মামলায় সম্প্রতি আতিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে প্রয়াগরাজের এমপি-এমএলএ আদালত। আর তারপরেই আতিক পুত্র আসাদের এই পরিণাম যেন নাড়িয়ে দিয়েছে আতিককে।
বন্ধুর প্রাণ বাঁচিয়ে নতুন জীবন দিয়েছিলেন এক কৃষক। তারপরেই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গভীর হয়ে ওঠে। সেই বন্ধুত্ব (FriendShip) এতটাই অটুট যে, কয়েকমাস আগেই তা খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। কিন্তু তাঁদের আলাদাও হয়ে যেতে হয়। তবে ফের একে অপরকে দেখতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা সেই দুই বন্ধু। এখানে কথা বলা হচ্ছে, এক মানুষ ও সারস (Sarus) পাখির বন্ধুত্ব নিয়ে। মানুষ ও পাখির মধ্যের সম্পর্ক যেন এখন এক বন্ধুত্বের উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
পেশায় কৃষক মহম্মদ আরিফ ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে তাঁর বাড়ির কাছের একটি মাঠে সারস পাখিটিকে গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। এরপর তাঁকে বাড়িতে নিয়ে এসে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে তোলেন। সেই থেকেই তাঁদের বন্ধুত্বের শুরু। সারস পাখিটি অন্য কোথাও চলে গেলেও দিনের শেষে মহম্মদের কাছেই ফিরে আসত। সেই থেকেই সারসটি তাঁর বাড়িতেই থাকতে শুরু করে। আরিফ বাইক চালিয়ে কোথাও গেলেও সারসটি তাঁর সঙ্গে উড়ে উড়ে যেত।
কিন্তু তারপরেই ঘনিয়ে আসে বিপদ। সারসের একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই বন দফতরের কর্মীরা এসে তাকে নিয়ে গিয়ে কানপুর চিড়িয়াখানায় রেখে দেয়। এমনকি বন দফতরের তরফে আরিফের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়। ফলে দুই বন্ধু সারস ও আরিফকে আলাদা করে দিলে উভয়েরই মন ভেঙে যায়। আরিফ নিজেকে সামলে নিলেও, সারসটি একেবারেই এটি মেনে নিতে পারেনি। জানা গিয়েছে, প্রাণের বন্ধুর থেকে বিচ্ছিন্ন হতেই সারস খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করেছে। এরপর এই কথা জানার পর আরিফ তার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলেও প্রথমে অনুমতি পাননি।
অনেক চেষ্টার পর অবশেষে সারসটির সঙ্গে দেখা করতে পেরেছেন মহম্মদ আরিফ। বিচ্ছেদের পর আরিফ চিড়িয়াখানায় সারসের খাঁচার সামনে যেতেই এক অবাক করা দৃশ্য। দেখা গিয়েছে, খাঁচার মধ্যেই আনন্দে লাফালফি-উড়তে শুরু করেছে সারসটি। বন্ধুকে দেখে যেন আনন্দ ধরে রাখতে পারছে না সে। এই বিস্ময়কর দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি করে সমাজমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে, যা দেখে হতবাক নেটদুনিয়া। দুই বন্ধুর পুনর্মিলনের দৃশ্য দেখে চোখে জল নেটিজেনদের। তাঁরাও আবেদন করছেন যাতে এই দুই বন্ধুকে একসঙ্গে রাখা হয়। তবে মহম্মদ আরিফ তাঁর বন্ধুকে দেখতে পেলেও স্পর্শ করতে পারেননি। তাই তিনি মনে মনেই তাকে যেন আদর করেছেন। ইতিমধ্যেই এই ভিডিওটি লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।
#Watch | Mohammad Arif went to see the Sarus he saved in Kanpur zoo. Separated for nearly a month from him this is how Sarus reacted on seeing him.
— Hindustan Times (@htTweets) April 11, 2023
(📹: Hindustan Times) pic.twitter.com/zwhzS7YP22
ফের কুকুরের হামলায় (Dog Attack) মৃত্যু (Death) হল ন’বছরের এক শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মহারাজগঞ্জে। একটি মাঠ থেকে শিশুটির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে দেহটি উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিল পুলিস (Police)। ওই শিশুর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম আদর্শ শর্মা। মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিল আদর্শ। আরও জানা যায়, দু’দিন আগেই ছত্তীসগঢ়ে কুকুরের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ বছরের এক শিশুর। সেই ঘটনারই আবার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই শিশুটি সোমবার সন্ধ্যা থেকেই নিখোঁজ ছিল। বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরোতেই শিশুটিকে ঘিরে ধরেছিল এক দল কুকুর। তারপরই তাকে টানতে টানতে নিয়ে যায়। তারপরে একটি মাঠের মধ্যে থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। মহারাজগঞ্জের ডেপুটি পুলিস সুপার অনুজ সিং জানিয়েছেন, শিশুটির সারা শরীরে কামড়ের দাগ ছিল। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই পুরো ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
মানুষ খুন করেছে বলে জেল হয়েছে এমনটা সবসময়ই শোনা যায়। তবে শুনেছেন কি ইঁদুর মেরেছে বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে? শুধু তাই নয়, সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিটও (Charge sheet) পেশ করা হবে আদালতে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বুদাউন শহরের। জানা গিয়েছে, ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি একটি ইঁদুর ইটের সঙ্গে বেঁধে ড্রেনে চুবিয়ে মেরেছে বলে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে।
সূত্রের খবর, পশু সুরক্ষা কর্মী ভিকেন্দ্র শর্মা সেই ইঁদুরটিকে মারার জন্য অভিযুক্ত মনোজ কুমারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ধারা ৪২৯ ও ১১(১)-এর অধীনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইঁদুর মারার একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে ভিকেন্দ্র শর্মা। আবার সেই ইঁদুরটির মৃত্যুর পিছনেও কোন কারণ রয়েছে, তা জানতেও তার অটোপসি করা হয়েছে। রিপোর্ট দেখা গিয়েছে, ইঁদুরটির মৃ্ত্যু জলে ডোবানোর ফলেই হয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, সিভিল লাইন পুলিস স্টেশনের আধিকারিকরা মনোজ কুমারের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করেছে ও পরে তা আদালতেও পেশ করা হবে। অন্যদিকে অভিযুক্ত অন্য কথাই বলছে। তিনি জানিয়েছে, ইঁদুরটিকে তাঁর সন্তানরা মেরে রেখেছিল। তিনি শুধু সেটিকে ড্রেনে ফেলেছেন। এই ঘটনার পর বুদাউন শহরের সার্কেল অফিসার আলোক মিশ্রা জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে হয়তো এটিই প্রথম মামলা যেখানে ইঁদুর মারার জন্য একজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে।
আর্থিক সংকটের কারণে সন্তানদের বিষ (Poison) খাইয়ে নিজেও বিষ খান এক ব্য়ক্তি। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar pradesh) রামপুরে মাদাইয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী মেহতাব এবং সাত সন্তানকে নিয়ে থাকতেন সালিম নামের এক ব্য়ক্তি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সালিম এবং মেহতাবের এক পুত্র থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত(Thalassemia Patient)। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সর্বদাই চিন্তিত থাকতেন তিনি। এছাড়াও সালিম জমি জবরদখল করে বাড়ি বানিয়েছিলেন, এই অভিযোগে ২০২১ সালে তাঁর কাছে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার নোটিস আসে। সংসারের খরচও সামলাতে পারছিলেন না তিনি।
সবদিক দিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন সালিম। এই দুশ্চিন্তার বশে নিজের সন্তানদের ইঁদুর মারার বিষ খাইয়ে নিজেও বিষ খেয়ে ফেলেন তিনি। এই ঘটনার সময় সালিমের সঙ্গে বাড়িতে তাঁর আট বছরের কন্যা এবং দশ বছরের পুত্র ছিলেন। স্ত্রী মেহতাব এবং বাকি পাঁচ সন্তানরা কেউ বাড়িতে ছিল না। সেই সুযোগে সালিম তাঁর দুই সন্তানকে ইঁদুর মারার বিষ খাওয়ান বলে মেহতাবের দাবি। পুলিস সূত্রে খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সালিম এবং তাঁর কন্যাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সালিমের পুত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিয়ের মন্ডপে রিভলভার হাতে গুলি (Shooting) চালালেন কনে। ৫ সেকেন্ডের মধ্যে ৪ রাউন্ড গুলি চালালেন কনে। কনের এইরকম কান্ডে চমকে গিয়েছে বিয়েতে উপস্থিত অতিথিরা। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল (Viral) সেই ভিডিও। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাথরস এলাকায়।
শুক্রবার রাতে হাথরসের সালেমপুর গ্রামে একটি অতিথি নিবাসে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। মালাবদল হয়েছিল বর-কনের। বাকি রীতিনীতি পালনের জন্য একটি জায়গায় বসেছিলেন বর-কনে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কালো রঙের জামা পরা এক ব্যক্তি নিজের পকেট থেকে রিভলভার বার করে কনের হাতে দিচ্ছেন। ঠিক তারপরে কনে সেই রিভলভার হাতে নিয়ে শূন্যে তাক করে গুলি চালাতে শুরু করলেন। কনের এই কান্ড দেখে কালো রঙের জামা পরা ব্যক্তি হাসছিল। কিন্তু কনের এমন কর্মকান্ডে দৃশ্য দেখে ঘাবড়ে গিয়েছেন বর। তাঁর চোখেমুখে যেন ভয়ের ছাপ এবং কনের পাশে জড়সড় হয়ে বসে আছেন তিনি।
Hathras, U.P., 2023#WomenEmpowerment #ABLANARI
— Lady Of Equality 🇮🇳 (@ladyofequality) April 9, 2023
Are Indians without a gun licence allowed to use guns @Uppolice @kpmaurya1 @myogiadityanath @dgpup @hathraspolice @dm_hathras ⁉️
Please investigate such incidents@NCMIndiaa @realsiff @Das1Tribikram @RajNgc @KirenRijiju pic.twitter.com/UFgJRgowWT
সমাজমাধ্যমে এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিস প্রশাসন। হাথরসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার অশোককুমার সিং জানিয়েছেন যে, ভিডিওর ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যে ব্যক্তি রিভলভার নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার।
দেশে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা (Covid)। দিন দিন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার নয়া নির্দেশিকা উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকারের। রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ১৯২। তাই সংক্রমণের বৃদ্ধি কম করতে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। এমনকি উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬,১৫৫ জন। সংক্রমণের হার ৫.৬৩ শতাংশ।
শুক্রবারই দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। তিনি রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোভিড হটস্পটগুলিকে দ্রুত চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া কোভিড পরীক্ষা, টিকাকরণের উপর আরও জোর দিতে হবে, বলেছেন তিনি। তাই আগামী ১০ এবং ১১ এপ্রিল সমস্ত হাসপাতালে মক ড্রিল করারও নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এমনকি আগামী ৮ এবং ৯ এপ্রিল জনস্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি আলোচনা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে(Yogi Adiyanath) খুনের হুমকি (Murder Threat) দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেফতার এক কিশোর। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া এবং বিহারের বাসিন্দা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস শুক্রবার লখনউ থেকে দ্বাদশের ওই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে।
মোদী-যোগীকে খুনের হুমকি দিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে ই-মেল পাঠিয়েছিল অভিযুক্ত। সেই ই-মেলের গুরুত্ব বিচার করে পুলিসের দ্বারস্থ হয় ওই সংবাদ মাধ্যম। তারপরেই এই ঘটনায় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৫ এপ্রিল এফআইআর দায়ের করে পুলিস।
যদিও আগেও প্রধানমন্ত্রীকে এমন খুনের হুমকির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। ২০১৮ সালে নরেন্দ্র মোদীকে খুনের হুমকির মেল পাঠানো হয়েছিল দিল্লি পুলিসের কমিশনারকে। হুমকি বার্তা দেওয়া হয়েছিল যোগীকেও। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে যোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিস। তারপর সেই একইরকম হুমকি এল মোদী ও যোগীকে লক্ষ্য় করে।
কেন কিংবা কী কারণে প্রধানমন্ত্রী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি দিয়ে সংবাদমাধ্যমের দফতরে ইমেল পাঠাল ওই পড়ুয়া, খতিয়ে দেখছে পুলিস।
প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে বাবার হাতে খুন (Murder) এক তরুণী। গলা টিপে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) ওই তরুণীর বাবা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম কাজল, বয়স ২০ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মহুয়াদিহ থানায়। পুলিস সূত্রে খবর, গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কাজলের। তাঁর বাবা নওশাদকে কেউ এই সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন। নওশাদ মেয়ের এই সম্পর্কের কথা মেনে নিতে না পেরে ভেঙে পড়েন।
অভিযোগ, তারপরেই মেয়েকে খুন করেন তিনি। পুলিস জানিয়েছে, খুন করার পর দেহটি বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেন নওশাদ। এমনকি তাঁর পরিবারের সদস্যদের জেরায় জানা গিয়েছে, খুনের আগে তাঁদের অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন নওশাদ। প্রায় অনেকদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলো কাজল। তল্লাশি চালিয়ে অনেক খোজাখুঁজির পর ২ এপ্রিল ছোটি গন্ডক নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে তরুণীর দেহ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পর জানা গিয়েছে ওই তরুণী সন্তানসম্ভবা ছিলেন।
নওশাদ পরে তাঁর মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার গল্প বানান। এমনকি পুলিসের তল্লাশি অভিযানেও যোগ দেন তিনি।
তরুণীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁরই প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) নন্দগ্রাম থানা এলাকায়। প্রেমিকাকে খুনের পর তরুণ প্রেমিক আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিস (Police) দুটি রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তরুণীকে মৃত (Death) ঘোষণা করেন এবং অভিযুক্ত তরুণের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁর চিকিত্সা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নিহত তরুণীর নাম দীপমালা যাদব (২০)। অভিযুক্তর নাম রাহুল (২৬)। অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর জেলার সালেমপুর গ্রামের বাসিন্দা। ওই তরুণীর মামা এবং অভিযুক্ত একই গ্রামের বাসিন্দা। দীপমালা তাঁর মামার বাড়িতে ঘনঘন যাতায়াত করার সময়ই অভিযুক্তর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দীপমালার বাবা-মা হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে মন্দিরে পুজা দিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন দীপমালা। সেই সুযোগেই দীপমালার বাড়িতে ঢুকে পড়েন অভিযুক্ত। পিস্তল দিয়ে দীপমালাকে গুলি চালিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে গুলির আওয়াজে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দু’টি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে নন্দগ্রাম থানায় খবর দেয় তাঁরা, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।